Blog

  • নেছারাবাদে রুপান্তরের শিক্ষণ ও অ-ভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অ-নুষ্ঠিত

    নেছারাবাদে রুপান্তরের শিক্ষণ ও অ-ভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অ-নুষ্ঠিত

    আনোয়ার হোসেন,
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

    নেছারাবাদে রুপান্তরের শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকলে তৃনা কমিউনি সেন্টারে রূপান্তরের আয়োজনে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

    ইয়থ ফর সেইফ সুন্দরবন এর নেছারাবাদ উপজেলা শাখার আহবায়ক সূবর্না আক্তার এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, স্বরূপকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম, নেছারাবাদ উপজেলা বন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন, উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার নিপু, সমাজ সেবক আবুল কালাম আজাদ, আরামকাঠি হাজি ইব্রাহীম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈনুল ইসলাম, সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমাম শিকদার, সুন্দরবন জার্নালিজম ফোরামের নেছারাবাদ উপজেলা আহবায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সমাজ সেবক নিলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ।

    মোঃ হারিসুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ট্যুরিষ্ট গাইড মো. রফিকুল ইসলাম, ইয়থ ফর সেইফ সুন্দরবন এর নেছারাবাদ উপজেলা শাখার সদস্যরা। এ সময় শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনজিও, সমজাকর্মী, মৎস্য জীবিত,বনজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন। এবং অনুষ্ঠিতটি সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন পিরোজপুর জেলা পোজেক্ট অফিসার সাহিদা বানু সোনিয়া।

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।

  • ধীতপুরে বিএনপি নাম ব্যবহার করে স-ন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্র-তিবাদে বিক্ষো-ভ মিছিল ও মা-নববন্ধন

    ধীতপুরে বিএনপি নাম ব্যবহার করে স-ন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্র-তিবাদে বিক্ষো-ভ মিছিল ও মা-নববন্ধন

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহের ভালুকায় ধীতপুর এলাকার সাধারণ জনগণের আয়োজনে বিএনপির নাম ব্যবহার করে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ধীতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আরমান মীর ও কৃষকদল নেতা ওয়াসিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নারী নির্যাতনসহ নানা অপরাধে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণ মামলা রয়েছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ জানান, ওয়াসিকুল বিএনপির নাম ব্যবহার করে স্থানীয় লোকজনদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করছে। বিএনপি নেতা হয়েও বিএনপি নেতাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। নিজেই নিজের অফিস ভেঙে স্থানীয়দের নামে মামলা করছে। তারা ওয়াসিকুল ও আরমান মীরের হাত থেকে মুক্তি চান।

    বক্তারা আরও বলেন, ওয়াসিকুল ও আরমান মীরের এমন কর্মকান্ডে বিএনপির সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানান এলাকাবাসী।

    মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন মীর, হাসান, কাজল, সামসু, পলাশ বক্তব্য রাখেন।

    মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ওয়াসিকুল ইসলাম নিয়মিতভাবে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে আসছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের কাছে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

    এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

  • নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক ক-মিটি গঠন

    নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক ক-মিটি গঠন

    ঝালকাঠি প্রতিনিধি : মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক কমিটি গঠিন করা হয়েছে। 

    ৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী বাকে আলীকে আহ্বায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলামকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল রাজ্জাক হাওলাদারকে সদস্য সচিব হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঝালকাঠি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভায় এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক চিঠিতে জানা যায়।

    কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহাবুবুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.টি.এম. জিন্নাত আলী শরীফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বাশার হাওলাদার।

    বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঝালকাঠি জেলা ইউনিট কমান্ড থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা কমান্ড কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নলছিটি উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এ কমিটি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

  • বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অসিত গাইনকে সংবর্ধনা প্রদান 

    বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অসিত গাইনকে সংবর্ধনা প্রদান 

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

    বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংবাদিক অসিত গাইনকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত করায় বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ের পক্ষে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

    বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান কার্যালয়- মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় “আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।

    এ অনুষ্ঠানে ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) দক্ষিণাঞ্চল শাখার সভাপতি- ফকির মিরাজ আলী শেখ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদ মিনা।

    এ সময় ঢাবিতে দায়িত্ব পালন কালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী চ্যানেল “এস” – এর সাংবাদিক তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে ১মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

    অপরদিকে, আগত সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার অসিত গাইন।

    গোপালগঞ্জ জেলা ও মুকসুদপুর উপজেলার  কয়েকটি সাংবাদিক ক্লাব ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • খুলনার কয়রা উপজেলার বেচপাড়া গ্রামে ক্রয়-কৃত জমি উ-দ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    খুলনার কয়রা উপজেলার বেচপাড়া গ্রামে ক্রয়-কৃত জমি উ-দ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    শেখ তৈয়ব আলী, খুলনা।

    খুলনার কয়রা উপজেলার ভান্ডারপোল মৌজার বেচপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নোমান হোসেন আজ মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ক্রয়কৃত ফসলী জমি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে মোঃ নোমান হোসেন বলেন, “২০০০ সালে আমাদের মা, তাসলিমা বেগম, শীবনাথ মন্ডল ও কিরনী বালার কাছ থেকে ৫.৮৫ একর জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমি মিউটেশনসহ আমাদের মায়ের নামে রেকর্ড করা হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে খাজনা দাখিলা প্রদান ও কৃষিকাজের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়েছে।

    ২০২১ সালে প্রদীপ কুমার মন্ডল ও তার স্ত্রী লিপিকা মন্ডল স্থানীয় চরমপন্থী ও সমাজবিরোধী চক্রের সহযোগিতায় জমি দখল শুরু করেন। বর্তমানে ১৭ বিঘা ৫ কাঠার মধ্যে মাত্র চার বিঘা জমি ব্যবহার সম্ভব। আদালত, প্রশাসন এবং নৌবাহিনী ক্যাম্পে বিভিন্ন শালিসে আমরা বিজয়ী হলেও, জমি পুনরায় দখল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, “চরমপন্থী ও সমাজবিরোধী চক্রের সহায়তায় প্রদীপ ও লিপিকা প্রকাশ্যভাবে দখলদারিত্ব চালাচ্ছেন। তাদের সহিংসতা এবং অবৈধ প্রভাবের কারণে সাধারণ মানুষও কার্যত অসহায়। সম্প্রতি কয়রা থানার ওসি সাসপেন্ড হলে লিপিকা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি তার সঙ্গে বিরোধের কারণে ওসিকে ‘শান্তি’ দিয়েছেন। এছাড়া আমার ভাইয়ের খুলনা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের চাকরিও যে কোন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

    সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রদীপের পরিবারে চার পুত্র ছিল। বড় ছেলে বাবু এখনও পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন। দ্বিতীয় ছেলে রণজিতও ভারতে বসবাস করছেন। তৃতীয় পুত্র শংকর মন্ডল নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণবঙ্গের সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পরবর্তীতে নিহত হন। প্রদীপের স্ত্রী লিপিকা চরমপন্থী নেতার কন্যা। এই পরিবারের সহিংস ও উগ্র আচরণের কারণে এলাকার মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

    সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান, তাঁদের লেখনি ও প্রচারণার মাধ্যমে ক্রয়কৃত জমিতে ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

  • মা-দকদ্রব্য নি-য়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করে জাহিদুল পেয়েছে আ-লাদিনের চেরাগ

    মা-দকদ্রব্য নি-য়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করে জাহিদুল পেয়েছে আ-লাদিনের চেরাগ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো.জাহিদুল ইসলাম জাহিদ চাকুরি করেই গড়েছেন অঢেল সম্পদ।গ্রামে টিনশেড বাড়ি,পঞ্চগড় পৌরশহরের রওশনাবাগ ভুতের ডাঙ্গা এলাকায় জমি ক্রয় করে বাড়ি, রংপুর শহরে জমি কিনে ১০ তলা ফাউন্ডেশনের ফ্লাট বাড়ি, কিনেছেন গাড়ী, গ্রামে বিঘা বিঘা জমি। ব্যাংকে জমিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।দুই ছেলেকে পড়ালেখা করাচ্ছেন বুয়েট ও রুয়েটে।সামান্য চাকুরি করেই কিভাবে এত সম্পদ গড়েছেন।তার অবৈধ এ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

    জানা যায়,মো.জাহিদুল ইসলাম নামের এ কর্মকর্তা পঞ্চগড় সদর উপজেলা চাকলাহাট ইউনিয়নের মালিরডাঙ্গা এলাকার মৃত সামসুল হকের ছেলে। তারা পাঁচ ভাই, তিন বোন।তার বাবা টুনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিনা বেতনের শিক্ষক ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

    কয়েক বিঘা জমি ছিল সামসুল হকের।বলায় যায় নুন আনতে পানতা ফুরাতো সামসুল হকের।প্রায় ১৮ বছর আগে জাহিদুল এইচ এসসি পাশ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পায়।পর্যায়ক্রমে পদন্নোতি পেয়ে হয়েছেন পরিদর্শক।আছেন ঢাকা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে।তবে চাকুরি জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে তার রংপুরে।
    অনুসন্ধানে জানা যায়,তার গ্রামের বাড়ি চাকলাহাট মালিরডাঙ্গা এলাকায়।সেখানে টিনশেডের বাড়ি,আরাজি বেরুবাড়ি,কাজলদিঘী ও কাজলদিঘী পুরানিগ্রাম মৌজা সহ কয়েকটি মৌজায় ৫০-৬০ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন।পঞ্চগড় পৌরশহরের রওশনাবাগ ভুতের ডাঙ্গায় ৮ শতক জমি ক্রয় করে গড়েছেন কোটি টাকা দামের বাড়ি। রংপুর মহানগর সর্দারপাড়া রোড, হাজী পাড়া মোড়ে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করে ১০ তলা ফাউন্ডেশনের চার ও পাঁচ তলার কাজ চলমান।সেখানকার স্থানীয় আব্দুল মতিন বলেন,জমির দাম এখানে প্রতি শতক ৩০ লাখ টাকা। সে হিসেবে ৫ শতক জমির দাম দেড় কোটি, সাথে বাড়ি নির্মাণ খরচ প্রায় আরো এক কোটি টাকা।জাহিদুল ১৭ তম গ্রেড দিয়ে চাকুরি শুরু করে বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে পর্যায়ক্রমে ৯ ম গ্রেডের বেতন পান।সে হিসেবে তার ১৮ বছরে বেতন পায় ৫০-৬৫ লাখ টাকা।সেখান থেকে তার পাঁচ সদস্যের পরিবার, বাবা-মা সাথে সন্তাদির লেখাপড়ার খরচ, চালিয়ে কিভাবে এতো টাকার সম্পত্তি করেন ভাবনা স্থানীয়দের।

    চাকলা হাট এলাকার স্থানীয় মোজাম্মেল হক বলেন,এলাকায় কেউ জমি বিক্রি করতে চাইলে।বাজার দরের চাইতে বেশি দামে জাহিদুল ক্রয় করেন।অন্য কারো নেওয়ার কোন সুযোগ নাই।কিভাবে এতাে অর্থের মালিক হলেন তিনি। চাকলার হাট মালির ডাঙ্গা এলাকায় জমি ১২/১৫ লাখ টাকা বিঘা কিন্তু মাদকদ্রব্যের এই কর্মকর্তা ওই এলাকার জমির দাম ২০ লাখে পৌঁছে দিয়েছে।

    অভিযুক্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,এর কাছে মুঠোফোনে সংবাদকর্মীর পরিচয় দিয়ে, অঢেল সম্পত্তির বিষয়টি জানতে চাইলে কলটি কেটে দেন তিনি।পরে বার বার ফোন দিয়েও আর ধরেননি।

    বিষয়টি সম্পর্কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক উর্মি দে’র কাছে কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জাহিদের বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলেও তিনি তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, অঢেল সম্পত্তির বিষয়টি তার ব্যক্তিগত বিষয়।

  • আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকায় অ-ভিযানে ই-য়াবাসহ এক মা-দক কার-বারিকে গ্রে-ফতার করেছে ডিবি

    আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকায় অ-ভিযানে ই-য়াবাসহ এক মা-দক কার-বারিকে গ্রে-ফতার করেছে ডিবি

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার ডিবি (উত্তর) কর্তৃক ১৫০ (একশত পঁঞ্চাশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং) সকালে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন। ঢাকা জেলা পুলিশের অভিভাবক জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান (পিপিএম), পুলিশ সুপার, ঢাকা মহোদয়ের নির্দেশনায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ঢাকা জেলার ডিবি (উত্তর) এর অফিসার ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ আঃ মুত্তালিব সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অদ্য ০৮/০৯/২৫খ্রি. তারিখ ১৬:০৫ ঘটিকায় আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া দক্ষিন গাজিরচট এলাকা হইতে আসামী ১। মোঃ লিটন সরকার (৩৫), পিতা-মোঃ নাজিম উদ্দিন সরকার, মাতা-মৃত মনোয়ারা বেগম, সাং-কাকনা, থানা দৌলতপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ,এ/পি সাং-দক্ষিন গাজিরচট, সোহেল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকাকে ১৫০ (একশত পঁঞ্চাশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেন। উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

  • তানোরে খাদ্য গুদাম প-রিদর্শনে স-ন্তোষ প্রকাশ

    তানোরে খাদ্য গুদাম প-রিদর্শনে স-ন্তোষ প্রকাশ

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদামে খারাপ ও খাওয়ার অনুপযোগী চাল পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে খাদ্য বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার খাদ্য গুদাম গুলোতে চলছে সংশ্লিষ্টদের পরিদর্শন, গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। ইতমধ্যে রাজশাহীর দুর্গাপুরের পর বাগমারার ৪টি সরকারি খাদ্য গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।
    এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার খাদ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির একটি প্রতিনিধি দল তানোর উপজেলা সদরের ৪টি ও কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) ২টি খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) মনিরুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক শামসুজ্জোহা তালুকদারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল এদিন সকালে কামারগাঁ ইউপির ২টি ও বিকেলে তানোর উপজেলা সদরের ৪টি খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। তারা খাদ্য গুদামে সংরক্ষিত খাদ্য শস্যর প্রতিটি খামালে বোঙা মেরে বস্তার চাল ধান দেখেন এবং সংরক্ষিত খাদ্য শস্য মানসম্মত বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) মলিউজ্জামান সজিব, তানোর সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মুকুল টুডু ও কামারগাঁ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতাউর রহমানপ্রমুখ।এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।#

  • সুজানগর মহিলা কলেজের সামনে আ-বর্জনার স্তূ-প, দুর্গ-দ্ধে অতি-ষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

    সুজানগর মহিলা কলেজের সামনে আ-বর্জনার স্তূ-প, দুর্গ-দ্ধে অতি-ষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ সুজানগর পৌর শহরের হোটেল ও দোকান-পাটের সকল ময়লা আবর্জনা ফেলানো হয় সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনে। ফেলানো নোংরা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের। শুধু ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধই নয়, ফঁাকা জায়গা হওয়ায় কলেজের সামনের সড়কের ব্রীজের উপর বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করার পাশাপাশি দিনে-রাতে প্রায় সবসময় আড্ডা চলে মাদকসেবী ও উচ্ছৃঙ্খল বখাটেদের। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
    কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান , কলেজ গেটের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের রাস্তাটা ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে চলাচলের সময় দুর্গন্ধে দমবন্ধ হয়ে বমি আসে। নাক চেপে ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আমরা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও হাজারো পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধে নাপ চেপে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে আমাদের। তা ছাড়া কলেজের সামনে এ ময়লার স্তূপ হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।
    সুজানগর মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী দারিন ফারহা প্রিয়ন্তী বলেন, ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ সহ্য করে নাকে কাপড় দিয়ে প্রতিদিন এ পথ দিয়ে কলেজে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ময়লা ফেলানোয় কলেজের সামনে বেড়েছে কুকুরের উপদ্রব। ফলে আমাদের কুকুরের কামড়ের ভয় নিয়েই কলেজে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
    স্থানীয়রা জানান, শুধু হোটেল ব্যবসায়ীই নয়, বাজারের অনেক ব্যবসায়ীই তাদের প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা কলেজের সামনে এনে প্রতিনিয়ত ফেলে যায়। কোনো ধরনের নিয়ম-নীতিই মানছে না তারা । শুধু ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধই নয়, ফঁাকা জায়গায় হওয়ায় মহিলা কলেজের সামনের এ সড়কে বসে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করার পাশাপাশি দিনে-রাতে প্রায় সবসময় আড্ডা চলে মাদকসেবী বখাটেদের আর এগুলো বন্ধের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

    পৌরসভার কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর হাসান উদ্দিন জানান, পৌরসভার পরিছন্নতাকর্মীরা পৌর বাজারে নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার করে থাকে এবং গাড়ি গিয়ে রাস্তার সব স্থান থেকে প্রতিদিন ময়লা আর্বজনা নিয়ে আসে। কিন্তু হোটেল ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আর্বজনা জমা রাখতে বলা হলেও তারা তা মানছে না।
    সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বলেন, কলেজের ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ আমাদের শিক্ষকদের সার্বক্ষণিক এ ভাগাড়ের আর্বজনার দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে।
    সুজানগর থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
    সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কে,এম হেসাব উদ্দিন জানান , কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ পথচারীরা দুর্গন্ধ সহ্য করে এ পথ দিয়ে চলাচল করে থাকে। তাই সবার অসুবিধার কথা চিন্তা করে অতিদ্রুতই এ স্থানটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সুজানগর পৌর প্রশাসক মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ সোমবার জানান, হোটেল মালিকসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কলেজের সামনে ময়লা আবর্জনা না ফেলানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। উক্ত স্থানে ময়লা আবর্জনা না ফেলানোর নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • পাইকগাছায় ইউএনও এসিল্যান্ডের নি-র্দেশনা উ-পেক্ষা করে  নদীতে আবারও নেটপাটা দেওয়ার অ-ভিযোগ

    পাইকগাছায় ইউএনও এসিল্যান্ডের নি-র্দেশনা উ-পেক্ষা করে নদীতে আবারও নেটপাটা দেওয়ার অ-ভিযোগ

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছা ইউএনও এসিল্যান্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলার আলোচিত লতা ইউনিয়নের বেতাঙ্গী জলমহালের আবারও নেটপাটা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    রবিবার জলমহালে ইজারাদারের পক্ষের লোকজন কয়েক জায়গায় নেটপাটা দিয়ে জল সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানাযায়, লতার এই আলোচিত নদীটি ছয়টি মৌজার পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম। সম্প্রতি অতি বৃষ্টিতে গোটা এলকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে বেতাঙ্গী নদীতে একাধিক জায়গায় নেটপাটা থাকায় জল সরবরাহে বাধা পাওয়ায় নেটপাটা অপসারণ সহ নদীটি উন্মুক্তের দাবীতে কাঠামারী বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে নদীটি উন্মুক্তের দাবীতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাহেরা নাজনীন এর কাছে অভিযোগ হলে তিনি এসিল্যান্ডকে সাথে নিয়ে গত ২৭ আগষ্ট সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিষদে আলোচনায় বসেন। সভায় স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি ইজারাদারদের এক সপ্তাহের মধ্যে নেটপাটা অপসারণের নির্দেশ দেন। যার সর্বশেষ সময় ছিলো ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এদিকে অভিযোগ উঠেছে ইউএনও’র নির্দেশনা উপেক্ষা করে নতুন করে পাঁচটি জায়গায় নেটপাটা বসানোর খবর পেয়ে এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এনিয়ে যেকোন মূহুর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে।

    প্রেরক,
    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা, খুলনা