Blog

  • দোয়ারাবাজারে পূজা মণ্ডপ পরি-দর্শনে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মুশফেকুর রহমান

    দোয়ারাবাজারে পূজা মণ্ডপ পরি-দর্শনে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মুশফেকুর রহমান

    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সনাতনধর্মালম্বীদের সর্বোচ্ছ উৎসব
    শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ মুশফেকুর রহমান।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি দোয়ারাবাজারে সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ ও বিদ্যাজননী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলার বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।

    ডিআইজি মুশফেকুর রহমান সনাতন ধর্মাবলম্বী ও মণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করেন। তিনি সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

    এর আগে ডিআইজি সিলেট তাকে স্বাগত জানান সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো.তোফায়েল আহমদ , এসপি (
    ছাতক-দোয়ারা) সার্কেল মো.আ: কাদের ও দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক।

    এসময় রেঞ্জ অফিস,জেলা পুলিশ এবং থানা পুলিশের কর্মকর্তারা ও দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালিব ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ

    ,সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মুন্সি, কোষাধ্যক্ষ সোহেল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক সুমন আহমদ,প্রচার সম্পাদক জহিরুল হক সানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর সন্ত্রা-সী হা-মলা, গু-রুতর আহ-ত

    দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর সন্ত্রা-সী হা-মলা, গু-রুতর আহ-ত

    হারুন অর রশিদ।
    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ৫নং পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    আহত গৃহবধূর নাম জোসনা বেগম (৪৫)। তিনি ওমান প্রবাসী জমির হোসেনের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে এক সালিশে প্রবাসী জমির হোসেনের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওনা পরিশোধের রায় হয়। কিন্তু বিবাদী আব্দুল কালাম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করতে থাকেন।
    ঘটনার দিন দুপুরে টাকা চাইতে গেলে বাদানুবাদের একপর্যায়ে মিজানুর রহমান (২২) ও তার মা জোসনা বেগমের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত আমির বাদশা, আলীম উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, এনাম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল কালাম, সুমন মিয়াসহ আরও অন্তত ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা বেগমকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে এনে রামদা, দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
    এসময় গৃহবধূর বাম হাত, গলা ও পেটে গভীর রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা) এবং গলায় থাকা ১ ভরি স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগীর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়।
    পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত জোসনা বেগমকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে মিজানুর রহমান দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • নড়াইলে স-ম্প্রীতির এক অটুট বন্ধন মসজিদে চলছে নামাজ আর মন্দির চলছে শারদীয় দুর্গা পূজা

    নড়াইলে স-ম্প্রীতির এক অটুট বন্ধন মসজিদে চলছে নামাজ আর মন্দির চলছে শারদীয় দুর্গা পূজা

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
    নড়াইলে মসজিদে চলছে নামাজ আর মন্দির চলছে। শারদীয় দুর্গা পূজা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মসজিদে চলছে নামাজ আবার মন্দির চলছে পূজা এ যেন সম্প্রীতির এক অটুট বন্ধন। নড়াইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মহিষখোলা এলাকায় একপাশে মসজিদে চলছে নামাজ আদায়, অপরপাশে মন্দিরে চলছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। এভাবে যার যার ধর্ম সে সে পালন করছে প্রায় ৪৫ বছর। এ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, জানা যায়, ১৯৮১ সালে নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা এলাকায় পুরাতন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আর এর কয়েকমাস পরে মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপটি তৈরি করা হয়। সেখান থেকেই এখানে শারদীয় দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ এলাকার মানুষের মাঝে নেই কোনো ভেদাভেদ। যার যার ধর্ম সে সে পালন করছেন।
    এ বছর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে এ বছরের পূজার আনুষ্ঠানিকতা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব বয়সের লোকজন ধর্মীয় আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। এ উৎসব চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর জেলায় ৫২৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ২৩৯টি, লোহাগড়া উপজেলায় ১৪৪টি এবং কালিয়া উপজেলায় ১৪১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
    মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে পূজা দেখতে আসা দর্শনার্থী কলেজ ছাত্রী অনিতা বিশ্বাস বলেন, নড়াইলের মানুষ সব সময় একে অপরের ধর্মের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে থাকে এটিই তার বাস্তব উদাহরণ। সম্প্রীতির অটুট বন্ধন না থাকলে একই জায়গায় মসজিদে নামাজ আর মন্দিরে পূজা হতে পারে না। দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।
    মহিষখোলা পুরাতন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদের মুসল্লি রফিকুল ইসলাম বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করে। নামাজের সময় পূজার গান-বাজনাসহ আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ থাকে। নামাজ শেষ হলে আবার শুরু হয়। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কখনও কোনো সমস্যা হয়নি।
    নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক (অব:) নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, আমরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করি। মুসলমানরা একপাশে তাদের মসজিদে নামাজ আদায় করে, আর আমাদের পাশের মণ্ডপে পূজা-অর্চনা করে থাকি। কখনও কারও সঙ্গে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কখনও টু-শব্দ হয়নি, আশা করি বাকি জীবনে আর কখনও হবে না।
    নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভংকর সরকার টুপাল বলেন, আমরা ছোটোবেলা থেকে এখানে হিন্দু-মুসলিম সকলে আমরা একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। একই আঙিনায় এখানে একপাশে মসজিদ অন্য পাশে পূজার মন্ডপ। আমরা যার যার ধর্ম সে সে পালন করে থাকি। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করে থাকি। আমাদের মধ্যে সম্প্রীতির অটুট বন্ধন রয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, প্রায় ৪৫ বছর ধরে আমরা এ মন্ডপে দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন পূজা করে আসছি। এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে কখনও মনোমালিন্যও হয়নি। যার যার ধর্ম সে সে পালন করছি। আশা করছি আগামীতেও কোনো সমস্যা হবে না। তারা আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে।
    নড়াইলের মহিষখোলা পুরাতন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা এনামুল হক বলেন, আমরা আমাদের ধর্ম পালন করি, তারা তাদের ধর্ম পালন করে এতে আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। আমাদের নামাজের সময় পূজার কার্যক্রম বন্ধ রাখে। নামাজ শেষ হলে তারা তাদের পূজা-অর্চনা, গানবাজনাসহ কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এভাবেই বছরের পর বছর আমরা সবাই মিলেমিশে এখানে বসবাস করে আসছি। ইসলাম কখনও অন্যের ধর্মকে অবমূল্যায়ন করতে শেখায় না। সকল ধর্মকে সম্মান দেখায়। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • পিরোজপুরে হেযবুত তাওহীদের ম-তবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    পিরোজপুরে হেযবুত তাওহীদের ম-তবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি:

    পিরোজপুর জেলা হেযবুত তাওহীদের উদ্যোগে “রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা: তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টায় স্বরূপকাঠি অনলাইন প্রেস ক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তাওহীদ বরিশাল বিভাগের সভাপতি শফিকুল আলম উখবা। তিনি বলেন, বর্তমান সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা চরম অন্যায়, দুর্নীতি ও মানবিক মূল্যবোধহীনতায় জর্জরিত। এর কার্যকর সমাধান একমাত্র ইসলামী আদর্শের মধ্যেই নিহিত। ইসলাম শুধু ব্যক্তিজীবনের দিকনির্দেশনা নয়, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যও একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা প্রদান করেছে। এ আদর্শ বাস্তবায়ন ছাড়া সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।
    তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই সংগ্রাম রাজনৈতিক বা দলীয় নয়, বরং এটি একটি চেতনাগত লড়াই। এ লড়াই কুসংস্কার, ধর্মের অপব্যাখ্যা ও অচল চিন্তাধারার বিরুদ্ধে জাগরণের ডাক।” তিনি আল্লাহর হুকুমের ভিত্তিতে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
    সভায় পিরোজপুর জেলা হেযবুত তাওহীদের সভাপতি সুমন তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল আঞ্চলিক আমির রুহুল আমিন মৃধা, বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর হাওলাদার, পিরোজপুর জেলার নারীনেত্রী আমিনা আক্তার,
    নেছারাবাদ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ ও শিক্ষক ও সুধীজনেরা।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ।

  • মি-থ্যা ধ-র্ষন মা-মলা সাজিয়ে ঘরবাড়ি ভাং-চুর ও পরিবারকে গ্রামছাড়া করার অ-ভিযোগ

    মি-থ্যা ধ-র্ষন মা-মলা সাজিয়ে ঘরবাড়ি ভাং-চুর ও পরিবারকে গ্রামছাড়া করার অ-ভিযোগ

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহের শৈলকপুা উপজেলার দেবতলা মিথ্যা ধর্ষন মামলা সাজিয়ে রিপন কাজী নামে এক যুবককে ফাঁসিয়ে তার ঘরবাড়ি ভাংচুর ও পরিবারসহ গ্রাম ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন লিখিত অভিযোগ করেন ওই গ্রামের আহাতাব কাজীর ছেলে রিপন কাজী।অভিযোগে দাবী করা হয়, ২০২৪ সালের ২৮ জুন দেবতলা গ্রামের রবিউল কাজীর বড় মেয়ে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে বগুড়ার শিহাব নামে এক ছেলেকে নিজ বাড়ি দেবতলা গ্রামে নিয়ে আসে। তারা বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক গড়ে তুলে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করতে থাকেন।

    বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয় মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলামসহ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিরা রবিউল কাজীর বাড়িতে গিয়ে যুবক শিহাব সম্পর্কে জানতে চান। শিহাব প্রথমে নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেন। এ সময় পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি মার্কেটিংয়ে কাজ করেন বলে জানায়।শিহাব মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় গ্রামের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে দু’জনকে বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধন্ত নিলে ছেলেটি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় রিপন কাজী শিহাবকে থাপ্পড় মারেন।

    রবিউল কাজীর মেয়ের প্রেমিকাকে থাপ্পড় মারার কারণে ওই পরিবারটি রিপন কাজীর উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকী দেয়। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০২৫ সালের ৩ মার্চ রবিউল কাজীর ১১ বছর মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে ধর্ষনকান্ড সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে উত্তল হয়ে পড়ে দেবতলা গ্রাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় রবিউল তার সামাজিক দলকে সঙ্ঘবদ্ধ করে রিপন কাজীর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে।এ ঘটনার পর থেকে রিপন কাজী, তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। মিথ্যা ধর্ষন মামলায় এই পরিবারটি পথে বসেছেন। তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। মিথ্যা ধর্ষন মামলার বাদী রবিউল ও তার ভাতিজা শিমুল কাজী প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকী দিচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিপন কাজী জানান, ইতিমধ্যে পুলিশী তদন্তে মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অমিত কুমার ঘোষ ২৫ জুলাই আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেছেন। রিপোর্টে বলা হয় মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এছাড়া ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষনের কোন আলামত মেলেনি বলে পরীক্ষাকারী চিকিৎসক ডাঃ সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত গত ১৫ মার্চ তারিখে আদালতে পাঠানো এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
    মিথ্যা ধর্ষন মামলার বিষয়ে বাদী রবিউল কাজী জানান, ধর্ষন মামলাটি মিথ্যা নয়। ঘটনাটি সত্য ছিল। কিন্তু ধর্ষনের ১১দিন পর মামলা ও ১২দিন পর ডাক্তারী পরীক্ষা করায় রিপোর্টটা হয়তো পক্ষে আসেনি। তিনি বলেন, টাকা দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট আসামী পক্ষে নিতে পাে রন। এ বিষয়ে তিনি ডিএনএ টেষ্ট করবেন বলে জানান।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • দেশের উন্নয়নে প্র-তিবন্ধি,বি-ধবা,আ-দিবাসীদের এগিয়ে নিতে হবে- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

    দেশের উন্নয়নে প্র-তিবন্ধি,বি-ধবা,আ-দিবাসীদের এগিয়ে নিতে হবে- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের গোদাগাড়ী উপজেলা সমাজকল্যাণ কমিটির কর্তৃক অর্থানুদান বিতরণ করা হয়েছে।
    ৩০ সেপ্টেম্বর ( মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টায় গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-সচিব,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহীর ড. চিত্রলেখা নাজনীন।বিশেষ অতিথি সহকারী কমিশনার ভূমি জনাব শামসুল ইসলাম।

    ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ১০২ জন কে ২ হাজার করে মোট ২ লক্ষ ৪ হাজার টাকা এবং নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের ১১৪ জনকে ২ হাজার করে মোট ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের এ জনগোষ্ঠীদের মাঝে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল মানিক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা রাজকুমার শাও প্রমূখ।

    প্রধান অতিথি যুগ্ম-সচিব,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. চিত্রলেখা নাজনীন আদিবাসীদের উৎসাহ দিয়ে বলেন, আপনারা আপনাদের বাচ্চাকে সবসময় পজিটিভ কথা বলবেন। তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করতে উৎসাহ দিবেন। পড়াশোনা করে তারা একসময় চাকরী করবে, উদ্যোগতা হবে। আদিবাসী বাচ্চারাও আমাদের সমাজের অংশ। একটি গোষ্ঠীকে ছাড়া উন্নত বাংলাদেশের সপ্ন দেখা যায় না। তাই উন্নয়নের অংশীদারত্বে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।

    পরে উপজেলা পরিষদের পুরাতন অডিটারিয়ামে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উচ্চতর এ সেলাই প্রশিক্ষকের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, ড. চিত্রলেখা নাজনীন
    এ প্রশিক্ষণে প্রথম ব্যাচে অংশ গ্রহন করছেন ৩৫ জন গরীব, দুস্থ্য, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, স্বচ্ছল অবস্থাশালী পরিবারের বেকার নারী, পুরুষ, যুবক, যুবতীরা।
    প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চোখে, মুখে স্বপ্ন একটি মিনি গার্মেন্টস এর মালিক হওয়া, উদ্যোক্তা হওয়া, নিজের পরিবারের কাজগুলি করা, আশেপাশের মানুষের কাজ করে কিছু ইনকাম করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা, সুখে শান্তিতে বসবাস করা। গরীব, দুস্থ্য, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, ক্যানসার রোগীর কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন। সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

    মোঃ হায়দার আলী,
    রাজশাহী।

  • কোটালীপাড়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান

    কোটালীপাড়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান

    কে এম সাইফুর রহমান,
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পূজা মন্ডপ সহ কোটালীপাড়ার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন ও উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় তিনি উপজেলা কেন্দ্রিয় কালীবাড়ী দূর্গা মন্ডপ ও পাড়কোনা শ্রী শ্রী গনেশ পাগল সেবাশ্রম দূর্গা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে ভক্তদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শনের লক্ষে সেখানে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ইউপি চেয়ারম্যান সহ সদস্যবৃন্দ।

    বিকালে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্তকরন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। এর আগে তিনি মডেল মসজিদ সংলগ্ন লেক পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধন ও বসার স্থানের কাজ, কৃষি দপ্তর আয়োজিত বীজ ও সার বিতরণ এবং ঘাঘর বাজার ওয়াশব্লক কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মান কাজেরও খোঁজ খবর নেন।

    এসময় কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম বিল্লাহ (অঃ দাঃ), সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রহমান, সিনিয়ন মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র বিশ্বাস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচ এম আনসার উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফায়েকুজ্জামান শেখ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক লীলা দাম, ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হাওলাদার, সাবেক কাউন্সিলর সঞ্জয় মজুমদার সহ জেলা- উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ ও নানা শ্রেনি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

  • কোটালীপাড়ায় ইউএনওর দেওয়া রঙিন ঘরে অসহায় সোনাবানের মুখে সুখের হাসি

    কোটালীপাড়ায় ইউএনওর দেওয়া রঙিন ঘরে অসহায় সোনাবানের মুখে সুখের হাসি

    কে এম সাইফুর রহমান নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: মাসুম বিল্লার দেওয়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ রঙিন ঘর উপহার পেয়ে সুখের হাসি ফুটে উঠেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার অসহায় সোনাবান বিবির (৮০) মুখে ।

    আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাট, তোষক, বালিশসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, চাল, ডাল, তেল, আলু,পিয়াজসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে উপজেলার সিতাইকুন্ড গ্রামের কাজী বাড়িতে হাজির হলেন ইউএনও মাসুম বিল্লাহ। সোনাবানের জন এই বাড়িতেই আগে থেকেই তৈরী করা হয় একটি রঙ্গিন ঘর। ঘরের সাথেই বানানো হয় টয়েলেট ও রান্না ঘর। আসবাবপত্রসহ হতদরিদ্র সোনাবানের হাতে ইউএনও তুলে দেন রঙ্গিন এই ঘরের চাবি। আবেগে সোনাবান অঝোর ধাঁরায় কেঁদে ফেলেন। কেঁদে ফেলেন ইউএনও নিজেও।
    আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন উপস্থিত সকলে।

    সোনাবান বিবি সিতাইকুন্ড গ্রামের মৃত আব্দুল কাজীর স্ত্রী। জন্ম থেকেই অভাব অনাটন আর দারিদ্র্যতার সাথে বসবাস তার।
    বৃদ্ধ বয়সে এসেও মা, বাবা, স্বামী, সন্তান, ভাই, বোনহীন সোনাবান একটি ভাঙ্গা খুপড়ি ঘরে চরম মানবেতর দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি।
    জানাগেছে, অসহায় সোনাবানের বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েলের। ৬ মাস আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) ‘‘শেষ বয়সে একটু সুখ-শান্তি চাই, কে দেবে‘‘? শিরোনামে সোনাবানকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট দিলে এগিয়ে আসে উপজেলা প্রশাসন। তখনকার ইউএনও মো: মঈনুল হক সোনাবানের জন্য সরকারিভাবে ঘর দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের মাধ্যমে একটি প্রকল্প হাতে নেন। এরই মধ্যে ইউএনও মঈনুল হকের বদলী হয়ে যায়। অন্যদিকে জায়গার জটিলতার কারনে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে। বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো: মাসুম বিল্লাহ জানতে পেরে জায়গার সমস্যা সমাধান করে মেঝে পাকা একটির রঙ্গিন ঘর নির্মাণ করেন। একই সাথে ঘরের সাথে একটি টয়েলেট এবং রান্নাঘরও নির্মাণ করে দেন।
    আজ সোমবার দুপুরে খাট, তোষক, বালিশসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, চাল, ডাল, তেল, আলু,পিয়াজসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সোনাবানের বাড়িতে আসেন। নতুন ঘরের চাবি সোনাবানের হাতে তুলে দেন ইউএনও মো: মাসুম বিল্লাহ। সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশের।

    এসময় উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আজম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু তাহের হেলাল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আনসার আলী, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল, কামরুল ইসলাম ও হাসিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    সোনাবানের প্রতিবেশী কাজী ইউনুচ জানান, অনেক দুঃখে কষ্টে তার জীবন কাটে। সরকারি কোন সহায়তা তিনি পান না। ভাঙ্গা ঘরে প্রায়ই না খেয়ে থাকতে হয়। প্রতিবেশীরা একটু সাহায্য করলে তার পেটে ভাত জুটে। অন্যথায় অনাহারে থাকতে হয়। আজ ইউএনও স্যার যা করলো তা সমাজে ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমরা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

    খুশিতে আত্মহারা সোনাবান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সোংবাদিক (সাংবাদিক) জুয়েল একদিন আমার ভাঙ্গা ছাপড়া ঘরের ছবি তুলে নিয়ে যায়। আমার দু:কখু শোনে। এ্যারপর টিএনও অফিসের লোক আইসকা আমার নতুন ঘর বানায় দেয়। টিএনও স্যার আমার লইগ্যা যা করলো তাতে আমি জন্মের মতন খুশি হইছি। আমি স্যারের লইগ্যা ও সেই সোংবাদিকের লইগ্যা দোয়া করি।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মীর ফেসবুকের পোষ্টের মাধ্যমে সোনাবান বিবির খবর জানতে পেরে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার একটি ঘরের ব্যবস্থা করেন। আমরা তদারকির মাধ্যমে সেই ঘরটি নির্মাণ করে আজ হস্তান্তরের জন্য এসেছি। পাশাপাশি সোনাবান বিবির জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও খাদ্যসামগ্রী দিলাম। এটি একটি মানবিক কাজ ছিল। অসহায় পরিবার বা মানুষের কষ্টে পাশে দাঁড়ানোই প্রশাসনের দায়িত্ব। আশারাখি সোনাবান বিবি এখন একটি সুস্থ সুন্দর পরিবেশে জীবনযাপন করতে পারবে। সরাকারের পাশাপাশি সমাজের সকল বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাবো সোনাবানের মতো অসহায় মানুষের পাশে যেন সকলে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। উপজেলা প্রশাসনও সবসময় সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

  • বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২৫  জলাতঙ্ক রোগের ফ্রি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন

    বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২৫ জলাতঙ্ক রোগের ফ্রি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটিতে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে পোষা কুকুর ও বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের ফ্রি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল দশটায় উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার দপ্তর ও ভেটেরেনারি হাসপাতালে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
    ফ্রি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনটিতে প্রায় একশো পোষা প্রাণীকে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাক্সিন বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।নলছিটির বিভিন্ন এলাকা থেকে পোষা বিড়াল নিয়ে উপস্থিত হন এবং বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দিয়ে নেন।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাভলী ইয়াসমীন।এসময় তিনি উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের দুগ্ধজাত পণ্যের মান যাচাই এবং পশু প্রানীর রোগ নির্নয়ে স্থাপন করা ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন এবং ফ্রি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করে।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা:আবু সালেহ মোহাম্মদ ইফাদ ইশতিয়াক,ভেটেরিনারি সার্জন ডা:সুব্রত সিকদার।উপজেলা বিএনপি সভাপতি এডভোকেট আনিসুর রহমান খান হেলাল সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

  • খাগড়াছড়ি গুইমারায় সম্প্রতিক সং-ঘর্ষে ঘটনা প্রতিবাদে বিক্ষো-ভ মি-ছিল ও প্র-তিবাদ সমাবেশ

    খাগড়াছড়ি গুইমারায় সম্প্রতিক সং-ঘর্ষে ঘটনা প্রতিবাদে বিক্ষো-ভ মি-ছিল ও প্র-তিবাদ সমাবেশ

    থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:মথি ত্রিপুরা।

    খাগড়াছড়ি গুইমারায় সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার কর এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিচারের দাবিতে চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি সেটেলার বাঙালি কর্তৃক জুম্মদের উপর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা ও ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদে, বান্দরবানের থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে থানচি আদিবাসী ছাত্র ও যুব সমাজ আয়োজনে খাগড়াছড়ি গুইমারায় সাম্প্রতিক হামলার ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    বাসস্টেশন এলাকার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বাজার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকার প্রদক্ষিণ শেষে সাঙ্গু সেতু তিন মাথা প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    ছাত্রনেতা অংসিং মারমা সঞ্চালনায়, ছাত্রনেতা উথোয়াইওয়াং মারমা সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানের উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলর সাচিংপ্রু মারমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট কাউন্সিলর আশাবান ত্রিপুরা, শিক্ষার্থী সাবরিনা ত্রিপুরা ঈশিতা, যুবনেতা রেইংহাই ম্রো, যুবনেতা সিংওয়াইমং মারমা, সচেতন নাগরিক মংসাইং মারমা, ছাত্রনেতা মংমে মারমা ও সচেতন নাগরিক নুমংপ্রু মারমা প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়ি গুইমারায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সাম্প্রতিক হামলার ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের তিব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।