Blog

  • ইউএনও জিন্নাত শ-হীদ পিংকির মেধা-দক্ষতায় পাল্টে যাচ্ছে জামালপুর সদরের দৃ-শ্যপট

    ইউএনও জিন্নাত শ-হীদ পিংকির মেধা-দক্ষতায় পাল্টে যাচ্ছে জামালপুর সদরের দৃ-শ্যপট

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জামালপুর জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড কে তরান্বিত করার পাশাপাশি তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র-অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন বহুবার। তিনি জামালপুর সদরে যোগদানের আগে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সফলতার সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে তিনি উপজেলার প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন মেধা ও দক্ষতার সাথে।

    জিন্নাত শহীদ পিংকি বর্তমানে জামালপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি তার সততা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন এবং নাগরিক সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহায়তা প্রদান করে নিজেকে একজন জনবান্ধব ও মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি সেবাগ্রহীতাদের ধৈর্য ধরে কথা শোনেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করেন। মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গরিব, অসহায় ও অতিদরিদ্র মানুষের বাড়িতে গিয়ে সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহায়তা প্রদান করে ‘মানবিকতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সেই সাথে প্রশাসনিক দক্ষতা হিসাবে তার সততা ও কর্মদক্ষতার কারণে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্রের আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে।

    জামালপুর সদরে যোগদানের পর থেকে সার্বক্ষণিক সেবামূলক কাজ করে মানবিক ইউএনও হিসেবে উপজেলাবাসীর নিকট পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হন। নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে লাগে না কোন অনুমতি। ইচ্ছা করলে যে কেউ তার অফিসে বিনা-অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারেন। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি কারণে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উপজেলায়,ইভতিজিং,মাদক,খাবার হোটেল, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, নিষিদ্ধ চায়না দুয়ার, রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল, লোকাল ট্রাক চলাচল, অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন; অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য তাঁর রয়েছে বিশেষ নজরদারি। রাস্তাঘাট নির্মাণ, সরকার কর্তৃক বরাদ্দ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে রয়েছে তার বিশেষ সুনাম।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসা করে অনেকেই বলেন, শত বছর বেঁচে থাকুক মানবিকতার এমন মহৎ মানুষটি। জামালপুর সদরে দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও লেখাপড়া খরচ দেওয়ারও দৃষ্ঠান্ত রয়েছে অনেক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আমি প্রচেষ্ঠা করে যাচ্ছি মাত্র।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিন্নাত শহীদ পিংকি জামালপুর সদরে যোগদানের পর থেকে উপজেলার
    বাঁশচড়া ইউনিয়ন এর বটতলা এলাকায় প্রতিবেশীর গোরস্থান সংলগ্ন পরিত্যক্ত জংগলে বসবাস করা অসহায় ভূমিহীন বিধবা আছিয়া বেগমের খোজ নিয়ে তার চাওয়া অনুযায়ী তার জন্য একটি গরুর ব্যবস্থা করাসহ তার ঘর করার জন্য টিন, নগদ টাকা ও কয়েকমাস এর খাবারের বন্দোবস্ত ও করা,তুলসীপুর বাজার টু জামাতলী বাজারের জনবহুল রাস্তাটির গার্লস স্কুলের পাশের অংশে রাস্তা ভেঙ্গে বিশাল গর্ত হয়ে জান ও জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাটির সংস্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা, প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়াকে উপহার হিসেবে অটোরিকশা প্রদান,উপজেলার রওজাতুল উলুম এতিমখানা, (দড়িহামিদপুর, রানাগাছা) এতিমখানার শিশুদের মাঝে কলম, খাতা, জ্যামিতি বক্স,ছাতা বিতরণ,
    নান্দিনার দড়িহামিদপুর এতিমখানার শিশুদের
    শিক্ষা উপকরণ বিতরণ,উপজেলার প্রতিবন্ধীসহ অসহায় মানুষের খোজ খবর নিয়ে তাদের মাঝে
    ঈদ উপহার হুইল চেয়ার প্রদান করে দৃষ্টান্তমূলক নজির স্হাপন করা,শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে খোজ খবর নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে শিশুদের ফিরিয়ে এনে বিদ্যালয়ে ভর্তি করা,সামাজিক ব্যাধি হিসাবে পরিচিত এবং শিশুর বিকাশে চরম বাধা শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়েকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার মত বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কাজে উল্লেখ্য যোগ্য ভূমিকা রেখে উপজেলাবাসীর কাছে একজন মানবিক ইউএনও হিসেবে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন।

  • রাইস মিলের ব-র্জ্যে ভূগ-র্ভস্থ পানি দূ-ষণ

    রাইস মিলের ব-র্জ্যে ভূগ-র্ভস্থ পানি দূ-ষণ

       

     
    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি : শহরের জালাসী এলাকায় মিলের বর্জ্য নির্গত করে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণের অভিযোগ উঠেছে তানিম অটো রাইস মিলের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার নলকূপের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মিল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    গত ২৫ আগস্ট রাইস মিলটির স্বত্বাধিকারী মো. জিন্নাহ বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান পরিবেশ অধিদপ্তরের পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়।নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী।

    মো. ইউসুফ আলী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, রাইস মিল থেকে নির্গত তরল বর্জ্য সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানিতে নির্গত করার মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের নলকূপের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে – এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। নোটিশে মিল মালিকের কাছে ৭ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যথায়, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিল সংলগ্ন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এখন বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। ৮০-৯০ ফিট গভীরের নলকূপ থেকেও দুষিত পানি বের হচ্ছে। মিল কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় চুপ রয়েছেন স্থানীয়রা। অনেকেই বাধ্য হয়ে নতুন করে আরো গভীর বোড়িং-এর নলকূপ বসাচ্ছেন। তবে এই বর্জ্য নির্গত দমন না করলে দ্রুতই আরো গভীরে পৌঁছাবে বলে দাবি স্থানীয়দের।

    রাইস মিলের পাশেই আইনজীবী মাহমুদ আল মামুন হিমুর বাড়ি। তিনি বলেন, তরল বর্জ্য সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানিতে নির্গত হওয়ায় আশপাশের নলকূপ গুলোর পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। আগে আমরা যে পানি খেতাম, এখন সেটা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে দূরের এলাকা থেকে পানি আনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পানি দুষনের কারণে স্বাচ্ছন্দে গোসল করা যায় না, ত্বকের সমস্যা হবার আশঙ্কা থাকে। রান্নার জন্যও এখন আর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যায় না। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে এখানকার মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।

    এ বিষয়ে তানিম অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মো. জিন্নাহ বলেন, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার। আমি চিঠি পেয়েছি, জবাব দিবো।

    পরিবেশ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী বলেন, মিল থেকে নির্গত বর্জ্যে পানি দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য মিল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

    তারা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • উল্লাপাড়ায় মাছ চাষের পুকুর জো-রপুর্বক দখ-লে নেওয়ার চে-ষ্টা

    উল্লাপাড়ায় মাছ চাষের পুকুর জো-রপুর্বক দখ-লে নেওয়ার চে-ষ্টা

    এম এ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পারকুল গয়হাট্রা গ্রামে চাঁদা না পেয়ে ক্রয় করা মাছ চাষের পুকুর জোরপুর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে কতিপয় দুবৃর্ত্তরা। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে পুকুর মালিক মোঃ মামুন রানা, আলী আহম্মদ, শাহীন আলী, সিদ্দিকুল ইসলাম ও আব্দুস ছাত্তার তাদের যৌথ মালিকানাধীন পুকুরে মাছ চাষের জন্য পোনা ছাড়তে গেলে একই গ্রামের শামছুল আলম ভোলার ছেলে সোহেল রানা জীবনের নেতৃত্বে ৪/৫ জন যুবক পুকুরে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে জীবন গং পুকুর মালিকদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। এ সময় পুকুর মালিক শাহীন আলী (৫৫) ও আব্দুস সাত্তার (৬৫) নামের দুই ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    পুকুর মালিক মামুন জানান, গত ২৬ নবেম্বর-২০২৪ ইং তারিখে পারকুল মৌজার ১০৮ জে এল নম্বরে ২৫-১০৩৭ খতিয়ানে ১২০০, ১২০১ ও ১২০২ দাগে ৯৬ শতাংশ ভুমি যৌথ মালিকানায় প্রকৃত মালিকদের নিকট থেকে রের্কডমুলে ক্রয় করি। এরপর থেকেই জীবন গংয়েরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত বুধবার সকালে ক্রয়কৃত পুকুরে মাছ চাষের জন্য পোনা ছাড়তে গেলে জীবন সহ আরো কয়েকজন যুবক পুকুরে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা এলোপাতাড়ি কিল ও ঘুষি মেরে জমির মালিক শাহীন এবং সাত্তারকে আহত করে। এ সময় আহতদের চিৎকারে আশেপাশের লোক এগিয়ে এলো তারা পালিয়ে যায়।

    মামুন আরও জানান, আমরা সিএস, এসএ এবং আরএস রেকর্ড মুলে বৈধ কাগজে জায়গা ক্রয় করে দখলে রয়েছি। তারা জোরপূর্বক আমাদের জায়গা বেদখল দিতে চায়। আজকের এই ঘটনায় আমরা আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

    প্রত্যদর্শি গ্রাম্য প্রধান হাফিজুর রহমান জানান, সকালে পুকুরের মালিক মামুন ও অন্য অংশীদারেরা মাছের পোনা ছাড়তে গেলে তাদের সাথে জীবন গংদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে লোকজন এগিয়ে এসে উভয় পক্ষকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

  • কোটালীপাড়ায় শ্রেণিকক্ষে দুর্গ-ন্ধে ২০ শিক্ষার্থী অসু-স্থ, হাসপাতালে ভর্তি -৮ 

    কোটালীপাড়ায় শ্রেণিকক্ষে দুর্গ-ন্ধে ২০ শিক্ষার্থী অসু-স্থ, হাসপাতালে ভর্তি -৮ 

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    শ্রেণিকক্ষে চলছিল পাঠদান। এরই মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের নাকে আসে তীব্র দুর্গন্ধ, যা কিনা অবিকল কীটনাশকের গন্ধের মতো। আর এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২০ শিক্ষার্থী। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাৎক্ষনিক ছুটি দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

    স্থানীয় বাজারের পল্লী চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে ১০/১২ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেয়। এছাড়া অসুস্থ হয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।

    আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল আনুমানিক ৯ টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নারকেল বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়া ৮ শিক্ষার্থীকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

    হাসপাতালে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, নারকেল বাড়ি গ্রামের রিপন বৈদ্যের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ঝিলিক বৈদ্য (১৪), রফিকুল ইসলামের ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ খন্দকার (১২), সুরঞ্জন বৈদ্যের মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি (৯), বদরতলা গ্রামের অবির বাড়ৈর মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ঝুমা বাড়ৈ (১৩), হাজরাবাড়ি গ্রামের মাখন লালের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রোদেলা (১৪), ভূতের বাড়ি গ্রামের লুৎফর মীরের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রিয়ান্তা মীর (১৬) ও ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রিতা হালদার (১৪)। 

    ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুপ্রিয়া খানম (১২) নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১ম পিরিয়ড শেষে আমাদের তখন ২য় পিড়িয়ডে গণিত ক্লাস চলছিলো। ক্লাস শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হঠাৎ করে জানালা দিয়ে একটা বিষাক্ত গন্ধ আসে। মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। দ্রুত সবাই ২য় তলা থেকে নিচে নেমে স্কুল মাঠে চলে আসি। এরই মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    নারকেল বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরী দেরাবতী বলেন, আমি পাশের ভবনে রাউন্ডে ছিলাম হঠাৎ হৈ চৈ শুনে ছুটে আসি। দেখি সবাই ছোটাছুটি করছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক দুলাল মধু জানালে ক্লাসে কীটনাশকের মতো গন্ধ আসায় সবাই বাহিরে চলে এসেছে। তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের চারিদিকে অনুসন্ধান করে গন্ধের উৎস খুঁজেও কোন কিছু পাওয়া যায় নাই। সাথে সাথে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

    কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস বলেন শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের অবজারবেশনে রেখেছি। দুর্গদ্ধে হয়তোবা আতংকিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে ভয়ের কোন কারন নেই।

  • কোটালীপাড়ায় পুকুর থেকে প্রতিব-ন্ধী যুবকের লা-শ উ-দ্ধার

    কোটালীপাড়ায় পুকুর থেকে প্রতিব-ন্ধী যুবকের লা-শ উ-দ্ধার

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    গেপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিজ বাড়ির পুকুর থেকে প্রদীপ সরকার (৪০) নামক এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বটবাড়ি গ্রামের মৃত ক্ষিতিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে।

    গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে পুকুর ঘাটে হাত মুখ ধৌত করতে গিয়ে অসাবধানবসত পানিতে পড়ে ডুবে যায় প্রদীপ। অনেক খোঁজাখুঁজির করে তাকে না পেয়ে পুকুরে জাল ফেলে তার মৃত দেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (ডিবি) প্রধান হিসেবে নিযু-ক্ত হওয়ায় অভি-নন্দন

    ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (ডিবি) প্রধান হিসেবে নিযু-ক্ত হওয়ায় অভি-নন্দন

    হেলাল শেখঃ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্ব ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (ডিবি) প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এর পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

    জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কৃতি সন্তান ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সৎ, দক্ষ, মেধাবী, কর্মঠ ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা। মো: শফিকুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৮তম বিসিএস এ বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।

    শফিকুল ইসলাম (শফিক) কর্মজীবনের শুরুতে ২০০০ সালে লক্ষীপুর জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে সেখানে দক্ষতার সাথে ৯ মাস দায়িত্ব পালনের পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনে এ্যাসিসটেন্ট পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে ২ মাস কর্মরত ছিলেন শফিকুল ইসলাম। সেখান থেকে ২০০২ সালে তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তে যোগদান করেন। ডিবিতে ২০০৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ৫ বছর কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি সারদা পুলিশ একাডেমিতে ২মাস এ্যাডিশনাল এসপি (ট্রেনিং) এ দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৭ সালের জুন মাসে জাতিসংঘ মিশনে লাইবেরিয়া’তে চলে যান। মিশন থেকে এসে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হোন। তিনি ২০১০ সালে আবারও জাতিসংঘ মিশনে লাইবেরিয়া যান। ২০১৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন এ পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে তিনি ৩য় বারের মতো জাতিসংঘ মিশনে আইভরি কোস্ট এ যান। আইভরি কোস্ট থেকে মিশন শেষ করে পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের এসপি’র দায়িত্ব পান। ২০২১ সালে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ নৌ-পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি (এ্যাডমিন এন্ড অপারেশনস) হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরপর তিনি বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশে ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। এখন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গোয়েন্দা ডিবি প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।

    জনাব শফিকুল ইসলাম অপরিসীম বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৭ সালে (পিপিএম) এবং ২০২০ সালে (বিপিএম) পদক লাভ করেন।

    ব্যক্তিগত জীবনে মো: শফিকুল ইসলাম শফিক ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম সুমাইয়া পারভীন। তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষের অহংকার, পুলিশ বাহিনীর গর্ব।

  • শিবপুরে তিন প্রেমি-কের হাত ধরে পা-লালো একই পরিবারের ৩ মেয়ে, এলাকায় চা-ঞ্চল্যকর সৃষ্টি

    শিবপুরে তিন প্রেমি-কের হাত ধরে পা-লালো একই পরিবারের ৩ মেয়ে, এলাকায় চা-ঞ্চল্যকর সৃষ্টি

    হেলাল শেখঃ নরসিংদী জেলার শিবপুরে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, তিন প্রেমিকের হাত ধরে পালালো একই পরিবারের ৩ মেয়ে, সম্পর্কে তিন চাচাতো বোন।

    স্থানীয়রা জানান, শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের একই পরিবারের তিন চাচাতো বোন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেমিকদের হাত ধরে পালিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বোনের প্রত্যেকের বয়স ১৫-১৬ বছর। তাদের প্রেমিকদের বাড়ি একই ইউনিয়নের আক্রাশাল, কুন্দারপাড়া ও শ্রীফুলিয়া গ্রামে। খবরটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা- সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়রা নিখোঁজ তিন বোনের সন্ধানে তৎপরতা চালাচ্ছে।

    এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে কি না, জানতপ চাইলে থানা পুলিশ জানায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিন ভিকটিমের কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি বলে তাদের পরিবারের দাবি।

  • নাঙ্গলকোটে প্রত্যয় সংগঠনের উদ্যোগে বৃ-ক্ষরোপণ কর্মসূচি

    নাঙ্গলকোটে প্রত্যয় সংগঠনের উদ্যোগে বৃ-ক্ষরোপণ কর্মসূচি

    মোঃ আব্দুর রহিম বাবলু :-
    কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আজ বৃক্ষরোপণ প্রত্যয় সংগঠনে উদ্যোগে ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার নাঙ্গলকোট খানকায়ে মুহিব্বিয়া দীনিয়া মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছ।
    বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যয় সংগঠনের সহ-পরিচালক আব্দুল মান্নান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাকিম , সহ প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবলু,সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আলী , প্রবাসী সদস্য ফয়সাল ইসলাম,নাঙ্গলকোট খানকায়ে মুহিব্বিয়া দীনিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নিজাম উদ্দিন সহ মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে মসজিদ নি-র্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন- ডিসি গোপালগঞ্জ

    সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে মসজিদ নি-র্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন- ডিসি গোপালগঞ্জ

    কে এম সাইফুর রহমান, 
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

    আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে তিনি সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর এর উদ্বোধন করেন। গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে উক্ত কলেজ ক্যাম্পাসে এ মসজিদ নির্মাণ হবে বলে জানা গেছে।

    এ সময় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ওহিদ আলম লস্কার, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ মোঃ মহব্বত আলী, গোপালগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম তারেক সুলতান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রহমান সহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষকগণ ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • রহমতপুরে ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিন্টু, সম্পাদক কামাল নি-র্বাচিত

    রহমতপুরে ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিন্টু, সম্পাদক কামাল নি-র্বাচিত

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন রহমতপুরের গুরুত্বপূর্ণ ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে খানপুরা আলীম মাদ্রাসায় এ কর্মী সভা বসে।

    সভায় এলাকার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এতে ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান মিন্টু এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন কামাল সিকদার।

    কর্মী সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় সংগঠনকে শক্তিশালী ও সক্রিয় রাখতে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নতুন সভাপতি ও সম্পাদক তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্ডে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করবেন।

    নির্বাচিত সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু ও সম্পাদক কামাল সিকদার নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তারা দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

    কর্মী সভায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।