সুন্দরগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ

আনিসুর রহমান আগুন।

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি,জমি জবরদখল ও বাড়ি ভাংচুর করাসহ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্র ও ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস ছামাদের সাথে একই গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে ও ধুবনী ঝাকুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে আব্দুস ছামাদের জমিতে থাকা টিনের চালাঘর, খাট, বাউন্ডারির টিন খুলে নিয়ে যায় মোজাম্মেল মাস্টার ও তার লোকজন। পাশাপাশি সামাদের পুরাতন বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করাসহ নগদ টাকা সোনাদানা গহনাগাঁটি লুট করে নিয়ে যায় মোজাম্মেল মাস্টার। এতে আব্দুস ছামাদ ও তার স্ত্রী সন্তান বাঁধা দিতে গেলে মোজাম্মেল মাস্টার ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে । এসময় স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক সামাদের স্ত্রী আসমা বেগমের পরনের কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। ভুক্তভোগী সামাদ জানান নগদ টাকা ও গহনাগাঁটিসহ মোজাম্মেল মাস্টারের লোকজন তার ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মিলন মিয়া বলেন, মোজাম্মেল মাস্টার ও তার ভাড়াটে লোকজন চোখের পলকে সবকিছু ভেঙ্গে চুরে লুটপাট করে নিয়ে যায়। সেই সাথে সামাদের ১৪ শতক জমি জবরদখল করে।
এনিয়ে প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা নতুন বাড়ি ভাংচুর করছি, পুরাতন বাড়ি ভাংচুর করিনি। শ্লীলতাহানির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ হয়নি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *