Blog

  • বানারীপাড়ায় হাকিম স্যারের মৃ-ত্যুতে সান্টু সরদারের শো-ক

    বানারীপাড়ায় হাকিম স্যারের মৃ-ত্যুতে সান্টু সরদারের শো-ক

    বরিশালের বানারীপাড়া সরকারি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আঃ হাকিম (৮৬) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না… রাজিউন)।

    আজ শনিবার ১৪ জুন সকাল ১০টায় উপজেলার সলিয়া বাকপুর ইউনিয়নের মহিষাপোতা গ্রামে নিজ বাসভবনে বার্ধক্য জনিত কারণে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সহ ও দুই ছেলে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

    আজ মাগরিব বাদ বানারীপাড়া সরকারি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইলট বিদ্যালয়-এর মাঠে মরহুমের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

    শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরুকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি পেশার রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের লোক উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে তার মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন -বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গণমানুষের নেতা দানবীর বীর মুক্তিযোদ্ধা এস শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। তার এক শোক বার্তায় তিনি মরহুম আঃ হাকিম স্যারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার জন্য দোয়া প্রর্থনা করেছেন।

  • দুদ-কের অভি-যান চললেও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের অ-নিয়ম দু-র্নীতি কোনো ভাবে ব-ন্ধ হচ্ছে না

    দুদ-কের অভি-যান চললেও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের অ-নিয়ম দু-র্নীতি কোনো ভাবে ব-ন্ধ হচ্ছে না

    হেলাল শেখঃ ঢাকাসহ সারাদেশে ৩৫টি অফিসে দুদকের অভিযানেও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের কৌশলগত অনিয়ম দুর্নীতি এখনো কমেনি। বিআরটিএ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার পর দুদকের অভিযান চলমান রয়েছে, সংবাদ প্রকাশ করায় এর মধ্যে সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে দালাল চক্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন এবং নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের ৩৫টি বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতর্ৃপক্ষ) অফিসে একযোগে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
    রবিবার (২৫ মে ২০২৫ইং) জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দুদক নিয়মিত অভিযান চালালেও বিআরটিএ কর্মকর্তারা অনেকেই নতুন কৌশলে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছে। জানা যায়, গত (৭ মে ২০২৫ইং) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান শুরু করেন দুদক কর্মকর্তারা। রাজধানীর উত্তরা ও ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ অফিস ছাড়াও গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, পাবনা ও সিলেটসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিআরটিএ অফিসগুলোতে অভিযান চালানো হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাসজির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, গত বুধবার সারাদেশে ৩৫টি বিআরটিএ অফিসে একযোগে অভিযান চালানো হয়। এরপর আবারও অভিযান চালায় দুদক কিন্তু কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অনিয়ম দুর্নীতি।
    সুত্র জানায়, অনেক অফিসেই দালালদের সরব উপস্থিতি ও সেবা দিতে গিয়ে ঘুষ দাবি করার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষ দালাল ছাড়া সহজে কোনো সেবা পাচ্ছেন না। অভিযানের আওতায় অন্যান্য জেলা অফিসের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট, বরিশাল, কক্সবাজার, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল নেত্রকোনা, নীলফামারী, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, মেহেরপুর ও শেরপুরসহ আরো অনেক জায়গায়। এর আগেও ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৬টি অফিস এবং গত ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিলো দুদক। এ অভিযানগুলো সরকারি সেবা সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তাগণ। উক্ত ব্যাপারে আমাদের রিপোর্টার মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
    এর আগে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি প্রকাশ করা হয়, বিশেষ করে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও সাভারে বিআরটিএ অফিসের কুখ্যাত দুনীতিবাজ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান গোপালগঞ্জ এলাকায় বিয়ে করে জামাই হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে ছিলো সুসম্পর্ক আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ নিজ এলাকায় বাড়ি গাড়িসহ অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট দালাল চক্রের সদস্যরাও একাধিক বাড়ি গাড়ির মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া পেঁয়ারা বাগান এলাকায় বাড়ি করেছে মোস্তফা কামাল নামের এক সক্রিয় দালাল। জানা গেছে, বিআরটিএ কর্মকর্তা মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান তার অফিসে সঠিক সময় আসেন না। অফিসের সংশ্লিষ্ট লোকজন জানায়, তাদের সাথেও তিনি মাঝে মধ্যে খারাপ ব্যবহার করেন, টাকার গরমে মানুষকে মানুষ মনে করেন না বলে অফিসের লোকজন অনেকেই জানান। অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতি করে ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা বাড়ি গাড়ি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বুনে গেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। দুদক কর্মকর্তা বিভিন্ন অফিসে অভিযান করলেও সাভারে অভিযান করার বিষয়ে নিশ্চিত নয়।
    জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম খানের কয়েক বছর আগে তেমন কিছু ছিলো না, বিআরটিএ’র অফিসে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ করে ( ব্ল্যাক মানি) কালো টাকার মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, বর্তমান সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় বিআরটিএ অধিনস্থ ঢাকা জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আমিনুল ইসলাম খান। দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আগত মোটরযানের কাগজপত্র নিয়ে সেবা পেতে আসা সেবাগ্রহীতাদের কৌশলে জিম্মি করে ভুলবাল বুঝিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পরীক্ষায় পাস-ফেলের গ্যাড়াকলে ফেলে দালাল নিযুক্ত সদস্য দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিনিয়ত বিআরটিএ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়, এ যেন মহা ঘুষ বাণিজ্য ও বিআরটিএ অফিসের ভেলকিবাজি। ভুক্তভোগীরা জানায়, আমরা এই অফিসের কর্মকর্তার কাছে একরকম জিম্মি হয়ে আছি, তাদেরকে ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফেল করে হয়রানি করে। পাস-ফেল তাদের হাতে, কৌশলে জিম্মি করে গ্যারাকলে ফেলে পরীক্ষায় ফেল করা হয় বলে অনেকেই জানান।
    জানা গেছে, মাসের পর মাস ঘুরানো হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে আসা লোকজনকে। অতিরিক্ত টাকা দিলে কম সময়ে লাইসেন্স পাওয়া যায় আর তা নাহলে হয়রানির শেষ নাই। এ ভাবেই চলছে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মহোৎসব। কারণ, উক্ত অফিসের মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গোপালগঞ্জের মানুষের কথিত জামাই। এখন আবার বিএনপি’র শীর্ষ নেতার আত্মীয়, নিজে আবার নাকি ছাত্র দল করতেন, তবে তার কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি, তিনি একজন সুবিধাবাদী মানুষ বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। সূত্র জানায়, বিআরটিএ ঢাকা জেলা সার্কেলের অধিনস্থ সাভার বিআরটিএ অফিসে যোগদান করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সরকারি সাইনবোর্ডের আড়ালে থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে ভাবনিয়ে অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক গাড়ির মালিকের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, গাড়িপ্রতি ফিটনেস বাবদ ঘুষ গ্রহণ করেন ৫ হাজার টাকা, এই ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গাড়ির মালিকের ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। জানা গেছে, গাবতলী- টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং সাভারের ঢাকা-আরিচা পাটুরিয়া সড়কে হাজার হাজার মোটরযান চলে, এসব মোটরযানের বেশিরভাগই ফিটনেসবিহীন, এসব গাড়ি থেকে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
    গোপালগঞ্জের জামাই বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ দিকে বিআরটিএ দালাল চক্রের সদস্য সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোস্তফা কামাল এর মোবাইল নাম্বারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করে তার ছেলের দিয়ে রিসিভ করে বলায় যে, বাবার জ্বর আসছে কথা বলতে পারবেন না। এর আগে উক্ত ব্যাপারে একাধিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত ব্যাপারে ৩৫টি অফিসে দুদক অভিযান চালালেও বিআরটিএ অফিসের ঘুষ বাণিজ্য কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। জানা যায়, অনিয়ম দুর্নীতি ধরা পড়লেই অন্য জেলায় বদলি করা হয় সেই কর্মকর্তাকে, এই কারণে তাদের আর সমস্যা হয় না। এ বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।##

  • নড়াইলে যৌ-থ বাহিনীর অভি-যানে গ্রে-প্তার ৩

    নড়াইলে যৌ-থ বাহিনীর অভি-যানে গ্রে-প্তার ৩

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে

    নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলি ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে যৌথ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও অনলাইন প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কালিয়া আর্মি ক্যাম্প ও কালিয়া থানার পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল শুরুবার (১৩ জুন রাত ১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন কালিয়া আর্মি ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও স্থানীয় পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত টহল টিম।
    গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন—যাদবপুর গ্রামের আসাদ শেখের ছেলে আলী (২৫), জাকির মোল্লার ছেলে মো. আকাশ মোল্লা (২৬) এবং জাহিদ মোল্লার ছেলে হায়দার ভুইয়া। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও অনলাইন প্রতারণায় জড়িত ছিল বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি।
    অভিযান চলাকালে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। তল্লাশি অভিযানে গ্রেপ্তারদের বাড়ি থেকে ৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং ১টি ভয়েস চেঞ্জার ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা হয় ৩৬টি গ্যাস লাইটার ও ১০টি ইয়াবা সেবনের বিশেষ স্টিক।
    তাদের বাড়ি থেকে একটি ল্যাপটপ, ১১টি মোবাইল ফোন ও ২০টি মোবাইল সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয় একটি সিএফ মটো ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল এবং ৪টি দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র। এছাড়াও, গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
    গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামাল আদালতে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
    কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন প্রতারণা ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ আলামতসহ তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এলাকায় আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
    বর্তমানে এলাকাটি শান্ত রয়েছে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • ঝিনাইদহ হাসপাতালে আইসিইউ সিসিইউ কিডনি ডায়ালাইসিস এমআরআই ও সিটি স্ক্যান চালুর দাবিতে মানববন্ধন

    ঝিনাইদহ হাসপাতালে আইসিইউ সিসিইউ কিডনি ডায়ালাইসিস এমআরআই ও সিটি স্ক্যান চালুর দাবিতে মানববন্ধন

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহ আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউ, কিডনি ডায়ালাইসিস, এমআরআই ও সিটি স্ক্যান চালুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে সদ্য গঠিত ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।

    ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচিতে ঝিনাইদহের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবী সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধন শেষে হাসপাতালের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

    মানববন্ধন কর্মসুচি শেষে এক সমাবেশ ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলামের সাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার।

    সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ডা; এ কে এম কামাল, প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন, শিল্পপতি ও সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কামরুল ইসলাম, প্রফেসর ডঃ মাহবুবুর রহমান, কমিটির উপদেষ্টা ডাঃ মো: শফিউল আলম সোহাগ, অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা: মোয়াজ্জেম হোসেন দিপু, ডা: মেহেদী ইসলাম টিটো, ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, মোঃ আব্দুস সবুর, আবু সালেহ মোঃ মুসা, সাব্বির আহমেদ জুয়েল, তাজনুর রহমান, ফখরুদ্দিন মুন্না, ফারুক হোসেন, সুরভী রেজা ও রেল আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

    সমাবেশে বক্তাগন বলেন, ঝিনাইদহ আড়াই’শ শয্যার হাসপাতাল জেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রধান ভরসাস্থল। অথচ হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার চরম অভাব রয়েছে। হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), ডায়ালাইসিস, এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানের মতো অত্যাবশ্যকীয় সুবিধাগুলো থাকা অত্যাবশ্যক হলেও ঝিনাইদহের মানুষ এসব গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার জানান, ঝিনাইদহের মানুষকে যাতে এসব সেবার জন্য যশোর, ফরিদপুর বা ঢাকায় ছুটতে না হয়, সে জন্য তারা বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে আন্দোলন করছেন। সংগঠনটি আশা করেন, সরকার তাদের ৫ দফা দাবী পুরণে সচেষ্ট হবেন।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি আ-ত্মসাতের অভি-যোগে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি আ-ত্মসাতের অভি-যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    আব্দুল হমিদ,
    মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে শরিকদের জমি আত্মসাতের অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    টাঙ্গাইলের মধুপুরে শরিকদের জমি-জমা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার পুন্ডুরা বড়বাজার এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিন খানের ছেলে বজলুর রশিদ খান চুন্নুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জমি ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বজলুর রশিদ খান চুন্নুর শরিকগন ও এলাকাবাসী।

    শুক্রবার বিকেলে মধুপুরের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে মধুপুর বাসস্টান্ডে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী শরিকগন, স্বজন, প্রতিবেশী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী পুরুষ অংশ নেয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শরিকদের প্রতিনিধি মো. মোনছের আলী খান, মুন্না মিয়া,আ. জলিল, কামাল হোসেন, সিদ্দিক খান, ফারুক খান, কাজী আফছার, মান্নান, হাবিবুর রহমান খান সহ অন্যান্যরা। বক্তারা অভিযোগ করেন, বজলুর রশিদ খান চুন্নু পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গ্রেফতারকৃত সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক এমপির প্রভাব খাটিয়ে শরিকদের জমি প্রতারণার মাধ্যমে নিজের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। যা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন সমযে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে।এমনকি গত মঙ্গলবার সকালে শরিকদের পুকুরে মাছের পোনা ছাড়তে গেলে বজলুর রশিদ খান চুন্নু এর দুই ছেলে রিদম, রাইম এবং তার সহযোগী ইব্রাহিম এর ছেলে রিফাত লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে এতে লাবনী আক্তার, মমতা বেগম, ও ডলি আক্তার গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    এসময় বক্তারা পতিত আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে বজলুর রশিদ খান চুন্নুকে গ্রেফতারের দাবী জানান। এবং ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে ন্যায্য সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।
    এলাকাবাসীর দাবি, এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত প্রতারণার ঘটনা নয়, বরং সমাজের দুর্বল ও অসহায় মানুষদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হয়, তার একটি দৃষ্টান্ত। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

  • সলঙ্গায় বিয়ের দাবীতে হি-ন্দু প্রেমিকের বাড়িতে মুস-লিম নারীর অবস্থান

    সলঙ্গায় বিয়ের দাবীতে হি-ন্দু প্রেমিকের বাড়িতে মুস-লিম নারীর অবস্থান

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বিয়ের দাবিতে হিন্দু প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক মুসলিম নারী। এই ঘটনায় এলাকায় ব‍্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। থানার ধুবিল ইউনিয়নের শ্যামেরঘন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
    আজ শনিবার (১৪ জুন ) সকাল থেকে দীনেশচন্দ্ররে ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র এর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ওই মুসলিম নারী।

    জানা গেছে, বিয়ের দাবিতে বাড়িতে অবস্থান নেয়া ওই নারীর নাম তানজিলা আক্তার।সে বেলকুচি থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সময় উজ্জ্বল চন্দ্র এর সাথে পরিচয় হয়।

    ভূক্তভোগী ওই নারী জানান,পরিচয়ের এক পর্যায়ে উজ্জ্বল চন্দ্ররের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উজ্জ্বল চন্দ্র মুসলমান হয়ে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। দুই বছরে বিভিন্ন সময় আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। মোটরসাইকেলে কেনাসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে আমার কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছে উজ্জ্বল চন্দ্র । সম্প্রতি তাকে বিয়ের কথা বললে তার পরিবারের চাপে পড়ে সম্পর্ক অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অথচ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আমাকে অসংখ্যবার ধর্ষণ করেছে। সে আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় বাধ্য হয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছি।
    এ বিষয়ে অভিযুক্ত উজ্জ্বল চন্দ্ররের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে জানান, মেয়েটির সাথে আমার কোনো প্রেমে সম্পর্ক নেই।
    সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান,এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • পটিয়ার নুরুল হক খু-নের ঘটনা- ধা-মাচাপা দিতে অ-পরাধীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন

    পটিয়ার নুরুল হক খু-নের ঘটনা- ধা-মাচাপা দিতে অ-পরাধীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন

    মোঃ মহিউদ্দিন চৌধুরী।।

    পটিয়া সংবাদদাতা।।
    পটিয়ার চাঞ্চল্যকর নুরুল হক খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে খুনিদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৪ জুন (শনিবার) দুপুর ১টার দিকে পটিয়া প্রেসক্লাব এক মহিলা মুখোশ পড়ে এসে খুনি পরিবারের সদস্য এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হত্যা মামলার ৫নং আসামী খুনি জসিম উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ জিশান।

    গত ৩০ মে পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে জায়গার বিরোধ নিয়ে নুরুল হককে পিটিয়ে নিমর্মভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পুত্র বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং-১, তারিখ ১/৬/২৫। মামলায় আসামিরা হলেন- কাউছারুল হক বাপ্পা, শহীদুল হক বাসেক, ফজলুল হক, সেলিমুল হক, মো: জসিম উদ্দিন, এমরান কায়ছার, রিজভী, নুর নাহার বেগম, ফাতেমা খাতুন, রোজি আকতার, জয়নাব বেগম, বিলকিছ আকতার, আজিজুল হক। এসব খুনিদের বাচাতে উঠে পড়ে লেগেছে। সংবাদ সম্মেলনে বিভ্রান্তিমুলক বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে।

    মামলার বাদী জামাল উদ্দিন বলেন- তার পিতা নুরুল হক হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তারা এখনো জামিন না নিয়েও এলাকায় কিভাবে ঘুরতেছে। তাছাড়া আসামিদের বাঁচাতে খুনি পরিবার উঠে পড়ে লেগেছে।

  • নলছিটিতে পুকুরে ডু-বে শিশুর মৃ-ত্যু

    নলছিটিতে পুকুরে ডু-বে শিশুর মৃ-ত্যু

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটিতে পুকুরের পানিতে ডুবে রাফতান (৪বছর)নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৪জুন) দুপুরে( ১ টার দিকে) উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের দুধারিয়া গ্ৰামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। রাফতান ওই গ্রামের মো. আবু তালেব হাওলাদারের ছেলে।
    জানা গেছে, এদিন দুপুর ১টার দিকে একা একা গোসল করতে গিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায় ‌রাফতান। স্বজনরা তাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন।

  • শার্শার পাঁচভুলোট গ্রামে দুলাভাইয়ের ঘের থেকে ১০০ মন মাছ লু-টের অভি-যোগ আপন শ্যালকের বি-রুদ্ধে

    শার্শার পাঁচভুলোট গ্রামে দুলাভাইয়ের ঘের থেকে ১০০ মন মাছ লু-টের অভি-যোগ আপন শ্যালকের বি-রুদ্ধে

    আজিজুল ইসলাম,
    নিজস্ব প্রতিবেদক, বেনাপোলঃ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নিজের বোনজামাই এর মাছের ঘের থেকে প্রায় ১০০ মনের মত মাছ ধরে নিয়ে গোলো আপন শ্যালক। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ ভুলোট গ্রামে।

    উপজেলার পাঁচভুলোট গ্রামের মৃত আজগার মোড়লের ছেলে কাদের মোড়ল ও একই গ্রামের আবু তাহের ঢালীর ছেলে মজিদ ঢালী সম্পর্কে আপন শালা দুলাভাই। তা সত্বেও গত বৃহস্পতিবার (১১) জুন রাতে মজিদ ঢালী লোক জন নিয়ে এসে তার ভগ্নিপতি কাদের মোড়লের
    ঘের থেকে জোরকরে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এমনটি অভিযোগ করেছেন মজিদ ঢালীর আপন ভাগ্না নয়ন হোসেন।

    ঘেরের পাহারাদার অজেদ আলী জানান, গত১১ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে মজিদ ঢালী ২০ -২৫ জন লোক ও ১০ -১২ টা আলম সাধু নিয়ে এসে তাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে ১০০ মনের মত সাদা মাছ লুট করে নিয়ে যায়। তাদের কাছে লাঠি ও অস্ত্র থাকায় কেউ বাঁধা দিতে সাহস করেনি।

    নয়ন হোসেন জানান, পাঁচভুলোট গ্রামের হামড়ে কুড়োর বিলে তাদের ১০ বিঘা জলকরের একটি মাছের ঘের রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে তার মামা রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মাছ লুট করেছে। সে আরও জানায়, তার মামা একজন মামলাবাজ। তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ায় এব্যাপারে তারা থানায় অভিযোগ দিতে সাহস করেনি। নয়ন মাছ লুটের ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • হাটিকুমরুলে গাড়ির অপেক্ষায় কর্মস্থলে ফেরা হাজারো মানুষ

    হাটিকুমরুলে গাড়ির অপেক্ষায় কর্মস্থলে ফেরা হাজারো মানুষ

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে রবিবার (১৫ জুন) খুলছে অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছুটির শেষ দিন আজ শনিবার (১৪ জুন) কর্মস্থল রাজধানী ঢাকায় ফিরছেন উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো মানুষ। ফলে মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীদের ভিড়। চাহিদার তুলনায় যানবাহনের সংকট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।  

    আজ সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশ পথ ঢাকা-বগুড়,হাটিকুমরুল-বনপাড়া, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানারহাটিকুমরুল রোড গোল চত্বরে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    যাত্রীরা জানান, রাজধানীতে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ও তাদের পরিবার। ঈদের ছুটির শেষ দিন হওয়ায় মহাসড়কে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। যানবাহনের জন্য হাজারো মানুষ সড়কে অপেক্ষা করছেন। চাহিদার তুলনায় বাসের সংকট দেখা দিয়েছে। 

    যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা পাচ্ছেন না। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেসব যাত্রীরা বাসের টিকিট কেটেছেন তারাও অপেক্ষায় আছেন গাড়ির। যারা সুযোগ পেয়েছেন তারা ট্রাকের ছাদেও রওনা হয়েছেন।
    হাটিকুমরুল রোডে  অপেক্ষারত ঢাকার একটি গার্মেন্টসের কর্মী ছাবিনা বলেন, “১০ দিনের ছুটিতে ঈদে বাড়ি এসেছিলাম। এখন কর্মস্থলে ফিরতে হবে। সকাল সাড়ে ১১টায় এসেছি, বিকেল হয়ে যাচ্ছে; তারপরেও টিকিট পাইনি। কেউ কেউ দুই-তিনশ টাকা বেশি দিচ্ছে, তবুও গাড়িতে সিট পাচ্ছে না।”

    ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শাহ-আলী বলেন, “প্রতিবারই এই সময় এমন হয়। এবার সমস্যা বেশি। আগেভাগে টিকিট কেটে না এলে এখন আর যাওয়ার উপায় নেই। অফিসে না গেলেও সমস্যা হবে।”
     নাটোর বড়াইগ্রাম এলাকার যাত্রী পারভিন খাতুন বলেন, “ঢাকায় মেয়ে পড়ালেখা করে। তাকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। ওর বাবা সরকারি চাকরি করে। সে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ঢাকায় চলে গেছে। আগামীকাল থেকে মেয়ের স্কুল খোলা। ঢাকায় যাওয়ার কোনো বাস নেই। এখন পর্যন্ত টিকিট পায়নি। মেয়েকে নিয়ে গাড়ির অপেক্ষায় বসে আছি।”

    সেবা লাইন বাসের চালক হাফিজুর রহমান বলেন, “অনেক বাস নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। উত্তরবঙ্গের বাকি রুটের সব বাসই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩-৪ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। যমুনা সেতুর দুই পারে যানজট থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”
    ঢাকা -বগুড়া রুটে পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান শ্যামলী এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার মাহবুব বলেন, রোড থেকে গড়ে প্রতিদিন অসংখ্য বাস ঢাকায় চলাচল করছে। এবারের ঈদে যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি।

    তিনি বলেন, “যেসব যাত্রী আগেই টিকিট কেটেছেন, তারাই আগে যাচ্ছেন। একটি বাস ঢাকায় গিয়ে ফিরে এসে যাত্রী নিয়ে আবারো রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। আমরা বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছি।