February 5, 2025, 4:09 am
স্টাফ রিপোর্টারঃ মনিরুল হক ফারুক রেজা ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতিমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। সৎ-সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন কঠিন কাজেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকান্ডে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। যে কারণে জনগণ প্রকল্পের উন্নয়ন ও সঠিক বাস্তবায়নে তাদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে খুঁজে নিয়েছেন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কে। জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা সদর উপজেলায় গত ২০১৯ সালের ২৫শে অক্টোবর মাসে সদর উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
এর আগে তিনি বিভিন্ন উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসাবে সততার সাথে কাজ করে স্থানীয় জনতার প্রশংসার দাবীদার হয়ে ময়মনসিংহ সদরে যোগদান করেন। সদর উপজেলায় তিনি দায়িত্ব নিয়ে উপজেলা পিআইও শাখাকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান। উদ্যোগ নেন দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে একটি আধুনিক জনপদ গড়ে তোলার। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় ক্রমান্বয়ে বদলে গেছে উপজেলা পিআইও শাখার প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। এক কথায় বলা যায় উপজেলায় তিনিই প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে কাজ সরকারী সেবাকে জনকল্যাণে পৌছানো নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা উপজেলায় প্রতিটি উন্নয়নের কাজকে বাস্তবায়ন করে উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি প্রতিটি প্রকল্পের কাজ স্ব-শরীরে পরিদর্শন করে সকল প্রকার উন্নয়নকে জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। তার কার্যালয় সবার জন্য উন্মুক্ত দ্বার হিসেবে পরিণত করে রেখেছেন। পিআইও মনিরুল হক ফারুক রেজা দাপ্তরিক কাজের বাইরে সকাল-বিকাল ছুটে বেড়ান উপজেলার সব প্রান্তে প্রকল্প স্পটে স্বচ্ছতা দেখবাল করতে। কথা বলেন সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে এবং শোনেন তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা। নিয়মিত খোঁজখবর নেন সমাজের অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারিত থাকলেও জনগণের সেবার কারণে প্রয়োজনে সন্ধ্যার পর রাত অবধি অফিস করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল উন্নয়ন সেবা নিজ তত্ত্বাবধানে মানসম্মত করতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। উপজেলার মসজিদ, মন্দিরসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়নের তদারকি করছেন তিনি। কাবিখা, টিআর প্রকল্পগুলো সরেজমিনে গিয়ে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত দেখে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিআইও মনিরুল হক ফারুক রেজা । তার নজরদারির ফলে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট ব্রীজ-কালভাট। যে কারণে তিনি স্বল্প সময়ে উপজেলার সবার মধ্যে হয়ে উঠেছেন এক অসাধারণ গল্পের মানুষ। উপজেলায় জনবান্ধব প্রশাসন গড়ায় আজ রাজনৈতিকসহ সর্ব মহলে তিনি প্রশংসিত।
এ বিষয়ে ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, এত ভালো, নম্র, ভদ্র পিআইও অতীতে দেখিনি। তিনি অসহায় এবং গরিব মানুষের প্রকৃত বন্ধু। অন্যায় এবং অসৎ ব্যক্তিদের কখনো প্রশ্রয় দেয়নি। যার কারণে সাধারণ মানুষ পিআইও’র ওপর আস্থা পেয়েছেন। উপজেলা প্রকল্প অফিসকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজিয়েছেন তিনি। এক কথায় তিনি একজন সততা এবং কর্মদক্ষতার প্রতীক।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা বলেন, সত্যি কথা বলতে কি আমাদের চাকরির নির্ধারিত কোনো দায়িত্ব ও কর্তব্য নেই, সুনির্দিষ্ট কোনো পরিধি নেই, জনগণকে সেবা দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ছকে বাধা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনগণের মঙ্গল হয়, ভালো হয় সেটাই করার চেষ্টা করছি। তবে এমপি স্যার, জেলা প্রশাসক স্যার, উপজেলা চেয়ারম্যান স্যার, ইউএনও স্যার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক সহযোগীতায় প্রতিটি কাজ করা সহজ হয় বলে মনে করি। প্রত্যাশা করি প্রধানমন্ত্রীর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতায় প্রতিটি সেক্টরের সমন্বয়ে প্রান্তিক জনগণের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের।