Blog

  • সীমান্তে নি-খোঁজে ৪ দিন পড়ে গু-লিবিদ্ধ  যুবকের ম-রদেহ উ-দ্ধার

    সীমান্তে নি-খোঁজে ৪ দিন পড়ে গু-লিবিদ্ধ যুবকের ম-রদেহ উ-দ্ধার

    মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি ;

    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় শুকানী সীমান্ত এলাকায় নদী থেকে মানিক হোসেন (৩৫) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷

    আজ শনিবার দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের সীমান্তের করতোয়া-সাও নদীর মিলনস্থল (দো মুখা) নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷

    জানা গেছে,শনিবার সকালে স্থানীয়রা বালু তুলতে গেলে সাও ও করতোয়া নদীর মিলিত স্থানে লাশ ভেসে আসতে দেখে।স্থানীয়সহ তার পরিবারের লোকজন কাছে গেলে লাশটি পরিচয় মিলে।পরে পুলিশ আসে লাশ উদ্ধার করে।

    সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইবুল হক জানান, মানিক চোরাচালানের সাথে জরিত ছিল।তবে মাঝে ভাল হয়ে পাথরের ব্যবসা করছিলেন।লোভ না ছাড়তে পারে বৃষ্টি হওয়ায় গত চারদিন আগে চোরাচালানে জরিতদের সাথে ভারতে যায়।ফিরে না আসায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বিজিপির কাছে মানিকের অবস্থান জানতে চাইলে উভয় পক্ষই কোন তথ্য দিতে পারেন নি।
    বিএসএফ আগেই গুলি করে হত্যার পর,লাশ কয়েকদিন রেখে শনিবার সকালে বাংলাদেশের নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
    জানা গেছে, মৃত মানিক হোসেন একই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার তবিবুর রহমানের ছেলে।
    গত চার দিন ধরে ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি৷

    মানিক বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে বলে পুলিশ জানালেও বিজিবি তা নিশ্চিত করেনি – কার গুলিতে মারা গেছে তা তদন্ত করছে বলে জানায় তারা।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানান, গত বুধবার রাতে ১৮-২০ জনের একটি দল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া শুকানী সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে গরু আনতে যায়৷

    এসময় গরু নিয়ে ফেরার সময় ভোররাত ওই দলকে বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া দিলে সবাই বাংলাদেশে ফিরে আসলেও মানিকসহ চার জন নিখোঁজ হয়৷

    এদিকে কয়েক দিন পর আজ শনিবার সকালে দেবনগড় ইউনিয়নের শুকানী সীমান্তের করতোয়া-সাও নদীর মিলনস্থল (দো মুখা) নদী এলাকায় তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।

    পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল গিয়ে পুলিশ, বিজিবি ও তার পরিবারকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মানিকের মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতল শেষে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তবে মরদেহের মাথায় গুলিরে চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে৷
    এদিকে আজ সকালে শুকানী সীমান্তে বিজিবি ও বিএসফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ৷

    এদিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত নজির হোসেন নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

  • ময়মনসিংহে বিভিন্ন সম-স্যা ও চল-মান উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনে ইউএনও’র পরিদ-র্শন,খুশি স্থানীয়রা

    ময়মনসিংহে বিভিন্ন সম-স্যা ও চল-মান উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনে ইউএনও’র পরিদ-র্শন,খুশি স্থানীয়রা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নাগরিকদের নানাবিধ সমস্যা এবং চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং চলমান অবস্থা নিয়মিত পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। উপজেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পরপরই উপজেলার খাগডহর, কুষ্টিয়া, অষ্টধার,বোররচর,পরানগঞ্জ, সিরতা সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাটের দুর্দশা,মানুষের সমস্যা এবং থেমে থাকা কাজ পরিদর্শনে নিয়মিত বের হন তিনি।এতে উপজেলা এলাকার লোকজনও বেশ ইতিবাচকভাবে তাকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং অন্যান্য ইউনিয়নের নাগরিকরাও তাকে ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান।

    নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে ১৬ আগস্ট শনিবার উপজেলার ৪নং পরানগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড হাসাদিয়াসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের গ্রামগঞ্জ এলাকার নদী ভাঙ্গন ও সড়ক ধ্বসে বিভিন্ন গ্রামের মানুষের চলাচল বিচ্ছিন্ন ও বসবাস সমস্যা হয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে যান তিনি এবং সরেজমিনে দেখে সাথে সাথে উপজেলার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের প্রায় দুইশতাধিক লোকের দূর্ভোগের কথা শুনে সেগুলো সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করেন।এসময় তার এই তাৎক্ষনিক পদক্ষেপে উচ্ছাস প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।এছাড়াও পরানগঞ্জ ইউনিয়নের হাসাদীয়া এলাকার চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের সচ্ছতা নিশ্চিত করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি।ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার স্থানীয়রা।

    উন্নয়ন প্রকল্প দেখতে যাওয়ায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পেয়ে অত্যন্ত আন্দন্দ প্রকাশ করেন এবং আশার কথা ব্যক্ত করেন।

    এসময় স্থানীয়রা বলেন,এরকম সচ্ছতা এর আগে থেকেই নিশ্চিত করা গেলে উপজেলার অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যেতো।তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।এবং তাকে কাছে পেয়ে অনেকেই তাদের নানাবিধ সমস্যার কথা ইউএনওর কাছে তুলে ধরেন এবং তিনি তা সমাধানের আস্বাস দেন।

    এসময় যেসকল উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো কাজই করা হয়নি সেগুলোতে যাতে বিল উত্তোলন করতে না পারে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেন।

    এব্যাপারে পরানগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুবেল আহমেদ তার ফেইসবুক আইডিতে ইউএনও’র প্রতি শুভকামনা জানিয়ে লিখেন-ইউনো স্যার আমার দেখা মতে সেরা একজন অফিসার উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নে নিজে উপস্থিত থেকে সশরিলে কাজ পরিদর্শন করেন এমন অফিসার থাকলে আমার মনে হয় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজ হবে এটা আমি একজন মেম্বার হিসাবে বললাম, কাজ ফাকি দেওয়া কোন সুযোগ নাই, এক কথাই কাজ হবে ধন্যবাদ স্যার আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।

    এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন,উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সমস্যা এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনে দেখা হচ্ছে।নাগরিকদের সমস্যা শুনে শুনে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানেরও চেষ্টা করছি।নাগরিকদের সেবায় উপজেলা প্রশাসনের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

  • তারাগঞ্জে আলোচিত মা-দক ব্যবসায়ী নূর হোসেন (বোয়াইল) যৌ-থ বাহিনীর হাতে আ-টক

    তারাগঞ্জে আলোচিত মা-দক ব্যবসায়ী নূর হোসেন (বোয়াইল) যৌ-থ বাহিনীর হাতে আ-টক

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বেলতলী মেডিকেল মোড় এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে ৬ পুড়িয়া হেরোইন সহ গ্রেফতার হয়েছেন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নুর হোসেন বোয়াইল (৫০)। আজ বিকেল ৪টায় তারাগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে তারাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। নুর হোসেনের বাড়ি উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের জিগারতল এলাকায়।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নুর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তার কাছ থেকে ৬ পুড়িয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়, যা মাদক-শাবিদের কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।

    তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এম এ ফারুক জানান, “নুর হোসেন এলাকার মাদক ব্যবসার একটি বড় মাথা। তার গ্রেফতারের মাধ্যমে মাদকের বিস্তার রোধে এক ধাপ এগিয়েছে । তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।”

    স্থানীয়রা জানান, নুর হোসেনের মাদক ব্যবসার কারণে এলাকার তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ মাদকাসক্তির দিকে ঝুঁকছিল। তার গ্রেফতারে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন। একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “এই ধরনের অভিযান আরও বাড়ানো দরকার। আমাদের তরুণদের বাঁচাতে হবে।”

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তারাগঞ্জ উপজেলায় মাদক নির্মূলের জন্য তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এলাকায় মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

  • রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবিতে চারঘাটে মতবি-নিময় সভা

    রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবিতে চারঘাটে মতবি-নিময় সভা

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    বড়াল ও চলন বিল রক্ষায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবিত বুড়ি পোতাজিয়া স্থান থেকে বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবিতে রাজশাহীর চারঘাটে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১ টায় চারঘাট উপজেলা শাখা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র আয়োজনে ফরহাত আলাউদ্দিন মডেল স্কুলের হলরুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বাপা চারঘাট উপজেলা শাখার সভাপতি কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চারঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সনি আজাদ।

    লিখিত বক্তব্যে বলেন, চলনবিল অঞ্চলের ৬ টি জেলা, ৪১ টি উপজেলা, ১০০০ বর্গ কিলোমিটারে মধ্যে ৪৭টি নদী ও ১৬৩ বিল, ৩০০ টিরও বেশি ক্যানেল, ১ লক্ষ ২০ হাজার পুকুর এবং বড় বড় বেশ কয়েকটি পাথার আছে।

