Blog

  • ঋ-ণ ও  খাওয়ার অ-ভাবে পরিবারকে হ-ত্যা করে আত্মহ-ত্যা করল কর্তা

    ঋ-ণ ও খাওয়ার অ-ভাবে পরিবারকে হ-ত্যা করে আত্মহ-ত্যা করল কর্তা

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর পবা উপজেলায় ঋণের চাপে এবং অভাবের তাড়নায় দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লিখেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম।’

    আজ শুক্রবার ১৫ আগষ্ট সকাল ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশেখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন মিনারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (দেড় বছর)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

    জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।
    রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।

    পুলিশ জানায়, পরিবারের চারজন সদস্যই মারা গেছেন। এর মধ্যে এক ঘরে মা ও মেয়ে এবং অন্য ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সাথে ঝুলছিলেন। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।

    হত্যাকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করে ওই চিরকুটে মিনারুল আরো লেখেন, ‘এই কারণে যে আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলেমেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো।’

    “আমরা চারজন পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি, আর দেখা হবে না খোদা হাফেজ। আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা নিজ হাতে লেখব। সব আমার নিজের কথা। আমরা চারজন মারা যাব। এই মরার জন্য কারো কোনো দোষ নেই…।
    আমি প্রথমে আমার বউকে মেরেছি। পরে মাহিনকে এবং তারপর মিথিলাকে মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি। চারজনের মরা মুখ যেন বাপের বড় ছেলের বউ বাচ্চা না দেখে…এবং জানাজায় না যায়। আমাদের চারজনকে ঢাকতে আমার বাবাটা যেন টাকা না দেয়…। ’
    ‘কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • বাবুগঞ্জে দোয়ারিকা সেতুর নিচে বিটুমিন মিক্সচার প্লান চু-রি, ২ চো-র আ-টক

    বাবুগঞ্জে দোয়ারিকা সেতুর নিচে বিটুমিন মিক্সচার প্লান চু-রি, ২ চো-র আ-টক

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা সেতুর নিচে সম্প্রতি স্থাপিত বিটুমিন মিক্সচার প্লানে আজ ভোরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে নৈশ্যপ্রহরী মো. শাহআলম হাং চুরির শব্দ টের পেয়ে চোর-চোর বলে চিৎকার করলে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুই চোরকে ধরে ফেলেন।

    ধৃতদের মধ্যে একজন আলফা ড্রাইভার এবং অপরজন পেশাদার চোর হিসেবে স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করেন। তার নাম আল আমিন খলিফা (৪২)। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মো. কবির আইকন, মো. আনিচ আকন, মো. মানিক আইকন ও সুমন তামিদার ঘটনাস্থলে গিয়ে প্লানের মালিকপক্ষকে খবর দেন। চোরকে আটক রেখে সকাল ১১টার দিকে মালিকপক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি বাবুগঞ্জ থানাকে জানানো হয়।
    থানার ওসি’র নির্দেশে এসআই মান্নান দুই সঙ্গীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক চোরকে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন খলিফা তার আরও দুই সহযোগীর নাম প্রকাশ করেন— মো. রাব্বি তালুকদার (পিতা ভুট্টো তালুকদার) ও মো. খায়রুল তালুকদার (৩৫), উভয়ের ঠিকানা লাফাদি, পোস্ট: মাধবপাশা, থানা: এয়ারপোর্ট।
    চোরেরা প্লানের জেনারেটরের ব্যাটারি ও মোটা তার কেটে নিয়ে যাচ্ছিল, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • বেগম খালেদা জিয়া রাজ-নীতির আ-লোকবর্তিকা, আ-স্তার প্রতীক

    বেগম খালেদা জিয়া রাজ-নীতির আ-লোকবর্তিকা, আ-স্তার প্রতীক

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ কি নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম, যেন ঠিক করতে পারছিলাম না। আজ শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়ের পর বাসায় এসে টিভি, স্থানীয় ও জাতীয়, অনলাইন পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হচ্ছিল বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীর বিষয়ে। তাই এবিষয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে লিখা শুরু করলাম। জানি না পাঠকগন কতটা উপকৃত হবেন।

    বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৫ আগস্ট তিনি পা রাখবেন ৮১ বছরে। জাতীয়তাবাদী শক্তির অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন এবার এমন একসময় উপস্থিত হয়েছে যখন পতিত শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে বিনা বিচারে দীর্ঘকাল অসুস্থ অবস্থায় বন্দি জীবন যাপন শেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মুক্ত জীবন ফিরে পেয়েছেন তিনি। মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট অবিভক্ত ভারত বর্ষের জলপাইগুঁড়ির নয়াবস্তির ছোট্ট শহরে বেগম জিয়ার জন্ম হয়।

    বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে বিকশিত হয়েছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ‘আলোকবর্তিকা’ হিসেবে একজন আপসহীন নেত্রীর দেখা পেয়েছে এদেশের মানুষ। স্বৈরাচারের পতনের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রথম নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার উপর আস্থা রেখেছেন তারা।

    শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম-এর উদ্যোগে বহুদলীয় গণতন্ত্রের শুরুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হয় স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের অবৈধ ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে টানা নয় বছরের সংগ্রামের মাধ্যমে কয়েক দফা কারাবরণ করেন আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

    আশির দশকের শুরুতেই স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হারিয়ে অল্প বয়সে বিধবা হয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে জীবন সংগ্রাম শুরু করতে না করতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে যখন অন্ধকারের পথে দেশের রাজনীতি, তখন আলোকবর্তিকা হয়ে সামনে আসেন বেগম খালেদা জিয়া।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে ঘরকন্না থেকে রাজপথে নেমে আসেন দেশের রাজনীতির এই আপসহীন নেত্রী।
    নীতি ও আদর্শে অটুট থাকায় তিনি আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বেগম খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে তিনি তিন দশকের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি খালেদা জিয়া বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন। বছরখানেক যেতে না যেতেই নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় প্রশংসা অর্জন করেন। পরের বছর মার্চে তিনি দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদোন্নতি পান। এক মাস পর ১ এপ্রিল তিনি দলের বর্ধিতসভায় প্রথম বক্তৃতা করেন।

    রাজনীতিতে বেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন তিনি। চারবারের সংসদে পাঁচটি করে আসনে বিজয়ী হন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনবার দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন। আর সেই আপসহীন নেতৃত্বকেই এদেশের জনগণ রায় দিয়েছিলো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য।

    বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন একটা ভয়ংকর রকমের অরাজকতা ও দেউলিয়াত্ব চলছে। গত বছর জুলাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কণ্ঠোচ্চারিত ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ বিখ্যাত স্লোগানের কথা সবার মনে আছে। একটি বছর পার হয়ে গেল শিক্ষার্থীরা কি সে অধিকার পেয়েছে।

    সাম্প্রতিক গোপালগঞ্জে এনসিপির দলীয় সভার ওপর ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যেরূপ হামলা চলিয়ে মারপিট ও ভাঙচুর করেছে, তাতে মনে হতে পারে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়েছেন, কিন্তু ফ্যাসিবাদ রেখে গেছেন। খুনখারাবি, চুরিডাকাতি, চাঁদাবাজি, ঘুষ, অবৈধ দখল নারীনির্যাতন, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদির বিরুদ্ধে আন্দোলন হলো, তা তো বন্ধ হয়নি, বরং অনেককিছু বেড়েই চলেছে। তবে প্রশ্ন এসে যায় আন্দোলনে শত শত নিরীহ ছাত্রজনতা প্রাণ দিল কেন? শত সহস্র আহতের আর্তনাদ ও আহাজারি এখনো থামেনি। যে আশা ভরসা স্বপ্ন নিয়ে লোকজন জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করলো, তা কি ভোগ করতে পারছেন?

    জাতীয় নির্বাচনে দল পরাজিত হলে গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে সরে যান। অপর দিকে শেখ হাসিনা করেছেন উল্টোটা। তাঁর আমলের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও জালভোটের, ২০১৮ সালের নির্বাচন ‘রাতের ভোটের’, ২০২৪ সালের নির্বাচন আমি, মামি, ‘ডামি ভোটের’। বিএনপিসহ বিরোধী বহু রাজনৈতিক দল সরকারকে ‘অবৈধ সরকার’ বলে আখ্যায়িত করে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানালেও শেখ হাসিনা কর্ণপাত না করে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করেন এবং গুম-খুন, হামলা-মামলা,জেল-জুলুম,দখলদারি-চাঁদাবাজি ইত্যাদি দমনপীড়ন-শোষণশাসন নীতি গ্রহণ করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেন। শুধু তাই নয়, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে দলীয়করণ করে ছদ্ম একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। বছরের পর বছর ধরে সর্বস্তরের মানুষের জমানো ক্ষোভ-বিদ্বেষ থেকে জুলাই ’২৪ এর ছাত্র-জনতার সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান হয়, জনরোষে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চরম অপদস্ত হয়ে গদি ছেড়ে স্বৈরাচার আখ্যা নিয়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন। তাঁর প্রতি জনগণের ন্যূনতম শ্রদ্ধা বা সহানুভূতি ছিল না। তাঁর রাষ্ট্রীয় আবাস গণভবন, নিজস্ব বাসভবন, পিতৃভবন পুড়িয়েছে, তাঁর প্রতিকৃতিতে জুতা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ক্ষান্ত হয়নি, জুতার মালা পরিয়েছে। এ সবকিছুই ছিল জনগণের প্রচন্ড ক্ষোভ ও ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ। পালাবার সময় তিনি নিজে কাঁদলেন, আর কারো চোখ থেকে এক ফোটাও অশ্রু ঝরেনি। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা তখন বিজয়ানন্দে উল্লাসে-উচ্ছ্বাসে বিভোর। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস!

    দলগতভাবে বিএনপি এবং ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়া ছিলেন শেখ হাসিনার চক্ষুঃশূল। ক্ষমতায় থেকে তিনি খালেদা জিয়াকে অমার্জিত ভাষায় কেবল হেনস্থা করেননি, রাষ্ট্রের বরাদ্দকৃত বাসভবন থেকে উৎখাত করেছেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পুরেছেন, নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, তিনি এখনও বিদেশেই রয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে ধ্বংস করা।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তিত হলে বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হন। তিনি সম্প্রতি বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। গুলশানের বাসা-এয়ারপোর্ট যাতায়াতের সময় রাজপথে জনতার ঢল নেমেছিল। এ ছিল তাঁর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসার প্রতিফলন, যা তিনি ক্ষমতায় এবং ক্ষমতার বাইরে থেকে অর্জন করেছেন। কারামুক্তির পর তিনি প্রতিহিংসা থেকে বিরত থাকতে দলের নেতাকর্মীদের ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, যা ছিল তাঁর স্বভাবসুলভ বদান্যতা ও মহানুভবতা। তিনি ঐ সময় জনগণের মধ্যে ঐক্য ও দেশের প্রতি ভালবাসার কথা বলেন। আমরা তাঁকে কখনো কারো প্রতি কটাক্ষ বা মুখখিস্তি করে কথা বলতে শুনিনি। স্বৈরাচার নয়, শীলাচার ও সদাচার তাঁর ভূষণ, যা তিনি পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে পেয়েছেন।

    রাজনীতিতে নেমেই বেগম খালেদা জিয়া হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও অগণতান্ত্রিক রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং তাঁর অধীনে সকল প্রকার নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। নানাবিধ অপশাসন ও অপকর্মের জন্য এরশাদ ‘স্বৈরাচার’ খেতাব পেয়ে যান; ‘বিশ্ববেহায়া’ তাঁর অপর তকমা। স্বৈরশাসকের সঙ্গে কোনো আপোস চলে না। ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ
    নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করতে সক্ষম হন। তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে জয়ী হন ও সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর পদ আলংকৃত করেন। বেগম খালেদা জিয়া তাঁর নীতিতে অটল থেকে যেরূপ অনমনীয় মনোবল ও সাহসিকতার পরিচয় দেন, তার ফলে দেশবাসী তাঁকে ‘আপোসহীন দেশনেত্রী’ আখ্যায় ভূষিত করে। বর্তমানে দেশে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ উঠতে শুরু করেছে। এটা হবে জাতীয় সংসদের ১৩তম নির্বাচন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সরকারের এক বছর পূর্তিতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। উপরন্তু তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্রুত একটি ‘ইলেকশন অ্যাপ’ চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে জাতীয় নির্বাচন হবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন গত ১০ আগস্ট হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকা মতে, বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০। তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে ১২ দিন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আগামী ৩১ আগস্ট প্রকাশিত হবে। এবারের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় সর্বপ্রথম প্রবাসীরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগেই দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা প্রতীকসহ ব্যালট পেপার প্রবাসী ভোটারদের কাছে পাঠানো হবে বলে ইসি জানিয়েছে। এটা প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন। অর্থ বিভাগ নির্বাচন পরিচালনার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছে। সরকারের নির্বাচনের ঘোষণাকে দেশের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে।

    ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কাজকর্ম ইসি কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে। তবুও দলটির কাজকর্ম বন্ধ হয়নি। গোপনে চলছে। কলকাতায় অফিস খুলে দলের নিয়মিত কার্যক্রর্ম পরিচালনা করছে। তাতে ভারতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। দেশের অনেক মিডিয়াতেও বিষয়টি হাইলাইট হয়েছে। উপরন্তু দেশে আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীদের সাথে হাসিনা ও কিছু নেতা টেলিফোনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে এবং নানা অপতৎপরতা তথা নাশকতা চালানোর উসকানি দিচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসের ঘৃণ্যতম অপশাসন চালানোর পরও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ফ্যাসিবাদী মনোভাব এতটুকু কমেনি। এত হত্যা-নির্যাতনেও মোটেই তাদের অনুশোচনা নেই। আওয়ামী লীগের সব ধরনের অপকর্মে ভারতের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের সাথে ভারতপন্থী খ্যাত বামপন্থীরা এবং জাতীয় পার্টির সখ্য অটুট আছে। দ্বিতীয়ত ব্যবসা, মিডিয়া ও সামাজিক সংগঠনগুলোতে আওয়ামী লীগ ও তার ঘরানার শক্তি বেশি। এই অবস্থায় গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ তাদের পতনের দিন ঢাকার শাহবাগে কয়েক লাখ লোকের সমাবেশ ঘটিয়ে ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরিকল্পনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে তা ভেস্তে গেছে। কিন্তু তাদের সে পরিকল্পনা পরিত্যক্ত হয়নি। বলবত রয়েছে। তাই যে কোনো সময় সুযোগ পেলেই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে।

    বর্তমানে দেশে সর্বাধিক জনপ্রিয় দল বিএনপি। দলটির ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও সেভাবে সাংগঠনিক শক্তি গড়ে উঠেনি। মূল দলসহ সব অঙ্গ সংগঠন দুর্বল। তাই সমর্থকদের বেশিরভাগ ভাসমান, যাকে বলে আওয়ামী লীগ ঠেকাও সমর্থন। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রধান কারণ হচ্ছে, দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী ফুল টাইম রাজনীতিবিদ নন, পার্টটাইম রাজনীতিবিদ। অধিকাংশই ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। সরকারের সাবেক আমলার সংখ্যাও অনেক। নেতাদের বেশিরভাগ থাকেন ঢাকায়। জীবনযাপন করেন আলীশানভাবে। নিজস্ব কাজ শেষে দলে একটু সময় ও অর্থ দেন। নির্বাচন এলে মনোনয়ন পান, গণপ্রতিনিধি হন, ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রী হন। কিন্তু তাদের সাধারণ মানুষের সাথে সম্পর্ক খুব কম। দলে তাদের প্রধান কাজ নেতাদের মোসাহেবি করা। দলটির প্রচার মাধ্যমও তেমন নেই। যেটুকু আছে তা শক্তিশালী নয়। দেশের বেশিরভাগ ইসলামপন্থী দলেরও একই অবস্থা। দু’চারটি রাজনৈতিক দল ছাড়া বেশিরভাগ দলের স্থানীয় পর্যায়ে কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। অফিসও নেই। তাই স্থানীয় নির্বাচনে দু’চারটি আসনও পায় না। বিএনপি সর্বাধিক জনপ্রিয় দল হিসেবে নির্বাচনে এককভাবে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অবস্থানে রয়েছে।

    পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে, বিএনপির প্রতি ভোটারদের সমর্থনের হারও ততই বাড়বে। বিএনপিকে নিজের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। বিশেষ করে, প্রচারের দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, আধুনিক যুগে প্রচারণার গুরুত্ব অপরিসীম। মিথ্যা-প্রোপাগান্ডা তথা অপতথ্যকে প্রকৃত তথ্য দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

    ‘বিএনপির চেয়ারপারসন হিসাবে বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দলের এবং দেশবাসীর জন্য এক পরম ভরসা। তিনি অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, তাঁর জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত, ভাবমর্র্যাদা অবিতর্কিত। তিনি আছেন, যেন মাথার ওপর একজন অভিভাবক আছেন। আজ জনগণের কাছে একমাত্র তিনিই ‘আস্থার প্রতীক’। তিনি রাজনীতিবিদদের আলোকবর্তিকা।

    লেখক: মো. হায়দার আলী।।

  • বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকীতে চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির আ-লোচনা ও দো-য়া

    বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকীতে চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির আ-লোচনা ও দো-য়া

    বায়জিদ হোসেন, মোংলা।
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ১৫ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে উত্তর চাঁদপাই বাজারে আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ্ আলম শেখ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বাচ্চু’র সঞ্চলনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন পনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ রুস্তম আলী, বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন রনি ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, মধু বাদশাহ্, মোঃ সেলিম, লাভলু গোলদার, হাফিজুর রহমান, বুলবুল আহমেদ, আলামিন মোড়ল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মহসিন ফকির, ইশারাত হোসেন, যুবদল নেতা মোঃ শাহ আলম শিপন, নুর মোহাম্মদ, এমরান হোসেন, ফারুক গোলদার, ছাত্রদল নেতা শেখ সিফাতুল্লাহ শুভ, প্রমূখ।
    আলোচনায় সভায় বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব ও ত্যাগ দেশের মানুষের হৃদয়ে অম্লান হয়ে আছে। এ ছাড়াও বিএনপি’র ৩১ দফার আলোকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
    আলোচনা সভা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া পরিবারের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

  • শার্শার ব-ন্যা উপদ্রু-ত এলাকা পরি-দর্শনে মাওলানা আজিজুর রহমান

    শার্শার ব-ন্যা উপদ্রু-ত এলাকা পরি-দর্শনে মাওলানা আজিজুর রহমান

    আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া যশোর সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও যশোর৮৫/১ শার্শা আসনের জামাত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আজিজুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর ও দাউদখালী সীমান্ত অঞ্চলের বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেন।

    শুক্রবার সকাল ৯ টায় তিনি উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বন্যা উপদ্রুত দাউদখালী ও রুদ্রপুর গ্রামের পানিবন্দী শতাধিক পরিবারের খোঁজখবর নেন। ও তাদের বাড়িঘর
    পরিদর্শন করেন। এর আগে তিনি ভারতীয় ইছামতী নদীর পানি প্রবেশদার দাউদখালী খালমুখের কাটা বাঁধ পরিদর্শন করেন।

    এসময় জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল, ও কায়বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা রেজাউল করিম, শার্শা উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ফিরোজ আল মাহমুদ, শার্শা উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জামায়াতের কায়বা ইউনিয়ন আমির মাওলানা আমিরুল ইসলাম সহ দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
    শেষে তিনি ইছামতী নদীর পাড়ে দাউদখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

  • শেখ হাসিনা জনগণের বন্ধু হতে পা-রেনি – গণশ-ত্রু জনশ-ত্রুতে পরিণত হয়েছে :এ্যানি

    শেখ হাসিনা জনগণের বন্ধু হতে পা-রেনি – গণশ-ত্রু জনশ-ত্রুতে পরিণত হয়েছে :এ্যানি

    নাজিম উদ্দিন রানা, লক্ষ্মীপুর:
    বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন,স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে পারে নি। শেখ হাসিনা জনগণের বন্ধু হতে পারে নি,গণশত্রু এবং জনশত্রুতে পরিণত হয়েছে। ১৭ বছরে অত্যাচার-নির্যাতনের আন্দোলন সবশেষ জুলাই আন্দোলন ৫ আগস্টে গিয়ে শেষ হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর বর্বর যুগের অধ্যায় তৈরি করেছে। তারা যখন বলে চুড়ান্ত ক্ষমতা দরকার, গণতন্ত্রের অগ্রাধিকার নয় উন্নয়নের অগ্রাধিকার, কেন?-কারণ তখন দুর্নীতি করা যাবে। ফ্যাসিস্ট, তারা একটি কর্তৃত্ববাদী শাসক, একটি স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে আওয়ামী লীগ অরাজনৈতিক ফ্যাসিস্ট দলে পরিণত হয়েছে।

    শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পূর্ব চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়।

    শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আজকে ১৫ আগস্ট, তার (হাসিনা) বাবাকে (শেখ মুজিব) যারা হত্যা করেছে- সেই আলোচনার সুযোগ আজকে তারা পায়নি,পাচ্ছে না।কারণ মানুষের মনে তারা দাগ কাটতে পারেনি, মানুষের হৃদয়ের আওয়ামী লীগ ছিল না।

    তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহবায়ক হাসিবুর রহমান, জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শাহ মোঃ এমরান ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুন প্রমুখ।

  • থানচিতে বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন  থানচি বা-লিকা উচ্চ বিদ্যালয়

    থানচিতে বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন থানচি বা-লিকা উচ্চ বিদ্যালয়

    থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা।

    বান্দরবান থানচি উপজেলাতে বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি (বিএনকেএস) আয়োজনে, ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশ সহযোগীতায়, নারীদের জাগিয়ে তুলতে উপজেলা পর্যায়ে স্কুল ভিত্তিক বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় উপজেলার নবনির্মীত মিনি স্টেডিয়ামে থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বনাম থানচি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মধ্যকার ৩ দিনব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে স্কুল ভিত্তিক বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
    কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে
    উভয় পক্ষের খেলোয়াড়রা দারুনভাবে খেলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্ধারিত ৬০ মিনিট খেলার শেষে শক্ত প্রতিপক্ষ থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে ০-১ গোলে হারিয়ে থানচি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
    খেলার শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন, বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্ট পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-ফয়সাল।
    অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনকেএস এনজিও উপ পরিচালক উবানু মারমা, থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, থানচি প্রেসক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা অনুপম, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিন, বিএনকেএস এনজিও ফোকাল পার্সন ও প্যারামেডিক উবাথোয়াই মারমা ও সাংবাদিক বৃন্দ।
    এসময় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের উদ্দেশে ইউএনও বলেন, দুই দলের খেলোয়াড়রা দারুনভাবে খেলেছে। ছেলেদের পাশাপাশি বালিকাদের এগিয়ে আসার উচিত। বিএনকেএস এনজিও কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এভাবে নারীদের জাগিয়ে আসার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
    ইদানিং উদ্বোধন হওয়ার নতুন মিনি স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল খেলা উপভোগ করতে আসা শত শত সাধারণ দর্শক ও স্কুল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। খেলার পরিচালনায় দায়িত্ব পালনকারী রেফারি পরিষদে প্রধান রেফারি মংপ্রু মারমা, সহকারী রেফারি অনিল ত্রিপুরা, পলাশ মল্লিক ও উথোয়াইন শুয়ে মারমা দায়িত্ব পালন করেন।

  • আপ-সহীন নেত্রী কখনো দেশ ছেড়ে পা-লায়নি : ইঞ্জিনিয়ার সোবহান

    আপ-সহীন নেত্রী কখনো দেশ ছেড়ে পা-লায়নি : ইঞ্জিনিয়ার সোবহান

    কে এম সোয়েব জুয়েল,বরিশাল।।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান বলেছেন-দাম্ভিক হাসিনা জনরোষে পালিয়ে গেলেও, আওয়ামী শাসকদের শত নির্যাতনেও আপসহীন নেত্রী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনো দেশ ছেড়ে পালায়নি। নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেশের বাহিরে পালিয়ে যাবার কথা চিন্তাও করেননি।

    আবদুস সোবহান বলেন, হাসিনা অহংকার ও গর্ব করে দাম্ভিকতার সাথে বলেছিল-হাসিনা পালায় না। গতবছরের ৫ আগস্টের তিনদিন আগেও হাসিনা বলেছিল তিনি নাকি পালায় না। ঠিক তিনদিনের মাথায় বিমানে করে নিজের বোনকে নিয়ে দেশছেড়ে হাসিনা পালিয়ে গেছে।

    বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং তার সকল অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত দোয়া-মিলাদের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান আরও বলেছেন, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাসিত করার হাজারো চেষ্টা করা হয়েছে। জেল-জুলুম দিয়ে ধ্বংস করার চক্রান্ত করা হয়েছে, কিন্তু পারেনি। আপসহীন নেত্রী দেশ ছেড়ে পালায়নি। আমরা গর্ব করে বলতে পারি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ছেড়ে কখনো পালিয়ে যায়নি। যার ভালোবাসা এ দেশের মাটি ও মানুষ। তিনি তাদের ছাড়া আর কোথাও পালাবে না। এটাই দেশপ্রেম। এটাই জাতীয়তাবাদ।

    আবদুস সোবহান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশে ছিলেন বলেই ছাত্র-জনতার আন্দোলন সফল হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে ঝাপিয়ে পরে সফল হয়েছেন। তিনি (সোবহান) আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে তিনবার বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নির্বাচিত নারী সরকার প্রধান।

    বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশহিসেবে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বাদ আছর গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডস্থ জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে অনুষ্ঠিত দোয়া-মিলাদে অন্যান্যদের মধ্যে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল আউয়াল লোকমান, সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার সাদাত তোতা, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহে আলম ফকির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক আকন, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনির হাওলাদার, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হাওলাদার, জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম টিটন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম হীরাসহ বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আটোয়ারীতে বাড়ির পাশে এক পুকুরে দুই শিশুর মৃ-ত্যু 

    আটোয়ারীতে বাড়ির পাশে এক পুকুরে দুই শিশুর মৃ-ত্যু 

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে বাড়ির পাশে এক পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব সর্দারপাড়া গ্রামে। মৃত বৃষ্টি আক্তার (১১) ওই গ্রামের চইনুল আলমের মেয়ে এবং মৃত সাদিয়া আক্তার (১১) একই গ্রামের শাহিনুর ইসলামের মেয়ে। 

    শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) দুপুরে জুম্মার নামাজের পরে ওই ঘটনাটি ঘটে। 

    স্থানীয় ফইজুল ইসলাম জানান, জুম্মার নামাজের শেষের দিকে ৬/৭ জন বাচ্চা চইনুল আলমের বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে আসে। কিচ্ছুক্ষণ গোসল করার পর পুকুর থেকে উঠে আসতে চায়৷ সবাই উঠলেও তাঁরা দুজন পরিস্কার পানিতে আরেকবার ডুব দিতে যায়। ডুব দিতে গিয়ে দুজনেই পুকুরের গভীরে চলে যায়। সঙ্গে থাকা বাচ্চারা চিল্লাচিল্লি করলে বাড়ির আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। প্রথমে চইনুলের মেয়ে বৃষ্টিকে পাওয়া গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তার ১৫ মিনিট পরে আবার শাহিনুরের মেয়ে সাদিয়াকে পাওয়া যায়। তাকেও হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। 

    আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: অফিসার ডা. মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, ১৫ মিনিট পর পর শিশু দু’টিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা তাদেরকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বুঝতে পারি যে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁরা মারা যায়।

  • দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে মোল্লারহাটে দো-য়া ও আলোচনা সভা

    দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে মোল্লারহাটে দো-য়া ও আলোচনা সভা

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে নলছিটি মোল্লারহাট ইউনিয়নের মিলাদ দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    শুক্রবার ১৫ আগস্ট সন্ধা ৭ ঘটিকায় দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    মোল্লারহাট ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক শরীফের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মোল্লারহাট ইউনিয়ন বিএনপির সহ – সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন বাচ্চু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মোল্লারহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফিরোজ জোমাদ্দার আরো উপস্থিত ছিলেন মোল্লারহাট ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ খলিল সরদার সদস্য সচিব মোঃ সোহেল ভূইয়া আরো উপস্থিতি ছিলেন মোল্লারহাট ইউনিয়নের যুব দল নেতা মোঃ মনির জোমাদ্দার এবং মোল্লারহাট ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠন অনেকে উপস্থিতি ছিলেন

    সঞ্চালনায় ছিলেন মোল্লারহাট ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সাদ্দাম হোসেন

    আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়, দোয়া ও মোনাজাত করেন মোল্লারহাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন।