Blog

  • আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর যৌ-থ অভি-যানে পৃথক স্থান থেকে দুই ভু-য়া ডিবিসহ ৪ জন গ্রে-ফতার

    আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর যৌ-থ অভি-যানে পৃথক স্থান থেকে দুই ভু-য়া ডিবিসহ ৪ জন গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে পৃথক স্থান থেকে দুই ভুয়া ডিবি পুলিশ ও নকল সিগারেট বিক্রেতা দুইজনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার।

    বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫ইং) তারিখ সকালে ঘোষবাগ, আশুলিয়া এলাকায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের নিয়মিত টহলের সময় টহল দলের কাছে আহত এক সিএনজি চালক সেনাবাহিনীর কাছে সহায়তা চান। ভুক্তভোগী জানান, চারজন ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার সিএনজি ছিনতাই করেছে এবং তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে।

    এ ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ টহল দল অভিযানে নামেন। স্থানীয় সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৩ ঘণ্টার অনুসন্ধানে ছিনতাই হওয়া সিএনজিটি ভাদাইলের একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া সিএনজি, ছিনতাই কাজে ব্যবহার করা সরঞ্জামসহ প্রায় ২০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। সেই সাথে আশুলিয়ার বাইপাইলে নকল সিগারেটসহ সাইফুল ও মেহেদী নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সিএনজি ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
    ঝালকাঠির নলছিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।

    বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিটি নলছিটি পৌরসভা মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয় ।

    কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক  জেড আই কামাল, ও আইন বিষয়ক সহ  সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন। 
    ঝালকাঠি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এডভোকেট মুশফিকুর রহমান  বাবু তালুকদার, সহ সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমাম। 

    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ তহিদুল আলম মান্না  নেতৃত্বে র‍্যালি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা  স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব  মোঃ সাইদুল কবির রানা.।

    পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সুমন সদস্য সচিব সোহেল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

    এ সময় নলছিটি উপজেলাযর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মী  মিছিল নিয়ে রেলিতে অংশ নেয় ।

  • ময়মনসিংহ সদরে লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১১ ইউনিয়নে ডিলার নি-য়োগ সম্পন্ন

    ময়মনসিংহ সদরে লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১১ ইউনিয়নে ডিলার নি-য়োগ সম্পন্ন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের লক্ষ্যে কোনো ধরনের তদবির বা ঘুষ-বাণিজ্য ছাড়াই উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ দিয়েছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসন।

    বুধবার (২০আগস্ট ) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ ব্রহ্মপুত্র হলরুমে এই উন্মুক্ত লটারি হয়।এর আগে মঙ্গলবার (১৯আগস্ট) উপজেলার তিন ইউনিয়ন ও আজ বুধবার বাকী আট ইউনিয়নে লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।ডিলারশিপপ্রত্যাশীদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

    জানা গেছে, এবার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৫৫টি বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য ডিলারশিপ পেতে মোট ২৪১ জন প্রার্থীরা আবেদন করেছিলেন। তবে আবেদনকারীদের পক্ষে বিভিন্ন দলের নেতাদের তদবিরের কারণে জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন ইউএনও। পরে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে মোট ৫৫ জন ডিলার চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইউএনওর এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।

    ডিলারশিপপ্রত্যাশীরা বলেন, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায় যেকোনো ধরনের সরকারি ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলেই তদবির করে থাকেন ক্ষমতাসীনরা। আবার অনেক সময় লেনদেনও হয়। তবে এবার যেভাবে ডিলার নিয়োগ দিয়েছে, তাতে কোনো বিতর্ক নেই।

    ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘অনেক সময় ডিলার নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের কথা ওঠে। তাই ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, নির্বাচিত ডিলাররা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির সুফল সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেবেন।’

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা তামান্না হোরায়রা,উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাকসুদা খাতুন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভাবখালী ইউনিয়নের প্রশাসক আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস,
    পরিসংখ্যান অফিসার মেহেদী হাসান, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুুল্লাহ মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার, কোতোয়ালী বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক হেলাল আহমেদ,বিএনপি নেতা ও বোরর চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম বুলবুল,সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক গণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।

    উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত লটারি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম জানান-
    ১১টি ইউনিয়নের জন্য মোট ২৪১টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ১০৯টি আবেদন অযোগ্য বিধায় বাতিল করা হয় এবং ১৩২টি আবেদন চূড়ান্ত বাছাইয়ে যোগ্য উত্তীর্ণ হয়। এতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৫৫জন আবেদনকারীকে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ডিলার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট লটারি কার্যক্রম শুরু হলে সময় স্বল্পতার কারণে উদ্বোধনী দিনে ৩ ইউনিয়নে লটারী সম্পন্ন করে বাকী ৮ ইউনিয়নের লটারী কার্যক্রম আজ (বুধবার) সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম। তিনি আরো জানান-
    ডিলার নিয়োগের প্রক্রিয়াকে যেন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারেন সেলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রকাশ্যে এই লটারী পদ্ধতিতে ডিলার নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

    ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষে ১০ নং দাপুনিয়া ইউনিয়নের এক ডিলার বলেন উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে সুযোগ পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স আরো বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সরকার ঘোষিত একটি কল্যাণমূলক উদ্যোগ। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম বা পক্ষপাতের সুযোগ নেই। লটারির মাধ্যমে আজকের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় সবাই সমান সুযোগ পেয়েছেন।”

  • বীরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পা-লিত হয়েছে

    বীরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পা-লিত হয়েছে

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী রেলী ও পথসভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

    বীরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ২০ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরাতন শহীদ মিনার চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ আশরাফুউদ্দৌলা খান বাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু।

    সদস্য সচিব কামরুল হাসানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আমিরুল বাহার, বিএনপি নেতা সুভাষ দাস, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত জুলিয়াস জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম তাজু, উপজেলা যুবদল সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ চৌধুরী, জেলা কৃষক দল সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লাইসুর রহমান লিপু প্রমুখ।

    এ সময় বীরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি সহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • সাংবাদিকতায় সত্য প্রকাশে ঝুঁ-কি থাকবেই

    সাংবাদিকতায় সত্য প্রকাশে ঝুঁ-কি থাকবেই

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির

    সাংবাদিকতার মূল আত্মা হলো সত্য। একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র, কিংবা একটি জাতির বিবেক হিসেবে সাংবাদিকের দায়িত্ব থাকে সত্যকে খুঁজে বের করা, প্রকাশ করা এবং মানুষকে সচেতন করা। কিন্তু এ পথ কখনোই সহজ নয়। বরং সত্য প্রকাশের এই সাহসিক অভিযানে একজন সাংবাদিককে বহু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয়—কখনো রাজনৈতিক চাপে, কখনো কর্পোরেট প্রভাবে, কখনো আবার জীবননাশের হুমকিতে।

    সত্য প্রকাশের পথে সাংবাদিকের মুখোমুখি ঝুঁকিগুলো কী?

    ১. রাজনৈতিক চাপ ও হুমকি

    রাজনীতির আঙিনায় সত্য বলার মানে অনেক সময়ই ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। অনেক সাংবাদিককে শুধুমাত্র একটি রিপোর্টের জন্য হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, গ্রেপ্তার হতে হয়েছে, এমনকি প্রাণ হারাতেও হয়েছে। কোনো দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা স্বৈরাচারী আচরণের খবর প্রকাশ করলেই ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ তকমা সেঁটে দেওয়া হয়।

    ২. আর্থিক ও কর্পোরেট প্রভাব

    মিডিয়া অনেক জায়গায় কর্পোরেট স্বার্থে পরিচালিত হয়। স্পন্সরশিপ বা বিজ্ঞাপন হারানোর ভয়ে অনেক সত্যিই চাপা পড়ে যায়। সাংবাদিক যদি কর্পোরেট দুর্নীতি বা অন্যায় কার্যকলাপ প্রকাশ করতে চায়, তখন সেই সাংবাদিকের চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়, এমনকি চুপ থাকতে ‘অফার’ও দেওয়া হয়।

    ৩. সামাজিক ও মানসিক চাপ

    সাংবাদিকদের অনেক সময় পরিবার, সমাজ বা নিজেদের নৈতিক সংকটের মধ্যেও পড়তে হয়। যদি তাদের প্রকাশিত কোনো সংবাদ কারও ক্ষতি করে, এমনকি সেটা সত্য হলেও, তখন সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, কারণ সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো মানে প্রায়শই একা হয়ে যাওয়া।

    ৪. ডিজিটাল নজরদারি ও সাইবার হুমকি

    বর্তমানে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি চলছে ডিজিটাল মাধ্যমেও। তাদের মেইল, ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করা হয়। আবার অনেক সাংবাদিক অনলাইনে ট্রল, হয়রানি বা হ্যাকিংয়ের শিকার হন। বিশেষ করে যারা মানবাধিকার, পরিবেশ, দুর্নীতি ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে কাজ করেন, তারা অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

    তবে কেন এখনও সাংবাদিকেরা সত্য বলেন?

    কারণ, সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়—এটা দায়িত্ব, এটা নৈতিকতা। সাংবাদিকদের কলম বা ক্যামেরা অনেক সময়ই নিপীড়িত মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে। সত্য প্রকাশ না করলে সমাজে অন্যায় ও দুর্নীতি বাড়তেই থাকবে। ইতিহাসের প্রতিটি বড় পরিবর্তনের পেছনে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকাই এক বড় চালিকাশক্তি ছিল।

    করণীয় কী?

    আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা: সাংবাদিকদের জন্য স্বাধীন ও সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

    সংবেদনশীলতা ও কৌশলের ব্যবহার: সত্য প্রকাশে দায়িত্বশীলতা ও তথ্য যাচাই অপরিহার্য।

    প্রশিক্ষণ ও সমর্থন: নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও নৈতিক সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন।

    আন্তর্জাতিক সহায়তা: আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উচিত সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আরও সক্রিয় হওয়া।

    উপসংহার

    সাংবাদিকতায় সত্য প্রকাশের ঝুঁকি বরাবরই ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু এই ঝুঁকি নিয়েই তো সমাজ জেগে ওঠে, পরিবর্তন ঘটে। যারা সত্যকে ভয় পায়, তারা চায় না সাংবাদিকতা বাঁচুক। আর যারা সত্যে বিশ্বাস করে, তারা জানে—সত্যই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে।

    সাংবাদিকতা যদি নিঃশ্বাস হয়, তাহলে সত্যই তার হৃদস্পন্দন।

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির ।।

  • মোরেলগঞ্জে খাদ্যবা-ন্ধব ডিলার নিয়োগের উন্মুক্ত লটারি সফ-লভাবে সম্পন্ন

    মোরেলগঞ্জে খাদ্যবা-ন্ধব ডিলার নিয়োগের উন্মুক্ত লটারি সফ-লভাবে সম্পন্ন

    এস এম সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধিঃ
    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খাদ্যবান্ধব নীতিমালা-২০২৪ এর আওতায় উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করা হয়েছে।
    বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ লটারি ড্র-এ অংশ নেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আবেদনকারীবৃন্দ।

    উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাবিবুল্লাহ। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ বদরুদ্দোজা,উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ধ্রুব মন্ডল,উপজেলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার গৌতম কুমার বিশ্বাস,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এ কে এম ইকতিয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

    উন্মুক্ত লটারিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি মো. শহিদুল হক বাবুল, উপজেলা জামায়াত ইসলামী উপজেলা নায়েবে আমির মাস্টার মনিরুজ্জামান, বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন সামাদ, এফ এম শামীম আহসান,নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন টুলু ও মোঃ ফিরোজ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য বাছাইকৃত আবেদনকারী,সাংবাদিক ও স্হানীয় সুধীজন।

    খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত ২০৭ নম্বর পরিপত্রের ৮ নম্বর নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব কেন্দ্রে একাধিক যোগ্য প্রার্থী ছিলেন, সেখানে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে উপজেলার মোট ৪২টি পয়েন্টে ৪২ জন ডিলারকে প্রাথমিকভাবে লটারির মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়।

    উপজেলা প্রশাসন জানান, স্বচ্ছতা ও ন্যায়সংগতভাবে ডিলার নিয়োগ নিশ্চিত করতেই এই উন্মুক্ত লটারির আয়োজন। পাশাপাশি কোনো আবেদনকারীর কোন আপত্তি থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে তা যাচাই -বাছাই করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

  • বিজিবির জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ফাইনাল খেলা থানচি একাদশ চ্যা-ম্পিয়ন

    বিজিবির জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ফাইনাল খেলা থানচি একাদশ চ্যা-ম্পিয়ন

    থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা।

    বান্দরবান পার্বত্য জেলা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলিপাড়া জোনের ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো “বলিপাড়া জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা” ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার বিকাল ৪টায় থানচি মিনি স্টেডিয়ামে বলিপাড়া জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় থানচি একাদশ ৩-১ গোলে বলিপাড়া একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
    এই প্রতিযোগিতা ১০ আগস্ট থানচি উপজেলার সকল ইউনিয়নের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবং ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। বলিপাড়া জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ জহিরুল ইসলাম, জি আর্টিলারি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলাটি উপভোগ করেন। এছাড়াও, ফাইনাল খেলা দেখার জন্য বিপুলসংখ্যক দর্শক স্টেডিয়ামে ভিড় করেন। খেলোয়াড়দের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্স ও দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মাঠজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। বলিপাড়া জোন অধিনায়ক খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দলের হাতে ট্রফি, মেডেল ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন।
    এছাড়াও, রেফারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে জোন কমান্ডার তার বক্তব্যে বলেন, ফুটবল খেলা একটি দলীয় খেলা। এখানে টিম ওয়ার্কের প্রয়োজন হয়। যে দলের টিম ওয়ার্ক যত ভালো সেই দলের ফলাফল ততো ভালো।
    তিনি আরো বলেন, বিজিবি শুধু সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বই পালন করে না, বরং স্থানীয় জনগণের কল্যাণ, ক্রীড়া, শিক্ষা সম্প্রসারণ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলা তরুণ সমাজকে শৃঙ্খলা, ঐক্য ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ ধরনের আয়োজন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। খেলাধুলা তরুণ সমাজকে সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে, সমাজ থেকে অপরাধ ও মাদকাসক্তি দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।
    পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন পাড়া ও গোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে। আজকের বিজয়ী এবং বিজিত দলের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে দল গঠন পূর্বক বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এ অংশগ্রহণ করে বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

  • নানা কর্মসূচির ম-ধ্য দিয়ে  কাল‌কি‌নি‌তে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্র-তিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

    নানা কর্মসূচির ম-ধ্য দিয়ে কাল‌কি‌নি‌তে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্র-তিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

    মোঃমিজানুর রহমান, কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

    মাদারীপুরের কালকিনিতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হলো স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। (২০ আগস্ট) বুধবার সকালে উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম বেপারী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র গণ ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন। অনুষ্ঠান শেষে কেন্দ্রীয় নেতা তালুকদার খোকন এর নেতৃত্বে একটি র‌্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বেপারী,সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মুন্সী,উপ‌জেলা যুবদল নেতা সিকদার মোঃ মামুন,উপ‌জেলা শ্র‌মিক দ‌লের আহবায়ক মোঃ মোশারফ হো‌সেন,উপ‌জেলা যুবদল নেতা জ‌সিমউ‌দ্দিনসহ বিএনপি ও সহ‌যো‌গি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে  ঘু-ষ বাণিজ্য তথ্য চাইতে গিয়ে নিগৃ-ত সাংবাদিক

    বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে  ঘু-ষ বাণিজ্য তথ্য চাইতে গিয়ে নিগৃ-ত সাংবাদিক

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    নানা কৌশলে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তথ্য চাইতে গেলে তা পাচ্ছেনা সাংবাদিকরা। এক অনিশ্চয়তায় বদলে গেছে বন্দরটির চিত্র। অজানায় রয়ে যাচ্ছে সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঠিক হার। জন কল্যাণ ও জাতীয় উন্নয়নে এক বহুমুখীয়-চতুর্থ দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। তথ্য সরবরাহেরে ক্ষত্রে নানা প্রতিকূলতায় রয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকরা। জনসাধারনের দাবী বন্দরটিতে স্বচ্ছতা এখন প্রশ্নবিব্ধ! গত এক বছর ধরে নানা প্রতিকূলতা থাকলেও চলছে আমাদনী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রার সঠিক তথ্য দিতে চায়না রাজস্ব কর্মকর্তারা।

    এনিয়ে সোমবার ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। জানা যায়, বন্দরটির তথ্য নিতে গেলে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ইসাহাক আলী সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং তিনি তার কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় । 

    সাংবাদিকরা গত অর্থবছরে আমদানী -রপ্তানি খাতে রাজস্ব আয়ের তথ্য জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমার কাজ নেই আপনাদের তথ্য দিয়ে চাকরী হারাবোনা-কি।’ কমিশনারের অনুমতি নিয়ে আসুন, তারপর তথ্য পাবেন।’ এরপর তিনি তিনি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

    এরপরে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর কাস্টমস কমিশনারকে অবহিত করতে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তবে কমিশনারের প্রটোকল কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের জানান, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি।বিষয়টি কমিশনারকে অবহিত করা হবে।’

    তবে এর আগে জানা যায়, সহকারী কমিশনার ইসাহাক আলীর বদলীর আদেশ ইতিমধ্যেই হয়েছে।বন্দরের ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের অভিযোগ, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে অবৈধ টাকা আদায় করে আসছেন। যা নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে বন্দরটিতে।

    জানা যায়, অতি সম্প্রতি তিনি ব্যবসায়ীদের ডেকে নিয়ে ঘুষের বকেয়া টাকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেন। ব্যবসায়ীরা তা মানতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এনিয়ে ব্যবসায়িদের মাঝে ক্ষোভ দেখা রয়েছে।

    অভিযোগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি রপ্তানীকৃত কনসাইনমেন্ট থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। এছাড়া প্রতিটন পাথরের ওপর ১০ টাকা হারে অবৈধ আদায় করা হয়। প্রতিদিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টন পাথর প্রবেশ করে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানিও হয়। ফলে প্রতিদিন কাস্টমস কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

    ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, এ টাকা না দিলে কাস্টমস নানা অজুহাতে বিড়ম্বনায় ফেলে। ফলে বাধ্য হয়েই তারা এই ঘুষ দিয়ে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ ধারাবাহিকতা চলছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।বাংলাবান্ধা দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর। ভারত, ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে এই বন্দরের মাধ্যমে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম হয়। প্রধান আমদানির পণ্য পাথর, আর রপ্তানির মধ্যে রয়েছে আলু, পাট, ঔষধ ও গ্রামীণ ঝুটসহ অনুমোদিত অন্যান্য পণ্য।

    তবে কি কি কতোগুলো পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানী হয় পাশাপাশি নেপাল ভারত ও ভ’ট্রান থেকে কতোগুলো পণ্য আসে তা রাজস্ব কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের দিতে চান না।অধিকাংশ সাংবাদিকরাই ভুক্তভোগি।

    কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তাদের এই সীমাহীন ঘুষ–-দুর্নীতির কারণে ব্যবসায়ীদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়ে আসছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী এই বন্দরটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে সরকারের রাজস্ব আদায় আশঙ্কাজনক মাত্রায় কমে যাচ্ছে।

  • ময়মনসিংহ সদরকে ট্রাক মার্কার ঘা-টিতে রূপা-ন্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন লিমনুর রহমান

    ময়মনসিংহ সদরকে ট্রাক মার্কার ঘা-টিতে রূপা-ন্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন লিমনুর রহমান

    আরিফ রব্বানী,
    ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ

    লিমনুর রহমান হলো সদ্য সাবেক ছাত্রনেতা। সে ছাত্র অধিকার পরিষদ ময়মনসিংহ মহানগরের প্রথম কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু ছাত্রত্ব না থাকায় লিমনুর রহমান নিজে থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে অব্যাহতি নেয় এবং ভিপি নূরুল হক নূরের হাতকে ময়মনসিংহ সদরে শক্তিশালী করতে মূল ধারার রাজনীতি গণঅধিকার পরিষদ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হয়েছে। এই বিষয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়- লিমনুর রহমান একজন পরিশ্রমী ছাত্রনেতা ছিলেন। সে যদি মূল ধারার রাজনীতি গণঅধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক হতে পারে তাহলে তৃনমূল নেতৃবৃন্দ উৎসাহিত হবেন এবং নেতৃবৃন্দের মাঝে আমেজ তৈরি হবে।

    স্থানীয় রাজনীতিতে তার সক্রিয় উপস্থিতি, মানবিক উদ্যোগ এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি ইতোমধ্যেই স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনমনে জায়গা করে নিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিমনুর রহমান
    শুধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ নন, বরং সমাজের নানা সমস্যা সমাধানে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন। গ্রামে গিয়ে বিচার-শালিশ, ঝগড়া-বিবাদ মীমাংসা, গরীব-দুঃখীদের সহযোগিতা এবং গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান আয়োজন ও পৃষ্ঠপোষকতা তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে বহুগুণে। এছাড়াও তিনি যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে আয়োজন করেছেন বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম। বহু মানুষ তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার পাশাপাশি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণ অধিকার পরিষদের জন্য ময়মনসিংহ সদরে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখছেন। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসাকে পুঁজি করে
    লিমনুর রহমান দলকে গণমানুষের দল হিসাবে পরিণত করতে প্রচার-প্রচারণায় দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, তিনি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে আছেন

    এই বিষয়ে সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী লিমনুর রহমান লিমনের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায় ” ভিপি নূরুল হক নূরকে ভালোবেসে গণ অধিকার পরিষদে এসেছি। জীবন দিয়ে হলেও ময়মনসিংহ সদরের সন্তান হিসেবে ময়মনসিংহ সদরের মাটিকে ভিপি নূরের ঘাটিতে রূপান্তর করবো এবং ট্রাক মার্কার জয়গান প্রতিটি মানুষের মুখ পর্যন্ত নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।