Blog

  • খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে গোলফল ; অর্থনৈতিক সম্ভা-বনার নতুন দ্বার খুলছে

    খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে গোলফল ; অর্থনৈতিক সম্ভা-বনার নতুন দ্বার খুলছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের বিখ্যাত পামজাতীয় উদ্ভিদ হলো গোলপাতা। গোলপাতার ফলকে স্থানীয়ভাবে গোলফল বলা হয়। ফলটি দেখতে তালের মতো না হলেও দেখতে অনেকটা তালের ফলের মতো এবং এর শাঁসও তালের শাঁসের মতোই হয়। এই ফলটি পামজাতীয় গোলপাতার, যা সুন্দরবন ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে জন্মায়। গোলফল খাওয়া যায় এবং এটি তালের শাঁসের চেয়েও পুষ্টিকর বলে বিবেচিত হয়।
    গোলপাতা গাছকে ঘিরে সুন্দরবন অঞ্চলের জনবসতির ইতিহাস–ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। এ গাছের পাতা ঘর ছাউনির কাজে ব্যবহৃত হয়।গোলপাতা দিয়ে একসময় উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজন ঘরের ছাউনি দিত। এ পাতার ছাউনি নির্মিত ঘরে গরমের সময় ঠাণ্ডা আর শীতের সময় গরম ভাব অনুভূত হয়। গোলপাতার ছাউনি চার-পাঁচ বছর টেকসই হয়। ঘরের ছাউনি ছাড়াও রান্নার জ্বালানি হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়।
    সুন্দরবনের ঐতিহ্যবাহী উদ্ভিদ গোলপাতা। বিশ্বের প্রায় সব ম্যানগ্রোভ বনেই প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় গোলপাতা গাছ। সুন্দরবন ছাড়াও উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, মুন্সীগঞ্জ, বাগেরহাট জেলার, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল ও চিতলমারী এলাকার নদীনালা ও খালবিলের পাশেও গোলগাছ দেখা যায়। এ গাছের গোড়ায় জন্ম হয় কাঁদি-কাঁদি গোলফল। মানুষ এখন গোলফল কেটে খুলনা, বাগেরহাট,সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন লোকালয়ে বিক্রি করছে। প্রতিটি ফল ১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন ফল হওয়ায় মানুষের মধ্যে এর চাহিদা অনেক। গোলপাতার ফলের বাহিরে শক্ত ভিতরে নরম, তালের শাঁসের চেয়েও পুষ্টিকর।
    তালসদৃশ লম্বায় তিন থেকে চার ইঞ্চি ফলগুলো দেখতে কিছুটা ছোট আকৃতির নারকেলের মতো। গোলফলের এক কাঁদিতে প্রায় ৫০-১৫০টির মতো ফল থাকে। শক্ত খোসা কেটে অপরিপক্ব নরম আঁটিগুলোকে খাওয়া হয় ফল হিসেবে। সাদা রঙের আঁটিগুলো স্বাদে অনেকটা তালশাঁসের মতোই। ঘ্রাণ কিছুটা অন্যরকম। একসময় শখের বসেই গোলফল খাওয়ার চল ছিল উপকূলবর্তী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এখন বাজারে ফল বিক্রি হচোছ। খেজুরগাছের মতো গোলগাছের রস থেকে গুড় তৈরি করা যায়।
    গোলপাতা সুন্দরবনের স্বল্প ও মধ্যম লবণাক্ত অঞ্চলে জন্মে। এর পাতা প্রায় ৩-৯ মিটার লম্বা হয়। এছাড়াও ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের উপকূলীয় এবং মোহনা এলাকার একপ্রকার পাম জাতীয় উদ্ভিদ, যাদেরকে নিপা পাম নামেও ডাকা হয়।
    গোলগাছের পাতা, ফল ও মূল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ফলে শরীরের নানান ব্যথা, ডায়বেটিস, চর্মরোগে ওষুধের কাজ করে। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, শক্তি জোগানো এবং হজম উন্নত করে।
    উপকূলীয় অঞ্চলের নদী-খালের নোনা জলে জন্মানো গোলপাতা গাছ এখন কৃষকদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এই গাছ থেকে উৎপাদিত রস, গুড় ও ফল বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষকরা চর এলাকায় গোলগাছের চাষে ঝুঁকছেন।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • ভারত সীমান্তবর্তী পদ্মা পাড়ের কয়েকটি গ্রাম নদী ভা-ঙ্গনে  মানচিত্র থেকে হা-রাতে বসেছে

    ভারত সীমান্তবর্তী পদ্মা পাড়ের কয়েকটি গ্রাম নদী ভা-ঙ্গনে মানচিত্র থেকে হা-রাতে বসেছে

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ, দেওপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী চারটি ইউনিয়নে প্রতিদিনই তীব্র হচ্ছে পদ্মার ভাঙন। অপ্রতিরোধ্য স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বসতবাড়ি, হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি সীমান্তরক্ষী বিজিবি ক্যাম্পও পড়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে।

    শিশুরা কাঁদে, বৃদ্ধেরা থমকে যায়,
    কৃষকের স্বপ্ন আজ ভেঙে চুরমার হয়,
    দুঃখের ঢেউয়ে ভেসে যায় বাড়ি-ঘর, ফসলীজমি, গাছপালা, গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী। এ কষ্টের গল্প লিখে রাখে নদীর চরণ।
    মাটির গন্ধ আজ কাদা আর জলে,
    ফসলের মাঠগুলো যেন বিলীন অজানায় চলে, প্রকৃতি যেন দিয়েছে তার নিজের চিহ্ন,
    আমাদের মমতা ও ভালোবাসার প্রত্যুত্তরে কেবল শূন্য। যৌবনের স্বপ্ন আজ কেবল স্মৃতি হয়ে রয়,
    এই বন্যার তান্ডবে শুধু দুঃখের খেলা হয়।
    তবু আশা করি আবার আসবে সোনালী ভোর, বন্যার জল সরে যাবে, ফিরবে জীবনের চঞ্চলতা,মাতৃভূমির বুকে আবার ফুটবে নতুন ফুল, আশার আলো জ্বলবে, ফিরবে সেই সুন্দর কাল।

    সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবন এখন দিন-রাত কাটছে নদী ভাঙন ও অস্তিত্ব হারানোর আতঙ্কে। ফলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে পদ্মা পাড়ের বেশ কয়েকটি গ্রাম।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ও দেওপাড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর আলাতুলি ও চর দেবীনগর ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম গত দুই বছরে বিলীন হয়েছে পদ্মার পেটে। হারিয়েছে শত শত পরিবার, শত শত একর ফসলি জমি ও সামাজিক অবকাঠামো। কেউ কেউ একাধিকবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন দূরে, কিন্তু ভাঙন থেকে রেহাই পাননি। তাদের বাকি সম্বলও এখন ঝুঁকির মুখে।

    চর আলাতুলি ইউনিয়নের কৃষক মো. আব্দুর জাব্বার বলেন, “একসময় আমাদের গ্রামে ১০০০’ এর বেশি বাড়ি ছিল। এখন অর্ধেকও নেই। পদ্মা সব নিয়ে গেছে। বাকি যারা আছি, জানি না কালকে আছি নাকি থাকব।”

    সরেজমিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পোলাডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ ভাঙনের মুখে। একসময় পদ্মা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে থাকা ব্রিজটি এখন স্রোতের ধারেই দাঁড়িয়ে। গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা এ ব্রিজও পদ্মায় বিলীন হওয়ার অপেক্ষায়।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হিসাবে, গত এক দশকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকায় কয়েকটি গ্রামের পদ্মার ভাঙনে অন্তত ১০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। হারিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমি, বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা। এখনো অন্তত ১ হাজার পরিবার সরাসরি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

    সাবেক ইউপি সদস্য জোহরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পদ্মার ভাঙনে প্রতিনিয়ত সঙ্কুচিত হচ্ছে গ্রামগুলো। বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে পোলাডাঙ্গ ও হরমা গ্রাম। ভাঙনের কারণে সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বিজিবি ক্যাম্পও পড়েছে ঝুঁকিতে। যদি ক্যাম্প নদীগর্ভে চলে যায় তবে সীমান্ত এলাকা কার্যত নিয়ন্ত্রণে নেবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে সীমান্ত নিরাপত্তায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে।’’
    পুলিশের সাবেক এস,আই, মহিশালবাড়ী বাজারের পারফেট ফ্যাসানের মলিক সাদেকুল ইসলাম বলেন আমি প্রতিদিন সকালে নদীর হাঁটতে যায়, নদী ভাঙ্গন ও বন্যা মানুষ তাদের বাড়ীঘর, আসবাবপত্র, গরু,ছাগল, হাঁস মুরগিসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে এপারে চলে আসছে। তাদের দুঃখ কষ্টের সীমা নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দা সেন্টু আলী বলেন, “এখনো পোলাডাঙ্গা গ্রামে প্রায় সাড়ে চারশত পরিবার আর হাজার একর জমি নিয়ে টিকে আছি পোলাডাঙ্গা ও হড়মায়। যদি ভাঙন প্রতিরোধ করা না যায়, তবে আমরা শুধু ঘরবাড়ি হারাব না, সীমান্তও হুমকির মুখে পড়বে।”

    চর আলাতুলির গৃহবধূ রেহানা খাতুন জানান, প্রতিবারই পদ্মার ভাঙনে ঘরবাড়ি রাতারাতি সরাতে হয়। শিশু, বৃদ্ধ, গৃহপালিত প্রাণী নিয়ে নিরাপদে থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, “রাতে ঘুমাতে পারি না। মনে হয় কখন ভিটেমাটি পদ্মায় নামিয়ে নেয়। একেক সময় মনে হয়, নদীর সাথে আমরাও ভেসে যাব।”

    স্থানীয় কৃষক আমিন আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তা টেকসই হয়নি। তাদের অভিযোগ, “যে ব্যাগে ২৫০ কেজি বালু ভরার কথা, সেখানে মাত্র ১০০ কেজি ভরে দায়সারা কাজ করা হয়েছে। এভাবে কাজ করলে নদী রোখা যাবে না।”

    রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, ‘‘ইতোমধ্যে কয়েকটি জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ চলছে। ভাঙন ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে স্রোত তীব্র হওয়ায় প্রতিরক্ষা কাজ টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’’

    চরাঞ্চলের মানুষ বলছেন, সাময়িক প্রতিরক্ষা নয়- স্থায়ী বাঁধ নির্মাণই এখন জরুরি। স্থায়ী সমাধান না হলে অচিরেই পুরো সীমান্তরক্ষী গ্রাম ও অবকাঠামোগুলো বিলীন হয়ে যাবে। তাই আমরা চাই টেকসই বাঁধ, স্বচ্ছ কাজ আর দুর্নীতিমুক্ত প্রকল্প।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, চর আাষাড়িয়াদহ ও দেওপাড়া ইউনিয়নে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়াও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তারা আপতকালিন কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • তানোরে জামায়াতের শুধী স-মাবেশ

    তানোরে জামায়াতের শুধী স-মাবেশ

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপি) জামায়াতের উদ্যোগে শুধী সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, ৩০ আগস্ট শনিবার ইউপি জামায়াতের উদ্যোগে ও ইউপি জামায়াতের আমির জুয়েল রানার সভাপতিত্বে প্রাণপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় চত্ত্বরে আয়োজিত শুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলার ডঃ ওবাইদুল্লাহ, তানোর উপজেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন ও রাজশাহী জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলামপ্রমুখ।এছাড়াও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।#

  • ধামইরহাটে আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় স-ভা অনুষ্ঠিত

    ধামইরহাটে আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় স-ভা অনুষ্ঠিত

    আবুল বয়ান, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

    নওগাঁর ধামইরহাটে সাধারণ শিক্ষা ও কুরআন সুন্না’হর সমন্বয়ে ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধামইরহাট আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবকদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ আগস্ট বেলা ১১ টায় ধামইরহাট পূর্ব বাজারস্থ আইডিয়াল মাদ্রাসা ভবনের ৩য় তলায় মাদ্রাসার চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে মাদ্রাসার শিক্ষার মান, অভিভাবকদের মতামত গ্রহণ ও মুল্যায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিভাবক মা ও বাবাদের মুল্যবান মতামত শ্রবণ করেন মাদ্রাসার উপদেষ্টা ও নজিপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ছানাউল্লাহ নুরী, ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শফিউল আজম, মাদ্রাসার সেক্রেটারী ও বিশিষ্ট ব্যাংকার আবু তাহের, ধামইরহাট সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক, পরিচালক কোরবান আলী, রিজওয়ান হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সাইফুল ইসলাম, উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন, অভিভাবক আব্দুস সামাদ ও অধ্যক্ষ মো. মামুনুর রশীদ। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত মতামত প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য দুরবর্তী শিক্ষার্থী ও মেধার বিকাশ ঘটাতে প্রতিষ্ঠানটিতে চলতি আগস্ট মাস থকেই আবাসিক সুবিধা চালু করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

  • ঝিনাইদহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র উ-দ্বোধন

    ঝিনাইদহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র উ-দ্বোধন

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহ, ৩০ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): জেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। এই আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা ও কুষ্টিয়াসহ পাঁচ জেলার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রশাসনিক সুবিধা ভোগ করবে। আজ সকালে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশে টেলিভিশন সেন্টার পাড়ায় এ কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কৃতি সন্তান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এর উদ্বোধন করেন।

    উদ্বোধন শেষে শহরের সরকারি কেশব চন্দ্র (কেসি) মহাবিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর এতে সভাপতিত্ব করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, খুলনা বিভাগীয় জেলাগুলোর প্রাণকেন্দ্রে ঝিনাইদহ জেলার অবস্থান। তাই ঝিনাইদহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার ফলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা ও কুষ্টিয়ার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ভোগান্তি কমবে। এ অঞ্চলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে বলেও আমরা বিশ্বাস করি।

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র সমন্বয় দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাজিম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বকর সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর এবং গণ অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • নড়াইলে ১০টি চো-রাই ল্যাপটপ উ-দ্ধার আন্তঃজেলা চো-র চ-ক্রের দুইজন গ্রে-ফতার

    নড়াইলে ১০টি চো-রাই ল্যাপটপ উ-দ্ধার আন্তঃজেলা চো-র চ-ক্রের দুইজন গ্রে-ফতার

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে ১০টি চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার আন্তঃজেলা চোর চক্রের দুইজন গ্রেফতার। নড়াইল জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ১০ টি ল্যাপটপ চুরি হওয়ায়। এরই প্রেক্ষিতে নড়াইল জেলার সদর থানায় মামলা রুজু হয়। রুজুকৃত মামলার তদন্তকালীন সময়ে নড়াইল জেলা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে নড়াইল থেকে চুরি হওয়া ১০ টি সরকারী ল্যাপটপ উদ্ধার করে এবং চুরির ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের ২ জনকে গ্রেফতার করে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান,
    স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে সরকারের আইসিটি বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারীভাবে উন্নতমানের ল্যাপটপসহ অন্যান্য আইসিটি সরঞ্জাম প্রদান করা হয়। গত ইং ০৩/০৮/২০২৫ তারিখ সকাল ৯.০০ সময় হইতে ১০.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নড়াইল শিমুলিয়া কলেজের আইসিটি-ডি ল্যাবে প্রাক্টিকাল ক্লাস সম্পন্ন করে দুপুর অনুমান ২.০০ সময় ল্যাবের দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়ীতে চলে যান। পরবর্তীতে ২৫/০৮/২০২৫ তারিখ উক্ত কলেজের আইসিটি প্রাক্টিকাল পরীক্ষা থাকায় ২৪/০৮/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় কলেজের পরিচ্ছন্নকর্মী মোশারফ সরদার’কে সাথে নিয়ে তিনি ল্যাবের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন ল্যাবের ভিতরে থাকা সরকারি বরাদ্দকৃত ওয়ালটন কোম্পানির ১৭ টি ল্যাপটপের মধ্যে ১১টি ল্যাপটপ, যার মূল্য অনুমান (৬৫০০০ x ১১)-৭,১৫,০০০/-টাকা ও বাদীর ব্যক্তিগত compaq কোম্পানির ০১টি ল্যাপটপ, মূল্য অনুমান ৪০,০০০/ টাকা নাই এবং আইসিটি ডি রুমের পিছনের জানালার গ্রিল ও পর্দা কাটা। তখন কলেজের পরিচ্ছন্নকর্মী মোশারফ সরদার সাথে সাথে অধ্যক্ষ স্যারকে ঘটনার বিষয়টি জানান। অধ্যক্ষ স্যার কলেজের অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে নিয়ে আইসিটি-ডি ল্যাবে আসেন। নড়াইল শিমুলিয়া কলেজের অধ্যক্ষ নড়াইল সদর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। সদর থানার এসআই (নিঃ) শেখ সুজাত আলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের সনাক্তের লক্ষ্যে একাধিক বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ করি। চোরাই মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করি। গত ২৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.৪৫ ঘটিকার সময় ১নং আসামী মোঃ উজ্জল শেখকে আগদিয়া বাজার হইতে আটক করা হয়। আটককৃত আসামী মোঃ উজ্জল শেখ’কে কলেজে ল্যাপটপ চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে জানায় যে, বায়েজিত শেখ (১৭), মোঃ রকি (২৬) ও মোঃ লিটন লিটান মোল্যা (৩৯) মিলে কলেজ হতে ১২টি ল্যাপটপ চুরি করে। আসামী উজ্জল শেখ চুরি হওয়া ১২টি ল্যাপটপের মধ্য হইতে ১টি ল্যাপটপ তার বাড়ীতে নিয়ে যায় মর্মে জানায়। তখন ধৃত আসামী মোঃ উজ্জল শেখ’কে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তল্লাশি করি। তল্লাশিকালে ধৃত আসামী উজ্জল শেখ তার বসতবাড়ি ছামিয়ানা বেষ্ঠিত আড়ার উপর সাদা প্লাস্টিকের বাজার করা ব্যাগের ভিতরে রাখা ০১টি ওয়ালটন কোম্পানির ল্যাপটপ, যার মডেল নং WPBX5107GRF102112222 মূল্য অনুমান ৬৫,০০০/ টাকা বের করে দেয়। ইং ২৭/০৮/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ৫.১৫ সময় সময় উক্ত ল্যাপটপটি জব্দতালিকা মূলে জব্দ করি। ধৃত আসামীকে চুরি যাওয়া অন্যান্য ল্যাপটপের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে জানায় যে, অবশিষ্ট ল্যাপটপ গুলো পলাতক আসামীদের কাছে আছে। আসামী মোঃ উজ্জল শেখ এর দেওয়া তথ্যমতে ইং ২৮/০৮/২০২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ১.১৫ ঘটিকার সময় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু ২। মোঃ বায়েজিত শেখ (১৭) ‘কে তার নিজ বসত বাড়ী হইতে আটক করি। মোঃ বায়েজিত শেখ’কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে জানায় ১টি ল্যাপটপ ১নং আসামী মোঃ উজ্জল শেখ এর বসত বাড়ীর রান্না ঘরে খড়ির নিচে রাখা আছে। তখন ধৃত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু মোঃ বায়েজিত শেখকে সাথে নিয়ে ১নং আসামী উজ্জল শেখের বাড়ীতে গিয়ে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু বায়েজিত শেখের দেখানো মতে ১নং আসামী উজ্জল শেখের রান্না ঘরের খড়ির নিচ হইতে ১টি ওয়ালটন কোম্পানির ল্যাপটপ, যার মডেল নং-WPBX5107GRF102111901 মূল্য অনুমান ৬৫,০০০/-টাকা উদ্ধার করেন। পুলিশ উক্ত ল্যাপটপটি জব্দ তালিকা মূলে ইং ২৮/০৮/২০২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ০১.৪৫ ঘটিকায় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। ধৃত আসামী ও আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু মোঃ বায়েজিত শেখ’কে অবশিষ্ট ল্যাপটপের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বায়েজিত শেখ জানায় অবশিষ্ট ল্যাপটপের মধ্যে হইতে ৪টি ল্যাপটপ ধৃত ১নং আসামী উজ্জল শেখ ও পলাতক ৩নং আসামী মোঃ রকি ১নং আসামী উজ্জল শেখ এর স্ত্রী এর ভাড়া বাসা যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামে রেখেছে এবং আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু মোঃ বায়েজিত শেখ নিজে ও ধৃত ১নং আসামী উজ্জল শেখ দুইজনে মিলে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু বায়েজিত শেখ এর নিজের ভ্যানে করে ৪টি ল্যাপটপ ১নং আসামী উজ্জল শেখ এর স্ত্রী এর ভাড়া বাসা যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামে রেখেছে। তখন আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু বায়েজিত শেখ’কে সাথে নিয়ে যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামস্থ আসামী উজ্জল শেখ এর স্ত্রীর ভাড়া বাসায় ইং ২৮/০৮/২০২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ৩.৫ সময় উপস্থিত হই। উক্ত বাসায় তালা বন্ধ দেখে বাসার মালিক জনৈক আবুল কালাম আজাদ(৪০), পিতা-মৃত আব্দুল হামিদ’কে ডাকে। বাসা মালিক জনৈক আবুল কালাম আজাদ পুলিশ সহ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বন্ধ রুমের তালা শাবল দিয়ে ভেঙ্গে রুমের মেঝেতে বিছানো তোষকের নিচে ৭টি ওয়ালটন কোম্পানির ল্যাপটপ, যাহার 5107GRF10211 মডেল নং যথাক্রমে ১। WPBX5107GRF102111994, ২। WPBX 2016, ৩। WPBX5107GRF102112279, 8WPBX5107GRF102112794, ৫ WPBX51 07GRF102113094, ৬। WPBX5107GRF102113285, ৭। WPBX 5107GRF102113305 মোট মূল্য (৬৫০০০ x ৭)-৪,৫৫,০০০/-টাকা এবং ১টি compaq কোম্পানির ল্যাপটপ, যাহার মডেল নং compaq presario-CQ40 লেখা আছে, মূল্য অনুমান ৪০,০০০/ টাকা উদ্ধার করি। উক্ত আলামত ইং ২৮/০৮/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০৩.৫০ ঘটিকায় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করি। চোরাই যাওয়া অবশিষ্ট ২টি ল্যাপটপের বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আস

  • নেছারাবাদে স্থানীয় যুব স-মাজের সেচ্ছা-শ্রমে রাস্তা পুল সংস্কার শুরু

    নেছারাবাদে স্থানীয় যুব স-মাজের সেচ্ছা-শ্রমে রাস্তা পুল সংস্কার শুরু

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

    নেছারাবাদে পথচারিদের দুর্ভোগ লাগবে নিজস্ব অর্থায়ন ও সেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হচ্ছে এলাকার গুরুপ্তপূর্ন পুল,চার(সাকো)। শুক্রবার উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের গুরুপ্তপূর্ন রাস্তাঘাট, অবহেলিত ভাঙ্গা পুল ও সাকো সংস্কারে কয়েক শতাধিক মানুষ ওই কাজে অংশ নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে এভাবে নিজস্ব অর্থায়ন ও এলাকাবাসীর সেচ্ছাশ্রমে ওই ইউনিয়নের সব কয়টি ভাঙ্গা পুল ও রাস্তা সংস্কার করা হবে বলে জানাগেছে।

    বলদিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় যুব সমাজের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও জনগন নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার ভাঙ্গা পুল,জরাজীর্ন রাস্তা সংস্কারের কাজগুলো শুরু হয়েছে। শুক্রবার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বলদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে অবস্থিত একটি জনগুরুপ্তপূর্ন ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের একটি পুলের নতুন ছাউনি দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ওই ইউনিয়নের আটটি ওয়ার্ডের আটটি পুল সংস্কার করা হবে। স্থানীয় জনগন ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে অগ্রাধিকারক্রমে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার সবার ছুটির দিনে ওই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন সেচ্ছাশ্রমে অংশ নেয়া যুব সমাজেরা।

    স্বরূপকাঠি সরকারি কলেজের ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বলদিয়া ইউনিয়নের পুল রাস্তাঘাট সবচেয়ে অবহেলিত। এখানে উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনা। উন্নয়নের অভাবে ক্রমেই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাই এলাকাবাসী দুর্ভোগ লাগবে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো: আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত ধানের শীষের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশি। আমরা তার সমর্থক গোষ্ঠিরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় জনগনের নিজস্ব অর্থায়নে সেচ্ছাশ্রমে এই কাজ করছি।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ।

  • আশুলিয়ায় অ-পহরণ দম্পতিকে উ-দ্ধারে গিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অ-স্ত্রসহ ৪ জনকে আ-টক

    আশুলিয়ায় অ-পহরণ দম্পতিকে উ-দ্ধারে গিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অ-স্ত্রসহ ৪ জনকে আ-টক

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া চৌরাস্তায় রুপয়ন মার্কেটের সামনে থেকে তিনজনকে আটক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    গতকাল দিবাগত রাত ১০ টার দিকে এক দম্পতিকে উত্যক্ত করে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা। পরে ঘটনাস্হল থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে তারা।

    এলাকাবাসীর মাধ্যমে মব সন্ত্রাসের তথ্য পেয়ে জামগড়া আর্মি ক্যাম্প তাৎক্ষণিকভাবে যৌথ টহল পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যায় এবং তিনজন কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীকে আটক করেন বলে সেনাবাহিনী জানান। পরে আটককৃতদের দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণ হওয়া দম্পতিকে উদ্ধারে জামগড়া চৌরাস্তায় শরীফ চৌধুরী নামক ব্যক্তির বাসায় গমন করে যৌথবাহিনী ও টহল পুলিশ, তার বাসায় অভিযান চালিয়ে, নিষিদ্ধ দেশিও অস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, স্টান গান, ৪টি সুইস নাইফ, ৭টি মেসেটে ও জাল টাকা, অনৈতিক কর্মকান্ডের দেহ ব্যবসার আলামতসহ ওয়াকি টকি সেট ইত্যাদি পাওয়া যায় বলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ জানায়।

    আটককৃত ব্যক্তিরা হলো-১। রবিউল মুন্সি (৩৩),
    পিতা- আব্দুল রাজ্জাক
    ঠিকানা-বাগমারা, রূপসা, খুলনা। ২। নাসির শেখ (২১), পিতা- আব্দুল শেখ ঠিকানা-মধ্যপাড়া, গোপালপুর, টাংগাইল। ৩। শ্রী শুভ কুমার, পিতা- শ্রী মানিক
    ঠিকানা- ঘোষাই বাড়ি, ধনুট, বগুড়া। ৪। মো. জনি (২০)
    পিতা- হোসেন শহীদ,
    ঠিকানা- ওলিপুর, ঘাটাইল, টাংগাইল।

    পরবর্তীতে অপরাধীদের থানায় হস্তান্তর ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র সরঞ্জাম সমূহ পুলিশ জব্দ করেন। উক্ত দম্পতিকে সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা যায় কিন্তু এ বিষয়ে সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখনো এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে। শনিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, তিনি বলেন, অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

  • মুকসুদপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই নেতার প-দত্যাগ 

    মুকসুদপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই নেতার প-দত্যাগ 

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুই আওয়ামী লীগ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

    আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় মুকসুদপুরের জলিরপাড়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দরা এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১৭নং জলিরপাড় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্যসাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম ফকির। 

    এ সময় তিনি বার্ধক্যজনিত শারীরিক সমস্যা সহ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নানা কারণে উক্ত সহ-সভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এখন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ড থেকেও স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জলিরপাড় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্যসাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন শেখ (ময়ূর) লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে উক্ত পদ ও আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ড থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন। 

    এ সময় জেলা ও উপজেলায়  বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • পঞ্চগড়ে ডিবি পুলিশের গাড়ির সাথে ধা-ক্কায় শিশুসহ নিহ-ত ২

    পঞ্চগড়ে ডিবি পুলিশের গাড়ির সাথে ধা-ক্কায় শিশুসহ নিহ-ত ২

    বাবুল হোসেন,

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ে ডিবি পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

    শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার পর পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের মৈত্রী চা কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন— সদর উপজেলার জগদল গোয়ালপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে ইয়াসিন আলী (৭) ও জগদল বালিয়াডাঙ্গী এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে আহমদ আলী (৫৫)।

    আহতরা হলেন— চৈতন্যপাড়া এলাকার ইজিবাইকচালক শরিফুল ইসলাম (৪৫), নিহত ইয়াসিনের বড় ভাই সাদেকুল ইসলাম (৩০) এবং কাজীরহাট এলাকার প্রিয়া আক্তার (১৭)।

    স্থানীয়রা জানান, নিহত ও আহতরা ইজিবাইকে করে পঞ্চগড় জেলা শহর থেকে জগদল বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হ্যালিপ্যাড এলাকার মৈত্রী চা কারখানার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ডিবি পুলিশের একটি মাইক্রোবাস একই দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

    পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসিন ও আহমদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ইজিবাইক চালক শরিফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত সাদেকুল ও প্রিয়াকে সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

    দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মাইক্রোবাস ও ট্রাক আটক করে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন,

    “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”