Blog

  • যৌ-থবাহিনীর অ-ভিযানে জ-রিমানা ও হাসপাতাল সি-লগালা 

    যৌ-থবাহিনীর অ-ভিযানে জ-রিমানা ও হাসপাতাল সি-লগালা 

    বাবুল হোসেন।
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ ও ক্লিনিকগুলোতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে যৌথবাহিনী ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেছে।

    রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে পৌরসভার বোদা মডেল মসজিদ সংলগ্ন কামাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। বোদা উপজেলা সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফরহাদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

    অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর সাহা, বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদমান সাকিব, বোদা থানার এসআই রবিউল ইসলামসহ যৌথবাহিনীর টহল টিম, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।

    এসময় কামাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ ও বিক্রি করার দায়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে না পারা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, ব্যবহৃত ইনজেকশন রাখায় এবং সেবার মানে অনিয়ম থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সিলগালা করা হয়।

    বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদমান সাকিব বলেন, “এ ধরনের অভিযানে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এখন থেকে আরো সতর্ক থাকবে। এতে সেবার মান বাড়বে এবং রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাবে।”

    সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর সাহা বলেন, “আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের স্বাস্থ্য ও ভোক্তার অধিকার রক্ষায় নিয়মিত বাজার ও ক্লিনিক মনিটরিং করা হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    বোদা উপজেলা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফরহাদ বলেন, “মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সুরমা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসেছি। এখানে রোগীদের মানসম্মত সেবা দেওয়া হয় না। পরিদর্শনে আমরা যে চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি, তার প্রায় সবই মেয়াদ উত্তীর্ণ— এমনকি ২০২২ সালের প্রোডাক্টও ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু শাস্তি দেওয়া নয়, বরং ব্যবসায়ী ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে সচেতন করা, যাতে তারা আইন মেনে সেবা প্রদান করে এবং জনগণ প্রতারিত না হয়।”

    অভিযান চলাকালে এলাকাবাসী যৌথবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং নিয়মিত এমন কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানান।

  • ঢাকায় মিরর ম্যাগাজিন ও ভেনাস লেকভিউ সিটির উদ্যোগে সাউথ এশিয়ান বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাডওয়ার্ডস প্রদান

    ঢাকায় মিরর ম্যাগাজিন ও ভেনাস লেকভিউ সিটির উদ্যোগে সাউথ এশিয়ান বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাডওয়ার্ডস প্রদান

    ।।এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    মিরর ম্যাগাজিনের ২৩তম প্রকাশনা উৎসব এবং ভেনাস লেকভিউ সিটি-২৩তম সাউথ এশিয়ান বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান ২৩ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁও লিঙ্ক রোডের আলোকী কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন খাতের ৬৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তাদের পেশাগত ও সামাজিক অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।

    মিরর ওয়ার্ল্ডের সিইও এবং বাংলাদেশ চায়না ক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহজাহান ভূঁইয়া রাজু অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে সকল অতিথিকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই পুরস্কারের মাধ্যমে আমরা সেইসব পেশাদার ও উদ্যোগী মানুষকে সম্মানিত করতে চাই, যারা নিজেদের কাজের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছেন। তাদের সাফল্য অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।”

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান। তিনি তার বক্তব্যে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য পেশাগত দক্ষতা অপরিহার্য। প্রতিটি পেশাজীবীর উচিত নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিরন্তর চেষ্টা করা।”

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ হাফিজ উদ্দিন এবং এফবিবিসিআই-এর সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর সিকদার প্রমূখ। তারা তাদের বক্তব্যে সমাজে যার যার অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

    এবারের অ্যাওয়ার্ডে বিজনেস ক্যাটাগরিতে ৩০ জন এবং ওটিটি ক্যাটাগরিতে ৩৫ জন মোট ৬৫ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। পাবনার কৃতি সন্তান, ঢাকার ইমপালস হাসপাতালের পরিচালক ও দুবলিয়া সেকেন্দার-লুৎফা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ লুৎফুল কবীর খান দুলাল সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদান ও পেশাগত দক্ষতায় সম্মাননা লাভ করেন। একইসাথে, ঢাকার কনকর্ড রিয়েল এস্টেটের নির্বাহী পরিচালক মোঃ এনামুল হকও বিজনেস ক্যাটাগরিতে সম্মাননা অর্জন করেন।

    সম্মাননা প্রাপ্তির পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ডা. লুৎফুল কবীর খান দুলাল এবং মো. এনামুল হক আয়োজক সংস্থা ও কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন। তারা জানান, এই সম্মাননা তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে আরও ভালোভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করবে।

    অনুষ্ঠানের শেষে একটি মনোজ্ঞ ফ্যাশন শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে বিভিন্ন পেশা ও ক্ষেত্রের বিশিষ্টজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মিডিয়া কর্মী, এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিস বৃষ্টি। এই ধরনের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান সমাজে পেশাগত দক্ষতা ও সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দেয়, যা অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে।

  • গোদাগাড়ী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙন

    গোদাগাড়ী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙন

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের আষাড়িয়াদহ, চর বয়ারমারী, চর নওশেরা, হবুপাড়া, জামাইপাড়া, দিয়ার মানিকচক এবং
    চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দেবীনগর, হড়মা গ্রামে ব্যাপক হারে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মানুষ কোন কিছু সরানোর সুযোগ পাচ্ছে না। প্রতিবছর বন্যার পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন শুরু হয় এবারও ব্যতিক্রম হয় নি।

    যুগে যুগে পদ্মার ভাঙন নিঃস্ব করেছে শত সহস্র মানুষকে। অতীতের সেই দুর্বিষহ স্মৃতি যেন কঠিন বাস্তবতা হয়ে আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে ভাঙন কবলিত মানুষের ঘরে। ফলে শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করার তাগিদ জানাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয়রা।

    বৃষ্টি আর ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎই আগ্রাসী রূপে পদ্মায় স্রোতের সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। আগেই আশঙ্কা করেছিল নদী পারের বাসিন্দারা – প্রত্যেক বছরের মতো এবারও গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিবে তীব্র ভাঙন। সেই শঙ্কা সত্যি করে কিছুদিন ধরে প্রবল স্রোতের কারণে উপজেলার পদ্মাপাড়ের চর আষাড়িয়াদহ, চর বয়ারমারী, চর নওশেরা, হবুপাড়া, জামাইপাড়া, চর দিয়ার মানিকচকসহ আশপাশের এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ধান, পাট, ভুট্টাসহ মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার, পানিতে তলিয়ে গেছে এক হাজার বিঘা জমির ফসল।

    চর আষারিয়াদহা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে পদ্মায় তবে গত চার থেকে পাঁচ বছর যাবত প্রচুর পরিমাণ ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির সহ বহু স্থাপনা । নদী ভাঙ্গনের ফলে বহু মানুষ তাদের ভিটেমাটি ও সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
    তিনি আরও বলেন আমাদের জমি যায়গা যদি পদ্মায় বিলিন হয়ে যায় তাহলে আমরা যারা কৃষক, শ্রমিক দিনমজুর কোথায় ফসল উৎপাদন করবো,আমরা খাবো কি, কোথায় মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবো। তাই আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করে বলছি আমাদের চর অঞ্চলের মানুষকে,জমিনকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করুন এবং দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ যেন শুরু করেন।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন নতুন বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। বিশেষ করে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের ১নং ও ২ নং ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিনের সাজানো সংসার চোখের সামনে মুহূর্তেই নদীতে বিলীন হতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকেই।

    ভাঙনের ভয়ে অনেক পরিবার গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গোদাগাড়ীর অভ্যন্তরীণ গ্রামগুলোতে চলে গেছে। সেখানে তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বা অস্থায়ী আশ্রয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রায় দের যূগ ধরে প্রতিবছর বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয় এবারও ব্যাতিক্রম হয় নি। তবুও এই জনপদ অঞলে হয়নি এখনও স্থায়ী বাঁধ।

