Blog

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৪৫০ টি খা-স পুকুরের রিট বা-তিল

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৪৫০ টি খা-স পুকুরের রিট বা-তিল

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৩৫০ টি খাস পুকুর শক্তিশালী সিন্ডিকেট জালিয়াতি করে রিটের মাধ্যমে বছরের পর বছর ভোগদখল করে আসছিল। রিট বাতিল হওয়ায় পুকুর সিন্ডিকেটের মাথায় বাজ পড়েছে। পুকুর গুলি এখন ইজারা প্রদানে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা না থাকায় ইজারা দিয়ে শত কোটি টাকার রাজস্ব পেতে যাচ্ছে সরকার যার প্রভাব পড়বে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে।

    ভূয়া চালান, জাল দলিল সৃজন করে পুকুর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ওইসব দলিল উপস্থাপন করে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তাৎক্ষণিভাবে দলিলের বৈধতা ও সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেন না।

    রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করেন। সারা বছরে এসব রিটের আর কোনো খোঁজখবর থাকে না। কিন্তু ওই সবপুকুর ইজারার জন্য তালিকা প্রকাশ করে শেষ মূহূত্বে রিটের কারেনে আর ইজারা দিতে পারেন না।
    এপুকুর পুকুর চুরির ব্যপারটি গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বুঝতে পেরে পুকুর জালিয়াতিরঙ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন। গত ২৫/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের সভাপতিত্বে গোদাগাড়ী উপজেলা জরমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান নেয়া হয়। ১০৪৪৬/২০২৩ নং রিট বাতিল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। মাধবপুর রাংগামাটি মৎসজীবিসমবায় সমিতি লি. গোদাগাড়ী, নিয়ম বহির্ভূতভাবে নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছে এবং সমিতির কাগজপত্র ব্যবহার করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের সুপ্রিম কোটে রিট হয়েছে। এ সংক্রান্ত কোন তথ্য বা অভিযোগ ইতিপূর্বে সমিতি কর্তৃপক্ষ দ্বারা উপজেলা সমবায় অফিসারকে অবহিত না করায় উত্ত সমিতির বিরুদ্ধে নিবন্ধন বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জানান, রিট পিটিশন বাতিল হওয়ার কারণে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেতে যাচ্ছে। ৩ বছর থেকে প্রায় ৪৫০ টির অধিক ছোট বড় পুকুর ইজারা দিতে না পারায় বিশাল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত ছিল সরকার। রিট পিটিশন বাতিল হওয়ায় পুকুরগুলি ইজারা দিতে কোন প্রকার বাধা নেই। কিছু দিনের প্রায় ৩ হাজার পুকুর ১ বছরের জন্য খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হবে। বিগত দিনে ভূয়া চালান ধরা পড়ায় ৫৫ টি পুকুরের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। এখন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজিরের মাধ্যমে টাকা আদায় করে সাথে সাথে ব্যাংকে জমা দেয়া হচ্ছে এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই। কিছু দিনের প্রায় ৩ হাজার পুকুর ১ বছরের জন্য খাস কালেশনের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হবে। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাবেন। বিগত দিনে ভূয়া চালান ধরা পড়ায় ৫৫ টি পুকুরের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। এখন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজিরের মাধ্যমে টাকা আদায় করে সাথে সাথে ব্যাংকে জমা দেয়া হচ্ছে এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই।

    উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির
    সদসাচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামসুল ইসলাম জানান, রিট বাতিল হওয়ায় এটা সরকারের বিশাল বিজয়। পুকুরগুলি রিট করে একটি সিন্ডিকেট বছরের পর বছর লিজ প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিনালিজে পুকুর ভোগ করেছেন।

    গোদাগড়ী উপজেলা ভূমি অফিসের সায়রাত সহকারী মোসাঃ জুলেখা খাতুন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের ভূয়া চালান, জাল দলিল পুকুর সিন্ডিকেট বিরুদ্ধে কঠোর মনভাব এবং রিট বাতিলের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করা হয়।
    প্রায় ৪ শতাধিক খাস পুকুরের রিট বাতিল হওয়ায় এখন পুকুরগুলি বিধিমোতাবেক ইজারা দেয়া হলে মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় হবে। ভূয়া চালান, একই চালানে দুই বা ততোধিক পুকুরের বিপরীতে ব্যবহার করা হওয়ায় ৫৫ টি পুকুরের লিজ বাতিল করা হয়েছে। সাড়ে ৪ শ পুকুর লিজ দিয়ে রাজস্ব আয় হবে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

    সুপ্রিম কোর্ট অফ বাংলাদেশের
    অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল বারী জানান,
    এটি প্রত্যয়িত করা হচ্ছে যে আবেদনকারী পূর্বে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের কাছে তাৎক্ষণিক রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা ০৬.০৪.২০২৩ তারিখের বিবাদী নং ৫ কর্তৃক জারি করা আপত্তিকর স্মারক নং ০৫.৪৩.৮১৩৪.০০০.১১.০০৪.২৩-১৩৪ (৫০) কে চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা হয়েছিল, যেখানে বিবাদী নং ৫ কর্তৃক জারি করা হয়েছিল, যা ১৪৩০ থেকে ১৪৩২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত কার্যকরভাবে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০০৯ (সংশোধন-২০১২) (সংযোজনী-খ) অনুসারে ৩ বছরের জন্য জলমহাল ইজারা দেওয়ার দাবি করেছিল, যতদূর পর্যন্ত এটি প্রশ্নবিদ্ধ পুকুরগুলির সাথে সম্পর্কিত, সিরিয়াল নং ৬, ৪০, ৪৭, ৫০, ৫৭, ৭৫, ৮২, ৯৮, ১৩৩, ১৩৬, ১৫৫, ১৬৩, ১৬৪, ১৮৩, ১৯৪, ২০৫, ২৩৩, ২৩৬, ২৬৮, ২৭০, ২৭১, ২৯০, ৩১১, ৩৬০, ৩৬৪, ৩৭৩, ৩৭৪, ৪০৩, ৪০৪, ৪২৪, ৪৪১, ৪৪২, ৪৪৪, ৪৫০, ৪৫৮, ৪৮৮, ৪৯১, ৫০৫ এবং ৫১১ এবং ২৭.০৮.২০২৩ তারিখে মাননীয় আদালতের লর্ডশিপ জনাব বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী এবং জনাব বিচারপতি মোঃ আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির পর, আপত্তিকর স্মারক নং – এর রুল এবং স্থগিতাদেশ জারি করে সন্তুষ্ট হন। ০৫.৪৩.৮১৩৪.০০০.১১.০০৪.২৩-১৩৪ (৫০) তারিখ ০৬.০৪.২০২৩ (সংযোজন-খ এবং ১দ) তারিখ থেকে ৬(ছয়) মাসের জন্য আবেদনকারীর সাথে সম্পর্কিত।
    এরপর আমি বিবাদী নং ৫-আবেদনকারীর পক্ষে স্বাক্ষর করে ২৭.০৮.২০২৩ তারিখের স্থগিতাদেশের আদেশ বাতিলের জন্য একটি আবেদন দাখিল করি এবং ১৫.০৯.২০২৫ তারিখে বিষয়টি আদেশের জন্য ৭০ নং আইটেম হিসাবে দৈনিক কারণ তালিকাতে আসে। এই শুনানির পর, তাদের লর্ডশিপ বিচারপতি মোঃ মজিবুর রাহিনান মিয়া এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত এই মাননীয় আদালতের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২৭.০৮.২০২৩ তারিখে প্রদত্ত স্থগিতাদেশের আদেশ বাতিল করতে সন্তুষ্ট হন। ফলে খাসপুকুর, জলমহালের ব্যপারে সরকারের বড় বিজয় সিন্ডিকেটের পরাজয়।

    পুকুর খাসপুকুর-দিঘি, বিল-জলাশয় ইজারার প্রক্রিয়া শেষের পথে। তবে প্রতিবছর বাংলা সন শুরুর আগে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি আদালতে ছোটাছুটি শুরু করেন। টাকা-পয়সা ঢেলে আদালতের একটা কাগজ নিয়ে ছুটে যান উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ে। উদ্দেশ্য যে কোনো উপায়ে খাস পুকুরের ইজারা ঠেকানো। এই প্রক্রিয়ায় খাসপুকুর ইজারা না হওয়ায় বছরে শতকোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।

    ভূয়া চালানের কপি, জাল দলিল সৃজন ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে উচ্চ আদালত থেকে কোনোভাবে একটা অন্তর্বর্তী আদেশ এনে যুগের পর যুগ ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় শত শত সরকারি খাস পুকুর-দিঘি ও জলাশয়ের ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এভাবেই বছরের পর বছর অবৈধভাবে ভোগ দখল করা হচ্ছে পুকুর, দিঘি, জলাশয়। এতে সরকারের শত কোটি টাকার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়েছে সরকার অবৈধভাবে ভোগ দখলে এলাকায় গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা। ভূমি বিভাগের কর্মচারীরাও সিন্ডিকেটের ভেতরে রয়েছেন।

    রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভূমি রাজস্ব বিভাগের সূত্রে জানা যায়, নিলাম ডেকেও রাজশাহীর কয়েক হাজার খাস পুকুর জলাশয় শেষ মুহূর্তে ইজারা দেওয়া যায় না। কারণ জাল দলিল সৃজন করে পুকুর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ওইসব দলিল উপস্থাপন করে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তাৎক্ষণিভাবে দলিলের বৈধতা ও সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেন না। রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করেন। সারা বছরে এসব রিটের আর কোনো খোঁজখবর থাকে না। সরকারি ভূমি বিভাগও এসব রিট নিষ্পত্তির বিষয়ে মনোযোগী ছিল না। ফলে শুধু একটা অন্তর্বর্তী আদেশ নিয়ে রিটকারী বছরের পর বছর ধরে সরকারি পুকুর-দিঘি, জলাশয় দখলে রেখে ভোগ করছেন। রিট বাতিল হওয়ার ফলে পুকুর সিন্ডিকেটদের মাথায় হাত পড়েছে।

    জেলার গোদাগাড়ীতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সরকারি খাসপুকুর। এর আয়তন মোট ২ হাজার ৫৮০ একর। গোদাগাড়ীতে ২০ একর আয়তনের কম খাস পুকুরের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫৭টি। অন্যদিকে ২০ একরের বেশি আয়তনের খাসপুকুর দিঘি জলাশয় রয়েছে শতাধিক। আদালতের অন্তর্বর্তী আদেশের ফলে প্রায় অর্ধেক খাস পুকুর ইজারা দিতে পারেন না উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার।

    সূত্র জানায়, গোদাগাড়ীতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে খাস পুকুর ইজারায় কারসাজি করে আসছে। ইজারা নিতে এলাকায় এলাকায় তৈরি করা হয়েছে শতাধিক ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি। এসব কাগুজে সমিতিতে নেই প্রকৃত কোনো মৎস্যজীবী। মৎস্যজীবীরা পুকুর সিন্ডিকেটের কাছ থেকে চড়া দামে পুকুর কিনে মাছ চাষ করেন। কৌশলে খাস পুকুর দখলে নিয়ে গোদাগাড়ীতে ক্ষমতাসীন কয়েকজন নেতা গত কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    অভিযোগ রয়েছে, এতদবন শত শত খাস পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় এসব পুকুরের পানি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। প্রভাবশালীরা এসব পুকুরের পানি জমিতে কৃষকের সেচ দিতে দেয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দখলদাররা কৃষকের কাছে এসব পুকুরের পানি বিক্রিও করে থাকেন। অথচ সরকারি এসব পুকুরের পানি ব্যবহার উন্মুক্ত থাকার কথা। এলাকার মানুষ গৃহস্থালি ও পশুপালনে আগে এসব পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারতেন। বেদখল থাকায় এখন এলাকাবাসী পুকুরগুলোতে নামতে পারেন না। এ রিট বাতিলের ফলে পুকুর গুলি থেকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেতে যাচ্ছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • আসন্ন শীত মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পাইকগাছার জে-লে পল্লীতে প্র-স্তুতি চলছে

    আসন্ন শীত মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পাইকগাছার জে-লে পল্লীতে প্র-স্তুতি চলছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা )।।

    আসন্ন শীত মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য পাইকগাছার জেলে পল্লীগুলোতে এখন ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। নতুন ট্রলার তৈরি এবং পুরাতন ট্রলার মেরামত, জাল বুনা ও জাল শুকানোর কাজের ধুম পড়ে গেছে। জেলে পল্লীর নারী-পুরুষ ও শ্রমিকরা সুন্দরবনের দুবলার চরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গোছাতে কর্মব্যস্ত দিন কাঁটাচ্ছে। মহাজনের চড়াসুদে দাদনে টাকা নিয়ে জীবিকার তাগিতে আশা-হতাশায় সাগর যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা।
    পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া, হিতামপুর, মাহমুদকাটী, নোয়াকাটি, কপিলমুনি, কাটিপাড়া, রাড়লী, শাহাপাড়া, বাঁকাসহ বিভিন্ন গ্রামের জেলে পল্লী থেকে প্রায় ২৫০টি ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সব কাজে বাড়ীর ছোট বড় সবাই সহযোগীতা করছে। নতুন ট্রালার তৈরি, পুরাতন ট্রলারগুলো সংস্কার, জালবুনা, লোহার নোঙ্গর/গ্রাফি, ট্রলারের রং করা, জালে গাবকুটে রস লাগানো ছাড়াও সমুদ্রে যাওয়ার বিভিন্ন কাজ কর্ম নিয়ে জেলে পল্লীর নারী-পুরুষরা ব্যস্ত দিন কাঁটাচ্ছে।
    উপজেলার বোয়ালিয়া মালোপাড়া সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মালোপাড়ায় ৩টি নতুন ট্রলার তৈরী করার কাজ চলছে ও ৩০ টি পুরাতন ট্রলার মেরামতের কাজ চলছে। মিস্ত্রীরা দিন রাত ট্রলার তৈরী কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ট্রলার তৈরী নিয়ে মালোপাড়ায় তৈরি হয়েছে উৎসব মূখর পরিবেশ। মালোপাড়ার সজ্ঞয় বিশ্বাস নতুন ট্রলার তৈরী করছেন, তিনি জানান, নতুন ট্রলার তৈরী করতে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। তাছাড়া সুবোল বিশ্বাস, সিতেরাম বিশ্বাস, তাপস বিশ্বাস, দয়াল মন্ডল তাদের পুরাতন ট্রলারগুলি মেরামত করছে। কপোতাক্ষ নদের তীরে বোয়ালিয়া ব্রীজের দুই পাশে ট্রলার তৈরী ও মেরামতের কাজ চলছে। বোয়ালিয়া মালোপাড়ার বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানায়, সমুদ্রে মাছ ধরতে য়েতে ১টি ট্রলার তৈরি করছে। মহাজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছে, সাগরে মাছ ধরে তা বিক্রি করে টাকা শোধ করবে বলে তিনি জানান।
    ট্রালার তৈরি করতে বিভিন্নস্থান থেকে ৪-৫ জন মিস্ত্রী আনতে হয়। মিস্ত্রীদের থাকা খাওয়া বাদে প্রতিটি নতুন ট্রলার তৈরী বাবদ মজুরী ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। ৬০ ফুট লম্বা ১৭ ফুট চওড়া একটি ট্রলার তৈরি করতে প্রায় ৫শত সেফটি কাঠ লাগছে। প্রতি সেফটি খৈ বাবলা ও চম্বল কাঠ ৬শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা দরে ক্রয় করেছে। পুরাতন ট্রলার মেরামত করতে ২০-৮০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ট্রালার তৈরি পর ইঞ্জিন বসাতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। প্রতিটি ট্রলারে জাল ধরার জন্য ২টি করে নোঙ্গর প্রয়োজন হয়। লোহার তৈরী নোঙ্গর তৈরী করতে খরচ পড়ছে প্রায় ২৮ হাজার টাকা। প্রতিটি মাছ ধরার জাল তৈরি করতে তাদের খরচ হচ্ছে ৯০ হাজার থেকে ১লাখ টাকা। সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রতি ট্রলারে ২টি জাল প্রয়োজন হয়। প্রতি ট্রলারে জাল ধরার জন্য ৮/১০ জন কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। তাদের থাকা-খাওয়া বাদে প্রতি মাসে ১৫/২০ হাজার টাকা বেতন দিতে হয়। সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ট্রলার প্রতি ৫/৬ মাসে সব কিছু মিলে খরচ পড়ে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা।
    মালোপাড়ার সিতেনাথ বিশ্বাস জানান, শীত মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য দুবলার চরে অস্থায়ী জেলে পল্লীতে বাসা বেধে থাকা ও মাছ শুকানোর আড়ত তৈরী করতে হয়। এর জন্য অনেক টাকার দরকার পড়ে। সব টাকা নিজের না থাকায় এলাকার বিভিন্ন মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা দাদন নিতে হয়। ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য তারা দাদন নিলেও ১ বছরের হিসাবে টাকা দিতে হয়। প্রতি ১ লাখ টাকায় মহাজনদের প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সুদ দিতে হয়। জেলেপাড়ার অজয় বিশ্বাস জানান, সরকার আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে লোনের ব্যবস্থা করত তাহলে মাছ ধরে উপার্জিত টাকা ঘরে ফিরে আনতে পারতাম। তা না হলে মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া চড়া সুদের টাকা শোধ করার পর উপার্জিত টাকা ঘরে ফিরে আসে না। তাই জেলে পরিবাররা সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছে, শীত মৌসুমে মাছ ধরতে যাওয়া সময় জেলেদেরকে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে তারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পাবে।
    বোয়ালিয়া জেলে পল্লীর জেলেরা দূর্গা পূজার পর উপজেলার সকল ট্রলার এক সঙ্গে রওনা দিবে। জেলেরা বিভিন্ন মহাজনের অধীনে থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। মহাজনরা জেলেদের পাস পারমিট করে রাখে। তারা মংলা হয়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে গিয়ে বাসা বেঁধে অবস্থান নিবে। জীবিকার জন্য প্রতি বছর সুমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বনদস্যু ও জলদস্যুদের সাথে জেলেদের জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে ভয়ংকর, বিক্ষুদ্ধ উত্তাল ঢেউয়ের সংগে যুদ্ধ করে জেলেদের জাল ফেলে মাছ ধরতে হয়। এতো বিপদের সংগে লড়াই করে তাদের জীবিকা অর্জন করতে হয়। জেলে পল্লী মানুষের আয়ের প্রধান উৎস্য সমুদ্রে মাছ ধরা। তবে এটা যেন তাদের নেশা ও পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই জেলে পল্লীর নারী-পুরুষ সবাই মিলে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র তৈরী ও গোছাতে দিন রাত কাজ করছে। এই নিয়ে জেলে পল্লীগুলোতে সাগর যাত্রার মহাকর্মযজ্ঞর প্রস্তুতি চলছে।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • দোয়ারাবাজার সীমান্তে ভারতীয় ১৪ গরু আ-টক

