Blog

  • নড়াইল-যশোর মহাসড়কে বাঁ-শবোঝাই ট্রাকে বাসের ধা-ক্কা, প্রা-ণ গেল পুলিশের এসআইসহ তিন জনের

    নড়াইল-যশোর মহাসড়কে বাঁ-শবোঝাই ট্রাকে বাসের ধা-ক্কা, প্রা-ণ গেল পুলিশের এসআইসহ তিন জনের

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইল-যশোর মহাসড়কে বাঁশবোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল পুলিশের এসআইসহ তিন জনের ইনসেটে উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিক্কন আঢ্য।
    স্বাক্ষী দিয়ে ফেরার পথে নড়াইল-যশোর মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশবোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় নিক্কন আঢ্য (৩৫) নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও নিহত হয়েছেন আরও দুই বাস যাত্রী।
    রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে যশোরের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    তুলারামপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    নিহতরা হলেন— নড়াইলের লোহাগড়া থানাধীন লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) ও যশোরের বাঘারপাড়া পুকুরিয়া গ্রামের নিশিকান্ত আঢ্যের ছেলে নিক্কন আঢ্য, যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকার আহমদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন এবং যশোর শহরতলীর ভেকুটিয়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আবু জাফর।
    তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল যশোর মহাসড়কের যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের গ্লাস ভেঙে বাঁশের অগ্রভাগ ঢুকে পড়ে বাসের মধ্যে। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা বাসযাত্রী আক্তার হোসেনকে ঘটনাস্থলেই মৃত অবস্থায় পান।
    অপরদিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোরের আরেক যাত্রী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান উদ্ধারকারীরা। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়, কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পথেই নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকেও মৃত ঘোষণা করেন।
    এদিকে, পুলিশ কর্মকর্তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর- ই আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আশরাফুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সদর হাসপাতালে ছুটে যান।
    তুলারামপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশবোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি’র ২য় ধাপের মৌলিক প্র-শিক্ষণ শু-রু

    বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি’র ২য় ধাপের মৌলিক প্র-শিক্ষণ শু-রু

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা:

    ঢাকা: দেশব্যাপী আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে শুরু হয়েছে উপজেলা ও থানা আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ-২য় ধাপের কার্যক্রম। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে একযোগে ৬৪টি জেলা ও ঢাকা মহানগরীর ৪টি জোনে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ধাপে মোট ৭,৯৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো উপজেলা ও থানা পর্যায়ের আনসার বাহিনীকে আরও সুসংগঠিত করা এবং দেশরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করা। বিশেষ করে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা ও যেকোনো প্রয়োজনে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আনসার সদস্যদের প্রস্তুত করা হচ্ছে।প্রশিক্ষণে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার সদস্যদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো স্পষ্ট ভাবে শেখানো হচ্ছে, যাতে তারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এছাড়াও, তরুণ প্রজন্মকে নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে সুশৃঙ্খল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এই প্রশিক্ষণের অন্যতম উদ্দেশ্য। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণার্থীরা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ছাড়াও অতিথি বক্তাদের মূল্যবান দিক নির্দেশনা মূলক সেশনে অংশ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণের দৈনন্দিন কার্যক্রমে পিটি, প্যারেড, ড্রিল, ক্লাস, অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও ফায়ারিংসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত আছে। উল্লেখ্য, দেশ ব্যাপী মোট ৮টি ধাপে মোট ৫২,১৮৩ জন প্রশিক্ষণার্থীকে পর্যায়ক্রমে এই মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

  • মুরাদনগরে ১ ছাগল চু-রি করে ধ-রা খেলো  ৬ জন, জনতার গ-ণপিটুনি দিয়ে পাঠালো শ্রী-ঘরে 

    মুরাদনগরে ১ ছাগল চু-রি করে ধ-রা খেলো  ৬ জন, জনতার গ-ণপিটুনি দিয়ে পাঠালো শ্রী-ঘরে 

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন, 

    কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায়  ছাগল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ালো চোর চক্রের ৬ জন সদস্য।

    আর জনতা চোর চক্রকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে  সোপর্দ করেছে।

    গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে মুরাদনগরের বাঙ্গরায় আলোচনার ঝড় বইছে।

    আটককৃতরা হলেন, নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে পারভেজ (২২), একই গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে সাইদুল (২৩), শিশু মিয়ার ছেলে তামিম (২৩), বাদশা মিয়ার ছেলে ইসমাইল (২৫), শহিদ মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক (২৫) ও গুঞ্জর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২২)।

    স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দিঘীরপাড় গ্রামের জয়নাল হোসেনের মেয়ে নয় বছর বয়সী জাকিয়া সুলতানা নিজেদের দুইটি কালো রঙের পালিত ছাগল নিয়ে দিঘীরপাড় নুরুন্নেসা হাফিজিয়া মাদ্রাসার রাস্তার পাশে ঘাস খাওয়াচ্ছিল। 

    এ সময় একটি সিএনজিতে করে এসে চোর চক্রের ৬জন সদস্য জাকিয়া সুলতানা কে কৌশলে পানি আনতে মাদ্রাসার ভেতরে পাঠায়। মাদ্রাসা থেকে পানি এনে জাকিয়া সুলতানা দেখে তার একটি কালো রঙের ছাগল চুরি হয়ে গেছে। ছাগল হারিয়ে জাকিয়া সুলতানা কান্নাকাটি ও চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কলাবাগান মোরে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে একটি সিএনজি সহ চোর চক্রের ৬ জন সদস্য কে আটক করে এলাবাসী।

    এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আটক করে এবং ছাগল ও চুরিতে ব্যবহৃত সিএনজি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

    এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী জয়নাল হোসেন বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা করেছেন।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, আটককৃত ৬ জন চোরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • ময়মনসিংহ মহিলা মানবিক স্কুল এন্ড কলেজে নবীন বরণ উৎসব অ-নুষ্ঠিত 

    ময়মনসিংহ মহিলা মানবিক স্কুল এন্ড কলেজে নবীন বরণ উৎসব অ-নুষ্ঠিত 

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।

    সদ্য ভর্তি হওয়া ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাই, পাঁচ রাস্তার মোড় এলাকায় অবস্থিত “ময়মনসিংহ মানবিক স্কুল এন্ড কলেজ” ক্যাম্পাস। 

    সোমবার (১৫সেপ্টম্বর) স্ব স্ব বিভাগ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানাতে ছিলো নানা আয়োজন। এদিন সকাল ১১টা থেকে কলেজে প্রাঙ্গণে  এই নবীনবরণ আয়োজিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষানুরাগী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আমির ও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল  নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন এবং শিক্ষা, নৈতিকতা ও আদর্শ জীবন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।তিনি বলেন-আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যাত্ এবং দেশ গড়ার কারিগর। তিনি বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে তারা হবে দেশের সম্পদ। স্বশিক্ষিত ও প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষিতরাই সম্পদ সৃষ্টি করে। শিক্ষা, নৈতিকতা ও আদর্শ জীবন গঠন করতে পারলে নিজেকে একজন শ্রেষ্ঠ মানব হিসাবে গড়া সম্ভব। একজন আদর্শ মানবের দ্বারাই সম্ভব দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।  আয়তনে ছোটো হলেও আমাদের দেশ  উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে উন্নত দেশ গড়তে হলে সবাইকে দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সহযোগিতা করতে হবে। 

    নবীণ বরণে উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে নবীনদের স্বাগতম জানানোর দিনে নবীন শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছেন কলেজ ঘিরে তাদের নতুন অভিজ্ঞতার কথা। শিক্ষার্থীদের অনেকে জানায়, পছন্দের কলেজ এবং বিষয় পেয়ে অনেক আনন্দিত তারা। চুড়খাই এর সবুজ এই ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যে তারা বিমোহিত।  

    কলেজটিতে ভর্তি হওয়া ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের নবীন কয়েকজন  শিক্ষার্থীরা জানান, ময়মনসিংহ মানবিক স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত। শিক্ষার্থীরা জানান- আজকে আমাদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। এজন্য ১১ টায় সময় দেয়া হলেও আমি আরো আগেই চলে আসছিলাম। এখানে স্যারেরা এবং আমাদের সিনিয়ররা আমাদেরকে খুবই আন্তরিকভাবে আমাদেরকে বরণ করে নিয়েছেন এবং অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেছেন যা আমাদের পরবর্তী জীবনে চলার পথে পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।

    মানবিক বিভাগের নবীন এক শিক্ষার্থী  জানান, আমার প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিল নিজেকে পাবলিকিয়ান পরিচয় দেয়ার। অনেক চেষ্টা করেও যখন কোন জায়গায় চান্স হচ্ছিল না তখন অনেক চেয়েছিলাম 

    ময়মনসিংহ মানবিক স্কুল এন্ড কলেজে চান্স পাওয়ার। আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন একজন মানবিক কলেজ স্টুডেন্ট । এত সুন্দর ক্যাম্পাস আর সিনিয়রদের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত।

    আরেকজন শিক্ষার্থী জানান-কলেজটিতে ভর্তি হতে পেরে ভালো লাগছে, সিনিয়ররা খুবই আন্তরিক। তারা আমাদের নবীন বরণের আয়োজন অনেক সুন্দর করে করেছে, কলেজের  পরিবেশও ভালে লাগছে। আশাকরি কলেজ জীবন ভালো করে কাটাতে পারবো। 

    নবীনবরণে কলেজের অধ্যক্ষ ফারজানা নাসরিন বলেন, এবছর কলেজটিতে প্রায় ৫০ জন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে  আমরা এইবার ভালোমানের শিক্ষার্থী পেয়েছি এবং আমরা পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আজকে ক্লাস শুরু করতে পেরেছি এইজন্য আলহামদুলিল্লাহ। আমরা চাই নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে র‍্যাগিংয়ের শিকার না হয়। তারা যেন নির্বিঘ্নে ক্যাম্পাসে চলা ফেরা করতে পারে এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারে। 

    অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ – শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও, বিগত বছরের পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

    কলেজটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের আয়োজনে শিক্ষার্থীরা যেমন অনুপ্রাণিত হয়, তেমনি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে

  • ময়মনসিংহ সদরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিত-রণ

    ময়মনসিংহ সদরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিত-রণ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহ সদরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে খরিপ-২ মাসকালাই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

    সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব বীজ ও সার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জুবায়রা বেগম সাথী, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজ , কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সহ অন্যান্যরা।

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে মোট ৮০জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে ৫ কেজি মাসকালাই ডালের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জুবায়রা বেগম সাথী জানান-উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে আসছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের এমন মহতী কার্যক্রমে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের সাফল্য দিকে অগ্রসিত হচ্ছে।

    উপজেলা কৃষি অফিসার আরও জানান, এবারের মৌসুমে মোট ৮০জন কৃষক এই সুবিধার আওতায় আসবেন। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমাতে সরকার এ ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। প্রণোদনার এ উদ্যোগ কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে এবং এই মৌসুমে সঠিকভাবে চাষাবাদে উৎসাহ জোগাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত কৃষকরা।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, সরকার কৃষক সমাজের উন্নয়নে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করার মাধ্যমে কৃষকের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে সরকারের সিদ্ধান্তমোতাবেক উপজেলা প্রশাসন সবসময় সদর উপজেলাবাসীর পাশে থাকবে।

  • পুঠিয়ায় ভ্রাম্য-মাণ অ-ভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে জ-রিমানা 

    পুঠিয়ায় ভ্রাম্য-মাণ অ-ভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে জ-রিমানা 

    পুঠিয়া( রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা, মূল্য তালিকা না থাকা এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারনে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে । বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে উপজেলার ধোপাপাড়া বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক, বিপুল বিশ্বাস। অভিযানকালে ফার্মেসি, সার-কীটনাশক ও মুদি দোকানগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা, মূল্য তালিকা না থাকা এবং বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। এইসব অপরাধের দায়ে তিন জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মোট ২২,০০০/- টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। উক্ত অভিযানে প্রশিকিউশনে ছিলেন  উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, মোঃ হাফিজ ও রাজশাহী জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সরকারি পরিচালক বিপুল বিশ্বাস বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 
    পুঠিয়া রাজশাহী 

  • অ-বৈধ এলপিজি ক্রস ফিলিং ব-ন্ধ করণ আলোচনা সভা

    অ-বৈধ এলপিজি ক্রস ফিলিং ব-ন্ধ করণ আলোচনা সভা

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন,

    অবৈধ এলপিজি ক্রস ফিলিং বন্ধ করণ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বার্ডে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্য রাখেন মেঘনা ফ্রেশ এলপিজি লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার আবু সাঈদ রাজা,অরিয়ন এলপিজি সিও অনুপ কুমার সেন, ইউরো গ্যাস কোম্পানির সিও মীর তারিকুল ইসলাম ,বিএম এলপিজির জি এম অলক কুমার পন্ডিত,ওমেরা গ্যাস হেড অফ সেলস মো:রুকনুজ্জামান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো:কাউসার মিয়া।

    সঠিক সিলিন্ডার ব‌্যবহার করুন দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলুন শ্লোগানে আলোচনা সভায় কুমিল্লা এল,পি,জি ডিস্ট্রিবিউটর এসোসিয়েশন সভাপতি মোঃ আমানত উল্লাহ সভাপতিত্ব করেন।

    আরো বক্তব‌্য রাখেন- জি গ্যাস সিবিও মাহবুবুল ইসলাম, ইউনিটেক্স সি ম্যানেজার সিফাত মঞ্জুর, বেক্সিমকো এন এস এম আবু বকর সিদ্দিক, ফ্রেশ এজিএম রফিকুল ইসলাম, ফ্রেশ এলপিজি ফ্রেশ এলপিজি মুকিত ইবনে সিদ্দিকী সি ম্যানেজার।
    জেলা এল,পি,জি ডিস্ট্রিবিউটর এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মনি মুক্তা পাল এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রজেক্টরে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ফ্রেস এলপি গ‌্যাসের ডিপুটি ম্যানেজার ও আহবায়ক এলপিজি লিডার্স কুমিল্লা বিভাগ (লোয়াব)হোসাইন মারুফ।

    এসময় বক্তারা বলেন- জেলার বিভিন্ন স্থানে অটোগ‌্যাস ফিলিং স্টেশন থেকে প্রায় সকল কোম্পানির সিলিন্ডিারে অবৈধভাবে গ‌্যাস রিফিল করতেছে।সিল্ডিারের মেয়াদ ও ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই গ‌্যাস রিফিলের কারণে বহু দূর্ঘটনা ঘটতেছে।তাছাড়া ওজনে কম দিয়ে কিছু অসাধু লোকের মাধ‌্যমে বাজারজাত করণ করিতেছে।ফলে সাধারণ ক্রেতারা প্রতারণার শিকারের পাশাপাশি যেকোন সময় বড় দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে ।যার ফলে পরিবেশকদের ব‌্যবসা হুমকির সম্মুক্ষিন তাই অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব‌্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
    অনুষ্ঠানে ২২টি কোম্পানির প্রতিনিধিসহজেলার এল,পি,জি ডিস্ট্রিবিউটরা অংশ নেন।

  • পটিয়ায় বৃদ্ধ খু-নের মাম-লায় আরও এক আ-সামী কারা-গারে

    পটিয়ায় বৃদ্ধ খু-নের মাম-লায় আরও এক আ-সামী কারা-গারে

    মহিউদ্দিন চৌধুরী।
    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- চট্টগ্রামের পটিয়ায় নুরুল হক নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার আরও এক আসামীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    সোমবার চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে মামলার ৩নং আসামী ফজলুল হক ফেলু জামিন চাইলে জেলা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে একই মামলার ৫নং আসামীকে আদালত জামিন দেন।

    বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজিম উদ্দিন জানান, শুনানি শেষে বিচারক আসামী ফজলুল হক ফেলুর জামিন না মঞ্জুর করেন।

    এর আগে গত ১৯ আগস্ট একই মামলার আরও সাত আসামীকে কারাগারে পাঠান আদালত। তারা হলেন— এমরান কাইসার (২৮), মো. রহিম (২৮), মো. রিজভী (২৩), নূর নাহার (৪৮), রোজি আক্তার (২৫), জয়নাব বেগম (২৩) ও বিলকিছ আক্তার (২৭)। এছাড়া ঘটনার দিন স্থানীয়দের সহায়তায় ৪নং আসামী মো. সেলিমুল হক সেলিম (৪০) গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান। এ নিয়ে মামলার মোট ৯ আসামী কারাগারে গেলেন।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় নুরুল হক গুরুতর আহত হন। লোহার রড ও ইট দিয়ে আঘাতের পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    ঘটনার পর নিহতের ছেলে জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

  • উজিরপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বি-রুদ্ধে ঘু-ষ দু-র্নীতির অ-ভিযোগ

    উজিরপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বি-রুদ্ধে ঘু-ষ দু-র্নীতির অ-ভিযোগ

    জুনায়েদ খান সিয়াম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারই অধীনস্থ কর্মকর্তা সুমন চৌধুরীকে। এতে স্বচ্ছ তদন্ত নিয়ে স্থানীয় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

    অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা দপ্তরে কোনো অভিযোগ এলে প্রথমে আবেদনকারীকে নানা যুক্তিতে ভুল বুঝিয়ে ফেরত পাঠান এই কর্মকর্তা। পরে অভিযুক্তদের ডেকে নেন এবং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘আপস-মীমাংসা’ করে দেন। ফলে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি এড়িয়ে যাচ্ছে, আর ভেঙে পড়ছে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা।
    স্থানীয় শিক্ষকরা জানান, এবিএম জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। সাতলা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের চাকরিপ্রার্থী মোহাম্মদ অলিউল ইসলাম সম্প্রতি মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে একে একে বেরিয়ে আসে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য। অভিযোগে বলা হয়, রাজাপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত না থেকে টাকার বিনিময়ে কাগজে অনুমোদন দেন।

    এছাড়া নতুন নিয়োগ পাওয়া এনটিআরসির সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছ থেকেও তিনি পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা করে ঘুষ আদায় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, “স্যার সরাসরি ঘুষ নেন না, তবে কাজ করাতে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা নেন।”

    অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে বহাল রয়েছেন, যদিও সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী একটানা তিন বছরের বেশি একই জায়গায় থাকার সুযোগ নেই। শিক্ষক ও অভিভাবকরা মনে করছেন, দুর্নীতির নিরাপদ ক্ষেত্র তৈরি করতেই তিনি উজিরপুর ছাড়ছেন না।

    রাজাপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সরাসরি অর্থ নেওয়া হয়নি। তবে শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য যেসব খরচ হয়েছে, তা প্রার্থীকেই বহন করতে হয়েছে। অন্যদিকে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের ও বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো. ইয়াসিন বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

    প্রশাসনিক সূত্র জানায়, এবিএম জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল। তবে অজ্ঞাত কারণে তখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলী সুজা জানান, “বিষয়টি তদন্তাধীন। প্রমাণ পাওয়া গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে এবং তারাই ব্যবস্থা নেবেন।”

    স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষা ও দুর্নীতির লাগাম টানতে এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।

  • কুমিল্লা নগরীর ভোরের আলো ছড়ানোর আগ মুহূর্তেই ছি-নতাই আ-তঙ্ক

    কুমিল্লা নগরীর ভোরের আলো ছড়ানোর আগ মুহূর্তেই ছি-নতাই আ-তঙ্ক

    তরিকুল ইসলাম তরুন।
    কুমিল্লা নগরীর ভোরের আলো ছড়ানোর আগ মুহূর্তেই নগরী জুরে পরিণত হচ্ছে ছিনতাই আতঙ্ক।
    শহর পুরোপুরি ঘুম থেকে জাগার আগেই সকালের পথচারী ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা পড়ছেন ছিনতাইকারীদের খপ্পরে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরের আগ মুহূর্তে ফাঁকা সড়ককে টার্গেট করছে ছিনতাইকারীরা। নগরীর কালিয়াজুরী,ফৌজদারি মোড়,মোগলটুলি,গাংচর,মনোহরপুর ব্যাংকরোড,টমছমব্রীজ, বাটপাড়া,বোর্ড অফিস রোড,চর্থা, গোমতী নদীর বেরিবাধ সড়কের রেললাইন পয়েন্ট, পালপাড়া ব্রীজের উভয় পাড়,শাসনগাছা ওভার ব্রীজের পশ্চিম মাথায় মোটরসাইকেলে এসে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মুহূর্তেই লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব। কখনো কখনো তারা টার্গেট করা ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহতও করছে। এতে নগরবাসীর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

    গতরোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মঈনুল ইসলাম ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পথে একটি সিএনজিতে উঠতেই তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। সিএনজির ভেতরে থাকা দুই ব্যক্তি ছুরি ধরে মঈনুলের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং আঘাত করে আহত করে। থানায় গেলেও আশানুরূপ সহযোগিতা পাননি তিনি। শুধু একটি মোবাইল ফোন হারানোর সাধারণ ডায়েরি করতে বলা হয়। এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো ছিনতাইকারীরা ধরা পড়েনি।

    দেড় মাস আগে কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একইভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হন কালীপদ দেবনাথ ও তার বন্ধু পলাশ দে। সালাউদ্দিন হোটেল মোড়ে অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকেও মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। থানায় অভিযোগ করা হলেও সেই চক্রও এখনো ধরা পড়েনি।

    গত কয়েক মাস ধরে নগরীতে ভোর হলেই এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। থানায় ও গণমাধ্যমে এসব বিষয়ে নিয়মিত মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ আসছে। তবে অনেকেই ঝামেলা এড়াতে ঘটনাগুলো গোপন রাখছেন।

    নগরীর ঠাকুরপাড়া বিসিক এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, ভোর হলেই ঠাকুরপাড়া ও রানীরবাজার এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ছিনতাইকারীরা ওৎ পেতে থাকে। রিকশায় বা হেঁটে যাতায়াতকারী কাউকে দেখলেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় তারা।

    সম্প্রতি পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোববার রাত সোয়া ৩টার দিকে মোটরসাইকেলে আসা তিন ছিনতাইকারী এক অটো রিকশা যাত্রীর মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে।

    গত ৭ আগস্ট ভোরে টমছম ব্রিজ সংলগ্ন কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পাশে এক মাদ্রাসার শিক্ষক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকেও নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এর আগে গত ৪ আগস্ট ভোরে শাসনগাছা এলাকায় চান্দিনার বাসিন্দা ইব্রাহীম একইভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হন।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে নগরীতে বিশটির বেশি ছিনতাইকারী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতেই তারা ছিনতাইয়ে জড়াচ্ছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।

    এদিকে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার বেশিরভাগই অকার্যকর। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এসব ক্যামেরা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম স্বীকার করেছেন- নগরীতে ছিনতাই বেড়েছে এবং ছিনতাইকারী ধরা পড়েছেও। তিনি জানান, গত এক বছরে ৪০ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য, গাড়ি ও কার্যকর সিসিটিভি না থাকায় টহল জোরদার করা যাচ্ছে না। লজিস্টিক সহায়তা বাড়ানো গেলে ছিনতাই প্রতিরোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হতো।
    এছাড়া দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আড়াইওড়া,বদরপুর,আমড়াতলী ইউনিয়নের কোড়েরপাড় এলাকায় মাদকের হাট সক্রিয় বলে বিশেষ সূত্র থেকে জানা যায়।