Blog

  • হরিপুর সীমান্তে নারীও শিশুসহ  ১৪  জন বাংলাদেশী ফে-রত দিল ভারত

    হরিপুর সীমান্তে নারীও শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশী ফে-রত দিল ভারত

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে নারী ও শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

    জানাযায়,মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরিপুর উপজেলার দনগাও বিওপির সীমান্তের ৩৫৬ নং পিলার এর কাছাকাছি বসতপুর স্থানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আকটকৃত ১৪ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় বিএসএফ। পরে বিজিবি দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে হরিপুর থানায় তাদেরকে হস্তান্তর করেন।বিজিবি সূত্র জানায়,সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) এর বেতনা বিওপির বিপরীতে ভারতের কাদেরগঞ্জ এলাকায় সীমান্ত পিলার ৩৬৫/২ এস থেকে প্রায় ১২০০ গজ ভেতরে ওই ১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতীয় বিএসএফ। আটক ব্যক্তিরা সবাই ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বাসিন্দা।আটক ব্যক্তিরা হলেন-বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোচপাড়া গ্রামের সাকিরের ছেলে মন্টু (৪০), মন্টুর স্ত্রী মোছা. নাজেরা খাতুন (৩৮) ও দুই ছেলে নজরুল (২২) ও নুর আলম (১৯); একই উপজেলার বেউরঝাড়ি গ্রামের রহিমের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৪), রাজ্জাকের স্ত্রী নাজমিন (২০) ও দুই মেয়ে রূকসার (৩) ও রেহেনা (১), মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে আসাদুল (৩৫) আসাদুলের মা আছিয়া (৫০),স্ত্রী পারুল (৩২) ও তিন সন্তান আলামিন আলী ১৬),আশা মনি (৯)এবং আরিফ (৫)।বিজিবি জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তারা ২০২০ সালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পানি পাথ জেলার একটি কারখানায় (পাপস ফ্যাক্টরি) কাজ করতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফেরার পথে বিএসএফ তাদের আটক করে। আটককৃত সবাইকে ভারতীয় বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ‍্যমে মঙ্গলবার (১২আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে ফেরত দিয়েছে।

    এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহমেদ বলেন, তাদেরকে আটকের পর আমরা হরিপুর থানায় হস্তান্তর করেছি।হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন নারী-শিশুসহ ১৪জনকে বিজিবি থানায় হস্তান্তর করেছে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার অপরাধে পাসপোর্ট আইনে মামলা রুজু করে আটককৃতদের আগামীকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও আদালতে পাঠানো হবে।

  • এন এ জেড বাংলাদেশের উদ্যোগে: পুলিশের চে-কপোস্ট নির্মাণ

    এন এ জেড বাংলাদেশের উদ্যোগে: পুলিশের চে-কপোস্ট নির্মাণ

    গাজীপুর প্রতিনিধি:
    গাজীপুর জেলা ও মহানগরের সীমান্তবর্তী রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা থেকে ডগরী যাওয়ার আঞ্চলিক সড়কে অবস্থিত জয়দেবপুর থানার রাত্রিকালীন পুলিশ চেকপোস্টের টিন খুলে নিয়ে গেল চোর চক্র।

    গত (১৩) আগস্ট ভোরে টিন খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘঠনায় গাজীপুরে পুলিশের চেকপোস্টের টিন খুলে নিলো চোর শিরোনামে একাধিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হয় এবং পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। ও থানা পুলিশ নড়ে চড়ে বসেন।

    পরে ঘঠনার এক সাপ্তাহ পরে বুধবার (২০) আগস্ট রপ্তানি কারক পোশাক কোম্পানি এন এ জেড বাংলাদেশ নিজ অর্থায়নে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চেকপোস্ট টি সংস্কার করে দেন।

    এ পথে চলাচলকারীদের অভিযোগ, এই সড়কে বেশ কিছু পোশাক কারখানার হাজার হাজার গাড়ী ও শ্রমিক রাতদিন চলাচল করেন। অতীতে রাস্তায় গাছ ফেলে বেশ কিছু ডাকাতির ঘটনার পর এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। তবে, চেকপোস্ট বসানোর পর প্রথম কিছুদিন পুলিশকে দেখা গেলেও পরে আর তাদের নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করতে দেখা যায়নি এবং
    পুলিশের অবহেলার কারণেই চোরচক্র সুযোগ বুঝে টিনগুলো নিয়ে গেছে।

    একাধিক পোশাক শ্রমিকরা জানান, এই এলাকাটি ঘন জঙ্গল থাকায় রাতে বাসায় ফেরার সময় ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকা চোর-ছিনতাইকারীরা চাকু বা দা দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। বিশেষ করে বেতন প্রদানের সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যায়।

    তারা আরো বলেন, শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে একটি বেসরকারি কোম্পানি চেকপোষ্ট ঠিক করে দেওয়ায়, পুলিশ নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করতে পারবে এবং আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারব।

    ইজিবাইক চালকরা জানান, এই রাস্তায় গাছ কেটে গাড়ির সামনে ফেলে টাকা-পয়সা ও গাড়ি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে। পুলিশের চেকপোস্ট দেওয়ার পরও কয়েকদিন পরপর ডাকাতি হচ্ছে। ডাকাতি হয় এমন স্থান গুলোতে পুলিশ না থেকে সিটপাড়া বটতলা এলাকায় থাকায় ডাকাত চক্র সুযোগ বুঝে গাছ ফেলে ডাকাতি ঘটনা ঘটাচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছু ডাকাতির ঘটনার পর জয়দেবপুর থানার তৎকালীন ওসি ও সদর সার্কেল কে এলাকাবাসী একটি চেকপোস্টের দাবি জানান। পরে পুলিশের অনুমতিক্রমে যুবসমাজকে নিয়ে এই চেকপোস্ট করা হয়। কিন্তুু দুঃখজনক পুলিশ কিছুদিন চেক পোস্ট পরিচালনা করলেও পরে তাদের নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করতে দেখা যায়নি এর ফলে টিন গুলো চুরি হয়ে যায় এবং এ পথে চলাচলকারী ও পোশাক শ্রমিকরা রাতে চলাচল করতে ভয় আতঙ্কে পড়ে যায়।

    তারা আরো বলেন, এলাকাবাসী ও পোশাক শ্রমিকের কথা চিন্তা করে একটি বেসরকারি কোম্পানি এন এ জেড বাংলাদেশ লিমিটেড নিজ অর্থায়নে চেকপোষ্ট টি সংস্কার করে দেয়ায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এবং পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান চেকপোস্ট টি দৈনিক পরিচালনা করে মানুষের জানমালা নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়।

    এন এ জেড বাংলাদেশ লিমিটেডের এডমিন আনিসুর রহমান জানান, এখানে একটি চেকপোস্ট ছিলো কে বা কারা টিন নিয়ে যায় এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেখতে পাই, পরে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ পথে চলাচলকারী এলাকাবাসী ও আমাদের শ্রমিকদের চিন্তা করে কম্পানির নিজ অর্থায়নে চেক পোষ্ট টি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এবং আজ কালের বিতরে চেকপোস্টের কাজ সম্পূর্ণ হবে।

    এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদের মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।

  • বিয়ের দা-বিতে দুই সন্তানের জননীর অন-শন,প্রেমিক উ-ধাও

    বিয়ের দা-বিতে দুই সন্তানের জননীর অন-শন,প্রেমিক উ-ধাও

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর দুর্গাপুরে এক এনজিও কর্মীর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে দুই সন্তানের জননীর অনশন, প্রেমিক ফারুক বাড়ি ছাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে অফিস যাবার পথে ফারুকের মোটর সাইকেলের তেল শেষ হলে, রাস্তায় হেটে যাওয়ার পথে পরিচয় হয় মনিকা (ছদ্দনাম) নামের এক স্থানীয় গৃহিণীর। সেখান থেকেই পরিচয় এবং মোবাইল নাম্বার আদান-প্রদান ও কথা হয় মোবাইলে। এক পর্যায়ে একে অপরের প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া এবং শারীরিক মেলামেশাও হয় তাদের মধ্যে।
    ভিকটিমের অভিযোগ, গত শনিবার ১৬ আগস্ট সেই এনজিও কর্মী ফারুক হোসেন বিয়ের কথা বলে নিজ বাড়িতে ডাকেন প্রেমিকাকে। কিন্ত্ত পরিবারের অসম্মতি ও তার দুলা ভাই আশা এনজিওর কর্মী জাহাঙ্গীরের প্ররোচণায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ফারুক। এমনকি তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন দুলা ভাই জাহাঙ্গীর। মুলত জাহাঙ্গীরের মাধ্যমেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ফারুক ও ওই নারী একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান।কিন্ত্ত জাহাঙ্গীরের সহযোগীতায় প্রেমিক ফারুক পালিয়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েন ভিকটিম ওই নারী। গত পাঁচদিন যাবৎ বিয়ের দাবিতে ফারুকের বাড়িতেই অবস্থান করছেন ওই নারী।
    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহী’র দুর্গাপুর উপজেলা’র সূর্য্যভাগ গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক ওমর আলীর পুত্র ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সম্পাদক এই ফারুক হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে
    একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যর।
    ভুক্তভোগী বলেন, এর আগে আমার বিয়ে হয়েছিল।কিন্ত্ত ফারুকের সঙ্গে প্রেম ও তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তিনি তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন।তিনি আরো বলেন, তিনি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করতেন, ফারুকের সঙ্গে প্রেম হওয়ার পরে জানতে পারেন সেও এর আগে বিয়ে করেছিল, ডিভোর্স হয়ে গেছে, তাই আমরা দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।কিন্ত্ত গত শনিবার সকালে সে বিয়ের কথা বলে আমাকে তাঁর বাড়িতে ডেকে আনে ,তবে পরিবারের চাপ ও তার দুলা ভাইয়ের প্ররোচণায় সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে, এতে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও সমাজের সকলের কাছে সাহায্য চেয়ে বলেন আজ পাঁচ দিন হয়ে যাচ্ছে আর কতদিন আমাকে এভাবে কাটাতে হবে, তাই দ্রুত তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হোক।
    স্থানীয় প্রতিবেশীরা বলেন,ফারুকের দুলা ভাই আশা এনজিওর কর্মী জাহাঙ্গীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই ফারুকের সন্ধান পাওয়া যাবে,সে আসল নাটের গুরু।কারণ সে ফারুককে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে,উল্টো ভিকটিম পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
    স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান কাজী জানান, ফারুক একাধিক মেয়েদের সঙ্গে এরকম সম্পর্কে লিপ্ত, সে একটা দুশ্চরিত্রবান পুরুষ। এ অসহায় মেয়েটি আজ পাঁচ দিন হল এই ফারুকের বাড়িতে অবস্থান করছে, আমরা চাই দ্রুত সমাধান হোক। তিনি বলেন,ফারুকের সকল অপকর্মের সহযোগী তার দুলা ভাই জাহাঙ্গীর।
    এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।এবিষয়ে জানতে চাইলে ফারুকের দুলা ভাই আশা এনজিও কর্মী জাহাঙ্গীর বলেন, ঘটনা সত্যি নয়, এর সঙ্গে একটি নারী সিন্ডিকেট জড়িত,তারা টাকা-পয়সা নেয়ার জন্য ওই মেয়েকে দিয়ে এসব নাটক করছে।#

  • বাকৃবির যেকোনো সমস্যা পজেটিভ আর স্বচ্ছতার সাথে নি-রসন করতে প্র-শাসন ব-দ্ধপরিকর

    বাকৃবির যেকোনো সমস্যা পজেটিভ আর স্বচ্ছতার সাথে নি-রসন করতে প্র-শাসন ব-দ্ধপরিকর

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার উদ্যোগে অটোমেটেড রিকুইজিশন সিস্টেম এবং ট্র‍্যাকিং টুলস সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ উপলক্ষে আয়োজিত এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
    বাকৃবি পরিবহন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড.মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো:শহীদুল হক।এছাড়াও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো: মোশাররফ উদ্দীন ভুইয়া,বাকৃবি রেজিস্ট্রার কৃষীবিদ ড. মো: হেলাল উদ্দীন,প্রক্টর প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম,ট্রেজারার প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির, বাকৃবি সোনালী দলের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড.আহমদ খায়রুল হাসানসহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট এর পরিচালক বিভাগীয় প্রধান এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া অটোমেশন সিস্টেমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর বক্তব্যে বলেন,
    পরিবহন শাখার অটোমেটেড রিকুইজিশন সিস্টেম এবং ট্র‍্যাকিং টুলস সিস্টেম চালু করায় বাকৃবি আইসিটি সেল এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যবৃন্দকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । তিনি বলেন , আপাতত ৪টি গাড়ি ট্র‍্যাকিং সিস্টেমে যুক্ত হলেও ভবিষ্যতে আরো অধিক সংখ্যায় গাড়ি এই সিস্টেমে যুক্ত হবে। বর্তমান বাকৃবি প্রশাসন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য যা কল্যাণকর সেসব বিষয়েই কাজ করছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সমস্যা পজেটিভভাবে , স্বচ্ছতার সাথে নিরসনে করতে বর্তমান প্রশাসন বদ্ধপরিকর।তিনি ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী অটোমেশনের আওতায় যুক্ত করারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সবাইকে সাথে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।বাকৃবি পরিবহন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড.মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ থেকে গাড়ি রিকুইজিশন সিস্টেম পুরপুরি অন-লাইন চালু করা হয়েছে। এখন থেকে ম্যানুয়াল কোন আবেদন গ্রহন করা হবেনা। এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহায়তা কামনা করেন।

  • সুজানগরে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপ-লক্ষ্যে বর্ণা-ঢ্য র‍্যালি

    সুজানগরে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপ-লক্ষ্যে বর্ণা-ঢ্য র‍্যালি

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপির) মূল চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত তিন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একটি জতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। এই সংগঠনটির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সুজানগর উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বৃহস্পতিবার এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টু,সদস্য সচিব রিয়াজ মন্ডল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মধু বিশ্বাস, যুগ্ন আহবায়ক কামাল হোসেন, ইউসুফ আলী খান টোকন, রানু বিশ্বাস, লোকমান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কোবাদ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সুজাউদ্দিন সুজা, সদস্য সচিব মো: বিপুল প্রামানিক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রনাই প্রামানিক, রমজান মন্ডল ও হাসেম প্রামানিক প্রমূখ । সমাবেশে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দঁাড়ানোর অঙ্গীকার থেকে ১৯৮০ সালের ১৯ আগস্ট জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকারের আন্দোলনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। এ সময় তিনি আরো বলেন,
    প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল শুধু জনগণের সেবায় নয়, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।

  • বাগেরহাটের ৪ টি সংসদীয় আসন বহা-লের দা-বিতে সড়ক অ-বরোধ

    বাগেরহাটের ৪ টি সংসদীয় আসন বহা-লের দা-বিতে সড়ক অ-বরোধ

    বায়জিদ হোসেন, মোংলা (বাগেরহাট):

    বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া ও কাটাখালি মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।

    বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মোংলা-খুলনা, মোংলা-বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালি থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কটির দুটি স্থানে সড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

    অবস্থান কর্মসূচিতে সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসন বহাল ছিল। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের একটি আসন কমানো প্রস্তাব জেলাবাসীকে হতাশ করেছে। আমাদের বঞ্চিত করা চলবেনা। নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তাব থেকে সরে না আসলে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে লাগাতর কঠোর আন্দোলন করা হবে। বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন কমানোর প্রতিবাতে ইতিমধ্যে বাগেরহাট জেলাজুড়ে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। আগামী সোমবার (২৪ আগষ্ট) আমরা সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছি।

    এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা জামায়াতের আমির ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম গোড়াসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

    উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সাল থেকে বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসনে চারজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। হঠাৎ করেই নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।

    এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান এমনকি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন বাগেরহাটবাসী। আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

  • তানোরে হ-ত্যাকান্ডে জ-ড়িত স-ন্দেহে সাবেক স্ত্রীসহ শশুর-শাশুড়ি আ-টক

    তানোরে হ-ত্যাকান্ডে জ-ড়িত স-ন্দেহে সাবেক স্ত্রীসহ শশুর-শাশুড়ি আ-টক

    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর তানোরে সাবেক স্বামীকে হত্যা করে শয়নকক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীসহ শশুর শাশুড়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) চৌধুরী পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবকের নাম বেলাল হোসেন (৩০)। সে চৌধুরী পাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
    এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের সুলতান হোসেনের মেয়ে চাঁদনী বেগমের (৩০) সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয় বেলাল হোসেনের। তাদের সংসারে জন্ম নেয় দুটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান। কিন্তু তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ-বিবাদ লেগেই থাকতো। এমতাবস্থায় প্রায় দু’বছর পূর্বে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও এখানো আদালতে খোরপোষের মামলা চলমান রয়েছে। অন্যদিকে নিহত যুবক বেলাল হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করছেন।
    স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহত বেলাল হোসেন তার সন্তানদের দেখতে সাবেক শশুর বাড়িতে স্ত্রীর কাছে যান। এসময় স্ত্রী ও শশুর শাশুড়ীর সঙ্গে তার প্রচন্ড বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে বেলালের স্ত্রী ও শশুর শাশুড়ীরা বেলালকে ব্যাপকভাবে মারধর করে। এঘটনা বেলাল ফোন করে তার বন্ধুদেরকে জানান। কিন্তু সকালে লোকজন বেলালের শশুর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় বেলাল শয়নকক্ষে ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি পেচিয়ে ঝুলে আছে। এসময় লোকজনের দেয়া খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করেন। উপস্থিত লোকজনের সামনে ফ্যান থেকে লাশ নামানো হলে লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। যার জন্য হত্যা সন্দেহে নিহত বেলালের সাবেক স্ত্রী ও শশুর-শাশুড়ীকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। এবিষয়ে নিহত বেলাল হোসেনের পিতা আব্দুল মতিন বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করে তার সাবেক স্ত্রী ও শশুর শাশুড়ীরা তাদের ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যাতে করে অন্যরা এমন জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আমি সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এঘটনাকে হত্যা বলে মনে হচ্ছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এঘটনায় মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে।#

  • সাতক্ষীরায় আনসার ভিডিপি সদস্যের মধ্যে বাইসাইকেল বি-তরণ

    সাতক্ষীরায় আনসার ভিডিপি সদস্যের মধ্যে বাইসাইকেল বি-তরণ

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা:

    কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২৮ জন ভাতাভোগী সদস্যের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। গত ২০ আগস্ট আনসার ভিডিপি’র জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই বাইসাইকেল তুলে দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা জেলা কমান্ড্যান্ট উপপরিচালক মোঃ আশরাফুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। তিনি বাইসাইকেল বিতরণের পাশাপাশি সদস্যদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোঃ এফতেখারুল ইসলাম। এ সময় আনসার-ভিডিপি’র জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান সংগঠনের মহাপরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বাহিনীর তৃণমূল পর্যায়ের সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নে নানা কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়। এর ফলে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সদস্যরা আরও দ্রুত এবং কার্যকরভাবে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

    বক্তারা বলেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকাসক্তি নির্মূল এবং সামাজিক অপরাধ দমনে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ভবিষ্যতে বাহিনীর এমন কার্যকরী পদক্ষেপ সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি এবং দায়িত্ব পালনে আরও উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বাইসাইকেলগুলো বিতরণের ফলে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে এবং জনগণের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এ সময় সংগঠনের জেলা ও উপজেলা পযায়ের উর্ধ্বতন, কর্মকর্তা কর্মচারী, ব্যাটালিয়ান সদস্য, উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার, ইউনিয়ন দলনেতা, দলনেত্রী, ভাতা ভোগী সদস্য ও মিডিয়া কমী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বি-তরণ

    জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বি-তরণ

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    আজ ২১শে আগস্ট রোজ বৃহস্পতিবার। ঝালকাঠির নলছিটির বি জি ইউনিয়ন একাডেমি বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে “বন্ধুত্বের উদারতা” ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের উদ্যাগে “জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শিরোনামে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক ও উক্ত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ আরিফুল ইসলাম আকাশ এর সঞ্চালনায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব বদরুল আমিন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নলছিটি ঝালকাঠি এবং সভাপতি বি জি ইউনিয়ন একাডেমি বাহাদুরপুর। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব আলী হায়দার সিকদার, প্রধান শিক্ষক, বি জি ইউনিয়ন একাডেমি বাহাদুরপুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম বাবুলসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

    পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি মো. জাহিদ হাসান। তিনি সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন “আমাদের বন্ধুদের আড্ডা থেকেই আজ এই মানবিক সংগঠন ” বন্ধুত্বের উদারতা”, আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি মানবেতর ব্যাক্তিদের নিয়ে কাজ করি। রক্তদান, বৃক্ষ রোপন, শীত বস্ত্র বিতরণ, ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ আমরা নানাবিধ কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস কার্যক্রম করে থাকি”। প্রধান অতিথি জনাব বদরুল আমিন তিনি আয়োজিত অর্গানাইজেশনটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন “আমরা জুলাই কে হৃদয়ে ধারণ করি। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এমন সংগঠন করা সত্যি অনেক প্রশংসনীয়”। তিনি আরো বলেন এমন মহৎ উদ্যোগ স্বচ্ছ মেধা মননের স্বাক্ষর। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব আলী হায়দার সিকদার বলেন ” এটা দারুণ উদ্যোগ। পড়াশোনার পাশাপাশি কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস থাকলে শিক্ষার্থীরা এক ঘেয়ামি হয়ে পড়ে না। রচনা প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধার চর্চা হয়েছে”। এছাড়াও তিনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ করেন। স্মৃতিচারণ নিরবতায় তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত। এছাড়াও বক্তব্যও রাখেন আরেক শিক্ষাক জনাব গোপাল নট্ট।

    আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতা প্রথম স্থান অধিকার করে কৌষাণী বিশ্বাস, অষ্টম শ্রেণী, রোল নম্বর এক। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মোঃ রাহাত হোসেন খান, শ্রেণী দশম, রোল নম্বর এক। তৃতীয় স্থান অধিকার করে সামিয়া ইসলাম, শ্রেণী অষ্টম, রোল নম্বর পাঁচ। বিজয়ী প্রথম তিন জনকে ক্রেচ ও বই, পরবর্তী দু’জনকে বই এবং অংশ গ্রহণ বাকি সবাইকে কলম দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়। বন্ধুত্বের উদারতা অর্গানাইজেশন থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি জাহিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আকাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ইমন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার নাফিজ, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ হোসেন, প্রচার সম্পাদক লামিয়া আক্তার, সদস্য তুহিন মোল্লাসহ প্রমুখ সদস্যরা।

  • গ-ণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরও বিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্র-চারণা বই

    গ-ণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরও বিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্র-চারণা বই

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৯৬নং বেংহারী সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হবিবর রহমান এখনো স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের প্রচারণা ভুলতে পারেননি—এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

    বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের আলমারিতে সাজানো রয়েছে শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, শেখ রাসেল ও আওয়ামী শাসনের নানা প্রচারণামূলক শতাধিক বই। ‘শেখ হাসিনা’, ‘মুজিব আমার পিতা’, ‘রাজপুত্র শেখ রাসেল’, ‘মুজিব বাংলার বাংলা’সহ নানা শিরোনামের এসব বই সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে এক ধরনের ফ্যাসিবাদী কর্ণার তৈরি করেছে।

    স্থানীয়রা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো সরকারি বিদ্যালয়ে এসব প্রচারণার বই অক্ষতভাবে রাখা হয়েছে। অথচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেননি।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

    “এটি সত্যিই দুঃখজনক। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের সময় শেখ হাসিনা ও তার দোসররা বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এক বছর পার হলেও তাদের বই-কর্ণার এখনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়ে গেছে। জেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

    তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত নির্দেশনা দিয়ে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাসিস্ট শাসনের এসব প্রতীকী কর্ণার অপসারণ করা হোক। রাষ্ট্রীয় নির্দেশনার অভাবে শিক্ষকরা সমস্যায় পড়ছেন।”

    শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলও মনে করছেন—স্বৈরাচারের পতনের পরও সরকারি বিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্ট প্রচারণা বই রাখা ২৪ এর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসের প্রতি চরম অবমাননা।

    বেংহারী সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হবিবর রহমান বলেন,

    “বইগুলো এক কোণে পড়ে ছিল, আমরা সেগুলো খেয়াল করিনি। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ব্যানার আমরা তখনই আলমারিতে ভাঁজ করে রেখেছি। আগামী রোববার বিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো বই পুড়িয়ে ফেলা হবে।”

    বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাবক্লাস্টার আজমল আজাদ বলেন, “আমাদের স্পষ্ট নির্দেশনা ছিলো এসব বই বিদ্যালয়ে রাখা যাবে না। আমি প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে বলেছি বইগুলো সরিয়ে ফেলতে। কিন্তু কেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তা সরাননি, তা আমার বোধগম্য নয়। আমরা তো অনেকগুলো বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকি—সবগুলো বিদ্যালয়ে গিয়ে লাইন ধরে খুঁটিনাটি দেখা সম্ভব হয় না। শেষ পর্যন্ত কেন তিনি বইগুলো সরাননি, তার জবাব তিনিই দিতে পারবেন।”

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনেছি এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেখেছি। ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে আমাদের কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে তদন্তের জন্য। তারা তদন্ত করে বিস্তারিত জানাবেন এবং প্রধান শিক্ষক কী বলেন তা দেখা হবে এবং আগামী রোববার অফিস খোলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”