    পদ্মা নদীর ভাঙন একটি গুরুতর সমস্যা যা গোদাগাড়ী চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে। ভাঙনের কারণে অনেকে তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ফসলি জমি হারাচ্ছে।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করে এসেছি।
    তাদের পাশে আমরা সব সময় আছি।
    ২০ টন জিআর চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, প্রচুর শুকনা খাবার আছে। যাদের ঘর, বাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা অনুয়ায়ী টিন দেয়া হবে। একইসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম ভোলা বলেন, প্রতিদিনই নদী ভাঙ্গন বন্যা তীব্র হচ্ছে, ১ হাজার বিঘা জমির মৌসুমী ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। আমরা ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র করেছি সেখানে লোকজনকে যাওয়ার জন্য বলেছি। কিছুটা বন্যা কমেছে, ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের পাশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে ত্রান দিয়ে গেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ।

    গোদাগাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একে এম মোমিনুল হকের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করে মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    এ দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, দুই একদিনের মধ্যে চলতি বন্যায় আলাতুলি ইউনিয়নের চর আলাতুলি, আলাতুলি ও কোদালকাঠি পাড়া ও নারায়নপুর ইউনিয়নের সেফালি পাড়া, কারেন্ট চর দেবীনগর,এগারো রশিয়া, উত্তর পাড়ায় ৫৫০ পরিবারের মাঝে ১৫ কেজি চাল বিতরন করা হবে। এছাড়া ১৫০ পরিবারকে ১০ কেজি চাল,তেল,লবন, চিনিসহ অন্যন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হয়েছে।।

    প্রতিদিনই ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের মুখে অনেকেই বাড়িঘর সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার আলাতুলি, চরআষাড়িয়াদহ, পোল্লাডাঙ্গা, নারায়ণপুর।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • বরিশাল এয়া-রপোর্ট থানার নতুন ওসি মোঃ আল-মামুন উল ইসলাম

    বরিশাল এয়া-রপোর্ট থানার নতুন ওসি মোঃ আল-মামুন উল ইসলাম

    বরিশাল (বাবুগঞ্জ) প্রতিনিধঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এয়ারপোর্ট থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছেন মোঃ আল-মামুন উল ইসলাম। তিনি এর আগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের CTSB সি আই ওয়ান শাখায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    অন্যদিকে সাবেক অফিসার ইনচার্জ জাকির শিকদারকে বদলি করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত করা হয়েছে।

    এদিকে নবাগত ওসি মোঃ আল-মামুন উল ইসলামকে বরিশাল বাবুগঞ্জ বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেছেন, তার নেতৃত্বে এয়ারপোর্ট থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।

  • বাগেরহাটে ৪টি আসন ব-হালের দা-বিতে জেলায় হর-তাল ও সড়ক অ-বরোধ, অচ-ল যোগাযোগ ব্যবস্থা

    বাগেরহাটে ৪টি আসন ব-হালের দা-বিতে জেলায় হর-তাল ও সড়ক অ-বরোধ, অচ-ল যোগাযোগ ব্যবস্থা

    এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ প্রতি নিধি: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলেরবাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা জুড়ে সড়কপথ অবরোধ ও হরতাল শুরু হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সময় আজ রবিবার(২৪ আগস্ট) সকাল ৮টায় খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা মোংলা মহাসড়কের ফয়লা, মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ জেলার অন্তত দশটি স্থানে সড়কের উপর গাড়ি ও বেঞ্চ রেখে অবরোধ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। এতে বাগেরহাট জেলার অন্য সকল স্থানের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা স্বতস্ফূর্তভাবে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন।

    বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামাতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আমরা গেল ৩০ জুলাই তিনটি আসনের প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকে বাগেরহাটে আন্দোলন করে আসছি। কখনো সংবাদ সম্মেলন, কখনো রাজপথ অবরোধ আবার নির্বাচন অফিসে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এরপরেও নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাব থেকে ফিরে আসেনি। যার কারণে আমরা আজকে সর্বত্র অবরোধ ও হরতালের ডাক দিয়েছি। জেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাদের দাবির স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে হরতাল ও অবরোধ সফল করছেন। কোন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। মোংলা বন্দর এলাকারও বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ। আশা করি নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি মেনে নিবে। তা না হলে এর থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