    এ অঞ্চলে চলনবিলের সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি। এছাড়া ১০৫ প্রজাতির দেশীয় মাছ, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, সাত প্রকারের উভচর প্রাণী, ৩৪ প্রজাতির পাখি অসংখ্য প্রকারের জলজ উদ্ভিদ জলজ প্রাণী চলনবিল অঞ্চলে বসবাস করে। যারা এই অঞ্চলে পানি প্রবাহের উপরে জীবনধারণ ও জীবিকা নির্বাহ করেন।

    বুড়ি পোতাজিয়া এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হচ্ছে নদীর প্রবাহ মুখে। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হলে প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতায় বালি ভরাট করা হয় এই এলাকায়। ফলে চলনবিল অঞ্চল পানি প্রবাহে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

    এ অবস্থা চলতে থাকলে এবং উক্ত স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে চলনবিল অঞ্চলের ১ কোটি মানুষ পরিবেশগত ভাবে ব্যাপক হুমকির মধ্যে পড়বে।

    আরো বলা হয়, আমরা চলনবিলও চাই, আবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ও চাই। তাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান তারা।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব ও বাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান, পাবনা পরিবেশ কর্মী ডা: আতিক, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, চারঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী।

  • কোটালীপাড়ায় আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকের ওপ-র হা-মলা

    কোটালীপাড়ায় আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকের ওপ-র হা-মলা

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    আমার দেশ পত্রিকার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েলের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে যুবদল ও ছাাত্রদল নেতৃবৃন্দ।
    শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। আহত সাংবাদিক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েলকে প্রথমে কোটালীপাড়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেন। সন্ধ্যায় তিনি পেশাগত কাজে উপজেলা চত্ত্বরে যান। শিল্পকলার সামনে গেলে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নিলয় হাওলাদার মোস্তফা, যুবদল কর্মী বায়জিদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী অতর্কিত হামলা চালায়।

    এসময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ছলেমান শেখসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছিলেন।
    প্রতক্ষদর্শীসূত্রে জানাগেছে, কালের কন্ঠের সাংবাদিক মিজানুর রহমান বুলুসহ কয়েকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

    এ ঘটনায় কোটালীপাড়া উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক আবুল বাশার দাড়িয়া তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

  • রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কোটালীপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের শেষকৃ-ত্য স-ম্পন্ন

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কোটালীপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের শেষকৃ-ত্য স-ম্পন্ন

    কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

    আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসকে কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন এবং ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    এ সময় কোটালীপাড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, মধুসুধন বিশ্বাস (মন্টু), প্রভাত চন্দ্র রায়, নারায়ণ চন্দ্র বাগচী, নরেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, মোজাসের হোসেন ঠাকুর, শেখ আব্দুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ দাড়িয়া সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি নিজ বাড়ীতে হঠাৎ স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাকে দ্রুত কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    সদ্যপ্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাস কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভূতের বাড়ী গ্রামের প্রয়াত প্রিয় লাল বিশ্বাস ও মহারানী বিশ্বাসের ছেলে।
    ১৯৫৩ সালের ১০ জুলাই তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে তিনি এদেশের মানুষকে শত্রুর হাত থেকে ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেছেন। তার এই ত্যাগ অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গিয়েছেন।

  • কুমিল্লায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছা-ড়া  গ্রাম বাংলা থেকে হারি-য়ে যাচ্ছে হাডুডু, ফুটবল

    কুমিল্লায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছা-ড়া গ্রাম বাংলা থেকে হারি-য়ে যাচ্ছে হাডুডু, ফুটবল

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে ছেলেমেয়েরা হয়ে উঠেছে অনেকটা যান্ত্রিক। একসময়  হাডুডু, কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, ডাংগুলি, বৌ-বুড়িচি , কানামাছি ভৌ ভৌ,সাতার, নৌকা বাইচ খেলা গুলোতে মুখরিত ছিল গ্রামের মাঠ ও অলিগলি সহ বর্ষা মৌসুমে ভরা পানি নদীগুলোর মধ্যে, ছেলে, বুড়ো সকলের মন ছিলো ঐতিহ্যবাহী সে খেলায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা স্কুলের  বিরতিতে মাঠের মধ্যে এ গ্রামীন খেলাগুলো খেলত। স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফিরে উঠান ও খোলা মাঠে চলতো উপকরণ বিহীন এসব গ্রামীণ খেলা। প্রযুক্তির উন্নতির ছোঁয়ায় এখন  মোবাইল গেমের কারণে, বিকালবেলা মাঠে দেখা যায় না কাউকে। মোবাইল গেমস ও টিভি কার্টোনের কারণে গ্রামীণ খেলাধূলার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে না ছেলেমেয়েরা। তাই বিলুপ্ত হতে চলেছে গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এসব খেলা।

    বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য এসব গ্রামীণ খেলাধুলা তো করেই না, এমনকি এসব খেলাধুলার নাম জানে কিনা সেটি এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ এক সময় এ সমস্ত খেলাধুলাকে বাদ দিয়ে বাঙালি ঐতিহ্যের পূর্ণতাকে কল্পনাও করা যেত না। বর্তমানে এসব ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার প্রচলন না থাকায় গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে হাজার বছরের বাঙালী’র ঐতিহ্য। এমটি মনে হচ্ছে গতকাল বিকেলে বি পাড়ার গ্রামের ফুটবল মাঠের দৃশ্য দেখে।কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছাড়া তেমন সক্রিয় ভূমিকা কোন গ্রামে চোখে পরে না

    এক সময় কৃষকরা সারাদিন মাঠে কাজ করে ক্লান্তিবোধ করলেও পরন্ত বিকেলে সব বয়সের মানুষ খেলার মাঠে জড়ো হতো। মাঠে এসে করতালী আর শোরগোলে হাডুডু, কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট খেলা শুরু করতো। দলবদ্ধ এ সকল খেলা হারিয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ হারিয়ে যাওয়ার পথে। পড়াশোনার পাশাপাশি বিকেলে খোলা মাঠে দস্যিপনা চলতো শিশু-কিশোরদের। যুবরা দলবেঁধে খেলত হা-ডু-ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, কাবাডিসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা। এমনকি সেখানে স্থান পেত বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট, ফুটবলও। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে অতীতের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে। আর প্রজন্মকে ক্রমেই ঠেলে দিচ্ছে যান্ত্রিকতার দিকে। কেবল যান্ত্রিকতায় যদি সঙ্গী হতো তবুও মেধাবী এক ভবিষ্যতের প্রজন্মের পাওয়ার জোর সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু খেলাধুলার প্রতি অনাসক্তি কিশোর-যুবকদের ঠেলে দিচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদকতার দিকে। ফলে ভবিষ্যত বাংলাদেশ হচ্ছে মেধাশূন্য।

    এ বিষয়ে কথা হয় কুমিল্লা জজকোর্টের এডভোকেট আব্দুল আলীম খান এর সাথে তিনি বলেন, বর্তমানে গ্রামাঞ্চলেও খোলা জায়গা বা খেলার মাঠের স্বল্পতার কারণে অনেক গ্রামীণ খেলার বন্ধের পথে। ফলে বর্তমানে ভিডিও গেম, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন ইত্যাদি গ্রামীণ খেলাধুলার সে স্থান দখল করে নিয়েছে। ছেলেমেয়েরা একটু সময় পেলেই মেতে ওঠে এসব যান্ত্রিক জিনিস নিয়ে। ফলে ছেলেমেয়েরা হয়ে পড়েছে অলস ও খিটখিটে মেজাজের। যান্ত্রিক এসব টিভি বা মোবাইল স্কিন দেখতে দেখতে তৈরি হচ্ছে চোখের ভিবিন্ন প্রদাহ। শাররীক কসরতের এ সকল খেলা না খেলার কারণে ছেলেমেয়েদের শাররীক ও মানুষীক  বিকাশ সঠিক ভাবে তৈরি হচ্ছেনা, ফলে তৈরি হচ্ছে আগামী দিনের অলস এক জাতী। তাই আমাদের গ্রামীণ খেলার দিকে সকলের নজর দেওয়া জরুরি।

  • শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দুদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান

    শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দুদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান

    নিউজ ডেস্ক।।
    হিন্দুদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হিন্দুধর্মের একজন প্রধান দেবতা এবং বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তাঁকে স্বয়ং ভগবান হিসেবেও পূজা করা হয়। তিনি সুরক্ষা, করুণা, কোমলতা এবং প্রেমের দেবতা হিসেবে পরিচিত। হিন্দুরা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে তাঁর জন্মদিন পালন করে আর তার জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হিন্দুদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে হিন্দুদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানান। যা নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো।

    “শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আমি তাদের অব্যাহত কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করি।

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে জন্মাষ্টমী ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দুষ্টদের বধ করে এই পৃথিবীকে পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। আবহমানকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। উৎসব সার্বজনীন ও সম্প্রদায়গত বিভাজনকে সংযুক্ত করে মানুষকে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে। মানব সমাজকে এক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়। তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে এক অনন্য সংহতিবোধ। আনন্দরুপ বিনম্রতায় সমাজে সকলকে এক অভিন্ন আন্তরিকতায় আপ্লুত করে।

    সকল ধর্মের মর্মবাণী সম্প্রীতি, মানব কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ পাপিদের দুর করার জন্য অনেক মহৎ কাজ করেছেন, তাদের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি ইতিহাস বর্তমানে মানবসমাজের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। তিনি অন্যায়, অনাচার ও দুঃশাসনকে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে সদাচারী ও নিরপরাধ মানুষদের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বস্তি দান করেছিলেন। গণবিরোধী স্বৈরশক্তি দেশে দেশে মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ণের খড়গ নামিয়ে আনে। শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও কৃতকর্ম অনুসরণে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শিক্ষা থেকে অসহায় ও মজলুম মানুষ প্রেরণা লাভ করবে।

    ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বাংলাদেশের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশীরা কখনোই ঔদার্য, পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা হারায়নি। এখানে সকল ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সেই বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ।

    জন্মাষ্টমীর এই শুভদিনে আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলের প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

  • স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আ-লোচনায় মাহমুদ হোসেন

    স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আ-লোচনায় মাহমুদ হোসেন

    নেছারাবাদ পিরোজপুর প্রতিনিধি//

    পিরোজপুরে স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে ফেসবুকে ফটো কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পিরোজপুর-২ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রার্থী মো. মাহমুদ হোসেন। এ বিষয়ে তার দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

    ফটো কার্ডে তিনি লিখেন- স্বরুপকাঠি পৌর বিএনপি কাউন্সিল- ২০২৫ নব-নির্বাচিত সভাপতি কাজী কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ সিকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল কবিরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন- মাহমুদ হোসেন, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালি, নেছারাবাদ) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই ফটো কার্ডের নিচের অংশের বা পাশে নিজের ছবি সংরক্ষিত ছিল।

    স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, নবগঠিত কমিটি নিয়ে আগেই দলে নানা মতবিরোধ ছিল। এর মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক প্রার্থীর প্রকাশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দলীয় পরিমণ্ডলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ একে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক কৌশল বলেও মন্তব্য করছেন।

    মোহাম্মদ বশির আহমেদ নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডকৃত কমেন্টে লিখেন, “দলীয় ঐক্য ও সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এই নতুন কমিটি হবে অগ্রণী ভূমিকার বাহক। আমরা একসাথে কাজ করব গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সফলতা আনতে।”

    ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে সুজন বাহাদুর নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, একজন এমপি প্রার্থী ফটো কার্ডের নিচে নিজের ছবি লাগিয়ে নিজের অবস্থানকে ছোট করেছে। এটা নিছক ছেলেমানুষী ও নন পলিটিক্যাল নেতার পরিচয়। সবখানে দেখেছি নেতাদের ছবি ফটো কার্ডের উপরে থাকে এখানে দেখছি উল্টো। বাহ্!!

    মাসুদ পারভেজ নামে অন্য একজন ব্যক্তি কমেন্টে লিখেছেন, নবগঠিত স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির কাউন্সিলে বিজয়ীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ও মেসেঞ্জার গ্রুপে নিজের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা ফটোকাত করা ঠিক হয়নি। ভাই বিতর্ক হবার আগে পোস্ট ডিলিট করে দিন।

    এ বিষয়ে মাহমুদ হোসেন বলেন, “আমি দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ দেখতে চাই। যে-ই দায়িত্ব পাক না কেন, আমাদের মূল লক্ষ্য আওয়ামী সরকারের পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।”

    উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট বুধবার স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে কাজী মো. কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. মাইনুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাফিজ সিকদার ও রাসেল কবির নির্বাচিত হন। দলীয় রাজনীতিতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন স্বরূপকাঠী ও পিরোজপুরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি ।।

  • র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে ২৯৮০ পিচ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ ২ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে ২৯৮০ পিচ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ ২ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

    র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে সদর থানা এলাকা হতে ২৯৮০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় অদ্য ১৫ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ,সকাল ১০.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন মুলিবাড়ি সাকিনস্থ ঢাকা রাজশাহী হাইওয়ের মুলিবাড়ি ওভারপাসের নিচে পাকা রাস্তার মাঝের অংশে ভ্যানের উপর’’ একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৯৮০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তাদের সাথে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ১। মোঃ আকাশ শেখ (১৮), পিতা- মোঃ ওয়াজকরনি শেখ, সাং- ঠাকুর ঠেক বনবাড়িয়া আটখোলা, ২। মোঃ আসিফ হোসেন (১৯), পিতা- মোঃ শরিফ উদ্দিন, সাং- দিয়া ধন খরা ২ নং ওয়ার্ড সিরাজগঞ্জ পৌরসভা, উভয় থানা জেলা-সিরাজগঞ্জ সদর,।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রেখে পরস্পর যোগসাজশে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানা ও তার আশপাশ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের এর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদকমুক্ত, বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।