Blog

  • কুড়িগ্রামে অসু-স্থ মায়ের সেবা করায় স্বামীর বিরু-দ্ধে স্ত্রীর যৌ-তুক মা-মলা

    কুড়িগ্রামে অসু-স্থ মায়ের সেবা করায় স্বামীর বিরু-দ্ধে স্ত্রীর যৌ-তুক মা-মলা

    এম এস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধ:
    কুড়িগ্রামে অসুস্থ মায়ের সেবা করায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুক মামলা। পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল মা। আমাদের সমাজে বৃদ্ধ বাবা-মাকে রাস্তায় আর বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে রাখার নিষ্ঠুরতাও নিত্য শিরোনাম। এর বিপরীতে এ সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুড়িগ্রামের ভারায় অটো-চালক ও হতদরিদ্র মা পাগল সাইফুল ইসলাম।

    সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর খামার আন্ধারীঝার গ্রামের দিনমজুর আব্দুল লতিফ মন্ডল ও ছকিনা বেগমের একমাত্র সন্তান সাইফুল ইসলাম। পার্শ্ববর্তী রামখানার আজমাথা গ্রামের শামসুল আলমের কন্যা মিষ্টি খাতুন কে ২০১৬সালে বিয়ে করে এবং আড়াই বছরের কন্যা সন্তান সামিয়া কে নিয়ে সংসার ভালোই চলছিল। আড়াই বছর আগে সাইফুলের মা ছকিনা বেগম ডাইবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে শয্যাশায়ী। ছাইফুল তার মায়ের চিকিৎসায় আর্থিক ব্যয় করায় স্ত্রী মিষ্টি ও তার বাবা মা চিকিৎসা সেবায় বাধা সৃষ্টি করা সহ তাদের বাড়িতে ঘর জামাই থাকতে বলেন। উন্নত চিকিৎসার অভাবে সাইফুলের মায়ের ডান পায়ে পচন ধরে। মা পাগল সাইফুল ভারায় অটোরিকশা চালিয়ে মায়ের চিকিৎসা সেবা এবং সংসারের বোঝা টেনে আসছেন। সাইফুল তার শয্যাশায়ী মায়ের চিকিৎসার কারণে গত ১এপ্রিল ২০২৪সালে মিষ্টি তার স্বামীর বাড়ী থেকে বাবার বাড়িতে পালিয়ে যায়। আন্ধারীঝার এলাকার সামিউল হক খোকা মুহুরী, মিজু মাস্টার, বাদল হোসেন, আজাহারুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশি বৈঠকে মিষ্টি ও তার পরিবার জানায়, সাইফুলের শেষ সম্বল ৩শত বসতবাড়ি লিখে দেয়া সহ ঘরজামাই থাকতে হবে। অন্যথায় ঘর-সংসার সম্ভব না। সাইফুল জানায় তার শয্যাশায়ী মাকে বুকে আগলে রাখবেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুর আলম তার কন্যা মিষ্টি কে দিয়ে সাইফুল ও তার বাবা আব্দুল লতিফকে বিবাদী করে মনগড়া একটি যৌতুক মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

    স্থানীয় বাদল হোসেন, সাইফুর ইসলাম, আব্দুল আলিম বলেন, সাইফুল তার মায়ের সেবার কারণে স্ত্রী চলে যায়। কুড়িগ্রামে মিথ্যা যৌতুক মামলা করে হয়রানি করছে। ছোটকাল থেকে সাইফুল অনেক দুঃখ-কষ্টে মানুষ হয়েছে। যে পরিবারে বিয়ে করেছেন সে পরিবার অত্যন্ত লোভী।

    সাইফুল ইসলামের নানী সাহেরা বেগম আমার মেয়ের ডাইবেটিস রোগে পায়ে ঘা হয়েছে। আমার নাতি ভুরুঙ্গামারী থেকে রংপুর পর্যন্ত সাইফুল মায়ের চিকিৎসা করায় স্ত্রী মিষ্টি বেগম বলছে হয় মায়ের সংসার করো নয়তো আমার সংসার করো। সাইফুল ইসলামের বাবা আব্দুল লতিফ মন্ডল বলেন, আমার ছেলের বউ আমার স্ত্রীর সেবা করে না। বসতবাড়ি ৩শতক জমিও তার নামে লিখে চায়। মায়ের সেবা করার কারণে মিষ্টি বাদী হয়ে আদালতে আমার এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌতুক মামলা করে। সাইফুল ইসলামের মা ছকিনা বেগম এবং সাইফুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে ওদের বাড়ি যেতে বলে। আমার চিকিৎসা করতে না বলে আমি মরে যামু গা। আমার সেবার কারণে আমার সাইফুল এখন মিথ্যা যৌতুক মামলার আসামি। আমার মা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ডান পা পৌছে গেছে। মায়ের চিকিৎসা সেবার কারণে আমার স্ত্রী মিষ্টি বেগম তার বাবা মায়ের ও পরামর্শে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে আমার এবং আমার বাবার নামে মিথ্যা যৌতুক মামলা করে।

    মিষ্টি খাতুনের বাবা শামসুল আলম বলেন, আমার মেয়ে জামাই সাইফুল তার সব টাকা-পয়সা খরচ করে তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করছে। টাকা শেষ করলে আমার মেয়ে কি খাবে। সাইফুল তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করার জন্য আমার মেয়ে কে সংসার করতে দেবো না। তাই আদালতে যৌতুক মামলা করেছি। যেমনে পারি সাইফুলকে একটা শিক্ষা দেব।

    স্থানীয় প্রধান সামিউল হক খোকা মুহুরী, মিজু মাস্টার, আজাহারুল ইসলাম জানায়, ২/৩বার সংসার গড়তে সালিশ হয়েছে। মিষ্টি বেগম ও তার বাবা-মায়ের কথা অসুস্থ মাকে ফেলে দিয়ে ঘর জামাই হয়ে সাইফুলকে থাকতে হবে। সাইফুল তার মায়ের চিকিৎসা করার কারণে তারা মিথ্যা যৌতুক মামলায় আসামি হয়েছেন। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।

  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে গৌরনদীতে র‍্যালি , পোনা অব-মুক্ত ও আলোচনা স-ভা অনুষ্ঠিত

    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে গৌরনদীতে র‍্যালি , পোনা অব-মুক্ত ও আলোচনা স-ভা অনুষ্ঠিত

    ‎ গৌরনদী প্রতিনিধি
    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে সোমবার সকালে বর্ণাঢ্য র্যা লী, পোনা অবমুক্তকরণ ও আলোচনা সভা এবং সেরা মৎস্য চাষীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের পুকুরে দেশি প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্তের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়।
    ‎‎”অভয় আশ্রম গড়ে তুলি—দেশি মাছে দেশ ভরি” এই প্রতিপাদ্যে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে এক বর্ণাঢ্য র্যা লী বের করা হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মৎস্যচাষি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। ‎র্যা লী শেষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ দেবনাথ। ‎প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আরা মৌরি। ‎বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ । ‎আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে অভয়াশ্রম গঠন এবং প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ঠেকাতে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মৎস্য আইন বাস্তবায়ন ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা। ‎সভা শেষে মৎস্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গৌরনদী উপজেলার বেশ কয়েকজন সফল মৎস্যচাষিকে পুরস্কৃত করা হয়। ‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও বলেন “মৎস্য সম্পদ আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। অভয়াশ্রম গঠন, পোনা অবমুক্তকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। মৎস্যচাষিকে উৎসাহিত করতে এ ধরনের আয়োজন বড় ভূমিকা রাখবে।”‎সারা দেশে একযোগে পালিত হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫, যা চলবে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। এরই অংশ হিসেবে গৌরনদী উপজেলার এই কর্মসূচি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

  • মৎস্য চাষে বিশেষ অব-দানের জন্য বাগআঁচড়া জনতা ফিসকে সম্মা-ননা প্রদান

    মৎস্য চাষে বিশেষ অব-দানের জন্য বাগআঁচড়া জনতা ফিসকে সম্মা-ননা প্রদান

    আজিজুল ইসলাম,যশোরঃ যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে মৎস্য সপ্তাহ’র উদ্বোধন করা হয়েছে।  সোমবার সকাল ১০ টায় এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের করা হয়। পরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার কাজী নাজিব হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ বালা।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলী বিশ্বাস,  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বীপক কুমার সাহা ও প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা।

     

    অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষে বিশেষ অবদান রাখায় বাগআঁচড়া জনতা ফিস এর স্বত্বাধিকারী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলী বিশ্বাসকে সন্মাননা পদক প্রদান করে মৎস্য অধিদপ্তর।

    এসময় মৎস্য চাষী ও তরুন উদ্দোক্তা ইসরাফিল হোসেন, সোনাদীয়া বাওড়ের মৎস্য চাষী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভি-যানে চার ছিন-তাইকারীকে গ্রে-ফতার

    আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভি-যানে চার ছিন-তাইকারীকে গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখ: ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো— মিজানুর রহমান (৫২), সোহেল রানা (৩১), পিতা মোঃ সাজু মিয়া এবং মোঃ কাউছার উদ্দিন। সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।

    সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানান, রবিবার (১৭ আগস্ট ২০২৫) রাতে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে ধরা হয় তাদের। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “চারজন ছিনতাইকারীকে সেনাবাহিনী থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ সোমবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।

  • গোপালগঞ্জে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রথম ধা-প সম্পন্ন

    গোপালগঞ্জে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রথম ধা-প সম্পন্ন

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    ‘সেবার ব্রতে চাকরি” এ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ, জুন- ২০২৫ প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।

    রোববার (১৭ আগস্ট) গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে গোপালগঞ্জ জেলার বাছাইকৃত যোগ্য প্রার্থীদের ১ম দিনের ইভেন্ট ‘‘শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ” পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানের সার্বিক তত্বাবধায়নে নিয়োগ কমিটি ও নিয়োগ কাজে নিয়োজিত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ফোর্সগণ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে প্রথম দিনের নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ শেষে যোগ্য প্রার্থীদের কোনরকম দালালচক্রের সাথে আর্থিক লেনদেন না করার নির্দেশনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার, গোপালগঞ্জ।

    এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ, জুন- ২০২৫ এর সকল কার্যক্রমে নিয়োগ বোর্ডকে সহায়তা করার জন্য উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও উক্ত নিয়োগ কার্যক্রমে বোর্ডের সদস্য হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • গোপালগঞ্জ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মা-সিক সভা অনুষ্ঠিত

    গোপালগঞ্জ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মা-সিক সভা অনুষ্ঠিত

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ ‘স্বচ্ছতা’য় আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

    গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সালমা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল, গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাঈদ ফারুক, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যাপক ওহিদ আলম লস্কর, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সেখ বেনজীর আহমেদ, গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল, গোপালগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক, গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফয়েজ আহমেদ, গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদুল হক, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিল, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাঈন উদ্দিন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনিম আক্তার, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) মোঃ মাসুম বিল্লাহ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ, গোপালগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ সোহেল পারভেজ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এর উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল হুদা, জেলা কমান্ড্যান্ট (বিভিএমএস) মজিবুল হক,
    গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাদের সরদার, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নবী নেওয়াজ, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অঃ দাঃ) লাখসানা লাকী, জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ, গোপালগঞ্জ বিআরটিএ -এর মোটরযান পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন সহ জেলা উন্নয়ন কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

    জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    অংশগ্রহণকারীরা জেলার চলমান উন্নয়ন প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিসহ বিভিন্ন খাত নিয়ে আলোচনা করেন।

    কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, “উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই করতে হলে মাঠপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি প্রতিটি প্রকল্প যথাসময়ে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।” সভা শেষে জেলা প্রশাসক সকল অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানান এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই একটি উন্নত ও মানবিক গোপালগঞ্জ গড়ে তোলা সম্ভব।”
    সভায় জেলার প্রধান প্রধান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে সমাধানমূলক প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাছাড়া, শিক্ষা খাতে মানোন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, এবং জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো গড়ার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

  • নেছারাবাদের রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজের নবনির্বাচিত গ-ভর্নিংবডির পরিচিতি সভা ও অভিভাবক সমাবেশ

    নেছারাবাদের রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজের নবনির্বাচিত গ-ভর্নিংবডির পরিচিতি সভা ও অভিভাবক সমাবেশ

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজের নবনির্বাচিত গভর্নিং বডির পরিচিতি সভা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় কলেজের গভর্নিং বডির নতুন সদস্যদের পরিচিতি দেওয়া হয় এবং অভিভাবকদের সাথে শিক্ষার মান, কলেজের কার্যক্রম, ও বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

    রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে এ পরিচিতি সভা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত পরিচিতি সভা ও অভিভাবক সমাবেশে রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. ফকির শাহ্ নাসির উদ্দিন, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. নজরুল ইসলাম সহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী,রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা কলেজের উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সাফল্য এবং শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা এবং পরামর্শ শেয়ার করেন। অভিভাবকগণও তাদের সন্তানদের শিক্ষাগত উন্নতির জন্য সহযোগিতার প্রস্তাব জানান।

    রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজের গভর্নিংবডির নবনির্বাচিত সভাপতি মো. শাহ্ নাজিম উদ্দিন মুনান তার বক্তব্যে বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠান আমাদের জন্য একটি বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি নতুন গভর্নিং বডির সাথে পরিচিত হতে এবং অভিভাবকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ়তর করার জন্য। আমাদের কলেজটি শিক্ষার মান উন্নয়নে সব সময় চেষ্টা করে আসছে এবং আমি বিশ্বাস করি, নবগঠিত গভর্নিং বডি এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।”

    তিনি আরো বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের সম্ভাবনাকে উদ্বোধন করা এবং তাদের সৃজনশীলতা ও মননশীলতাকে সঠিক পথে পরিচালিত করা। অভিভাবকদের সহযোগিতা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনারা যারা সন্তানদের জন্য উন্নত শিক্ষার খোঁজ করেন, তারাই আমাদের পাশে থাকলে আমরা সফলতা অর্জন করতে পারব।”

    সভাপতি সকল অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা কলেজের কার্যক্রমে অংশ নেন এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সক্রিয় সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষা শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সেটা একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া যা পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে গঠন করে। আমরা সকলেই মিলেই চেষ্টা করলে রাজবাড়ী কলেজকে আরো উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারব।”

    অনুষ্ঠানের শেষে, নতুন গভর্নিং বডির সদস্যদের উৎসাহিত করে বলেন, “আমরা সবাই মিলে কাজ করব। রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজকে আরো দূরদর্শী, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।

  • নেছারাবাদে ডাকযোগে দুই জামায়াত নেতাকে  চিঠি পাঠিয়ে ভ-য়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাদা-বি

    নেছারাবাদে ডাকযোগে দুই জামায়াত নেতাকে চিঠি পাঠিয়ে ভ-য়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাদা-বি

    আনোয়ার হোসেন,
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা //

    নেছারাবাদে ডাকযোগে দুই জামায়াত নেতার নামে চিঠি পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি এবং রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    শনিবার ১৬ই আগষ্ট পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলার ০৮নং সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি এর সভাপতি আব্দুর রহমান ডাকযোগের মাধ্যমে একটি চিঠি প্রাপ্ত হয়।ঐ চিঠিতে আব্দুর রহমানকে জাময়েতে ইসলামীর রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করা হয়েছে এবং তার কাছ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। ঐ চিঠির খামের উপর প্রেরকের নাম ঠিকানা লেখা ছিলো, মোঃ কবির মিয়া, কামারকাঠী বাজার, নেছারাবাদ, পিরোজপুর, মোবাইল নম্বরটি উল্লেখ ছিলো।

    অপরদিকে গত ১৩ই আগষ্ট ০৮নং সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ওলামা বিভাগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলামকে জামায়েত ইসলামী রাজনীতি ছেড়ে দেয়া সহ ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে একটি চিঠি প্রাদান করে। উক্ত চিঠির খামের উপর প্রেরকের মোবাইল নম্বর সহ লেখা ছিলো মোঃ জাহিদ সিকদার, স্বরূপকাঠী পৌরসভা, নেছারাবাদ, পিরোজপুর।

    উক্ত চিঠি প্রাপ্তির পর তারা দুজনেই জামায়েতে ইসলামী বাংলাদেশ এর উর্ধতন নেতার পরামর্শে থানায় আইনগত সহায়তার জন্য অভিযোগ করেন। উক্ত চিঠিতে এমন কিছু উল্লেখ ছিলো যেমন, ৭১এর রাজাকার এই মুহুতে বাংলাছাড়,
    আঃ রহমান তুই বেশী ফাল পারিস না। মাষ্টারী এবং দোকানদারী করতে চাও করো, নেতা সাজিওনা, নেতা গিরি করতে চাইলে বিএনপিতে আসো। তোর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে দোকানদারি করতে চাইলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।এছাড়াও বিভিন্ন স্লোগান লেখা ছিলো জামাত শিবির রাজাকার এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়, আওয়ামীলীগ-বিএনপি ভাই ভাই, সমুদয়কাটির মাটি বি.এন.পির ঘাটি। ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে এভাবে ভয়ভীতি ও চাঁদা দাবির ঘটনায় সমুদয়কাঠি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    এ বিষয়ে সমূদয়কাঠী ইউনিয়ন ফোরাম প্রধান সমন্বয়ক ও মিরপুর ওয়ার্ড সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ারিং ফোরাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আসাদুল আলম বলেন, ৫ই আগষ্টের পর এধরণের ঘটনা দুঃখ জনক ঘটনা, আসলে আমরা বুঝতে পারতেছিনা করা এটি করেছে। চিঠিতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা ছিলো যেগুলো আপত্তিকর। আমরা সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছি। এবং বিষয়ে থানায় একটা অভিযোগ দিয়েছি।

    এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর স্বরূপকাঠি পৌর শাখার আমির মাওলানা জহিরুল ইসলাম বলেন,দিন দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপি বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে চাইছে আমরা যাতে মাঠ পর্যায়ে কর্মি তৈরি করতে না পারি, সভা সেমিনার
    করতে না পারি। এজন্য তারা ষড়যন্ত্র করতেছে এটাও হয়তো তার একটি অংশ এজন্য আমাদের থেমে থাকলে চলবে না। সুতারং এরকম উড়োচিঠিতে কান দিয়ে লাভ নাই বাংলার মাঠিতে ইসলামি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নাই।

    এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন জানান, আমারা দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, অলরেডি আমরা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • লালমনিরহাটে আনসার-ভিডিপি’র বৃক্ষরোপণ অভি-যান শুরু : পরিবেশ রক্ষা-য় বৃহৎ উদ্যোগ

    লালমনিরহাটে আনসার-ভিডিপি’র বৃক্ষরোপণ অভি-যান শুরু : পরিবেশ রক্ষা-য় বৃহৎ উদ্যোগ

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    পরিবেশ সংরক্ষণ ও সবুজায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে লালমনিরহাট জেলার সকল উপজেলায় একযোগে শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের সার্বিক দিক নির্দেশনাশ সারা দেশের আনসার ভিডিপি বাহিনীর চলমান বৃক্ষ রোপণ কমসূচির অংশ হিসাবে লালমনিরহাট জেলার সম্মানিত আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ সহিদুল ইসলাম এর ব্যবস্থপনা ও নেতৃত্বে ১৭ আগস্ট রবিবার লালমনিরহাট জেলা কাযালয়ে বৃক্ষ রোপণ কমসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সাথে জেলার পাঁচটি উপজেলা কার্যালয় ও উপজেলার বিভিন্ন আনসার- ভিডিপি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই বৃক্ষ রোপণ অভিযান শুরু হয়।লালমনিরহাট জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়, সদর উপজেলা, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার আনসার-ভিডিপি ক্লাব, সমিতি প্রাঙ্গণসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এলাকায় একযোগে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণের সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলার সম্মানিত জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ সহিদুল ইসলাম, সার্কেল এডজুটেন্ট মোঃ সাজিদুল ইসলাম, পাটগ্রাম উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ আরেফিন উদ্দিন, কালীগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিরোজনী রায়, উচমান সহকারী মোঃ কাশেম আলী, সদর উপজেলা প্রশিক্ষিক এবং জেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

    এছাড়াও, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত পৃথক পৃথক বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রমে স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা আনসার- ভিডিপি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষিকা, দলনেতা, দলনেত্রী, আনসার কমান্ডার এবং বিপুলসংখ্যক ভিডিপি সদস্যগণ অংশ গ্রহণ করেন। জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ সহিদুল ইসলাম, সবুজ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আনসার ভিডিপি সদস্য ও সাধারণ মানুষের বৃক্ষ রোপণ করা ও তার পরিচর্যা করার পরামর্শ দেন। মহাপরিচালক মহোদয়ের আহবানে দেশের সবুজ বিপ্লবে অংশ গ্রহণে সবাই কে এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের আহবান জানান। জেলা কমান্ড্যান্ট বলেন, দেশের পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে একটি উন্নত ও টেকসই বাংলাদেশ গড়তে আনসার ও ভিডিপি সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে।

  • কক্সবাজার জেলা আনসার বাহিনীর বৃক্ষ রোপণ অভিযান: বাস যোগ্য পৃথিবী গড়ার অ-ঙ্গিকার

    কক্সবাজার জেলা আনসার বাহিনীর বৃক্ষ রোপণ অভিযান: বাস যোগ্য পৃথিবী গড়ার অ-ঙ্গিকার

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয়ের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশে সংগঠন কর্তৃক বৃক্ষ রোপণ কমসূচির অংশ হিসাবে রবিবার ১৭ আগস্ট কক্সবাজার জেলায় ‘বাসযোগ্য পৃথিবী’ গড়ার প্রত্যয়ে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচিতে জেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয় চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় আনসার ভিডিপি’র বৃক্ষ রোপণ কমসূচি শুরু করা হয়। কর্মসূচিতে অর্জুন, নিম, মেহগনি, পেয়ারা, হরতকি, আমলকি ও গোলাপ জাম গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়। স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
    কক্সবাজার আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট আমিনুল ইসলাম, পিপিএম-পিভিএম, এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি নানা দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। তিনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব রয়েছে। তিনি সবাইকে নিজ বাড়ির আঙিনা বা ব্যক্তিগত জমিতে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আনসার ভিডিপি নিয়মিতভাবে এমন উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোস্তফা গাজী, উপজেলা প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষিকাবৃন্দ। এছাড়া, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ডের দলনেতা-দলনেত্রীসহ আনসার ও ভিডিপির বিভিন্ন স্তরের সদস্যরাও এতে অংশ নেন। সবার হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়া হয় এবং জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেগুলো রোপণ করা হয়।
    আনসার ভিডিপির এই ধরনের নিয়মিত উদ্যোগ স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শুধু বৃক্ষরোপণই নয়, বরং একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রতিফলিত হয়েছে।