    গেল ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রস্তাব দিলে জেলা সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই প্রস্তাব বাতিল ও চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

    আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

  • রায়গঞ্জে শিশু সোয়া মনি হ-ত্যা মা-মলায় জ-ড়িত দুই আ-সামী গ্রে-ফতার

    রায়গঞ্জে শিশু সোয়া মনি হ-ত্যা মা-মলায় জ-ড়িত দুই আ-সামী গ্রে-ফতার

    এম এ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    ভিকটিম শিশু সোয়া মনি ওরফে সূচনা (০৮), পিতা-মোঃ সুমন হোসেন (গত প্রায় তিন বছর যাবৎ কুয়েত প্রবাসী), সাং-মীরের দেউলমুড়া, ডাকঘর-হাট পাঙ্গাসী, থানা-রায়গঞ্জ, জেলা-সিরাজগঞ্জ। ভিকটিম সূচনা মীরের দেউলমুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২০/০৮/২০২৫ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে আশপাশসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পায় না। একই তারিখ বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় বসত বাড়ীর পূর্ব পাশে জনৈক মোঃ সানোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত শাহজাহান আলীর বাড়ির দিকে স্থানীয় লোকজনের চিৎকার শুনে ভিকটিম সূচনার পরিবারের লোকজন এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান যে ভিকটিম শিশু মোছাঃ সোয়া খাতুন ওরফে সূচনার লাশ সানোয়ারের বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেটের মধ্যে পরে আছে। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা ভিকটিম শিশু মোছাঃ সোয়া খাতুন ওরফে সূচনাকে মাথায় ও কপালে গুরুতর রক্তাক্ত যখন প্রাপ্ত করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য টয়লেটের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন। এসংক্রান্তে ভিকটিম শিশু মোছাঃ সোয়া খাতুন ওরফে সূচনা’র দাদা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থাকায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
    সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ ফারুক হোসেন মহোদয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব মোঃ নাজরান রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিরাজগঞ্জ সার্কেল (অতিরিক্ত দায়িত্বে রায়গঞ্জ সার্কেল) এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ একরামুল হোসাইন, পিপিএম এর তত্বাবধানে ডিবির এসআই(নিঃ)/মোঃ নাজমুল হক, বিপিএম ও এসআই(নিঃ)/ অনুপ কুমার সরকার, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জসহ ডিবি অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম গঠন করেন। চৌকস এই টিম তথ্য প্রযুক্তি ও নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিকতার কারণে হত্যাকান্ড সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে সনাক্তপূর্বক আসামী মোঃ মনিরুল ইসলাম জিহাদ(২১) ও মোছাঃ আতিয়া পারভীন (২৭)’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 
    গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের মধ্যে আসামী মোঃ মনিরুল ইসলাম জিহাদ ঘটনার বিষয়ে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

  • ফ্যা-সিবাদ কা-য়েমকারীদের বি-চার বাংলার মাটিতে হবে : কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

    ফ্যা-সিবাদ কা-য়েমকারীদের বি-চার বাংলার মাটিতে হবে : কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু
    পাবনা প্রতিনিধিঃ

    যারা দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। তিনি পাবনাবাসীর প্রতি ধানের শীষের সকল কর্মর্সূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, যেখানে ধানের শীষের মিছিল হবে, র‌্যালি হবে স্লোগান হবে আপনারা সেখানে অংশগ্রহণ করবেন। যারা গত সতেরো বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ধানের শীষকে বিজয়ী করার মাধ্যমে তারা মূল্যায়িত হবেন।

    যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, যারা দেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম করেছে, ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে ইনশাল্লাহ।

    শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে পাবনার চাটমোহরে ধানের শীষের পক্ষে গণমিছিল শুরুর প্রাক্কালে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, পাবনা-৩ এলাকা থেকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত এমপি প্রার্থী জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন।

    তিনি আরো বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। যারা বিভেদপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন আশা করি।

    আমরা উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মী একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করব। আপনারা বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নির্দেশ মানবেন আশা করি।
    শনিবার বিকেলে পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ধানের শীষের পক্ষে গণমিছিল শুরু হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর সদরের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ গণমিছিলে অংশ গ্রহণ করেন।

    মিছিলটি পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

    এসময় চাটমোহর পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আরশেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা, অধ্যক্ষ এম এ মাহমুদ, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম কালু, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল করিম তারেক, স.ম আতাউর রহমান তোতা, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোন্তাজ আহম্মেদ, মূলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লিখন বিশ্বাস, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক লিটন বিশ্বাস, বিএনপি নেতা আবু হানিফ, শাহাদত হোসেন, আব্দুল জব্বার, মোতালেব হোসেন, যুবদল নেতা জাবেদ মোল্লা,
    ছাত্রদল নেতা ফুলচাঁদ হোসেন শামীমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু, পাবনা ।।

  • বাকৃবিতে  BAS-USDA এর ৬ষ্ঠ পর্যায়ের প্রা-রম্ভিক ক-র্মশালা অনুষ্ঠিত

    বাকৃবিতে BAS-USDA এর ৬ষ্ঠ পর্যায়ের প্রা-রম্ভিক ক-র্মশালা অনুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স(BAS) এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার(USDA) এর যৌথ অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সিস্টেম(বাউরেস) এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি গবেষণা সহায়তা কর্মসূচীর ৬ষ্ঠ পর্যায়ের প্রারম্ভিক কর্মশালার উদ্বোধনী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০.০০টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এর ফেলো ও সেক্রেটারি প্রফেসর ড. হাসিনা খান এবং বাকৃবির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো: সামছুল আলম।বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এর ফেলো মেজর জেনারেল(অব:) প্রফেসর ড. এএসএম মতিউর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী প্রফেসর ফাতেমা-তুজ জোহরার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড.জাভেদুর রহমান ভূঁইয়া, সহযোগী পরিচালক(বাউরেস)।এছাড়াও বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের মুল্যবান বক্তব্য প্রদান করেছেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া শুরুতে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে ২০২৪ সনের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে যারা দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিবন্ধক রাজনৈতিক বাঁকগুলো সহজিকরণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য জীবনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং যারা আহত হয়েছেন অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি BAS-USDA এর ৬ষ্ঠ পর্যায়ের এই কর্মশালায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-গবেষকবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
    এই কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট গবেষক, নীতিনির্ধারক বা অংশীদারদের একত্রিকরনের মাধ্যমে কাজের পরিকল্পনা, দায়িত্ব বন্টন এবং বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে এমন আশাবাদ প্রকাশ করে তিনি বলেন , বাকৃবির যে সমস্ত শিক্ষক- গবেষক এখানে সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদের বিজ্ঞানের প্রতি নেশা বিজ্ঞান অনুসন্ধিৎসু মন সমাজ তথা দেশের কল্যাণে ব্যয় হবে এমনটাই প্রত্যাশিত। বাকৃবির গবেষকবৃন্দ ভবিষ্যতে যেন আরো BAS-USDA সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পেতে পারে সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
    উল্লেখ্য, কৃষি ও বিজ্ঞান খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগীতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর, কো-প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

  • সাবেক সহ সম্পাদকের মৃ-ত্যুতে গৌরনদী প্রেসক্লাবের শো-ক সভা

    সাবেক সহ সম্পাদকের মৃ-ত্যুতে গৌরনদী প্রেসক্লাবের শো-ক সভা

    কে এম সোয়েব জুয়েল,
    গৌরনদী প্রতিনিধি।
    স্বৈরাচার সরকারের দোসরের বিরুদ্ধে সংবাদ লিখে সামরিক আদালতের মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি সাংবাদিক ঐতিহ্যবাহি গৌরনদী প্রেক্লাবের সাবেক সহ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী হাওলাদার (এইচ এম এস আলী’র) মৃত্যুতে গৌরনদী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শোক সভা ও মিলাদ গৌরনদী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে শনিবার বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয়। গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক খোন্দকার মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বরণ সভায় বক্তব্য রাখেন গৌরনদী প্রেসক্লাবের প্যানেল আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া, সদস্য বদরুজ্জামান খান সবুজ, মনিশ চন্দ্র বিশ্বাস,মোঃ খায়রুল ইসলাম, মোঃ শাহিন প্রমূখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি গৌরনদী কলেজ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন খান।