    দোয়ারাবাজার সীমান্তে ভারতীয় ১৪ গরু আ-টক

    হারুন অর রশিদ।

    দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলাধীন বাংলাবাজার ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় ১৪টি গরু আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বাশতলা বিউপির টহলদল সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা এই অবৈধ গরুর চালান জব্দ করে।

    বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বাঁশতলা বিওপির টহলদল সীমান্তের জুমগাঁও এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় এসব গরু আটক করে। আটক গরুর আনুমানিক বাজারমূল্য ১২ লাখ টাকা।

    আটক গরুর চালান প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুল্ক কার্যালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
    সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. ক. জাকারিয়া কাদির জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযান এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আটক গরুগুলো সুনামগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

  • গোদাগাড়ীতে  আইন শৃ-ঙ্খলা কমিটির  সভায়  ক্লিনিক, ভূ-য়া এনজিও, মা-দক ব্যবসায়ীদের  বিরু-দ্ধে ক-ঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান

    গোদাগাড়ীতে আইন শৃ-ঙ্খলা কমিটির সভায় ক্লিনিক, ভূ-য়া এনজিও, মা-দক ব্যবসায়ীদের বিরু-দ্ধে ক-ঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান

    গোদাগাড়ী ( রাজশাহী ) উপজেলা সংবাদদাতাঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সন্মেলন কক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে
    উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামসুল ইসলামের গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক অফিসার মোঃ আমিরুল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ অহেদুজ্জামান, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম শাওয়াল, সিসিবিভিও কর্মকর্তা মো নিরাবুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, সাদিকুল ইসলাম, আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, দৈনিক সোনালী সংবাদ প্রতিকার সাংবাদিক জামিল আহমেদ, সাংবাদিকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, দপ্তরের প্রধানগণ সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।

    বক্তাগণ গুরুত্বপূর্ন মতামত প্রদান করেন মাদক, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম মাথা চাড়া দিতে না পারে এজন্য প্রশাসন, বিজিবি পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

    সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ আইন শৃঙ্খলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অথচ চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাড়া কোন চেয়ারম্যান উপস্থিত নেই। গোদাগাড়ীর ক্লিনিকগুলি ব্যাপক অব্যস্থাপনা, যেনতেন টেষ্ট দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে, পুরুষ ডাক্তার দিয়ে মহিলাদের আপারেন্স করা, ডাক্তার, নাসদের রোগির সাথে খারাপ আচারণের ব্যপারে অভিযোগ তুলেন। গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা হাসপাতালে ডাক্তরগণ সময়মত মেডিকেল আসেন না, আবাসিক ব্যবস্থা থাকার পরেও ডাক্তার কর্মচারী কেউ কোয়াটারে থাকেন না, রোগিরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে হাসপাতালের পরিবেশ ঝোপ জঙ্গলে ভরে গেছে, মাদক ক্রয় বিক্রয় ও নেশাখোরদের আস্তানায় পরিনত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে। উত্তরে সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মোঃ শামসুল ইসলাম বলেন, আমরা গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা হাসপাতালে মাদকের আখড়ায় সফল অভিযান পরিচালনা করেছি, মিটিং এ অনু উপস্থিত চেয়ারম্যান ও ডাক্তারদের নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তাগাদা দেয়া এবং ক্লিনিং গুলি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
    উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ অহেদুজ্জামা বলেন,৫ অক্টোবর থেকে ২২ থেকে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন করা বন্ধ থাকবে। এ ব্যপারে সবার সহযোগিতা চাই।

    গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, গোদাগাড়ী থানায় এখন থেকে জমি জায়গা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ নেয়া হবে না। জিডি, মামলা করতে কারো মাধ্যমে আসার প্রয়োজন নেই। সরাসরি যার তিনি আসলেই হবে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ আছে, কাজ করছে। আগামী দূর্গা পূজায় সাবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

    সহকারী কমিশনার (ভূমি)
    মোঃ শামসুল ইসলাম বক্তব্য বলেন, গোদাগাড়ীর বড় সমস্যা মাদক, একজন মাদক ব্যাবসায়ী ১ হাজার পরিবার নষ্ট করে নিজে বাড়ী, গাড়ী, কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলবে একদিন তার পরিবার ধ্বংশ হতে বাধ্য। চর আষাদিয়াদহ এলাকায় বিজিবির ক্যাম্পে গরু নিয়ে গিয়ে নিবন্ধন করতে হয়, এটা গরু পালনকারীদের নিকট খুবই কষ্টকর। ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের নিকট আলোচনা করে বিজিবিকে বিষয়টি সুরাহা করার পরামার্শ দেয়া হয়। বাল্যবিয়ে, ইফটিজিং, সাপে কাটা রোগির ব্যপারে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
    গোদাগাড়ীতে দূর- দূরাত্বের থেকে মানুষ এসে যেন কষ্ট না পাই সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে গোদাগাড়ী থেকে থানার মোড় পর্যন্ত সুলতানগজ্ঞ মোড়ে, মহিশালবাড়ী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হয় এক শ্রেণীর যুবক বেপরোয়া গতিতে বাইক চালায় স্পীড ব্রেকার দেয়ার ব্যপারে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সাপে কাটা রোগির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে

    মোঃ হায়দার আলী
    গোদাগাড়ী, রাজশাহী।

  • নেছারাবাদে আটঘর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নি-রাপত্তা কর্মি নাজিরের বিরু-দ্ধে নানা অ-ভিযোগ

    নেছারাবাদে আটঘর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নি-রাপত্তা কর্মি নাজিরের বিরু-দ্ধে নানা অ-ভিযোগ

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি /

    নেছারাবাদে আটঘর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মি নাজিরের বিরুদ্ধে স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে গনিত শিক্ষককে জড়িয়ে মিথ্যে অপবাদ দেয়ার অপরাধে, নাজিরকে মৌখিক ভাবে সাময়িক স্কুলে না আসার জন্য বলেদিয়েছে প্রধান শিক্ষক। এ ছাড়াও নিরাপত্তা কর্মি নাজিরের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নানা অভিযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই নিরাপত্তা কর্মি কর্মক্ষেত্রে বহাল থাকে তাহলে এধরণের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। স্কুলের সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য সহ এলাকার অভিভাবকদের দাবি তাকে স্কুলে স্বপদে হাল থাকলে স্কুলের শিক্ষার্থী সহ শিক্ষকরাও ঠিক মতো ক্লাসে পাঠদান করতে পারবে না।

    ঐ বিদ্যালয়ের সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য সরোয়ার মাস্টার বলেন,স্কুলে নাজির ছেলেটার নিয়োগও সঠিক ভাবে হয়নি ৬ লাখ টাকা বিনিময়ে চাকরি নিয়েছে। আমি ঐ নিয়োগ বোর্ডে ছিলাম। আর শিক্ষককে নিয়ো ঘটনাটি রটিয়েছে এটা সত্যি না। সে একজন ভালো শিক্ষক। আর মেয়েটা এ বিষয়ে কিছু জানেই না। হয়তো ঐ শিক্ষকে কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়ার মতলব করেছিলো নাজিরের। আমরাও চাই ঐ নাজিরের বিরুদ্ধে স্কুল কতৃপক্ষ ব্যাবস্থা নিক।

    এ বিষয় ঐ স্কুলে গিয়ে নাজিরের দেখা না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দীন বলেন, প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে ছিলাম, নাজির সব শিকার করে নিজের ভুল শিকার করেছে। তাই তাকে মৌলিক ভাবে স্কুলে না আসার জন্য বলা হয়েছে। তবে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অবহিত করবো তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

  • আসন্ন দূর্গা উৎসব উপলক্ষে গৌরনদীতে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশা-সনের মত বিনিময় সভা

    আসন্ন দূর্গা উৎসব উপলক্ষে গৌরনদীতে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশা-সনের মত বিনিময় সভা

    গৌরনদী প্রতিনিধি।
    আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে গৌরনদী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গৌরনদীর মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন গৌরনদী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান, গৌরনদী সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল মামুন, গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তরিকুল ইসলাম, গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আমিরুল ইসলাম, গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহবায়ক ও গৌরনদী বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, গৌরনদী উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা পলাশ রায়, উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার হামমাদ বীন হোসাইন, গৌরনদী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দুলাল রায় দুলু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন পালরদী স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রাজা রাম সাহা। সভায় বক্তব্য রাখেন নলচিড়া মন্দির কমিটির সভাপতি তাপস বনিক, গৌরনদী বন্দর কমিটির সাধারন সম্পাদক গৌরাঙ্গ কুন্ড। সভায় গৌরনদী উপজেলার ৭৬টি মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদকগন উপস্থিত থেকে আসন্ন দূর্গা উপসব শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পরামর্শ দেন এবং প্রশাসন বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

  • মুকসুদপুরের কাশালিয়ার সৌদি প্রবাসী ঠিকাদার শাহাবুদ্দিন মিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে অ-পপ্রচারের প্র-তিবাদ

    মুকসুদপুরের কাশালিয়ার সৌদি প্রবাসী ঠিকাদার শাহাবুদ্দিন মিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে অ-পপ্রচারের প্র-তিবাদ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হান্নান মিয়ার সুযোগ্য সন্তান ও মালদিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী ঠিকাদার শাহাবুদ্দিন মিয়াকে নিয়ে একটি ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন লেখা পোস্ট করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে, শাহাবুদ্দিন মিয়ার সুনাম এবং তার দীর্ঘদিনের সমাজসেবামূলক কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কাশালিয়া ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও জনগণ এই মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
    ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার, সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে, জনগণের আওয়াজ নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি সহ একাধিক আইডিতে শাহাবুদ্দিন মিয়াকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এবং বানোয়াট কথাবার্তা লেখা হয়। সেই পোস্টে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলা হয়, কাশালিয়া ইউনিয়নের কিছু লোক, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং নিজেদেরকে হঠাৎ নেতা হিসেবে দাবি করছেন, তাকে জড়িয়ে নানা অভিযোগ তোলা হয়।
    এই লেখাটি কাশালিয়া ইউনিয়নবাসীর নজরে আসার পর, গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং তাদের সাথে থাকা জনগণও এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
    কাশালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাফিকুল ইসলাম ফকির বলেন, শাহাবুদ্দিন মিয়া কাশালিয়া ইউনিয়নের জনগণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তার বিরোধীরা তার জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে। ভালো মনের মানুষদের নিয়ে এমন মিথ্যা প্রচার করলে আগামীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখা দিতে পারে।
    কাশালিয়া ইউনিয়নের দারিয়া গ্রামের তপন মল্লিক বলেন, এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। শাহাবুদ্দিন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলে বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে ছিলেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলদের সহায়তা করেছেন। তাকে নিয়ে এই ধরনের পোস্ট ভবিষ্যতে বিএনপির রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে এবং ভুয়া ফেসবুক আইডি পরিচালনাকারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া জরুরী মনে করছে।
    কাশালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার লাইভ শিকদার বলেন, কাশালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে, নেতাকর্মীদের শক্তিশালী ও জনগণকে সুসংগঠিত করতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই শাহাবুদ্দিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে গোপালগঞ্জ-০১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিমুজ্জামান সেলিমের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হিন্দু, মুসলমান ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে কাজ করছেন তিনি। তার একমাত্র লক্ষ্য, সেলিমুজ্জামান সেলিমের পক্ষে ধানের শীষ প্রতিকে কাশালিয়া ইউনিয়নের জনগণের ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করানো। তার প্রচেষ্টায় এলাকার অধিকাংশ মানুষ এখন বিএনপির দিকে ধাবিত হচ্ছে।
    আলমাস ফকির বলেন, শাহাবুদ্দিন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এই ইউনিয়নের জনগণের পাশে রয়েছেন, দরিদ্রদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তাকে সমাজে ছোট করার জন্য এভাবে ফেসবুকে মিথ্যা লেখা হয়েছে।
    ফেসবুক পোস্টের পর কাশালিয়া ইউনিয়নের জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা একযোগে এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাহাবুদ্দিন মিয়ার পক্ষ নিয়েছেন এবং তিনি যাতে ভবিষ্যতেও তার কাজের মাধ্যমে জনগণের পাশে থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সু-দৃস্টি আকর্ষণ কেরেছেন।
    এ বিষয়ে সৌদি প্রবাসী শাহাবুদ্দিন মিয়া মুঠোফোনে বলেন, আমি এবং কাশালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাফিকুল ইসলাম ফকির গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ কাশালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নতুন বাজারে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং গোপালগঞ্জ-০১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আমার প্রাণপ্রিয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাইকে এক বিশাল গণসংবর্ধনা প্রদান করি। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কাশালিয়া গ্রামের সর্বস্তরের প্রায় ৫ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাজারো নেতাকর্মী ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, শ্লোগানে মুখর পরিবেশে মিছিলের মাধ্যমে সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাইকে বরণ করে নেন। উপস্থিত জনতা শ্লোগানের মাধ্যমে তাকে এই এলাকার ভবিষ্যৎ সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই অনুষ্ঠানে আমি প্রবাস থেকে মোবাইল ফোনে সংযুক্ত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করি, যা উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।
    এই গণজোয়ারের কারণে কিছু কুচক্রী মহল আমাকে রাজনৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে হেয় করতে এই মিথ্যা প্রচার ও লেখা লিখছে। আমি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং ওই ভুয়া ফেসবুক আইডি (জনগণের আওয়াজ) এর বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, ইনশাল্লাহ।

  • কোটালীপাড়ায় দলীয় শৃংখলা ভ-ঙ্গের অভি-যোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ব-হিস্কার

    কোটালীপাড়ায় দলীয় শৃংখলা ভ-ঙ্গের অভি-যোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ব-হিস্কার

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসলাম শেখকে বহিস্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিসিয়াল প্যাডে (১৭ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা ও সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিক্ষপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রেস বিক্ষপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসলাম শেখকে আহবায়ক কমিটি থেকে বহিস্কার করা হলো। একই সঙ্গে দলীয় কোন কার্যথকলাপে আসলাম শেখ অংশগ্রহণ না করতে এবং তার সাথে দলীয় কোন বিষয়ে যোগাযোগ না রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হলো।
    জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা জানান, কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আসলাম শেখের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খল চলাফেরা, অসাংগঠনিক কার্য্ক্রম এবং দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ রয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

  • জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে মানিকগঞ্জ জেলাকে হা-রাল ময়মনসিংহ

    জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে মানিকগঞ্জ জেলাকে হা-রাল ময়মনসিংহ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    দেশজুড়ে নতুন করে ফুটবল উম্মাদনা ছড়িয়ে দিতে চলছে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর অংশ হিসেবে এই আসরে অংশ নিয়েছে ৬৪টি জেলা।

    তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৭সেপ্টেম্বর)বিকালে
    ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) যৌথভাবে আয়োজিত খেলায় মানিকগঞ্জ জেলাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক ময়মনসিংহ জেলা। এর আগে এ্যাওয়ে ম্যাচটি উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
    চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি গ্রুপের নামকরণ করা হয়েছে জুলাই শহীদদের নামানুসারে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, “মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি তরুণ সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।”

    উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হয় ময়মনসিংহ জেলা ফুটবল দল এবং মানিকগঞ্জ জেলা ফুটবল দল। খেলাটি দেখতে স্টেডিয়ামে দুই জেলার হাজারো ফুটবলপ্রেমী দর্শকের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা খেলোয়াড়দের মাঝে বাড়তি উদ্দীপনা যোগায়।

    এসময় ময়মনসিংহের রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনসহ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন ইলিশের প্রথম চা-লান গেলো ভারতে

    দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন ইলিশের প্রথম চা-লান গেলো ভারতে

    আজিজুল ইসলাম  : আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে, ভারতে ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। 

    মঙ্গলবার রাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে কোরে ইলিশ মাছের প্রথম চালান ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক শমীম হোসেন।

    বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারতের কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল ইলিশগুলো ভারতের হয়ে আমদানি করেছে। আর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করেছে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও লাকী ট্রেডিং কোম্পানি।

    আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভারতে মোট এক হাজার ২শ’ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ টন কোরে মোট ৭৫০ টন, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন কোরে ৩৬০ টন, এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ টন করে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।