Blog

  • পূজার নিরাপত্তায় বি-ভিন্ন স্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ  করা হয়েছে-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন

    পূজার নিরাপত্তায় বি-ভিন্ন স্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, “আসন্ন দুর্গাপূজায় পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে। সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমের নম্বর প্রতিটি মন্দির কমিটির সদস্যদের কাছে দেওয়া রয়েছে , তারা যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।”

    সোমবার (২৯সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে ফুলপুর সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ মাকসুদুর রহমান, তারাকান্দা থানার ওসি মোঃ টিপু সুলতান ও ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বক্তব্যে গুজব এড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো ঘটনার বিষয়ে উত্তেজিত না হয়ে সত্যতা যাচাই করার জন্য সময় নেওয়া জরুরি। অনেক ঘটনাই পরে গুজব বলে প্রমাণিত হয়, তাই উত্তেজনা প্রশমনে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।

    পূজামণ্ডপে আগত নারী ও পুরুষ দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রাখার নির্দেশ দিয়ে পুলিশ সুপার পূজামণ্ডপে ব্যাগ, থলে বা পোটলা নিয়ে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদারে সিসি ক্যামেরা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে আর্চওয়ে গেইট স্থাপনের নির্দেশনাও দেন।

    প্রতিমা বিসর্জনস্থলসহ মণ্ডপ এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কায় স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের প্রস্তুতি রাখার পরামর্শও দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

    নিরাপত্তা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের জন্য আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও ‘স্বেচ্ছাসেবক’ লেখা আর্ম ব্যান্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। এছাড়া পূজাকালীন আতশবাজি ও পটকা ফুটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশ পুলিশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন পূজা উদযাপনকালে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় নির্ধারিত শোভাযাত্রার রুট ব্যবহার করার পরামর্শও দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

  • বাকৃবিতে “বাংলাদেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃ-দ্ধকরণ বিষয়ক ধারণা বিনিময়” কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    বাকৃবিতে “বাংলাদেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃ-দ্ধকরণ বিষয়ক ধারণা বিনিময়” কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এর প্রফেসর মুহাম্মদ হোসেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার (পিএমএইচসিএল) এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (জিএআইএন) এর যৌথ আয়োজনে “বাংলাদেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব” শীর্ষক একটি ধারণা বিনিময় কর্মশালা বাকৃবির কৃষি অনুষদীয় কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩০সেপ্টেম্বর)সকাল ১১.০০টায় আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব ব্যাবস্থাপনায় বাস্তবতার নিরিখে আমরা সুদুর প্রসারী লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং এই এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আজকের এই সচেতনতামূলক কর্মশালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছে যে, আমরা সচেতন হলেও সতর্ক নই বিধায় আমাদের মাঝে ডায়াবেটিস, পুস্টিহীনতাসহ নানাবিধ রোগ বাসা বেঁধেছে। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা আয়োজনের জন্য ‘পিএম এইচসিএল’ এর পরিচালককে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান এবং একইসাথে জিএআইএন এর সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। তিনি ভবিষ্যতে বাকৃবি এবং বিনা ছাড়াও অন্য প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞ ব্যাক্তিদের এধরণের কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে , এধরণের কর্মসূচীর মাধ্যমে আমাদের দেশ সুদুর প্রসারী কাংখিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারবে।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক ড. শরীফুল হক ভূইয়া এবং জিএআইএন এর লিড ড. আশেক মাহফুজ। পিএমএইচসিএল এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো: আমির হোসেন এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মাহমুদুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ। এছাড়াও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিএআইএন এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: আবুল বাসার চৌধুরী এবং জিএআইএন এর লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন এন্ড ভ্যালু চেইন এর পোর্টফোলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ। আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. আহমদ খায়রুল হাসান, প্রফেসর ড. মো: দেলোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মো: মকবুল হোসেন, প্রফেসর ড. মোহা: কামরুল হাছান, প্রফেসর (অব:) ড. মো: বোরহান উদ্দিন, বাকৃবি ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো: শহীদুল হক, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো: সামছুল আলম, মাৎস বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মো: বাহানুর রহমান। কর্মশালায় ফুড ফর্টিফিকেশন সম্পর্কিত একটি সেন্টার স্থাপনের সমীক্ষা যাচাইকরণ, বাংলাদেশের জাতীয় ফুড ফর্টিফিকেশনের অংশ হিসেবে কৌশলপত্র প্রণয়ন, খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ, বাজার তদাকিকরণ, দেশের চাহিদা অনুযায়ী যুগোপযোগী ফুড ফর্টিফিকেশন কর্মসূচী গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, গবেষণার সুবিধাদি প্রণয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যাক্তাদের মোটিভেশনের মাধ্যমে দেশের পুস্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদনে অগ্রগামীকরণ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

