Blog

  • গোদাগাড়ীতে এবার বর্ষায় কৃষকের আমন চাষে কো-টি টা-কা সাশ্রয়-আমনের সবুজ পাতায় দুল-ছে কৃ-ষকের স্বপ্ন

    গোদাগাড়ীতে এবার বর্ষায় কৃষকের আমন চাষে কো-টি টা-কা সাশ্রয়-আমনের সবুজ পাতায় দুল-ছে কৃ-ষকের স্বপ্ন

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বরেন্দ্র অঞ্চলে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। সবুজ সতেজে ভরে উঠেছে আমনের মাঠ। যতদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ প্রান্ত। কখনো রোদের ঝাপটা আবার কখনো নেমে আসছে মসুলধারে বৃষ্টি। প্রকৃতির এমন রুপে ক্ষেতে সবুজ আমন ধানের পাতাও যেন গাছাড়া দিয়ে বেড়ে উঠছে। আমনের বেড়ে উঠা দেখে সোনালী স্বপ্নে ভরছে কৃষকের মন প্রান।

    মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজপাতা, সে সাথে আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। কৃষকের মনে উঁকি দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। সবুজ ঘেরা রোপা আমনের মাঠ দেখে বারবার ফিরে তাকায় কৃষক, থমকে দাঁড়ায় পথিক। আর কিছু দিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য কুঠি ও গোলা। পাশাপাশি কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি।

    জানা যায়, এবারে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ২ টি পৌর সভায় ২৪ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে বেশী পরিমান জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে।

    এসব এলাকার মাঠগুলোতে চাষকৃত আমন ধানের মধ্যে গুটি স্বর্ণা, লাল স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, পাইজাম, ব্রি ধান ৫১, ব্রি-২৯সহ উচ্চ ফলনশীল অনেক জাতের হাইব্রিড ধানেরও চাষ হয়ে থাকে। এর সাথে গত কয়েক বছর থেকে যোগ হয়েছে সু-ঘ্র্যাণের চিনিআতপ ধানের চাষ।

    উঁচুনিচু সিড়ির মত ঢেও খেলানো বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূমি। এ অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ৪০ ভাগ জমি সেচ নির্ভর হলেও বাকি ৬০ ভাগই বর্ষা পানির উপর নির্ভরে আমন চাষাবাদ হতে থাকে এ অঞ্চলে।

    তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সেচ ছাড়াই শতভাগ জমিতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে আমন চাষ করতে পেরেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা। তাতে কয়েক কোটি টাকা সেচ খরচ বেচেছেন কৃষকেরা।

    কৃষকেরা বলছেন, অন্যবছর গুলোতে আষাড় মাস শেষ হতে গেলেও বৃষ্টি দেখা মেলে ভার। বীজতলা বীজ বয়স হয়ে নষ্ট হয়ে যায় সময়ের মধ্যে আমন চাষ করতে বরেন্দ্রর গভীর নলকূপ, মিনি ডিপ সার্বমাসেবল পাম্প সহ খাল বিল পুকুর হতে সেলো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে হতো। যা আমন উৎপাদনের অর্ধেক খরচ সেচে লেগে যেত।

    এবার বাস্তবতা ভিন্ন। এ বছর আষাড়ের শুরু থেকে শ্রাবন মাস পুরো দুইমাস যাবত প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি ঝরছে। ভাদ্র মাস পরেও একের পর এক নিম্ম চাপে কারণে সকাল সন্ধা অঝরে বৃষ্টি নামছে। তাতেই বরেন্দ্র অঞ্চলে উঁচু হিসাবে পরিচিত রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর চাঁপাইনবাবগঞ্জে নাচোল, রহনপুর নওগাঁর পোরশা নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলার প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে এবার সেচ ছাড়াই শুধু বৃষ্টির পানিতে আমন চাষ হচ্ছে। এতে করে দেশের বিদুৎ সাশ্রয় ও জালানি তেলের খরচ কম লেগেছে। আর কৃষকের সেচ খরচ বেছেছে কয়েক কোটি টাকা।

    মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা এবার বর্ষাকে কৃষকের জন্য আর্শিবাদ হিসেবে

    দেখছেন। তারা বলছেন, বরেন্দ্র অঞ্চল দেশে উচু অঞ্চল হিসাবে পরিচিতি। এখানে সেচ ছাড়া শতভাগ জমিতে আমন চাষ করা যায়না। এ সেচ খরচ সর্বনিম্ম বিঘাপ্রতি পাঁচশত টাকা খরচ হতো কৃষকের। এবার সেচ ছাড়া শতভাগ জমিতে আমন রোপন করতে পেরেছেন কৃষকেরা। সে খরচ আষাড়ের বৃষ্টিপানি বাঁচিয়ে দিয়েছে কৃষকের।

    উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়েনের হাবাসপুর এলাকার আব্দুল সাত্তার বলেন, চলতি বছর দুই বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। প্রতিবিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেচের জন্য কোন খরচ হয় নি। যেখানে সেচ খরচ প্রায় দেড় হাজার টাকা লেগে যায়। কিন্ত এবছর আকাশে বৃষ্টিতেই তার দুই বিঘা জমিতে আমন রোপন করেছেন।

    শুধু আব্দুর সাত্তার নয়,পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকেরা এবার গভীর নলকূপ, মিনি ডিপটিউবল, এলএলএম, পাম্প ও খাল বিল পুকুর হতে কেউ আমন রোপনে সেচ দেওয়া লাগেনি।

    রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রাসরণের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, বরেন্দ্রে এবার শতভাগ জমিতে আমন চাষ হয়েছে আষাড়ের বৃষ্টিতেই। সেচ খরচ বেচে যাওয়াই কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমবে। ফলনও ভাল হবে। কৃষকেরা এবার লাভবান হবে । তবে নিম্ন অঞ্চলে অতি বৃষ্টিতে সবজি চাষীদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

    উপসহকারী কৃষি কর্তকর্তা অতনু সরকার বলেন, এবার এ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় কৃষক বৃষ্টির পানিতে ধান রোপন করেছেন, এখন পর্যন্ত সেচের জন্য কোন অর্থ ব্যয় করতে হয় নি। অতিবৃষ্টির কারণে শাক সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা।

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী।

  • নেছারাবাদে মা-নষিক ভা-রসাম্যহীন গৃহবধূ নিজের গায়ে  আ-গুন দিয়ে আত্মহ-ত্যা করার অভি-যোগ

    নেছারাবাদে মা-নষিক ভা-রসাম্যহীন গৃহবধূ নিজের গায়ে আ-গুন দিয়ে আত্মহ-ত্যা করার অভি-যোগ

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

    নেছারাবাদে মানষিক ভারসাম্যহীন গৃহবধূর নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার ৬ নং দৈহারী ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের ০৭ নং ওয়ার্ডে ঐ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

    ৪সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার সময় মলিনা হালদার নিজ ঘরের পাশে একটি কাঠের বক্সের ভিতর কেরসিন তৈল ঢালে সবার অগোচরে বক্সের ভেতর মলিনা হালদার ঢুকে পড়ে এবং নিজেই কাঁঠের বাক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এলাকাবাসী সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

    তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মলিনা অনেক দিন পর্যন্ত মানষিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগতে ছিলেন। বাড়ীর পাশেই পানের বড়জে কাজ করেত ছিলেন মলিনার দেবর সুজন হালদার প্রতিবেশী নিখিল মন্ডল তারা দেখতে পায় পাকের ঘরের কাছে আগুন জলছে। তারা ছুটে এসে দেখতে পায় আগুন জলছে এবং বক্সের ভিতর চিৎকারের শব্দ শুনতে পায়। তখন দ্রুত পানি দিয়ে আগুন নিভান । আগুনে পোড়া কাঠের বাক্সের ভিতর থেকে মলিনাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বের করে নেছরাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মলিনাকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন, সেখানে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসক জন্য রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করেন। মলিনাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে ফরিদপুর জেলার ভাংঙ্গা নামক স্থানে এ্যামবুলেন্সের ভিতর মৃত বরন করেন।

    এ বিষয়ে মলিনার আপন ভাই সুবাস কির্তনিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায় তার বোন কিছুটা মানুষিক ভারসম্যহীন ছিল, গত মাসেও সে ভিকটিমকে ফরিদপুর হাসপাতালে নিয়ে মানসিক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা দিয়ে এনেছে। মানুসিক ভারষম্যহীন হওয়ার কারনে মলিনা আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছে।

    এবিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রবির জানান, চার পাঁচ বছর আগে থেকেই মাথায় সমস্যা ছিলো। এমন কি মলিনার স্বামী কাজ করে এসেও ভাত রান্না করে স্ত্রীকে খাইয়ে দিতো। তবে মলিনার ভাইর রেফারেন্স দিয়ে বলেন, মলিনা বেড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে বলতো তাকে কে বা কারা মেরে ফেলবে এমন কথা ভাইদের সাথে শেয়ার করতো। মলিনার এক ছেলে এক মেয়ে।

    এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন জানান, ঘটনা স্থলে অফিসার গিয়ে ছিলো তদন্ত চলমান রয়েছে লাশ পোস্ট করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।

    আনোয়ার হোসেন ।

  • বাবুগঞ্জে মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন নে-তৃত্ব নি-র্বাচিত

    বাবুগঞ্জে মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন নে-তৃত্ব নি-র্বাচিত

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা ।

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ নং মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জনাব অহিদুল ইসলাম খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জনাব সালাউদ্দিন তালুকদার মিন্টু।

    সম্মেলনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানান। নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলের সহযোগিতা নিয়ে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও বেগবান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

  • ময়মনসিংহে জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অ-নুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহে জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অ-নুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগর আমীর ও ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেনছেন“জামায়াতে ইসলামী কেবল মুসলমানদের দল নয়, বরং এটি একটি কল্যাণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। আমরা সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করি। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি এই দেশের ঐতিহ্য, আর এই সম্প্রীতি রক্ষা ও সুসংহত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।তাই তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।

    শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর ছোট বাজার সিটি ব্যাংক সংলগ্ন মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম (সনাতনধর্মী) ময়মনসিংহ মহানগরী শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।

    সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহ মহানগর অমুসলিম শাখার সেক্রেটারি, উত্তম ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা চাই সমাজে বৈষম্য ও বিভাজন দূর হোক। অমুসলিমদের অধিকার রক্ষায় জামায়াতের ভূমিকা জনগণের মাঝে আস্থা তৈরি করেছে।

    আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম শাখা,ময়মনসিংহ মহানগরীর সেক্রেটারি
    শোকন বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন, “একটি সুস্থ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে হলে রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সবচেয়ে জরুরি। জামায়াতে ইসলামী সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।”

    সভাপতির বক্তব্য জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম শাখা ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট দেবব্রত নাগ (ভুলু) বলেন, “জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম শাখা সব সময় হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সবাই একই সমাজের মানুষ, তাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই দেশ এগিয়ে যাবে। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে সেখানে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষও এতে যোগ দেন।এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ময়মনসিংহ মহানগরে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।

  • আশুলিয়ার জামগড়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলো-চনা সভা অনুষ্ঠিত

    আশুলিয়ার জামগড়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলো-চনা সভা অনুষ্ঠিত

    হেলাল শেখঃ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশুলিয়া থানা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং) বিকেল ৩টায় আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল গফুর মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন।

    এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও আশুলিয়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বাছেদ দেওয়ান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু।

    সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন আশুলিয়া থানা তাঁতীদলের সহ-সভাপতি বকুল ভূইয়া। উক্ত আলোচনা সভায় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৩টার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাক ঢোল পিটিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসতে থাকেন, এক পর্যায়ে কানায় কানায় মাঠ ভর্তি জনতার ঢল দেখা যায়। এসময় মাঠের সামনের রাস্তায় সমুদ্রে পরিণত হয়।

  • মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে জামায়াতের সাধারণ স-ভা অনুষ্ঠিত

    মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে জামায়াতের সাধারণ স-ভা অনুষ্ঠিত

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মহারাজপুর ইউনিয়নের লোহাইড় ফাজিল মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গনে ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতের আয়োজনে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল
    ৫ টায় আয়োজিত এ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গোপালগঞ্জ-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা আব্দুল হামিদ।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহারাজপুর ইউনিয়ন শাখার আমীর মাওলানা নজরুল ইসলাম শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মেরিনার্স ফোরাম, ঢাকা -এর আমীর ও বাংলাদেশ মেরিনার্স সোসাইটির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোখলেছুর রহমান (লিটন) ঢালী, জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার নায়েবে আমীর অধ্যাপক আঃ ওহাব মোল্যা, জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারী আল-মাসুদ খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মুকসুদপুর উপজেলা শাখার আমীর ইমরান সরদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মুকসুদপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারী অধ্যাপক নাজিবুর রহমান।

    বক্তারা বলেন, বিগত ৫৪ বছরে বিভিন্ন দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাটে ব্যস্ত ছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত দল থেকেও বিগত দিনে দুইজন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও তাদের বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতেও আপনাদের ভোটে জামায়াত জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গিয়ে সরকার গঠন করলে ইনশাল্লাহ কোন দুর্নীতিতে জড়াবে না। দেশের সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন সহ সকল মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হবে। এখানে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে, এ অঞ্চলের মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে, তখন আর মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে জীবিকার তাগিদে অবৈধপথে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারানো সহ কাউকে সর্বস্বান্ত হতে হবে না। সরকারি-বেসরকারি চাকুরি নিতে আর কাউকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হবে না। দেশের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে আর কোন চাঁদা দিতে হবে না, আর চাঁদা না দেওয়া লাগলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
    যথাযথভাবেই গুণগত মান বজায় রেখে সম্পন্ন হবে। টেকসই ও মজবুত হবে স্থাপনা, যুগের পর যুগ দীর্ঘস্থায়ী হবে। পবিত্র কুরআন হাদিসের আলোকে ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করা হলে সমাজে চুরি- ডাকাতি-ছিনতাই, খুন-ধর্ষণ সহ সকল সামাজিক অপরাধের প্রবণতা কমে যাবে, গরিব-অসহায় মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। তাই আগামী নির্বাচনে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামায়াতকে বিপুল ভোটে জয়ী করে ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করবেন।

    এ সময় ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ মোল্লা, ডাঃ মেহেদী হাসান, কৃষক *নাছিম দরানী, দিগনগর মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলী আহম্মেদ, কবি শাহ আলম, ডাঃ
    রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওলি মোল্লা, আবুল কাশেম মাতুব্বর, অ্যাডভোকেট সাইফুল সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • গোপালগঞ্জে ছু-রিকাঘাতে ওজোপাডিকো’র এক কর্মচারী গুরুতর আহ-ত, লক্ষাধিক টাকা ছিনি-য়ে নেওয়ার অভিযোগ

    গোপালগঞ্জে ছু-রিকাঘাতে ওজোপাডিকো’র এক কর্মচারী গুরুতর আহ-ত, লক্ষাধিক টাকা ছিনি-য়ে নেওয়ার অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জে ওজোপাডিকো’র এক (পিচ রেইট) কর্মচারীকে মারধর ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

    পরে এ সংক্রান্তে ভুক্তভোগীর স্ত্রী সুকুরন বেগম (৪০) গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় বাদীর স্বামী ভুক্তভোগী হারুন আর রশিদ, গোপালগঞ্জ ওজোপাডিকো’র একজন (পিচ রেইট) কর্মচারী। মাসিক বিদ্যুৎ বিলের কাগজ গ্রাহকের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে আরামবাগ মসজিদের সামনে ব্রিজের উপর পৌঁছালে সেখানে মাদকসেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ী আরিফ (৩৫) আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার স্বামী প্রতিবাদ জানালে তাকে এলোপাথাড়িভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে এবং ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বাম পকেটে গচ্ছিত ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। পরে স্বামীর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এলে এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফ হুমকি দিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা আমার স্বামীকে অজ্ঞাত অটোতে করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করান। ছুরিকাঘাতে আমার স্বামীর বাম চোখের উপরে মারাত্মক যখম হয়েছে। জরুরী বিভাগে তাকে ভর্তি করে ক্ষতস্থানে একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমি গোপালগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠিন বিচার চাই।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাক্ষাৎ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

  • ক্ষমতা-য় গেলে নারীদের অধি-কার নিশ্চিত করবে জামায়াত:  মাওলানা এমরুল

    ক্ষমতা-য় গেলে নারীদের অধি-কার নিশ্চিত করবে জামায়াত: মাওলানা এমরুল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য সদস্য ও ময়মনসিংহ মহানগরের আমির ও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল । পাশাপাশি দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় জামায়াত বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।

    শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ সদরের ভাটি দাপুনিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দাপুনিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন । এতে শতাধিক মা ও বোনেরা ( পর্দার আড়ালে) সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

    দাপুনিয়া সাংগঠনিক থানার আমীর ডা. দেলোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতে অফিস সেক্রেটারি খন্দকার আবু হানিফ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ময়মনসিংহ মহানগরীর সভাপতি ও মহানগর জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং দাপুনিয়া ইউনিয়ন এর জামায়াত মনোনীত চেয়ারম্যান প্রাণী ওয়ালিউল্লাহ মুজাহিদ, দাপুনিয়া সাংগঠনিক থানার সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    এমরুল বলেন, ‘দুর্নীতি দূর করতে হলে দরকার সৎ, আদর্শিক ও জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব। যারা তিনবার দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা কখনও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবে না।’

    ‘জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের জন্য আলাদা কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা হবে। ইসলামই একমাত্র নারীর পূর্ণ মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। জামায়াতে ইসলামী সেই ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষেই কাজ করে’, যোগ করেন সিনিয়র এ জামায়াত নেতা।

    তিনি আরও বলেন, ‘ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, রাষ্ট্রের সমান নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সকলেই সমান সুযোগ ও মর্যাদা পাবে।’

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে জামায়াত সব সময় সোচ্চার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। অথচ আজও তাদের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির অভিযোগও কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।’

    এসময় তিনি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় বসাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে কাজ করা আহবান জানান এবং একই সাথে ময়মনসিংহ সদর এলাকাকে উন্নয়নে এগিয়ে নিতে ও স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত সদর উপজেলা প্রশাসনকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন।

  • বিয়ের দাবি-তে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অ-নশন

    বিয়ের দাবি-তে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অ-নশন

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আকাশের বাড়িতে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন এক কলেজপড়ুয়া তরুণী। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের আমিনারের ছেলে আকাশের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ওই তরুণী এ কর্মসূচি শুরু করেন।

     

    তরুণী জানান, স্থানীয় এক মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়ে আসছে। সাত বছর আট মাস ধরে প্রেমিক আকাশের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আকাশ তাকে বিভিন্ন জায়গায় থেকে দেখতে আসা পাত্রের পিঁড়িতে বসতে নিষেধ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আকাশ যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

     

    তবে আকাশ বাড়িতে না থাকায় বক্তব্য না মিললেও তার বাবা আমিনার রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। আমার ছেলে কট(বন্ধকনামা) নেওয়া জমির টাকা দিতে গেলে বাড়িতে ফিরে আসেনি সে নাকি বাংলাবান্ধায় গেছেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ যোগাযোগ করতে পারছিনা।’

     

    তরুণীর মা আছমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে যে বাড়িতে গেছে তার সঙ্গেই বিয়ে দিতে চাচ্ছি।’

     

    সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আনোয়ারা পারভীন বলেন, সন্ধ্যার দিকে ওই তরুণী যখন ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তরুণীকে হেফাজতে রাখতে ছেলের ওখান থেকে তার বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। এরপর সেখানেও ওই তরুণী থাকতে না চাওয়ায় পড়ে ছেলের বাড়িতেই অবস্থান নেয়।

     

    ইউপি সদস্য আইবুল হক বলেন, বিকেলের দিকে যখন ওই মেয়ে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেয় তখন মিমাংসা করার উদ্দেশ্যে মেয়েকে বুঝিয়ে তার বাবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য শিলাইকুঠি বাজারে চা খাওয়ার সময় জানতে পারি আবারো ওই মেয়ে ছেলের বাড়িতে চলে গেছে। রাতে বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় তিনি থানায় অবগত করেন।

     

    ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তারেক হোসেন বলেন, ‘তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। কেউ তাকে এ বিষয়ে অবগত করেননি। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন জানিয়েছেন।’

     

    তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়, ‘ইউপি সদস্য আইবুল হক মিমাংসা হওয়ার কথা জানালেও ওই তরুণীর দাদা জয়নাল আবেদীন ও স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ছেলের বাবা মেনে নিচ্ছেননা এখনো মিমাংসা হয়নি।’

  • খালি চো-খে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় কখন আসবেন

    খালি চো-খে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় কখন আসবেন

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যেন আকাশের বুকে প্রকাণ্ড পাহাড়ের ওপর একগুচ্ছ রঙিন প্রতিচ্ছবি। কখনো দেখতে শ্বেত-শুভ্র আবার কখনো দেখতে সূর্য ও কমলা রঙের। ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট উচু এই চূড়া মাথায় নিয়ে মহান হিমালয়ের অবস্থান নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের মাঝামাঝি সীমান্তরেখায়। আর বাংলাদেশ থেকে এই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যেতে হবে পঞ্চগড়ে।

    চলুন জেনে নেওয়া যাক, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের পদ্ধতি

    দেশের উত্তরাঞ্চলের শেষ বিভাগ রংপুরের জেলা পঞ্চগড়। এর পূর্বে ফাঁমাগড় প্রশাসন, পশ্চিমে ও উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণে ঠাকুরগাও ও দিনাজপুর জেলা।

    পঞ্চগড়ের কোন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়

    পঞ্চগড়ের অন্তর্গত তেঁতুলিয়া দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা। এই সদরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ঐতিহাসিক ডাকবাংলো রয়েছে। কথিত আছে– এটি নির্মাণ করেছিলেন কুচবিহারের রাজা। জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত ডাকবাংলোটির পাশে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর একটি পিকনিক স্পট।

    দুটি স্থাপনা একসাথে দারুণ এক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সৌন্দর্যমণ্ডিত এ জায়গাটি দেখার জন্য ভূমি থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিটার উচুতে উঠতে হবে। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী মহানন্দা। নদীর ওপারে ভারত আর এপারে সুউচ্চ গড়ের ওপর এই ডাকবাংলো ও পিকনিক স্পটটি। এই ডাকবাংলোর বারান্দা থেকেই দেখা যায় দূরের দিগন্তরেখায় ভেসে আছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ ছাড়া তেঁতুলিয়ার অন্যান্য জায়গার মধ্যে বাংলাবান্ধা, বাইপাস, ভজনপুর করতোয়া সেতু, ভিতরগড় থেকেও দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।

    পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সেরা সময়

    সাধারণত শীতকালে দূরের মেঘমুক্ত আকাশে যেন ভেসে থাকতে দেখা যায় তুষারশুভ্র পাহাড়ের চূড়া। রোদের আলোয় চিকচিক করতে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই মোহনীয় শোভা উপভোগ করার জন্য শীতই সবচেয়ে সেরা সময়। পাহাড় চূড়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যটি সারা দিনের ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারণ করে। তাই বছরের যে কোন সময় না গিয়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়টাতে যাওয়া উত্তম। এই সময়টাতে আকাশ একদম পরিষ্কার থাকে। মেঘের সঙ্গে বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার লুকোচুরি খেলার কোন উপায় থাকে না। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ফাঁকা জায়গায় দাড়ালে খুব ভোরে মেঘ ও কুয়াশামুক্ত নীল আকাশ জুড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোরম দৃশ্য পর্যটকদের খালি চোখেই এঁকে দেয় বিস্ময়ের চিহ্ন।

    ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার সহজ পদ্ধতি

    বাস এবং ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় জেলায় পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল, শ্যামলী ও মিরপুর থেকে পঞ্চগড়ের বাস পাওয়া যায়। পঞ্চগড় নেমে লোকাল বাসে করে যেতে হবে তেঁতুলিয়ায়। এ পথে সারাদিন এই বাসগুলো চলাচল করে। পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে এশিয়ান হাইওয়ে পড়ে। ঢাকা থেকে সরাসরি তেঁতুলিয়ারও বাস আছে। ট্রেনে যেতে হলে ঢাকার কমলাপুর থেকে সরাসরি পঞ্চগড় ট্রেন রয়েছে। পঞ্চগড় নেমে এখানকার কেন্দ্রীয় বাসস্টেশন ও চৌরঙ্গী মোড়ে পাওয়া যাবে প্রাইভেটকার ও মাইক্রো। এগুলোতে করে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যাবে।

    পঞ্চগড় ভ্রমণে থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা

    তেতুলিয়া উপজেলায় আবাসিক হোটেল রয়েছে। মহানন্দা নদীর তীরের ডাকবাংলোতে থাকা যেতে পারে। তবে তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বন বিভাগের ও সওজ রেস্টহাউস আছে এগুলোতেও থাকার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হবে। আর পঞ্চগড়ে এসে থাকতে চাইলে এখানে সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে।

    পঞ্চগড়ের বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে, যেগুলো এখনো গ্রামগুলোতে রান্না হয়ে থাকে। অবশ্য এগুলোর অধিকাংশই এখন বিলুপ্তির পথে। খাবারগুলোর মধ্যে ডিম ভূনা, তেঁতুলিয়া উপজেলায় হালকা, শীদলের ভর্তা, পাটা শাকের খাটা, কাউনের ভাত, সজির মুড়ার ছ্যাকা ও মোড়ত লাভা শাকের পেলকা অন্যতম।

    পঞ্চগড়ের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ

    কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় দৃশ্য ছাড়াও পঞ্চগড় ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক নিদর্শনের অপূর্ব উপচার সাজিয়ে রেখেছে। এগুলোর মধ্যে মহারাজার দিঘী, চা বাগান, ভিতরগড়, শাহী মসজিদ, মিরগড়, জিরো পয়েন্ট, রক্স মিউজিয়াম, এবং বারো আউলিয়া মাজার অন্যতম।

    বাংলাদেশ থেকে সুদূর কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য দর্শনে পঞ্চগড় ভ্রমণে পাওয়া যাবে এক অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নানা শ্রেণীর পর্যটকদের আসা–যাওয়ার ফলে এ অঞ্চলটিতে তৈরি হয়েছে পর্যটন শিল্পের সমৃদ্ধির সুযোগ। হাজার বছরের চমকপ্রদ ইতিহাস-ঐতিহ্য, পাথর ও চা শিল্প; সব মিলিয়ে ভ্রমণের জন্য এক পরিপূর্ণ এলাকা। শুধু প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়নের। বিশেষ করে সরকারি উদ্যোগে এখানে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলে, এই ছোট্ট উপজেলাই পরিণত হতে পারে রাজস্ব আয়ের একটি কার্যকর উৎস।