Blog

  • ‎গৌরনদীতে ডে-ঙ্গু  ও বা-ল্যবিবাহ প্র-তিরোধে সচেতনতা ক্যাম্পেইন

    ‎গৌরনদীতে ডে-ঙ্গু ও বা-ল্যবিবাহ প্র-তিরোধে সচেতনতা ক্যাম্পেইন

    কে এম সোয়েব জুয়েল,
    গৌরনদী প্রতিনিধি।
    ‎গৌরনদীতে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহের কুফল বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় গৌরনদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষার্থীরদর নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‎গৌরনদী উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেন মানুষ মানুষের জন্য যুব সংগঠন।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরনদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল কান্তি। ‎এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি, তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো সচেতনতা। আমাদের প্রত্যেকের ঘরবাড়ি, আঙিনা ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। সামান্য অসচেতনতাই বড় বিপদের কারণ হতে পারে। ‎অন্যদিকে, বাল্যবিবাহ শুধু একটি মেয়ের শৈশব কেড়ে নেয় না, তার শিক্ষাজীবন, শারীরিক স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। এ কুফল থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হলে পরিবার ও সমাজের সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।” ‎অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি ও বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, ‎তিনি তার বক্তব্যে বলেন “ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষকে সচেতন করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো প্রচার-প্রচারণা। গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো সমাজে এ বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, আর সাধারণ মানুষকে এগিয়ে এসে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”
    ‎‎অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভিন, গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডাক্তার গৌরব মজুৃমদার, সাংবাদিক সোলায়মান তুহিন, গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস এর সাব অফিসার মো. মাহবুব আলোম প্রমুখ। ‎অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগতিক বক্তব্য দেন মানুষ মানুষের জন্য যুব সংগঠনের সভাপতি মো. শামিম সরদার। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম লিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ সরদার, সহ-সভাপতি জাহিদ বেপারীসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‎এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন গৌরনদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা। ‎অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলেজের প্রভাষক মাসুদ করিম। শুরুতে পবিত্র কুরআন ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়।

  • কেক কেটে উদ্বোধন- মোনাজাতে দোয়া—সিআরএফের নতুন অফিসে প্রাণের সূচনা

    কেক কেটে উদ্বোধন- মোনাজাতে দোয়া—সিআরএফের নতুন অফিসে প্রাণের সূচনা

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম (সিআরএফ) নতুন যাত্রায় পা রাখল নিজস্ব অফিস নিয়ে। আন্দরকিল্লার ১২৭ মোমিন রোডস্থ মেহেরুন টাওয়ারের তৃতীয় তলায় কেক কাটা ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয় ফোরামের নতুন কার্যালয়ের।

    ফোরামের সভাপতি কাজী আবুল মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে অফিস উদ্বোধন করেন। এ সময় নবীন-প্রবীণ সাংবাদিকদের মিলনমেলায় জমজমাট হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠানস্থল।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হাসান মুকুল। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা মুরাদ।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক সজল চৌধুরী, মোহন মিন্টু, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, ভুপেন দাস, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, মনিরুল ইসলাম পারভেজ, আবুল কাশেম সরোজ, তানভীর আহমেদ, হাসান মুরাদ, এস এম পিন্টু, সরোয়ার আমিন বাবু,মোঃ শহিদুল ইসলাম,রোজী চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জাকারিয়া হোসেন, আশ্রাফ আহমেদ প্রমুখ।

    সভাপতি কাজী আবুল মনসুর বলেন, “উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে,সাংবাদিকদের মানোন্নয়নই হবে ফোরামের অন্যতম কাজ। মানসম্পন্ন রিপোর্ট তৈরিতে সাংবাদিকরা যে সমস্যার মুখোমুখি হন, তা সমাধানে সিআরএফ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

    তিনি আরও জানান, সাংবাদিকদের কল্যাণ ও উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, যাতে তরুণ সাংবাদিকরা পেশায় দৃঢ় হতে পারেন।

    অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে নতুন অফিসের শুভযাত্রা ঘোষণা করা হয়। এরপর মোনাজাতে সাংবাদিক সমাজ ও সংগঠনের অগ্রগতি কামনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কামরুল হুদা।

  • চারঘাটে জেন্ডার স-চেতনতা ও স-হিংসতা প্র-তিরোধ বিষয়ক প্র-শিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    চারঘাটে জেন্ডার স-চেতনতা ও স-হিংসতা প্র-তিরোধ বিষয়ক প্র-শিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯ টায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ও এমআইপিএস প্রকেল্পের সহযোগিতায় ‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’ এই স্লোগান ধারণ করে উপজেলার ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ (ওয়াইপিএজি)-এর সদস্যদের নিয়ে দিনব্যাপী জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ফরহাত আলাউদ্দিন মডেল স্কুলের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রশিক্ষণটি উদ্বোধন করেন চারঘাট  পিএফজি’র অ্যাম্বাসিডর এর সাধারণ সম্পাদক সনি আজাদ।

    প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এমআইপিএস প্রকল্পের রাজশাহী এরিয়া কো-অর্ডিনেটর শফিকুর রহমান ও ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর রোকনুজ্জামান আহমেদ।

    প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জেন্ডার সচেতনতা, সহনশীলতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সামাজিক সম্প্রীতি ও সংঘাত প্রতিরোধ বিষয়ক নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

    প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহাদাতুজ্জামান রিমন, মৌসুমী দাস, পিন্টু আলী, নাহিদ ইসলাম শুভ, আঁখি, বন্যা, বৃষ্টি, সাগর, সজল, মকুল, আকাশ, রোমানা, ফাহিম প্রমুখ।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক-সদস্য সচিবের বিরু-দ্ধে সংবাদ স-ম্মেলন

    নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক-সদস্য সচিবের বিরু-দ্ধে সংবাদ স-ম্মেলন

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    নলছিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল পৌর শাখার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সুমন ও সদস্য সচিব সোহেল খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুরে নলছিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. সজিব দেওয়ান।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে আটটি কমিটি গঠন করা হলেও দীর্ঘ আড়াই বছরে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিটি করতে ব্যর্থ হন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্দেশে গত ২২ আগস্ট ওই কমিটি ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।

    সজিব দেওয়ান অভিযোগ করেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল প্যদা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে থানায় জিআর মামলা (নং ১৬/২৯) রয়েছে এবং তিনি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারও হয়েছেন। এছাড়া সদস্য সচিবের পদ নাকি ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে।

    অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আহ্বায়ক সুমনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী চুরি, এমনকি নদীপথে জাহাজ আটকে মালামাল লুটপাটের মতো অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে সদস্য সচিব সোহেলের বিরুদ্ধেও নলছিটি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা (নং ১৩) রয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো জানান, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সংগঠনে অরাজকতা ও অসংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। দলীয় পদ-পদবি দেওয়ার কথা বলে তারা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এবং ভিন্নমত প্রকাশ করলে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যে ১৬ জন আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব লিখিতভাবে জেলা কমিটির কাছে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।

    তারা আরও অভিযোগ করেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল এসব বিষয়ে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি। এ অবস্থায় তারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বিষয়টি পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।

    পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা দাবি করেন, অবিলম্বে ঘোষিত ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করতে হবে এবং ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। অন্যথায় তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সুমন ও সদস্য সচিব সোহেল খানের বহিষ্কার দাবি করেন।

  • তানোরে গ-লায় ফাঁ-স দিয়ে এক ব্যক্তির আত্মহ-ত্যা

    তানোরে গ-লায় ফাঁ-স দিয়ে এক ব্যক্তির আত্মহ-ত্যা

    আলিফ হোসেন
    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর তানোরে পারিবারিক কলহের জের ধরে আহাদ আলী (৩০) নামে এক সন্তানের জনক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত ২৪ আগস্ট রোববার দুপুরে তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) বিলশহর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত আহাদ আলী একই গ্রামের সাম মোহাম্মদ আলীর পুত্র। নিহতের স্ত্রী ও ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
    এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।#

  • সুজানগরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমা-পনী

    সুজানগরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমা-পনী

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ অভয়াশ্রম গড়ে তুলি দেশি মাছে দেশ ভরি’Ñএই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনার সুজানগরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
    উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খানের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ জাহিদ হোসেন,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামীম হোসেন, উপজেলা সমবায় অফিসার দেলোয়ার হোসেন বিদ্যুৎ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতের উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, সরকারি প্রণোদনা ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির কারণে মাছ উৎপাদনে সুজানগরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় মৎস্যজীবীসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    এম এ আরিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সুজানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি হারুন মোল্লার পঞ্চম মৃ-ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দো-য়া মাহফিল

    সুজানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি হারুন মোল্লার পঞ্চম মৃ-ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দো-য়া মাহফিল

    এম এ আলিম রিপন, সুজানগর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সুজানগর উপজেলা শাখা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সুজানগর উপজেলা শাখার সাবেক সফল সভাপতি হারুনর রশিদ (হারুন মোল্লার) পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার বাদ আছর সুজানগরের বিভিন্ন মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    সুজানগর মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম মোল্লা, পৌর বিএনপির ঋণ ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বাবু মোল্লা, পৌর যুব দলের আহবায়ক আনোয়ার মোল্লা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নবী মোল্লা, আব্দুল লতিফ মোল্লা, এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মোহাম্মদ হাসিবুল সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ দোয়া মাহফিলের শরিক হন।দোয়া পরিচালনা করেন সুজানগর উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আরিফ বিল্লাহ।

    স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা জানান,এই ত্যাগী ও মেধাবী নেতা হারুন মোল্লা ছিলেন পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের ভাদুরডাঙ্গী গ্রামের কৃতি সন্তান। মেধাবী ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক গণতন্ত্রের বাহক হিসেবে রাজনীতি করেছেন সুজানগর উপজেলায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে।

    তিনি শুধু ছাত্রদল, যুবদলের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন গণ মানুষের নেতা। তিনি খুব সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতেন। কোন অহংকার বা লোভ লালসা তার মাঝে ছিল না। এমন একজন মাটির মানুষ, যার মাঝে কোন লোভ ছিল না। তাই হয়তো তিনি আজো জন্মস্থান প্রিয় চরতারাপুর সহ সুজানগররের সর্বস্তরের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার মানুষ হিসেবে বিরাজ করছেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।

  • র‌্যাব-১২ এর অ-ভিযানে  মূল্য-বান কষ্টি পাথরের তৈরি মূর্তিসহ ২ জন পা-চারকারী গ্রে-ফতার

    র‌্যাব-১২ এর অ-ভিযানে মূল্য-বান কষ্টি পাথরের তৈরি মূর্তিসহ ২ জন পা-চারকারী গ্রে-ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

    র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে উল্লাপাড়া থানা এলাকা হতে মূল্যবান কষ্টি পাথরের তৈরি মূর্তিসহ ২ জন পাচারকারী গ্রেফতার।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় গত ২৩ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ,সন্ধ্যা ১৯.১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানাধীন ৩ নং উধুনিয়া ইউপির অন্তর্গত পশ্চিম মহেশপুর সাকিনস্থ পলাতক আসামি মিরাজ ফকির এর পূর্ব দুয়ারী টিনের বসত ঘরে” একটি অভিযান পরিচালনা করে মূল্যবান কষ্টি পাথরের তৈরি মূর্তি যাহার ওজন ৩১.৫৪০ (একত্রিশ দশমিক পাঁচশত চল্লিশ) কেজি, যাহা দৈর্ঘ্য ২৪ (চব্বিশ) ইঞ্চি (মুর্তির পা হতে মাথা পর্যন্ত ১২ ইঞ্চি লম্বা) এবং প্রস্থ ১২ (বারো) ইঞ্চি উদ্ধার সহ ০২ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ১। মোঃ শাহিন আলম (৩০), পিতা- মোঃ আলমাছ আলী, সাং- নওগাঁ (মধ্যপাড়া), ২। মোঃ আমিরুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত শফিজ উদ্দিন, সাং-শ্রীকৃষ্ণপুর (উত্তর পূর্ব পাড়া), উভয় থানা-তাড়াশ, জেলা-সিরাজগঞ্জ।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আসামিদ্বয় মূল্যবান কষ্টি পাথরের তৈরি মূর্তি নিজ হেফাজতে রেখে বাংলাদেশ হইতে বিদেশে পাচারের কথা স্বীকার করে।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে বৈ-ষম্য থেকেই যা-বে?

    জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে বৈ-ষম্য থেকেই যা-বে?

    হেলাল শেখঃ বাংলাদেশ কোথায় ছিলো? পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিভক্ত-আলাদা করে “১৯৭১ইং সালে মু্ক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীনতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের মাঝে কি বৈষম্য থেকেই যাবে? বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন থেকে ২০২৪ ও ২০২৫ইং চলমান পরিস্থিতি কেমন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে তার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চাওয়া পাওয়ার হিসাব চলছে, জাতি জানতে চায় নতুন বাংলাদেশে বৈষম্য কি থেকেই যাবে???
    “১। প্রজাতন্ত্র-বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে পরিচিত”। ২। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা-প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তভুর্ক্ত হইবে। ১৯৭১ সালের পর চলমান ঘটনার আড়ালে অনেক রহস্য। ১৭ বছর আগের পুলিশ প্রশাসন ও বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা। দেশে সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসনসহ বেশিরভাগ মানুষ এখন সততার সাথে কাজ করছেন, সৎ ও সাহসীকতার সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে সবাই সহযোগিতা করা দরকার বলে মনে করেন অনেকেই। আপনারা জানেন যে, বর্তমান সময়ে সাংবাদিকদের দায়িত্ব এবং ভুমিকা কি? এ নিয়ে আলোচনায় পরে আসি।
    বাংলাদেশের ইতিহাসঃ তথ্য সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, তথ্যসূত্র-কমপিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড এর ৮৭নং পাতা। যার ডাকে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তিনিও আজ আমাদের মাঝে নেই। এখন আমরা স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে পথ চলছি, একবারও কি তাদের আত্মার মাফেরাতের জন্য আমরা দোয়া করি? সবাই সবার জন্য দোয়া করা দরকার, এই দেশ আপনার আমার সবার, তাই কেউ আমরা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। ১৯৭১ সালে যারা শহীদ হয়েছেন আনুমানিক ৩০ লাখ মানুষ আর দুই লাখ মা বোনের ইজ্জত হারিয়েছেন। ২০২৪ইং ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনা দেশে থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে বা পরে ৩২০০ পুলিশ সদস্য ও ৬ শতাধিক ছাত্র-জনতার অকালে মৃত্যু হয়েছেন, এখনও মানুষ নিরাপদ নয় বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।
    বিশেষ করে আপনার আমার বা আমাদের পরিবার, সমাজ, দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষা করতে আমাদেরকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যে জাতি যতো সচেতন হবেন-সেই জাতি ততই উন্নতির দিকে যাবেন। আমরা কেউ কারো হিংসা ও নিন্দা না করি, বিবাদ সৃষ্টি না করি, যার যে কাজ ওই কাজের দায়িত্ব সঠিকভাবে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করবো। আমরা দুইদিনের মেহমান, আজ আছি, আগামীকাল হয়তো থাকবো না। খারাপ কাজ করা সহজ কিন্তু ভালো কোনো কাজ করে দেখাই যে, এই কাজটি আমরা মানবতার কল্যাণে করেছি। ভালো কিছু করতে বেশি অর্থ লাগেনা, ভালো মন মানুষিকতা হলেই চলে। হে মানুষ তোমার সবকিছুরই চাহিদা আছে সত্য কিন্তু যৌবনের চাহিদা আর পেটের খাবারের চাহিদা না থাকলে কোনো কাজ করার দরকার হইতো না। যৌবন মানব জীবনের এক শ্রেষ্ট সম্পদ তাকে অস্বীকার করা যায় না, দেহগত যৌবন আর মানুষিক যৌবন একরকম নয়। যৌবন অস্থায়ী আর মানুষিক আত্মার অভাব হলে সেই মানুষটি ভালো হতে পারবেন না। আমরা যে মানুষ, যে ধর্ম পালন করি না কেন, একদিন বিচারকের সামনে হাজির হতেই হবে। আমরা অন্যের জন্য সবকিছু করছি, নিজের জন্য কি সঞ্চয় করলাম তা কেউ ভাবছেন? বুঝতে পারলে সেই বুদ্ধিমান।
    মানুষের জন্মের পর ধর্ম-কর্ম নিয়ে মানুষের জীবন। কারো মনে কষ্ট দিয়ে বা কারো ক্ষতি করে কেউ কি লাভবান হওয়া যায়? আসুন আমরা সত্যের সন্ধ্যানে মানবতার কল্যাণে কাজ করি। বাংলাদেশের মানুষ আমরা আমাদের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। অবশ্যই আইন মেনে কাজ করতে হবে, সেজন্য সচেতন মহল ও সাংবাদিকদেরকে বেশি বেশি আইনের বই পড়তে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান মানতে হবে। সংবাদকর্মী বা সাংবাদিক হলে তার আগে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়তে হবে। প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট মিডিয়াতে প্রকাশ করতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই পড়তে হবে। জনগণের নাগরিক সমস্যা আছে কি-না তা সচেতন মহলকে দেখতে হয়। বাস্তবতা অনেক কঠিন, আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন? আমাদের সবার জন্য সঞ্চয় দরকার, তবে সেই সঞ্চয় অর্থ বা সম্পদ নয়। সবকিছুরই হিসাব দিতে বাধ্য হবেন সবাই, আকাশের দিকে থুথু ফেললে নিজের শরীরে পড়তে পারে তাই সাবধানে চলতে হবে। ১৭ বছর আগের পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিক আর বর্তমান সময়ের পুলিশ প্রশাসন একরকম নয়। ২০২৫ইং চলমান পরিস্থিতি যেমনই হোক দেশে ধর্ষণ বাড়ছে, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বাড়লেও তবে হত্যার সংখ্যা কম আর রাজনৈতিক জটিলতা বাড়তে শুরু করেছে-বাকিটা ইতিহাস। দেশের মানুষ কেমন আছেন তা জাতি জানতে চায় আর সবক্ষেত্রে কি বৈষম্য দূর হয়েছে? এমন কেউ বলতে পারেন যে, বৈষম্য থেকেই যাচ্ছে। দেশ কারো বাবার সম্পদ নয় এই দেশ প্রায় ১৮ কোটি জনগণের, আর সেই জনগণের দুহাই দিয়ে সবাই রাজনৈতিক বক্তব্য দেন কিন্তু জনগণের চিন্তা কে করেন??।

  • বিএনপির নাম ভা-ঙিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবা-জি ও বাড়ছে ভ-য়ংকর অ-পরাধমূলক ক-র্মকাণ্ড

    বিএনপির নাম ভা-ঙিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবা-জি ও বাড়ছে ভ-য়ংকর অ-পরাধমূলক ক-র্মকাণ্ড

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অস্ত্র বিক্রিসহ চরমপন্থী বাহিনী সক্রিয় হয়ে ছিনতাই, ডাকাতি, খুন ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। সেই সাথে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও “সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্স্েরপ্রস” নামসহ একাধিক আইডি বা পেইজ তৈরি করে বিএনপির শীর্ষ নেতার ছবি দেউয়ালে রেখে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সূত্র জানায়, এই সিন্ডিকেট বাহিনীর প্রধান ঢাকার আশুলিয়ার রাজু গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ ও সায়েব আলী আঃ জলিলসহ কিছু আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীসহ অনেকেই এখন জামায়াতে ইসলাম, বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পি ও মুন্না, সাব্বির আহমেদ ওরফে সাইকো সাব্বিরসহ কয়েকজন গ্রেফতার হলেও এই চক্রের অনেকেই এখনো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করলে কেচু খুঁজতে সাপের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
    গতকাল জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা ও গাজীপুর মাসড়কসহ বিভিন্ন স্পটে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে যানবাহন ও ফুটপাতে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে।-গাজীপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এবার চাঁদাবাজদের চাঁদা নেয়া বন্ধ করতে হবে। আশুলিয়ায় যুবলীগ ও যুবদলের নেতাদের নামে পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলের অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় আশুলিয়ায় মানববন্ধন করেছেন বিএনপির পৃথক একটি পক্ষ। উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার সাভার আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুরের কাশিমপুর, রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন মহাসড়ক ও শাখা রাস্তার ফুটপাতে এবং ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিক্সাসহ ফিটনেসবিহীন বিভিন্ন যানবাহন থেকে নামে বে-নামে বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে একটি মহল কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করলে কেঁচো খুঁজতে সাপের সন্ধান পাওয়া জেতে পারে বলে অনেকেই জানান। অথচ সরকার এসব সেক্টর থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ব্যাটারি চার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ অপচয় করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
    জানা গেছে, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আগে যেখানে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতো একটি মহল সেখানেই এখন বিএপি’র নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখল করছে। ঢাকা জেলার সাভারের আমিনবাজার-আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং আশলিয়ার বাইপাইল-টঙ্গী সড়কের জামগড়া, ছয়তলা, ইউসুফ মার্কেট ও নরসিংহপুর-কাশিমপুরসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে একাধিক লাইনম্যান প্রতিটি অটোরিক্মা থেকে ২০ টাকা করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে। জানা যায়, এই চাঁদাবাজির সাথে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার দালালরা কাজ করে। অনেকেই সড়কের দুইপাশে মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করছে, প্রতিদিন একটি দোকানের চকির চাঁদা ১০০ থেকে ২০০টাকা নেয়া হয়। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয় যানবাহন থেকে এবং ফুটপাতসহ বিভিন্ন সরকারি জমি ও রাস্তা দখল করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদাবাজি নিয়ে চাঁপাবাজি করছে একটি মহল আবার গত সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ইং তারিখে আশুলিয়ার বাইাইলে বিএনপির একটি পক্ষ মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মানররন্ধন করেছেন চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে।