    উল্লেখ্য, উক্ত কর্মশালায় বাকৃবির সকল অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বাকৃবির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো: হেলাল উদ্দিন,ট্রেজারার প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির, অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

  • রামগড়ে অ-বৈধভাবে বালু উত্তোলন”এক ব্যক্তিকে ১ বছরের কা-রাদণ্ড 

    রামগড়ে অ-বৈধভাবে বালু উত্তোলন”এক ব্যক্তিকে ১ বছরের কা-রাদণ্ড 

     এমদাদ খান রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি 

    খাগড়াছড়ির জেলার রামগড় উপজেলার ১নং   রামগড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড থানাচন্দ্রপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র বিনষ্টের কারণে জহির (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড সহ উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করা হয়েছে। 

    মঙ্গলবার (৩০সেপ্টেম্বর)  দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী শামীম এর পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে এই জরিমানা ও সাজা দেয়া হয়।

     অবৈধভাবে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি ও বালু উত্তোলনের দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২৩) এর ধারা ৭ক এর উপধারা (গ), (ঘ) ও (ঙ) এর অপরাধে অভিযুক্তকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান সহ উত্তোলনকৃত ৮ হাজার ১০০ ঘনফুট বালু জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে বিক্রিত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।  

    রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম জনান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশসহ আশেপাশের ভূমিও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের জীবন ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    মোহাম্মদ এমদাদ খান 
    রামগড় প্রতিনিধি।

  • শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনীর অ-ধিনায়ক

    শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনীর অ-ধিনায়ক

    রফিকুল ইসলাম,
    শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মোতায়েনকৃত নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট নিয়মিত টহল পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

    এরই অংশ হিসেবে বানৌজা শের-ই-বাংলা-এর অধিনায়ক কমডোর এম আশরাফুজ্জামান মঙ্গলবার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর বাহেরচর সদর সার্বজনীন কালীবাড়ি মন্দির, কোড়ালিয়া বাজার সার্বজনীন পূজামণ্ডপ এবং পূর্ব বাহেরচর দাসবাড়ি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

    পরিদর্শনকালে তিনি পূজা আয়োজক কমিটি, প্রধান পুরোহিত, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি ও সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় করে যৌথ নিরাপত্তা আরও জোরদারের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নৌবাহিনী বরগুনা, ভোলা, টেকনাফ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সেন্টমার্টিন, সন্দীপ, হাতিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, খুলনা, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করেছে। সার্বক্ষণিক টহলের পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে কো-অর্ডিনেশন ও মনিটরিং সেল।

    নৌবাহিনী জানিয়েছে, পূজামণ্ডপ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর নজরদারির পাশাপাশি বিশেষ অভিযানিক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় দেওয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব।

    বাংলাদেশ নৌবাহিনী বলেছে, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে তারা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

  • চারঘাট উপজেলার সকল মন্দির পরিদর্শন করেন – অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল হক

    চারঘাট উপজেলার সকল মন্দির পরিদর্শন করেন – অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল হক

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা এবং সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল হক।

    মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে চারঘাট উপজেলার সকল মন্দির পরিদর্শন কালে তিনি বলেন, সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে অভিহিত এবং প্রশংসিত। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্মসহ নানা আচার-অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে। এমন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নজির তামাম দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল।

    তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের জাতীয় জীবনে সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করুক। আমি হিন্দু সম্প্রদায়সহ বাংলাদেশের সকল জাতিগোষ্ঠীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। পারস্পরিক ভালোবাসা, সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, অতীতের মতো এবারো যেন হিন্দু সম্প্রদায় তাদের শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি শারদীয় ধর্মীয় উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চারঘাট উপজেলা সর্বস্তরের জনশক্তি এবং শান্তিপ্রিয় দেশবাসীর নিকট উদাত্ত আহ্বান জানান।

    এ সময়ে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী জেলা সেক্রেটারি ও আসন্ন চারঘাট উপজেলাপরিষদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, চারঘাট উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও আসন্ন চারঘাট উপজেলাপরিষদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সুফেল রানা, চারঘাট উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও আসন্ন স্থানীয় নির্বাচন পরিষদে চারঘাট ৫ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ তরিকুল ইসলাম, পৌরসভা ও ইউনিয়নের আমীরসহ শত-শত নেতৃবৃন্দ।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • শার্শার রুদ্রপুর গ্রামের বিএনপি সভাপতি মতিয়ার রহমানের ই-ন্তেকাল

    শার্শার রুদ্রপুর গ্রামের বিএনপি সভাপতি মতিয়ার রহমানের ই-ন্তেকাল

    আজিজুল ইসলামঃ যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের ১ নম্বর রুদ্রপুর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি রুদ্রপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃতু রুস্তম আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

    দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর সোমবার রাত ১০ টা ২০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় রুদ্রপুর পশ্চিম পাড়া ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
    তারা জানাজা নামাজে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওঃ আজিজুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও যশোর ৮৫/১ শার্শা আসনের সাবেক সাংসদ মফিকুল হাসান তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু, শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ, কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, যুবদলের সভাপতি ডাঃ শফিকুল ইসলাম সহ উপজেলা বিএনপি, কৃষকদল, যুবদল ও ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ হাজার হাজার নেতাকর্মী জানাজা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • গৌরনদীতে ত-দন্ত না করেই সাংবাদিককে মাম-লায় জড়া-লো পুলিশ

    গৌরনদীতে ত-দন্ত না করেই সাংবাদিককে মাম-লায় জড়া-লো পুলিশ

    বিএম মনির হোসেন।
    গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি।

    জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে পেট্রোল পাম্পের সামনে বাঁশের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের দ্বন্দের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে একপক্ষের রোষানলে পরে চাঁদাবাজী মামলার আসামী হয়েছেন এক সাংবাদিক।
    অভিযোগের তদন্ত না করে ওই সংবাদকর্মীকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি সাংবাদিক। এঘটনায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাকার। মামলার আসামী হওয়া সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসান গৌরনদী প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকা এবং সময়ের কন্ঠস্বর অনলাইন নিউজ পোর্টালের গৌরনদী প্রতিনিধি। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোল্লা ফারুক অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে উপজেলার কটকস্থল আরিফ ফিলিং ষ্টেশনের সামনে স্থানীয় হারুন অর রশিদ বেপারী ও মোঃ হীরা মাঝী গংদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে সেখানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাই। পরবর্তীতে একাধিক পত্রিকায় ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দুইপক্ষের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হারুন অর রশিদ বেপারী তার প্রতিপক্ষ মোঃ হীরা মাঝি সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। রহস্যজনক কারনে ওই অভিযোগের মধ্যে আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই অভিযোগের কোন তদন্ত না করেই সোমবার রাতে মামলায় আমাকে আসামী করা হয়েছে। অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, যেখানে সাধারণত হুমকি-ধামকির বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করতে গেলে আগে তদন্ত প্রসঙ্গটি উত্থাপণ করে থানা পুলিশ। সেখানে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত ছাড়া তড়িগড়ি করে আমাকে জড়িয়ে মামলা দায়ের হওয়া রহস্যজনক। মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে তিনি (সাংবাদিক) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, যদি তদন্তে অভিযুক্ত সাংবাদিক যদি না থাকে তাহলে সমস্যা হবেনা। তদন্ত ছাড়া একজন সাংবাদিককে মিথ্যে অভিযোগে কেন আসামী করা হলো জানতে চাইলে তিনি (ওসি) বলেন, একটা মামলা হয়েছে। এখন তদন্ত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এটা নিয়ে এতো সমস্যা নাই।অপর দিকে তদন্তছাড়া গৌরনদী প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকা এবং সময়ের কন্ঠস্বর অনলাইন নিউজ পোর্টালের গৌরনদী প্রতিনিধি মোল্লা ফারুক হাসানকে মিথ্যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ গ্রামীণ সাংবাদিক সংগঠন, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, কালকিনি সাংবাদিক ফোরাম সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনো চক্রান্তে নেই এনসিপি: সারজিস আলম

    নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনো চক্রান্তে নেই এনসিপি: সারজিস আলম

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনো চক্রান্তে এনসিপি নেই। বরং দলটি দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়।

    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গামন্দির পরিদর্শন শেষে হাফিজাবাদ ইউনিয়নের হুদুপাড়া দুর্গামন্দির প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দুর্গামন্দিরগুলোতে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন।

    সারজিস বলেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস তার জায়গা থেকে বলেছেন বিদেশী কিছু শক্তি নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এনসিপি সবসময় বলেছে, বিচার ও সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি সুস্থ নির্বাচন হওয়া জরুরি। এটা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে সারজিস আলম জানান, প্রতীক পাওয়া না পাওয়া বা নির্বাচন পেছানো এ দুটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি বলেন, আমরা আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পাই। এখানে কোনো বাধা নেই। নির্বাচন কমিশনের উচিত বাইরের চাপকে উপেক্ষা করে তাদের মেরুদণ্ডের পরিচয় দেওয়া এবং আইন অনুযায়ী এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতীক পাওয়ার লড়াইটা আইনগত। প্রয়োজনে আমরা রাজপথেও নামব। তবে নির্বাচন পেছানোর সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। যারা নির্বাচন বিলম্বিত করার পাঁয়তারা করছে তাদের উদ্দেশ্য কালো, তারা দেশকে অস্থির করতে চাইছে।

    এনসিপি নেতা স্পষ্ট করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি ফেব্রুয়ারির প্রথমে নির্বাচন দেয়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমরা চাই দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই সনদের ভিত্তিতে মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন হোক।

    দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির পরিদর্শন প্রসঙ্গে এনসিপি মুখ্য সংগঠক বলেন, আমরা শুধু উপহার নিয়ে আসিনি, বরং মন্দির ও শ্মশানের পারিপার্শ্বিক অবস্থা জেনে তা নথিভুক্ত করছি। আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের খাস জমি ও ধর্মীয় সম্পত্তি ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে দখলের চেষ্টা হয়েছে অতীতেও, অভ্যুত্থানের পরেও। তাই আমরা সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানাবো, যেন এসব জমি ও ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

    তিনি অভিযোগ করে বলেন, অতীতে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও প্রকৃত অপরাধীদের কোনো দৃশ্যমান শাস্তি হয়নি। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার সুযোগ পায়। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

    সারজিস আলম বলেন, কিছু ভারতীয় মিডিয়া প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এআই টুল ব্যবহার করে প্রতিমার ছবি বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে, যেন দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি নেই। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখেছি পূজামণ্ডপে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি সন্তোষজনক এবং পরিবেশ শান্তিপূর্ণ।

    তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের সমাজে এখনো সম্প্রীতির বন্ধন অটুট। একই হোটেলে বসে খাওয়া, একই যানবাহনে চলাচল, উৎসবে একে অপরকে নিমন্ত্রণ এগুলোই প্রমাণ করে আমাদের ধর্মীয় সহাবস্থান কতটা দৃঢ়।

    সারজিস আলম এ সময় আরও জানান, গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত পঞ্চগড়ের অন্তত ১৫টি দুর্গামন্দির তিনি পরিদর্শন করেছেন এবং প্রতিটি জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল সন্তোষজনক।

  • আশুলিয়ায় গণহ-ত্যা মা-মলাকে কেন্দ্র করে একটি চক্রের অর্ধ কোটি টাকা মা-মলা বা-ণিজ্যে

    আশুলিয়ায় গণহ-ত্যা মা-মলাকে কেন্দ্র করে একটি চক্রের অর্ধ কোটি টাকা মা-মলা বা-ণিজ্যে

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় নাম উঠে এসেছে সায়েব আলী, আঃ জলিল ও রবিউলসহ কয়েকজনের নাম। তারা নাকি সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী এমনকি সাংবাদিকদেরকেও জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

    অভিযোগ আছে, ফেসবুকের ভুয়া আইডি সৈরাচারমুক্ত সুবিধাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস ব্যবহার করেও এই সিন্ডিকেট চাপ সৃষ্টি করছে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষকে।

    গণহত্যার প্রকৃত খুনিরা বিদেশে পালিয়ে গেলেও মামলায় অনেক নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

    ঘটনার প্রেক্ষাপটঃ ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আশুলিয়ার বাইপাইলে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে, দুই পুলিশ সদস্যকে ধরে এনে হত্যা করা হয় এবং লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয় ওভার ব্রীজে।

    ছাত্র জনতার ৬টি লাশ গুম করতে গিয়ে পুলিশের ভ্যানে আগুনে পোড়ানো হয়। এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয় মামলা ও গ্রেফতারের ধারা।

    বিতর্কিত দিকঃ গণহত্যার মতো সংবেদনশীল মামলাকে ব্যবসায় পরিণত করার অভিযোগ জনমনে ক্ষোভ তৈরি করেছে।

    প্রকৃত খুনিরা বাইরে থাকলেও মামলাবাজরা সাধারণ মানুষকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠছে। মামলা বাণিজ্য আরও কারা করছে তদন্ত চলছে বলে আশুলিয়া থানা পুলিশ জানান।

  • বানারীপাড়ায় সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে গণ সংবর্ধনায় বরণ

    বানারীপাড়ায় সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে গণ সংবর্ধনায় বরণ

    মোঃ সাব্বির হোসেন।

    বরিশালের বানারীপাড়ায় সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে গণ সংবর্ধনায় বরণ করে নিয়েছে উপজেলাবাসী। ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নেতাকর্মীসহ গাড়ি বহর নিয়ে বানারীপাড়ায় পথযাত্রা শেষে বিশারকান্দি ইউনিয়নে এক মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহন করেন তিনি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর–বানারীপাড়া) সংসদীয় আসনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাহসী মুখপাত্র,কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ করেন । এছাড়া বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মতবিনিময় সভায় মাস্টার মোঃ হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত সরকারি ফজলুল হক কলেজের সাবেক ভিপি,চাখার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার,বরিশাল জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি শহীন লস্কর,কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীম আকন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু,ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রদল নেতা ফজলে রাব্বি হৃদয়, মোঃ মহসিন, বানারীপাড়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল লস্কর, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সুমন সরদার, ইমরান হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রিয়াজ হাওলাদারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

    উল্লেখ্য সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা সাইফ মাহমুদ জুয়েল ঢাকা থেকে বানারীপাড়া আসার পথে ছোট ছোট প্রায় শত পথ সভায় অংশ গ্রহন করেন ও তিনি দিকনির্দেশনা মূলক বক্তৃতা দেন। এছাড়াও তার সফর রূপ নেয় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রায় যেখানে গৌরনদী,আগৈলঝাড়া,বাবুগঞ্জ,উজিরপুর, বানারীপাড়া ও বরিশাল সদর থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রায় পাচঁশত মটরসাইকেল ও প্রায় শত প্রাইভেটকার নিয়ে তার বানারীপাড়া সফরে যোগ দিয়ে তার সফরকে শোভাযাত্রায় রূপ দেয়। এছাড়াও তিনি বানারীপাড়ার বিভিন্ন পুজামন্ডব পরিদর্শন করেন ও মন্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।