Blog

  • ৫৬ টাকায় সর-কারি চাকরি ৪৫ জনের  মেধা-র জয়

    ৫৬ টাকায় সর-কারি চাকরি ৪৫ জনের  মেধা-র জয়

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড় জেলা সদরের সুগার মিল কলোনিতে বেড়ে ওঠা খায়রুন নাহার ২০০১ সালে বাবাকে হারিয়ে মাকে নিয়ে ভাঙাচোরা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সংগ্রাম ও অভাবের মধ্যে টিউশন করে লেখাপড়া চালিয়ে তিনি পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ কয়েকটি পরীক্ষায় ভাইভা পর্যন্ত গেলেও চাকরি মেলেনি।

    তবে এবার পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে মাত্র ৫৬ টাকা খরচে চাকরি পেয়েছেন তিনি।

    খায়রুন বলেন, ‘চাকরি নিয়ে গুজব ছিল যে টাকা ছাড়া নিয়োগ হবে না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমি আশা ছাড়েছিলাম। ভাইভা ফল প্রকাশে আমরা বিস্মিত হয়েছি। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রমাণ করেছে যে তদবির ও টাকা ছাড়া চাকরি সম্ভব।

    নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৪৫ জনের অধিকাংশের জীবনেও কষ্টের গল্প একই রকম। কেউ বাবা হারিয়েছে, কেউ মা ছাড়া বড় হয়েছে, কেউ টিউশন করে লেখাপড়া চালিয়েছে। হাফিজাবাদ এলাকার আরজিনা আক্তার বলেন, ‘দুই বছর অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ ছিল। টিউশন করে শেষ করেছি।

    বিনা টাকায় মেধাভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছি।’

    আহম্মদনগর এলাকার সাগর হোসেন ও ফুটকিবাড়ির হাসানুর রহমানও দীর্ঘ সংগ্রামের পর আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেছেন। আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর মেধাভিত্তিক নিয়োগের বড় উদাহরণ এটি।’

    পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান, মোট ১১টি পদে ৪৬ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রায় পাঁচ হাজার প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৩২২ জন, ভাইভাতে উত্তীর্ণ হন ৪৬ জন, এর মধ্যে ৪৫ জন যোগদান করেছেন।

  • ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডলের হাতের ছোঁয়ায় পা-ল্টে গেছে দোরাননগর গ্রামের চি-ত্র

    ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডলের হাতের ছোঁয়ায় পা-ল্টে গেছে দোরাননগর গ্রামের চি-ত্র

    মাগুরা প্রতিনিধি ।।

    মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম দোরাননগর। গড়াই নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে পড়ে গ্রামটি। প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় গ্রামটি অবহেলিত। গ্রামটিতে শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। সরকারি উদ্যোগে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া না লাগলেও ওই গ্রামের বাসিন্দা ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডলের নিজ অর্থায়নে করা বিভিন্ন কাজে গ্রামের চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

    সোমবার সরেজমিনে দোরাননগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লাঙ্গলবাঁধ-ওয়াপদা সড়ক থেকে দোরাননগর গ্রামে ঢুকতেই চোঁখে পড়ে নাম ফলক ও সোলার লাইট। রাতে রাস্তার দু-পাশে সোলার লাইটের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে গ্রামটি। যার ফলে গ্রামে চোরের উপদ্রব অনেক কমেছে। গ্রামে ঢোকার রাস্তার কিছু অংশ পাকা হলেও অনেকটা রাস্তায় কাঁচা রয়েছে। সরকারি রাস্তাটি নদী গর্ভে চলে গেছে। ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল নিজ অর্থায়নে বাগান কেটে, বড় বড় গর্ত ও পুকুর বন্ধ করে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি পুরো রাস্তায় সোলার লাইট লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি নদীর ভাঙন রোধে গড়াই নদীর ভিতর ৪৫ টি বাঁধ নির্মাণ করেছেন। যার ফলে নদী ভাঙন কবলিত একটি গ্রাম নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। মানুষের বিনোদনের জন্য নদীর তীরবর্তী নিজের জায়গায় মায়ের নামে দেবাদাসী ড্রিম পার্ক নির্মাণ করেছেন। প্রতিনিয়ত দুরদুরান্ত থেকে বিনোদনের জন্য পার্কে আসছে। শিশুদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন সময় বিনামূল্যে রোগী দেখেন এবং ঔষধ দিয়ে থাকেন। এ সকল মহতি উদ্যোগের সকল খরচ বহন করেছেন ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল। গ্রামবাসী তার এমন উদ্যোগে রাস্তাটি পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল সড়ক নামে নামকরণ করেছে। তাঁর এ ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০২৪ সালে মাগুরার তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ পুরস্কার প্রদান করেন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডলের বিরদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।

    এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল একজন মহৎ মানুষ। তাঁর মত একজন মহৎ ব্যক্তিকে পেয়ে আমরা ধন্য। তিনি গ্রামের জন্য সর্বস্ব টুকু করে আসছেন। তিনি নিজ অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণ, রাস্তায় সোলার লাইট লাগানো, শিশুদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, দোরাননগর, বিষ্ণুপুর ও গঙ্গারামখালী পর্যন্ত নদী ভাঙন রোধে নদীর ভিতর ৪৫ টি বাঁধ নির্মাণ, মানুষের বিনোদনের জন্য পার্ক নির্মাণ, বিনামূল্যে রোগী দেখা ও ঔষধ প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি জড়িত। রাস্তাটি তাঁর নিজ অর্থায়নে করায় আমরা গ্রামবাসী তাঁর নামে রাস্তাটির নামকরণ করেছি। অনেকের তা সহ্য হচ্ছে না। যার কারণে তারা এ ভাল মানুষটির পিছে লেগেছে। তাদের অভিযোগ, নাম ফলকের কারণে না কি তাদের চলতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের বাড়ির সামনে আমাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না যত সমস্যা তাদের।

    এ বিষয়ে কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন খাঁন জানান, ভাগ্য ক্রমে আমার ইউনিয়নের একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল জন্মগ্রহন করেছেন। তিনি গড়াই নদীর ভিতর বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন কবলিত দোরাননগর গ্রামটিকে রক্ষা করেছেন। তা না হলে গ্রামটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেত। এ কাজে তিনি প্রচুর টাকা খরচ করেছেন। তিনি প্রতিমাসে গ্রামে এসে ফ্রি রোগী দেখেন এবং বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করেন। মানুষের বিনোদনের জন্য একটি পার্ক করে দিয়েছেন। একই সাথে তিনি গ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ওই রাস্তাটি তাঁর নামে নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন রাস্তাটি তাঁর নামে নামকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেব। গ্রামের মুষ্টিমেয় কিছু লোকজন এ ভাল কাজের বিরোধিতা করেছে। তাদের এ কর্মকাণ্ডে তাদেরই লোকজন ঘৃণাভরে দেখছে। আশা করছি তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল আরো ভাল কাজ করুন এ প্রত্যাশা আমাদের ইউনিয়নবাসীর।

    এ বিষয়ে ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল মুঠোফোনে জানান, আমি যখন বাড়িতে যাই ২০১২ সাল থেকেই ফ্রি রোগী দেখি। দুরদুরান্ত থেকে রোগী আসে। আমি গড়াই নদী ভাঙন রোধে ২০২০ সাল থেকে কাজ করেছি এখনো এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাস্তায় চলাচলের মত কোন পরিবেশ ছিল না। আমি নিজ অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণের কাজ করেছি। রাস্তার পাশে সোলার লাইট লাগিয়ে দিই যাতে রাতে মানুষগুলো নির্বিঘ্নে চলতে পারে। শিশু শিক্ষার জন্য একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। বিনোদনের জন্য পার্ক করে দিয়েছি। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে গ্রামের মানুষগুলো জন্য করে আসছি। আমি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। আমার রাজনৈতিক কোন দলের সাথে সম্পৃক্ততা নেই। আমি ডাক্তার, আমি মানুষের সেবক। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো মানুষের সেবায় কাজ করে যাবো যত বাঁধায় আসুক।

  • সলঙ্গায় বিএনপির ৪৭তম প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী পালন

    সলঙ্গায় বিএনপির ৪৭তম প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী পালন

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    নানা আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছেন সলঙ্গা থানা বিএনপি। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ছিল মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের রুপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া মাটি ও মানুষের আস্থার সংগঠন বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবারে সলঙ্গায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। 
    সলঙ্গা থানা বিএনপির আয়োজনে আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। প্রধান আকর্ষণ ছিল বর্ণাঢ্য র‍্যালী।বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণীয় করতে যুবদল,ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল,তাঁতী দল,মহিলা দল,শ্রমিক দল,মৎস্যজীবী দল,জাতীয়তাবাদী গ্রাম ডাক্তার এ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের 
    শত শত নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়।পরে সেখান থেকে নেতাকর্মীরা মাথায় লাল,সবুজ ফিতা,স্ব স্ব ব্যানার,ফেস্টুন,ক্যাপ,জাতীয় ও দলীয় পতাকা,শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া,তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত রং-বেরংয়ের ফেস্টুন নিয়ে সুসজ্জিত ভাবে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সলঙ্গা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। 
    এ সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে র‍্যালীটি মুখরিত হয়ে ওঠে শ্লোগানে শ্লোগানে।
    র‍্যালীটি গোটা সলঙ্গা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে আবারো হাইস্কুল মাঠে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শুরু হয়।আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি,জননেতা মতিয়ার রহমান সরকার,সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল আলিম,সাবেক সাধারন সম্পাদক মারুফ হাসান খোকন,সাবেক সদস্য সচিব হাসান ইমাম তালুকদার সহন,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ সরকার,সিনি: সহ সভাপতি আব্দুল আলিম শেখ,সোলায়মান হোসেন,সদস্য হাবীবুর রহমান,সদস্য হাবীবুর রহমান সুজন, বিএনপি নেতা আহসান হাবীব,হেদায়েতুল ইসলাম আইয়ুব,থানা যুব দলের সাবেক আহবায়ক রাশেদুল হাসান পাপন,সাবেক সদস্য সচিব শাহিন রেজা,যুবদল নেতা কে.এম আল আমিন, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক শেখ র্রফিকুল ইসলাম,নলকা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,হাটিকুমরুল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আম্বিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ,রামকৃঞপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান,নলকা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ,বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম হাবু,থানা পল্লী চিকিৎসক সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারন সম্পাদক কে.এম জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।আলোচনায় বক্তারা বলেন,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহঙ্কার
    দেশ নায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।বিএনপি দেশের মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।তাই

    তৃণমুল পর্যায়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করে জনগণের ভোটে বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ)কে বিজয়ী করতে হবে।পুরো অনুষ্ঠানস্থল ছিল উৎসবমুখর পরি্েশে মুখরিত।

  • ঈশ্বরগঞ্জে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিএনপি নেতা ইন্জিঃ এম এ মজিদ এর বৃক্ষরোপণ ক-র্মসূচি

    ঈশ্বরগঞ্জে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিএনপি নেতা ইন্জিঃ এম এ মজিদ এর বৃক্ষরোপণ ক-র্মসূচি

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য,আগামী ত্রোয়াদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ – ৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইন্জিঃ এম এ মজিদ। একই সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সফল রাষ্ট্রনাশক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া করা হয়।

    বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ধনিয়াকান্দি হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে গাছের চারা রোপণ করে এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এসময় প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জনবান্ধব নেতা ইন্জিঃ এম এ মজিদ।

    এসময় স্থানীয় বিএনপি ও এর অংগসমূহের নেতাকর্মী সহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মো. আতিকুল রহমান সিদ্দিকী ও মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইন্জিঃ এম এ মজিদ
    বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গাছ লাগানোকে খুব পছন্দ করতেন। তার স্মরণে যদি আমরা কিছু গাছ রোপণ করি ও মানুষকে উপহার দিই, তাতে পরিবেশ যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি এর সুফল ভবিষ্যৎ প্রজন্মও ভোগ করবে। গাছের ফল, ছায়া এবং উপকারিতা আমাদের সমাজ ও পরিবেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। আমাদের এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য লোক দেখানো নয়, বরং সত্যিকারের পরিবেশ রক্ষা ও জনকল্যাণে কাজ করা। তিনি আরো বলেন- গাছ মানুষের সবচাইতে বড় বন্ধু, গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি সকলকে বেশি বেশি ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর উদাত্ত আহ্বান জানান।
    এসময় তিনি আগামীর বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ” সকলকে ধানের শীষ “প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।

    ##

  • বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরের পি-তার ই-ন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শো-ক

    বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরের পি-তার ই-ন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শো-ক

    আজিজুল ইসলামঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কবীর হোসেনের পিতা কাসেদ আলী মেম্বর বুধবার দুপুর ২ টা ৪০ মিনিটে ঢাকা ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর। তিনি দুই ছেলে ১ মেয়ে, স্ত্রী ও নাতি নাতনি সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি জীবদ্দশায় বিভিন্ন জনসেবা মুলুক কাজ করে গছেন। তিনি বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এবং উপজেলা ওলামা গোলের সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। আগামীকাল ( আজ) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বাগআঁচড়া হাইস্কুল মাঠে তার নামাজে জানাযায় অনুষ্ঠিত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

    মৃত কাসেদ আলী বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেনের পিতা।তিনি বাগআঁচড়া ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।

    তার মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জানিয়েছেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনিন্দ্য ইসলাম অমিত,যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু,সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি,শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবু সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সমাজিক নেতৃবৃন্দ।

  • সম্মা-নহানীর প্রতি-বাদে ভালুকায় বিএনপি নেতার সংবা-দ স-ম্মেলন 

    সম্মা-নহানীর প্রতি-বাদে ভালুকায় বিএনপি নেতার সংবা-দ স-ম্মেলন 

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহের ভালুকায় ডিজিটাল প্রযুক্তি (এআই) এর অপব্যবহার করে সম্মানহানি ও ব্ল্যাকমেইল চেষ্টার প্রতিবাদ ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মোলক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে
    বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম। প্রতিবাদকারীর বাড়ী
    ডাকাতিয়া ইউনিয়নে। অভিযুক্তরা তার ছবি বিক্রিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লক্ষ টাকা দাবী করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন।

    বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভালুকা পৌর সদরের একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২০ আগস্ট রাত সাড়ে ১২ টার দিকে একটি নাম্বার থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে একজন পুরুষ ব্যক্তি আমাকে বলেন যে আপনি কি সেনাবাহিনীর কোন মেজর কে হুমকি দিয়েছেন তখন আমি বলি সেনাবাহিনীর কোন অফিসারের সাথে কোন বিষয় নিয়েই কথা হয়নি। পরে তিনি ফোন কেটে দেন এবং কিছুক্ষন পরেই আমাকে আমার একটি ছবি পাঠান এবং ফোন করে জানতে চান ছবিটি আমার কিনা তখন আমি বলি যে ছবিটি আমার। তার কিছুক্ষণ পরেই এ আই দিয়ে আমার ছবি বিক্রিত করে আমাকে পাঠান এবং বলেন যে ১ লাখ টাকা না দিলে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দিবে। পরে আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই চক্রটি একটি ভিডিও তৈরি করে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এ ঘটনায় আমি ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি বলেন-আমি সাংবাদিক সম্মেলন করে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি এবং একই সাথে তার সহকর্মী, পরিচিত বা অপরিচিত এবং সকল শুভাকাঙ্ক্ষী কে বিব্রত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

  • নলছিটিতে বিএনপির প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যা-লি ও আলো-চনা সভা

    নলছিটিতে বিএনপির প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যা-লি ও আলো-চনা সভা

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নলছিটি উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় নলছিটি পৌরসভা মাঠে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা চত্বরে এসে সমাপ্ত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জন্ম নিয়েছিল। আজ সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করার আন্দোলনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয় নিশ্চিত করে ঘড়ে ফিরতে হবে আমাদের।

    এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন, জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব কবির হোসেন জোমাদ্দার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাসুম শরীফ, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন।

    বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। 

    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান হেলাল এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজমল হোসেন।

    এসময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • কুমিল্লার সিনিয়র স্কী-ন চিকিৎসক নাজমুল হাসান আখন্দ আ-র নে-ই

    কুমিল্লার সিনিয়র স্কী-ন চিকিৎসক নাজমুল হাসান আখন্দ আ-র নে-ই

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    কুমিল্লার সুনাম ধন্য স্কীন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাজমুল হাসান আখন্দ আর নেই, ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন, তার মৃত্যুতে কুমিল্লাবাসী হারালো একজন দক্ষ, সামাজ সেবক ও ধার্মীক, চিকিৎসক।মৃত্যু কালে স্ত্রী, দু পুত্র সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুন গাহি রেখে গেছে। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর কুমিল্লা সিডি প্যাথ এন্ড হসপিটালে চেম্বার করেন।এছাড়া কুমিল্লার কাবিলায় ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহ যোগী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি পতি বুধবার চাদপুরের হাজীগঞ্জ চেম্বার করতেন,ওখান থেকে চেম্বার শেষ করে কুমিল্লা সিডি হাসপাতালে আসার পথে লালমাই নামক স্থানে সন্ত্রাসীদের কবলে পরে।একপর্যায় নাজমুল হাসান আখন্দ তার নিজেস্ব গাড়ী নিজেই ড্রাইভিং করতে ছিলেন, সন্ত্রাসীরা হেলমেট দিয়ে বাহির থেকে গাড়ির গ্লাসে পিটাতে থাকে, ঐ সময় পত্যাক্ষ দর্শীরা দৌড়ে আসলে সন্ত্রাসীরা হোন্ডা যোগে পালিয়ে যায় বলে জানাযায়। এক পর্যায় চিকিৎসক সন্ত্রাসীদের ভয়ে ব্রাইনস্টোক করে। এসময় গাড়ী থমকে গিয়ে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা সিএনজি তে ধাক্কা মারে।তাৎক্ষণিক পত্যাক্ষদর্শীরা যৌথ ভাবে সন্ত্রাসীদের ধরতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়ে চলে আসে।চিকিৎসক নাজমুল হাসান আখন্দ তখন মৃত্যু বরণ করেন।তার সাথে থাকা কার্ড দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা কুমিল্লা সিডি হাসপাতালে নিয়ে আসে।সিডি হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তার মৃত্যুতে চিকিৎসক, রাজনৈতিক সমাজ, সুজন,সাংবাদিক মহল শোক প্রকাশ করেন।সূত্রে জানা যায় তার গ্রামের বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার কালাসোনা গ্রামে,তিনি ঢাকা বাড্ডা ও কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলাতে বসবাস করতেন

  • ঠাকুরগাঁওয়ে আদা-লত চত্ব-রে  বিচা-রকদের  বৃক্ষরোপণ

    ঠাকুরগাঁওয়ে আদা-লত চত্ব-রে বিচা-রকদের বৃক্ষরোপণ

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    ঠাকুরগাঁওয়ের আদালত চত্বরে প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন জাতের বৃক্ষরোপণ করেছেন বিচারকরা ।

    জানাযায় বুধবার ৩-রা সেপ্টেম্বর বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা ও দায়রা জজ জামাল হোসেন।

    সে সময় উপস্থিত ছিলেন,চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন,অতিরিক্ত জেলা জজ সমরেশ শীল, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ লুৎফর রহমান ও বিএডিসি পরিচালক সহ ঠাকুরগাঁও বিচার বিভাগের সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকতা-কর্মচারীবৃন্দ।

  • বিরামপুরে খেলনা ভেবে গ্রে-নেড নিয়ে খেলছিল শিশুরা, অতঃপর

    বিরামপুরে খেলনা ভেবে গ্রে-নেড নিয়ে খেলছিল শিশুরা, অতঃপর

    জাকিরুল ইসলাম, বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা:

    দিনাজপুরের বিরামপুরে বন বিভাগের পুকুরপাড় থেকে একটি পরিত্যক্ত গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বলে দাবি পুলিশের।

    বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৬টার দিকে পৌর শহরের চরকায় বন বিভাগের অদূরে পুকুরপার থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনী বোম ডিসপোজাল ইউনিট গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করবেন বলে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকেলে চরকায় বন বিভাগের অফিসের পুকুরপার এলাকায় চলাচলের রাস্তায় মাটির নিচে গ্রেনেডটি ছিল। এক নারী সেটিকে খেলনা ভেবে লাথি দেয়। ওই এলাকার কয়েকটি শিশু সেটি নিয়ে খেলা করে। পরে বয়স্ক ব্যক্তিদের বিষয়টি নজরে এলে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে।

    স্থানীয় জামিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, আজ বিকেলে এলাকার কয়েকটি শিশু গ্রেনেডটি নিয়ে খেলা করছিল। পরে তাদের নিষেধ করলে তারা ঘটনাস্থলেই রেখে যায়।

    এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মংলা কর্মকার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে এটি ৭১ সালের যুদ্ধের সময়কার।

    জানতে চাইলে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলেই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হবে।’

    মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির
    বিরামপুর, দিনাজপুর সংবাদদাতা।