Blog

  • সিরাজগঞ্জের ব্যাটারি কারখানায় চা-ঞ্চল্যকর ডা-কাতি মামলার মূ-লহোতা রুহুল আমিন গ্রে-ফতার

    সিরাজগঞ্জের ব্যাটারি কারখানায় চা-ঞ্চল্যকর ডা-কাতি মামলার মূ-লহোতা রুহুল আমিন গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখঃ সিরাজগঞ্জে ব্যাটারি কারখানায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার অন্যতম মূলহোতা ও ৫টি ডাকাতি মামলার আসামি রুহুল আমিনকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

    গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব জানায়, রুহুল আমিন একজন দূর্ধর্ষ ডাকাত এবং দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

    গ্রেফতারকৃত রুহুল আমিনকে সিরাজগঞ্জে হস্তান্তর করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব।

  • ডিবি পুলিশের অ-ভিযানে ৫০ হাজার টাকাসহ প্র-তারক এক নারীকে গ্রে-ফতার

    ডিবি পুলিশের অ-ভিযানে ৫০ হাজার টাকাসহ প্র-তারক এক নারীকে গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলা পুলিশের অভিভাবক জনাব আনিসুজ্জামান (পিপিএম), পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ঢাকা জেলার ডিবি (উত্তর) এর অফিসার ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে (এসআই-নিঃ) কাজী কামাল মিয়ার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অদ্য ১৬/০৯/২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাভার মডেল থানাধীন সাভার নিউ মার্কেটের সামনে থেকে প্রতারণাকারী চক্রের সদস্য ০১। সালমা আক্তার ইতি (২৫), পিতা-মৃত মোজাম্মেল হক,সাং- অমরপুর (বেদেপাড়া), থানা-সাভার, জেলা- ঢাকাকে গ্রেফতার করেন।

    গ্রেফতারকৃত প্রতারক নারীর নিকট হইতে নগদ ৫০,০০০/-(পঁঞ্চাশ) হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত প্রতারণাকারী অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে যায়।

    বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং) সকালে উক্ত প্রতারণাকারী নারীর বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান।

  • কোবরা সা-পের ছো-বলে আহ-ত নারী, হাসপাতালে আনলেন সাপটিকেও

    কোবরা সা-পের ছো-বলে আহ-ত নারী, হাসপাতালে আনলেন সাপটিকেও

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
    পঞ্চগড়ে এক বিরল ঘটনার জন্ম দিয়েছেন সুমিত্রা রানী (৬০) নামে এক নারী। কোবরা সাপের ছোবলে আহত হওয়ার পর তিনি শুধু নিজেই হাসপাতালে যাননি, ছোবল দেওয়া সাপটিকেও একটি প্লাস্টিকের বোয়ামে ভরে নিয়ে হাজির হয়েছেন চিকিৎসকের কাছে। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঘরের পুরোনো একটি প্লাস্টিকের বোয়াম পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ সাপটি বের হয়ে এসে সুমিত্রা রানীকে ছোবল দেয়।

    সুমিত্রা রানীর ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, “মা কাজ করছিলেন, হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘরে ছুটে যাই। দেখি মা কাঁপছেন আর পাশে সাপটি পড়ে আছে। কোন সাপ বুঝতে না পেরে সেটিকে বোয়ামে ভরে দ্রুত মা’কে নিয়ে হাসপাতালে ছুটি।”

    পরে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাপটিকে দেখে নিশ্চিত হন, এটি একটি বিষধর কোবরা।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর বলেন, “রোগী বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে আসেন, সাথে সাপটিও আনা হয়েছিল। নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তাকে এন্টিভেনাম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। বর্তমানে তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।”

    ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসেন সাপটি দেখার জন্য।

  • রাজশাহী জেলার ডিবি পুলিশ কর্তৃক ডাকা-তি মাম-লায় লু-ন্ঠিত মা-লামাল উ-দ্ধার’সহ ৮ জন গ্রে-ফতার

    রাজশাহী জেলার ডিবি পুলিশ কর্তৃক ডাকা-তি মাম-লায় লু-ন্ঠিত মা-লামাল উ-দ্ধার’সহ ৮ জন গ্রে-ফতার

    আলিফ হোসেন,
    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মালশিরা গ্রামের মোয়াজ্জেমুল হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং স্বর্ণালঙ্কার, মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা লুণ্ঠন করে। পরবর্তীতে রাজশাহী জেলা পুলিশের ডিবির একটি টিম অভিযুক্ত ৮ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা হলো ১। মোঃ শাহাদত হোসেন কলম(৩৩), ২। মোঃ শান্ত ইসলাম(২৬), ৩। মোঃ বেলাল হোসেন(৩০), ৪। মোঃ শুকুর আলী(৫২), ৫। মোঃ শাকিল হোসেন(৪০), ৬। মোঃ রানা হোসেন(২৪), ৭। মোঃ রাসেল হোসেন(২২), ৮। মোঃ এখলাছ রহমান মিন্টু(৪২)। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত মোঃ শুকুর আলী ডাকাতির দায় স্বীকার করে রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

    অভিযুক্ত শাহাদত হোসেন কলম বগুড়ার আদমদিঘীর ছাতিয়ান চৌধুরীপাড়া গ্রামস্থ মো: আ: সামাদ খোকার পুত্র, শান্ত ইসলাম নওগাঁ মান্দার আবিদ্যপাড়া গ্রামস্থ মো: নাসির উদ্দিনের পুত্র, বেলাল হোসেন পিরোজপুর নাজিরপুর বাকশি গ্রামস্থ মৃত সামছু শেখের পুত্র,: শুকুর আলী নওগাঁর ধোপাইলকুড়ি গ্রামস্থ মৃত কছের ফকিরের পুত্র, শাকিল হোসেন জয়পুরহাট আক্কেলপুরের দারাড়কুল গ্রামস্থ মোঃ বাবুলের পুত্র, রানা হোসেন ও রাসেল হোসেন’দ্বয় নওগাঁর বদলগাছীর রামশাপুর গ্রামস্থ আমজাদ হোসেনের পুত্র এবং এখলাছ রহমান মিন্টু নওগাঁর খাঁস নওগাঁ চক এলাম ইদুর বটতলা গ্রামস্থ মেছের আলীর পুত্র। অভিযুক্ত সকলেই আন্ত: বিভাগীয় ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তারা রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করেছে বলে জানান যায়।
    এ ডাকাতির ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পরই তানোর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামের নির্দেশে ওসি ডিবি আরিফ আলীর নেতৃত্বে, এসআই স্বপন হোসেন’সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে এই ডাকাতি ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮ জনকে গ্রেফতার করে। ১ হতে ৭ নং অভিযুক্তকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানাধীন তিলকপুর রেলষ্টেশন সংলগ্ন জনৈক লিটন মোল্লার ভাড়া দেওয়া বাড়ি থেকে এবং ৮নং অভিযুক্ত এখলাছ রহমান মিন্টু’কে নওগাঁ সদর থানাধীন ইদুর বটতলা নামক স্থানে মনোরমা জুয়েলার্স থেকে গ্রেফতার করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি. রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করেন।
    গ্রেফতারকৃত ডাকাত শুকুর আলী গত ১৫/০৯/২০২৫ খ্রি. কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার অপরাধ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। অভিযুক্তের জবানবন্দিতে জানা যায়, গত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি. রাত ০৩:৩০ টায় রাজশাহী জেলার তানোর থানাধীন মালশিরা গ্রামের মো: মোয়াজ্জেমুল হোসেনের বসতবাড়ির মেইন দরজা ভেঙ্গে ঘড়ে প্রবেশ করে সকলকে গামছা দিয়ে হাত, পা এবং মুখ বেঁধে ফেলে। ৪টি ফোন, নগদ ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, স্বর্নের চেইন, কানের দুল হাতের আংটি’সহ ১টি মোটরসাইকেল লুণ্ঠন করে কৌশলে পালিয়ে যায়।
    উল্লেখ্য, গত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি. ডাকাতির ঘটনায় মো: মোয়াজ্জেমুল হোসেন বাদি হয়ে তানোর থানায় অজ্ঞাতনামা ৬-৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় চুরি, দস্যুতা এবং ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত আরও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত আছে।

  • সুজানগরে প-রিত্যক্ত অবস্থায় অ-স্ত্র উ-দ্ধার

    সুজানগরে প-রিত্যক্ত অবস্থায় অ-স্ত্র উ-দ্ধার

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর : পাবনার সুজানগর পৌর শহরের বাস টার্মিনাল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি ১টি এলজি পাইপ গান উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার রাত সোয়া নয়টার দিকে পৌর এলাকার পরিত্যাক্ত বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে এ অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেশীয় তৈরি অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।উদ্ধার করা অস্ত্র থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক ও ব্যবহারকারীদের শনাক্তে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • নতুন জীবন পেল সুজানগরে শি-কারির ফঁা-দে আট-কা ৪৫টি পাখি

