Blog

  • গাজিপুরের সফিপুরে আনসার প্রশিক্ষণের স-মাপনী অ-নুষ্ঠিত

    গাজিপুরের সফিপুরে আনসার প্রশিক্ষণের স-মাপনী অ-নুষ্ঠিত

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ আনসার সতেজকরণ প্রশিক্ষণের পঞ্চম ধাপের সমাপনী অনুষ্ঠান ২৩ আগষ্ট গাজীপুরের সফিপুরে অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে নানা দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। তিনি তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা ও পেশাগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দায়িত্ব পালনে আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাহিনীর পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশব্যাপী ১ লাখ ৮০ হাজার নতুন সদস্যকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৬ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে।

    এ সময় মহাপরিচালক প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, সদর দপ্তরের উপমহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ রফিকুল ইসলাম বিভিএম, পিভিএমএস, বিভিএমএস এবং আনসার-ভিডিপি একাডেমির উপমহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আবছারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

    সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে মহাপরিচালক একাডেমির নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

  • তানোরে বিএনপির স্মর-ণকালের স-র্ববৃহৎ জ-নসভা

    তানোরে বিএনপির স্মর-ণকালের স-র্ববৃহৎ জ-নসভা

    আলিফ হোসেন, তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা ও নির্বাচনী জনসভা আয়োজন করা হয়েছে।
    জানা গেছে, ২৩ আগস্ট শনিবার বিকেলে গোল্লাপাড়া বাজার ফুটবল মাঠে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডলের সঞ্চালনায় আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন। অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাস্টার, বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হেনা,শরিফ উদ্দিন মুন্সী, কামারগাঁ ইউপি বিএনপির সম্পাদক সাইদুর রহমান ডায়মন্ড,ডাঃ মিজানুর রহমান, ফিরোজ কবির,প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, গোলাম মোর্তুজা,আব্দুর রশিদ,রায়হানুল ইসলাম রায়হান, রিমন রহমান, আনারুল মাস্টার ও মোতালেব হোসেন প্রমুখ।এছাড়াও গোদাগাড়ী উপজেলা, পৌরসভা, কাকনহাট পৌরসভা,তানোর উপজেলা, পৌরসভা, মুন্ডুমালা পৌরসভা এবং দুই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের (ইউপি) বিভিন্ন স্তরের সাংগঠনিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
    এদিন বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। এদিন বিভিন্ন কৌশলে বাধা ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দুপুরের পর পরই জনসভা স্থল নেতাকর্মীদের পদচারনায় কানায় কানায় পুর্ন হয়ে উঠে। এদিকে সমাবেশ স্থানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সমাবেশ মঞ্চের সামনে যে নেতাকর্মী ছিল তার থেকে বেশী নেতাকর্মী ছড়িয়ে ছিটিয়ে সমাবেশের আশপাশে অবস্থান করছিলেন। তানোরে প্রায় দু’দশক পর বিএনপির এতো বড় জনসভা হয়েছে।
    এদিকে বিএনপির স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এই জনসভার মধ্যদিয়ে একটি দুষ্টু চক্র গোষ্ঠীর আধিপত্যর অবসান হয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে যারা কখানোই প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক পরিবারের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেন না। তারা ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ড, এম এনামুল হকের বিরোধিতা করেছে। যাদের সংখ্যা হাতে গোনা ১০ থেকে ১৫ জন। এদের চাওয়া বিএনপি সরকার গঠন করুক, তবে ব্যারিস্টার পরিবার যেনো নেতৃত্ব না দেয় অন্যকেউ এমপি হোক। তাহলে তারা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন করে টাকার কুমির হতে পারবে। এতোদিন যারা বলতেন ওমুক ভাই,তমুক ভাই ছাড়া তানোরে বিএনপি অচল এবং বিএনপির বিজয় অসম্ভব ও শরিফ উদ্দিনের পক্ষে রাজনীতি করা দুরুহ তাদের স্বপ্ন উবে গেছে। এদিনের জনসভায় প্রমাণ হয়েছে বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ ও সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। ওমুক ভাই,তমুক ভাই ছাড়া বিএনপি অচল নয় বরং বিএনপি ছাড়া তারাই অচল ও অস্তিত্বহীন বলে মনে করছেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। আয়োজক কমিটির দাবি সমাবেশে তানোর বিএনপির মুলস্রোতের নিপীড়িত -নির্যাতিত, আদর্শিক নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের প্রাণের উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তানোরে জুলাই বিপ্লবের পর এটিই হচ্ছে বিএনপির স্বরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ।
    এদিকে সমাবেশ ঘিরে তানোরে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক
    প্রাণচাঞ্চল্য। নেতাকর্মীদের দাবি, এই গণসমাবেশ প্রমাণ করেছে বিএনপিার তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন।অন্যদিকে কর্মসূচি সফল করায় নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে ঐক্যর হাওয়া, রাতারাতি রাজনীতিতে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। এতদিন যে সকল নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কারণে নিজেদের রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রেখেছিল তাঁরা আবারো রাজনীতিতে সক্রীয় ও গা-ঝাড়া দিয়ে নবউদ্দ্যোমে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে শুরু করেছেন। যে কারণে দীর্ঘদিন পর এখানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে ফিরে এসেছে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য। বিএনপির নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা অতীতের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে সমাবেশ সফল করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এদিন প্রধান অতিথি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঐক্যের বার্তা দিযেছেন। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ ভোটারগণ তেমন কিছু বোঝেন না, তাই যেটা সাধারণ ভোটারগণ বোঝেন না,সেটা কোনো গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি হতে পারে না।
    এদিকে একইদিন জনসভার পুর্বে প্রধান অতিথি হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কামারগাঁ ইউপির মাদারিপুর প্রায় শতাধিক বাকপ্রতিবন্ধীর মাঝে পোষাক,খাবার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও জনসভা শেষে গোল্লাপাড়া বাজারে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছেন।#

