Blog

  • তাপদাহে গোদাগাড়ীসহ উত্তাঞ্চলের জনজীবন অতি-ষ্ঠ

    তাপদাহে গোদাগাড়ীসহ উত্তাঞ্চলের জনজীবন অতি-ষ্ঠ

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের জেলার উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে প্রখর তাপদাহ আর তীব্র গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ওয়াটার লেভেল অস্বাভাবিকভাবে নীচে নেমে যাওয়ায় বেশীরভাগ নলকূপে পানি উঠেনা। শ্যালো টিউবল ডিপ টিউবলে পানি কম উঠায় সেচ খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    সূর্য উদয় হচ্ছে আগুনের হল্কা নিয়ে। পুড়ছে মানুষ পুড়ছে প্রকৃতি। বিপর্যস্ত জনজীবন। দুপুরের মধ্যেই আবহাওয়া অসহনীয় হয়ে উঠছে। কদিন ধরেই তাপমাত্রার পারদ উঠছে। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। গতকাল শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

    দিনের পুরো সময় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। রাতেও প্রায় একই অবস্থা। উপজেলার শ্রমজীবী মানুষজনকে জীবিকার তাগিদে প্রখর তাপদাহ সহ্য করে তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে হচ্ছে। অন্যান্যরা প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। তীব্র গরমের কারণে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, প্রেমতলী হাসপাতাল স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দুপুর ২টার পর শহর ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড গরমে শহরের ব্যস্ত জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে যানবাহনসহ মানুষের চলাচল সামান্য দেখা যায়। কাজের প্রয়োজনে যারা বেরিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই ছাতা বা মাথায় গামছা ব্যবহার করছেন। মার্কেটগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। তবে এই অসহনীয় গরমে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রিকসা চালক রুবেলের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, গরমে বেহাল অবস্থা পেটের দায়ে বের হয়েছি। কড়া রোদের কারণে ঘামে জামাকাপড় ভিজে যাচ্ছে। গরমে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। তিন চার বারের বেশী ভাড়া মারা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে রিকশা চালাতে হচ্ছে।

    মাটি কাটার কাজ করেন, গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিশালবাড়ী মহল্লার মোঃ এনামুল হক, পেটের দায়ে মাটিকাটা ও বালি উঠানোর মত কঠিন কাজ করতে হয়। অত্যাধিক গরমের
    কারণে শ্রমিকগন দিনে কাজ করতে পারছেন না। ভোর রাত থেকে মাটি কাটার কাজ করি এবং সকাল সাড়ে ৭ দিকে বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে দিতে হয়। আমাদের ইনকাম কমে গেছে।

    শুধু মাটিকাটা শ্রমিক এনামুল রিকসা চালক রুবেল নয়, তাঁর মতো তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অটো-চালক, ভ্যান চালক থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর শ্রমজীবী মানুষসহ পথচারীরা। এমনকি গরমে প্রাণীকুলও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
    গরম থেকে স্বস্তি পেতে মানুষ, পদ্মা নদী পুকুর বিলে, গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে। অনেকে বাড়ীর ছাঁদে বস্তা বিছিয়ে পানি দিয়ে ভিজয়ে রাখছেন, তালের শাস, আম, শরবত পান করে ক্লান্তি দুর করার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন বয়সী মানুষজন গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে সাফিনা পার্কের সুইমিংপুলে ভিড় জমাচ্ছেন। এ সুযোগে সুইমিং পুলের সংশ্লিষ্টরা সেখানকার টিকিটের মূল্যও বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
    এদিকে প্রখর তাপমাত্রার প্রভাবে গ্রামাঞ্চলে শাক-সবজি আবাদেও ক্ষতি হচ্ছে । বিভিন্ন স্থানে পানির স্তর নীচে নেমে গেছে। চলমান তাপদাহে কৃষি শ্রমিকসহ দিন আয়ের মজুরদের কাজ করা কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। এর সঙ্গে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং জনজীবনকে আরও বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে।

    সবচেয়ে বেকায়দায় রয়েছে শ্রমজীবীরা। রিকশাচালক, দিন খেটে খাওয়া মানুষ আগুনের হল্কা মাথায় নিয়েই বের হচ্ছে কাজের সন্ধানে। দুপুরের মধ্যেই মরা পদ্মার বিশাল চর তপ্ত কড়াইয়ে পরিণত হচ্ছে। সেখান থেকে বাতাসে বলিকণার ঝাপটা চোখে মুখে জ্বালা ধরাচ্ছে। সবচেয়ে কষ্টে আছে নদী তীরবর্তী মানুষ। তাদের ছোট্ট ছোট্ট টিনের চালা ও বেড়ার ঘর পরিণত হচ্ছে তপ্ত ওভেনে। তাপ যেন টিন ছুঁইয়ে নামছে ভেতরে। এক দমবন্ধকর অবস্থা। বাড়ির ছাদের উপর পানির ট্যাঙ্কিগুলো গরম পানির আধারে পরিণত হচ্ছে। গরমে রাস্তার পিচ গলে যাওয়ায় চাঁকা পিচে দেবে যাচ্ছে। এখন চলছে মাঠে মাঠে বেরো ধান কাটার শেষ মৌসুম। ধান কাটার শ্রমিকরাও পড়েছে বিপাকে। গেরস্থ চায় দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে। আবহাওয়ার মতি গতি ভালো না। কখন যে ঝড় বৃষ্টি হয়। তাপদাহের প্রভাব পড়েছে আম লিচুর তাড়াতাড়ি পেঁকে যাচ্ছে। তাপদাহের কারণে বাজারে দিনের বেলায় মানুষ আসছে কম। ফলে সেখানেও বেচাকেনায় মন্দা। অসহায় মানুষ চেয়ে আকাশ পানে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির আশায়।
    বিভিন্ন এলাকায় জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারী হাসপাতাল ও বেসরকারী ক্লিনিকগুলিতে ভীড় বেড়েছে রোগীর। এদের মধ্যে শিশু ও বষস্ক রোগীর সংখ্যাই বেশী।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • ফুলবাড়িয়া  ঐতিহ্যবাহী লা-ঠি খেলা দেখতে  হাজারো মানুষের ঢল

    ফুলবাড়িয়া ঐতিহ্যবাহী লা-ঠি খেলা দেখতে হাজারো মানুষের ঢল

    সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: ঢাক-ঢোলের বাজনায়, গানের তালে তালে যেন এ আনন্দময় উৎসব আয়োজন। ঢাক, ঢোল গায়ে রংঙ্গ বংঙ্গে কাপড় আর কাঁসার ঘন্টার ডোলের তালে তালে চলে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আর রামদা আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন শত শত দর্শক। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ। ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের হাজারো দর্শক।

    বৃহস্পতিবার (১২ জুন ) বিকেলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের দুগাঙ্গার পাড় অনির্বাণ ছাত্র সংঘের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার উদ্বোধন করেন রাধাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আমিনুল এহেসান ( উজ্জ্বল)।

    উপ-পরিচালক বিআইডিএস গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ইকোনমিক্স বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আগারগাঁও এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ড. এ কে এম নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জয়নাল আবদীন।

    লাঠিখেলায় অংশ নেয় রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন থেকে আসা আনুহাদি একতা যুব সংঘ লাঠিবাড়ি ক্লাবের লাঠিয়াল দল ও রঘুনাথপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের দল। লাঠিয়াল নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বাপ দাদাকে দেখেছি এই খেলা খেলতে, তাই খেলা শিখেছি। তরুণদের ডাকে সাড়া দিয়ে খেলতে আসছি। কিন্ত গ্রাম বাংলা থেকে লাঠিবাড়ী খেলাটি এখন হাড়িয়ে যাচ্ছে।

    পলাশতলী গ্রামের রফিকুল ইসলাম মাস্টার বলেন, দীর্ঘদিন পর লাঠিবাড়ী খেলা দেখলাম। আমরা চাই বর্তমান সময়ের ছেলেরা এই ঐতিহ্য ধরে রাখুক। লাঠি খেলাটি এখন গ্রাম বাংলা থেকে বিলুপ্তির পথে। গ্রামের তরুণরা এই খেলার আয়োজন করেছে। আমরা চাই প্রতি বছর এই খেলাটির আয়োজন করা হোক।

    খেলার আয়োজকরা বলেন : অনির্বাণ ছাত্র সংঘের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখা জন্য লাঠিবাড়ী খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

  • ধামইরহাট সীমান্তে পু-শইনের সময় নারী আট-ক

    ধামইরহাট সীমান্তে পু-শইনের সময় নারী আট-ক

    আবুল বয়ান, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

    নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে পুশইন এর সময় মোসা. আছিয়া বেগম (৫০) নামের একজন নারীকে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। ১৩ জুন শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার জগদ্দল মাঠের মধ্যে থেকে আটক করা হয় ওই নারীকে। আটককৃত নারী যশোর জেলার ইশবপুর নামক এলাকার রুহুল আমিনের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
    ১৪ বিজিবি জানান, উপজেলার সীমান্ত পিলার ২৭১/৭ এফ এর সীমান্ত দিয়ে মধ্যরাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে বাংলাদেশে পুশইন করেন। সে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা না চিনতে পেরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরছিল। পরে কালুপাড়া বিওপির সুবেদার আইয়ুব আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স টহল চলাকালীন সময়ে তাকে উদ্ধার করেন। আটক নারী দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইয়ের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সে আয়ার কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
    ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মালেক জানান, ভারত থেকে পুশইন হওয়ায় ওই নারীকে ১৪ বিজিবি থানায় দিয়েছেন। আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

    আবুল বয়ান।।

  • দেবীগঞ্জে প্রেমিকা নিয়ে ঘুরতে গিয়ে দূর্ঘ-টনার শিকার, আহত প্রেমিকাকে রেখে প্রেমিক লাপা-ত্তা

    দেবীগঞ্জে প্রেমিকা নিয়ে ঘুরতে গিয়ে দূর্ঘ-টনার শিকার, আহত প্রেমিকাকে রেখে প্রেমিক লাপা-ত্তা

     পঞ্চগড় প্রতিনিধি 

    দেবীগঞ্জে প্রেমিকা মৌসুমী (ছন্দনাম) নিয়ে  ঘুরতে আসেন নৌবাহিনীর কোষ্টগার্ডে কর্মরত মামুন ইসলাম। ১১ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে মামুন তার প্রেমিকাকে নিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় দূর্ঘটনার শিকার হন।

    দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জের মৌমারী হাকিমপুর এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। মামুন তার প্রেমিকার সাথে ১৫ দিন আগ থেকে সম্পর্ক গড়ে তোলে। মামুন নিজেকে নৌবাহিনীর কোষ্টগার্ডে চাকুরির কথা বলে সম্পর্কে জড়ায়। মামুন তাকে বিয়ে করারও প্রতিশ্রুতি দেন। ঈদের ছুটিতে এসে মামুন তাকে ঘুড়ানোর কথা বললে ওই কিশোরী রাজি হয়ে তার সাথে বিকেলে বের হন। ওই কিশোরী দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজে পড়াশোনা করছে। 

    সেখানে যাওয়ার পথে দেবীগঞ্জ পুরাতন বাসষ্টান্ড এলাকায় পৌছলে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি অটো চার্জারের সাথে ধাক্কা লেগে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে তারা দুজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে মামুন ইসলাম তার প্রেমিকাকে দেবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে রেখে স্বজনদের সহযোগিতায় এম্বুলেন্স নিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে রংপুর সিএমএইচে চলে যান। বর্তমানে মামুনের প্রেমিকা দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে। পরে ওই কিশোরীর আত্বীয়স্বজনকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে ওই মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

    তারা দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার পরে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা দূর্ঘটনার ভিডিও ধারন করে। ভিডিও ধারন করার সময় মামুন ইসলাম নিজেকে নৌবাহিনীর কোস্টগার্ডের বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে সংবাদকর্মীর দিকে রাগান্বিত ভাবে বলেন আমি যদি সুস্থ থাকতাম  তাহলে তোমার কলিজা ছিড়ে ফেলতাম। 

    মামুনের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন মেয়েদেরকে ফুসলিয়ে সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছিল।

    দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুশফেকা খাতুন রুপা জানান, তারা আহত অবস্থায় দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেযা হয়। মেয়েটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। মামুনকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    দেবীগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম দুর্ঘটনায় আহত

    মামুনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করেন। বর্তমানে মোটরসাইকেলটি দেবীগঞ্জ থানা হেফাজতে রয়েছে।

  • গ্রামীণ খেলাধুলায় মেতেছিল দুই শতাধিক শিশু-কিশোর

    গ্রামীণ খেলাধুলায় মেতেছিল দুই শতাধিক শিশু-কিশোর

    জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: 

    পঞ্চগড়ে ঈদ উৎসব উপলক্ষে দুই শতাধিক শিশু-কিশোরদের নিয়ে হারিয়ে যেতে বসা বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলার আয়োজন করেছে ষড়ঋতু-জগদল নামের একটি সংগঠন।

    বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনব্যাপী পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাবেক গাড়াতি ছিটমহলের মফিজার রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করে দিতেই এই শিশু-কিশোর ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

    উৎসবে গ্রামীণ খেলাধুলা ‘জোর-বাড়ি-ঘর,’ ‘রুমাল চুরি,’ ‘গুটিগোল্লা’ এবং ‘মা বলেছেন’ খেলার পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের নিয়ে গঠিত ৪টি দলের তিনটি ফুটবল ম্যাচ এবং যুব ও তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত দুটি দলের ১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

    খেলায় অংশ নেওয়া ফাহিম ইসলাম নামে এক শিশু বলেন, আমি এইসব গ্রামীণ খেলা কোনদিন খেলিনাই। আজকে প্রথম রুমাল চুরি খেলা করলাম। অনেক ভালো লাগলো।

    খেলায় অংশ নেওয়া মৌসুমি নামে এক কিশোরী বলেন, আমি এই গ্রামীণ খেলা গুলো মোবাইলে দেখছি। আজকে আমি এখানে এসে খেলায় অংশগ্রহণ করলাম। আমাদের গুটিগোল্লা খেলা হলো।

    খেলা দেখতে আসা আব্দুল হাই বলেন, গ্রামীণ খেলাগুলো সচরাচর এখন আর দেখা যায় না। আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেটের প্রভাবে তরুণ প্রজন্ম আজ ভুলতে বসেছে খেলাগুলোকে। আজকে নতুন করে খেলাগুলো দেখে আমি খুব আনন্দিত।

    খেলা দেখতে আসা সহিদুল ইসলাম বলেন, মাঠে বসে খেলাগুলো উপভোগ করে অতীত স্মৃতিতে যেন ফিরে গিয়েছিলেন। এমন খেলা  যেনো বারবার আয়োজন করা হয়।

    মফিজার রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নূর উল্লাহ বলেন, এই গ্রামীণ খেলাধুলা আয়োজন করায় সাবেক ছিটমহলের অবহেলিত শিশুদের মাঝে তারুণ্য সৃষ্টি হচ্ছে। এই খেলাধুলা মাধ্যমে তারা শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি এলাকার মধ্যে বাল্যবিবাহ ও মাদক থেকে দূরে থাকতে পারতেছে।

    ষড়ঋতু-জগদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, আমি এই এলাকায় ঘুরে দেখেছি শিশু-কিশোরা সব কিছুতেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সব সুযোগসুবিধা পাচ্ছে, কিন্তু খেলাধুলায় ক্রিড়া কালচারে এখনো অনগ্রসর রয়েছে। আমি আমার এই দ্বায় বদ্ধতা থেকে আমি এখানে গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করেছি। শিশুদের চেহারা দেখে বুঝা যাচ্ছে তারা অনেক পিছিয়ে আছে ক্রিড়া কালচারে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে সুবিধাভোগী শিশুদের বন্ধুত্ব করিয়ে দেওয়ার জন্যই আমার এই অনুষ্ঠান।

  • ২ দিন বন্ধের পর খুলে দেয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি

    ২ দিন বন্ধের পর খুলে দেয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : 
    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি অডিটোরিয়ামে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ২ দিন পর আবার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিক ভাবে একজন দর্শনার্থীর হাতে প্রবেশ টোকনে তুলে দিয়ে এ ঘোষণা দেন।

    এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে কোন প্রকার হামলার ঘটনা ঘটেনি। সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে কাছারি বাড়ি। হামলা হয়েছে মূলত কাছারি বাড়ির পাশেই রবীন্দ্র অডিটোরিয়ামে। সেটাও কাছারি বাড়িকে টার্গেট করে নয় বরং প্রবেশ টোকেন নিয়ে একজন প্রবাসী দর্শনার্থীর সাথে কাছারি বাড়ির স্টাফদের ব্যাক্তিগত অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কোন মৌলবাদ বা কোন রাজনৈতিক কারনে এ ঘটনা ঘটেনি বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা। সেইসাথে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে আর কোন নিরাপত্তার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন তিনি।

    এদিন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সাথে কাছারি বাড়ি পরিদর্শন করেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারি কমিশনার মোঃ মুশফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন হিরু, উপজেলা জামায়াত আমির অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব কাজী শওকত প্রমুখ।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। খুব শিঘ্রই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হবে। তদন্ত রিপোর্ট রিপোর্ট দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এদিকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই হামলা ভাঙচুরের সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৮ জুন একজন দর্শনার্থী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে গেলে পার্কিং ফি নিয়ে গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দর্শনার্থীকে অডিটোরিয়ামের ভিতরে আটকিয়ে মারধর করে এবং বাঠাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। সেই পিটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ঐদিন রাতেই কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানকে ১নং আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনার দুইদিন পরেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা থানা পুলিশ না নেয়ায় ঐ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা গত মঙ্গলবার (১০জুন) শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। পরে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়িতে প্রবেশ করে অডিটোরিয়ামের দরজা, জানালা ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শাহজাদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও দুপুরে পরিদর্শনে আসেন ১১ আর্টিলারি কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।

  • নলছিটিতে শাহীন তালুকদার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন

    নলছিটিতে শাহীন তালুকদার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বিজি ইউনিয়ন একাডেমি মাঠে শুরু হয়েছে বিএনপির প্রয়াত নেতা ও সুবিদপুর ইউনিয়নের জনপ্রিয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন তালুকদার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫। শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল ৪টায় জমকালো আয়োজনে টুর্নামেন্টটির উদ্বোধন করা হয়।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার। উদ্বোধন ঘোষণা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদ খান।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং গীতাপাঠ করেন মিন্টু নট্ট। স্বাগত বক্তব্য দেন বিজি ইউনিয়ন একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী হায়দার সিকদার।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জিয়াউল কবির মিঠু, বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাহ স্বপন, আঃ লতিফ মোল্লা, মোঃ শহিদুল ইসলাম সাঈদ, ফিরোজ আলম জোমাদ্দার প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন যুবদল নেতা লিটন মোল্লা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সরদার সাইফুল ইসলাম।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন।  খেলাধুলা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে মাদক থেকে তরুন যুবকদের দূরে রাখা যায়।  তাই এরকম খেলাধুলার আয়োজন গ্রামগঞ্জে গড়ে উঠুক মাদক থেকে দূরে থাকুক আমাদের যুব সমাজ।

    টুর্নামেন্টে ১২টি দল অংশ নিচ্ছে। প্রথম পুরস্কার ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৪০ হাজার এবং তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং ব্যান্ড পরিবেশনার মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে এই টুর্নামেন্ট।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক আঃ কাদের খান, অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাদল তালুকদার, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মোঃ বাবলু তালুকদার, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদ, বিএনপি নেতা জাকির খান, ছাত্রদল নেতা সজল তালুকদার, তানভীর খান, সাগর হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক ক্রীড়ামোদী দর্শক।

    দীর্ঘদিন পর প্রিয় নেতার স্মৃতিকে স্মরন করে এমন আয়োজনকে সাদরে গ্রহন করে উজ্জীবিত স্থানীয় বাসিন্দারা।

  • পুঠিয়ায় বিএনপি নেতাকে বহি-ষ্কারের প্রতিবাদে  বিক্ষো-ভ ও সংবাদ সম্মলন

    পুঠিয়ায় বিএনপি নেতাকে বহি-ষ্কারের প্রতিবাদে  বিক্ষো-ভ ও সংবাদ সম্মলন

    পুঠিয়া (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

     পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা মৎসজীবী  দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং  উপজেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মাকে দল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও  বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার সমর্থিত নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণ। 

    শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে উপজেলার নন্দনপুর বাজারে ঘন্টা ব্যাপি  এ মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, আ.লীগের দোসর নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিম শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানটিকে আ.লীগের কার্যালয় বানিয়ে ছিলেন।

    শিক্ষার পরিবর্তে সেখানে প্রতিদিন  চলতো আ.লীগের মিছিল মিটিং আর বিএনপি নিধনের  পরিকল্পনা। তবে ৫ আগষ্ট এর পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়নি এরই জের ধরে বিএনপির ত্যাগি নেতা জুম্মাকে বহিষ্কার করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। অবিলম্বে অবৈধ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা। তাদের দাবি না মানা হলে আরো কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

    পরে এ বিষয়ে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা আনারুল ইসলাম  জুম্মা সংবাদ সম্মেলন করে তার বহিস্কার অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমাকে বহিষ্কার করা হয়াছে  যা খুবই দু:খ জনক বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, আ.লীগের দোসরদের পূর্নবাসন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে যার কোন ভিত্তি নেই। এ জন্য  আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের  দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক জলিল মোল্লা, শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ইনতাজ আলী, পুঠিয়া পৌর বিএনপি নেতা আজাদ মন্ডল, যুবদল নেতা রানা মন্ডল, মিঠু প্রমুখ।উল্লেখ, গত ১১জুন দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে বিএনপির এই নেতাকে  আজীবন  বহিষ্কার করে রাজশাহী জেলা বিএনপি।#

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 
    পুঠিয়া, রাজশাহী।

  • পাইকগাছায় ভ্যা-পসা গরমে অতি-ষ্ট জনজীবন

    পাইকগাছায় ভ্যা-পসা গরমে অতি-ষ্ট জনজীবন

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    প্রচন্ড তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। অনেকে তালের শাস খেয়ে তৃষ্ণা নিবারন করছেন। দুপুর বারোটার পর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ফাঁকা হয়ে পড়ছে রাস্তা ও বাজার এলাকা।
    তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় টানা তিনদিন পড়ছে প্রচন্ড গরম। মাঠে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষেরা তাপদাহে হাপিয়ে উঠছে। ঘরের ফ্যানের বাতাসও যেন গরম হয়ে উঠছে। তারপরও রয়েছে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বেলা বাড়ার সাথেই বাড়ছে তাপপ্রবাহ। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছুই ছুই অবস্থা। শ্রমজীবী ও স্থানীয়রা বলেন, গরমে কোনো কাজ করতে পারছেন না তারা। শহর এলাকায় গরমে নাভিশ্বাস বাড়ছে মানুষের। লবনাক্ত উপকূল এলাকা পাইকগাছায় ৪১-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে।
    সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। পাশাপাশি বেড়েছে বাতাসে আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। জ্যৈষ্ঠের শেষে আরো তেতে উঠছে সূর্য। কয়েক দিন ধরে দেশের বড় অংশজুড়ে প্রচষ্ড গরম পড়েছে। দিনে আগুনে রোদ ও গরমে খাঁ খাঁ করে চারদিক। রাতেও তাপমাত্রা কমে না। আর সেই সাথে লোডশের্ড়িং ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের কারণে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি। ডায়রিয়ায়ও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
    পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপস গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জন জীবন। গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের প্রখর তাপদাহ ও তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের জীবন যেন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের। পাইকগাছার খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
    এ উপজেলায় প্রচন্ড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে রোধের প্রখর তাপ অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন তেলেশমাতি মানুষের জনজীবনে দুর্ভোগের নতুন মাত্রা সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড রোদের গরমে সাধারণ হতদরিদ্র মানুষরা জীবিকা নির্বাহের জন্য রাস্তায় বের হতে পারেনা। দুপুর হলে রাস্তাঘাটে লোকজনের সংখ্যা একেবারে কমে যায়। তীব্র গরমের কারণে দিনমজুর শ্রমিকরাও সহজে কাজে যেতে চায়না। পৌর শহরের ফজলু মিয়া বলেন, এই তীব্র গরমে মাঠে কাজ করতে ইচ্ছে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরে আগুনের তাপ লাগছে। গোপালপুর গ্রামের ভ্যান চালক নুর ইসলাম বলেন, বেশি তাপের কারণে দুই-তিন ঘন্টার বেশি ভ্যান চালাতে পারছি না। রাস্তা থেকে গরম তাপ এসে যেন মুখে লাগছে। তাপ ও রৌদ্রের কারণে রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকতে পারি না।
    প্রচন্ড গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে রোগীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহাবুবর রহমান বলেন, গরমে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, শরীরে ঘাম বসে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর ও প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। বিনা কারণে শিশুকে ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে অভিভাবকদের। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি ও টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে ও ফ্যানের নিচে বাতাসে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  • পাইকগাছা থানা পুলিশের অভি-যানে আ-টক সাত

    পাইকগাছা থানা পুলিশের অভি-যানে আ-টক সাত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছা থানা পুলিশের অভিযানে ৭ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। থানা সুত্রে জানা গেছে, পৃথক অভিযানে বুধবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পরোয়ানার ৬ জন ও নিয়মিত মামলায় ১ জন মোট ৭ জন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃত পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের কাটিপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমান মোল্লার ছেলে তরিকুল ইসলাম, রেজাকপুর গ্রামের মৃত আলতাফ গাজী বাবলুর রহমান বাবলু, একই গ্রামের সৈয়দ জালাল হোসেন এর ছেলে রেজাউল হোসেন, রাড়ুলী গ্রামের আমির আলী গাজীর ছেলে শাহিনুর রহমান গাজী, গদাইপুর ইউনিয়নের চেচুয়া গ্রামের জয়নাল মিস্ত্রীর ছেলে আল-আমিন মিস্ত্রি, চাঁদখালী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আরশাদ সানার ছেলে বিল্লাল সানা এবং নিয়মিত মামলার আসামি পৌরসভার বাতিখালী গ্রামের মৃত কাওসার আলী গাজীর ছেলে আতিয়ার রহমানকে আটক করা হয়।

    থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ ইদ্রিসুর রহমান জানান, পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলায় মোট ৭ জন আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।