Blog

  • বরগুনার খা-নাখন্দে ভরা তালতলী-আমতলী আ-ঞ্চলিক সড়ক

    বরগুনার খা-নাখন্দে ভরা তালতলী-আমতলী আ-ঞ্চলিক সড়ক

    মংচিন থান তালতলী বরগুনা প্রতিনিধি।।
    বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৪ কিলোমিটারে পিচঢালাই উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দের। বৃষ্টিতে পানি-কাদায় একাকার। দিন দিন এসব খানাখন্দ বড় আকার ধারণ করছে। এতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েছে দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।

    জানা যায়, বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর মানিকঝুড়ি থেকে শুরু করে তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটির অন্তত ২৪ কিলোমিটার জুড়ে অসংখ্য ডোবা ও বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। পাশাপাশি ‘শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত, নিদ্রারচর সমুদ্রসৈকত, সোনাকাটা ইকোপার্ক, এসব পর্যটন স্পটগুলোতে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। কিন্তু সড়কের বেহাল দশায় পর্যটকদের যাতায়াত কমেছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এছাড়াও তালতলী থেকে প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস, ট্রাক, মাহিন্দ্রাসহ অন্যান্য তিন চাকার যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহনে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার। কড়ইবাড়িয়া বাজার থেকে হরিণবাড়িয়া সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার। তালতলীর ব্রিজগাট সেতু থেকে ফকিরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার। এসব এলাকায় প্রতি একটু পর পর ছোট-বড় গর্ত, ইট-পাথর সুরকি উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। এখন বৃষ্টির কারণে কাদা-পানিতে বেহাল অবস্থা। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    তালতলী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাব্বি বলেন, ‘সড়কের বেহাল দশার কারণে আমাদের যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালে নির্ধারিত সময়ে আমরা পরীক্ষা কক্ষে উপস্থিত হতে পারি না। এতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।’

    অ্যাম্বুলেন্সে চালক মো. কাওছার মিয়া বলেন, ‘রাস্তা এমনই বেহাল যে, ঝাঁকুনিতে রোগী আরও অসুস্থ পড়ে। বড় বড় গর্ত বৃষ্টির কারণে চোখে পড়ে না। রাতের বেলা গাড়ি চালাতে ভয় লাগে। তাই দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানাই।

    তালতলী ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু-বকর সিদ্দিক বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিভিন্ন বাজারে পরিবেশন করতে বিলম্ব হচ্ছে একই পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

    এ বিষয়ে বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমতলী-তালতলী সড়কটির যে অংশে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তা জরুরি মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা শীঘ্রই ট্রেন্ডার প্রক্রিয়ায় চলে যাব। ২-৩ সপ্তাহের ভিতরে সংস্কার কাজ শুরু হবে‌। সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    মংচিন থান
    তালতলী প্রতিনিধি।

  • জরুরি বিভাগে ডাক্তার অ-নুপস্থিত, সেলাই করলেন ও-য়ার্ড বয়

    জরুরি বিভাগে ডাক্তার অ-নুপস্থিত, সেলাই করলেন ও-য়ার্ড বয়

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার চরম অব্যবস্থাপনা প্রকাশ পেয়েছে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না পেয়ে রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এমনকি গুরুতর আহত এক শিশুর হাতে সেলাই দিয়েছেন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়!

    ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে। আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের জুগিকাটা গ্রামের ফরহাদ হোসেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের লতাপাড়া গ্রামে। এসময় তার ছেলে মেহেদি হাসান খেলতে গিয়ে কার্তি দিয়ে হাত কেটে ফেলেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক না থাকায় কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয় শহিদুল ইসলাম শিশুর আঙুলে দুইটি সেলাই দেন। প্রায় বিশ মিনিট পর স্বজনদের অভিযোগে সিভিল সার্জনকে জানানো হলে তড়িঘড়ি করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি হাসপাতালে পৌঁছান।

    এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনরা।
    কালিবাড়ি এলাকার রোগী রঞ্জন বলেন, “গলা ব্যথা নিয়ে জরুরি বিভাগে এসেছি। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার পেলাম না। জরুরি বিভাগে যদি চিকিৎসকই না থাকেন, তবে এখানে এসে লাভ কী?”

    অন্যদিকে সানজানা ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু ৪০ মিনিট অপেক্ষার পরও কোনো চিকিৎসক পাননি। মমতা নামে আরেক রোগী বলেন, “২০ মিনিট ধরে বসে আছি। ডাক্তার নেই। রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে একের পর এক ফিরে যাচ্ছে। এটা কেমন স্বাস্থ্যসেবা?”

    অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি বলেন, “আমরা সেবা দিচ্ছি না তা নয়। আমার ছোট বাচ্চা থাকায় আধা ঘণ্টা দেরি হতে পারে। সাধারণত জরুরি রোগী এলে আমাকে জানানো হয়। কিন্তু সেদিন আমাকে কেউ ইনফর্ম করেনি।”

    এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবীর বলেন, “জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত ছিল—এটা আমার জানা নেই। কোন চিকিৎসক ডিউটিতে ছিলেন তা খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। তবে ২৪ ঘণ্টা ডাক্তার থাকার কথা।”

  • শার্শার সেতাই গ্রামে বিদ্যুৎের টানা লাইনে প্রান গেলো কিশোরের, ময়-না তদ-ন্ত ছাড়াই লা-শ দা-ফন

    শার্শার সেতাই গ্রামে বিদ্যুৎের টানা লাইনে প্রান গেলো কিশোরের, ময়-না তদ-ন্ত ছাড়াই লা-শ দা-ফন

    আজিজুল ইসলাম : যশোরের শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামে বিদ্যুৎের টানা লাইনে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রাসেল হোসেন (১৪) নামে এক কিশোর প্রান হারিয়েছে। মৃত রাসেল সেতাই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতাই গ্রামের যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান টুটুল ফকির তার বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দুরে তারই আমবাগানের ভিতর দিয়ে মাছের ঘেরে টানা লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়। সে দীর্ঘদিন ধরে টানা লাইনে বিদ্যুৎ চালালেও বিদ্যুৎ কর্মীরা আজ অবদী কোনো পদক্ষেপ নেন নি। কামরুজ্জামান টুটুল তার আমবাগান একই গ্রামের জালাল শেখের কাছে লিজ দেন। জালাল শেখ গত বৃহস্পতিবার বিকালে গাছের শুকনো ডাল গুলি কেটে এলাকার গৃহ শিক্ষক ইয়ার আলীর ছেলে জুয়েল রানার কাছে বিক্রী করে দেন। গাছের শুকনো ডাল কাটার সময় বিদ্যুৎের টানা লাইনের তার কেটে বাগানের ভেতর পড়ে থাকে।

    গত শুক্রবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় সেতাই গ্রামের নুর মুহাম্মাদের ছেলে শিহাব উদ্দিন (১৪) ফারুক হোসেনের ছেলে ইজতেহাদ আহমেদ (১৪), সাহেব আলীর ছেলে নুরনবী (১৪) ও আনারুল ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন (১৪) জুয়েল রানার বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে জুয়েল রানা ঐদিন সকাল ১০ টার দিকে তাদের সকলকে টুটুলের আমবাগান থেকে জ্বালানি কাঠ আনতে পাঠায়। তারা বাগান থেকে কাঠগুলো সংগ্রহ করার সময় বিদ্যুৎের কাটা তার রাসেলের পায়ে জড়িয়ে গেলে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় কিশোররা ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এবং একঘন্টা পর বাগান থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। অনেক দেন দরবারের পর সন্ধ্যার দিকে হতভাগা রাসেলের লাশ দাফন করা হয়। ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং সেখান থেকে অবৈধ সংযোগ নেয়া বিদ্যুৎের তার দ্রুত অপসারণ করেন। তবে অনুরূপ আরেকটি বিদ্যুৎ সংযোগ টুটুলের অন্য আরেকটি ঘেরে এখনো চলমান আছে অথচ এখনো উক্ত লাইনটির বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
    স্থানীয়রা জানিয়েছেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাসেলের বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার ঘটনাটি যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান টুটুল স্থানীয়দের মাধ্যমে মিমাংসা করে নিয়েছেন।

    শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানিয়েছেন এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

  • নলছিটিতে ছাত্রদল ও যুবদলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অ-নুষ্ঠিত

    নলছিটিতে ছাত্রদল ও যুবদলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অ-নুষ্ঠিত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটিতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন পৌর যুবদল ও উপজেলা ছাত্রদলের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নলছিটি চায়না মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় ২-১ গোলে পৌর যুবদলকে উপজেলা ছাত্রদল পরাজিত করে।