  • ময়মনসিংহে হেয-বুত তওহীদের উদ্যোগে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত*

    ময়মনসিংহে হেয-বুত তওহীদের উদ্যোগে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত*

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    ময়মনসিংহে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ‘তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেত্রী ও কর্মীদের উপস্থিতিতে আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এই নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন হেযবুত তওহীদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নারী বিভাগের প্রধান রুফায়দাহ পন্নী। আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। একদিকে ধর্মের নামে নারীদেরকে বাক্সবন্দী করা হয়েছে, অন্যদিকে পাশ্চাত্য জীবনদর্শন নারীদেরকে ভোগ্যপণ্য বানিয়েছে। তারা বলেন, সত্যিকার অর্থে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রয়োজন একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা যেখানে নারীদের অধিকার ও সম্মান – দুটিই সুরক্ষিত থাকবে।

    বক্তারা বলেন, চৌদ্দশ বছর আগে রাসুলুল্লাহ (স.) এমনই একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে পর্দার নামে কোনো নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নারীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় নি। বরং কোরআনে যতটুকু পর্দা ফরজ করা হয়েছে ততটুকু পালন করেই নারীরা সমাজ ও রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন। পরবর্তীতে দীনের অতিবিশ্লেষণ করে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নারীদের উপর পর্দার নামে জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই।

    বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী দিনে যদি ইসলামের সঠিক আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে নারীরা ইসলামের প্রাথমিক যুগের মতো স্বাধীনতা, সম্মান ও অধিকার চর্চা করতে পারবেন। এসময় ইসলামের সঠিক শিক্ষা বাস্তবায়নে নারীদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা। বলেন, একমাত্র প্রকৃত ইসলামের আদর্শ ও তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ছাড়া নারীদের মুক্তি ও নিরাপত্তা অসম্ভব। তাই তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নারীদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

    সংগঠনের ময়মনসিংহ জেলা নারী বিষয়ক সম্পাদক কাজল আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া, সংগঠনটির ময়মসসিংহ বিভাগীয় সভাপতি এনামুল হক বাপ্পা, বিভাগীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নেত্রকোনা জেলা নারী বিষয়ক সম্পাদক সাকি আক্তার কলি।

  • বোদায় প-তিতাব্যবসায়ী আ-টক, মা-মলা নিতে গ-ড়িমসি

    বোদায় প-তিতাব্যবসায়ী আ-টক, মা-মলা নিতে গ-ড়িমসি

    মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়:

    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে চলা পতিতাব্যবসার বিরুদ্ধে অবশেষে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার ডকসাপাড়া গ্রামে শনিবার (২২ আগস্ট) রাতে জনতার হাতে এক নারীসহ আটক হয়েছেন কুখ্যাত ওসমান আলী ওরফে চান্দু মিয়া। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় তাদের থানায় সোপর্দ করা হলেও মামলা নেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছে পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে।

    স্থানীয়রা জানান, বোদার বামুনেরহাট এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি কালামের ছত্রছায়ায় চান্দু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পতিতাব্যবসা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী এনে এ ব্যবসা পরিচালনা করতেন তিনি। 

    স্থানীয়দের উদ্যোগে শনিবার রাত ৯টার দিকে চান্দু মিয়া ও এক নারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশকে জানানো হয়। রাতেই তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

    গ্রাম পুলিশ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, “স্থানীয়দের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটককৃতরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে। পরে রবিবার সকাল ১০টার দিকে আমরা তাদের থানায় হস্তান্তর করি।”

    ইউপি সদস্য রিনা পারভীন বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা দু’জনকে আটকে রেখেছে। মেয়েটি নিজেই স্বীকার করেছে যে এটিই তার পেশা। তাদের পরিবারের লোকজনকে ডাকা হলেও কেউ আসেনি। তাই সকালে থানার হেফাজতে দেওয়া হয়।”

    ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, থানায় নেওয়ার পরও মামলার বিষয়ে পুলিশ গড়িমসি করছে। স্থানীয়দের দাবি, থানার ওসি মামলা না নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

    এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজীম উদ্দিন বলেন, “অবৈধ কাজ করলে তা মানুষের ঘরের ভেতর থেকে ধরতে হয়। রাস্তায় আটক করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। স্বীকারোক্তি দিলেই মামলা হয় না।”

    পুলিশের এমন বক্তব্যে স্থানীয়রা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশ্ন, হাতেনাতে ধরা পড়া সত্ত্বেও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তারা ন্যায়বিচারের স্বার্থে উচ্চপদস্থ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

    স্থানীয়রা বলেন, “আমরা বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম এই চক্রকে হাতেনাতে ধরার। অবশেষে গতরাতে সেটা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু পুলিশ যদি এখন মামলা না নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হবে। আমরা চাই, আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

    ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অনৈতিক ব্যবসা চালু থাকলেও প্রশাসনের চোখে তা অদৃশ্য থেকে গেছে। এবার হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও যদি মামলা না হয়, তাহলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও কমে যাবে।

    স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের অনৈতিক ব্যবসা সমাজকে ধ্বংস করছে। তরুণ সমাজকে অপরাধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান নেওয়া জরুরি।

  • চলনবিলে নৌকা ভ্রমণে “প্রিয় সলঙ্গার গল্প” গ্রুপ

    চলনবিলে নৌকা ভ্রমণে “প্রিয় সলঙ্গার গল্প” গ্রুপ

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : পাবনা, নাটোর,সিরাজগঞ্জের ৯ টি উপজেলা নিয়ে বৃহৎ একটি বিল,যার নাম চলনবিল।যেটি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়বিল বলে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।প্রতি বছরই ভরা বর্ষায় নৌকা যোগে চলনবিলে ঘুরতে ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার মানুষের ভীড় জমে। যে দিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। দেশীয় মাছের অভয়ারাণ্য বলেও পরিচিত এই চলনবিল।ছুটির দিনে কার না সাধ জাগে মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের ডালি চলনবিলের মুক্ত বাতাস উপভোগ করতে।বর্ষা মৌসুমে চলনবিল ভ্রমণের কয়েকটি স্পটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্পট হলো- হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৯/১০ নং ব্রীজ, কুন্দইল ব্রীজ,বিলসা (বালসা) বাজার কফি হাউস,দেওয়ান ঘাসি বাবার মাজার নামে খ্যাত ঐতিহাসিক তিষিখালী মাজার,সিংড়া পয়েন্ট (নৌকা ঘাট)সহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান।”প্রিয় সলঙ্গার গল্প”নামে সংগঠনের আয়োজনে সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে শুক্রবার (২২ আগস্ট)বাদ জুমা শুরু হয় চলনবিল ভ্রমণ।”প্রিয় সলঙ্গার গল্প”র চীফ এডমিন শাহ আলমের উদ্যোগে ভ্রমণের গ্রুপ লীডার ছিলেন,সলঙ্গার জুম ইলেক্ট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী ও সংগঠনের সভাপতি কে.এম আমিনুল ইসলাম হেলাল। সলঙ্গা থেকে দলবদ্ধ হয়ে মোটর সাইকেল যোগে রওনা দিয়ে তাড়াশ ওয়াপদা বাধ হয়ে পশ্চিমে দিঘি সগুনা বাজার নৌকা ঘাটে যাই। তারপর পুর্ব নির্ধারিত ভাগা করা নৌকায় উঠে সবাই সবাই ভ্রমণ যাক্রা করি। কিছুদুর যেতেই দক্ষিনে নজরে পড়ে চলনবিলের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা তাড়াশ- নাদোসৈয়দপুর সাইটখাল ব্রীজ।চারদিকেই শুধু পানি আর পানি।চলনবিলের বিশাল জলরাশির মাঝে দেখা মেলে শুধুই ভ্রমণপিপাসুদের নৌকা। কেউ কেউ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন থেকে গ্রুপ হয়ে এসেছেন। আবার কেউবা স্বপরিবারে ঘুরতে এসেছেন।যান্ত্রিক এ যুগে পড়ন্ত বিকেলে গ্রাম বা শহর ছেড়ে একটু খোলামেলা আকাশে নির্মল বাতাস আর ধু ধু করা জলরাশির উপর বেড়াতে কার না মন চায়?বাতাসের তালে তালে ঢেউ খেলা নয়নাভিরাম জলরাশির উপর প্রকৃতির দেয়া সবুজ গালিচা বিছানো লতাগুল্ম সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর।ভ্রমণ পিপাসুদের প্রতিটি নৌকায় খাদ্যখানা, বক্সের ডিজে গান ও নাচে যেন ভ্রমণকারীদের মনের ক্লান্তি দুর প্রশান্তি জেগে উঠে।আমাদেরও মধ্যাহ্ন ভোজ হয় নৌকার মধ্যেই অতি আনন্দে। হাসি,আনন্দ,গল্প ও আলাপচারিতায় তিষিখালী মাজার, বিলসা,কুন্দইল ব্রীজ বেড়ানো হয়। সময়ের অভাবে সিংড়া স্পট (নৌকা ঘাট) বেড়ানো সম্ভব হয়নি।সময়ের ব্যবধানে সব কিছুই বিলীন হয়ে যাবে।কিন্ত প্রকৃতির দেয়া চলনবিলের ইতিহাস আর চোখ জুড়ানো অপরুপ দৃশ্য মনের মধ্যে জমা থাকবে।

  • গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবরের স্ত্রীর সংবাদ স-ম্মেলন

    গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবরের স্ত্রীর সংবাদ স-ম্মেলন

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. কে এম বাবরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী ডা. রাবেয়া বেগম।

    আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জ বড়বাজার পৌর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় জেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

    ডা. রাবেয়া বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত ২২ আগস্ট রাত ২টার দিকে আমার বাসায় যৌথবাহিনী আসে এবং পরে বিভিন্ন রুমে তল্লাশি করে। তল্লাশির সময় তারা আমার শাশুড়ির রুমের বাথরুমের কমোডের ফ্লাশের পানির মধ্য থেকে একটি দেশীয় পাইপ গান উদ্ধার করে।

    এ সময় যৌথবাহিনীর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আমি তাদের জানাই, আমি পেশায় একজন ডাক্তার। সকালবেলা বাসা থেকে বের হই, রাতে বাসায় ফিরি। আমার স্বামী গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি ধারণা করি—আমার স্বামীকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বা ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ কে বা কারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এমনটি করেছে। তাই আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এ ঘটরার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি জানাই।”

    সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের, সদস্য অ্যাডভোকেট এম এ আলম সেলিম, সদস্য এস এম তৌফিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দারা, সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপ্টন, সাধারণ সম্পাদক রাশেকুজ্জামান পলাশ, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গতঃ গত ২২ আগস্ট রাতে বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবরের বাসায় যৌথবাহিনী অভিযান চািয়ে বাসার বিভিন্ন রুম তল্লাশি করে এবং একপর্যায়ে তার মায়ের বাথরুমের কমোডের ফ্লাশের পানির মধ্য থেকে একটি দেশীয় পাইপ গান উদ্ধার করে। সে সময় বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবর বাসায় উপস্থিত ছিলেন না।

  • আমরা সবাই বাংলাদেশী, এর বাহিরে আমাদের আর কোন প-রিচয় নেই –এস এম জিলানী

    আমরা সবাই বাংলাদেশী, এর বাহিরে আমাদের আর কোন প-রিচয় নেই –এস এম জিলানী

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি।।

    কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, একটি স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যদিয়ে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি ভূখন্ড পেয়েছি। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মং, চাকমা, পাহাড়ী-সমতুলীসহ অনেক জাতি ধর্মের মানুষ বসবাস করে। এ সকল মানুষদের জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানে একটি বিষয় সংযোজন করে ছিলেন, সেটি হলো-আমরা সকলেই বাংলাদেশী, এর বাহিরে আমাদের আর কোন পরিচয় নেই।
    আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার পারকোনা শ্রীশ্রী গঁণেশ পাগল সেবাশ্রমে সনাতন ধর্মীয় একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    তিনি আরো বলেন, আমরা কখনো কাউকে সংখ্যালঘু হিসেবে গণ্য করিনা। আমার জীবনে আমি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। আমি সেবার ব্রত নিয়ে, সেবার মনমানসিকতা নিয়ে সারাদেশে মানুষের কল্যানে কাজ করছি। আমি আপনাদের ছেলে, সুখে-দুখে সকল সময়ে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

    শ্রীশ্রী গঁণেশ পাগল সেবাশ্রমে সভাপতি মাইকেল হিরোহিত বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রফেসর কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী দাড়িয়া, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান হাওলাদার বক্তব্য রাখেন।

    আলোচনা সভা শেষে এস এম জিলানী শ্রীশ্রী গঁণেশ পাগল সেবাশ্রম ঘুরে দেখেন ও ভক্তদের সাথে বসে প্রসাদ গ্রহণ করেন।

  • নতুন জাতীয় সংগঠন “‘তৃণমুল জনতা পরিষদ” এর আ-ত্মপ্রকাশ

    নতুন জাতীয় সংগঠন “‘তৃণমুল জনতা পরিষদ” এর আ-ত্মপ্রকাশ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।

    আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন নতুন জাতীয় সংগঠন  তৃণমুল জনতা পরিষদ। ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম-আলোকিত সমাজ 

    স্লোগান নিয়ে শনিবার (২৩ আগস্ট ২৫ইং) সকাল ১১রায়  গাজীপুরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হলিডে ক্যাফে  সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে  আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি। আলেম-উলামা, সাংবাদিক,  প্রকৌশলী, শিক্ষক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেশপ্রেমিক নাগরিকদের উদ্যোগে এ সংগঠন  গঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    নতুন এই সংগঠনের আংশিক নেতৃত্ব আত্মপ্রকাশ করা হয়েছে  তারা হলেন তৃণমূল জনতা পরিষদের-প্রধান উপদেষ্টা পদে বাংলাদেশ তৃর্ণমুল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি মীর সিরাজুল ইসলাম, আহবায়ক মাওলানা মিজানুর রহমান ভূগী, সদস্য সচিব মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল।  তৃর্ণমুল জনতা উলামা পরিষদে মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ খান ফেনী,মাওলানা রিদওয়ান আকন্দ জামালী,মুফতি আবু নাঈম কাসেমী কে উপদেষ্টা করে।  আহবায়ক মুফতি হযরত মাওলানা আবু হানিফা সিকদার,সিনিয়র  যুগ্ম আহবায়ক মুফতি আমিনুল ইসলাম আমিন,যুগ্ম  আহবায়ক মুফতি শফি উদ্দিন সিকদার, যুগ্ম আহবায়ক হাফিজ আলিম উদ্দিন,  সদস্য সচিব মুফতি হযরত মাওলানা শাহাদাত হোসেন,যুগ্ম সদস্য সচিব, হাফিজ মাওলানা হাবিবুর রহমান  পরবর্তীতে নির্বাচিত উক্ত নেতারা পরামর্শ করে  কমিটির অন্যান্য পদে সদস্য বৃদ্ধি করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সকলকে নিয়ে কাজ করবেন। 

    এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মিজানুর রহমান ভূগী  জানান, তৃণমুল থেকে শুরু করে সব নাগরিকের সমান অধিকার, ইনসাফভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

    গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন হলিডে রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাফে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান।

    হাফেজ মাওলানা হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানেের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী মাওলানা আবু হানিফা সিকদার।শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হাফেজ হযরত মাওলানা মিজানুর রহমান ভূগী। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুফতি শাহাদাত হোসেন ,মুফতি শফি উদ্দিন সিকদার,মুফতি মাহদী বিন রফিক,হাফেজ মোঃ মাহমুদুল হাসান,ইসহাক হোসেন উমামা,হাফেজ কারী মোঃ আলিম উদ্দিন, হযরত মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ খান, মুফতি আবু নাঈ কাসেমী, হযরত মাওলানা রিদওয়ান আকন্দ জামালী,মুফতি হযরত মাওলানা আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

  • জামায়াতে ইসলামীর বি-নামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প উ-দ্বোধন

    জামায়াতে ইসলামীর বি-নামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প উ-দ্বোধন

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর ৩নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে কালিয়াজুরি পিটিআই স্কুল প্রাঙ্গণে আজ সকাল ৯টায় বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সোহেল এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও মহানগর যুব বিভাগের সভাপতি কাজী নজির আহমেদ।

    অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহিবুর রহমান এবং পরিচালনায় ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী কাজী নজির আহমেদ।

    ক্যাম্পে শিশু বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ, চক্ষু চিকিৎসা, ডায়াবেটিস চেকআপ, ব্লাড গ্রুপিংসহ নানা চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া চোখের ছানি পড়লে বিনামূল্যে অপারেশন, চশমা ও ঔষধ বিতরণেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    এই মেডিক্যাল ক্যাম্পে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি, মর্ডান হসপিটাল ও এন.ডি.এফ ফোরাম কুমিল্লা।

  • লন্ডনের মাটিতে আরাফাত রহমান কোকো ক্রিকেট  টুর্নামেন্টএ কুমিল্লা বি-ভাগ চ্যাম্পিয়ন

    লন্ডনের মাটিতে আরাফাত রহমান কোকো ক্রিকেট টুর্নামেন্টএ কুমিল্লা বি-ভাগ চ্যাম্পিয়ন

    লন্ডন সূত্রে তরিকুল ইসলাম তরুন,
    ইংল্যান্ডের লন্ডনে জাতীয়তাবাদী দলের উদ্যাগে আয়োজন করা হয় বিভাগীয় এবং প্রস্তাবিত বিভাগ নিয়ে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।আর এই টুর্নামেন্ট এ ৮ টি বিভাগ অংশগ্রহণ করেন। কুমিল্লা ,চট্টগ্রাম , ঢাকা , সিলেট , রাজশাহী , ফরিদপুর , ময়মনসিং এবং খুলনা। নক আউট এই টূর্নামেন্টে প্রথম রাউন্ড এ কুমিল্লা বিভাগ সিলেট কে , সেমি ফাইনাল এ চট্টগ্রাম কে এবং ফাইনাল এ, ময়মনসিংহ কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এই প্রথম বারের মতো কুমিল্লা । এই টুর্নামেন্ট এ দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড় সহ ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারদের ছিল মিলন মেলা। উল্লেখ্য খেলোয়াড়দের মধ্যে অংশ নেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় মোঃসাব্বির রহমান , জহুরুল ইসলাম অমি , মোহাম্মদ আশরাফুল , এনামুল হক জুনিয়র , মোসাদ্দেক হোসাইন , আবু হায়দার রনি , আবু জায়েদ রাহি , মোহাম্মদ সাদমান , নাঈম ইসলাম সহ আরো অনেকে।

    কুমিল্লা দলের হয়ে খেলেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় মোঃ সাব্বির রহমান , জহুরুল ইসলাম অমি , আবু জায়েদ রাহি , ইংল্যান্ড কাউন্টি খেলোয়াড় আরাফাত ভূইয়াঁ এবং পর্তুগাল ন্যাশনাল দলের খেলোয়াড় সিরাজুল খাদেম নিপু।

    ফাইনাল ম্যাচ এ কুমিল্লা টস এ হেরে প্রথমে ব্যাটিং করেন। কুমিল্লা দলের ক্যাপ্টেন কুমিল্লার কৃতি সন্তান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের পুরাতন চৌধুরীপাড়া উত্তর গাংচরের বাসিন্দা মাথা :মিসেস জহুরা বেগম ও পিতা : কুমিল্লা সিডি হাসপাতালের সাবেক কর্মকর্তা যিনি ৩৬ বছর যাবত সুনামের সাথে কর্মরত আছেন মো. হাসান, তার দ্বতীয় পুত্র মোঃ আমিনুল ইসলাম সিহান। সিহানের দুর্দান্ত ৮০ রানের ঝড়োয়া ইনিংস এ ১৮ ওভার এর খেলায় ১৫৩ রানের টার্গেট দেন। জবাবে কুমিল্লা দলের বোলিং এর সামনে ময়মনসিংহের দল ১২১ রান এ অল আউট হয়ে যায়। সিরাজুল খাদেম নিপু এবং মুনিরুল ইসলাম এর স্পিন বলের কাছে হার মানতে হয় ময়মনসিংহের।

    আরাফাত রহমান কোকো টুর্নামেন্টটি , জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নেতৃত্বে এবং আরাফাত রহমান ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজন করা হয়। আগামী মাসে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে যেখানে উপস্থিত থাকবেন তারেক রহমান, নিজ হাতে কুমিল্লা বিভাগ দলের ক্যাপ্টেন এবং ম্যানেজার জুয়েল আহমেদ কে ট্রফি বিতরণ করবেন বিশস্ত সূত্রে জানা গেছে।