  • আদালতের রায় অ-মান্য করে জমির মালিক কে বিএনপি নেতার হু-মকি

    আদালতের রায় অ-মান্য করে জমির মালিক কে বিএনপি নেতার হু-মকি

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি :

    ৭০ বছর ধরে বেদখলে থাকা পৈত্রিক জমি আদালতের নির্দেশে উদ্ধার করেও শান্তি পাচ্ছেন না রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার এক দরিদ্র বৃদ্ধ। জমি ফিরে পাওয়ার দিনই হামলার শিকার হন তিনি। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকিতে কাটছে তাঁর ও পরিবারের প্রতিটি দিন।
    তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের খোর্দ বেলাইচন্ডী সর্দারপাড়া গ্রামের ৬৮ বছর বয়সী মো. আব্দুল জব্বার জানান, তাঁর দাদা জমির উদ্দিনের রেখে যাওয়া ৬৮ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, যাদের মধ্যে বিএনপি নেতা মশিউর রহমান ওরফে কালুয়া অন্যতম।
    জমি উদ্ধারে পরিবারটি একাধিক প্রজন্ম ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিল। ২০১৫ সালে আব্দুল জব্বার মামলার বাদী হন। মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেন এবং জমি ফেরতের নির্দেশ দেন। এরপর গত ১৩ জুলাই রংপুর জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, তারাগঞ্জ থানা পুলিশ ও আদালতের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জমি দখলমুক্ত করে তাঁর হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
    তবে জমি বুঝে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্বৃত্তরা তাঁর ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই হামলার হুমকি পাচ্ছেন তিনি ও তাঁর পরিবার।
    অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি নেতা মশিউর রহমান (কালুয়া) ও তার অনুসারীরা আব্দুল জব্বারকে হুমকি দিয়ে বলছে, ‘তুই জমি নিছস, এবার তোকে শেষ করুম’। এমন হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তারাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জব্বারের মেয়ে জেসমিন আক্তার।
    জেসমিন বলেন, “প্রতিপক্ষরা আমাদের রাস্তাঘাটে আটকিয়ে ভয় দেখায়। পুলিশের সামনেই মারতে আসে। কোথায় যাবো, কী করবো— কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।”
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দখলদাররা দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল জব্বার ও তাঁর পরিবারের উপর নানা অত্যাচার চালিয়ে এসেছে। থাকার মতো জায়গা না থাকায় পরিবারটি খড়ের ছাউনিতে ১০ হাত একটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকতো। গোসল করতো সেচ ক্যানেলে, প্রাকৃতিক কাজ সারতো ঝোপে। অন্যের নলকূপের পানি ব্যবহার করে চলতো তাদের জীবন।
    আব্দুল জব্বার বলেন, “আদালতের রায় অনুযায়ী জমি পেয়েছি। প্রশাসনের উপস্থিতিতে দখলও নিয়েছি। এখন তারা আবার জমিতে যেতে দিচ্ছে না। আমার পরিবারের জীবন হুমকির মুখে। সরকার ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।”
    তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
    এ ঘটনায় রাজু, জামাল উদ্দিন ওরফে টোল্লা, দুলু, খোকন সরদার, রেজাউল হোসেন, রফিক আলী, চন্টু, কালা মিয়া, জিকরুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম, আরজিনা বেগম, দুলালী বেগম, রফিকা বেগম, মশিউর রহমান ওরফে কালুয়া, লাল বাহাদুর, মাসুদ ও আফেজা বেগমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
    মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের পরও যদি ভুক্তভোগীরা জমিতে নিরাপদে থাকতে না পারেন, তবে তা রাষ্ট্রের আইনি কাঠামোর উপর সরাসরি আঘাত। দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।