Blog

  • আসন্ন দূর্গা উৎসব উপলক্ষে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    আসন্ন দূর্গা উৎসব উপলক্ষে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    কে এম সোয়েব জুয়েল।
    আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে গৌরনদীর মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদকগনের সাথে পুলিশ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তরিকুল ইসলাম। এতে বিশেষ অথিথি ছিলেন গৌরনদী সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার প্রতিনিধি সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান, গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহবায়ক ও গৌরনদী বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, গৌরনদী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দুলাল রায় দুলু, সাবেক এএসপি শান্তুনু ঘোষ, গৌরনদী গালর্স কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল হালদার, পালরদী স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রাজা রাম সাহা। সভায় বক্তব্য রাখেন নলচিড়া মন্দির কমিটির সভাপতি তাপস বনিক, গৌরনদী বন্দর কমিটির সাধারন সম্পাদক গৌরাঙ্গ কুন্ড। সভায় গৌরনদী উপজেলার ৮৪টি মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদকগন উপস্থিত থেকে আসন্ন দূর্গা উপসব শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পরামর্শ দেন এবং প্রশাসন বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

  • ঝালকাঠির নলছিটিতে অবহি-তকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    ঝালকাঠির নলছিটিতে অবহি-তকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধি: মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটিতে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পাইলট কর্মসূচি সম্পর্কিত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    নলছিটি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার( ৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুর রহমান।

    এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( অ: দা:) ফারহানা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মো. কাওছার হোসেন,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম,উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) নুসরাত জাহান,নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শিউলি পারভীন,নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো. আব্দুস ছালামসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হক।

  • ব্যাংক চালান ছাড়াই সার্ভার কপি বিতরণ দেবীগঞ্জ নির্বাচন অ-ফিসে 

    ব্যাংক চালান ছাড়াই সার্ভার কপি বিতরণ দেবীগঞ্জ নির্বাচন অ-ফিসে 

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি।

    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসে ব্যাংক চালান ছাড়াই জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার কপি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

    নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি সার্ভার কপি পেতে ২৩০ টাকা সরকারি ফি ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, দেবীগঞ্জ নির্বাচন অফিসে কোনো আবেদন বা ব্যাংক চালান ছাড়াই সরাসরি সার্ভার কপি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে সরকারের রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অফিসের ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

    সম্প্রতি নীলফামারী জেলার ডোমার থানার বাসিন্দা মোছাঃ সেলিনা বেগমের সার্ভার কপি দেবীগঞ্জের বাসিন্দা রাকিব ইসলাম নামে একজন ২৫ আগস্ট দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ব্যাংক চালান ছাড়াই সার্ভার কপি সংগ্রহ করেন। অথচ এ সংক্রান্ত কোনো আবেদনপত্র বা ব্যাংক চালানের রশিদ অফিসে পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে, অন্য জেলার একজন নাগরিক কিভাবে দেবীগঞ্জ থেকে সার্ভার কপি সংগ্রহ করলেন? এটি নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় ব্যাপক সন্দেহ তৈরি করেছে।

    ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যম অনুসন্ধান শুরু করলে ২৬ আগস্ট অফিসে গিয়ে জানতে চাইলে মুকুল ও মোস্তফা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আরও জানা যায়, ২৫ আগস্ট ব্যাংক চালান ছাড়াই সার্ভার কপি দেওয়ার পর ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে ২৮ আগস্ট তারা ব্যাংকে দুইশত ৩০ টাকা জমা দিয়ে বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করেন।

    এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ মুকুল ইসলাম এবং স্ক্যানিং এন্ড ইকুইপমেন্ট মেইনটেনেন্স অপারেটর মোঃ মোস্তফা কামাল দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অনিয়ম চালিয়ে আসছেন। তারা শুধু রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন না, বরং সরাসরি অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

    বর্তমানে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মোট ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। তবে অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন মুকুল ও মোস্তফা।

    এই বিষয়ে মুকুল ইসলাম বলেন, অডিটের ঝামেলা এড়াতে আমি চালান জমা দেই। চালান জমা দিলে যে এত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে আগে বুঝিনি।

    এই বিষয়ে মোস্তফা কামাল বলেন, আপনারা এই বিষয়টি নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন কেন। কিছু জানার থাকলে অফিসে এসে জেনে নিবেন।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রোস্তম আলী বলেন, প্রথম দিন অভিযোগ আসার পর আবেদন ও শুধু দেবীগঞ্জ উপজেলার ভোটারদের এনআইডি সার্ভার কপি প্রদানে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এখন থেকে প্রতিটি আবেদন আমি নিজেই যাচাই করে সার্ভার কপি প্রদান করব।

    জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, এই ধরণের একটি তদন্ত ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আর সাম্প্রতিক বিষয়টি নিয়ে আমি অফিসে কথা বলে দেখব। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি আরো ইফেক্টিভ হয়।

    সচেতন মহল বলছে, এ ধরনের অনিয়ম শুধু রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ক্ষতির কারণ নয়, বরং জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথির ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা দ্রুত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

    এদিকে নির্বাচন অফিসের একটি সূত্র নিশ্চিত করে, গত রবিবার (৩১ আগস্ট) ভিন্ন উপজেলার অন্তত ১০ জন ব্যক্তি এনআইডি সার্ভার কপির জন্য নির্বাচন অফিসে এলেও নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের ফেরত পাঠান। এই সংখ্যা থেকে স্পষ্ট হয়েছে, সার্ভার কপিকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে রমরমা বাণিজ্য চলে আসছিল।

  • পঞ্চগড়ে উত্তরা গ্রীণ টি কারখানার চেয়ারম্যান ও পরিচালক কা-রাগারে 

    পঞ্চগড়ে উত্তরা গ্রীণ টি কারখানার চেয়ারম্যান ও পরিচালক কা-রাগারে 

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ে সাবেক শিক্ষা অফিসারসহ উত্তরা গ্রীণ টি কারখানার চেয়ারম্যান ও একজন পরিচালককে হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

    পঞ্চগড় আমলী আদালত-১ এর বিচারক এই আদেশ দেন, বলে নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান রাশেদ।

     

    তিনি বলেন,আসামীদের নামে সমন জারীর পর দীর্ঘ সময় আদালতে হাজীর না হওয়ায়, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী হয়।আজকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে, বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।তাদের বিরুদ্ধে ৪০৬,৪২০ ও ৫০৬ ধারাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল।

    মামলার নথি সূত্র জানা যায়,চলতি বছরের জুলাই মাসে উত্তরা গ্রীণ টি ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক,বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ছয়জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল অবৈধভাবে কারখানা পরিচালনা,অর্থ আত্মসাত অন্য পরিচালকদের বঞ্চিত,নিয়মবহির্ভূতভাবে চা কারখানা ভাড়া দেওয়া।

    আসামীরা হলেন,উত্তরা গ্রীণ টি ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আইরিন পারভীন,তার স্বামী পঞ্চগড়ের সাবেক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বোরহান উদ্দিন,তারা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মোহাম্মদপুর এলাকার ব্লক-এ ১/১২ ইকবাল রোডের বাসিন্দা।কারখানাটির একজন পরিচালক শাহ আলম মিঠু (৪৬)।তিনি রংপুর কতোয়ালী উপশহর উত্তরা কেল্লবন্দ এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে।

  • কালকিনিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী উ-দযাপন

    কালকিনিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী উ-দযাপন

    কালকিনি -ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এক জনসভা।

    জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বেপারী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুস সুবাহান, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব অহিদুজ্জামান খান অহিদ, সদর যুবদলের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন সরদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান,কালকিনি পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান তোতা,পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. নাসির উদ্দিন ফকির লিটন,বিএনপি নেতা শহীদ খান,রোকনুজ্জামান রতন মৃধা,উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা দুলাল,সাহেবরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের,পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সালাহউদ্দিন হাওলাদার,যুবদল নেতা জুয়েল প্যাদা,পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি জুলহাস সরদার,যুবদল নেতা শাহিন মৃধা,ছাত্রদল নেতা রফিকুজ্জামান রকি,সহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

  • বাংলাদেশ মানবা-ধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট ফুলবাড়ীয়া শাখার কমিটি অনু-মোদন

    বাংলাদেশ মানবা-ধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট ফুলবাড়ীয়া শাখার কমিটি অনু-মোদন

    ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ
    বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট ফুলবাড়ীয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট ২০২৫ ইং বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মোঃ রেজাউল করিম খান রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হাসানের স্বাক্ষারিত পত্রে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ তারা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম হীরা সহ ৬৫ সদস্য বিশিস্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ স্ট্রাষ্ট আগামী দিনে তাহাদের নেতৃত্বে আরো শক্তিশালী হবে।

  • জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মু-ছে ফেলার ভুল বো-ঝাবুঝি নিয়ে জেলা প্রশাসকের বক্তব্য

    জুলাই গ-ণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মু-ছে ফেলার ভুল বো-ঝাবুঝি নিয়ে জেলা প্রশাসকের বক্তব্য

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    সম্প্রতি  ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনের সীমানাপ্রাচীরে আঁকা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবী করেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।বরং দীর্ঘ দিন ধরে সীমানা প্রাচীরের সংস্কার না করায় সেখানে ময়লা লেগে এর পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হওয়ায় সেখানে নতুন করে রং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান-ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের বাংলো, জেলা প্রশাসকের বাংলোর দেয়াল সহ বাসভবন , ভবনের গেইট, এবং পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই ভবন ও দেয়াল মেরামত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনেক লেখালেখি করার পরে কিছু আর্থিক বরাদ্দ পাওয়ার পর গণপূর্ত অধিদপ্তর ময়মনসিংহ পরিচালিত এই নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম ও ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে নিয়ে প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বক্তব্য পোস্ট করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো- তিনি লিখেছেন

    এটা সকলেই অবগত আছেন যে ৫ ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের বাংলো, জেলা প্রশাসকের বাংলোর দেয়াল সহ বাসভবন , ভবনের গেইট, এবং পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভবন ও দেয়াল মেরামত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনেক লেখালেখি করার পরে কিছু আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়। ওই বরাদ্দ প্রাপ্তির পরে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দেয়াল এবং চতুর পাশে বেড়া কাঁটাতারের বেড়াসহ নানাবিধ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজের অনেকদূর অগ্রগতি হয়েছে। এ জীর্ণশীর্ণ ওয়ালের মধ্যে কিছু গ্রাফিতি ছিল। এগুলো থাকা অবস্থায় সংস্কার করা না হলে ভবন ও দেয়াল অরক্ষিত থাকবে। অর্থ বরাদ্দ ল্যাপস হয়ে যাবে।

    ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে চার পাশে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হয়েছে।ওয়ালগুলোকে উপরের দিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ওয়ালকে টাচ না করে কাজ করার কোন সুযোগ নেই মর্মে গণপূর্ত অধিদপ্তর , ময়মনসিংহ কর্তৃক জানানো হয়। তাদের কাজের সময় কিছু গ্রাফিতির উপর সিমেন্টের আঁচড় লাগে। এতে কিছুটা বেমানান লাগছিল। এটা নিয়ে ভুল বুঝবুঝির কোন অবকাশ নেই। গণপূর্ত কর্তৃক নির্মাণ ও মেরামত কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেলে আমি পূর্বের চাইতে আরো সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরভাবে গ্রাফিতি অংকন করে দিব- ইনশা আল্লাহ ।

    এই নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলার পক্ষ থেকে। ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের থেকে। ঠিকাদার নিয়োগের সাথে জেলা প্রশাসকের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

    আমি নিজেও ২৪ কে ধারণ করি এবং লালন করি। ২৪ এর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে চাই। ২৪ এর চেতনার পরিপন্থী কোন কাজ আমার দ্বারা হবেনা – এটা সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই।

    বিনীত
    মুফিদুল আলম
    জেলা প্রশাসক
    ময়মনসিংহ।

    জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম ময়মনসিংহে যোগদানের পর থেকে ২৪ এর আদর্শ ও চেতনা সমুন্নত রাখাসহ আদর্শ ও চেতনাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে, গুরুত্ব দিতে এবং এর বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তিনি
    জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করার জন্য তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। সফলভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করায় জেলাব্যাপী তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত পরিদর্শন এবং উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত জনপ্রশাসন কে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

    গ্রাফিতি নিয়ে ভূল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক  বলেন, “ভবন ও দেয়ালের নিরাপত্তা রক্ষায় গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ পরিচালনা করছে। ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে গণপূর্ত, জেলা প্রশাসকের এ বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কাজ চলাকালীন সময়ে কিছু গ্রাফিতিতে সিমেন্টের আঁচড় পড়ায় কিছুটা বেমানান দেখাচ্ছে। তবে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। কাজ শেষ হলে পূর্বের চাইতে আরও সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরভাবে গ্রাফিতি পুনরায় আঁকা হবে—ইনশা আল্লাহ।

  • পঞ্চগড়ে অস্বা-স্থ্যকর পরিবেশে চানা-চুর উৎপাদন, দুই কারখানাকে জরি-মানা

    পঞ্চগড়ে অস্বা-স্থ্যকর পরিবেশে চানা-চুর উৎপাদন, দুই কারখানাকে জরি-মানা

    বাবুল হোসেন,

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ে  অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর তৈরি ও মানহীন তেলসহ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই কারখানাকে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বিশমনি ও পৌরসভার জালাসী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও প্রশাসন।

    অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজি। এ সময় দুটি কারখানাকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা হয় প্রায় দুই শতাধিক কেজি চানাচুর।

    সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বিশমনি এলাকায় ‘বাবু চানাচুর’ নামের কারখানায় পোকামাকড়যুক্ত বাদাম, মানহীন মরিচগুঁড়া ও নোংরা তেল ব্যবহার করে চানাচুর তৈরি করা হতো। এ অপরাধে কারখানার মালিক শরিফ উদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কারখানায় প্রস্তুত রাখা প্রায় ১২০ কেজি চানাচুর জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

    একই অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভার জালাসী এলাকায় ‘সারোয়ার চানাচুর’ কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদনের অভিযোগে মালিক নজরুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠান থেকে জব্দকৃত প্রায় ১০০ কেজি চানাচুরও ধ্বংস করা হয়।

    পঞ্চগড় সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন খালিদের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহন মিনজি, সদর থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম, সেনা সদস্য ও থানা পুলিশের একটি টিম।

    অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহন মিনজি বলেন, “কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর তৈরি হচ্ছিল। ব্যবহৃত তেলের মান ছিল অত্যন্ত নোংরা, চারদিকে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে একই অপরাধ করলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    তিনি আরও জানান, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • দ্রব্যমূল্যের লাগা-মহীন বৃদ্ধি-তে দি-শেহারা শ্রমিকরা—ন্যা-য্য মজু-রি এখন সময়ের দা-বি

    দ্রব্যমূল্যের লাগা-মহীন বৃদ্ধি-তে দি-শেহারা শ্রমিকরা—ন্যা-য্য মজু-রি এখন সময়ের দা-বি

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম: দেশের জ্বালানি খাতের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র পতেঙ্গা। এখানে অবস্থিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) অধীনস্থ ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডসহ পাঁচটি কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার সকালে একযোগে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    ইস্টার্ন রিফাইনারির প্রধান ফটকের সামনে সকাল থেকে শুরু হয় অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি। এতে শত শত শ্রমিক-কর্মচারী অংশ নেন। তারা ৫ দফা দাবি আদায়ে শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল করে তোলেন পুরো এলাকা।

    শ্রমিকদের মূল দাবিঃ-১. ন্যূনতম দিনমজুরি ৮০০ টাকার পরিবর্তে ১০৫০ টাকা করতে হবে।(২).শ্রমিকদের জন্য দুই ঈদে উৎসব ভাতা চালু করতে হবে।(৩). নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধি শ্রমিকদের জীবনে যে চরম চাপ তৈরি করছে, তার জন্য ভর্তুকি বা সহায়তা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।(৪.) শ্রমিক পরিবারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহজলভ্য সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।(৫.) তেল সেক্টরে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও তালবাহনা বন্ধ করতে হবে।

    ইস্টার্ন রিফাইনারি নিযুক্ত ঠিকাদার দিনমজুর শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং ১০২২)-এর সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন জুয়েল, প্রবীণ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ আরাফাত রহমান, আনোয়ার হোসেন, মোঃ মিজান, মোঃ সালাউদ্দিনসহ আরও অনেকে।

    পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও এলপিজি কারখানার শ্রমিকরাও একাত্মতা প্রকাশ করে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।

    তারা অভিযোগ করে বলেন,-> “একদিকে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি, অন্যদিকে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি কাঠামো অবহেলিত। ৮০০ টাকায় আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। পরিবার চালাতে আমরা ন্যূনতম ১০৫০ টাকা চাই।”

    শ্রমিক নেতারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,চেয়ারম্যান বা এমডি শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে যৌক্তিক আলোচনায় না বসলে এই আন্দোলন আরও কঠোর আকার ধারণ করবে। শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করতে জ্বালানি উপদেষ্টা ও সচিবকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হবে।
    দাবি উপেক্ষা করা হলে তেল সরবরাহ ব্যবস্থা অচল হয়ে যাবে, যার মারাত্মক প্রভাব পড়বে সারাদেশে।

    বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম গত এক দশকে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দামও একের পর এক বেড়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের দিনমজুরি এখনো ৮০০ টাকার কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। ফলে পরিবার চালানো, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যয় বহন করা শ্রমিকদের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

    শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি—এই বৈষম্যমূলক বাস্তবতা অবিলম্বে সমাধান করা না হলে জ্বালানি সেক্টরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে এবং তার সরাসরি প্রভাব পড়বে শিল্পখাত ও সাধারণ মানুষের জীবনে।

  • কুমিল্লার নির্বাচনী সীমানা পু-ননির্ধারনে জটিলতা নিয়ে জ-নমনে নানান প্রশ্ন

    কুমিল্লার নির্বাচনী সীমানা পু-ননির্ধারনে জটিলতা নিয়ে জ-নমনে নানান প্রশ্ন

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    সারা দেশের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

    ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন অনুযায়ী প্রাথমিক তালিকার ওপর প্রাপ্ত আপত্তি, দাবি, সুপারিশ ও মতামত পর্যালোচনা শেষে এবং প্রকাশ্য শুনানি গ্রহণ করে কমিশন চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করেছে।

    চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার সংসদীয় আসনগুলোর সীমানায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কুমিল্লা-১ আসন এখন দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে গঠিত।

    কুমিল্লা-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হোমনা ও তিতাস উপজেলা। কুমিল্লা-৩ আসন নির্ধারিত হয়েছে মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা-৪ আসন দেবীদ্বার উপজেলা নিয়ে। অন্যদিকে, কুমিল্লা-৫ আসন গঠিত হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং উপজেলা দিয়ে পূর্বের ন্যায় রয়ে গেছে।

    কুমিল্লা-৬ আসন রাখা হয়েছে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা ও সদর দক্ষিণ উপজেলা মিলিয়ে।
    কুমিল্লা-৭ আসন চান্দিনা উপজেলাও আগের মতোই সীমানা রয়েছে, কুমিল্লা-৮ আসন বরুড়া উপজেলা, কুমিল্লা-৯ আসন মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম উপজেলা এবং কুমিল্লা-১০ আসন নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা-১১ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে এককভাবে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে।

    এর আগে ৩০ জুলাই প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক মহল থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব ও আপত্তি জমা পড়ে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এসব দাবির ভিত্তিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে তথ্য-উপাত্ত এবং শুনানিতে উপস্থাপিত যুক্তি বিশ্লেষণ করে কমিশন নতুন এই তালিকা প্রকাশ করে।

    এদিকে আসন পুনর্বিন্যাস তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরপরই আবারো বিতর্ক শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানান, কুমিল্লা সদর আসন আগেই অনেক বড় ছিলো, এর মাঝে সদর দক্ষিণ যুক্ত হয়ে এই এক আসনের ভোটার এখন ৬ লক্ষের উপরে হয়ে যাবে। এত ভোটার একটি আসন, এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    এদিকে, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মোট ৩০০ আসনের পুনঃনির্ধারিত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং তা বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় সংযুক্ত থাকবে।

    আসনবিন্যাসকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক চললেও ইসি মনে করছে, এই চূড়ান্ত তালিকা আসন্ন নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। কমিশন এখন সকল রাজনৈতিক দল ও অংশীজনকে নির্বাচনকে সামনে রেখে কার্যকর প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল হক চৌধুরী তার পূর্বের আসন পূর্ণবহালের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা সহ কুমিল্লাতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে গত ৩ রা সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নগরীর পূর্বালী চত্বর সংলগ্ন লাকসাম সড়কে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করে।