চট্রগ্রামের আলিচিত আয়াত হত্যা দেহের দুই টুকরার খোঁজ মিলেছে সাগরপাড়ে

মোঃ শহিদুল ইসলাম
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন এলাকার আলচিত হত্যার ১৫ দিন পর অবশেষে শিশু আয়াতের দেহের খণ্ডিতাংশের খোঁজ পেল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বুধবার আকমল আলী রোডের সাগরপারে সুইজগেট এলাকা থেকে আয়াতের দুটি কাটা পা উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে আয়াতকে অপহরণের পর খুন করে দেহ ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেয় খুনি আবির আলী (১৯)।

গত ২৪ নভেম্বর আবিরকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আয়াতের খণ্ডিত দেহ উদ্ধারে ছয় দিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে পিবিআই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ ষষ্ঠ দিনের মতো অভিযানে আয়াতের দেহের একটি অংশ আকমল আলী রোডের সাগরপারে স্লুইসগেট এলাকায় পাওয়া গেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

চট্টগ্রাম নগরীতে শিশু আয়াতকে খুনের পর লাশ ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আবিরকে গ্রেপ্তারের পর তার বাবা-মা ও ছোট বোনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তবে বোন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে চার বছর ১১ মাস বয়সী আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় গত ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) আবির আলী নামের সোহেল রানার ভাড়াটিয়া এক যুবককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই। স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুনের দায়ে অভিযুক্ত আবির আলী মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করেছিল। সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্বাসরোধ করে আয়াতকে খুন করে আবির। নিজে ধরা পড়ে যাবে, এই ভয়ে শিশুটিকে কেটে ছয় টুকরা করে। পরদিন ১৬ নভেম্বর লাশের টুকরা নগরীর আকমল আলী রোডের শেষ প্রান্তে বেড়িবাঁধের পর আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে-টার্মিনাল এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে আবির আলী তথ্য মতে জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *