Blog

  • সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন আলিকদম ইউনিয়ন দল

    সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন আলিকদম ইউনিয়ন দল

    থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা।

    বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলার ও ইউনিয়নের তরুণদের আরো একধাপ এগিয়ে নিতে আলীকদম উপজেলায় ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড এর অধীনস্থ ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট এর তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা- ২০২৫। বিভিন্ন ইউনিয়নের ফুটবল দলের মাঝে সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন দল নির্বাচনের আনন্দিত জনউল্লাসে আলীকদম উপজেলা আজ মুখরিত।

    ১৬ আগস্ট আলীকদম সেনানিবাসের সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ আতিকুল করিম,পিএসসি, অধিনায়ক, ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বের খেলা আরম্ভ হয়।

    আলীকদম উপজেলার মোট চারটি ইউনিয়নের ফুটবল দলের মাঝে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গত ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করার গৌরব অর্জন করে চৈক্ষাং ইউনিয়ন এবং আলীকদম সদর ইউনিয়ন।

    ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ আতিকুল করিম, অধিনায়ক, ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপ- অধিনায়ক, ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, অধ্যক্ষ আলীকদম ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ , উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি, আলীকদম থানা, আলীকদম উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ এবং ফাইনালে অংশগ্রহণকারী দলের কারবারিবৃন্দ।

    প্রধান অতিথি বলেন, এই আয়োজন শুধু একটি খেলার আয়োজন নয়, এটি বান্দরবান পার্বত্য জেলায় শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার এক অনন্য প্রয়াস। এই আয়োজন আলীকদম উপজেলার ইউনিয়ন গুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে
    যুব সমাজকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি মহৎ উদ্যোগ।

    তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দল তাদের সামর্থ্য, কৌশল ও খেলোয়াড় সুলভ আচরণের মাধ্যমে অনন্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছে। আমাদের সকলের দায়িত্ব প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করা, উৎসাহ দেয়া এবং উপযুক্ত সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে আরো ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। খেলাধুলো শুধুমাত্র একটি শারীরিক কসরত নয় বরং এটি তরুণদের মাঝে তৈরি করে ক্রীড়াশৈলী, নেতৃত্ব ও দেশ গঠনের উদ্দীপনা।

    ফাইনাল খেলায় ১-০ গোলে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে আলীকদম সদর ইউনিয়ন দল এবং রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে চৈক্ষাং ইউনিয়ন দল।
    প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন এবং রানার আপ দলের মাঝে ট্রফি তুলে দেয়া ছাড়াও শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক শ্রেষ্ঠ গোলদাতা এবং শ্রেষ্ঠ খেলোয়ার কে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করেন।

    শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হাওয়ার গৌরব অর্জন করায় আলীকদম সদর ইউনিয়ন দলের সোহেল বলেন, আজ সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হওয়ায় আমি অনেক আনন্দিত। আমরা সাধারণত এমন ফুটবল প্রতিযোগিতার সুযোগ পাইনা। আমাদের আশা, আমরা এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আরো এগিয়ে যাবো এবং একদিন দেশের জন্য জাতীয় দলে খেলব।

    সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলো দেখতে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে জন স্রোতের এক অনন্য সমারোহ হয়। নানান জনপদের আমাদের এই বান্দরবান জেলা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আরো সৌহার্দমন্ডিত এবং একত্রতায় ভরে উঠবে। গড়ে উঠবে উঠবে একটি শক্তিশালী ক্রীড়া সংস্কৃতি।

  • কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজের ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উ-দযাপন

    কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজের ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উ-দযাপন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ (সিবিএমসিবি)-এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে ছিলো-বর্ণাঢ্য র‍্যালী, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা, আতশবাজি, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও মেগা রেফেল ড্র। এতে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

    সোমবার(১৮ আগষ্ট) সকালে কলেজ প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিবিএমসিবি’র উদযাপন কমিটির আহবায়ক ডাঃ মামুনুর রশিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল মান্নান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- মাত্র ৩০ জন মিলে ৩১বছর আগে কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই সময় অনেকেই ভাবতেই পারেননি যে এটি এত দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা পেশা সত্যিকার অর্থে একটি মহৎ পেশা।

    ডাক্তার নাহিদা ইসলাম নিপা, ডাঃ আঞ্জুমান আরা ও ডাঃ সামসু রহমান সনির যৌথ সঞ্চালনায় এতে
    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-কলেজের অধ্যক্ষ এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডাঃ মাহফুজুর রহমান খান চৌধুরী, অধ্যাপক ডাঃ এম করিম খান, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোরশেদ আলম, অধ্যাপক ডাঃ মির্জা হামিদুল হক, অধ্যাপক মির্জা মনজুরুল হক, ডাঃ খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগোনেস্টিক ও নার্সেস এসোসিয়েশন ময়মনসিংহের সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। এছাড়াও কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন। এরআগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালী করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় উদযাপন কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ডাঃ ইমদাদুল হক শাকিল, অর্থ কমিটির আহবায়ক ডাঃ মোঃ তোফায়েল উদ্দিন আহমেদসহ সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।

    উল্লেখ্য-ময়মনসিংহ শহর থেকে ১০ কি.মি দূরে ১৯৯৫ সনে ১৩ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ‘‘কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ (সিবিএমসি)’’। ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষনের জন্য কলেজের সাথে তৈরী করা হয়েছে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ঠ একটি হাসপাতাল। ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশাল ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হোস্টেল। এছাড়াও রয়েছে লাইব্রেরী, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সুব্যবস্থা, কমন রম্নম এবং টিচার্স- স্টুডেন্ট্স ফোরাম। প্রতি সপ্তাহে ১টি করে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লিনিক্যাল শিক্ষার জন্য। এ পর্যমত্ম কলেজ থেকে ৪৪৮ জন এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করে বের হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ‘‘কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ’। এটি ১৯৯৫ সালে কমিউনিটি হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (Internship) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস. শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে।

    এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হচ্ছেন মরহুম মোফাখখারুল ইসলাম। বর্তমান এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান।

    সম্প্রতি এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর সাবিবর আহমেদের উদ্দ্যোগে হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষে সকল বিভাগে সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে।

  • কুড়িগ্রাম জেলায় মোবাইল কোর্ট অভি-যান

    কুড়িগ্রাম জেলায় মোবাইল কোর্ট অভি-যান

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

    কুড়িগ্রাম আদালতে ২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং কুড়িগ্রাম জেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

    বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর উদ্যোগে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার সময় বিএসটিআই আইন- ২০১৮ এর ১৫ ও ২১ ধারা লংঘনের কারণে নিম্ন বর্ণিত ০২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, কুড়িগ্রাম বরাবর মামলা দায়ের করা হয়।
    মামলা দায়েরকৃত প্রতিষ্ঠানগুলি হচ্ছে:
    ০১। মোঃ বেলাল হোসেন (২৮), মেসার্স বেলাল রোবো ফ্যাক্টরী, টাপুরচর, বুড়িরহাট, হলোখানা, সদর, কুড়িগ্রাম; পণ্য- ফার্মেন্টেড মিল্ক, মামলা নং- সিআর-৭৪৮/২৫ কুড়ি:
    ০২। মোঃ আলমগীর গাজী (৩৬), মেসার্স আতিফা ফুড প্রোডাক্টস, ধানের চাতাল, সিএন্ডবি ঘাট, সদর, কুড়িগ্রাম; পণ্য- আর্টিফিসিয়াল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস ও চিপস, মামলা নং- সিআর-৭৪৯/২৫ কুড়ি:

    একইসাথে ১৮.০৮.২০২৫খ্রি. তারিখে জেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম এবং বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর সমন্বয়ে সদর, কুড়িগ্রামে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
    উক্ত মোবাইল কোর্টে- মেসার্স মুকুল বেকারী, খলিলগঞ্জ, সদর, কুড়িগ্রাম প্রতিষ্ঠানকে বিস্কুট ও ব্রেড পণ্যের মোড়কজাত নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ব্যতীত উৎপাদন, বিক্রয়-বিতরণ করায় ” ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন,২০১৮” এর ২৪(১)/৪১ ধারায় ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
    মোবাইল কোর্টটি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুড়িগ্রাম এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর অফিসের কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ জামিনুর রহমান, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং মোঃ আহসান হাবীব, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।

    জনস্বার্থে বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুরের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • ৪৮ কিলোমিটার সড়কই বে-হাল দশা নির্মাণ প্রকল্পে ধী-রগতি

    ৪৮ কিলোমিটার সড়কই বে-হাল দশা নির্মাণ প্রকল্পে ধী-রগতি

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় প্রথম দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সালে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। এরপর আরো ছয় মাস মেয়াদ বাড়িয়ে সংশোধন প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এতে জমি অধিগ্রহণ ব্যয় তিন গুণ বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ৪৮ কিলোমিটার ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ২০২১ সালের। তবে গতকাল রবিবার (১৭ আগস্ট) পর্যন্ত একটি উপজেলারও ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করতে পারেনি ঝিনাইদহ ও যশোরের জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। অধিগ্রহণের তালিকাভুক্তদের নানা অভিযোগ ও আপত্তি উপেক্ষা করেই গত ৮ আগস্ট ভূমির দাম নির্ধারণ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীরা তা প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছে। গত ১০ আগস্ট সকালে জেলার কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে তারা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন থেকে জমির সঠিক মূল্য দাবিসহ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক টাকা দাবি, হয়রানি ও বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়।

    এ মহাসড়ক ধরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী যান বেনাপোল, দর্শনা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। খুলনার সঙ্গে রাজশাহীর যোগাযোগের একমাত্র সড়কপথও এটি। মহাসড়কটির যশোর অংশে ২০ কিলোমিটারজুড়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। ঝিনাইদহ অংশের ২৮ কিলোমিটারের অধিকাংশ স্থানেও পিচ উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব স্থানে ইটের সলিং দিয়ে কোনো রকমে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে রাখা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের মোট বরাদ্দের অর্ধেক জমিই অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে সরকার পরিবর্তনের কারণে সময়মতো কাজ শুরু করা যায়নি।

    এ ব্যাপারে প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। যার অর্ধেকই ছিল জমি অধিগ্রহণ ব্যয়। তবে সরকার পরিবর্তন হওয়ার কারণে আমরা সময়মতো কাজ শুরু করতে পারিনি। আবার জমিও ঠিকমতো অধিগ্রহণ করা যায়নি। এ কারণে প্রকল্পটি পুনর্মূল্যায়ন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কেননা নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়ে যাবে। সেখান থেকে সাড়া পেলে সড়কটির কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করা হবে।’ সওজ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উইকেয়ার প্রকল্পের আওতায় ছয় লেন প্রকল্পে সড়কটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ থেকে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প উইকেয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বছর বর্ষায় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এখন মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ঢালাই শুরু হয়েছে। সড়কটি এখন প্রকল্পের আওতায় চলে গেছে। এখানে আমাদের পক্ষ থেকে নতুন করে কিছু করার নেই।’

    সরজমিন দেখা গেছে, যশোরের পালবাড়ি থেকে চুড়ামনকাটি পর্যন্ত আট কিলোমিটার পুরোটাই ভাঙ্গ। ঝিনাইদহের অংশে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান ভেঙ্গে গেছে। বিষয়খালী এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে ইটের সলিং দেয়া রয়েছে। বাকি সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। স্থানীয়রা বলছেন, এক বছর সড়কটির এ অবস্থা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু স্থানে ইট বিছিয়ে দিয়েছে। তবুও চলাচলের উপযোগী হচ্ছে না। বড় গাড়িগুলো সড়কে চলাচল করলেও গর্তে পড়ে মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে। পালবাড়ি থেকে চুড়ামনকাটি পর্যন্ত সড়কের একাধিক স্থানে ইট বিছানো হয়। কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয় না।

    এ ব্যাপারে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উইকেয়ার ফেজ-১-এর উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ নিলন আলী বলেন, ‘পানির সংস্পর্শে এলে বিটুমিনাস সারফেস (বিটুমিন বা অ্যাসফল্ট দিয়ে তৈরি রাস্তার পৃষ্ঠ) নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে বর্ষায় রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। যেখানে বেশি সমস্যা ছিল, সেখানে ইট বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন বৃষ্টি কমছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার সংস্কারকাজ শুরু হবে। তাছাড়া রাস্তার পাশের জমি এখনো অধিগ্রহণ শেষ হয়নি। ছয় লেন সড়কের জন্য আমরা এখনো জমি পুরোপুরি বুঝে পাইনি। এজন্য কাজে ধীরগতি রয়েছে।’

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • সুজানগর বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফের ব-হিষ্কারাদেশ প্র-ত্যাহারের দাবিতে বিশাল গ-ণমিছিল

    সুজানগর বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফের ব-হিষ্কারাদেশ প্র-ত্যাহারের দাবিতে বিশাল গ-ণমিছিল

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে সুজানগরে বিশাল গণ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে সর্বস্তরের অসংখ্য নারী-পুরুষ ও দলীয় নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বের হওয়া গণমিছিলটি স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্সিণ করে পোড়াডাঙ্গা বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় গণমিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের হাতে শেখ আব্দুর রউফ ভাইয়ের বহিষ্কার নয়, স্বীকৃতি চাই’, ‘আমরা রউফ ভাইয়ের পাশে, সত্যের পাশে’, ‘রউফ ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘রউফ ভাই দলের পরীক্ষিত নেতা, তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই’এমন লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।
    পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শফিউল্লাহ মণি, খন্দকার গোলাম আযম, গোলাম মোর্তজা, ইয়াকুব আলী, হাবিবুর রহমান হাবিব,মাহমুদুর রহমান,কামরুল ইসলাম, মজিবর ,আলাউদ্দিন আলাল,আবুল কালাম, সাফা,আলী আকবর ,মণিরুজ্জামান মান্নান, আব্দুল মালেক,মুক্তার শেখ,শরিফুল ইসলাম,তোরাপ আলী, আব্দুল মজিদ মন্ডল, আব্দুর রাজ্জাক রাজা , এস এম রাজা,মানিক,আসলাম সরদার,আলামিন শেখ ও পিকে সাব্বির প্রমুখ ।
    সমাবেশে নেতাকর্মীরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় কমিটিকে ভুল বুঝিয়ে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত এবং জনপ্রিয় নেতা সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখআব্দুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা বলেন, শেখ আব্দুর রউফ আন্দোলন-সংগ্রামে বহুবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন এবং কারাবরণ করেছেন। তিনি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে দলের দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নেতাকর্মীরা তার বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং এ দাবি না মানা হলে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
    এ সময় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো নেতৃত্বকে মুছে ফেলা যায় না। বিএনপি নেতা শেখ আব্দুর রউফ রাজপথের লড়াকু সৈনিক, দুঃসময়ের পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী নেতা, শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত নিবেদিতপ্রাণ একজন জননেতা। শেখ আব্দুর রউফ তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে তাঁতীবন্দ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য,১৯৯০ সালে সুজানগর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও এরপর উপজেলা ছাত্রদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে উপজেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যতম সদস্য, ১৯৯৬ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে একই বছরের মে মাসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৫৭ মাস কারাগারে বন্দি থাকেন। এরপর ২০০৫ সালে উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২০০৯ সালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক এবং পরে সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১১ সালে পূণরায় বিপুল ভোটে তাঁতীবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২০১২ সালে জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য, ২০১৬ সালে সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে শেখ আব্দুর রউফ সফলতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রাখলে দলটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। তাই তারা বিএনপি’র মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে পুনর্বিবেচনা করে শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার বিনীত অনুরোধ জানান।
    প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই সুজানগর পৌর শহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অপর পক্ষের লোকজন শেখ আব্দুর রউফকে কুপিয়ে জখম করে। এরপরদিন আবার শেখ আব্দুর রউফকেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কার করা হয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর পাবনা

  • বানারীপাড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উৎযা-পন

    বানারীপাড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উৎযা-পন

    “অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় বরিশালের বানারীপাড়ায় শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫।
    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষ্যে বানারীপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে সোমবার (১৮ আগষ্ট) উপজেলা পরিষদ চত্বরে সকাল ১১টায় র‍্যালি,উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বায়জিদুর রহমান।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন রজনী’র সভাপতিত্ব আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল ইসলাম,থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তফার প্রতিনিধি,উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন, উপজেলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান পলাশ, ছাত্রনেতা মোঃ সাব্বির হোসেন,সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম সাগরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্থানীয় জেলেরা।

    সভায় বক্তারা দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্যসম্পদ রক্ষা, অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বায়জিদুর রহমান বলেন“মৎস্যসম্পদ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষা করতে হবে। অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশীয় মাছের স্বাদ পায়। একইসাথে সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করতে হবে।”

    সভার শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা শেষে দেশীয় মাছ অবমুক্ত করা হয় এবং জেলেদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ ও আনন্দদানে খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।

  • তানোরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আ-লোচনা সভা

    তানোরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আ-লোচনা সভা

    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর তানোরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ আগস্ট সোমবার সকালে র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক লিয়াকাত সালমান।
    উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বার্নাবাস হাসদা, কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ, উপজেলা প্রকৌশলী নুরনাহার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মলিউজ্জামান সজীব, সহকারী প্রোগ্রামার জাহাঙ্গীর আলম, ইউডিএফ (ইউজিডিপি) স্থানীয় সরকার বিভাগ মফিজুল ইসলাম মুন্নাপ্রমুখ।
    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও লিয়াকাত সালমান বলেন, মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হলে শুধু সরকার নয়, জনগণকেও সচেতন হতে হবে। প্রকৃতি ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
    আলোচনা শেষে তানোর উপজেলার মৎস্য চাষে বিশেষ অবদান রাখায় মৃদুল হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও সহিদুল ইসলাম নামে তিন সফল মৎস্যচাষীকে এবং নারীর আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে অবদান হিসেবে এফএইচ এসোসিয়েশন তানোর এরিয়া প্রোগ্রাম কার্যালয়কে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের পুকুরে দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।#

  • চারঘাটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ-যাপন

    চারঘাটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ-যাপন

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    “অভায়শ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ গড়ি”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর চারঘাটেও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫
    (১৮-২৪ আগস্ট) উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালী, মাছে পোনা অবমুক্তকরণ, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯ টায় উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালী বের হয়ে চারঘাটের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এর পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সরওয়ারদ্দিন এর সঞ্চালনা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা সরকার এনায়েত কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ লতিফ, নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, চারঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, দৈনিক সমকালের চারঘাট প্রতিনিধি সনি আজাদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও স্থানীয় মাছ চাষিরা।

    সবশেষে, উপজেলার সফল মৎস্য চাষিদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।

    মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী ।।

  • পঞ্চগড়ে সেনা অভি-যানে ১২ জু-য়াড়ি আ-টক

    পঞ্চগড়ে সেনা অভি-যানে ১২ জু-য়াড়ি আ-টক

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের পৌর এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ১২ জুয়াড়িকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ও ১৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। রবিবার রাতে পৌরসভার ডোকরো পাড়া এলাকায় অভিযানের নেতৃত্বে দেন পঞ্চগড় সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর আদনান মোরশেদ আল হক। পরে আটক জুয়ারিদের সদর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

    সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

    অভিযান সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় পৌরসভার ডোকরো পাড়া এলাকায় বাস, মিনি বাস, কোচ, মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের বাসায় জুয়ার ব্যবসা চলছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় দুই লাখ ১৩ হাজার ৭৯০ টাকা, নয়টি বাটন ফোন ও চারটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়। 

    মামুন নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে জুয়ার আসর প্রতিদিন বাসায় চালাতেন বলে জানা গেছে।

  • হাটহাজারী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের বর্ষপূর্তি : গুণীজন সংবর্ধনা স-ম্পন্ন

    হাটহাজারী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের বর্ষপূর্তি : গুণীজন সংবর্ধনা স-ম্পন্ন

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    সাংবাদিকতা কোনো সহজ পেশা নয়, বরং এটি এক চ্যালেঞ্জময় পথচলা। সত্য সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের নানান বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়। তবু বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ছাড়া সমাজের প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে না। হাটহাজারী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

    হাটহাজারী পৌরসভার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি উদযাপন হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আসলাম পারভেজ। প্রধান অতিথি ছিলেন রুরাল জার্নালিস্ট
    ফাউন্ডেশন( আরজেএফ)”এর চেয়ারম্যান ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এস এম জহিরুল ইসলাম।

    অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মোঃ বোরহান উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু নোমান ও দপ্তর সম্পাদক এইচ এম এরশাদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মুমিন, দৈনিক নয়া বাংলার সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, হাটহাজারী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন, বর্তমান সিনিয়র সহ সভাপতি শিমুল মহাজন, চবি সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. শিপক নাথসহ বিশিষ্টজনেরা।

    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল দিদারুল আলম (অবঃ), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, জামায়াতের পৌর আমীর মাস্টার মাহমুদুল করিম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনির, গণ অধিকার পরিষদের উপজেলা সভাপতি মোঃ শোয়েব প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। পরে অতিথিরা কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন এবং ‘ঐক্য’ নামে একটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

    সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজ, কৃষি ও মানবসেবাসহ ১৭টি ক্যাটাগরিতে গুণীজন সংবর্ধনা। এ ছাড়া হাটহাজারীর দশজন সাংবাদিককে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে নবতরুণ ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

    বক্তারা বলেন, হাটহাজারী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ শুধু সংবাদ পরিবেশনেই নয়, সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে—যা প্রশংসনীয়। যে কোনো প্রয়োজনে এই সংগঠনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অতিথিরা।

    শেষে অতিথিরা রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন( আরজেএফ) সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের উত্তরীয় ও ক্রেস্ট পরিয়ে সম্মানিত করেন।