    নতুন জীবন পেল সুজানগরে শি-কারির ফঁা-দে আট-কা ৪৫টি পাখি

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার স্থানীয় বিভিন্ন চর এলাকায় খাবারের খেঁাজে আশ্রয় নেয়া পাখিকে ফঁাদে আটকিয়েছিল একদল শিকারি। খঁাচায় ভরে পাখিগুলো বিক্রিই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
    এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ওসি মজিবর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কেষ্টপুর বাজার এলাকা থেকে ৪৫টি ঘুঘু পাখি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি রেখে শিকারিরা পালিয়ে যায়।
    পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উদ্ধারকৃত পাখিগুলো মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও থানার ওসি মোঃ মজিবর রহমান ।
    এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতেই রঙ-বেরংয়ের অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে গাজনার বিলসহ স্থানীয় চরাঞ্চলগুলো। দেখা মেলে সাদা বক, বালিহঁাস, মাছরাঙ্গা, সারস, পানকৌরীসহ দেশি বিদেশি অসংখ্য পাখি। দিগন্তজোড়া উন্মুক্ত হাওয়ায় পাখা মেলে বিল ও চরাঞ্চলের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত উড়াউড়ি করে থাকে। খাওয়ার লোভেই নানা প্রজাতির অতিথি পাখি ঝঁাকে ঝঁাকে আশ্রয় নেয় স্থানগুলোতে।কিন্তু এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল পাখির এমন অবাধ বিচরণে কাল হয়ে দঁাড়িয়েছে। তিনি বলেন, পাখি প্রকৃতির বড় সম্পদ যদি কেউ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্টের চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, প্রকৃতিতে পাখির স্বাধীন বিচরণই তাদের প্রাকৃতিক অধিকার। বাজারগুলোতে যেভাবে অসংখ্য পাখি জালে ও খঁাচায় বন্দি করে বিক্রি করা হয় তা শুধু বেআইনি নয়, নিষ্ঠুরও বটে। তিনি জানান, উদ্ধার পাখিগুলো প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে নিরাপদ পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। সব নাগরিককে পাখি কেনাবেচা ও খঁাচায় পোষা থেকে বিরত থাকতে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। আর এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ও জানান তিনি।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • পাইকগাছায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঘেরের আ-ইলে সবজি চাষ

    পাইকগাছায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঘেরের আ-ইলে সবজি চাষ

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।

    পাইকগাছায় মাছের ঘেরের আইলে সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঘেরের আইলে সবজি চাষ করে কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। ঘেরে চিংড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাদা মাছের চাষ। আর সাদা মাছ চাষ হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে ঘেরের আইলে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ। ঘেরের আইলে সবজি আর নিচে পানিতে মাছ। ক্রমেই বাড়ছে এই চাষ পদ্ধতি। ফলে উপজেলায় সমন্বিত সবজি চাষে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। ফলে উপজেলা বর্তমানে ঘেরের আইলে সবজি চাষ বাড়ছে ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছ।কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মাছের ঘেরের আইলে ২৩৪ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এসময় ঘেরের পানি মিস্টি থাকে। উপজেলার লতা, দেলুটি, গড়ুইখালী,কপিলমুনি, গদাইপুর ও রাড়ুলী ইউনিয়ানের বিভিন্ন মাছের ঘেরের আইলে সবজি চাষ শুরু হয়েছে। ঘেরের আইলের উপরে নির্মিত সারি সারি মাচায় ঝুলছে অফ সিজন তরমুজ, করলা, লাউ, কুমড়া, বরবটি, চিচিংগা, ধুন্দল আর শসা আর নিচে মাছ। আইলে উপরে রয়েছে ঢেঁড়শ, পুঁইশাক ও কলাগাছ।উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়ানের পুরাইকাটি বিলে ৮ বিঘা ঘেরের আইলে সবজি চাষ করেছেন পুরাইকাটি গ্রামের শেখ আহসান উল্লাহ। তিনি ঘেরের আইলে বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশ ও জাল দিয়ে ঝুলন্ত মাচা তৈরি করা হয়েছে। তারপর সবজির আবাদ করে বাড়ন্ত গাছ মাচার ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে কম জায়গায় ও অল্প পরিচর্যায় ভালো ফসল পাওয়া যায়। ঘেরের আইলের ওপর নির্মিত সারি সারি মাচায় ঝুলছে অফ সিজন তরমুজ, কুমড়া, করলা, লাউ, বরবটি, চিচিংগা, ধুন্দল, শসাসহ বিভিন্ন সবজি। আইলে উপরে রয়েছে ঢেঁড়শ, পুঁইশাক ও কলাগাছ। মাচায় ঝুলছে লাভজনক সমন্বিত সবজির ফসল ও নিচে পানিতে মাছ। তিনি জানান, বিষ মুক্ত সবজির চাহিদা থাকায় এলাকার ব্যবসাহীরা ক্ষেত থেকে সবজি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।উপকুলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ লেগেই থাকে। অতি বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস,ও নদী ভাঙ্গন ও জলবদ্ধতায় অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়ে থাকে। এতে কৃষির চরম ক্ষতি হয়। এতে সবজি ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। এসব অঞ্চলে ঘেরের আইলে সবজি চাষে ভাল উৎপাদন হওয়ায় কৃষকরা ঘেরের আইলে সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছে।উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ একরামুল হোসেন বলেন, উপকূলীয় এ উপজেলায় মাছের ঘেরের আইলে বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করছেন কৃষকরা। তাদের অল্প পুঁজিতে অনেক লাভের ফলে উৎসাহিত হয়ে এখন সমন্বিত এই চাষের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। এসব কৃষকদের প্রশিক্ষনের পাশাপাশি নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হয়। ঘেরের আইলে বিষ মুক্ত সবজি উৎপাদন হচ্ছে। ঘেরের আইলে সবজি চাষ করে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে, তেমনি দেশের পুষ্টি নিরাপত্তায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা খুলনা।

  • গোদাগাড়ীতে স-র্বনাশা পদ্মা নদীর ভ-য়াবহ ভাঙ্গনের শি-কার  ৩ শত পরিবার

    গোদাগাড়ীতে স-র্বনাশা পদ্মা নদীর ভ-য়াবহ ভাঙ্গনের শি-কার ৩ শত পরিবার

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা দিয়ে শুরু করি এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে, এই তো নদীর খেলা সকাল বেলার আমির রে ভাই ফকির সন্ধ্যাবেলা॥ সেই নদীর ধারে কোন ভরসায় (ওরে বেভুল) বাঁধলি বাসা সুখর আশায়, যখন ধরল ভাঙন পেলিনে তুই
    পারে যাবার ভেলা॥
    এই দেহ ভেঙে হয় রে মাটি, মাটিতে হয় দেহ,
    যে কুমোর গড়ে সেই দেহ – তার খোঁজ নিল না কেহ। রাতে রাজা সাজে নাট-মহলে
    দিনে ভিক্ষা মেগে পথে চলে
    শেষে শ্মশান-ঘাটে গিয়ে দেখে
    সবই মাটির ঢেলা।
    এই তো বিধির খেলা রে ভাই
    ভব-নদীর খেলা॥ কবির কথা গুলি যেন সবই সত্য হয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের জন্য।

    সর্বনাশা পদ্মাই যেন কাল হলো শতাধিক পরিবারের ভাগ্যে । পদ্মার ভাঙ্গনে সর্বশেষ মাথা গুজার আশ্রয়স্থল, ঘরবাড়ী নদী গ্রাস করে নিয়েছে। আশ্রয়স্থল হারিয়ে চার পুরুষের ভিটে মাটি ত্যাগ করে চলে যাচ্ছে অন্যত্রে। এপারে কেউ আত্নীয়স্বজনের কাছে কেউ রাস্তারধারে খাস জমিতে কেউ বরেন্দ্র এলাকার নিজস্ব জমিতে কোন উপায়ে থাকার ব্যবস্থা করছেন।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মানদীর ওইপার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে পদ্মার ভাঙন। গত এক সপ্তাহে ইউনিয়নের অন্তত চারটি গ্রামের নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তিন শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি।

    সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য উজ্জল হোসেন বলেন, আবার বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত দুই যুগে নদী ভাঙ্গনের এমন ভয়াবহরুপ দেখিনি। তিন শতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারিয়ে উপায়হীনভাবে অন্যত্রে চলে গেছে। অনেকে যাওয়ার জন্য জিনিসপত্র বাঁধাবাধি করছে। তিনি আরো বলেন, জামাইপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমান “পদ্মার ভাঙনে দুইবার বাড়ি সরিয়েছে। এবার চরে থাকার জায়গা না থাকায় ভাইয়ের বাড়িতে ওপারে চলে গেছেন।”

    গত কয়েক বছরে হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি, আম ও মেহগুনী, শিশুবাগান, ৫ শতাধিক বসতবাড়ি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্রিজ, কালভাট, রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া হুমর্কীর মুখে পেড়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, হাজার একর ফসলী জমি, রাস্তা, সরকারী গবাদিপশু উন্নয়ন খামার, ছাগল উন্নয়ন খামার, আঞ্চলিক হাঁসমুরগী, কয়েকটি বিজিপি ক্যাম্পসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

    এদিকে জানা যায়, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নটির আয়তন প্রায় ৩৬ বর্গকিলোমিটার। পদ্মার বিশাল জলরাশির ওপারে অবস্থিত এই চরাঞ্চলটি। চরাঞ্চলটি ঘেঁষে ভারতীয় সীমান্ত। প্রতিবছরই নদীভাঙনের শিকার হয়ে চরের জমির পরিমাণ বেশ কমছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে একসময় পুরো ইউনিয়নই মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

    মঙ্গলবার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের সরেজমিনে দেখা যায় হঠাৎপাড়া, চর বয়ারমারি, কামারপাড়া, জামাইপাড়া, চর নওশেরা, হবুপাড়া, ও আমতলা খাসমহল গ্রামের মানুষ, অনেকেই ঘরবাড়ি ভেঙে নৌকায় মালামাল তুলছেন। কারও বাড়ির অর্ধেক ভাঙনের কবলে পড়েছে, কেউ আবার সবকিছু সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমনকি নদী ভাঙ্গনে নদীতে তলিয়ে গেছে ১নং ওয়ার্ডের সম্পুর্ন এলাকা।

    হঠাৎপাড়া গ্রামের মোঃ আশরাফুল হক জানান, ১৫ বছর আগে একবার ভাঙনে বাড়ি সরাইছিলাম। এবার আর থাকার জায়গা নাই। বাইপাস মোড়ে দুই কাঠা জমি কিনছি, সেখানেই যাচ্ছি।

    নৌকায় মালামাল নিয়ে পার হচ্ছিলেন বয়ারমারি গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা বেগম। তিনি বলেন, ছয় বছর আগে একবার বাড়ি ভাঙ্গায়াছিল। জন্মের পর থেকে চরে থাকতেছি, কিন্তু এবার আর থাকা হলো না। ভাসুরের বাড়িতে উঠমু, পরে জমি কিনে আবার ঘর করমু।

    চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন বেড়েছে। অন্তত ৩০০ পরিবার চরের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। আমরা শুধু ১০ কেজি করে চাল দিতে পেরেছি। যাদের সবকিছু নদীতে গেছে, তাদের কাছে এটা কিছুই না। সরকারকে দ্রুত পাশে দাঁড়াতে হবে।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমাদের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ১১০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। তালিকা প্রক্রিয়া চলছে। পুনর্বাসনের জন্য ঢেউটিন দেওয়া হবে।

    রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রাজশাহী শহরসংলগ্ন পদ্মার বিপৎসীমা ১৮.০৫ মিটার। গত সপ্তাহে পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭.৪৯ মিটার। সোমবার পানি নেমে ১৬.৮৫ মিটারে দাঁড়ালেও চরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও তলিয়ে আছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন আরও তীব্র হচ্ছে।

    সচেতন মহল মনে করছেন, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে গোটা চর আষাড়িয়াদহ একসময় পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে, যা বড় ধরনের ভৌগোলিক সমস্যার কারণ হবে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • দোয়ারাবাজারে বয়স্ক, বিধবা ও প্র-তিবন্ধী ভাতার ২৬৭টি বই বিত-রণ

    দোয়ারাবাজারে বয়স্ক, বিধবা ও প্র-তিবন্ধী ভাতার ২৬৭টি বই বিত-রণ

    হারুন অর রশিদ।
    দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ

    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সমাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুঃস্থ মহিলাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভাতাভোগীদের মধ্যে ভাতা পরিশোধের বই বিতরণ করা হয়।

    মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরূপ রতন সিংহের উপস্থিতিতে ২৬৭ জন ভাতাভোগীদের মাঝে ভাতা বহি বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সানোয়ার হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য-সদস্যাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরূপ রতন সিংহ বলেন, সরকার দেশ ও জাতির কল্যানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জীবন জীবিকার তাগিদে দেশের কোনো মানুষই যেনো তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। সেই আলোকে দেশের অসচ্ছল নারী-পুরুষের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভাতা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

  • পাইকগাছায় গলায় ও-ড়না পেঁ-চিয়ে এক কিশোরীর আত্মহ-ত্যা

    পাইকগাছায় গলায় ও-ড়না পেঁ-চিয়ে এক কিশোরীর আত্মহ-ত্যা

    পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি।।

    পাইকগাছা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাতিখালী এলাকায় ময়না খাতুন (১৭) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে পরিবারের সবার অগোচরে সে নিজ বসতঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনা টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রুত পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি এবং সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে তার মৃত ঘোষণা করেন।

    এদিকে স্থানীয়রা জানান, ময়না খাতুন কি কারণে এমন চরম পথ বেছে নিল নিশ্চিত করে তা বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রিয়াদ মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

    প্রেরক,
    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা