Blog

  • চারঘাটে স্থানীয় সরকারি সেবা খাত সমূহে নাগরিক পরি-বীক্ষণ বিষয়ক প্রশি-ক্ষণ

    চারঘাটে স্থানীয় সরকারি সেবা খাত সমূহে নাগরিক পরি-বীক্ষণ বিষয়ক প্রশি-ক্ষণ

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে “Voices for Change Project এর সহযোগিতায় স্থানীয় সরকারি সেবা খাত সমূহে নাগরিক পরিবীক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার  (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত আবদুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন (খান ফাউন্ডেশন) এর আয়োজনে ও সমতা নারী কল্যাণ সংস্থা, রাজশাহী বাস্তবায়ন সহযোগিতায় থানাপাড়া সোয়ালোজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি প্রশিক্ষণ কক্ষে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন, থানাপাড়া সোয়ালোজের নির্বাহী পরিচালক রায়হান আলী, Voices for Change এর জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প কর্মকর্তা শিরিন আক্তার, চারঘাট চেতনা সমাজ উন্নয়ন সংস্কার পরিচালক বাবলু সরকার, অর্পণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম, সূর্য উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক  সাদিকুল ইসলাম, দারিদ্র কল্যাণ সংস্থার পরিচালক জিল্লুর রহমান, তালতলা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আসিফ ইসলাম, নারীনেত্রীর সহ-সভাপতি রেহেনা খাতুন, নারীনেত্রীর নুরিয়া খাতুন, ফতেপুর সমাজকল্যাণ সংস্থার সহ-সাধারন সম্পাদক আব্দুল রশিদ, চারঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মৌসুমী দাসসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য ও বিভিন্ন সংগঠনের নারীনেত্রী গন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট,রাজশাহী ।

  • সুজানগরের তঁাতিবন্দে পরি-ত্যক্ত অবস্থায় মিল+লো দেড় কেজি গঁা-জা

    সুজানগরের তঁাতিবন্দে পরি-ত্যক্ত অবস্থায় মিল+লো দেড় কেজি গঁা-জা

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে একটি পুকুরের ধার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রায় দেড় কেজি গঁাজা উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার(০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার তঁাতিবন্দ ইউনিয়নের তঁাতিবন্দ বাজারের পাশের গঙ্গা সাগর নামক একটি পুকুরের ধার থেকে এসব গঁাজা উদ্ধার করা হয়।বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সুজানগর থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মজিবর রহমান। তঁাতিবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার শ্রী আনন্দ কুমার জানান, সে তঁাতিবন্দ বাজারের পাশের গঙ্গা সাগর নামক একটি পুকুরের ধার দিয়ে হেটে যাবার পথে পলিথিনে মোড়ানো একটি বস্তা দেখতে পাই এবং সেটি খুলে গঁাজা দেখতে পেয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।
    সুজানগর থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মজিবর রহমান জানান, গঁাজা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ আটক হননি। তবে, কে বা কারা ওই স্থানে এত পরিমাণ গঁাজা কি কারণে রেখেছে সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • আদর্শ গ্রামের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন রোটারিয়ান ইকবাল হোসেন

    আদর্শ গ্রামের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন রোটারিয়ান ইকবাল হোসেন

    দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্নে বিভোর একজন তরুণ সমাজকর্মী ও সংগঠক সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামের ক্লিন ভিলেজ গ্রীণ ভিলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কানাডা প্রবাসী রোটারিয়ান মোঃ ইকবাল হোসেন। যিনি ইতিমধ্যে তার মরহুম বাবার নামে “আবুল হোসেন ফাউন্ডেশন ” ও গঠন করেছেন যা মুলত শিক্ষা, স্বাস্থ্য,সমাজ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবে।

    গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও একটি আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি ও নৈতিকতা—এই পাঁচটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে তিনি গড়ে তুলতে চান একটি টেকসই ও মানবিক সমাজ।

    রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে রাজনপুর গ্রামে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় ইকবাল হোসেন এর নিজস্ব অর্থায়ন ও পরিকল্পনায় চলছে আদর্শ গ্রামের কাজ। আদর্শ গ্রামের পরিকল্পনায় রয়েছে গ্রামের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে প্রতিটা বাড়ির ঘর পর্যন্ত সৌন্দর্য বর্ধন। পরিষ্কার পরিছন্ন রাস্তাঘাট নির্মান ও ঘর বাড়ি নির্মান এবং মেরামত। রয়েছে যাত্রী ছাউনি, বাথরুম, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওয়াশরুম, প্রতি বাড়ী ও নির্দিষ্ট স্থান সমুহে ডাস্টবিন স্থাপন,রাস্তার পাশে প্রবীনদের জন্য বসার জায়গা, যুবকদের বসার জায়গা ,বাচ্চাদের খেলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা।

    কর্মসংস্থানের লক্ষে সেলাই প্রশিক্ষণ, ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করা। ফ্রি কোচিং এর ব্যবস্থা করা। গরীব অসহায়দের ঘর নির্মাণ,সাকো, কালভার্ট,নৌকা ইত্যাদির ব্যবস্থা, খাদ্য সহায়তা করার ব্যবস্থা, লাইব্রেরী ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, গ্রামকে শতভাগ শিক্ষিত করা।

    ইকবাল হোসেনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা একটি প্রত্যন্ত গ্রামে হলেও, তার চিন্তা ও কর্মে ফুটে উঠেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তিনি সুদূর কানাডায় বসেও নিজের গ্রামকে নিয়ে ভাবেন।

    ইতিমধ্যে তিনি তার ছোট ভাই মো. সাখাওয়াত হোসেন এর মাধ্যমে পরিবারের অন্যান্য ও গ্রাম বাসীদের সহায়তায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
    দায়িত্ব শীলদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রাজনপুর আদর্শ গ্রামের ৩০% কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করতে দ্রুত গতিতে চলছে রাজনপুর আদর্শ গ্রামের কাজ।
    রাজনপুর গ্রামের হবিবুর রহমান বলেন, শুধু আদর্শ গ্রামই নয় ইকবাল হোসেন আমাকে বসবাসের জন্য একটি ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। আমার ঘর ছিল না, ভাঙা ঘরে মাথা গুজে থাকতাম। আমি তার সুন্দর জীবন কামনা করি।

    সাংবাদিক আলাউদ্দিন বলেন, ইকবাল হোসেন একজন পরোপকারী মানুষ। সবসময় তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। করোনা কালিন সময় ইকবাল হোসেন হাজার হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা ,মাস্ক,ওষুধ ,পিপিই সহ নানাবিধ সহায়তা করেছেন।
    ২০২২ এর বন্যায় পানি বন্ধী লাখ লাখ মানুষকে তিনি খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ঔষধ সামগ্রী, শাড়ি, লুঙ্গি ও অনেক গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন। বাংলার প্রতিটা ঘরে ঘরে একজন ইকবাল হোসেন এর প্রয়োজন।

    আব্দুল কাদির বলেন, স্বপ্নেও ভাবিনি আমাদের গ্রাম এতো সুন্দর হবে।
    স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দেশে বহু মানুষ দেখেছি, টাকা হলে শহরে গাড়ি, বাড়ি বানায়।আমাদের ইকবাল হোসেন এর নেশা সমাজের সবাই ভালো থাকা,সবাইকে নিয়ে ভালো থাকা। উপজেলা গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো।এছাড়াও গরীবের হাসপাতাল,তালগাছ রোপন করে রাস্তা সুন্দর করন সহ দোয়ারাবাজার উপজেলায় আর ও অনেক জায়গায় কাজের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা ,খেলাধুলার মান বাড়াতে যুবকদের উৎসাহী করতে ইতিমধ্যে কর্মপরিকল্পনা করেছেন বলে আমাদের জানান।

    আদর্শ গ্রাম নিয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, “আমি চাই এমন একটি গ্রাম গড়ে তুলতে, যেখানে মানুষ হবে স্বাবলম্বী, শিক্ষিত ও নৈতিকতাসম্পন্ন। শুধু আমার বাড়ী বাগান বাড়ি নয় আমার পুরো গ্রামই হবে বাগান বাড়ী।শুধু অবকাঠামো নয়, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই আমার মূল লক্ষ্য।”

    আদর্শ গ্রাম প্রসংগে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ বলেন, কাজ শুরু হওয়ার পর আমি ঐ এলাকায় যাইনি। তবে সময় পেলেই তরুণ সমাজ কর্মী ইকবাল হোসেন এর আদর্শ গ্রাম দেখতে যাবো।

    স্থানীয়দের ধারনা ইকবাল হোসেনের স্বপ্ন, একদিন তার এই আদর্শ গ্রামের ভাবনা ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে।একটি প্রত্যন্ত জনপদে কিভাবে উন্নয়নের ছোয়ায় এগিয়ে নেওয়া যায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ রোটারিয়ান মো ইকবাল হোসেন।

  • ময়মন‌সিংহে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এমরুল এর  ম-তবিনিময়

    ময়মন‌সিংহে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এমরুল এর ম-তবিনিময়

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করছেন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মন‌সিংহ-৪ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল।

    শনিবার (৬সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় নগরীর বাউন্ডারি রোডস্থ মেজবান খানা টিউলিপ গার্ডেন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে গেলে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ কোনো অন্যায় থাকবে না। ময়মন‌সিংহ-৪ আসনের জনগণ আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আসন এলাকার বাসিন্দাদের চাহিদা পুরনে পরামর্শ মোতাবেক মানুষের কল্যাণে কাজ করব।এসময় নগরীর জলাবদ্ধতা ও গ্যাস সংকট দূর করাসহ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত সদর আসন উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল।

    তিনি আরো বলেন, ‘সবার জন্য শিক্ষা, কর্ম, বাসস্থান ও স্বাস্থ্য একটি মানবিক, আধুনিক এবং আত্মনির্ভর ময়মন‌সিংহ গড়ে তোলাই আমাদের স্বপ্ন।’ তিনি ন্যায়বিচারে সমৃদ্ধ একটি আলোকিত ময়মন‌সিংহ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আয়োজনে জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আনোয়ার হাসান সুজনের পরিচালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অফিস সেক্রেটারি খন্দকার আবু হানিফ,মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য ডাঃ আজিজুর রহমান, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর যুব বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিঃ আব্দুল বারী,মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য হায়দার করিম, মহানগর জামায়াতে অমুসলিম শাখার বিভাগীয় নেতা এডভোকেট দেবব্রত নাগ ভূলু সহ ময়মনসিংহে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন আধুনিক এবং সমৃদ্ধিকরণ ময়মনসিংহ সদর গড়ার লক্ষ্যে কাজ করব আমরা, জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে জামায়াতে ইসলামী আদর্শিক ও রাজনীতির মাধ্যমে অবাধ-উন্মুক্ত ভাবে কাজ করবে। দেশ সুন্দরভাবে গড়ার জন্য আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে একসাথে কাজ করতে চাই। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, তাদেরকে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে ও প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে হবে। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং নির্বাচিত হলে ময়মনসিংহে সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

  • ময়মনসিংহের ১৩ উপজেলা নিয়ে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্র-স্তুতিমূলক সভা

    ময়মনসিংহের ১৩ উপজেলা নিয়ে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্র-স্তুতিমূলক সভা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ

    তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলায় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, ২০২৫ এর প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দপ্তর কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

    সভায় জানানো হয়, ময়মনসিংহ জেলার ১৩ উপজেলা নিয়ে এই টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ সদর বনাম মুক্তাগাছা উপজেলা মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

    সভাপতি বক্তব্যে বলেন, আসন্ন এই টুর্নামেন্টেটি ময়মনসিংহ জেলার ভাবমূর্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই দিকে সকলের লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান ‌।

    এছাড়াও সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আল-আমিন, জেলা ও উপজেলার ক্রীড়া সংস্থার সদস্যবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ ।

  • পলাশবাড়ীতে সারের কৃত্রিম সং-কট,ডিলারদের বি-রুদ্ধে কা-লোবাজারীর অ-ভিযোগ

    পলাশবাড়ীতে সারের কৃত্রিম সং-কট,ডিলারদের বি-রুদ্ধে কা-লোবাজারীর অ-ভিযোগ

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সারের কৃত্রিম সংকট তৈরী হয়েছে। এতে করে ভরা মৌসুমে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এমন অভিযোগ উঠেছে যে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি না করে অবৈধভাবে তা কালোবাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছেন। যার ফলে কৃষকদের এক বস্তা সারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে।

    ভুক্তভোগী এক কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,”গত দুই দিন ধরে জমিতে সার দেয়ার জন্য টিএসপি ও ইউরিয়া সার খুঁজছি। কিন্তু কোনো ডিলারের কাছেই সার পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে খুচরা দোকানে যাই,সেখানে এক বস্তা টিএসপি ২ হাজার ৪’ টাকা এবং এক বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ৩’শ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানদার সরাসরি বলেছেন, ‘নিলে নেন,না নিলে এটাও পাবেন না’।”

    ক্ষুব্ধ এই কৃষক আরও জানান, তিনি অনলাইনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে ৩১শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে পলাশবাড়ীর ৩৪ জন ডিলারকে সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিলীপ বাবুর রনি ট্রেডার্স ৬২ বস্তা টিএসপি, আবু তালেব সরকার ৫২ বস্তা, আঃ হাই মন্ডল ৫২ বস্তা এবং অবিনাশ চন্দ্র ৫২ বস্তা টিএসপি সার পেয়েছেন। এর পাশাপাশি এই সারের ক্রয়মূল্য ছিল ১হাজার ২’শ ৫০ টাকা,যা ডিলাররা এখন ২ হাজার ৪’শ টাকায় বিক্রি করছেন।
    কৃষকের প্রশ্ন,”এত সার যদি ডিলারদের কাছে বরাদ্দ দেওয়া হয়,তাহলে সারগুলো গেলো কোথায়?”

    তিনি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন,এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে, যার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।

    পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাজ্জাদ হোসেন সোহেলের সাথে কথা হলে তিনি জানান,অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,“এই ব্যাপারে তেমন কিছু জানা ছিল না। ” তিনি আরো জানান,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অভিযোগের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।।

  • বরগুনার তাল-তলীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উ-দযাপন

    বরগুনার তাল-তলীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উ-দযাপন

    মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
    বরগুনার তালতলীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আকন মো. আল মামুনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে র‌্যালিটি ভূমি অফিসের দক্ষিণ পাশে মামুন লাইব্রেরির সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসুস্থ রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

    আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক। তাঁর আদর্শকে ধারণ করেই বিএনপি গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজপথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় বক্তারা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইসাহাক আকন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, তাঁতি দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ওলামা দলের সভাপতি ফারুক, ছাত্রদলের  সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হোসেন, যুবদল নেতা রাজু মৃধা, সেচ্ছাসেব দল নেতা মামুন প্রমুখ।###
    তাং০৭-০৯-২০২৫ইং
    মংচিন থান
    ০১৭১৬৩১৩১২৭

  • কোটালীপাড়ায় নি-ষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রে-প্তার

    কোটালীপাড়ায় নি-ষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রে-প্তার

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ হিরো (৩৪) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    আজ রোববার দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার স্টার এক্সপ্রেসে প্রধান কাউন্টারের সামনে থেকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রতাল গ্রামের নাদের আলী মিয়ার ছেলে ।
    বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরেই নিয়াজ মোর্শেদ হিরোকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ
    করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদার হাট নামক স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা জড়ো হয়ে মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ করে। এতে জনমনে আতঙ্ক ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এক ‘শ ৫৫ জনকে জ্ঞাত ও এক হাজার পাঁচ শ’ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কোটালীপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
    এই মামলায় কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ হিরোকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, নিয়াজ মোর্শেদ ১৬ জুলাই মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভের ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এ পর্যন্ত এই মামলায় আমরা ৬১ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • মুকসুদপুরে আলোচিত নৈশপ্রহরী গৌতম হ-ত্যা মাম-লায় একজনকে আট-ক করেছে পুলিশ

    মুকসুদপুরে আলোচিত নৈশপ্রহরী গৌতম হ-ত্যা মাম-লায় একজনকে আট-ক করেছে পুলিশ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় জে, কে, এম বি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের  নৈশপ্রহরী গৌতম গাইন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।  

    আটককৃত ব্যক্তির নাম রাজা চোকদার (৩৮) ওরফে কিলার রাজা। সে জলিরপাড় ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী চোকদারের ছেলে ও পতিত সরকারের প্রভাবশালী এক ইউপি চেয়ারম্যানের ভাগ্নে বলে জানাগেছে। 

    মুকসুদপুর থানার সিন্দিয়া ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আলমগীর হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর নৈশপ্রহরী গৌতম গাইন হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে রাজা চোকদারকে গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বিধুর পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায়  আটক করেন। এ সময় তিনি জানান রাজা চোকদারের বিরুদ্ধে মুকসুদপুর থানায় হত্যা মামলা সহ বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) দিয়ে প্রতারণা সহ বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলা রয়েছে। তিনি আরো বলেন,  গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার স্যারের দিকনির্দেশনায় ও মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস গৌতম হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি উক্ত হত্যা মামলায় রাজা চোকদার ওরফে (কিলার রাজা) জড়িত থাকতে পারে।

    আমরা বিজ্ঞ আদালতে রাজার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করেছি, আশা করছি চাঞ্চল্যকর গৌতম হত্যা মামলায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করবেন। আর এর মাধ্যমেই ক্লুলেস গৌতম গাইন হত্যা ও শিক্ষার্থী গৌতম হত্যার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, জে, কে, এম ,বি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজা তার বাহিনী নিয়ে নিয়মিত মাদকের আড্ডা ও জুয়ার আসর বসাতো, মাঝে মধ্যে নারী নিয়েও অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতো। নাইট গার্ড গৌতম বাঁধা দেওয়ায় তার সাথে বিরোধ দেখা দেয়। হয়তো সেই বিরোধের জেরে রাজা তার বাহিনী নিয়ে গৌতমকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও রাজা এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ইফটিজিং ও খুন-খারাপির সাথে জড়িত ছিলো। এর আগে ২০০৫ সালে রাজা চোকদার ওই স্কুলের একজন প্রাক্তন ছাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী, চাকুরী প্রত্যাশী গৌতম বিশ্বাসকে বাড়ি থেকে ডেকে জে কে এম বি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে নির্যাতন করে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে। পরে শুনেছি মামলায় জামিনে বেরিয়ে সে নিহত গৌতম বিশ্বাসের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ দিয়ে সেই মামলার মীমাংসা করেছে।

     পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিবেন এমনটি আমাদের সকলের প্রত্যাশা। 

    এ বিষয়ে সরেজমিনে গৌতম বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সাথে কথা হলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে ছেলে হত্যার বিচার না পাওয়ার আক্ষেপ ব্যক্ত করে বলেন, আমার সুস্থ ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কিভাবে মেরে ফেললো ওরা জানিনা। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। 

    জলিরপাড় এলাকায় নিরীহ দু’জনকে হত্যায় পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি রাজা চোকদারকে আটক করায় পুলিশের প্রতি এলাকাবাসীর আস্থা বেড়েছে এবং খুনিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করার জোর দাবী জানিয়েছেন নিহতের পরিবার সহ এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

    উল্লেখ্য, জে, কে, এম, বি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী গৌতম গাইন প্রতিদিনের ন্যায় গত ০৯/০৭/২০২৫ ইং তারিখে রাতে স্কুল পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিজের পরিচালিত মুদি দোকান থেকে রওনা দিয়ে নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে তাঁর পরিবার তাকে খুঁজে না পেয়ে গত ১০/০৭/২০২৫ ইং তারিখে মুকসুদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। (ডায়েরী নং ৫১৫। পরবর্তীতে  গত ১১/০৭/২০২৫ ইং তারিখে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন মধুমতি নদীর কংশুর খেয়া ঘাটে গলায় গামছা প্যাঁচানো ভাসমান অবস্থায় গৌতম গাইনের লাশ উদ্ধার করে বৌলতলী ফাঁড়ির পুলিশ। পরবর্তীতে হত্যার শিকার গৌতম গাইনের স্ত্রী মিলি বৈরাগী মুকসুদপুর থানায় অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -২৯, তারিখ ১২ জুলাই ২০২৫

  • কাজের উদ্বোধনের ৮ মাস পর  জেলা প্রশাসকের বিরু-দ্ধে রহ-স্যজনক অ-পপ্রচার-নে-পথ্যে চাঁ-দা

    কাজের উদ্বোধনের ৮ মাস পর জেলা প্রশাসকের বিরু-দ্ধে রহ-স্যজনক অ-পপ্রচার-নে-পথ্যে চাঁ-দা

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    বাংলোর নিরাপত্তা, সৌন্দর্য, এবং কাঠামোগত অখণ্ডতা বজায় রাখতে চলমান কাজের ফলে জেলা
    প্রশাসকের সরকারি বাসভবনের সীমানাপ্রাচীরে আঁকা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির উপরে নতুন ভাবে রং করায় জুলাই গ্রাফিতি মুছে যাওয়া নিয়ে ভূল বুঝে জেলা প্রশাসককে নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করায় জেলার বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মানুষের মাঝে চরম সমালোচনার দেখা দিয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কাজ শেষে গ্রাফিতিগুলো আবারো আকবেন।

    সরকারি বিধি মোতাবেক- একজন জেলা প্রশাসক সরকারের বিভিন্ন নীতি, সিদ্ধান্ত ও জনকল্যাণমূলক কাজ জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন করেন এবং ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্যান্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধান করে সরকারের সকল প্রকার সেবা মোলক কর্মকান্ডকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে নাগরিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করে। আর সে লক্ষ্য অর্জনে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের নেতৃত্বে ও নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে কাজ করছেন।

    ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনকে দেশের অন্যতম উন্নীত জেলা হিসাবে ময়মনসিংহকে উপহার দিতে নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক। জেলার প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত জনপ্রশাসন গড়তে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্থ করতে একটি দেশ বিরোধী ও নানামুখী ষড়যন্ত্রকারী মহল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে করে কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে সেবার গতি।

    আধুনিক সাজ-সরঞ্জামে পর্যায়ক্রমে সমৃদ্ধ হচ্ছে ময়মনসিংহের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কাজের মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

    জেলার বিভিন্ন জরাজীর্ণ স্থাপনাগুলো সংস্কার ও মেরামতের মাধ্যমে নতুন রুপে সাজানো হচ্ছে। এসব অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড বর্তমানে চলমান রয়েছে। বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদাররা এর কাজ করছে। আর উন্নয়ন কর্মকান্ড চালানো হলে পুরাতন অনেক স্থাপনা ভেঙে নতুন করে কাজ করতে হয় আবার কিছু কিছু সরকারি স্থাপনা আছে যেগুলোর জরাজীর্ণ পরিবেশকে দৃশ্যমান ও নতুন সাজে সাজাতে অনেক পুরোনো স্মৃতিও বিনষ্ট হয়, তেমন এক চলমান উন্নয়ন কাজের স্থাপনা জেলা প্রশাসকের ডাক বাংলো। জেলা প্রশাসকের ডাক বাংলোতে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে, এর ফলে ডাক বাংলোতে আঁকা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গ্রাফিতি মুছে যাচ্ছে যা পরবর্তীতে আবার নতুন করে আকবেন বলে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম আশ্বস্ত করেছেন। কারণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই গ্রাফিতি চিত্র গুলো মুছে ফেলারমত নয়,এগুলো এক-একটা গ্রাফিতি হচ্ছে ইতিহাস। ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না,তাই চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ হলে এই ইতিহাসগুলো ফের আকা হবে বলে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম মনস্থির করে রেখেছেন। চলতি বছরের শুরুতে গত ফেব্রুয়ারী মাসে বাংলোর প্রাচীরের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজসহ এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন,স্যানিটারির কাজ,সৌন্দর্য বর্ধনে রং এর কাজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সরকারী বিধি অনুসারে গণপূর্ত অধিদফতর আওতায় চলমান এসব কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। জেলা প্রশাসনের এ সব উন্নয়ন মোলক কাজের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে একটি অসাধুচক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের নামে মনগড়া কল্প কাহিনী গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশ করে প্রশাসনের বদনাম রটাচ্ছে। তাদের কাহিনির মাঝে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেলা, ঠিকাদার আওয়ামী লীগের দোসর আরো নানান কিছু। এখানে আগেই বলা হয়েছে কাজ শেষ হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান গ্রাফিতি আবারো আকা হবে,আর ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে গণপুর্ত অধিদপ্তর এখানে জেলা প্রশাসকের কোন সম্পৃক্ততা নেই। অপরদিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেখানে আওয়ামী লীগের সব বড় বড় নেতা ও তাদের সহযোগীরা পলাতক-সেখানে আওয়ামী লীগের ঠিকাদাররা সিডিউল ক্রয় করে কাজ পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এসব কাজ করছেন বাংলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষে। ইতিমধ্যে একটি সৌন্দর্য বর্ধন গেইট করা হয়েছে যা বাংলোকে আরো দৃশ্যমান করে তুলেছে।

    প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে- সবচেয়ে কম মুল্যে এসব কাজ ঠিকাদারদের দেওয়া হয়েছে, তারা স্বল্প রেটে কাজ করছে। তবে ময়মনসিংহের বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গের মতে- ঠিকাদাররা যেকোন এলাকায় কাজ করলে সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা অনৈতিক সুবিধা হাসিল করার চেষ্টা করে,, হয়তো জেলা প্রশাসনের বাংলোর সেই কাজে ঠিকাদারের কাছে গিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় জেলা প্রশাসককে নিয়ে এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যদি তাই না হতো তাহলে গত ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়েছে হঠাৎ করে ৮মাস পর গ্রাফিতি মুছে যাচ্ছে, আওয়ামী দোসররা ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছে এসব তথ্য কোথায় থেকে পেলো, এতদিন পেলো না কেনো? সম্প্রতি দক্ষ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূঁইফোড় কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে এসব ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায় ময়মনসিংহর সচেতন মহলের মাঝে এসব প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে যারা স্বল্প মুল্যে এসব কাজ করছেন তাদের কাছে চাঁদা চাইলেই তারা চাঁদা দিবে কিভাবে?

    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাবী: সুনামধন্য এই জেলা প্রশাসক স্যারের সুনাম খুন্নের উদ্দেশ্য তাকে জড়িয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে নিজ দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) মুফিদুল আলম স্যার।
    তিনি সততা আর নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। চাকুরী জীবনে অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। আর এ কারণেই একটি কুচক্রী মহল তাদের অন্যায় আবদার এবং কাঙ্খিত স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি কে অস্ত্র বানিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা কল্পকাহিনী প্রদান করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ এবং ঘৃণা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাদের জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহে চাকরী করছেন তিনি তার সময় শেষ হলে ময়মনসিংহ থেকে বদলী হয়ে চলে যেতে হবে, তবে সরকারি এসব স্থাপনাগুলো ময়মনসিংহের ঐতিহ্য হিসাবে থাকবে,এর সংস্কার প্রয়োজন আছে

    বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর কর্মদক্ষতায় এবং বুদ্ধিদীপ্ত নির্দেশনায় প্রচেষ্টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন মানুষের কাছে একটি বিশ্বস্থ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। কোন অপপ্রচারে এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি কোন ভাবেই যেন ক্ষুন্ন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সকল মহলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনে কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।