Blog

  • শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন প-দ হারালেন

    শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন প-দ হারালেন

    সাইফুল ইসলাম জয়ঃ গাজীপুরের “শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের স্বনামধন্য সাধারণ সম্পাদককে অবৈধভাবে বহিষ্কারের প্রতিবাদে সংগঠনের সকল সদস্য আজ সোমবার এক জরুরি মিটিং ডাকেন।

    মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মিটিংয়ে সভাপতি মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ উঠে আসে।

    আলোচনায় জানা যায়, সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কারের নোটিশে সংগঠনের সদস্যদের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয় এবং অনেককে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া বহিষ্কারের পত্রটি শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের অফিসিয়াল প্যাডে লেখা হয়নি, বরং ভিন্ন একটি প্যাড ব্যবহার করা হয়। ওই বহিষ্কারের নোটিশে সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা, সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ এবং সাধারণ সম্পাদকের সম্মানহানির প্রমাণ মিলে।

    এই অন্যায় ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং ঘোষণা দেওয়া হয় যে তিনি তার সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকবেন।

    পরবর্তীতে সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোশারফ ফকিরের সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাহিদুল ইসলাম নাহিদের পরিচালনায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে সর্বসম্মতভাবে সভাপতি মোবারক হোসেনকে তার পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গৃহীত সিদ্ধান্ত সাধারণ সম্পাদক সদস্যদের সামনে পাঠ করেন এবং সভায় উপস্থিত সাংবাদিক ও সদস্যরা তা অনুমোদন দেন।

    সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে মোবারক হোসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগের জবাব দিতে হবে। অন্যথায় তার সদস্যপদও বাতিল করা হবে।

    এই সময় সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • আশুলিয়ায় গু-লিবিদ্ধ অ-জ্ঞাত এক যুবকের লা-শ উদ্ধার করেছেন পুলিশ

    আশুলিয়ায় গু-লিবিদ্ধ অ-জ্ঞাত এক যুবকের লা-শ উদ্ধার করেছেন পুলিশ

    হেলাল শেখঃ ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর২০২৫ইং) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয়রা মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে দ্রুত আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিহত যুবকের গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও গুলি করে হত্যা করার পর তাকে পলাশবাড়ি এলাকায় ফেলে রেখে গেছে।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পলাশবাড়ি এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় ও হত্যার পেছনে কারা জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে, দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোরের দিকে হঠাৎ করে একটি গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। কিছুক্ষণ পর রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আশুলিয়ায় আবারও সক্রিয় হচ্ছে খুনি সন্ত্রাসীরা, এর কারণে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে বলে সচেতন মহল জানান।

    পুলিশ এই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে পরিচয় শনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

  • নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসে ঘু-ষের রা-জত্ব

    নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসে ঘু-ষের রা-জত্ব

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী আব্দুল লতিফ (অতিরিক্ত দায়িত্ব রেকর্ড কিপার) ঘুষ লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন—এমন প্রমাণ গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ষাটোর্ধ গ্রহীতা পকেট থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট বের করে দেন। আব্দুল লতিফ সরাসরি হাতে না নিয়ে ড্রয়ার খুলে দিলে গ্রহীতা টাকাটি সেখানে রেখে দেন। এভাবে ঘুষ নেওয়ার অভিনব কৌশল চালু করেছেন তিনি।

    সরেজমিনে জানা যায়, ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি পর্চা তুলতে গিয়ে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালে নলছিটিতে যোগদানের পর থেকেই আব্দুল লতিফ অফিসে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। নানা অজুহাতে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি করে তিনি নিয়মিত ঘুষ গ্রহণ করে আসছেন। তার ঘুষ গ্রহণ এখন যেন নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

    ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, “অফিসে কোনো কাজই ঘুষ ছাড়া হয় না। আব্দুল লতিফ এমন এক ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, যেখানে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে।”

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।

    জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ মজিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা কোনো অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

    অন্যদিকে, উপজেলার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন হয়রানি ও ঘুষের রাজত্ব চালাতে না পারে।

  • কালকিনি ফারিয়ার কমিটি ঘোষণা।  সভাপতি-মিজান,সম্পাদক-শহীদুল, যুগ্ম -সম্পাদক -রতন দে।

    কালকিনি ফারিয়ার কমিটি ঘোষণা। সভাপতি-মিজান,সম্পাদক-শহীদুল, যুগ্ম -সম্পাদক -রতন দে।

    মোঃমিজানুরর রহমান ,কালকিনি, ডাসার প্রতিনিধিঃ মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভ এ্যাসোসিয়েশন, ফারিয়ার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, আজ ভুরঘাটা শ্বশুরবাড়ি রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়ার সভাপতি কালকিনি ফারিয়ার কমিটি ঘোষণা করেন এবং নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে সাংবাদিক মেঃমিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি,মিজানুর রহমান, রেজাউল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক-শহীদুল ইসলাম,যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক-রতন দে,সাংগঠনিক সম্পাদক – মামুন সহ ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
    কালকিনি ফারিয়ার নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভার সভাপতিত্ব করেন,মিজানুর রহমান-সভাপতি,কালকিনি ফারিয়া, সঞ্চালনা করেন, শহীদুল ইসলাম -সাধারণ সম্পাদক, কালকিনি ফারিয়া। উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শফিক রহমান-সভাপতি,বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়া, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্জয় ফরাজী- সিনিয়র সহ-সভাপতি,বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়া, সহদেব মন্ডল-উপদেষ্টা,বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়া, আনিসুর রহমান-উপদেষ্টা,কালকিনি ফারিয়া, তরিকুল ইসলাম -সভাপতি,গোপালগঞ্জ জেলা ফারিয়া, আরিফ বেপারী-সভাপতি,গৌরনদী ফারিয়া, বজলুর রশিদ -সভাপতি, আগৈলঝারা ফারিয়া, ইমরান-উর-রহমান-সভাপতি,কোটালিপাড়া ফারিয়া, আরো উপস্থিত ছিলেন কালকিনি উপজেলার সকল ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ এ্যাসোসিয়শন ফারিয়ার সকল প্রতিনিধি গন।

  • সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উ-দ্বোধন

    সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উ-দ্বোধন

    মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা।

    গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে কলেজ কক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিতে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র প্রভাষক আলী জাফর ইজাজ,আবু সোলায়মান সরকার সাজা, মোঃ মশিউর রহমান সরকার, মোঃ দেলওয়ার হোসেন প্রামাণিক, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, শাফিউল হাসান, মমতাজ বেগম প্রমূখ। এর আগে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে পরিচয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। 

    পরে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন প্রভাষক কৃষ্ণা রানী সরকার ও আব্দুর রউফ।

  • পটিয়য় বিএনপি কর্মী মোঃ কাশেম সড়ক দূ-র্ঘটনায় আ-হত হওয়ায় তাঁকে দেখতে ছুটে যান পলাশ ধর

    পটিয়য় বিএনপি কর্মী মোঃ কাশেম সড়ক দূ-র্ঘটনায় আ-হত হওয়ায় তাঁকে দেখতে ছুটে যান পলাশ ধর

    পটিয়া প্রতিনিধি।। পটিয়া উপজেলা মেহেরাটি গ্রামের বিএনপি কর্মী মোঃ কাশেম সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হওয়ায় তাঁকে দেখতে ছুটে যান তরুণ সমাজসেবক পিস পএিকার বার্তা সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরামের আজীবন সদস্য
    শ্রী পলাশ ধর। এসময় সাথে ছিলেন শেখ আহমদ,মেহের আলী,ফাহিম,পারভেজসহ অন্যারা। এসময় পলাশ ধর বলেন,বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
    এমন কোনো দিন নেই সড়কে প্রাণ ঝরছে না। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা আলোচনা, সমালোচনা, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ, সভা-সমাবেশ হলেও তাতে বাস্তবধর্মী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রত্যেক বছর সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হলে ও দুর্ঘটনা রোধে সরকারি কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় পারিবারিক, সামজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীবন ও সম্পদের। একটি দুর্ঘটনায় সারা জীবনের গ্লানি বয়ে বেড়ায় ভুক্তভোগী পরিবার। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরন করছে। স্বজন হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। এসময় তিনি বিএনপি নেতা মোঃ কাশেমের পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
    চিকিৎসা বাবদ কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন, যা এই অসহায় পরিবারটির পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
    কোনো সহৃদয় ব্যক্তি যদি কাসেমের চিকিৎসায় সাহায্য সহযোগিতা করতে চান, তবে তার পারিবারিক দেওয়া নিম্নোক্ত নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য আহবান জানান।

    বিকাশ নাম্বার:রহিমা বেগম
    বিকাশ ও নগদ নাম্বার – 01810991492

  • ভালুকায় গ্রামীন কাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে ম-তবিনিময় সভা

    ভালুকায় গ্রামীন কাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে ম-তবিনিময় সভা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়নে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন চলতি বছরের কাজের বিষয়ে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-কাবিখা) এবং গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টি.আর) ১ম,২য় এবং ৩য় পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকগণের সাথে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও সার্বিক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর
    সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি ও সম্পাদকগণ।

    ইউনিয়ন পরিষদ সচিব স্বপন সাহার সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে শতভাগ কাজ করতে হবে। এই প্রকল্পে টাকা জনগনের। জনগনের টাকায়, জনগনের জন্য চলাচলের ও নাগরকি সুবিধার জন্য এ সকল কাজ করা হচ্ছে। যদি কোন প্রকল্পের বরাদ্দের টাকার কম কাজ করা হয় তাহলে যত টুকু কাজ করা হবে ততটুকু বিল পরিশোধ করা হবে। প্রকল্পের সভাপতি বা সম্পাদকের কাছে কোন ব্যক্তি চাঁদা দাবী করলে চাঁদা দিবেন না। আপনারা তাৎক্ষনিক ভাবে প্রশাসনকে জানাবেন। প্রয়োজনে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে প্রকল্পের টাকা ফেরৎ পাঠানো হবে।

    তিনি আরো জানান-গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা, উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি এবং চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সুপারিশ প্রদানসহ ভবিষ্যতের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে উন্নয়ন কর্মকান্ডকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়াই প্রশাসনের লক্ষ ও উদ্দেশ্য

    এছাড়াও সভায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ও অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা, অগ্রগতি পর্যালোচনা, এবং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়। সভায় বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, এবং অংশীজনরা অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত পোষণ করেন।

  • আল্লাহ ও নবীকে নিয়ে ক-টুক্তিতে পঞ্চগড়ে  মু-সল্লিদের ক্ষো-ভ

    আল্লাহ ও নবীকে নিয়ে ক-টুক্তিতে পঞ্চগড়ে মু-সল্লিদের ক্ষো-ভ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন, “আসমানে গিয়ে আল্লাহর দিদার পেয়েছেন, ফেরেস্তা ও হুরদের সাথে কথোপকথন করেছেন এবং হুরদের সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলেছেন। এমনকি নবী মুহাম্মদ (সা.) স্বয়ং এসে তাকে সালাম দিয়ে ও পরিচয় দিয়ে গেছেন এবং আগাম জান্নাতের আশ্বাস দিয়েছেন।”

    ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই মুসল্লি ও ইসলামী সংগঠনগুলোর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেকেই তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন।

    পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, “আমাকেও তিনি একই গল্প শুনিয়েছেন।”
    কারাতে প্রশিক্ষক সোয়েব আলী সবুজ জানান, “আমি একবার তার অফিসে গেলে তিনি আমাকেও এমন গল্প শোনান।”

    তরুণ সমাজকর্মী মানিক উদ্দীন তার ফেসবুকে লিখেছেন, “সে একজন মানসিক রোগী। তার জায়গা পঞ্চগড়ে না, তাকে পাবনাতে পাঠাতে হবে।”

    ডা. রেজওয়ান রেজা মন্তব্য করেছেন, “হয় তিনি একজন ভন্ড প্রতারক, না হলে চরম বিকারগ্রস্ত মানসিক রোগী। আল্লাহ আমাদের এ ধরণের প্রতারক থেকে হেফাজত করুন।”

    নুরে মদিনা ক্বেরাতুল কুরআন মডেল মাদরাসার শিক্ষক এইচ এম লিয়াকত আলী বলেন, “মুসা (আ.) আল্লাহর নুর দেখেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। অথচ এই কর্মকর্তা দাবি করছেন তিনি আল্লাহকে দেখেছেন এবং নবী (সা.) এসে তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর কিছু হতে পারে না। এতে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা তার গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাই।”

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান ২০২০ সালে রাজশাহী থেকে বোদা উপজেলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। শাস্তিমূলক বদলি হলেও তিনি দাবি করেন, আল্লাহর নির্দেশে তিনি পঞ্চগড়ে এসেছেন। এরপর থেকেই নানা ধরনের অদ্ভুত দাবি ও বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দেবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

    গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপে এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “আল্লাহ ও নবী মুহাম্মদ (সা.) কে আমি দেখেছি এবং কথা বলেছি। আল্লাহ আমাকে বলেছেন—‘তুই চিন্তা করিস না, আমি তোর পাশে আছি।’ এমনকি এক রমজানে আসরের নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি আসমান থেকে নবীজি (সা.) নেমে এসে আমাকে সালাম দিয়ে পরিচয় দেন। আমি আবেগে কেঁদে ফেলেছিলাম। আসমান থেকে ইশারা আসায় আমি দাঁড়ি রেখেছি।”

    এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পঞ্চগড়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

  • চট্টগ্রামে নি-ষিদ্ধ সংগঠনের গো-পন মিছিল ভে-স্তে গেল:সাতজন ধরা, না-শকতার মাম-লায় কা-রাগারে

    চট্টগ্রামে নি-ষিদ্ধ সংগঠনের গো-পন মিছিল ভে-স্তে গেল:সাতজন ধরা, না-শকতার মাম-লায় কা-রাগারে

    শহিদুল ইসলাম,

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন বড়পুল মোড় এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত এক সংগঠনের হঠাৎ করা গোপন মশাল মিছিল ভেস্তে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অভিযানে সাতজনকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন।

    পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আসিফ মাহমুদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে লাঠি, মশাল ও ইট-পাটকেল হাতে আকস্মিক মিছিল শুরু করে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায় এবং সাতজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে বাকিরা অন্ধকারে পালিয়ে যায়।

    আটকৃতরা হলেন—১.মোঃ ইব্রাহীম খলিল তুষার (২৪),২.আসিফ মাহবুব (২৪),৩.নয়ন শীল (২৩),৪.মোঃ সাগর (২৫),৫.জাহিদুল ইসলাম (২২),৬.মাসুদ হাওলাদার (৩০),৭.মইন উদ্দিন (৩০)

    অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পোড়া পাঁচটি বাঁশের মশাল, ১১টি ইটের টুকরা, একটি ভিভো ও একটি রেডমি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।

    ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, “আটকরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা সরকারবিরোধী নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।”

    ঘটনার প্রেক্ষিতে বন্দর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা (নং-১২, তারিখ-১৬/০৯/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে। আটক সাতজনকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ তাদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে।

    পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। একইসাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

  • নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ-পরাজিতা

    নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ-পরাজিতা

    বরগুনা প্রতিনিধি :

    বরগুনার বেতাগীতে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অপরাজিতা নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় তরুনরা।

    মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেতাগী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে মাসিককালীন যত্ন, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো সহজভাবে উঠে আসে।

    নারীর পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সেনোরা এর সহযোগিতায় গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এ উদ্যোগ নেয়।

    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বেতাগী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শাহিন। এসময় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মহাসিন খান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার, গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির মো. ইমরান হোসেন, খাইরুল ইসলাম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

    গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মো. খাইরুল ইসলাম মুন্না বলেন, মানব সভ্যতার বিকাশে নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান সমান। সমাজে চলার পথে তারা একে অপরের পরিপূরক। অথচ আজও নারীরা নানা কারণে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে মাসিককালীন সময়ে সামাজিক সংকোচ ও জড়তার কারণে তাদের পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানতে পারা ও সচেতনতার অভাব এই সময়ে নারীর জীবনে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। 

    তাই আমাদের লক্ষ্য কিশোরী ও অসহায় নারীদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান করাসহ মাসিককালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

    তিনি আরও বলেন, নারীরা সমাজের অর্ধেক। অথচ পিরিয়ড নিয়ে এখনো কুসংস্কার ও সংকোচ বিদ্যমান, যা তাদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের পাশে দাঁড়ানো। অপরাজিতা উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা নারীদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে চাই। যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারে। এই উদ্যোগ শুধু স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণেই সীমাবদ্ধ নয় বরং নারীদের মানসিক বাধা দূর করে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং সমাজে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার এক অনন্য প্রয়াস।