নেছারাবাদে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীর বিরূদ্ধে স্ত্রীর মামলা

স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি //

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে নির্যাতনের করার অভিযোগে, স্বামী জুবায়ের-এর নামে স্ত্রীর মামলা। মোহনা তার স্বামী জুবায়ের নামে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০৩ এর ১১(ক)ও(খ)/৩৪ধারায় কোর্টে মামলা করে।

মামলার এজাহারে মোহনা উল্লেখ করেছেন, জুবায়ের-এর সাথে বিয়ের সময় প্রায় ২লক্ষ টাকার আসবাবপত্র দিয়ে দেয়। তার স্বামী বেকার ছিলো কিছু দিন যেতে না যেতে যৌতুক দাবি করে মারধর করতো। দিনের পর দিন শারীরিক মানসিক নির্যাতন চলতো বলে দাবি স্ত্রী মোহনার।
ঘটনার দিন যৌতুকের পন হিসাবে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে জুবায়ের। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে। জুবায়ের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাতে পায়ে জখম করে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দিয়ে গলা চেপে ধরে। শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। মারুফ তালুকদার আমার আমার বাবা মাকে ফোনদিলে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় হাসপাতালে যাওয়ার সময় আমার রক্ত বমি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিয়ে যায়। সুস্থ হয়ে নেছারাবাদ থানায় যাই তারা মামলা না নেয়ায় আমি পিরোজপুর কোর্টে গিয়ে জুবায়েরের নামে মামলা করি।
এছাড়াও মোহনা আরো জানান,আমি ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পে দুই বছর চাকরি কারি ঐ সময়ে আমার প্রতি মাসের বেতন এর সমুদয় টাকা এবং মেয়াদ শেষে এককালীন ৫০হাজার টাকা পেয়ছি সেটাও নিয়ে যায়। গত সাত মাস পূর্বে মারপিটের এক পর্যায়ে জুবায়ের আমার মাতার চুল কেটে দেয়।
এবিষয়ে মোহনার স্বামী জুবায়ের বলেন,আমার স্ত্রী অত্যান্ত খারাপ প্রকৃতির একজন মহিলা বিয়ের পর থেকে আমার আত্মীয় স্বজন ১বেলা ভাত খেয়ে দেখেনাই আমার ঘরে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বরং ঘটনার দিন ও বাবার বাড়ি ছিলো সকাল ৬টার দিকে আমাদের বাড়ি এসে আমার চোখে বালু ছুড়ে মারে এবং আমার চোখে মরিচ লাগিয়ে দিয়ে আমার পুরুষাঙ্গ চেপে ধরে আমি কোন উপায় না পেয়ে হাতের কাছে থাকা প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে ওর মাথায় আঘাত করি ওর মাথা একটু কেটে যায়।আর আমি ওকে তালাক দিয়ে দিয়েছি। আর ও আমার নামে যখন মামলা করেছে তখন আমি ওর সাথে কোর্টে বোঝা পড়া করবো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *