Blog

  • আমরা যেন সবাই মিলেমিশে স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি-মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল

    আমরা যেন সবাই মিলেমিশে স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি-মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল

    আরিফ রববানী- ময়মনসিংহ
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি ময়মনসিংহ মহানগরীর আমির ও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেছেন, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো বিকল্প নেই। দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সকল ধর্মের মানুষকে একসাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। আমরা যেন সবাই মিলেমিশে স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি, আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন।

    জামায়াতে এই প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমরা যেন সবাই মিলেমিশে স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি, আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন। বাংলাদেশ আমাদের সবার জন্মভূমি। আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে বসবাস করছি। আগামীতে জাতি ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে মিলেমিশে থাকতে চাই।

    মঙ্গলবার (৩০সেপ্টেম্বর) বিকালে ও সন্ধ্যার পর অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে তিনি চর ঈশ্বরদিয়া, ঋষিপাড়া, ৩১ নং ওয়ার্ড এবং অম্বিকাগঞ্জ বাজার (গগনশাহ বাজার), ৪ নং পরানগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন এবং সার্বিক খোঁজ খবর নিতে গিয়ে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    এসময় তার সাথে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য হায়দার করিম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ,
    জামায়াতে ইসলামী হিন্দু কমিটির সেক্রেটারি খোকন বিশ্বাস, এডভোকেট দেবব্রত নাগ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ময়মনসিংহে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনভর গণসংযোগ শেষে রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুজা পরিদর্শন কর্মসূচি করা হয়।

    এসময় ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির ও ময়মনসিংহ-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কামরুল আহসান এমরুল আরও বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসব। এ উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা সব সময় সহযোগিতা করবে।’

    এসময় জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল ধর্ম-বর্ণের জনগণকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।

  • ময়মনসিংহে এনসিপি নেতৃবৃন্দের দুর্গা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও ম-তবিনিময়

    ময়মনসিংহে এনসিপি নেতৃবৃন্দের দুর্গা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও ম-তবিনিময়

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে জাতীয় নাগরিক পার্টি -এনসিপির
    ময়মনসিংহ জেলার এনসিপির মনিটরিং টিম ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়কগণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন ও তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

    এ সময় এনসিপির পক্ষ থেকে পূজামন্দিরের সভাপতির হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়।

    মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শত বছরের প্রাচীনতম দূর্গাবাড়ি মন্দিরসহ শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ এবং মন্দির আনন্দ ও উতফোল্ল তার সাথে পরিদর্শন করেন এবং প্রতিটি মন্দির ও পূজা মণ্ডপের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির সদস্যদের সাথে আনন্দ চিত্তে মতবিনিময় করেন।

    এ সময় ময়মনসিংহ জেলার এনসিপির মনিটরিং টিম তাদের বক্তব্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে গঠিত এনসিপির সমন্বয়ে কমিটিকে তিনি একসাথে কাজ করার নির্দেশনা দেন।

    বিভিন্ন পুজামণ্ডপ পরিদশনকালে নেতৃবৃন্দ পুজারীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আপনারা স্বাচ্ছন্দ্যভাবে পূজা করবেন। আপনাদের পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সহ আমাদের নেতা কর্মীরা আপনাদের পাশে রয়েছেন, আপনাদের দায়িত্বে রয়েছি। আমরা যেমন ঈদ সুন্দর ভাবে পালন করি তেমনি আপনারা সর্ববৃহৎ দূর্গা পূজাটি স্বাচ্ছন্দ্যভাবে পালন করবেন।*

    ময়মনসিংহ জেলার এনসিপির মনিটরিং টিম নেতৃবৃন্দ
    বলেন, বাংলাদেশ সোহার্দ্য আর সম্প্রীতির দেশ। এখানে বৈষম্যের কোন স্থান নেই। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই ভাই ভাই। হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও এনসিপির নেতাকর্মীদের সাথে খুব আগ্রহ ও আন্তরিকতার সাথে উৎসব মুখর পরিবেশে মতবিনিময় ও আনন্দ উপভোগ করেন ।।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি ময়মনসিংহের অন্যতম সংগঠকনমো: ইকরাম এলাহী খান সাজ, এড. এ.টি.এম মাহবুব উল আলম, মাহমুদুল হাসান সোহেল, মো: মোজাম্মেল হক, মোকাররম আদনান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগরে আহবায়ক ওলি উল্লাহ, মেহেদী হাসান সিয়ামসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

    ,

  • গোদাগাড়ীতে যুবসমাজকে মা-দক থেকে দূরে রাখতে শুরু হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন গোল্ড কাপ

    গোদাগাড়ীতে যুবসমাজকে মা-দক থেকে দূরে রাখতে শুরু হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন গোল্ড কাপ

    রাজশাহী  থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হচ্ছে হতে যাচ্ছে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসন ফুটবল গোল্ড কাপ ২০২৫! মাঠ প্রস্ততি, খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার গোদাগাড়ী বাসী। অধীর আগ্রহে লাখ লাখ মানুষ অপেক্ষা এ খেলা দেখার জন্য।

    আসুন মাদককে না বলি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ি, মাদক একটি পরিবার, সমাজ,  দেশকে নষ্ট করে। যুব সমাজকে মাদক থেকে  দূরে রাখতে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা, কর্মচারী,  শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, ক্রীড়া সংগঠক, যুবসমাজসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে নানামূখি পদক্ষেপ গ্রহন করে গোদাগাড়ীতে একের পর এক ইতিহাস সৃষ্টি করছেন ইউএনও।

     গোদাগাড়ী উপজেলার ২ টি পৌরসভা, ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদে ৯৯ ক্লাব তৈরী করে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করেছেন।  উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ক্রিকেট, ফুটবল, গোল বার, হ্যান্ডবলসহ খেলাধুলা বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এলাকার ছাত্র ছাত্রী, যুবসমাজ, স্মার্ট মোবাইল, মাদক ছেড়ে বিকালে খেলার মাঠে ফিরতে শুরু করেছেন। খেলার মাঠগুলিতে  ছোট, বড়, সব বয়সী মানুষ খেলার মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন।

     অপরদিকে  পিতা-মাতার সাথে প্রতিটি ইউনিয়নের মিনি পার্ক গুলিতে শিশুদের বিনোদনের প্রতিযোগিতা চলছে। যা শিশু বিকাশের  অন্যতম মাধ্যমে পরিনত হয়েছে।  

    তারই ধারা বাহিকতায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে 

    ১১ টি ভ্যানুতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “উপজেলা প্রশাসন গোল্ড কাপ -২০২৫”

    খেলায় সতর্ক বার্তাঃ কোনো খেলোয়াড় যদি মাঠের ভিতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে ঐ দলকে নগদ ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা ও ঐ ইউনিয়নের খেলোয়াড় উপজেলা দলে কোনো খেলায় অংশগ্রহণ করতে না।

    খেলার শুভ উদ্বোধন  হবে আগামী ৯ অক্টোবর বিকাল ৩ টায়  গোদাগাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। 

     ক-গ্রুপের  চর আষাড়িয়াদহ ইউপি বনাম বাসুদেবপুর ইউপি।  

    ১০/১০/২০২৫  চর আষাড়িয়াদহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকাল ৩ টায়  খ- গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।  গোগ্রাম ইউপি বনাম গোদাগাড়ী পৌরসভা।

    ১১/১০/২০২৫   ক – গ্রুপ কাঁকনহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকাল ৩ টার সময় দেওপাড়া ইউপি ফুটবল দল বনাম পাকড়ী ইউপি ফুটবল দল।

    ১২/১০/২০২৫ গোগ্রাম ঈদগাহ মাঠ (আম)

    মাটিকাটা ইউপি বনাম খ গ্রুপের  বিজয়ী দল, ১৩/১০/২০২৫ লস্করহাটী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকাল ৩ টার সময় (কলা) রিশিকুল ইউপি বনাম কাঁকনহাট পৌরসভা

    ১৪/১০/২০২৫ পালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ

    (পেঁপে) গোদাগাড়ী ইউপি বনাম গ গ্রুপের  বিজয়ী দল।

    ১৫/১০/২০২৫ রিশিকুল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে

    সুপার- ৪ রাউন্ড লীগ ম্যাচ (খেলার স্থান পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে) আম বিজয়ী দল বনাম জাম বিজয়ী দল।

    ১৬/১০/২০২৫ বিকাল ৩ টায় কলা বিজয়ী দল বনাম পেঁপে বিজয়ী দল

    ১৭/১০/২০২৫ জাম বিজয়ী দল বনাম কলা বিজয়ী দল।

    ১৯/১০/২০২৫ বিকাল ৩ টায় জাম বিজয়ী দল বনাম কলা বিজয়ী দল। ২০/১০/২০২৫ বিকাল ৩ টায় আম বিজয়ী দল বনাম পেঁপে বিজয়ী দল। ২২/১০/২০২৫ বিকাল ৩ টায় আম বিজয়ী দল বনাম কলা বিজয়ী দল। ২৩/১০/২০২৫ বিকাল ৩ টায় জাম বিজয়ী দল বনাম পেঁপে বিজয়ী দল

    ২৫/১০/২০২৫ ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে (খেলার স্থান পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে)

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি গোদাগাড়ীতে জয়েন্ট করার পর মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবীদের , ভয়াবহতার গল্প শুনেছি। মাদকসেবীদের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পিতা মাতা, স্ত্রী যখন অভিযোগ নিয়ে আসেন, তাদের করুন ঘটনাবলী শুনে আমি মর্মহত হই। শুধু আইন দিয়ে মাদক বন্ধ করা যাই না। গোদাগাড়ীবাসীর সবাইকে নিয়ে মাদক বন্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিশু, যুবসমাজ যেন স্মাট, মাদক থেকে দূরে থেকে লিখা পড়া ও খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে সেদিন বিবেচনা করে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরন, প্রতিটি ইউনিয়ন,  পৌরসভায় বিনোদন পার্ক তৈরী করা হয়েছে যা সুফল আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। মাদকসেবীদের পুন:বাসন করে করে হয়েছে যেন তারা স্বাভাবিক ফিরে আসতে পারেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী

  • শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজা মণ্ডপে শফিউল আলমের শুভেচ্ছা, দুর্নীতি-দুঃশাসনহীন ন্যা-য়ভিত্তিক সমাজের অ-ঙ্গীকার

    শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজা মণ্ডপে শফিউল আলমের শুভেচ্ছা, দুর্নীতি-দুঃশাসনহীন ন্যা-য়ভিত্তিক সমাজের অ-ঙ্গীকার

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম-১১ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জনাব মোঃ শফিউল আলম শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নগরীর ইপিজেড থানাধীন বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন, শুভেচ্ছা বিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন।

    এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সাহেদ আলী, দারুস সালাম ওয়ার্ড সভাপতি মিজান খান, বন্দরটিলা দক্ষিণ ওয়ার্ড সভাপতি হাবিবুর রহমান, বন্দরটিলা উত্তর ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, ওলামা ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা হারুন আর রশিদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইপিজেড থানা সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং ৩৯ নং উত্তর ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ ও কর্মী।

    শফিউল আলম নগরীর সি ইপিজেড শ্রী কৃষ্ণ মন্দির, বন্দরটিলা রেলবিট শান্তি সংঘ, দীপিকা সংঘ মহাজন ঘাটা, সনাতনী সংঘ খেজুর তলা সৎসঙ্গসহ একাধিক পূজা মণ্ডপে গিয়ে পূজার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। তিনি পূজার্থীদের উদ্দেশে বলেন—

    “বাংলাদেশ কোনো একক গোষ্ঠীর নয়, এ দেশ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের গৌরব, আমাদের শক্তি। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও বৈষম্য এই ঐক্যকে কলুষিত করেছে। এখন সময় এসেছে ন্যায় ও নৈতিকতার ভিত্তিতে একটি নতুন সমাজ গড়ার।”

    তিনি দৃঢ় কণ্ঠে আরও বলেন—“আমরা চাই প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব হোক শান্তি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। বাংলাদেশে দুর্নীতি, লুটপাট ও বৈষম্যের রাজনীতি বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষের মুক্তি নেই। তাই দেশের প্রতিটি মানুষকে নিয়ে আমরা গড়ব দুঃশাসনহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা।”

    শফিউল আলম উল্লেখ করেন, জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই পারে দেশে সত্যিকারের শান্তি, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। পূজা মণ্ডপে উপস্থিত সাধারণ মানুষও তাঁর এ বক্তব্য ও অবস্থানকে স্বাগত জানান।

  • ময়মনসিংহে প্রস্তুত প্রতিমা বি-সর্জন ঘাট : নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নি-রাপত্তা,পুলিশ সুপারের প-রিদর্শন

    ময়মনসিংহে প্রস্তুত প্রতিমা বি-সর্জন ঘাট : নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নি-রাপত্তা,পুলিশ সুপারের প-রিদর্শন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    বিজয়া দশমীর পূজা শেষে দেবী দুর্গার বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বিসর্জন ঘাটগুলো। প্রতিমা বিসর্জনের দিন যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।

    বুধবার (১অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ কাচারী ঘাট প্রতিমা বিসর্জন ঘাট পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।

    জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের কাচারী ঘাট ছাড়াও আরও একাধিক ঘাটে হবে এবারের প্রতিমা বিসর্জন।

    অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি প্রতিটি ঘাটজুড়ে। আশা করি প্রতিমা বিসর্জনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন কেউ হবে না। সবাই সুষ্ঠভাবে প্রতিমা বিসর্জন করতে পারবেন।

    পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ঘাটে ও বোট নিয়ে পানিতে টহল দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী । সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পুরো ঘাট এলাকাজুড়ে অবস্থান করছেন। এছাড়াও নদীর ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও ডুবুরি দলের সদস্যরা উপস্থিত থাকবে।

    ঘাটের সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুৃমনা আল মজিদ বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সকাল থেকে সব ঘাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পন্ন করেছি। এছাড়া আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় কাজ করবে।

    এসময় পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম- ঘাট এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিসর্জন উপলক্ষে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। আমরা চাই ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হোক।

    পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিসর্জন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন তিনি।

    এসময়- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ মোহাইমেনুর রশিদ, সদর সার্কেল মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর প্রশাসন আবু নাছের মোহাম্মদ জহির, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির নেতা মোঃ মাহবুব আলম, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, বর্জ্য কর্মকর্তা মোহাব্বত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • চারঘাটে সা-পের কাম-ড়ে জামায়াত নেতার মৃ-ত্যু

    চারঘাটে সা-পের কাম-ড়ে জামায়াত নেতার মৃ-ত্যু

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে সাপের কামড়ে স্কুল শিক্ষক ও জামায়াত নেতা মো. নাজমুল হকের (৫২) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (০১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নাজমুল হক উপজেলার জাফরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি জাফরপুর গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে। নাজমুল হক উপজেলার জাফরপুর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হক বুধবার সকাল ৮টার দিকে নিজ জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। এ সময় বিষধর সাপে তাকে কামড়ে দেয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মৃত্যু হয়।

    এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাপের কামড়ের পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • সাংবাদিক মনির মু-ক্তির দাবিতে বেনাপোলে মান-ববন্ধন ও অ-বস্থান কর্মসূচি পালন

    সাংবাদিক মনির মু-ক্তির দাবিতে বেনাপোলে মান-ববন্ধন ও অ-বস্থান কর্মসূচি পালন

    আজিজুল ইসমাম,
    ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আটক হওয়া দৈনিক দিনকাল ও দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি’র নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বেনাপোলে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
    বেনাপোল প্রেসক্লাবের সভাপতি মহসিন মিলন’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোরশেদ আলম।
    এতে অংশ নেন শার্শা, নাভারন, বাগআঁচড়া ও বেনাপোলে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। ব্যানার হাতে তারা সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবি জানান এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বানসহ শার্শা থানায় অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলিমের অবিলম্বে অপসারণ দাবি করেন।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মনি দীর্ঘদিন ধরে সৎ ও নির্ভীকভাবে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তার লেখনি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। পেশাগত ভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যেই একটি সাজানো মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। আর শার্শা থানার ওসি কোন তদন্ত ছাড়াই সাংবাদিক মনিকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিছেন। এসময় বক্তারা ওসির অপসারণের দাবি তুলেছেন।

  • শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে  শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান

    শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান

    শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিম্নে সম্পুর্ন তুলে ধরা হলো।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।

    আবহমানকাল ধরে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রতিটি গোষ্ঠী-গোত্র-সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে যার যার ধর্ম পালন করে আসছে, এটি বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য্য। শরতে বাংলাদেশের চারিদিকে কাশফুল ও শীতের আভাষ জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারের গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

    একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি মনে করি, উৎসবের ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ এবং ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সংশয়বাদী প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

    পবিত্র হাদিসেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে-
    “যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়”- এ ধরণের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) তাঁর উম্মতদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন- “কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।”

    ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে, এটিই স্বাভাবিক রীতি। উৎপীড়ণ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সঙ্গত।
    শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মতো কেউ যাতে কোনোরকম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো পরিস্থিতি কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো অপচেষ্টা করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ থাকার জন্য আমি দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানাই।

    দেশের হিন্দু সম্পদায়ের প্রতি আমার আহবান, আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন।

    আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে- ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।

    সবশেষে আমি এই আনন্দময় দূর্গাপুজার উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায় এবং ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আবারো আমার এবং আমাদের দল অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে শারদীয় দূর্গাপুজার শুভেচ্ছা জানাই।

    আমি এবারের শারদীয় দূর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।

  • বরেন্দ্রর পাঁচ ইউপিতে ভূগ-র্ভস্থ পানির স্ত-রে পানি নেই

    বরেন্দ্রর পাঁচ ইউপিতে ভূগ-র্ভস্থ পানির স্ত-রে পানি নেই

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরসহ প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের (ইউপি) ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে পানি পাওয়া যায়নি। ফলে পানি সংকটের কারণে গভীর নলকূপ বসানোও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। খাওয়ার পানির জন্য বাড়ি বাড়ি যে সাবমার্শিবল পাম্প বাসানো হচ্ছে, সেখান থেকে জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। অথচ এলাকা বিশেষে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে মানুষকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
    পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) গত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইড্রোলজিক্যাল মডেলিংয়ের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির অবস্থা জরিপ করেছে। ওয়ারপোর একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫০টি জায়গায় প্রায় দেড় হাজার ফুট গভীর পর্যন্ত ‘বোরিং’ করে জরিপ চালিয়েছে। তারা ওই সব এলাকার কোথাও কোথাও পানি ধারক স্তরেরই (অ্যাকুইফার) সন্ধান পায়নি। এলাকাগুলো হচ্ছে রাজশাহীর তানোর উপজেলা পাচন্দর ইউনিয়ন, মন্ডুমালা পৌর এলাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নওগাঁর পোরশার ছাওড় ইউনিয়ন ও সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়ন। সাধারণত দেড় থেকে ২০০ ফুটের মধ্যে অ্যাকুইফার পাওয়া যায়। কিন্তু এই ইউনিয়নগুলোতে, বিশেষ কয়েকটি জায়গায় তা পাওয়া যায়নি। আশপাশে ছোট ছোট পকেট অ্যাকুইফার রয়েছে। যে এলাকায় পকেট অ্যাকুইফারেও পানি নেই, সেখানকার মানুষকে দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
    এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো সময় এই পকেট অ্যাকুইফার শেষ হয়ে যেতে পারে। জরিপ শেষে ওয়ারপো এই এলাকাগুলোকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করলে পানি নীতি অনুযায়ী এসব জায়গায় পানি ব্যবহার করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে প্রথম খাওয়ার পানি অগ্রাধিকার পাবে।
    জানা গেছে,বিগত ১৯৮৫-৮৬ সাল থেকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে সেচকাজ করছে। এর ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
    এদিকে পানি সংকটের বিষয়ে বিএমডিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাসেম বলেন, বিএমডিএর একটা নাম হয়ে গেছে যে তারা শুধু ভূগর্ভস্থ পানি তোলে। আসলে এখন পল্লী বিদ্যুৎ থেকে সংযোগ নিয়ে কৃষকেরা বাড়ি বাড়ি খাওয়ার পানির জন্য সাবমারশিবল পাম্প বসাচ্ছে, সেই পাম্প থেকে ধানখেতে পানি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালের জুন থেকে তাঁরা গভীর নলকূপ বসানো একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন। কম পানিতে লাভজনক ফসল করার জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছেন।

  • পাবনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্র-ত্যাশী সাজ্জাদের বিভিন্ন পূজামন্ডপ প-রিদর্শন ও আ-র্থিক অনুদান প্রদান

    পাবনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্র-ত্যাশী সাজ্জাদের বিভিন্ন পূজামন্ডপ প-রিদর্শন ও আ-র্থিক অনুদান প্রদান

    এম এ আলিম রিপন,সুজনগরঃ পাবনা-২ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক,সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল হালিম সাজ্জাদ। তিনি পাবনা-২ নির্বাচনী এলাকা সুজানগর ও বেড়া উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপে গিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পূজা উদযাপনের সার্বিক খেঁাজখবর নেন।এ সময় আব্দুল হালিম সাজ্জাদ তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি পূজামন্ডপ পরিচালনা কমিটির নিকট আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্য ও সম্প্রীতি ছাড়া উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই সবাই মিলে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। বিএনপির কাছে সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা হিন্দু-মুসলিম সমান চোখে দেখি। আমরা চাই প্রত্যেক নাগরিক নিরাপদে, আনন্দঘন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করুক। শারদীয় দূর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে। তারা পূজামণ্ডপে এসে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করতে পারে জানিয়ে তিনি জানান এ জন্যসবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে কেউ কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু পূজা নয়, যেকোনো প্রয়োজনে আমি আপনাদের পাশে আছি। হিন্দু ভাই-বোনদের পাশে অতীতেও ছিলাম বর্তমানে আছি এবং আগামীতেও আপনাদের পাশে থাকব। পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এ সময় সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মজিবর রহমান খান, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মিয়া, পৌর বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দল বাতেন, হাটখালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান শিকদার লালু, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক বাবু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নবী মোল্লা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আলম মন্ডল,যুবনেতা আনোয়ার হোসেন আনাই ও আরিফ বিশ্বাস এবং এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদল নেতা শাকিল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।