ক্ষেতলালে পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত, প্রতি ভোট ১০ হাজার টাকা

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাট ক্ষেতলালে পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে। নির্বাচনে সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেকের প্যানেল জয়ী হয়েছেন।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকে হার মানিয়ে প্রচার প্রচারণা ও লক্ষ লক্ষ টাকার ছড়াছড়ি, প্রতিটি ভোটারকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ভোট কেনার গুঞ্জন দুই প্যানেলের। ভোটার সংখ্যা ১৭০ জন হলেও ওই এলাকার হাজার হাজার সাধারণ নারী পুরুষের উপস্থিতি দেখা যায় ভোট কেন্দ্রে।

ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৫ জন, এরমধ্যে ভোটার ১৭০ জন। ভোট কাস্ট হয়েছে অপরদিকে পুরুষ ও নারী শিক্ষক প্রতিনিধি ৮ জন। তার মধ্যে ২ জন নারী এবং ৪ জন পুরুষ শিক্ষক এ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এছাড়া ওই এলাকার আরও দুই জন হ্যাবিওয়েট প্রার্থী বড়তারা ইউনিয়ের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারিক ও ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক দুই প্যানেলে এ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এ নির্বাচনের নিরাপত্তা কর্মীর দায়িত্ব ছিলেন ৬ জন পুলিশ ও ৬ জন গ্রামপুলিশ সদস্য। রির্টানিং এর দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লা সরকার। নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, ওসি রওশন ইয়াজদানী,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ এস এম মোরশেদ।

৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লিয়ন বাবুর পিতা ( অভিভাবক সদস্য) জহুরুল ইসলাম বলেন, এ নির্বাচনে দু’ পক্ষই হাজার হাজার টাকা খরচ করেছে। আব্দুল খালেক প্যানেল ভোটার প্রতি ১০ হাজার এবং আব্দুল বারিক প্যানেল ৫ হাজার টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে।

১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুসলিকার পিতা মুমিনুল ইসলাম( অভিভাবক সদস্য) বলেন, আমি খালেক প্যানেল থেকে ৫ হাজার টাকা পেয়েছি, দু’পক্ষ প্রচুর টাকা খরচ করেছে।
আব্দুল খালেক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে । এমপি আমার হাতের লোক। এরকম নির্বাচনে একটু আধটু খরচ হয়।
অপর প্যানেলের আব্দুল বারিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিবনা ।

এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ছফিউল্লা সরকার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে । সকল প্রার্থী সন্তষ্ট।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, সামান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে লক্ষ লক্ষ টাকার ছড়াছড়ি। এত টাকা খরচ করে নির্বাচন করে এদের লাভ কি?? শিক্ষার্থীরা এখান থেকে কি শিক্ষা নিবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *