Blog

  • দোয়ারাবাজারে জো-রপূর্বক বাড়ির প্রবেশ পথ ব-ন্ধ করার অ-ভিযোগ উঠেছে

    দোয়ারাবাজারে জো-রপূর্বক বাড়ির প্রবেশ পথ ব-ন্ধ করার অ-ভিযোগ উঠেছে

    হারুন অর রশিদ,
    দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঝুমগাঁও ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল মালেক এর পুত্র এশাদ মিয়া দোয়ারাবাজার থানায় উপস্থিত হয়ে একই গ্রামের পাশের বাড়ির বাসিন্দা আবুল হোসেন এর পুত্র মো. আবু সাইদ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের চলাচলের তার বাড়ি প্রবেশের একটি মাত্র রাস্তা বন্ধ করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন
    ভুক্তভোগী পরিবার।

    রবিবার (৩১ আগস্ট) ঝুমগাঁও ইসলামপুর সরে জমিনে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘ ৪০/৪৫ বছর যাবত আব্দুল মালেক এর পরিবার এই রাস্তা ব্যবহার করে আসছে। এবং তাদের নিকট থেকেই রাস্তা দেওয়ার কথা বলে আবু সাইদ এর পিতা ক্রয় সূত্রে বাড়ির মালিক হন। তবে ঐ সময় সরলতার কারণে দলিলে রাস্তার কথা উল্লেখ না থাকায়, এখন একটু ঝগড়া বিবাদ হলেই রাস্তা বন্ধ সহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

    অভিযোগে জানা যায় ঘটনার দিন ২৭/০৮/২৫ ইং সকালে বিবাদী আবু সাইদ ও তার অনুসারীদের নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পুত্র এরশাদ মিয়ার বসতঘরে হামলা করে মারপিঠ সহ তার টিনশেট ঘর কুপিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করে। এছাড়াও তার বয়স্ক মাকে মারপিট করেছে।

    অভিযোগকারী এশাদ মিয়া বলেন, আমি অসহায় গরীব মানুষ প্রতিপক্ষের লোকজন টাকার গরমে সবসময় আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে আসছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চাতের কথাও তারা মানে না। রাস্তা বন্ধের হুমকি দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে আমাকে ও আমার মাকে মারপিট করেছে। আমি দেশবাসী ও প্রশাসনের নিকট বিচার চাই।

    এব্যাপারে প্রতিপক্ষ আবু সাইদ এর মা কুলসুমা বেগম বলেন, রাস্তায় আমাদের বাঁধা দেই না, তবে রাস্তার পাশে ছোট একটা তাল গাছ নিয়ে সমস্যা। আমি এশাদকে তাল গাছে বিষ দেওয়ার কথা বলায় এশাদ মিয়া পাশের ছায়েম এন্ড সুমি ভ্যারাইটিজ স্টোর দোকানের সামনে আমাকে মারপিট করে। আমি চিৎকার করিলে কয়েকজন আমাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করান।

    দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.জাহিদুল হক বলেন, রাস্তা নিয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সুজানগরে ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে দো-য়া মাহফিল

    সুজানগরে ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে দো-য়া মাহফিল

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি ঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সুস্থতা কামনা এবং পাবনা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ইসহাককের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সুজানগর উপজেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্টিত হয়েছে।
    উপজেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ননের সভাপতি মো. সাদেক মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শামসুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে উপজেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ননের সহ-সভাপতি কোরবান আলী, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সোবহান প্রামানিক, কোষাধাক্ষ তোফাজ্জল হোসেন তোফা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আনিসুর রহমান, লাইন সেক্রেটারি আব্দুল কাদেরসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ অংশ নেন। দোয়া পরিচালনা করেন সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মানিক হোসেন।এ সময় সংগঠনটির উপজেলার নেতৃবৃন্দ বলেন, শিমুল বিশ্বাসের অসুস্থতার খবর শোনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন সুজানগর উপজেলা প্রতিটি নেতাকর্মীসহ পাবনার আপামর মানুষ। জনমানুষের জন্য নিয়োজিত পাবনার এই কৃতিসন্তানের সুস্থতা কামনা করে এবং জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ইসহাককের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।আমরা সুজানগর উপজেলা ট্যাংকলরী কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শিমুল বিশ্বাসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। দোয়া করি, মহান আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করেন এবং আমাদের মাঝে ফিরে আসার তৌফিক দান করেন এবং আমিরুল ইসলাম ইসহাককের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর (পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সুজানগরে ঘরে ঢুকে বন্ধুর স্ত্রীকে ধ-র্ষণ চেষ্টা,থানায় মা-মলা

    সুজানগরে ঘরে ঢুকে বন্ধুর স্ত্রীকে ধ-র্ষণ চেষ্টা,থানায় মা-মলা

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাগর খন্দকার (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে সাগর খন্দকারের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। সাগর খন্দকার উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের তেবিলা গ্রামের সেলিম খন্দকারের ছেলে। তিনি স্থানীয় চিনাখড়া বাজারের একজন কসমেটিকস ব্যবসায়ী।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী ও সাগর খন্দকার দুজন ঘনিষ্ট বন্ধু। এ সুবাদে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূর প্রতি কু-দৃষ্টি পড়ে সাগরের। এর মধ্যে গত ৩ বছর পূর্বে ওই গৃহবধূর স্বামী জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়া পাড়ি জমায় এবং বর্তমানে সে সেখানেই অবস্থান করছে। এ সুযোগে গত ২৭ আগস্ট ভোর রাত ৪টার দিকে বাড়িতে অন্য কোনো লোকজন না থাকার সুযোগে সাগর খন্দকার একই ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের ওই বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ঘরে ঢুকে বন্ধুর স্ত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে।
    স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে এদিন গভীর রাতে ওই গৃহবধুর ঘরে সাগর খন্দকার প্রবেশ করলে স্থানীয়রা তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। পরে প্রভাবশালী একটি মহল আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে বাধা প্রদান করে অনৈতিক সুবিধা আদায় করে স্থানীয় সালীশের মাধ্যমে সাগর খন্দকারকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। আর ওই গৃহবধুকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়।
    ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাগর খন্দকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
    সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, মামলার ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • অ-তিরিক্ত সার দেওয়া মানে জমির জন্য ক্ষ-তি: কৃষি সচিব

    অ-তিরিক্ত সার দেওয়া মানে জমির জন্য ক্ষ-তি: কৃষি সচিব

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    মাঠ পর্যায়ে অসচেতনতা ও অজ্ঞতার কারণে সারের অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। অতিরিক্ত সার দেওয়া মানে জমির জন্য ক্ষতি এবং কৃষকের অর্থের অপচয়। ফসলের জমিতে অতিরিক্ত সার ব্যবহার রোধে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।গত ২৯ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) দেবীপুর ফসলী মাঠে ‘খামারি অ্যাপ’ ব্যবহার নির্দেশনায় মাটির গুণগত মান বিবেচনা করে ধানের চাষাবাদ ও সার ব্যবহার পরিদর্শনে গিয়ে এসব বলেন তিনি। কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া বলেন, ‌‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের ৭০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সারের ভর্তুকিতে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যে পরিমাণ সারের চাহিদা রয়েছে, তা মজুত রয়েছে। কিছু কৃত্রিম সমস্যার কারণে সার সংকট বলে প্রচার করা হচ্ছে।’
    কৃষি সচিব আরও বলেন, ‘আলু চাষিদের কথা বিবেচনা করে হিমাগারের গেটে প্রতিকেজি আলুর সর্বনিম্ন মূল্য ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে ৫০ হাজার টন আলু ক্রয় ও হিমাগারে সংরক্ষণ করে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিক্রি করা হবে। আগামী মৌসুমে আলু চাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।’
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম, সরেজমিন উইং এর পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল, সরেজমিন উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দিন, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আজিজুর রহমান, রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. হাসানুজ্জামান, রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের উপ-পরিচালক (গণযোগাযোগ) ফেরদৌসী ইয়াসমিন, তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকাত সালমান ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ প্রমুখ। পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তানোর উপজেলার আইড়া মোড়স্থ রপ্তানিযোগ্য আম বাগান পরিদর্শন ও চুনিয়াপাড়ায় এয়ার ফ্লো মেশিন দিয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শেষে উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া হাড়দো বিলে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বস্তায় আদা চাষও পরিদর্শন করেন তিনি। এসব অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্য, জনপ্রতিনিধি, কৃষক-কৃষাণী, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।#

  • তানোরে গো-খাদ্যর সং-কট বি-পাকে গৃহস্থ-খামারি

    তানোরে গো-খাদ্যর সং-কট বি-পাকে গৃহস্থ-খামারি

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে গবাদিপশু খাদ্যর (খড়) তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকেরা নির্ভর করছেন কচুরিপানার (দল) ওপর। স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বর্তমান সময় খড়ের কেজি ও আঁটির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ কৃষকের পক্ষে তা কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে গরুর জন্য সহজলভ্য খাবার হিসেবে কচুরিপানা (দল) কেটে ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
    তানোরের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা মাঠ ও পুকুর-ডোবা থেকে কচুরিপানা (দল) সংগ্রহ করছেন। কেউ বাঁশ বা লাঠির সাহায্যে পানির ভেতর থেকে টেনে তুলছেন, আবার কেউ নৌকা ব্যবহার করছেন। কৃষকদের মতে, কচুরিপানা (দল) গরুর জন্য খুব একটা পুষ্টিকর খাবার নয়, তবে খড়ের চড়া দামের কারণে বিকল্প হিসেবে এটিই একমাত্র ভরসা।
    স্থানীয় কৃষক আব্দুল ও আয়ুব বলেন, “আগে খড়ই ছিল গরুর প্রধান খাবার।কিন্ত্ত এখন ১২ হাজার টাকা কাউন। এত দামে আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। তাই কচুরিপানাই (দল) ভরসা।”
    কৃষকরা জানান, খড়ের সংকট অব্যাহত থাকলে গরু মোটাতাজাকরণ ও কৃষি কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা সরকারের কাছে খড়ের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং বিকল্প পশুখাদ্য সহজলভ্য করার দাবি জানিয়েছেন।
    উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর বন্যায় আউশ ধান, জমিতে রোপণ করা আমন ধানের চারা ও গো-খাদ্য ঘাস নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি, টি-আমণ ধান কিছুটা আধা পাকা অবস্থায় হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে কাটা মাড়াই করায় গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেয়। কিছু কিছু এলাকায় খড় পাওয়া গেলেও প্রান্তিক গবাদিপশু পালনকারীদের হাতের নাগালে নেই দাম। বাজারে বিক্রি করা গো-খাদ্যের দামও আকাশচুম্বী। যার ফলে প্রান্তিক গবাদিপশু পালনকারী গৃহস্থরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গবাদিপশু (গরু) বাঁচিয়ে রাখতে তারা বাড়ির পাশের খাল, বিল ডোবায় জন্মানো কচুরিপানা দল তুলছেন। গো-খাদ্য হিসেবে কচুরিপানাই এখন তাদের শেষ ভরসা। কেউ কেউ নিজেদের বাড়ির কাছাকাছি কচুরিপানা না পেয়ে রিকশাভ্যান ভাড়া করে কেউবা পায়ে হেঁটেই দূর-দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করছেন কচুরিপানা। অনেক খামারিও গো-খাদ্য সংকটের কারণে শ্রমিক দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে কচুরিপানা(দল)সংগ্রহ করছেন।
    গ্রামীণ জনপদে কচুরিপানার এ ব্যবহার নতুন কিছু নয়, তবে এবার খড়ের অস্বাভাবিক দামের কারণে তা গরুর প্রধান খাবারে পরিণত হয়েছে।
    উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা(এএও) আকবর হোসেন বলেন, কচুরিপানা (দল) একধরনের বহুবর্ষজীবী ভাসমান উদ্ভিদ। উদ্ভিদটি গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানোসহ নানাবিধ কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে কৃষিতাত্ত্বিকভাবে বিবেচনা করলে এটি একটি আগাছা। কচুরিপানা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে। এজন্য নিচু ফসলি জমিতে বিশেষ করে ধানের জমিতে এই উদ্ভিদকে আগাছা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গো-খাদ্য হিসেবে কচুরিপানা ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে এক দিকে যেমন নিচু ফসলি জমিতে কচুরিপানা নিয়ন্ত্রণে থাকবে অন্যদিকে গো-খাদ্যের চাহিদাও মিটবে।
    উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াজেদ আলী বলেন, শুধু কচুরিপানার ওপর নির্ভর করে গবাদিপশু লালন পালন করা অত্যন্ত কষ্টের। তবে এ মৌসুমে খাল-বিলে প্রচুর কচুরিপানা পাওয়া যাচ্ছে। এতে গবাদিপশু পালনকারীদের জন্য উপকার হয়েছে। তবে কচুরিপানা গরু বা মহিষকে খাওয়ানোর পূর্বে রোদে শুকিয়ে খড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো ভালো।#

  • খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে গোলফল ; অর্থনৈতিক সম্ভা-বনার নতুন দ্বার খুলছে

    খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে গোলফল ; অর্থনৈতিক সম্ভা-বনার নতুন দ্বার খুলছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের বিখ্যাত পামজাতীয় উদ্ভিদ হলো গোলপাতা। গোলপাতার ফলকে স্থানীয়ভাবে গোলফল বলা হয়। ফলটি দেখতে তালের মতো না হলেও দেখতে অনেকটা তালের ফলের মতো এবং এর শাঁসও তালের শাঁসের মতোই হয়। এই ফলটি পামজাতীয় গোলপাতার, যা সুন্দরবন ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে জন্মায়। গোলফল খাওয়া যায় এবং এটি তালের শাঁসের চেয়েও পুষ্টিকর বলে বিবেচিত হয়।
    গোলপাতা গাছকে ঘিরে সুন্দরবন অঞ্চলের জনবসতির ইতিহাস–ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। এ গাছের পাতা ঘর ছাউনির কাজে ব্যবহৃত হয়।গোলপাতা দিয়ে একসময় উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজন ঘরের ছাউনি দিত। এ পাতার ছাউনি নির্মিত ঘরে গরমের সময় ঠাণ্ডা আর শীতের সময় গরম ভাব অনুভূত হয়। গোলপাতার ছাউনি চার-পাঁচ বছর টেকসই হয়। ঘরের ছাউনি ছাড়াও রান্নার জ্বালানি হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়।
    সুন্দরবনের ঐতিহ্যবাহী উদ্ভিদ গোলপাতা। বিশ্বের প্রায় সব ম্যানগ্রোভ বনেই প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় গোলপাতা গাছ। সুন্দরবন ছাড়াও উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, মুন্সীগঞ্জ, বাগেরহাট জেলার, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল ও চিতলমারী এলাকার নদীনালা ও খালবিলের পাশেও গোলগাছ দেখা যায়। এ গাছের গোড়ায় জন্ম হয় কাঁদি-কাঁদি গোলফল। মানুষ এখন গোলফল কেটে খুলনা, বাগেরহাট,সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন লোকালয়ে বিক্রি করছে। প্রতিটি ফল ১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন ফল হওয়ায় মানুষের মধ্যে এর চাহিদা অনেক। গোলপাতার ফলের বাহিরে শক্ত ভিতরে নরম, তালের শাঁসের চেয়েও পুষ্টিকর।
    তালসদৃশ লম্বায় তিন থেকে চার ইঞ্চি ফলগুলো দেখতে কিছুটা ছোট আকৃতির নারকেলের মতো। গোলফলের এক কাঁদিতে প্রায় ৫০-১৫০টির মতো ফল থাকে। শক্ত খোসা কেটে অপরিপক্ব নরম আঁটিগুলোকে খাওয়া হয় ফল হিসেবে। সাদা রঙের আঁটিগুলো স্বাদে অনেকটা তালশাঁসের মতোই। ঘ্রাণ কিছুটা অন্যরকম। একসময় শখের বসেই গোলফল খাওয়ার চল ছিল উপকূলবর্তী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এখন বাজারে ফল বিক্রি হচোছ। খেজুরগাছের মতো গোলগাছের রস থেকে গুড় তৈরি করা যায়।
    গোলপাতা সুন্দরবনের স্বল্প ও মধ্যম লবণাক্ত অঞ্চলে জন্মে। এর পাতা প্রায় ৩-৯ মিটার লম্বা হয়। এছাড়াও ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের উপকূলীয় এবং মোহনা এলাকার একপ্রকার পাম জাতীয় উদ্ভিদ, যাদেরকে নিপা পাম নামেও ডাকা হয়।
    গোলগাছের পাতা, ফল ও মূল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ফলে শরীরের নানান ব্যথা, ডায়বেটিস, চর্মরোগে ওষুধের কাজ করে। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, শক্তি জোগানো এবং হজম উন্নত করে।
    উপকূলীয় অঞ্চলের নদী-খালের নোনা জলে জন্মানো গোলপাতা গাছ এখন কৃষকদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এই গাছ থেকে উৎপাদিত রস, গুড় ও ফল বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষকরা চর এলাকায় গোলগাছের চাষে ঝুঁকছেন।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • ভারত সীমান্তবর্তী পদ্মা পাড়ের কয়েকটি গ্রাম নদী ভা-ঙ্গনে  মানচিত্র থেকে হা-রাতে বসেছে

    ভারত সীমান্তবর্তী পদ্মা পাড়ের কয়েকটি গ্রাম নদী ভা-ঙ্গনে মানচিত্র থেকে হা-রাতে বসেছে

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ, দেওপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী চারটি ইউনিয়নে প্রতিদিনই তীব্র হচ্ছে পদ্মার ভাঙন। অপ্রতিরোধ্য স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বসতবাড়ি, হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি সীমান্তরক্ষী বিজিবি ক্যাম্পও পড়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে।

    শিশুরা কাঁদে, বৃদ্ধেরা থমকে যায়,
    কৃষকের স্বপ্ন আজ ভেঙে চুরমার হয়,
    দুঃখের ঢেউয়ে ভেসে যায় বাড়ি-ঘর, ফসলীজমি, গাছপালা, গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী। এ কষ্টের গল্প লিখে রাখে নদীর চরণ।
    মাটির গন্ধ আজ কাদা আর জলে,
    ফসলের মাঠগুলো যেন বিলীন অজানায় চলে, প্রকৃতি যেন দিয়েছে তার নিজের চিহ্ন,
    আমাদের মমতা ও ভালোবাসার প্রত্যুত্তরে কেবল শূন্য। যৌবনের স্বপ্ন আজ কেবল স্মৃতি হয়ে রয়,
    এই বন্যার তান্ডবে শুধু দুঃখের খেলা হয়।
    তবু আশা করি আবার আসবে সোনালী ভোর, বন্যার জল সরে যাবে, ফিরবে জীবনের চঞ্চলতা,মাতৃভূমির বুকে আবার ফুটবে নতুন ফুল, আশার আলো জ্বলবে, ফিরবে সেই সুন্দর কাল।

    সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবন এখন দিন-রাত কাটছে নদী ভাঙন ও অস্তিত্ব হারানোর আতঙ্কে। ফলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে পদ্মা পাড়ের বেশ কয়েকটি গ্রাম।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ও দেওপাড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর আলাতুলি ও চর দেবীনগর ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম গত দুই বছরে বিলীন হয়েছে পদ্মার পেটে। হারিয়েছে শত শত পরিবার, শত শত একর ফসলি জমি ও সামাজিক অবকাঠামো। কেউ কেউ একাধিকবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন দূরে, কিন্তু ভাঙন থেকে রেহাই পাননি। তাদের বাকি সম্বলও এখন ঝুঁকির মুখে।

    চর আলাতুলি ইউনিয়নের কৃষক মো. আব্দুর জাব্বার বলেন, “একসময় আমাদের গ্রামে ১০০০’ এর বেশি বাড়ি ছিল। এখন অর্ধেকও নেই। পদ্মা সব নিয়ে গেছে। বাকি যারা আছি, জানি না কালকে আছি নাকি থাকব।”

    সরেজমিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পোলাডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ ভাঙনের মুখে। একসময় পদ্মা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে থাকা ব্রিজটি এখন স্রোতের ধারেই দাঁড়িয়ে। গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা এ ব্রিজও পদ্মায় বিলীন হওয়ার অপেক্ষায়।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হিসাবে, গত এক দশকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকায় কয়েকটি গ্রামের পদ্মার ভাঙনে অন্তত ১০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। হারিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমি, বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা। এখনো অন্তত ১ হাজার পরিবার সরাসরি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

    সাবেক ইউপি সদস্য জোহরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পদ্মার ভাঙনে প্রতিনিয়ত সঙ্কুচিত হচ্ছে গ্রামগুলো। বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে পোলাডাঙ্গ ও হরমা গ্রাম। ভাঙনের কারণে সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বিজিবি ক্যাম্পও পড়েছে ঝুঁকিতে। যদি ক্যাম্প নদীগর্ভে চলে যায় তবে সীমান্ত এলাকা কার্যত নিয়ন্ত্রণে নেবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে সীমান্ত নিরাপত্তায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে।’’
    পুলিশের সাবেক এস,আই, মহিশালবাড়ী বাজারের পারফেট ফ্যাসানের মলিক সাদেকুল ইসলাম বলেন আমি প্রতিদিন সকালে নদীর হাঁটতে যায়, নদী ভাঙ্গন ও বন্যা মানুষ তাদের বাড়ীঘর, আসবাবপত্র, গরু,ছাগল, হাঁস মুরগিসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে এপারে চলে আসছে। তাদের দুঃখ কষ্টের সীমা নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দা সেন্টু আলী বলেন, “এখনো পোলাডাঙ্গা গ্রামে প্রায় সাড়ে চারশত পরিবার আর হাজার একর জমি নিয়ে টিকে আছি পোলাডাঙ্গা ও হড়মায়। যদি ভাঙন প্রতিরোধ করা না যায়, তবে আমরা শুধু ঘরবাড়ি হারাব না, সীমান্তও হুমকির মুখে পড়বে।”

    চর আলাতুলির গৃহবধূ রেহানা খাতুন জানান, প্রতিবারই পদ্মার ভাঙনে ঘরবাড়ি রাতারাতি সরাতে হয়। শিশু, বৃদ্ধ, গৃহপালিত প্রাণী নিয়ে নিরাপদে থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, “রাতে ঘুমাতে পারি না। মনে হয় কখন ভিটেমাটি পদ্মায় নামিয়ে নেয়। একেক সময় মনে হয়, নদীর সাথে আমরাও ভেসে যাব।”

    স্থানীয় কৃষক আমিন আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তা টেকসই হয়নি। তাদের অভিযোগ, “যে ব্যাগে ২৫০ কেজি বালু ভরার কথা, সেখানে মাত্র ১০০ কেজি ভরে দায়সারা কাজ করা হয়েছে। এভাবে কাজ করলে নদী রোখা যাবে না।”

    রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, ‘‘ইতোমধ্যে কয়েকটি জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ চলছে। ভাঙন ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে স্রোত তীব্র হওয়ায় প্রতিরক্ষা কাজ টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’’

    চরাঞ্চলের মানুষ বলছেন, সাময়িক প্রতিরক্ষা নয়- স্থায়ী বাঁধ নির্মাণই এখন জরুরি। স্থায়ী সমাধান না হলে অচিরেই পুরো সীমান্তরক্ষী গ্রাম ও অবকাঠামোগুলো বিলীন হয়ে যাবে। তাই আমরা চাই টেকসই বাঁধ, স্বচ্ছ কাজ আর দুর্নীতিমুক্ত প্রকল্প।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, চর আাষাড়িয়াদহ ও দেওপাড়া ইউনিয়নে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়াও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তারা আপতকালিন কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • তানোরে জামায়াতের শুধী স-মাবেশ

    তানোরে জামায়াতের শুধী স-মাবেশ

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপি) জামায়াতের উদ্যোগে শুধী সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, ৩০ আগস্ট শনিবার ইউপি জামায়াতের উদ্যোগে ও ইউপি জামায়াতের আমির জুয়েল রানার সভাপতিত্বে প্রাণপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় চত্ত্বরে আয়োজিত শুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলার ডঃ ওবাইদুল্লাহ, তানোর উপজেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন ও রাজশাহী জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলামপ্রমুখ।এছাড়াও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।#

  • ধামইরহাটে আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় স-ভা অনুষ্ঠিত

    ধামইরহাটে আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় স-ভা অনুষ্ঠিত

    আবুল বয়ান, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

    নওগাঁর ধামইরহাটে সাধারণ শিক্ষা ও কুরআন সুন্না’হর সমন্বয়ে ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধামইরহাট আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবকদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ আগস্ট বেলা ১১ টায় ধামইরহাট পূর্ব বাজারস্থ আইডিয়াল মাদ্রাসা ভবনের ৩য় তলায় মাদ্রাসার চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে মাদ্রাসার শিক্ষার মান, অভিভাবকদের মতামত গ্রহণ ও মুল্যায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিভাবক মা ও বাবাদের মুল্যবান মতামত শ্রবণ করেন মাদ্রাসার উপদেষ্টা ও নজিপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ছানাউল্লাহ নুরী, ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শফিউল আজম, মাদ্রাসার সেক্রেটারী ও বিশিষ্ট ব্যাংকার আবু তাহের, ধামইরহাট সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক, পরিচালক কোরবান আলী, রিজওয়ান হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সাইফুল ইসলাম, উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন, অভিভাবক আব্দুস সামাদ ও অধ্যক্ষ মো. মামুনুর রশীদ। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত মতামত প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য দুরবর্তী শিক্ষার্থী ও মেধার বিকাশ ঘটাতে প্রতিষ্ঠানটিতে চলতি আগস্ট মাস থকেই আবাসিক সুবিধা চালু করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

  • ঝিনাইদহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র উ-দ্বোধন

    ঝিনাইদহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র উ-দ্বোধন

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহ, ৩০ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): জেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। এই আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা ও কুষ্টিয়াসহ পাঁচ জেলার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রশাসনিক সুবিধা ভোগ করবে। আজ সকালে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশে টেলিভিশন সেন্টার পাড়ায় এ কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কৃতি সন্তান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এর উদ্বোধন করেন।

    উদ্বোধন শেষে শহরের সরকারি কেশব চন্দ্র (কেসি) মহাবিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর এতে সভাপতিত্ব করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, খুলনা বিভাগীয় জেলাগুলোর প্রাণকেন্দ্রে ঝিনাইদহ জেলার অবস্থান। তাই ঝিনাইদহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার ফলে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা ও কুষ্টিয়ার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ভোগান্তি কমবে। এ অঞ্চলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে বলেও আমরা বিশ্বাস করি।

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র সমন্বয় দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাজিম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বকর সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর এবং গণ অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।