Blog

  • আশুলিয়ায় কু-খ্যাত কিশোর গ্য-াং লি-ডার ইয়ার হোসেন ও সোনা মিয়াসহ ৬ জনকে আ-টক

    আশুলিয়ায় কু-খ্যাত কিশোর গ্য-াং লি-ডার ইয়ার হোসেন ও সোনা মিয়াসহ ৬ জনকে আ-টক

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া, ভাদাইল ও রূপায়ন এলাকায় কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার ইয়ার হোসেন ও সোনা মিয়ার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলো। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়।

    রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতভর জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের সেনাবাহিনী যৌথ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। আশুলিয়ার জামগড়া প্রাইমারি স্কুল ও বটতলা রূপায়ন এলাকায় পাঁচ দফা অভিযানে কিশোর গ্যাং লিডার ইয়ার হোসেন, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সোনা মিয়া এবং তাদের সহযোগী ৪জনসহ মোট ৬জনকে আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলো-১। ইয়ার হোসেন (২০), কিশোর গ্যাং সদস্য ও ছিনতাইকারী, রূপায়ন এলাকা।
    ২। সোনা মিয়া (৪৫), মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী, জামগড়া। ৩। আশরাফুল (১৮), কিশোর গ্যাং সদস্য ও ছিনতাইকারী, জামগড়া।
    ৪। বড় বাবু (১৯), কিশোর গ্যাং সদস্য ও ছিনতাইকারী, জামগড়া।
    ৫। ছোট বাবু (১৭), কিশোর গ্যাং সদস্য ও ছিনতাইকারী, জামগড়া।
    ৬। আকাশ (১৮), কিশোর গ্যাং সদস্য ও ছিনতাইকারী, জামগড়া।

    তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী, তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, মাদক ব্যবসা, অনলাইন বেটিং, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং কার্যক্রমে জড়িত ছিলো।

    উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদি: দেশীয় অস্ত্র: ১৬টি, কাঁচি ও ধারালো অস্ত্র: ৫টি,গাঁজা: ৫ পটলা, মোবাইল ফোন: ৮টি, মোবাইল সিম: ৪৮টি।
    এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মাদক, মোবাইলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। পরে আটককৃতদেরকে সোমবার দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    এদিকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইয়ার হোসেন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের পর জামগড়া এলাকায় স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর তারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

  • তানোরে আমণ-খেতে পোকার আ-ক্রমণ

    তানোরে আমণ-খেতে পোকার আ-ক্রমণ

    আলিফ হোসেন,
    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর তানোরে আমণখেতে পোকার আক্রমণ ও পাতাপোড়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে আমণচাষিরা রিতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কিন্ত্ত কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের কাছে থেকে কাঙ্খিত পরামর্শ পাচ্ছেন না।
    উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারীপুর, হাতিশাইল, ছাঐড়, হাতিনান্দামাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ আমণখেত পোকা ও পাতাপোড়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কৃষকরা বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন না। কামারগাঁ ইউপির মাদারীপুর গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক জানান, এবার আমন চাষের মৌসুম থেকে কৃষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ গত বছরের তুলনায় এবছর আমন চাষের সময়ে প্রতিকুল আবহাওয়া ও ছিল সারের সঙ্কট। কিন্ত্ত আমণের ভরা মৌসুমে পোকার আক্রমণ, খোলপচা ও পাতাপোড়া রোগে আমণখেত আক্রান্ত হওয়ায় তারা ফলন উৎপাদন নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
    সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন চাষেরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর। এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ করছেন। সারা মাঠ ছেঁয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের গুটি স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের ধান।
    এদিকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার সরেজমিন তানোর পৌর এলাকার হরিদেবপুব,সুমাসপুর, কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারীপুর, হাতিশাইল, ছাঐড়, হাতিনান্দা,কলমা ইউপির আজিজপুর,মালবান্ধা,পাঁচন্দর ইউপির বনকেশর,সরনজাই ইউপির নবনবী ও তাঁতিহাটি
    মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,আমণখেত পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে,এছাড়াও ধানখেতের মাঝে মাঝে ধান গাছের পাতা লালচে হয়ে দেবে গেছে।
    এদিকে কৃষি পরামর্শ ব্যতিত অনুমান নির্ভর ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শ মতো বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন না। সরনজাই ইউপির নবনবী গ্রামের রিতেন সিং বলেন,তার দুই বিঘা আমণখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল, কিন্ত্ত কৃষি অফিসের কারো কোনো পরামর্শ না পেয়ে কীটনাশক ব্যবসায়ীর কথা মতো ওষুধ দিয়েছেন। হাসিবুর রহমান বলেন,তার ২০ বিঘা আমণখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল, তবে ওষুধ ছিটানোর পর এখন অনেকটা ভাল রয়েছে। চাঁন্দুড়িয়া ইউপির কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, বাজারে যেভাবে চটকদার মোড়কে নামি
    -দামি কোম্পানির কীটনাশক বিষ বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল কোনটা নকল সেটা বোঝা বড় দায়।তবে, কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে না থাকায় তিনি অনেকটা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ এর
    মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#

  • পাবনা- ২ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরি-দর্শন

    পাবনা- ২ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরি-দর্শন

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর : পাবনা-২ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত পাবনা -২ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিন, তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে দেখা করে তাদের পূজা উদযাপনের সার্বিক খেঁাজখবর নেন এবং তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল বিভাজন প্রতিহত করে সম্প্রীতির বার্তা প্রদান করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাকে পেয়ে আনন্দিত হন এবং সাদরে অভিবাদন জানান। পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন বলেন, আমরা সবাই একসাথে এই দেশকে ভালোবাসি এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অপরের পাশে থাকবো। কেউ যদি এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, আমরা তার বিরুদ্ধে রুখে দঁাড়াবো।তিনি আরও বলেন,আমাদের দেশে হিন্দু মুসলিম একসাথে বসবাস করি পাশাপাশি থাকি; এটা বিশ্বের কোথায়ও নেই। হিন্দু ভাইদের প্রতি আমাদের একটা অনুরোধ থাকবে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য একটি বিশেষ মহল উঠে পরে লেগেছে সেই দিকে আপনারা দৃষ্টি রাখবেন। কোন অপশক্তি যেন আমাদের শান্তি বিনিষ্ট করতে না পারে। এই দেশ আপনাদের আমাদের সবার। দেশকে ভালো রাখার দায়িত্বও আমাদের। জামায়াত বিশ্বাস করে, ধর্মীয় সব ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশে সব ধর্মের অনুসারীর সহযোগিতায় একটি আগামীর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে হিন্দু সমাজের ভূমিকা অপরিসীম।
    পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক ফারুক-ই-আযম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, পৌর সেক্রেটারী মকবুল হোসেন বকুল মাস্টার, উপজেলা জামায়াতের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস, বায়তুল মাল সম্পাদক রাফি আহমেদ ফুল, উপজেলা শ্রমিক কলাণ ফেডারেশনের সভাপতি রস্তম আলী মোল্লা, পৌর শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি তারিকুল ইসলাম, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি আব্দুল মাজেদ মাস্টার, সাবেক শিবির নেতা আবুল কালাম, উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আব্দুল মমিন ও হোসাইন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ঢাকার সদর দপ্তরে দুর্গাপূজায় আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন ও ডিজিটাইজেশান বিষয়ক মিডিয়া মতবিনিময়

    ঢাকার সদর দপ্তরে দুর্গাপূজায় আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন ও ডিজিটাইজেশান বিষয়ক মিডিয়া মতবিনিময়

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা:

    বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঢাকার সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে সারা দেশের সকল মন্দিরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন ও ডিজিটালাইজেশান বিষয়ক মিডিয়া মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি’র সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর উপ-মহাপরিচালকগন, বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

    মহাপরিচালক মহোদয় দেশের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সারা দেশের ৩১,৫৭৬টি পূজামণ্ডপে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ০২ (দুই) লক্ষাধিক প্রশিক্ষিত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ বছর প্রশিক্ষিত তরুণ সদস্যদের পূজা মণ্ডপে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, যাতে তারা উদ্যম, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে। সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নিতি বন্ধে সদস্যদের AVMIS সফটওয়্যারে নিবন্ধনের মাধ্যমে দায়িত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে শারীরিক ভাবে সক্ষম ও যোগ্য সদস্যদের বাছাই করে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো “শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস” চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে পূজামণ্ডপের সার্বিক পরিস্থিতির প্রতিবেদন সদর দপ্তরে প্রেরণ করতে পারবে। বাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই ডিজিটাল উদ্ভাবন কেবল দুর্গোৎসবে নয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ব্যবহার করা হবে। ফলে সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব–২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গৃহীত সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোগ নিশ্চয়ই একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। তরুণ ও যোগ্য সদস্যদের দায়িত্ব প্রদান এবং “শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপসের ব্যবহার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে শুধু দুর্গোৎসবই নয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ দেশের যেকোনো বৃহৎ আয়োজনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

  • শারদীয় দুর্গাপূজার নিরা-পত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা: উত্তরা মন্দিরে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পরিদর্শন

    শারদীয় দুর্গাপূজার নিরা-পত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা: উত্তরা মন্দিরে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পরিদর্শন

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা:
    বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি আজ ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে রাজধানীর উত্তরা সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি পূজা মন্ডপে দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সাথে নানা বিষয়ে কথা বলেন। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা যেন সবার অংশ গ্রহণে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়, সে লক্ষ্যে আনসার-ভিডিপি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা আনসার-ভিডিপি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল ভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পূজামণ্ডপে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তরুণ আনসার ভিডিপি সদস্যদের সক্রিয় অংশ গ্রহণ, আধুনিক প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল রিপোর্টিং সিস্টেম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বিত কার্যক্রম—সব মিলিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ও কার্যকর। এ সময় উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি নৃপেন চন্দ্র আনসার-ভিডিপির সদস্যদের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে বলেন, পূজার ৫ দিনসহ পূজার আগে ৩ দিন এবং পূজার পরে ১দিন মোট ৯ দিনব্যাপী নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনের উদ্যোগ দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তার আস্থা আরও বৃদ্ধি করবে। তিনি বাহিনীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মহাপরিচালকের এ পরিদর্শনকালে তার সাথে বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল, ঢাকা রেঞ্জ কমান্ডার উপমহাপরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম, পরিচালক (ঢাকা মহানগর আনসার) মোঃ আসাদুজ্জামান গণি, বাহিনীর অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তা, বহুগন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • দুর্নী-তির অভি-যোগে জামুকার সদস্য পদ হারালেন ফ্যা-সিষ্ট আমীর আলী

    দুর্নী-তির অভি-যোগে জামুকার সদস্য পদ হারালেন ফ্যা-সিষ্ট আমীর আলী

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহের আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফ্যাসিষ্ট আ’লীগের দোসর খ ম আমীর আলীকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২২ এর ৫(২) ধারাবলে কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, অবৈধ সোনা চোরাচালান ও ব্যাংকের পেঅর্ডার জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে জানা গেছে। এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খ.ম. আমির আলীর নামে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)/৪ ধারায় মামলা আছে, বনানী থানার মামলা নং ১৪। ওই মামলায় তিনি ৮ নং আসামী। ২০১২ সালে আমির আলীসহ একটি প্রতারক চক্র একটি ভুয়া কোম্পানী খুলে স্বর্ণ ব্যবসার নামে চেক ও পে-অর্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত এক অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা খ ম আমীর আলী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সদস্য পদ পাওয়ার পরে নানান অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। গোপনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ হানিয়ে নেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের আমিরুল ইসলাম তার লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করেন, খ ম আমীর আলী তার পিতা রুস্তম আলীকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর আশ^াস দিয়ে এক লাখ ৭৮ হাজার টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু রুস্তম আলীকে তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি। এখন পাওয়ানা টাকা চাইলে তিনি ফেরৎ দিচ্ছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্র জীবন থেকেই আমির আলী ধ্রæত প্রকৃতির। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার পর তার ভাগ্য বদলে যায়। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করানোর প্রলোভন দেখিয়ে সারা দেশে তিনি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। ঝিনাইদহের একাধিক রাজনৈতিক সুত্রে জানা গেছে, আমির আলী ছাত্রলীগের রাজিনীতর সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আ’লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকীর বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমির আলীর ভয়ে সবাই তটস্থ থাকতেন। অপর এক লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলক‚পা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিতার মাধ্যমে ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ইনসুরেন্স করার নামে ২৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এই অপকর্মের সঙ্গে খ ম আমীর আলীও জড়িত বলে দাবী করা হয়। ওই অভিযোগপত্রে মোঃ ফরিদ রেজা, মোঃ নাজিমুদ্দীন, মোঃ আবু দাউদ, মোঃ মেহের আলী ও আসাদুজ্জামানসহ ১৪ জন স্বাক্ষর করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খ ম আমীর আলী বলেন, তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। ইনসুরেন্স কম্পানীর টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এর সঙ্গে শৈলকুপার মনোয়ার হোসেন মালিথা জড়িত। তিনি বলেন, নলডাঙ্গা গ্রামের আমিরুল ইসলাম যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। সেকেন্দার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা এই অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, কি কারণে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা তার জানা নেই। এ ভাবে তো কাউকে বাদ দেওয়া যায় না। কোনো কারণ ছাড়াই তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আদালত খুললে তিনি উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ

  • দোয়ারাবাজারে সাংবাদিকদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক মতবিনিময় স-ভা অনুষ্ঠিত

    দোয়ারাবাজারে সাংবাদিকদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক মতবিনিময় স-ভা অনুষ্ঠিত

    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচী উপলক্ষ্যে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র উদ্যোগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আবু সালেহীন খাঁন’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডাঃ খালিদ আহমদ,বিশেষ অতিথি ডাঃ উমামা ইকবাল, UNICEF Bangladesh সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ডাঃ তানভীরুল ইসলাম।

    এসময় বক্তারা বলেন, দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের জীবাণু ছড়ায় এবং সঠিক সময় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। এজন্য টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এই টিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীসহ সকলের নিকট পৌঁছে দিতে উপস্থিত সকলের কার্যকর ভূমিকা পালন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

    বক্তারা টিকা সম্পর্কে অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রসঙ্গে বলেন, টিকা নিয়ে অনেক অপতথ্য প্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। এসব অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ কর্মসূচি সফল করতে বক্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

    জানা যায়, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি। মাসব্যাপী হলেও মূলত ২০ কর্মদিবস চলবে এই কর্মসূচি। এর মধ্যে ১০ কার্যদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ৮ কার্যদিবস কমিউনিটিতে এ কার্যক্রম চলবে। কর্মসূচির আওতায় নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন টিকাদান প্রদান করা হবে।

    সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা
    গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সভায় দোয়ারাবাজার উপজেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও কিছু কথা,  এ দিবসে জাতীয়করণ ঘোষনা চান বেসরকারী শিক্ষক সমাজ

    বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও কিছু কথা, এ দিবসে জাতীয়করণ ঘোষনা চান বেসরকারী শিক্ষক সমাজ

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ ৫ অক্টোবর রবিবার ৩২ তম বিশ্ব শিক্ষক দিবস বিশ্বের অন্য অন্য দেশেরমত বাংলাদেশে পালন হবে এ জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। বেসরকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে আন্দোলন, কর্মবিরোতি, ক্লাস বর্জন, শ্রেণী কক্ষে তালা ঝুলিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে দিনের পর দিন বিক্ষোপ সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। স্থানীয়, জাতীয় দৈনিক, আন লাইন পত্রিকা, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের বিভিন্ন বৈষম্য, সমস্যা, সমাধান নিয়ে বিস্তর লেখা লেখি হয়েছে কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নি। যেই লাউ সেই কদু। বেসরকারী শিক্ষকদের অবস্থাটা যেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি চুক্তির মত। পানি নিয়ে দু দেশের মধ্যে অনেক মাপজোক, গবেষণা, কয়েকবার চুক্তি হয়েছে কিন্তু মোতাবেক পানি পায় নি বাংলাদেশ। ফলে শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশ অনেক অঞ্চল মরুভূমিতে পরিনত হচ্ছে। শিক্ষকগণ না খেয়ে মারা গেলেও যেন দেখার কেউ নেই।

    কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক: শিক্ষক স্বল্পতা পূরণে বৈশ্বিক অপরিহার্যতা’, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতার নজীরবিহীন বৈষম্যে – এই বাস্তবাতাকে সামনে রেখে বিশ্বের সকল শিক্ষকের প্রতি সম্মান জানাতে প্রতি বছরের মতো গত বছর পালিত হয়েছিল, ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। ওই বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য Valuing teacher voices : towards a new social contract for education’
    ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক, ২০২৪’ উপলক্ষ্যে কর্মসূচি নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, জাতি গঠনে শিক্ষকের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের সম্মাননা জানানো হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে অন্য শিক্ষকদেরও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন করা হয়ে থাকে ।
    নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে, এবছর করার জন্য প্রস্তুতি চলছে।

    দিবসের কর্মসূচিতে জানানো হয়েছিল, বিশ্ব শিক্ষক উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল । সকাল ১০টায় শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুসান ভাইজ। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেছিলেন।
    [email protected] [email protected]

    প্রধান অতিথি অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেছিলেভেবেছি ন, এত অল্প সময়ে শিক্ষকদের অভিযোগ, দাবি-দওয়ার সমাধান দিতে না পারায় নিজেকে অপরাধী মনে করছেন,
    একইসঙ্গে তিনি শিক্ষকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছেন। রাজনৈতিক সরকার,
    অন্তর্বর্তী সরকার, আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেসরকারী শিক্ষকদের ব্যপারে যেই লাউ সেই কদু। মুদ্রার এপিট ওপিট। সবার বেলায় ষোল আনা আর বেসরকারী শিক্ষকদের বেলায় আট আনা। ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থীদের ভাগ্য গড়ে দেন বেসরকারী শিক্ষক সমাজ সেই শিক্ষক সমাজের ভাগ্যে শুধু মূলা আর মূলা, তাই তো ৫৪ বছর পরেও আজ বেসরকারী শিক্ষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভাব হচ্ছে না। তা হলে শিক্ষক সমাজ দ্রব্যমূল্যের আগুনের বাজরে কিভাবে বাঁচবে?

    বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বেসরকারী শিক্ষক, কর্মচারীদের অনেক দাবী, আশা আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যশা কিন্তু তার প্রতিফলন ঘটেনি। তারা হতাশ হয়েছে। ক্ষোভ করে ফেসবুকে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেননা এমপিওভুক্তিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা যে অর্থ পান, তা দিয়ে লাগামহীম দ্রব্যমূল্যের বাজারে তাদের পরিবার চালাতে কষ্ট হয়। এটি যেন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নজরে আসেনি।

    হিসাব-নিকাশ করে বিগত দিনে পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেন নি। আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের নামে, মামলা হামলা চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। অনেক শিক্ষক বিনা কারণে জেল খাটছেন।

    সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার চালবাজি যা শিক্ষক সমাজ আগেই বুঝতে পেরে ছিলেন। সরকার আসে সরকার চলে যায় বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের একের পর এক মুলা ঝুলিয়ে রাখে, শিক্ষক সমাজের ভাগ্যের পরিবর্তন নাহি হয়।

    শিক্ষায় গতি আনয়নের ক্ষেত্রে জাতীয়করণের বিকল্প নেই। জাতিয়করণ হলেই শিক্ষায় গতি আসবে শতভাগ। বর্তমান শিক্ষা বাজেটের যে অতিরিক্ত বরাদ্দ তার অর্ধেক খরচ করেই জাতীয়করণ সম্ভব। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সরকারি বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের হাহাকার ঘোচাবার সুযোগ আছে। প্রয়োজন শুধু আন্তরিকতার। এবার এ বিপুল বাজেটের আংশিক খরচের মাধ্যমে জাতীয়করণ করা সম্ভব। মানসম্মত শিক্ষা ও মেধাবী জাতি গঠনে জাতীয়করণের বিকল্প নেই।

    দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশের তুলনায় শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে আমাদের অবস্থান তলানীতে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হাস্যরসের খোরাক হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সর্বোচ্চ পর্যায়ে শিক্ষাখাতকে প্রাধান্য দেয়া, মাধ্যমিক শিক্ষাকে গতিশীল করা, মাধ্যমিক পর্যায়ে মেধাবিকাশে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালুকরণ জাতীয়করণ ছাড়া সম্ভব নয়।
    বর্তমানে শিক্ষকতার পেশাটাকে মুখে মুখে সম্মানজনক পেশা বলা হলেও গ্রেড অনুপাতে বেতন, কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের আচরণ, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা আর ৫০ উৎসবভাতা, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল থেকে বঞ্চিত রাখা কিন্তু অন্যটা প্রমাণ করে। আমরা যে শতভাগ অবহেলা আর বঞ্চনার শিকার তা কিন্তু এই বেতন ও সামান্য সুবিধা প্রমাণ করে।

    এই পেশার এই অবমূল্যায়ন আর আটআনা সুবিধা প্রত্যক্ষ করে মেধাবীরা এ পেশায় আসতে চায় না। এনটিআরসিএ নিয়োগ পেয়েও অনেক যোগদান করেনি। এতে আরও প্রমান হয় যে শিক্ষাকতা পেশায় মেধাবীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। অন্যান্য চাকরি বঞ্চিত হলে একান্ত বাধ্য হয়ে তারা এ পেশায় এলেও বেতন, ভাতা ও মূর্খ পরিচালনা কমিটি দেখে পড়ানোর মানসিকতা পরিবর্তন করে তারা এটাকে চাকরি হিসেবে বেছে নেয়া সেবা হিসেবে নয়।

    এটা জাতির জন্য অশনিসংকেত। অভাবগ্রস্ত শিক্ষকরা মানসিক ভাবেও বিপদগ্রস্ত। অভাব যখন চারদিকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে তখন নিদারুণ কষ্টের ভান্ডার থেকে সৃজনশীল কিছু পাওয়ার চিন্তাই বৃথা। তাই অতিশীঘ্র জাতীয়করণ না হলে এ শিক্ষা ব্যবস্থায় অরাজকতা বৃদ্ধি পাবে, শিক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও কমবে এবং এসব সেক্টরে প্রচন্ড অসন্তুষ্টি দেখা দেবে।

    আমাদের দেশের চেয়েও অনুন্নত বেশ কয়েকটি এশিয়ান রাষ্ট্রে শিক্ষা খাতে সর্বনিম্ন জিডিপি ৩.৫০ বা ৪ শতাংশ সেখানে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হয়েও আমাদের জিডিপি ২.০৯ শতাংশ। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

    দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা ও মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাণবন্ত করতে, আশানুরূপ ফলাফল পেতে জাতীয়করণ একান্ত প্রয়োজন। বিশাল বাজেটের আংশিক এবং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের আয় জমা নিয়ে জাতীয়করণ করলে শিক্ষক/শিক্ষার্থী যেমন উপকৃত হবে তেমনি আমাদের শিক্ষায় আন্তর্জাতিক মান ও কৌশল অবলম্বন করে বাস্তবিক প্রয়োগ সম্ভব হবে। বেসরকারি শিক্ষকদের হাহাকার নিরসনে এবারই জাতীয়করণের মোক্ষম সুযোগ। ব্যয়ের অতিরিক্ত অর্থে জাতীয়করণ সম্ভব। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আনতে, শিক্ষায় প্রাণ ফিরাতে জাতীয়করণের বিকল্প নেই।

    ১৯৪৮ সালে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রে শিক্ষার অগ্রগতি, মানবজাতির ক্রমোন্নতি এবং আধুনিক সমাজের বিকাশ সাধনে শিক্ষক সমাজের অপরিহার্য ভূমিকা ও অবদানের কথা জোরের সাথে ঘোষণা করে শিক্ষকগণ যাতে এসব ভূমিকা পালনের জন্য উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা ভোগ করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়েছে।
    ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর ইউনেস্কোর উদ্যোগে শিক্ষকদের মর্যাদা সম্পর্কে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বিশেষ আন্তঃসরকার সম্মেলন বিশ্বব্যাপী শিক্ষকদের অধিকার, কর্তব্য ও মর্যাদা বিষয়ক আন্তর্জাতিক দলিল ‘ইউনেস্কো/আইএলও সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়। ওই দিবসটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

    শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর, জাতি গঠনে তাদের ভূমিকা বেশী। দেশের ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেসরকারী শিক্ষকগন শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন, পাসের হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন কিন্তু সত্য তারা বেতন বৈষম্য, মেডিকেল, ৫০ ভাগ ঈদ বোনাস, বাড়ীভাড়াসহ নানামূখি সমস্যায় মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তাদের নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা। বেসরকারী শিক্ষকদের প্রাণের দাবী, শিক্ষক দিবসে বেসরকারী শিক্ষকদের শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হউক, এ কাজ টি করতে পারেন প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

    শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হলে শিক্ষকরা শিক্ষার মেরুদন্ড। কিন্তু আজ শিক্ষক সমাজ অবহেলিত ও বিভিন্নভাবে হয়রানি -নির্যাতনের শিকার। শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা, আর্থিক স্বচ্ছলতা, সামাজিক মর্যাদা নেই বলে মেধাবীরা এই পেশায় আসতে চান না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষকরা রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়ে চাকরি হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা নেই বলেই আজ শিক্ষার বেহাল অবস্থা। এলাকার কিছু কুচক্রী মহল, তথাকথিক কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে, প্রভাবিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাদেরকে ফিরিয়ে আনছে। স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহনী বিষয়টি বুঝতে পেরে শিক্ষা উপদেষ্টার নির্দেশে এ ব্যপারে কঠোর অবস্থানে থাকায় বিষয়টি অনেকটা কমে গেছে। একশ্রেণীর সুবিধাবাদী, মামলাবাজ, চাদাবাজ নেতা মোটা অংকের চাঁদাবাজি করতে ২০১৮ ইং সালের ঘটনা উল্লেখ করে শিক্ষা প্রধান যাদের কোন আওয়ামীলীগের পদ পদবী নেই, এমন কী আওয়ামীলীগের প্রাথমিক সদস্য পদ নেই তাদেরও মামলায় হয়রানি ও মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করার জন্য আসামী করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, সহকারী প্রধান, সহকারী শিক্ষক আওয়ামীলীগ দলীয় পদপদবী গ্রহন করে মাদার অফ ম্যাফিয়া অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে নিয়ম ভঙ্গ করে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাজার হাজার ব্যালট পেপারে আগাম নৌকায় সীল মেরে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ওইসব সুবিধাবাদী বিএনপির নেতারা রহস্যজনক কারনে কোন কথা বলছেন না। মামলা করলেও তাদের আসামী করছেন না। এমনকি পদপদবীধারী আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগের নেতারা নিয়োগবানিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজী, হাটঘাট, করিডোর, কাষ্টম, সাব-রেজিষ্টার অফিস, বালুমহল, জলমহল, খাসপুকুরসহ বিভিন্নভাবে কোটি কোটি কাল টাকার সম্পদ গড়েছেন তাদেরকে আসামী না করে বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মী, সিনিয়ার সাংবাদিক, কলামিষ্টসহ তৃনমূল বিএনপির কর্মী, শ্রমিক, কলেজ শিক্ষকেও আসামী করেছেন ফলে দেশে দলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

    শিক্ষাক্ষেত্রে আজ পর্বতসম বৈষম্য বিদ্যমান। সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষক-কর্মচারীদের সমযোগ্যতা ও সমঅভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি স্কুল ও বেসকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেলে পার্থক্য রয়েছে। সরকারি স্কুল-কলেজের ছাত্রদের যে সিলেবাস বেসরকারি স্কুল-কলেজের ছাত্রদের ও একই সিলেবাসে পড়ানো হয়। কিন্তু তাদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়। আমাদের বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেলের শিক্ষক কর্মচারীদের ৫০% উৎসব ভাতা দেওয়া হয়। বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের সাথে ইহা বিমাতাসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

    শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ১/১/১৯৮০ থেকে জাতীয় বেতনর স্কেলের অন্তুর্ভূক্ত করেন এবং ৫০% বেতন স্কেল প্রদান করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ ১০%+১০% = ২০% প্রদান করেন। ১৯৯৪ সালের শিক্ষক আন্দোলনে তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১০%, ২০০০ সনে আন্দোলনে তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০% এবং সর্বশেষ ২০০৬ সনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১০% বেতন প্রদান করে ১০০% এ উন্নীত করেন। এখন চাকুরী জাতীয়করণের কোন বিকল্প নেই। চাকুরী জাতীয়করণের জন্য সরকারের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই।

    বর্তমানে শিক্ষক কর্মচারীরা সরকার থেকে ১০০% বেতন পান। এজন্য সরকারকে প্রদান করতে হয় প্রতি মাসে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা মাত্র। ১২ মাসে সরকারকে দিতে হয় ১২০০০ কোটি টাকা মাত্র।
    প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলে সরকারকে প্রদান করতে হবে মোট প্রায় ১৭৮২০ কোটি টাকা প্রায়। বর্তমান সরকার বেতন বাবদ প্রদান করছে ১২০০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত প্রদান করতে হবে প্রায় ৫৮২০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের আয় হবে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

    শিক্ষকগণ হচ্ছেন জাতির বিবেক ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের ধারক ও বাহক। শিক্ষার সংস্কার, সম্প্রসারণ ও মান উন্নয়নে সরকার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিবেন বলে শিক্ষক সমাজ প্রত্যাশা করে।
    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দিনে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশ পৃথক পৃথক তারিখে এই দিবসটি পালিত হয়। পাঠকদের জন্য কিছু দেশের শিক্ষক দিবস সম্পকে তুলে ধরা হলো
    ভারতে ৫ সেপ্টেম্বর ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মজয়ন্তীর দিনে শিক্ষক দিবস পালিত হলেও, বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয় ৫ অক্টোবর। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ পৃথক পৃথক তারিখে এই দিবসটি পালিত হয়। এখানে জানুন এমন কয়েকটি দেশের ব্যাপারে। কলম্বিয়া- ১৫ মে তারিখে স্যান জুয়ান বাওতিস্তা ডি লা সাল্লেকে শিক্ষকদের অভিভাবক-রক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনিই মুক্ত ও সর্বজনীন শিক্ষানীতির রূপরেখা তৈরি করেন। পরে সে বছরই দেশের রাষ্ট্রপতি ওই দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।

    ১৯৯৭ সালে দেশের সার্বভৌমত্ব হস্তান্তরের আগে ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হত। পিপালস রিপাবলিক অফ চাইনাকে দেশের সার্বভৌমত্ব হস্তান্তরের পর ১০ সেপ্টেম্বর পালিত হতে শুরু করে শিক্ষক দিবস।
    ইন্দোনেশিয়া- ইন্দোনেশিয়ান টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠার দিনটি হল ২৫ নভেম্বর। সে দিনটিকেই জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
    ইরান- মোরতেজা মোতাহারির স্মৃতিতে ২ মে তারিখে শিক্ষক দিবস পালিত হয়।
    ইরাক- ১ মার্চ শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয় ইরাকে। মালয়েশিয়া- ১৬ মে তারিখটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। মালয়েশিয়ায় দিনটিকে ‘হরি গুরু’ নামে ডাকা হয়। নেপাল- আশাদ পূর্ণিমার দিনে নেপালে শিক্ষক দিবস পালিত হয়। জুলাই মাসের মাঝামাঝি আসাদ শুক্ল পূর্ণিমা পড়ে। নেপালে এই দিনটিকে বলা হয় গুরু পূর্ণিমা।
    নিউ জিল্যান্ড- ২৯ অক্টোবর শিক্ষক দিবস পালিত হয় এই দেশে। সিঙ্গাপুর- সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার পালিত হয় শিক্ষক দিবস।

    তবে ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত পয়লা সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হত সিঙ্গাপুরে। দক্ষিণ কোরিয়া- ১৫ মে তারিখটি শিক্ষকদের উৎসর্গ করেছে এই দেশটি। রেড ক্রস যুব দলের সদস্যরা হাসপাতালে তাঁদের অসুস্থ শিক্ষকদের দেখতে যান। সেই তারিখটি ছিল ২৬ মে। তবে ১৯৬৫ সাল থেকে তারিখটি বদলে ১৫ মে করা হয়। স্পেন- ২৭ নভেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হয় এই দেশে। থাইল্যান্ড- প্রতিবছর ১৬ জানুয়ারি শিক্ষক দিবস পালিত হয় এখানে। ১৯৫৬ সালের ২১ নভেম্বর সরকারের তরফে একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে এই দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- ১৯৪৪ সালে আমেরিকার মৈটে ওয়ায়েটে উডব্রিজ সর্বপ্রথম শিক্ষক দিবসের পক্ষে সওয়াল করেন। পরে ১৯৫৩ সালে মার্কিন কংগ্রেস তাতে সায় দেয়। ১৯৮০ সাল থেকে ৭ মার্চ শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হতে শুরু করে। কিন্তু পরে মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার এটি পালিত হতে থাকে। সেখানে এক সপ্তাহ ধরে এইদিনটি পালিত হয়।
    আর্জেন্টিনা- রাষ্ট্রপতি ডোমিঙ্গো এফ. সার্মিয়েন্টোর স্মৃতির উদ্দেশে ১১ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হয় সেখানে। সাংবাদিক, স্যান জুয়ানের রাজ্যপাল, কূটনীতিজ্ঞ, সেনেটর ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি। তিনিই দেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে অত্যাবশ্যক করেন। পাশাপাশি স্থাপন করেন ৮০০টি শিক্ষা ও মিলিটারি প্রতিষ্ঠান-সহ শিক্ষক স্কুলের। গড়ে তোলেন জনসাধারণের জন্য লাইব্রেরি। আমেরিকান মডেলের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তিনি ৩২ জন আমেরিকান শিক্ষককে দেশে আমন্ত্রণ জানান। ১৯৪৩ সালে শিক্ষার ওপর পানামায় আয়োজিত ইন্টারআমেরিকান কনফারেন্সে ১১ সেপ্টেম্বরকে প্যানআমেরিকান টিচার্স ডে হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অস্ট্রেলিয়া- এখানে অক্টোবর মাসের শেষ শুক্রবার শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। শেষ শুক্রবার যদি ৩১ অক্টোবর হয়, তা হলে ৭ নভেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয় অস্ট্রেলিয়ায়।
    ভুটান- ২ মে এখানে পালিত হয় এই দিনটি। ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দোরজি ওয়াঙচুকের জন্মজয়ন্তীর দিনে শিক্ষক দিবস পালিত হয় ভুটানে। তিনিই দেশে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।
    ব্রাজিল- ১৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবস পালিত হয় ব্রাজিলে।

    দেশের ডিক্রি পরিচালিত কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই দিনটি পালন করা শুরু করে। ধীরে ধীরে দেশব্যাপী এই দিনটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর ১৯৬৩ সালে এই দিনটিকে আধিকারিক ভাবে শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হয় চিনে। ১৯৩১ সালে ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি এই দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৩২ সালে চিনের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে গৃহীত হয়। আবার ১৯৩৯ সালে এর তারিখ বদলে ২৭ অগস্ট করা হয়, কনফুসিয়াসের জন্মজয়ন্তীকে শিক্ষক দিবস হিসেবে উৎসর্গীকৃত করা হয়।

    কিন্তু পরে ১৯৫১ সালে পিপলস রিপাবলিক অফ চাইনার সরকার এই দিনটিকে বাতিল ঘোষণা করে। ১৯৮৫ সালে শিক্ষক দিবস পুনরায় পালিত হতে শুরু করে। সে সময় ১০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়।
    ১৯. ভিয়েতনাম- ২০ নভেম্বর পালিত হয় শিক্ষক দিবস। ১৯৫৭ সালে শিক্ষাবীদদের সঙ্গে একটি বৈঠকে এই দিনটির প্রসঙ্গ উঠে আসে। পরে ১৯৫৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল মেনিফেস্ট অফ এডুকেটর্স-এর দিন হিসেবে এটি পালিত হত। ১৯৮২ সালে এর নতুন নামকরণ করা হয়। সেটি হল ভিয়েতনামিস এডুকেটর্স ডে। এ ছাড়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া, ক্যামারুন, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, এস্টোনিয়া, জর্জিয়া, জার্মানি, কুয়েত, লিথুয়ানিয়া, মালদ্বীপ, মরিশাস, মোলডোভা, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেদারল্যান্ড, নাইজেরিয়া, নর্থ ম্যাসিডোনিয়া, পাকিস্তান, পাপুয়া-নিউ গিনি, ফিলিপিন্স, পোর্তুগাল, কাতার, রোমানিয়া, রাশিয়া, সাউদি আরব, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউকে এই দেশগুলিতে ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবস পালিত হয়। বেসকারী শিক্ষকদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে আগামী শিক্ষক দিবসে,

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বেসরকারী শিক্ষক সমাজের প্রাণের দাবী
    একটায় সেটা হলো বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে জাতীয়করণ করা। এ ঘোষনার অপেক্ষায় শিক্ষক সমাজ তীর্থের কাকের ন্যয় চেয়ে আছে। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য যে বিনিয়োগ হবে সেটা হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ, মহৎ, বিনিয়োগ। এ কাজটি করতে পারলে জাতি আপনাদের আজীবন স্মরণ করবেন। লাখ লাখ শিক্ষা পরিবারের সদস্যগণ আল্লাহর নিকট প্রার্থানা করবেন। আর যদি দেশের অর্থনৈতিক আবস্থার কথা বিবেচনা করে জাতীয়করণ সম্ভাব না হয় তবে সরকারী স্কুলের শিক্ষককর্মচারীদের মত বাড়ী ভাড়া, পর্নাঙ্গ ঈদ বোনাস, চিকিৎসা ভাতা ঘোষনা করলেও বেসরকারী শিক্ষকসমাজ খুশি হবেন ইনসাল্লাহ।

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলী
    গোদাগাড়ী, রাজশাহী।

  • নেছারাবাদে বিশ লা-খ টাকার ঋ-নের বিপরীতে গরীব চা দোকানির ত্রি-শ লাখ টাকার জমি লিখে নিলেন স্কুল শিক্ষক

    নেছারাবাদে বিশ লা-খ টাকার ঋ-নের বিপরীতে গরীব চা দোকানির ত্রি-শ লাখ টাকার জমি লিখে নিলেন স্কুল শিক্ষক

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

    নেছারাবাদের আলকিরহাট গ্রামে সুদের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মো. চান মিয়া নামে এক গরীব চা দোকানিকে তার দোকানসহ বসতবাড়ির জমি লিখে নিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের “আলকিরহাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি:” এর পরিচালক ও উপজেলার ৭০নং পাটিকেল বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান সমবায়ের আড়ালে চড়া সুদে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এর অংশ হিসেবেই চান মিয়ার কাছ থেকে বিশ লাখ টাকার ঋণের বিপরীতে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন তিনি।

    অভিযোগে জানা যায়, চান মিয়া প্রথমে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলেও উচ্চসুদের কারণে দেনার বোঝা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ঋণ নবায়ন হয়ে দাঁড়ায় ১০ লাখ টাকা, যা সুদে-আসলে পৌঁছে যায় ২০ লাখে। দেনা শোধ করতে না পেরে অবশেষে চান মিয়া নিজের দোকান ও সাত শতক জমি শিক্ষক মিজানের নামে লিখে দিতে বাধ্য হন।

    চান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, দশ লাখ টাকার বিপরীতে আমার দোকানসহ ত্রিশ লাখ টাকার সম্পত্তি লিখে নিয়েছে মিজান স্যার। এখন আমি পথে পথে ঘুরি।”

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, চান মিয়া আমার কাছ থেকে বিশ লাখ টাকার লোন নিয়েছিল। টাকা শোধ করতে না পারায় সে নিজেই আমি, আমার স্ত্রী ও ভাইয়ের নামে জমি লিখে দিয়েছে।”

    এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. হাসান রকি বলেন, যারা সমবায় সমিতির আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক সমবায়ের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার সমিতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।

  • বাবুগঞ্জে মা ইলিশ সংরক্ষণ অ-ভিযান শুরু ৪ অক্টোবর থেকে

    বাবুগঞ্জে মা ইলিশ সংরক্ষণ অ-ভিযান শুরু ৪ অক্টোবর থেকে

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় শুরু হচ্ছে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫। আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত (২২ দিন) এই অভিযান চলবে। এ সময় সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

    ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার জন্য সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। মাছের ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশের নদ-নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশের উৎপাদন নিশ্চিত করতে এই অভিযান কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর, বাবুগঞ্জ সকলকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।