    এসময় দলীয় নেতাকর্মীসহ উৎসুক দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) এর ফ-ল প্র-কাশ

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) এর ফ-ল প্র-কাশ

    হেলাল শেখঃ সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) এর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে ফল প্রকাশ ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার।

    শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং সন্ধ্যায় জাকসু নির্বাচনের এ ফল ঘোষণা করা হয়। ১/ভিপি- আব্দুর রশিদ জিতু (স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেল) ২/ জিএস- মো: মাজহারুল ইসলাম (ছাত্রশিবির প্যানেল) ৩/এজিএস (পুরুষ)- ফেরদৌস আল হাসান (ছাত্রশিবির প্যানেল) ৪/এজিএস (নারী)-আয়েশা সিদ্দীকা মেঘলা (ছাত্রশিবির প্যানেল)।

    ৫/শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক- আবু ওবায়দা ওসামা (ছাত্রশিবির প্যানেল)৬/পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক- মো. শাফায়েত মীর (ছাত্রশিবির প্যানেল) ৭/সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মো. জাহিদুল ইসলাম (ছাত্রশিবির প্যানেল) ৮/সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র) / আলী জাকি শাহরিয়ার (ছাত্রশিবির প্যানেল) ৯/সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক-মো: রায়হান উদ্দীন (ছাত্রশিবির প্যানেল)
    ১০/নাট্য সম্পাদক- মো রুহুল ইসলাম (ছাত্রশিবির প্যানেল)
    ১১/ক্রীড়া সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র) ১২/সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী)- ফারহানা আক্তার লুবনা (ছাত্রশিবির প্যানেল) ১৩/সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ)- মো. মাহাদী হাসান (ছাত্রশিবির প্যানেল) ১৪/তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক- মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (ছাত্রশিবির প্যানেল) ১৫/সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক-আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস)
    ১৬/সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী)- নিগার সুলতানা (ছাত্রশিবির প্যানেল) ১৭/সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ)- মো. তৌহিদ হাসান (ঠাত্রশিবির প্যানেল)
    ১৮/স্বাস্হ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক- হুসনী মোবারক (ছাত্রশিবির প্যানেল)
    ১৯/ পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক- মো. তানভীর রহমান (ছাত্রশিবির প্যানেল)

    ২০/কার্যকরী সদস্য—
    পুরুষ-১: মো. তরিকুল ইসলাম (ছাত্রশিবির প্যানেল)
    পুরুষ-২: মো. আবু তালহা (ছাত্রশিবির প্যানেল)
    পুরুষ-৩: মো. মহসিন (ছাত্রশিবির প্যানেল)

    নারী-১: নাবিলা বিনতে হারুণ (ছাত্রশিবির প্যানেল)
    নারী-২: ফাবলিহা জাহান (ছাত্রশিবির প্যানেল)
    নারী-৩: নুসরাত জাহান ইমা (ছাত্রশিবির প্যানেল)। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনা, যেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভোট গ্রহণ করে তা গণনা শেষ হওয়ার কথা সেখানে সে সময় অতিবাহিত হয়ে আরও ৩৬ ঘন্টা পার করে ফল ঘোষণা করা হলো।

  • রাকসু নির্বাচনে ছাত্র শিবিরের প্যানেল ঘো-ষণা

    রাকসু নির্বাচনে ছাত্র শিবিরের প্যানেল ঘো-ষণা

    হেলাল শেখঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন রাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির “সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট” নামে প্যানেল ঘোষণা করেছেন।

    ভিপি: মোস্তাকুর রহমান জাহিদ (সভাপতি, রাবি শিবির)
    জিএস: ফাহিম রেজা, এজিএস: সালমান সাব্বির।

    একটি কথা প্রচলিত আছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি, শিবিরের ঘাঁটি। এই ক্যাম্পাসে অনেক ভাই শাহাদাত বরণ করেছেন। তাদের তরতাজা রক্তের দামে আজ ফাগুনের এই দিন এসেছে, ছাত্র শিবির কর্মীরা জানান তারা বিজয়ী হবেন বলে শতভাগ আশাবাদী।

  • পুঠিয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অ-বৈধ কারেন্ট জাল ও চাইনা জাল  জ-ব্দ ও ধ্বং-স 

    পুঠিয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অ-বৈধ কারেন্ট জাল ও চাইনা জাল  জ-ব্দ ও ধ্বং-স 

    পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট  জাল জব্দ ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। শনিবার ১৩ (সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), শিবু দাস।চায়না দুয়ারী জাল ও কারেন্ট জাল ব্যবহারের ফলে মৎস্য প্রজাতি এবং জলজ জীববৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জালে আটকা পড়া বিভিন্ন মাছের পোনা ও অন্যান্য জলজ প্রাণীগুলো বিল ও খালে অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া যত্রতত্র এই জাল স্থাপনের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে, যার ফলে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আটককৃত জালগুলো পরবর্তীতে ধ্বংস করা হয়।পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবুদাস জানান, চায়না দুয়ারী জাল ও কারেন্ট জাল  ব্যবহারের ফলে মৎস্য প্রজাতির ও জলজ জীববৈচিত্রের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমাদের এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা  এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। #

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 
    পুঠিয়া রাজশাহী।

  • চরতারাপুরে কুতুব উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল  টুর্নামেন্টের উ-দ্বোধন

    চরতারাপুরে কুতুব উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উ-দ্বোধন

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের কোলচরি গ্রামে কুতুব উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। সততা স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে কোলচরী ডাক্তারপাড়া ফুটবল মাঠে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় এ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও অত্র এলাকার কৃতি সন্তান অ্যাডভোকেট আরশেদ আলম।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তঁাতীবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রউফ, চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রহমত আলী শেখ, সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম মোল্লা, সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক এটিএম শামসুজ্জামান ডন, সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক সাহাব উদ্দিন, সমাজ সেবক আব্দুল খালেক, বাকি প্রামানিক,টেনু,জালাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা শেখ কাউছার, নাজমুল বিশ্বাস, সৈকত হাসান ফিরোজ, হৃদয় হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন,সজল সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তারুণ্যই একটি জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি। খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে মাদক, অবক্ষয় ও বিপথগামিতা থেকে দূরে রেখে একটি ইতিবাচক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলাকে মাঠে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ ও জনপ্রিয়তা বাড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকেরা। উদ্বোধনী খেলাটি পরিচালনা করেন দেলোয়ার হোসেন। সহকারী রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন আনিছুর রহমান ও আমিরুল ইসলাম। ধারা বর্ণনায় ছিলেন পিন্টু। উল্লেখ্য সুজানগর পৌর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মৌসুমী বস্ত্র বিতানের কর্ণধার চরতারাপুর ইউনিয়নের কোলচরী গ্রামের কৃতি সন্তান কতুব উদ্দিন গত ২০২১ সালের ৫ ফেব্রয়ারী ইন্তেকাল করেন। আর তার স্মরণেই এ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)

  • পাইকগাছায় সড়কের বেহা-ল দ-শা অ-ন্ধ সংশ্লিষ্টরা

    পাইকগাছায় সড়কের বেহা-ল দ-শা অ-ন্ধ সংশ্লিষ্টরা

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি

    # দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় পাইকগাছা সড়কে চলাচলের চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ।

    • যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে যাতায়াতের চরম ভোগান্তিতে শিকার

    • রাস্তার করুন দশার কারণে এলাকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত

    • জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াত করতে না পারায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে

    খুলনার পাইকগাছা-কয়রার সড়কের বেহাল দশায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকায় রয়েছেন। এ সড়ক নিয়ে কারোর যেনো কোন মাথাব্যথা নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন অন্ধের শহরে বাস করছেন। আর কত বছর অতিবাহিত হলে এই সড়কের কাজ সংস্কারের উদ্যোগ নিবেন কতৃপক্ষ! সেটাও রয়ে গেছে অজানা।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ১৮ মাইল থেকে খুলনার পাইকগাছা-কয়রার প্রায় ৬০ কিলো মিটার দীর্ঘ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ধীরগতি। বিগত সরকারের আমলে ২০২০ সালে একনেকে প্রকল্পটি প্রথম অনুমোদন হয় ৩’শ ৩৯ কোটি টাকা।পরবর্তীতে সেটা তিন‌ দফায় সময় ও ব্যায় বাড়িয়ে ৫’শ ৩৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এই প্রকল্পটি চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। একটা সময় উক্ত প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জটিলতা ও মামলা মোকদ্দমায় কাজটি দীর্ঘ একটি সময় বন্ধ থাকে। সাতক্ষীরার তালার ১৮ মাইল থেকে খুলনার পাইকগাছা-কয়রা পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলের পথ ঝুঁকিমুক্ত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাঁক সরলীকরণ ও সড়ক প্রসস্ত করতে এ প্রকল্পটি পেয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু কাজ শেষ না করে ফেলে রেখেছে দীর্ঘ একটি সময়।ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

    সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, খুলনার পাইকগাছা-কয়রা’র সংশ্লিষ্ট প্রধান সড়কের পৌর সদরের ব্যাস্ততম জিরো পয়েন্ট, নতুন বাজার, আগড়ঘাটা, গোলাবাড়ী, মুচির মোড় (পুকুর) এবং কপিলমুনি হাসপাতাল সংলগ্ন প্রাধান সড়কের বেহাল দশা। এসব এলাকায় ২ থেকে ৩’শ মিটার সড়কের কাজ ফেলে রেখেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে, যেখানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ছোট বড় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মালবাহী ট্রাক সহ অন্যান্য যানবাহন খাদে আটকে যায়।সংশ্লিষ্ট খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা রুটের একটি মাত্র রাস্তা হওয়ায় প্রতিদিন শতশত যান চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে এ সড়ক দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। উপজেলার মুচির পুকুর নামক স্থানে প্রতিদিন ভারী যানবাহন গর্তে আটকে পড়ে। এছাড়াও গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার জিরো পয়েন্টের পাইকগাছা-কয়রা রুটে একটি মালবাহী ট্রাক গর্তে পড়ে আঁটকে যায়। ট্রাকটি ২৭ ঘন্টার মাথায় সেখান থেকে উঠানো হয়। এসব ছোট বড় খানা খন্দে পানি জমে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালি আর বৃষ্টির মৌসুমে কাঁদা পানিতে চলাচলের চরম ভোগান্তিতে তিন উপজেলাবাসী।

    পথযাত্রী রিয়াদ হোসেন জানান, তিনি খুলনা জেলা জজ আদালতে (কোর্টে) একটা কাজে যাচ্ছেন কিন্তু তিনি তার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে সংশয় আছে। তিনি আরো জানান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে না পারলে তিনি কাজ মিটাতে পারবেন না। ওই কাজের জন্য পুনরায় যাওয়া লাগবে।

    স্থানীয় বাসমালিক শুভ সাধু বলেন, প্রতিদিন খুলনা পাইকগাছা ও কয়রা রুটে বাস ট্রাক পরিবহন সহ তিন শতাধিকের বেশি যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়াতে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। প্রায় গেলে বাসের ক্ষয়ক্ষতি হয়, এতে করে বাস ট্রাকের মালিক পক্ষের ব্যাপকভাবে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন আগে একটি বাস পাইকগাছা থেকে খুলনায় যেতে সময় লাগতো দেড় ঘণ্টা আর এখন সময় লাগে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা। ফলে জ্বালানী খরচ তিন গুণ বেড়ে গেছে।

    বাস শ্রমিকরা অভিযোগ করেন এই রুটে যানবাহন চলাচলে মালিক পক্ষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আয়ের থেকে ব্যায় বেশি এতে করে মালিক পক্ষের ব্যবসা বাঁচবে না। তারা আরো বলেন এই সড়কে খানা খন্দের কারনে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। প্রতিদিন রাস্তার যানবাহন খাদে আটকে যায় এমন ঘটনা অহরহ অহরহ ঘটছে। এতে করে সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ভাঙ্গা চোরা রাস্তায় বাস ট্রাক নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়না। অনেক সময় যানবাহন উল্টে পড়ে।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের রাস্তায় বের হতে হয়। এটা নিয়ে কয়েক দফায় খুলনা পাইকগাছা ও কয়রা রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো সমাধান হয়নি বিষয়টি নিয়ে যেনো কতৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।

    স্থানীয় সচেতন মহল বলেছেন, একটি জেলা বা উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হলে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি ভাবে এই দুটি উপজেলায় অর্থনৈতিক ভাবে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কয়রা থেকে খুলনা জেলা শহর ১’শ‌ কিলোমিটার, কয়রা থেকে জেলা শহরে যেতে বর্তমানে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগে। এবং পাইকগাছা থেকে জেলা শহর ৬০ কিলোমিটার যেতে সময় লাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টা। এমন ১’শ কিলোমিটার পথে যেতে এত সময় লাগে যেটা পৃথিবীর কোনো দেশে আছে কেমন সেটাও তাদের জানার বাইরে। সচেতন মহল আরও বলেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বসে মাসের পর মাস মোটা অংকের বেতন উঠিয়ে খাচ্ছে কিন্তু উন্নয়নের দিকে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই বললে চলে।

    নাগরিক ফোরামের পাইকগাছা-কয়রা’র প্রধান সমন্বয়ক ও খুলনা-৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আমরা নাগরিক ফোরাম এর পক্ষ থেকে গত বছর ২০২৪ সালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন এর কাছে একটি স্বারকলিপি প্রদান করি। কিন্তু স্বারকলিপি তিনি তার কতৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন কিনা সেটা এখনো অনিশ্চিত। এছাড়াও এ পর্যন্ত বহুবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই সড়ক সংস্কারের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সুফল মেলেনি।দিন দিন যেনো ভোগান্তি বেড়ে চলেছে।। তিনি আরও বলেন একমাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে জনগণ এক মাস পরে হরতাল অবরোধ ও কঠিন কর্মসূচিতে যাবে। শনিবার সকালে জিরো পয়েন্টে মানববন্ধনে এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনগণের এই দুর্ভোগ লাঘবে কোনো পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।

    • যান চলাচল বন্ধের উপক্রম

    • যাত্রীদের দুর্ভোগ

    • গর্তে আটকে যাওয়া যানবাহ

    • জনগণের প্রত্যাশা

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, বাঁক সরলীকরণ ও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা থাকার কারণে কাজ আটকে ছিলো। তাছাড়া এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবহিত করা হয়েছে। আশা করি বিষয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।

    উক্ত বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ, সড়ক বিভাগ, খুলনার মো. তানিমুল হক, জানান, বাঁক সরলীকরণের জন্য এই সড়কে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল তার কারণ জমি অধিগ্রহণের জটিলতা ছিল। আমরা জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে গেলে তিনি বলছিলেন সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ না বিধায় ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। পরে আমরা প্রায় একদুই বছর ধরে বুঝতে সক্ষম হয় যে এই সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ তখন তিনি স্টিমেট দিছেন। এখন আমরা চেষ্টা করবো। অন্যান্য জায়গার কাজ শেষ। যেখানে ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা ছিল সেখানে কাজ বাকি আছে।

    সাতক্ষীরার তালা থেকে খুলনার পাইকগাছা হয়ে কয়রার বেতগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ষাট কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে চরম ধীরগতি দেখা দিয়েছে। পাঁচশো পঁয়ত্রিশ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজের সময় তিন দফায় বাড়ানো হলেও এখনো অর্ধেক কাজ শেষ হয়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার সময়সীমা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পারবেন কিনা সেটা রয়েছে অজানা।

    প্রেরক,
    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা

  • নেছারাবাদে রুপান্তরের শিক্ষণ ও অ-ভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অ-নুষ্ঠিত

    নেছারাবাদে রুপান্তরের শিক্ষণ ও অ-ভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অ-নুষ্ঠিত

    আনোয়ার হোসেন,
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

    নেছারাবাদে রুপান্তরের শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকলে তৃনা কমিউনি সেন্টারে রূপান্তরের আয়োজনে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

    ইয়থ ফর সেইফ সুন্দরবন এর নেছারাবাদ উপজেলা শাখার আহবায়ক সূবর্না আক্তার এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, স্বরূপকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম, নেছারাবাদ উপজেলা বন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন, উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার নিপু, সমাজ সেবক আবুল কালাম আজাদ, আরামকাঠি হাজি ইব্রাহীম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈনুল ইসলাম, সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমাম শিকদার, সুন্দরবন জার্নালিজম ফোরামের নেছারাবাদ উপজেলা আহবায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সমাজ সেবক নিলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ।

    মোঃ হারিসুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ট্যুরিষ্ট গাইড মো. রফিকুল ইসলাম, ইয়থ ফর সেইফ সুন্দরবন এর নেছারাবাদ উপজেলা শাখার সদস্যরা। এ সময় শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনজিও, সমজাকর্মী, মৎস্য জীবিত,বনজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন। এবং অনুষ্ঠিতটি সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন পিরোজপুর জেলা পোজেক্ট অফিসার সাহিদা বানু সোনিয়া।

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।