February 5, 2025, 9:50 am
স্টাফ রিপোর্টারঃ- নিরেন দাস
বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাইম্য খোলা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ক্রয় মূল্যে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ দখলীকৃত জমিতে রয়েছে জিয়াবুল করিম (৪০) পিতা মাস্টার নজির আহমদ । বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় সেগুন গাছ চারাঁ ভাঙ্গা নিয়ে তর্কবিতর্ক করে সংঘবদ্ধ হয়ে ফিল্মি স্টাইলে রড দা হাতুড়ি নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ঘটনা ঘটায়।
জিয়াবুল করিম জানান, হামলাকারীরা হল ফাইতং রাইম্য খোলা একি এলাকায় পার্শ্ববর্তী ভূমিদস্যু (দরবেশ আলীর গোষ্ঠী ) আব্দুর শুক্কুর (২২) পিতা- মাহবুব আলম, সোনামিয়া (১৯) পিতা- মাহবুব আলম, রিমন (১৬) পিতা -মাহবুব আলম। মাহবুব আলম (৫৫) পিতা- মোঃ শরিফ। হাসিনা বেগম (৩৮) স্বামী – নুর নবী। হামিদা বেগম (৪৫) স্বামী – মাহবুব আলম। রেকা মনি (১৪) পিতা- মাহবুব আলম। নুর নবী (৪৫) জনো (প্রকাশ জনো মেম্বার) সহ যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে ফিল্মি স্টাইলে এই ঘটনা ঘটায়।
হামলাকারীরা জিয়াবুল করিম বাড়ি’তে এসে এই সংঘবদ্ধ হয়ে ফিল্মি স্টাইলে মারধর ঘটনা ঘটে। আওয়াজ /চিৎকার খবর পেয়ে পাশ্ববর্তী লোকজন এসে গুরুতর আহত মুমূর্ষ ওই জিয়াবুল করিম – স্ত্রী ও ছেলে/মেয়েকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী উচ্ছৃঙ্খল যুবক ও এলাকায় মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে আহত জিয়াবুল করিম’কে এলাকায় মানুষ পার্শ্ববর্তী চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রাথমিক ভাবে মাথায় ও হাতে সেলাই করে। ঘটনা স্থলে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া স্থানীয়রা বলেন, জিয়াবুল করিম, মাথায় পেটে ও দুই হাতে সেলাই ও পিটে সহ বিভিন্ন আঘাত চিহ্ন দেখা যায়, এবং আহত স্ত্রী হাফছা বেগম (৩৫) মাথায় পেটে দেয় ও ছেলে মিজান (১৮) মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (১৫) ছেলে/ মেয়ের সারা শরীরে আঘাত চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান আহত জিয়াবুল করিম মাথায় ১২টি সেলাই, হাতে ৩টি অঙ্গুল অংশে ৭টি ও স্ত্রী মাথায় ২০টি গায়ে বিভিন্ন জখম দেখা যায়।
আহত জিয়াবুল করিম স্ত্রী হাফছা বেগম (৩৫) জানান, আমি বিচার চাই হামলাকারী কয়েকজন দের বিরুদ্ধে বান্দরবান জজকোর্টে মামলা চলমান আছে। ঘটনা স্থলে আমাদের আত্মীয় কেউ ছিল না বলে তখন ঐ সুযোগ পেয়ে হামলাকারীরা আমার স্বামী, সন্তান ও আমাকে মারধর করে, মারধর চিৎকার আবাস শোনা পার্শ্ববর্তী মানুষ এসে আমাদের উদ্ধার করে। পার্শ্ববর্তী মানুষ এগিয়ে না এলে হামলাকারীরা আমাদের মারে পেলত। সকল দোষীদের বিচার দাবী করেন।
তিনি আরো জানান, জিয়াবুল করিম আর ১০৮ হোল্ডিং এর জায়গায় আসিয়া বেআইনীভাবে দাবী উপস্থাপন করে জবরদখল পরিবর্তনেট অপচেষ্টা করে , বুধবার (২ নভেম্বর) কয়েকজন হামলাকারী দের বিরুদ্ধে বান্দরবান জজকোর্টে মামলা আছে এবং বুধবার সময়ের অবেদন করেন।
সেই ঘটনার জের ধরে এই ঘটনার সৃষ্টি বলে স্থানীয়রা ও দূষি দের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান,বিষয়টি স্থানীয় সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে অবগতি করলে তারা
লামা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অবস্থায় পুলিশ কোনো সহযোগিতা দরকার হলে ফাইতং ফাঁড়িতে কেউ গেলে পুলিশ হেল্প পাবেন।