বাঘের থাবা খেয়ে লোকালয়ে আসা আহত হরিণ উদ্ধার, দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা

মোংলা প্রতিনিধি
মোংলার সুন্দরবনে বাঘের থাবা খেয়ে লোকালয়ে চলে আসা একটি মায়া হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ, ভিটিআরটি ও সিপিজি’র সদস্যরা। সোমবার সন্ধ্যায় বরইতলা গ্রামের আঃ মান্নানের বাড়ী থেকে আহত হরিণটি উদ্ধার করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা ষ্টেশনের আওতাধীন বরইতলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, সুন্দরবনে বাঘের থাবা খেয়ে সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে একটি মায়া হরিণ বন সংলগ্ন বরইতলা গ্রামে চলে আসে। পরে হরিণটি ওই এলাকার মান্নানের বাড়ীতে ঢুকলে তার বাড়ীর সীমানার বেড়ার জালে আটকে পড়ে। পরে খবর পেয়ে বনবিভাগ, ভিটিআরটি ও সিপিজি’র সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে হরিণটি উদ্ধার করেন। বন কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, উদ্ধার হওয়া আহত মায়া হরিণটি পুরুষ, এর বয়স ৪/৫ বছর। বাঘের থাবায় হরিণটির ডান শিং, ডান পা ও ডান পাশের পিছনের রানের উপর মারাত্মক ক্ষত হয়েছে।
বনবিভাগের ভিটিআরটি’র (ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম) কচুবুনিয়ার টিম লিডার মোঃ আলমগীর শিকদার ও সিপিজি’র (কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপ) মোঃ কবির মল্লিক বলেন, বাঘের থাবা খেয়ে ভয়ে লোকালয়ে চলে আসা জখম হরিণটি আমরা ও বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে উদ্ধার করে রাতে চিলা বাজারে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে সেটির চিকিৎসার জন্য করমজলে পাঠানো হয়েছে। বনের কোন প্রাণী লোকালয়ে আসলে আমরা তাৎক্ষণিক সেটি উদ্ধার করে নিরাপদে বনে ফিরিয়ে দেয়ার কাজ করে আসছি। কোন বন্যপ্রাণীই যাতে লোকালয়ে এসে মারা পড়া কিংবা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য আমরা ভিটিআরটি ও সিপিজির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছি। তারা আরো বলেন, হরিণটির চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ৮টার দিকে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবিরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, বাঘের থাবায় গুরুতর আহত হরিণটিকে রাতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরপর অন্তত দুই তিন পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা করে পুরোপুরি সুস্থ্য হলে হরিণটিকে পুনরায় বনে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *