Blog

  • ‎সুনামগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে প্রবাসী ময়না মিয়ার  জায়গা জো-রপূর্বক দ-খলের পা-য়তারার অ-ভিযোগ

    ‎সুনামগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে প্রবাসী ময়না মিয়ার জায়গা জো-রপূর্বক দ-খলের পা-য়তারার অ-ভিযোগ

    কে এম শহিদুল্লাহ,
    ‎সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
    ‎সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থানাধীন পাথারিয়া বাজারে প্রবাসী ময়না মিয়ার নিজ মালিকানা জায়গার চলাচলের রাস্তা জোরপূর্বক ভাবে দখলের পায়তারা করছে ১টি ভূমি খেঁকো প্রভাবশালী চক্র। এঘটনায় আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী ময়না মিয়া গংরা। জানা যায় ময়না মিয়া তিনি শান্তিগঞ্জ থানাধীন পাথারিয়া তালুক গাও এর বাসিন্দা মৃত হাজী আব্দুল ওয়াবের পুত্র এবং ১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। খোজঁনিয়ে জানা যায় ময়না মিয়া পাথারিয়া বাজারের পাশে ৯০ শতাংশ জায়গা ক্রয় সুত্রে মালিক, ১৯৯৬ সনে তিনি জায়গা ক্রয় করেন আব্দুল ওয়াব গংদের কাছ থেকে। পরবর্তীতে তিনি ভোগ দখল করে ১৯৯৬ সন হতে চলমান সন অধ্যবদি পর্যন্ত নিজ মালিকানা ঐ ৯০ শতাংশ জায়গায় দীর্ঘ দিন চাষাবাদ করে গত ৪ বছর আগে প্লট আকারে বিক্রিয়ের উদ্দেশ্যে মাটি বরাট করেন এবং বর্তমানে ঐ ৯০ শতাংশ জায়গা থেকে প্লট আকারে বিভিন্ন আগ্রহী ক্রয় দাতা গণের কাছে বিক্রয় চলমান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানা যায়। ইতিমধ্যে ১১ জন গ্রহিতার নিকট ফ্লট আকারে বিক্রি করছেন ময়না মিয়া। এছাড়াও দিরাই টু-সিলেট সুনামগঞ্জ মহাসড়কের সংলগ্ন হওয়া এলাকার মানুষজনের এবং ক্রয় দাতাদের সুবিধার জন্য নিজ উদ্যোগে ৯০ শতাংশ জায়গার মধ্যে দিয়ে ৮ফুট প্রসস্ত রাস্তা তৈরি করে দেন ময়না মিয়া যা পাথারিয়া বাজারের সাথে মেইন মহা সড়কে সংযোক্ত হয়েছে। যার জায়গার দাগ নং-৪৫৯৭,মৌজা- পাথারিয়া,জে.এল.নং-১৬, খতিয়ান নং-১২৪২ মালিক প্রবাসী ময়না মিয়া। এ ছাড়াও ঐ প্লটের পাশের উত্তর দক্ষিণ পশ্চিমের প্লটেও প্রবাসী ময়না মিয়ার ক্রয়কৃত নিজ মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে একটি কুচক্রী ভূমিখেঁকো চক্র প্রবাসী ময়না মিয়ার নিজ মালিকানা জায়গার উপর বর্তমানে প্রায় ১১ টি পরিবারের চলাচলের রাস্তার মুখে জোরপূর্বক ভাবে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দখল করার পায়তারা করছে। এরই প্রেক্ষিতে মালিকগং এর পক্ষ থেকে ঐ কুচক্রী মহলের হাত থেকে রক্ষা পেতে আদালতের আশ্রয় নেন ময়না মিয়ার সহোদর ছোট ভাই ইকবাল হোসেন। যার আদালতে পিঠিশন নম্বর – ৬০৪/২০২৫ইং, যার স্বারক নং- ১৭/৪৮/২০২৫ তারিখ ১৭/৮ ২০২৫ইং। আদালতের বিচারকের আদেশ অনুযায়ী বর্তমানে ঐ রাস্তা যাতে কেউ জোরপূর্বক দখল করতে না পারে সে জন্যে ১৪৪ ধারা জারি জারি হয়েছে বলে জানা যায়। ##

  • সমন্বিত প্র-চেষ্টায় স্বাস্থ্যসেবায় মৌলিক পরিব-র্তন আনা সম্ভব- স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব

    সমন্বিত প্র-চেষ্টায় স্বাস্থ্যসেবায় মৌলিক পরিব-র্তন আনা সম্ভব- স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেছেন, সমন্বিত প্রচেষ্টায় ময়মনসিংহ-সহ সারা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় একটি মৌলিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। সে সুযোগ আমাদের রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে প্রতিটি কাজে স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট যেকোনো সহায়তা থাকবে। শুধু তাই নয়, দেশের প্রতিটি বিভাগের জন্যও সেই সহায়তা বজায় থাকবে।

    শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে
    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য স৯হায়তা ট্রাস্টের উদ্যোগে মনসিংহ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়
    আয়োজিত “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ক” সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব এসব কথা বলেন।

    প্রধান অতিথি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এটা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এটা দিয়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে উপজেলা জেলা পর্যায়ে যতটুকু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন সেটা সরকার নিরলসভাবে দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকারের যতটুকু লিংক রয়েছে ততটুকু প্রোভাইড করছে। স্থানীয় সরকারের টাকা স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার জন্য বরাদ্দ থাকলে সেটা অবশ্যই করে।

    তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, বিদেশি সংস্থার সহায়তায় সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে ময়মনসিংহেও প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ভিন্ন আঙ্গিকে ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা যায়। সেখানে তারা ফান্ডামেন্টাল কোর্স ও রিফ্রেশার ট্রেনিং করতে পারবে। কমিউনিটি ক্লিনিক এর সাথে মূল সড়কের সংযোগ স্থাপনে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোতে স্থানীয় সরকারের সহযোগিতা সর্বাত্মক থাকবে বলে জানান তিনি।

    জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আখতারুজ্জামান। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার, পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: প্রদীপ কুমার সাহা-সহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ,জেলার অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, ময়মনসিংহ জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ-সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    সেমিনারে জানানো হয়, ময়মনসিংহ জেলায় প্রস্তাবিত ৫৮০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ৫৪২টির কার্যক্রম চলমান। এতে ৫২৮ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কর্মরত। ১৭টি শুন্য পদ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সাধারণ অসুস্থতার প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা, গর্ভবতী নারীদের সেবা, প্রসূতি পরবর্তী সেবা, শিশুদের টিকাদান, রক্তচাপ মাপা, ডায়াবেটিস রোগীদের আরবিএস টেস্ট, রোগীর তথ্য সংগ্রহ ও রিপোর্ট তৈরি করা, জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, ঔষধ সরবরাহ, রোগীদের রেফার করা প্রভৃতি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। সেবা গ্রহীতাগণ কমিউনিটি ক্লিনিক হতে বর্তমানে ২২ প্রকারের ঔষধ সেবা গ্রহণ করে থাকেন।

    সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে অনেকেই তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করছে এই অভিব্যক্তি তারা প্রকাশ করেন। বিদ্যুৎ, পানি, সংযোগ রাস্তা ইত্যাদির সুবিধা যাতে ক্লিনিকগুলোতে প্রোভাইড করা যায় সেমিনারে সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারগণ।

  • কাকরাইলে দুটি রাজনৈতিক দলের সং-ঘর্ষে সেনার সংবা-দ বিজ্ঞপ্তি

    কাকরাইলে দুটি রাজনৈতিক দলের সং-ঘর্ষে সেনার সংবা-দ বিজ্ঞপ্তি

    ঢাকা, ২৯ আগস্ট ২০২৫ (শুক্রবার): আজ রাত আনুমানিক ৮ টায় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন সদস্য আহত হন।

    ঘটনার শুরুতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে স্থান ত্যাগ করার জন্য ও দেশের বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার অনুরোধ জানায়। তবে বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও কতিপয় নেতাকর্মীরা তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। তারা সংগঠিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করে। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়। এছাড়াও বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণ সমাধানের সকল চেষ্টা তারা অগ্রাহ্য করে। ফলস্বরূপ, জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য আজকের উদ্ভূত ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ জন সদস্য আহত হয়।

    সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা আনয়নে সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর।

  • বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহে ফ্রী মেডিকেল ক্যা-ম্প

    বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহে ফ্রী মেডিকেল ক্যা-ম্প

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুত্রুবার (২৯ আগস্ট) সকালে শহরের সিটি কলেজ প্রাঙ্গনে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, পৌর বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান রিপন, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম মিলন ও ড্যাব নেতা ডা. হাসানুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
    স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে দিনব্যাপী শহরের বিভিন্ন এলাকার ৩ শতাধিক রোগীকে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা ঔষধ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন ঝিনাইদহ ও মাগুরার হাসপাতালের ডা. আসিফ হোসেন, ডা. তারিন শুভ, ডা. প্রান্ত, ডা. জোহান হোসেনসহ ৪ জন চিকিৎসক।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • সঞ্জীবন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহ-যোগিতার আ-শ্বাস

    সঞ্জীবন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহ-যোগিতার আ-শ্বাস

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা:

    ঢাকা: বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’। গত ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এর সঙ্গে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক ও আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রকল্পের বিভিন্ন সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেন। প্রায় ৬০ লক্ষ সদস্যের জীবিকা উন্নয়নে এই প্রকল্পের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে বাহিনী প্রধান বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট (বিএডব্লিউটি) কর্তৃক পরিচালিত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভর্নরকে অবহিত করেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের বিনিয়োগ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে। এর ফলে তৃণমূল পর্যায়ের আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

    প্রকল্পটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ক্ষুদ্র ঋণ তহবিল দিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন। এছাড়াও, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়াতে ডিজিটাল কোর ব্যাংকিং সিস্টেম চালুর লক্ষ্যে নতুন জনবল নিয়োগে দ্রুত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

    ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর মূল লক্ষ্য হলো আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মধ্য থেকে দক্ষ ও উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী সদস্যদের বাছাই করে তাদের জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোগ এবং টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

    প্রাথমিকভাবে, দেশের চারটি উপজেলায় ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর পাইলটিং কার্যক্রম এবং আর্থিক কাঠামো ও গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠার অডিটিং আগামী মাস থেকে শুরু হবে। উপস্থাপনার সময় আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোফাজ্জল হোসেন, সংগঠনের উপমহাপরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলামসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাবুগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অ-নুষ্ঠিত

    বাবুগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অ-নুষ্ঠিত

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা>>>

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫ উৎসবমুখর পরিবেশে এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

    শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় বাবুগঞ্জ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবুল কালাম শাহীন।

    সম্মেলনে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল চন্দ্র সাহা ও রহমতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুলু।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক সুলতান আহম্মেদ খান, সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্ব্বায়ক আরিফুর রহমান শিমুল সিকদার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্ব্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম রাফিল, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ ফরিদ হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্ব্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ছাত্রদল আহ্ব্বায়ক আতিক আল-আমিন, সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত এবং বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদল সভাপতি মোঃ আসিফ সিকদার প্রমুখ।

    সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে আব্দুল করিম হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ রাজন শিকদার নির্বাচিত হন।

    এ সময় উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

  • তানোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্র-স্তুতি সভা

    তানোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্র-স্তুতি সভা

    আলিফ হোসান,
    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
    আগামি ১লা সেপ্টেম্বর সোমবার
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিকেলে মহানগরীর সাগরপাড়া বটতলা মোড় থেকে বাটার মোড় পর্যন্ত আনন্দ র‍্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত হবে।এদিন সভায় যোগদান ও সফল করার লক্ষ্যে তানোরে উপজেলা বিএনপির ব্যানারে বিএনপির প্রস্ত্ততি সভা আয়োজন করা হয়েছে।
    জানা গেছে, ২৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির ব্যানারে গোল্লাপাড়া বাজার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে প্রস্ত্ততি সভা আয়োজন করা হয়।এদিন জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএ মালেক মন্ডলের সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রস্তুত্তি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ওমর আলী। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আনারুল ইসলাম মাস্টার,আবুল কালাম আজাদ মাস্টার, নাসির উদ্দিন মোল্লা, আব্দুল লতিব, মোতালেব শাহ্,টিপু, মোস্তাফিজুর রহমান,কাবিল উদ্দিন, সাহেম, আরশেদ আলী, হাসেম আলী ও কাউসার আলী প্রমুখ।#

  • মসজিদ নির্মাণে বা-ধাঁ দেয়ার অভি-যোগে মা-নববন্ধন

    মসজিদ নির্মাণে বা-ধাঁ দেয়ার অভি-যোগে মা-নববন্ধন

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তারই প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের কেনা ৮ শতক জমি অন্যকে দখল করে দিয়ে মসজিদ নির্মাণে বাধাঁ দেয়ার অভিযোগ বাবা ইয়াসিন আলীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় জমি দখলে নিতে আদালতে মামলা দায়ের করে মসজিদ নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিতেও সংশ্লিষ্টদের ইন্ধন দিয়েছেন বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়। শুক্রবার জুমআর নামাজের পরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের মোঘরালি পাড়া জামে মসজিদের সামনে কামারহাট-ডাবরভাঙ্গা সড়কের উপর দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে মসজিদের মুসল্লীরা।
    মানববন্ধনে মোঘরালি পাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম, মসজিদের সাবেক সভাপতি খামির উদ্দীন, মসজিদের দাতা সদস্য জামাল হোসেন, মুসল্লী বেলাল হোসেন, ময়দুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
    মানববন্ধনে মসজিদ কমিটির সভাপতি ওসমান গণি অভিযোগ করে বলেন, আমরা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এই মসজিদে নামাজ আদায় করে আসছি। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদ সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নেই। এজন্য গত দুই বছর আগে মসজিদ সংলগ্ন নতুন করে ১০ শতক জমি কিনে নেয়া হয় হামিদুর রহমানের স্ত্রীর কাছে সাড়ে ৫ লাখ টাকায়। পরে জমিতে থাকা বাশঁঁঝাড় কেটে, খানাখন্দ বন্ধ করে মাটিও ভরাট করা হয়। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। মসজিদের কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় সফিকুল ইসলাম সলু ও তার ভাই হকিকুল ইসলাম কেনা জমির ৮ শতক নিজেদের দাবি করে। পরে এনিয়ে বিভিন্নভাবে সালিসে বসা হয়। সমাধানও হয়। জমি রেজিস্ট্রি করাও হয়েছে মসজিদের নামে। মসজিদের নির্মাণ করা শুরু করার লক্ষ্যে দুই টন রডও কেনা হয়েছে। কিন্তু ৫ তারিখের পর থেকে ঝলই শালশিরি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাবা ইয়াসিন আলী ছেলের প্রভাব খাটিয়ে হকিকুল ও সফিকুলকে আবারো জমি নিজেদের দাবি করতে সরাসরি মদদ ও ইন্ধন দেন। পরে আদালতে মামলা করিয়ে মসজিদ নির্মাণে বাধাঁ ও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করান।
    মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সমাজবাসী চাঁদা দিয়ে জমি কিনলাম। এখন সবাই মিলে মসজিদটি স্থায়ী পাঁকাকরণের কাজ শুরু করতে চাচ্ছি। কিন্তু হকিকুল ও সফিকুল ইয়াসিনের পরামর্শে আমাদের কাজে বাধাঁ প্রদান করছে। আমরা এ্যাসিল্যান্ডের কাছে গেছি সেখানে আমরা রায় পেয়েছি। কিন্তু তারা মানেনা। কোর্টে মামলা করলো। তাদের কোন কাগজ নেই অথচ জমির মালিকানা দাবি করছে। আমরা ইয়াসিন সহ এসব চক্রান্তকারীদের বিচার চাই। সেই সাথে তাড়াতাড়ি যেন মসজিদ নির্মাণ করতে পারি সেজন্য সবার সহযোগিতা চাই।
    মসজিদের দাতা সদস্য জামাল হোসেন বলেন, আমরা জমির মুল মালিক। নিজেদের প্রয়োজনে জমিটি আমারই ছোট ভাইয়ের কাছে বিক্রি করি। পরে সে তার স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়। কিন্তু মসজিদ নতুন করে নির্মাণ করতে চাইলে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর কাছে জমিটি কিনে নেয় মসজিদ কমিটি। অথচ হকিকুল ও সফিকুল জমির মালিকই না। কিন্তু ইয়াসিন তাদের নাচাচ্ছে। তারা এখন জমির মালিক দাবি করে মসজিদ নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে।
    তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইয়াসিন আলী বলেন, ছেলের চাইতে আল্লাহর রহমতে আমার যথেষ্ট প্রভাব আছে। আমি কারো নাম ভাঙ্গাই না, প্রভাব খাটাই না। যারা অভিযোগ করতেছে তাদের মধ্যে কয়েকজন আছে আওয়ামী লীগের দালাল। আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানের চামচা। আমাদের বিএনপিরও একজন আছে চেয়ারম্যানের চামচা। তারা আমার নামে এসব ছড়াচ্ছে। মসজিদের নানা সমস্যার কারণে আরো তিনটি মসজিদ হইছে আশপাশে। আর জাল দলিল করে জমি রেজিস্ট্রি করেছে কয়েকজন। কাগজপত্র প্রমাণ দিবে জমি কার। আমি কাউকে জমি দখলে ইন্ধন দেই নি।
    জমির মালিকানা দাবি করা সফিকুল ইসলাম সলু বলেন, আমাদের জমির কাগজপত্র জাল করে হামিদুর রহমান সহ তাদের লোকজন বিক্রি করেছে। মুলত জমির মালিক আমরা। কিন্তু আমাদের জমি না দেয়ায় কোর্টে মামলা করে দিয়েছি। আপনারা কাগজপত্র দেখবেন তারপরে কথা হবে। মসজিদের জমি নিয়ে তো ছলচাতুরী করা যায় না। আমাকে কেউ জমি দখল করতে পরামর্শ দেয়নি।

  • আশুলিয়ায় সাংবাদিক মাজেদুল এর উপর সন্ত্রা-সী হাম-লা ও হ-ত্যার চে-ষ্টায় থানায় অ-ভিযোগ

    আশুলিয়ায় সাংবাদিক মাজেদুল এর উপর সন্ত্রা-সী হাম-লা ও হ-ত্যার চে-ষ্টায় থানায় অ-ভিযোগ

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় (২৭ আগস্ট ২০২৫ইং) মোঃ মাজেদুল ইসলাম (৪৩) নামের এক সাংবাদিকের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একদল দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মাজেদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। গত ২৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলযোগে কবিরপুর বটতলা এলাকায় পেশাগত কাজে গেলে স্থানীয় ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে অভিযুক্ত ১ থেকে ৫নং বিবাদী আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন তার পথরোধ করে জোরপূর্বক তাকে ওয়ার্কশপের ভেতরে নিয়ে আটক রাখে।

    অভিযুক্ত ১নং আসামি মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর কাছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সে দাবি করেন, তার কর্মচারী ‘মাজেদ’ নামের এক যুবক ৪৮ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। সেই টাকা সাংবাদিক মাজেদুল ইসলামের কাছ থেকে আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র—রামদা, হকিস্টিক ও কাঠের লাঠি নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় মাজেদুলের উপর।

    হামলার সময় সাংবাদিক মাজেদুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে গুরুতর জখম করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামি রিপন রামদা দিয়ে তার মাথায় কোপ মারার চেষ্টা করলে তা বাঁ হাত দিয়ে ঠেকালে কোপটি তার ডান হাতের কনুইয়ে লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হয়। অপর আসামি সোহাগ হকিস্টিক দিয়ে পিঠে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এসময় ১নং আসামি মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।

    এছাড়া আসামি রতন আলী তার পকেটে থাকা নগদ ২৫,৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

    চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি তার পত্রিকা অফিস কর্তৃপক্ষ ও আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে, প্রমাণ মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    একজন কর্মরত সাংবাদিককে প্রকাশ্যে দিবালোকে আটকে রেখে হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানেই সমাজের সত্য ও ন্যায়বিচারকে গলা টিপে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।

    উক্ত সাংবাদিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাংবাদিক সমাজ।

  • কোটালীপাড়া পৌর কিচেন মার্কেট সম্প্রসারণ কা-জের শুভ উদ্বোধন করলেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান

    কোটালীপাড়া পৌর কিচেন মার্কেট সম্প্রসারণ কা-জের শুভ উদ্বোধন করলেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান

    কে এম সাইফুর রহমান,
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌর কিচেন মার্কেটের রোড সাইডের টিন শেড সম্প্রসারণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

    বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে তিনি দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে সম্প্রসারণ এ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

    এ সময় কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ দাঃ) ও পৌর প্রশাসক মোঃ মাসুম বিল্লাহ, পৌর সচিব পীযুষ কান্তি বিশ্বাস, সহকারী প্রকৌশলী রাজীব ভক্ত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাজহারুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এরপর জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান কোটালীপাড়া পৌর সভায় পৌঁছালে সেখানে তাকে পৌর প্রশাসক মোঃ মাসুম বিল্লাহ সহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

    এর আগে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও আমতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, শাহান রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে কোটালীপাড়া পৌরসভা কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং কোটালীপাড়া সদর পৌর ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। এসময় পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) এস এম রকিব উদ্দিন সহ পৌর ভূমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।

    পরে জেলা প্রশাসক কোটালীপাড়া উপজেলার পশ্চিমপাড় জিরো পয়েন্টে কোটালীপাড়া পৌরসভার বাস্তবায়নে সদ্য নির্মিত যাত্রী ছাউনীর উদ্বোধন করেন এরপর তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন করেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপন করেন।

    এর পর উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ১৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায়
    বিনা মূল্যে মাসকলাই ডাল, পাটের বীজ, সার ও লেবুর চারা বিতরণ করেন।

    তারপরে জেলা প্রশাসক উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় দরিদ্র, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক জীবন মানোন্নয়নে ৪৫ জনের মাঝে মোট ২১লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের চেক বিতরণ করেন।

    এ সময় কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান শুভ সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তকরণ উপস্থিত ছিলেন।