    মহাসড়কসহ বিভিন্ন রোডে অবাধে চলছে অবৈধ অটোরিকসা গাড়ি-সিএনজি, মাহিন্দ্রা, তিন চাকা গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করা হয়। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় যানবাহন থেকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জানা গেছে, পুরাতন আশুলিয়া থেকে জিরাবো, নরসিংহপুর, সরকার মার্কেট, জামগড়ার ছয়তলা, ইউনিক, নবীনগর থেকে জিরানী পর্যন্ত সড়কে এবং নবীনগর থেকে পাটুরিয়া, আরিচা মহাসড়কে বাসগুলো থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। (সূচনা, দেশ মাটিসহ বিভিন্ন পরিবহণ সেক্টর থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়)। অন্যদিকে দেখা যায়, কার আগে কে যাবে আর স্টাফদের সাথে মারামারি লেগেই থাকে, অসাবধানতায় গাড়ি চালায় ১৪-১৭ বছরের কিশোর। ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি। সাভার ও নবীনগরের ফুটপাত হকারদের থেকে দখলমুক্ত করা হলেও বেশিরভাগ এলাকায় এখনও ফুটপাত দখল করে জমজমাটভাবে চলছে ব্যবসা বাণিজ্য। লাইসেন্সবিহীন যানবাহন থেকে কিছু দালাল ও হাইওয়ে কিছু পুলিশ সদস্য মোটা অংকের চাঁদাবাজি করে থাকে বলে অনেকেই জানায়। মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে গাড়ি পার্কিং দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করা সরকার নিষিদ্ধ করলেও কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কেন জাতি জানতে চায়। পুলিশ ও গাড়ির মালিক সমিতি কতর্ৃক চাঁদাবাজদেরকে প্রতিটি গাড়ি হতে ১০০০-২৫০০/ টাকা চাঁদা দিতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন (টিআই) অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বিআরটিএ কতর্ৃপক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ সঠিক ভাবে করতে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিন্তু প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ না করে অবৈধভাবে বিশৃঙ্খলার মধ্যে অবৈধ যানবাহন চলছে সড়কও মহাসড়কের সর্বত্র। ফলশ্রুতিতে জনগণ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আর সরকার সারাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিষটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনায় আনতে বিশেষভাবে সবিনয় বিনীত অনুরোধ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল করতে সক্ষম হলে বাংলাদেশের জনগণ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লোকের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা আসবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ অনেক বেশি আসবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং বেকার সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবে সরকার। মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা খুঁজে পাবে এবং নিরাপদ সড়ক বিনিমার্ণে এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। সেই সাথে সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি।
    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ ও বাইপাইল, ইউনিক, জামগড়ার ছয়তলা ও সরকার মার্কেটসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কথা থানা পুলিশের, শুধু নবীনগরসহ কিছু এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করলেও বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে, কোনো ভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য, হাইওয়ে পুলিশ ও আশুলিয়ার নরসিংহপুরে মোঃ সুমন ওরফে মাহিন্দ্রা সুমন, শ্রীপুরের বাবুলসহ কয়েকজন দালাল চাঁদাবাজ কতর্ৃক তিন চাকা গাড়ি- প্রতি একটি গাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে চাঁদা আদায় করছে, পুরাতন আশুলিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা উঠায়, তা মোটা অংকের বলে অনেকেই জানায়। সেই সাথে রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা বিভিন্ন ফুটপাতে চাঁদা আদায় করে। কিছু ফুটপাতের দোকানদার ব্যবসার আড়ালে চাঁদা উঠায় এমন অভিযোগও রয়েছে। সূত্র জানায়, দেশের অন্যদিকে সিলেট সদরের আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক থেকে প্রতি বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা। এদিকে ভৈররের বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতি বছর ১কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চাঁদাবাজরা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা একদিকে যানবাহন থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে, অন্যদিকে ফুটপাত থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিরপুর বিভিন্ন সড়ক ও বেঁড়িবাঁধ থেকেও ব্যাপক চাঁদাবাজি করা হয়। শুধু বেড়িবাঁধ থেকেই চাঁদা নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয়নি তারা, কার্গো জাহাজ ভেড়ানোর জন্য তৈরি করেছে ল্যান্ড ষ্টেশনও। সেখানে মালবাহী ট্রাক লোড-আনলোডের ক্ষেত্রেও ইচ্ছেমতো চাঁদা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কতর্ৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ল্যান্ড ষ্টেশন থাকলেও অদৃশ্য কারণে তৈরি ল্যান্ড ষ্টেশনই ব্যবহার করা হচ্ছে।
    ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল থেকে জিরানী বাজার পর্যন্ত এবং ভাদাইল, ইউনিক বাজার, শিমুলতলা, ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া চৌরাস্তা-ছয়তলা, নরসিংহপুর, জিরাবো, পুরাতন আশুলিয়া পর্যন্ত সড়কের রাস্তার দুইপাশে ফুটপাত দখল করে স্থাপনা তৈরি করে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে প্রভাবশালী মহল। সেই সাথে উক্ত এলাকায় গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। জানা যায়, বিভিন্ন ক্রাইম স্পট থেকে কিছু পুলিশকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা চাঁদা উঠিয়ে দেয় এড়িয়াভিত্তিক মার্কেটের মালিক পক্ষের লোকজন। সচেতন মহল ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সাভার, আশুলিয়ার সড়ক ও মহাসড়কে এবং তুরাগপাড়ের বেড়িবাঁধের রাস্তার উপরের দুপাশে বিভিন্ন দোকান, লেগুনা ষ্ট্যান্ড বসিয়েও চাঁদাবাজি করে আসছে প্রভাবশালী মহল। জানা যায়, বছরের পর বছর উল্লেখ্য এলাকার মানুষজনকেএকপ্রকার জিম্মি করেই অবৈধ কর্মকান্ড করে আসছে প্রভাবশালীরা। চাঁদাবাজ চক্রের সাথে কিছু রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছে বলেও অনেকেই জানান। রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড হয়ে দারুসসালাম থানা রোড ও থানার সামনে দিয়ে ছোট সরু রাস্তা থেকে কিছু দূর গেলেই তুরাগ নদীর পাড় এলাকাটির নাম ছোটদিয়াবাড়ী । তুরাগ নদীর এ পাড়ের অংশ ছোট দিয়াবাড়ী, উপরের অংশ কাউন্দিয়া। এই পারের অংশের বাম দিকে গাবতলী আর ডান দিকে বেড়িবাঁধ রাস্তা। যা আশুলিয়া ও উত্তরার দিকে চলে গেছে। তুরাগের বাঁধঘেষা ছোট দিয়াবাড়ী মোড়টিকে পুঁজি করেই চক্রটি মূলত বিশাল চাঁদাবাজির ক্ষেত্র গড়ে তুলেছে। দেখা যায়, বাঁধ সংলগ্ন রাস্তাটি বেশ চওড়াই কিন্তু দুপাশে দখলের কারণে এটি ছোট হয়ে এসেছে। দুপাশের অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট বড় শত শত দোকান। দারুসসালাম রোড থেকে বাঁধে উঠার সংযোগ সড়কের দুপাশের রাস্তা দখল করে বাঁশের আড়ৎ দেওয়া হয়েছে। এককালীন লাখ টাকা, পরে ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানিরা বলেন, তারা জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন হাজি জহিরের কাছ থেকে। তারা বলেন, এককালীন হিসেবে প্রায় লাখ খানেকের মতো টাকা দিয়েছেন আর প্রতি মাসে ১০হাজারের মতো টাকা ভাড়া দেন। হাজী জহির এর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলেন, একদল গেছে, আর একদল আসছে চাঁদাবাজিও বাড়ছে।
    মানিকগঞ্জ জেলা ডিবি ও ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের একাধিক সাব-ইন্সপেক্টর বলেন, এর আগে সড়কে গাড়িতে চাঁদাবাজির সময় কয়েকজনকে আটক করা হলেও আদালত থেকে তারা জামিনে এসে আবারও চাঁদাবাজি করছে। ঢাকা জেলার সাভার ট্রাফিক জোনের একজন অফিসার বলেন, আগের চেয়ে পরিবেশ অনেকটা ভালো, সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাভারে ফুটপাত দখলমুক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, অবৈধ গাড়ি রোডে বেশি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হয়, তবে মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অটো রিক্সা, মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ তিন চাকা গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এখন থানা পুলিশ এ বিষয়ে দেখবেন। আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায় অভিযান চলমান রয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা রোড ও ঢাকা টাঙ্গাইল রোডে ছিনতাই এবং বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল। সামনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা উক্ত বিষয়টি আমলে না নিলে দলের বদনামসহ চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সচেতন মহলের দাবী। এদিকে চাঁদাবাজি নিয়ে চাঁপাবাজির সাথে এসবের সাথে জরিতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করছেন বিএনপির একটি পক্ষ। তাহলে আসল চাঁদাবাজদের কেন আটক করা হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়।
    এর আগে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান মাইকিং করে বলেন, আমি নতুন আসছি তারপরও শতাধিক অপরাধীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, মাদক, জুয়া, দেহব্যবসা, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী খুনি অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করতে সবার সহযোগিতা চাই। সেই সাথে উক্ত এলাকাগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রকৃত দোষীরা যেন কেউ আইনের ফাঁকফুঁকোর দিয়ে বের হতে না পারে এর জন যা করা দরকার তাই করতে হবে এবং চাঁদাবাজরা যেন আর চাঁদাবাজি না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে বলে সচেতন মহলের দাবী।#