Blog

  • শেখ আব্দুর রউফের ব-হিষ্কারাদেশ প্রত্যা-হারের দাবিতে সুজানগরে বিশাল বিক্ষো-ভ মি-ছিল

    শেখ আব্দুর রউফের ব-হিষ্কারাদেশ প্রত্যা-হারের দাবিতে সুজানগরে বিশাল বিক্ষো-ভ মি-ছিল

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: পাবনার সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। উপজেলার তঁাতিবন্দ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অসংখ্য নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে শনিবার বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পোড়াডাঙ্গা বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ হয় । পরে ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার গোলাম আযমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোর্তজা, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম, মজিবর রহমান খান ,আলাউদ্দিন আলাল,আবুল কালাম, সাফা,আলী আকবর , শরিফুল ইসলাম, মণিরুজ্জামান মান্নান, আব্দুল মালেক, মুক্তার শেখ,তোরাপ আলী, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজা , এস এম রাজা ও পিকে সাব্বির প্রমুখ। এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন , কেন্দ্রীয় কমিটিকে ভুল বুঝিয়ে উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ও জনবান্ধব নেতা শেখ আব্দুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা বিক্ষুব্ধ করেছে নেতাকর্মীদের।শিগগির এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তারা আরো বলেন, শেখ আব্দুর রউফ আন্দোলন-সংগ্রামে বহুবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রাখলে দলটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। তাই তারা বিএনপি’র মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে পুনর্বিবেচনা করে শেখ আব্দুর রউফ এর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার বিনীত অনুরোধ জানান।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • পাইকগাছার গদাইপুর বাজারে গা-ছের চারার হাট জমে উঠেছে

    পাইকগাছার গদাইপুর বাজারে গা-ছের চারার হাট জমে উঠেছে

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।। পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর বাজারে ভোর বেলার গাছের চারার হাট জমে উঠেছে। হাটে প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ-বনজ, ফুল ও ঔষধী গাছের চারা উঠছে। ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সমাগমে নার্সারী চারার হাট জমে উঠেছে। ভোরের হাট সকাল ১০টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তবে স্থানীয় ক্রেতাদের জন্য বিকাল বেলাও আংশিক এলাকায় চারার হাট বসেবর্ষাকাল বৃক্ষরোপনের উপযুক্ত সময়। পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের অবদান অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পরিবেশ সুরক্ষা অসম্ভব। আষাঢ়-শ্রাবন বর্ষাকাল শেষ হলেও এখনও বর্ষাকালের মতো বৃস্টি হচ্ছে। এতে চারা রোপনের উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই গদাইপুরে ভোরবেলার চারার হাটে বিভিন্ন প্রকারের চারা ক্রয়- বিক্রয়ের হিড়িক পড়েছে।গদাইপুরে ভোরবেলার চারার হাট দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। কয়রা, দেবহাটা, তালা ও আশাশুনিসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতারা ভোরবেলার হাট থেকে পছন্দমত বিভিন্ন প্রজাতির চারা ক্রয় করছেন।দক্ষিণ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার পাইকগাছার গদাইপুর। এ বাজারে সপ্তাহে শুক্রবার, সোমবার ও বুধবার হাট বসে। হাটে পাইকারী ও খুচরা বিভিন্ন মালামাল বিক্রয় হয়। বর্ষাকালে ভোরবেলা বাজারে চারার হাট দক্ষিণ অঞ্চলে ব্যবসায়ী ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গদাইপুর নার্সারীর জন্য বিখ্যাত। গদাইপুরের নার্সারীর চারা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশ ব্যাপি গদাইপুর নার্সারীর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। গদাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় সাাড়ে ৪শত নার্সারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ সকল নার্সারীতে উৎপাদিত বিভিন্ন চারা ও কলম নার্সারী মালিকরা ভোরবেলা গদাইপুর হাটে তুলছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা খুব ভোরে এসে পছন্দমত চারা ক্রয় করে দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন হাটে বিক্রয় করছে। হাটে আম, কাঁঠাল, জাম, জামরুল, লিচু, কদবেল, বিভিন্ন জাতের কুল, পেয়ারা, বাতাবি লেবু, মাল্টা, কমলা লেবু, দেশী বিদেশী নারিকেল চারা, সুপারী, মেহগনি, সিরিশ, লম্বুসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী ফুলের চারা হাটে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। ক্রেতারা বাজার ঘুরে পছন্দমত গাছ কিনছে। সর্বনিন্মে ২০ টাকা থেকে ৬শ টাকা দরে কলম বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা ও কমলা লেবুর চারা ও বিদেশী নারিকেলের চারা দাম বেশী। বিদেশী নারিকেলের চারা ৫শ টাকা, বড় মাল্টা ও কমলা লেবুর চারা প্রায় ৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া চারা বড় ও মানের উপরে বিভিন্ন দামে চারা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রচুর পরিমানে গাছের চারা উঠেছে। বাজার ঘুরে পছন্দমত চারা ক্রয় করা যাচ্ছে এবং বাজারের চারা দামও কম।কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী গ্রামের ব্যবসাহী আব্দুল করিম জানান, সোহবান, রহিম, রহমতসহ সাত-আটজন রাত দুইটায় রওনা দিয়ে সকালে গদাইপুর চারার হাটে এসেছে। চারা কিনে তারা কাশীর হাটে বিক্র করবেন। তাছড়া পাটকেলঘাটা, কুলিয়া, আাঠার মাইলসহ বিভিন্নস্তান থেকে ব্যবসাহীরা কলমের চারা কিনতে বাজারে এসেছে। গদাইপুর গ্রামের চারা ব্যবসাহী মোবারক হোসেন ও মিজানুর রহমান জানান, এবছর প্রচুর বৃস্টি হচ্ছে আর বৃস্টি শুরু হওয়ায় চারার চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে ।পাইকগাছা উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার পাল জানান, গদাইপুর এলাকায় ছোট বড় প্রায় সাড়ে ৪শ নার্সারী রয়েছে। এ সকল নার্সারী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারা সরবরাহ করা হয়। তবে গদাইপুর বাজারে ভোরবেলার হাটে প্রচুর পরিমাণ চারা উঠছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমত চারা ক্রয় করতে পারছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, পরিবেশ সু-রক্ষায় বৃক্ষের অবদান অপরিসীম। সারাদেশে সরকারি ভাবে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পুরণে বাড়ির আঙ্গিনায় চার-পাঁচটি ফলদ বৃক্ষ রোপন করার জন্য কৃষকদেও প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। গদাইপুরে ভোরবেলা হাট থেকে ক্রেতারা চারা ক্রয় করে সূর্যের তাপ ছাড়াই সুস্থ্য ও সবল চারা চারা গন্তব্যস্থানে নিয়ে যেতে পারে। এতে চারার মানও ভাল থাকে। এ কারণে ভোরবেলার গদাইপুর হাটে চারার হাট থেকে ক্রেতাদের চারা ক্রয়ের আগ্রহ বাড়ছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা, খুলনা।

  • নড়াইলে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে আই-ন শৃ-ঙ্খলা বিষয়ক মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    নড়াইলে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে আই-ন শৃ-ঙ্খলা বিষয়ক মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলের কালিয়া ও নড়াগাতী থানায় আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
    আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন উপলক্ষ্যে উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কালিয়া থানা নড়াগাতী থানায় আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে কালিয়া ও নড়াগাতী পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রবিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার, নড়াইল।
    মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার তার বক্তব্যের শুরুতে সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং পূজা উদযাপন বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা ও মত প্রকাশ করেন। পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নড়াইল জেলা পুলিশ সর্বদা আপনাদের পাশে রয়েছে এবং থাকবে। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সরকারি সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ পূর্বক শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে এবং নড়াইল জেলা পুলিশের মেসেজ তৃণমূল পর্যায়ে সকলের নিকট পৌঁছে দিতে আহবান জানান।
    এ সময় তিনি পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, কলাপসিবল গেটের ব্যবস্থা করা, পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূজা মন্ডপে পালাক্রমে ডিউটির ব্যবস্থা করার জন্য পূজা উদযাপন কমিটিকে অনুরোধ করেন। নারী ও শিশুদের প্রতি বিশেষ নিরাপত্তা এবং মাদক থেকে বিরত থাকতে সবাইকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।
    এছাড়া কোথাও কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ৯৯৯ অথবা পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবহিত করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
    উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, নড়াইল, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নড়াইল জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

  • ১ ঘন্টার পথ হবে ১০ মিনিট, গোদাগাড়ীতে জ-রুরি পরিসেবায় স্পীড বোট- প্রশাং-সায় ভাস-ছে ইউএনও

    ১ ঘন্টার পথ হবে ১০ মিনিট, গোদাগাড়ীতে জ-রুরি পরিসেবায় স্পীড বোট- প্রশাং-সায় ভাস-ছে ইউএনও

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। মানুষের বিপদের সময় তার পাশে থেকে সহযোগিতা করাই মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত। একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে একটি প্রাণ বাঁচে; একজন মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখে তাতেই হয়তো জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের অনেক এলাকায় প্রবল নদী ভাঙ্গন বন্যায় পীড়িত মানুষ। তাদের বাড়ি-ঘর নিমজ্জিত, চারদিকে পানি। খাবার তো দূরের তুমুল চাহিদা আর জনপ্রিয়তার ফলে গোদাগাড়ীতে চালু হলো স্পিডবোট সার্ভিস।

    পরীক্ষামূলকভাবে গোদাগাড়ী থানা ঘাট থেকে বোটটি রেলবাজার রুটে প্রায় ২ কিলোমিটার নৌপথে চালিয়ে উদ্বোধন করেন গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ । এসময় ইউএনওর উপস্থিতিতে এলাকার জনসাধারণ ঘুরে ঘুরে দেখেন। উদ্বোধনের পর প্রাথমিকভাবে চালু হওয়া এই সেবার পরিসর পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    ২১ সেপ্টেম্বর ( রবিবার) বেলা ৪ টায় গোদাগাড়ী মডেল থানা ঘাট এলাকায় স্পিডবোটটি উদ্বোধন করা হয়। এটি জরুরি চিকিৎসা, প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালে পৌছানো, সাপে কাটা রোগীদের বহনসহ প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সাফিনা পার্ক লিমিটেড’ র সৌজন্যে এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চরবাসীর সুবিদার্থে বোটটি চালু করা হয় ।

    এঁকেবেঁকে চলা নদীর টলমলে পদ্মার পানির মাঝে ছুটে চলছে স্পিডবোট। গোদাগাড়ী মডেল থানা ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে হাটপাড়া ঘাট এবং রেলবাজার ঘাট এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখা হয়। নদীর তীরে শ শ মানুষ দাঁড়িয়ে দেখলেন এ দৃশ্য। যেখানে নদীপথ ১ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যা, সাপেকাঁটা রোগিসহ বিভিন্ন ধরণের রোগি নদী পারাপারের সময় মৃত্যুর মূখে ঢলে পড়ত । এখন সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।
    স্পিডবোট সুবিধা থাকলে অপেক্ষমান থাকতে হবে না। অল্প সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। স্পিডবোট থাকলে যেতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। তাই পর্যায়ক্রমে চাহিদা অনুযায়ী আরও বোট সার্ভিস চালুর কথা জানান ইউএনও ফয়সাল আহমেদ।

    ইউএনও ফয়সাল আহমেদ আরও জানান, আমি কিছুদিন আগে শুনেছি চর আষাড়িয়াদহ এলাকার একজন সাপে কাটা রোগী মারা গেছেন। তাকে সদর হাসপাতালে নিতে দেরি হওয়ায় চিকিৎসা ব্যহত হয়েছিল । এর ফলশ্রুতিতেই রোগি মারা যান। এছাড়াও প্রসূতি মায়েদের জন্য জরুরি চিকিৎসা সেবা পেতে বোটটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের
    চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ভোলা জানান, কোন ভালকাজ সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা আসবেই। তার পরেও ভাল কাজ করতে হবে। অবহেলিত ইউপিতে মিনি শিশুপার্ক, খেলাধুরার সামগ্রী বিতরণ, ক্লাব গঠন, শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে প্রশাংসায় ভাসছেন ইউএনও ফয়সাল আহমেদ। আজকে নতুন সংযোজন হলো স্পিডবোট। ফলে চর এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটল। সাপেকাটা রোগি, গর্ভবতি রোগদের ওপারে হাসপাতালে নিতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হত। এখন সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট এবং বিনামূল্যে এসুযোগ গরীর, অসাহায় মানুষ ও রোগিরা।
    মাদকপ্রবন এলাকা গোদাগাড়ী পদ্মার ওপারে ভারত সংলগ্ন পদ্মার চর। এই পথে মাদক চোরাচালান হয়ে থাকে স্পিডবোট থাকলে মাদক চোরাচালান রোধেও প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পারবেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • বানারীপাড়ায় জুলাই শ-হীদদের কবর সংরক্ষণ ও বাঁধাইয়ের কাজ সম্পন্ন প্র-সংশায় ভাসছেন ইউএনও;

    বানারীপাড়ায় জুলাই শ-হীদদের কবর সংরক্ষণ ও বাঁধাইয়ের কাজ সম্পন্ন প্র-সংশায় ভাসছেন ইউএনও;

    সাব্বির হোসেন//
    বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো সরকারি নির্দেশনায় গণআন্দোলনের শহীদদের কবর সংরক্ষণ ও বাঁধাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ বায়েজিদুর রহমানে নেতৃত্বে এই কাজ সম্পন্ন হয়।

    ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-আন্দোলনে চারজন ছাত্র-জনতা শহীদ হন। তারা হলো বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী শহীদ তাহিদুল ইসলাম, দুজন গার্মেন্টস কর্মী রাকিব বেপারী,আল-আমীন রনি, ওয়ার্কশপ কর্মী হাফেজ জসীম উদ্দিন। তাদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ ও আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার এই কবর সংরক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।
    ইতিমধ্যে শহীদদের কবর বাঁধাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিচর্যার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি কবর স্থানে সংরক্ষিত তথ্য ফলকও স্থাপন করা হচ্ছে, যাতে দর্শনার্থীরা শহীদদের নাম, অবদান ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট জানতে পারেন।

    ইউএনও বায়েজিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও অধিকার রক্ষার সংগ্রামে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানানো প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।তবে বাংলাদেশ সরকার জুলাই শহীদদের মর্যাদা রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে বেশকিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে তার মধ্যে কবর সংরক্ষণ অন্যতম।
    উল্লেখ্য,বরিশাল জেলার মধ্যে বানারীপাড়া উপজেলায় জুলাই ২০২৪ এ ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনের প্রকোপ সরকার ও প্রশাসনের টনক নাড়িয়েছ।

  • তুলসীঘাট ডিগ্রি কলেজের যতসব অ-নিয়ম দুর্নী-তির খ-ন্ড চিত্র

    তুলসীঘাট ডিগ্রি কলেজের যতসব অ-নিয়ম দুর্নী-তির খ-ন্ড চিত্র

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    তুলসীঘাট শামছুল হক হক ডিগ্রী কলেজের বিভিন্ন খাতের অর্থ ব্যক্তিগত একাউন্টে লেনদেনসহ
    অবৈধ নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় শোকজ।

    গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলসীঘাট শামছুল হক ডিগ্রী কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতিসহ অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হওয়ায় শোকজ। এসব বিষয়ে নিয়ে তদন্তে নামে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা শাখা (মাউশি)। বিগত ০৭/১১/২১ তারিখে সরেজমিন তদন্ত করে ২৬/০১/২২ তারিখে প্রতিবেদন পেশ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা শাখা। তদন্তে কলেজের বিভিন্ন খাত হতে আয়কৃত অর্থ তৎকালীন অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে লেনদেন, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দুইজন সহকারি অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম মন্ডল ও নূর নেহার ইয়াসমিন সরকার এবং কম্পিউটার প্রদর্শক মো. তৌফিকুল ইসলাম মন্ডলের নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হয়।
    কলেজের আয়কৃত অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন হইতে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। বিগত ২৬/০১/২০২২ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাউশির দীর্ঘ সূত্রিতায় অবৈধ নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। গত ০৩/০৮/২০২৫ তারিখে মাউশি কর্তৃক কলেজের অধ্যক্ষের বরাবর শোকজ নোটিশ প্রেরণ করেন। কেন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০২১ এর ১৮(খ) ও ১৮(গ) মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে জবাব চেয়েছেন মাউশি। উক্ত ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অবৈধ নিয়োকৃত শিক্ষকদের এমপিও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
    ইতোপূর্বে তুলসীঘাট শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের কারিগরি শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক এসএম শামীম সুলতান সুমনের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় বিগত ২৮/০১/২০২১ তারিখের এক প্রজ্ঞাপনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর উক্ত শিক্ষকের এমপিও আবেদন বাতিল করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ও বর্তমান সভাপতির অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ায় উক্ত অবৈধ নিয়োগকৃত শিক্ষক এসএম শামীম সুলতান সুমনকে কলেজ থেকে মাসিক ভাতা দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত রাখছেন। অনতিবিলম্বে উক্ত অবৈধ নিয়োগকৃত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০২১ এর ১৮(খ) ও ১৮(গ) ধারা মোতাবেক এমপিও বাতিল করিয়া সরকারি অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরতসহ কাম্য যোগ্যতাহীন শিক্ষক এসএম শামীম সুলতান সুমনকে কলেজ হতে অব্যহতি প্রদান করিয়া কলেজটিকে ধ্বংসের হাত হইতে রক্ষা করা আশু প্রয়োজন।
    অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মন্ডল (সহকারি অধ্যাপক কম্পিউটার) তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এ রকম সাংবাদিক বহুবার এসেছে কিছুই করতে পারে নাই।
    তৌফিকুল ইসলাম (লাইব্রেরিয়ান) বলেন,আপনাদের তথ্য কে দিলো, তাকে খুন করে ফেলবো বলে হুমকি প্রদর্শন করেন।
    এসএম শামীম সুলতান সুমন কারিগরি শাখার প্রভাষক (বাংলা) বলেন,আমার তো,এমপিও হয়নি। আমার বিষয় নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে।
    এসব বিষয়ে অত্র কলেজের বর্তমান অধ্যাপক শফি আহম্মেদ সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি মাত্র ১ মাস হলো যোগদান করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষকরা কেউই আমাকে ফাইল দিচ্ছে না। ওই শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানাবো।।

  • ক্যামেরা ধরার কারণে সাংবাদিককে স-ন্ত্রাসী বললেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট

    ক্যামেরা ধরার কারণে সাংবাদিককে স-ন্ত্রাসী বললেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমান সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী বলে গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর আজকের এই ঘাটে কার্যক্রম থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
    জানা যায়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীর আওলিয়া ঘাটে মহালয়া উপলক্ষে শতাধিক যাত্রী বহনকারী নৌকা ডুবে যায়। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় ৭১ জনের মৃত্যু হয়। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নৌকাডুবির তিন বছর পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে ৬–৭ জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যান।
    এ সময় করতোয়া নদীর ঘাটে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমান সাংবাদিকদের নদী পার হতে বাঁধা দেন। সেই সময়ে নদীতে তিন থেকে চারটি নৌকা চলাচল করছিল এবং নৌকায় মোটরসাইকেলও পারাপার হচ্ছিল। কিন্তু সাংবাদিকরা নৌকায় উঠতে চাইলে তিনি বাধা দিয়ে বলেন মোটরসাইকেল নেওয়া যাবে না। সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন—“যখন অন্যরা মোটরসাইকেল পার হচ্ছে, আমরা কেন নিউজের কাজে যেতে পারব না?” এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনি আল জাজিরার সাংবাদিক হন আর যেই সাংবাদিক হন, তাতে আমার যায় আসে না। যেতে পারবেন না।” তাঁর এমন আচরণের সাংবাদিকরা ক্যামরায় রেকর্ড করলেই কিছুক্ষণ পরেই তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আরও অশালীনভাবে বলেন, “আপনারা সন্ত্রাসী।” শতাধিক লোকের সামনে সাংবাদিকদের এভাবে অপমানিত করার ঘটনায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

    এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি নূর হাসান বলেন, “আমরা মহালয়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দায়িত্বটা তো ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে বাধা প্রদান করেন। ঘাটে একবারে ফাঁকা ছিল এবং অন্যান্য ব্যক্তিদেরও যেতে দেখা যায় মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকা পারাপার হতে। ইউএনও নিজেও নৌকায় করে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘাট পারাপার হচ্ছিলেন। তাহলে সাংবাদিকদের যেতে বাধা কেন?”
    বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের সাংবাদিক পরিচয় শুনে রেগে গিয়ে বলেন, ‘আল জাজিরা সাংবাদিক হন যে সাংবাদিক হন, যেতে পারবেন না।’ অন্যরা যেতে পারলে আমরা কেন যেতে পারবো না, এ কথা বলে তিনি আমাদের বলেন, ‘আপনারা তো সন্ত্রাসী।’ একাধিক সাংবাদিককে এভাবে সন্ত্রাসী বলে গালিগালাজ করতে পারেন না।”
    এদিকে, ঘটনার সময় বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সাংবাদিকরা তাকে বিষয়টি জানালেও তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। বরং সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, “কি পারেন করেন।”
    ঘটনা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী সাংবাদিকদের জানান, ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে আজকের এই ঘাটে কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

  • রংপুরে সাংবাদিক তু-লে নিয়ে মা-রধর রসিকের প্রধান নির্বাহী প্র-ত্যাহার ও দো-ষীদের গ্রে-প্তারে ২৪ ঘণ্টার আ-ল্টিমেটাম

    রংপুরে সাংবাদিক তু-লে নিয়ে মা-রধর রসিকের প্রধান নির্বাহী প্র-ত্যাহার ও দো-ষীদের গ্রে-প্তারে ২৪ ঘণ্টার আ-ল্টিমেটাম

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সিনিয়র সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে রংপুরে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও পেশাজীবী সাংবাদিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশের উপস্থিতে গেট বন্ধ করে রসিকের কর্মচারী আরেক দফা হামলা চালায় এবং সাংবাদিকদের হেনস্থা করে সিটি করপোরেশন থেকে বের করে দেয়। এ সময় আরও দুইজন আহত হন।

    আজ রোববার বেলা ১টা দিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে এ ঘটনা। দুপুর ১২টার দিকে একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার লিয়াকত আলী বাদলকে কাচারী বাজার থেকে তুলে নিয়ে যায় রকি ও তাঁর লোকজন। ঘটনা জানাজানি হলে সিটি করপোরেশন ছুটে যান রংপুরের কর্মরত সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা।
    বক্তারা জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা। তারা অবিলম্বে প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতেমার প্রত্যাহার ও হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

    আগামী সোমবার সকাল ১১টায় মানববন্ধনসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সাংবাদিক নেতারা জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনের অবস্থান কর্মসূচির পালন করছেন।

    রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি । সিসি টিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের আইনে আওতায় আনা হবে । ইতিমধ্যে এক জনের নাম জানতে পেরেছি।

  • উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের আ-স্থা ফিরি-য়ে আনতে সময়মতো কাজ শেষ করা জরুরি-ডিসি মুফিদুল আলম

    উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের আ-স্থা ফিরি-য়ে আনতে সময়মতো কাজ শেষ করা জরুরি-ডিসি মুফিদুল আলম

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চ্যালেঞ্জগুলোর জেলা প্রশাসন ও সকল দপ্তরের সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত সম্পাদন করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) মুফিদুল আলম। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। দীর্ঘসূত্রিতা যেন না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সজাগ থাকতে হবে। উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সময়মতো কাজ শেষ করা জরুরি।

    রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্য পরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের প্রতি এমন নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

    তিনি আরো বলেন, সবশেষে আমরা আলোচনা করেছি যে কিভাবে আমরা দূর্গাপুজাটাকে একেবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি এবং নিরিবিচ্ছিন্নভাবে এবং শান্তিপূর্ণবাবে আমরা উজ্জাপন করতে পারি, সে বিষয়ে আমাদের কর্মচারীদের যার যার অবস্থান থেকে সহযোগীতা চেয়েছি। তাদেরকে সর্বোচ্ছ সতর্কতার সাথে পুজাটাকে নির্বিগ্নে পালনের জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

    সভায় সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত থেকে তাঁদের নিজ নিজ বিভাগের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

    ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি জানান, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় নিয়ম বহির্ভূত হাইরাইজ বিল্ডিংগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রতিনিধি বলেন, সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে সেখানে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের অধীন বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, ধোবাউড়া উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ গোয়াতলা স্টিল ব্রিজের সংস্কার কাজ উপজেলা রাজস্ব তহবিল থেকে চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং গাজীপুর থেকে স্টিলের ডেক স্লাব সংগ্রহ করে মেরামতের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

    সভায় জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম আরও বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে সকল দপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় অপরিহার্য। জনগণের দোরগোড়ায় উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল ও আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

    সভায় সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,
    পুলিশ সুপারসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় জেলার চলমান প্রকল্প, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় ডিসি মুফিদুল আলম সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

  • ধ-র্ষণে অ-ন্তঃসত্ত্বা মাদরাসাছাত্রী, অ-ভিযুক্ত গ্রে-প্তার

    ধ-র্ষণে অ-ন্তঃসত্ত্বা মাদরাসাছাত্রী, অ-ভিযুক্ত গ্রে-প্তার

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    তেঁতুলিয়ায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসাছাত্রী, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

    রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

    এর আগে গতকাল শনিবার রাতে ওই ভুক্তভোগী মাদরাসার ছাত্রীর নানি বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা করার পর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছোট থেকেই নানির বাড়িতে বসবাস করে। গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই মাদরাসার ছাত্রী তার নানির বাড়ির পাশে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মাংস আনতে গেলে জামাল উদ্দিন বাড়িতে লোকজন না থাকায় তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে ভুক্তভোগী অস্বীকৃতি জানালে জামাল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এর পর ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই মাদরাসাছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে।

    মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তিনি তার স্ত্রী ও ভাইসহ আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। গত ১৪ জুন সকালে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবার।

    এজাহারে জামাল উদ্দিন ছাড়াও আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জামাল উদ্দিনের ভাই ও স্ত্রী রয়েছেন।

    এদিকে মামলার বাদী ও ওই ছাত্রীর নানি জানান, ভুক্তভোগী আমার ননদের নাতনি। ছোটবেলা থেকে আমার ননদের কাছে বড় হয়েছে। কয়েক মাস আগে তার নানি মারা গেলে নাতনির দায়িত্ব আমি ও আমার পরিবার নিই। অভিযুক্ত জামাল প্রথম দিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে তালবাহানা করে। তাই বিচার না পেয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।