Blog

  • সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজনের কারাগারে আত্মহ-ত্যা

    সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজনের কারাগারে আত্মহ-ত্যা

    হেলাল শেখঃ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাকারী ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন (৪৫) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    রোববার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে নিজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেন সুজন। ঘটনার পরপরই তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

    সুজনের হাসপাতালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক।

    কারাগার সূত্র জানায়, বন্দি হিসেবে সুজন সূর্যমুখী ভবনের একটি সাধারণ কক্ষেই ছিলেন। তার ব‍্যবহৃত গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

    কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, বন্দি সাইদুর রহমান সুজন ডিটেনশনে সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে বন্দি সুজন নাস্তাও করেছেন। ওই কক্ষে তিনজন বন্দি, একজন সম্ভবত আদালতে গিয়েছেন, অপরজন ঘুমিয়ে ছিলেন, এই সুযোগে সুজন নিজের গামছা পেঁচিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান।

    আইজি প্রিজন্স জানান, তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনেরও মামলা আছে। তবুও কারা অভ্যন্তরে আত্মহত্যার ঘটনা কীভাবে হলো, এই বিষয়ে একটি কমিটি করে তদন্ত করে দেখা হবে।

    সুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এছাড়া এলাকায় জমি দখলসহ আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।

    ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে সুজনও আত্মগোপনে চলে যান। তবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

    হাসিনার শাসনামলে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির অভিযোগে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবর এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাইদুর রহমান সুজন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মন্ডল।

  • আশুলিয়ায় ব্যাংকের হারা-নো এক চেক দুই ব্যক্তি ডিজঅনার করার ঘটনা ফাঁ-স- থানায় অভি-যোগ

    আশুলিয়ায় ব্যাংকের হারা-নো এক চেক দুই ব্যক্তি ডিজঅনার করার ঘটনা ফাঁ-স- থানায় অভি-যোগ

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার তাজপুরের মোঃ মোবারক মোল্লার ছেলে মোঃ আবুল হোসাইন নামের একজনের ব্যাংকের হারানো একটি চেক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজঅনার করার ঘটনা ফাঁস-থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
    শনিবার (১৪ জুন ২০২৫ইং) আশুলিয়া থানায় অভিযোগকারী ভুক্তভোগী আবুল হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমি আশুলিয়া থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। সিরাজুল ইসলাম (৩৫),পিতা-মজিবুর রহমান, মাতা-রহিমা বেগম,সাং-ধনাইদ,থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা, ২। মো: জাহাঙ্গীর হোসেন (২৮), পিতা- মো: মজিবুর রহমান, মাতা- মোসা: আবেদা বেগম কল্লানী, সাং-তাজপুর, থানা-আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা দ্বয়ের বিরুদ্ধে এই মর্মে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি ডাচবাংলা ব্যাংক পিএলসি আশুলিয়া শাখায় চুরি করি। ডাচবাংলা ব্যাংক পিএলস সোনারগাঁও জনপথ উত্তরা শাখার আমার একাউন্ট নং-১৯৯১০১০০১১৪৮৪ এর চেক নং-০৮২৯৩১০ গত ইং- ০৩/০৩/২০২০ তারিখে হারানো গিয়াছে।
    তিনি বলেন, আমার চেক হারাননোর বিষয়ে আমি আশুলিয়া থানায় থানায় সাধারণ ডাইরি করেছি, সাধারণ ডাইরি নং-৪২৩, তাং-০৫/০৩/২০২০ইং। পরবর্তীতে ১নং বিবাদী আমাকে জানায়, আমার চেকটি তাহার কাছে আছে। আমার কাছে ৫,০০,০০০/-টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে চেক ডিজঅনার করিয়া আমার বিরুদ্ধে মামলা দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। আমি তাহাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় উক্ত বিবদিী চেকটি ডিজঅনার করায় গত ইং-২১/০৮/২০২৩ তারিখে আমার নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করিয়াছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর একই
    চেক দ্বারা ২নং বিবাদীও একই কায়দায় ৫,০০,০০০/- টাকা দাবী করে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় চেকটি তিনিও ডিজঅনার করাইয়া গত ইং-২৬/০৫/২০২৫ তারিখে আমার নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে। টাকা না দিলে তিনিও আমার নামে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। আমার হারানো চেকটি বিবাদীরা পাইয়া আমার নিকট হইতে কৌশলে ৫,০০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করে তা আদায় করার চেষ্টা করিতেছে। আমার ধারণা বিবাদীরা পরস্পর পরিচিত ও তাদের যোগসাজসে একই চেক দ্বারা তাহারা দুই জনেই ডিজঅনার করাইয়া আলাদা আলাদা সময়ে লিগ্যাল
    নোটিশ প্রদান করে আমার নিকট হইতে টাকা আদাইয়ের চেষ্টা করিয়া টাকার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করিতেছে। আমি আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে আশুলিয়া থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের করেছি, পুলিশ অফিসার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে আমি আশাবাদী।
    গত বুধবার (১১ জুন ২০২৫ইং) উক্ত আশুলিয়া থানার অভিযোগের ১নং বিবাদী সিরাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে ৫ লাখ টাকার একটা চেক আছে, আমি আবুল হোসাইনের কাছে এখন ৩৫ হাজার টাকা পাবো। ২নং বিবাদী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গাড়িতে আছি পরে কথা বলবো।
    শনিবার আশুলিয়া থানার (এসআই) জাহাঙ্গীর বলেন, আবুল হোসাইন নামের একজনের একটি অভিযোগ পেয়েছি, ব্যাংকের চেকের বিষয় তাই বাদী চাইলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের চিত্র একশো বছরে হারিয়ে যাচ্ছে : অস্তিত্ব সংক-টে উপকূলের রক্ষাকবচ বন

    বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের চিত্র একশো বছরে হারিয়ে যাচ্ছে : অস্তিত্ব সংক-টে উপকূলের রক্ষাকবচ বন

    এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে:দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরবিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাত সুন্দরবনে দখল, নদীভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে সুন্দরবনের আয়তন কমতে কমতে এখন এক তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে সুন্দরবন একসময় হারিয়ে যাবে, হুমকিতে পড়বে বাংলাদেশ।
    ভূ-তত্ত্ববিদরা বলছেন, সুন্দরবনের আয়তন দিন দিন কমে যাচ্ছে। আয়তন কমে আসায় সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কমে আসছে গাছগালা, লতাগুল্ম ও প্রাণী।
    ২০২০ সালে বিশ্বব্যাংক তাদের এক প্রতিবেদনে সুন্দরবনের আয়তন কমে আসার কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুন্দরবন ও বনসংলগ্ন এলাকার মানুষের টিকে থাকার বিষয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছিল।
    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ১৯০৪-২৪ সালে সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১১ হাজার ৯০৪ বর্গকিলোমিটার। ১৯৬৭ সালে তা কমে হয় ১১ হাজার ৬৬৩ বর্গকিলোমিটার। ২০২১ সালে আয়তন কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৫০৬ বর্গকিলোমিটারে। ২০১৫-১৬ সালে আয়তন ছিল ১১ হাজার ৫০৬ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ গত ১০০ বছরে সুন্দরবনের আয়তন ৪৫১ বর্গকিলোমিটার কমে গেছে।
    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলা অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. নুর আলম শেখ বলেন, “সুন্দরবনের ভেতরে মানুষ প্রতিনিয়ত দখল নিয়ে ঘরবাড়ি, হাট-বাজার তৈরি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীভাঙনের মধ্যে সুন্দরবন ছোট হয়ে আসছে। সুন্দরবন রক্ষায় সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে সুন্দরবনে মানুষের প্রবেশ ঠেকিয়ে বন রক্ষাকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।”
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে বাংলাদেশকে রক্ষা করছে সুন্দরবন। বাংলাদেশিদের রক্ষাকবচ এই বনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। তিনি অনলাইন সংবাদমাধ্যম কে ‌বলেছেন, “প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক সব দুর্যোগে আমাদের জন্য রক্ষাকবচ হয়ে ওঠে সুন্দরবন। এই বন উপকূলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার অনিবার্য অংশও। বন থেকে মধু, গোলপাতা, মাছ, কাঁকড়াসহ নানা কিছু আহরণ করেন পেশাজীবীরা। তাই সুন্দরবন সুরক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।”
    সুন্দরবনের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য নদী ও খাল রয়েছে। পানির মতো বিছানো এসব খাল-নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। এসব নদী-খাল দিনে দুবার জোয়ারের পানিতে ভরে যায়, আবার দুবার ভাটায় পানি নেমে যায়। জোয়ার-ভাটার কারণে নদীর পাড় ভাঙে আবার গড়ে। তবে ১০০ বছরে দেখা গেছে, ভাঙনই বেশি। যা আজও ঠেকানো যায়নি।
    পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, “সুন্দরবনের জন্য বড় হুমকি জলবায়ু পরিবর্তন এবং কিছু মানুষের বনের ওপর নির্যাতন। একসময় বনের গাছপালা কাটা হতো, এখন সেসব নাই। তবে বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হচ্ছে। এই নির্যাতন অব্যাহত থাকলে একসময় সুন্দরবন থাকবে না।”
    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, “পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে এই বনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”##

    ##

  • আগ্নে-য়াস্ত্র ও মা-দক সহ সাতক্ষীরার সাবেক আ.লীগের এমপির ছেলে রু-মন আট-ক

    আগ্নে-য়াস্ত্র ও মা-দক সহ সাতক্ষীরার সাবেক আ.লীগের এমপির ছেলে রু-মন আট-ক

      

    মো: আজিজুল ইসলাম ইমরান 

    সাতক্ষীরার আ.লীগের সংরক্ষিত আসেনের সাবেক এমপি রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার ছেলে সাফায়েত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে।

    রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বিলাশবহুল বাড়িতে ২ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের মেজর ইফতেখার আহমেদ।

    সাফায়াত সরোয়ার রুমন আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এবং তার মা রিফাত আমিন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আ.লীগের সাবেক সভানেত্রী ও আ.লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ছিলেন।

    যৌথবাহিনীর অভিযানের শুরুতেই দুইতলা হতে রুমন লাফিয়ে নিজতলা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন যৌথবাহিনী রুমনকে আটক করে বাড়িতে তল্লাশি করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে।

    সেনাবাহিনীর মেজর ইফতেখার আহম্মেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ শতাধিক ইয়াবা বড়ি ও একটি রাইফেল, একটি তলোয়ার এবং মদ ও খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে এবং সাবেক এমপির ছেলে সাফায়াত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • পঞ্চগড় সীমান্তে নিহ-ত এক 

    পঞ্চগড় সীমান্তে নিহ-ত এক 

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড় সীমান্তে রাজু ইসলাম (২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি রাজু ইসলামের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে। তবে বিএসএফের গুলিতে কারো নিহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

    শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঝুলিপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

    রোববার (১৫ জুন) দুপুরে পুলিশ নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

    নিহত রাজু ইসলাম ওই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঝুলিপাড়া সীমান্ত দিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে গরু আনতে যান রাজু। এ সময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। পরে পালিয়ে আসার সময় বিএসএফ গুলি করলে রাজুর দুই পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে। পরে রাজুর সহযোগীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ির বাইরে রেখে পালিয়ে যান। এ সময় রাজুর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা বাইরে আসেন। তারা আহত অবস্থায় রাজুকে অ্যাম্বুলেন্সে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

    পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শইমী ইমতিয়াজ বলেন, আমরা রাজুর দুই পায়ে সুস্পষ্টভাবে গুলির চিহ্ন পেয়েছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা মামলা করবো।

    নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, গত রাতে ওই সীমান্তে কোন গুলির ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করেছি তারাও বিষয়টি অস্বীকার করেছে। গুলির ঘটনা ঘটলে বিকট শব্দ হয় অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায়। আমাদের দুটি দল সীমান্তে মোতায়েন ছিলো তারা কোন গুলির শব্দ শোনেনি। এছাড়া আমরা নিহত যুবকের পরিবারের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছে স্টক করে মারা গেছে। তার পায়ে ক্ষতর কথা বললেও সেটা কিসের ক্ষত তারা বলেনি।

  • সেনবাগে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ও সম্পাদকের বিরু-দ্ধে মি-থ্যা সংবাদ সম্মেলনের বিরু-দ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    সেনবাগে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ও সম্পাদকের বিরু-দ্ধে মি-থ্যা সংবাদ সম্মেলনের বিরু-দ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর সেনবাগে ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহিন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন দুলালের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ৬নং
    কাবিলপুর ইউনিয়ন বিএনপি,
    যুবদল ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দগন।১৫ জুন রবিবার বিকেলে উপজেলার ছমিরমুন্সীর হাট ড্রিম কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মমিন উল্ল্যাহ র উপর ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে হামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান মমিন উল্লাহ।কিন্তু হামলার ঘটনার কোন সত্যতা এখনো প্রমাণিত হয়নি এবং যুবদলের কোন নেতাকর্মীর এতে সম্পৃক্ততা ও নেই। বক্তারা এসময় বলেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে
    মমিন উল্লাহর এমন মিথ্যা
    অভিযোগ ও বক্তব্য যেন প্রত্যাহার করেন।অন্যথায় ইউনিয়ন বিএনপি ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠন সমুহের নেতৃবৃন্দগন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
    সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহিন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন দুলাল,ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন , সাধারণ সম্পাদক সামু সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দগন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে
    যুবদল নেতাকর্মীগন ছমিরমুন্সীর হাট মহাসড়কে এক বিক্ষোভ মিছিল করে।

  • তারাগঞ্জে অতি-রিক্ত ভাড়া ও যাত্রী হয়-রানি রো-ধে যৌ-থ বাহিনীর অভিযান

    তারাগঞ্জে অতি-রিক্ত ভাড়া ও যাত্রী হয়-রানি রো-ধে যৌ-থ বাহিনীর অভিযান

    খলিলুর রহমান- নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    রংপুরের তারাগঞ্জে যাত্রীদের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে তিনটি যাত্রীবাহী বাসকে ১১হাজার টাকার মামলা দেয়া হয়েছে।

    রবিবার (১৫ জুন) সকালে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তারাগঞ্জের বারাতি নামক স্থানে চলন্ত বাস থামিয়ে সেনাবাহিনী ও হাইওয়ে পুলিশ এ অভিযান চালায়।

    এসময় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে দোয়েল পরিবহনের ২টি বাসসহ মোট তিনটি বাসের ১১হাজার টাকার মামলা দেয়া হয়েছে।

    যাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহনগুলো নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিচ্ছে। তারা বলেন, স্বাভাবিক দিনের ৭০০ টাকার ভাড়া ১২০০টাকা নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই বলে গেলে যান আর না গেলে নাই।

    এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে অন্যান্য যাত্রীরাও। শরিফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, এমন অভিযান আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এতে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

    অভিযান পরিচালনার বিষয়ে তারাগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও হয়রানি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাইওয়ে পুলিশকে সাথে নিয়ে – ২৭টি বাস , ১৫ টি ট্রাক,২০টি
    মাইক্রেবাস , ১২টি প্রাইভেট কার , ৩৭টি মটরসাইকেলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দোয়েল পরিবহনের দুটি বাস সহ মোট তিনটি গাড়ির নিয়মিত মামলা দেয়া হয়।
    তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ও পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের এ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

  • ফুলবাড়িয়া রাতের আঁধারে লেবু গাছ কেঁ-টে ফেলার অভি-যোগ

    ফুলবাড়িয়া রাতের আঁধারে লেবু গাছ কেঁ-টে ফেলার অভি-যোগ

    মো.সেলিম মিয়া (ময়মনসিংহ) ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নে রাতে আঁধারে ৯০ শতাংশ জমির শতাধিক লেবু গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রুহুল আমিন গংদের বিরুদ্ধে।
    জানা যায়, এনায়েতপুর ইউনিয়নের কাহালগাঁও গ্রামের আ: মোতালেব ও নুরুল ইসলাম দুই ভাই। আব্দুল মোতালেবের দুই মেয়ে মুক্তা ও মনি আর নুুরুল ইসলামের দুই পুত্র কামরুজ্জামান ও আমিরুল ইসলাম। কামরুজ্জামান মোতালেবের মেয়ে তানজিনা আক্তার মুক্তার কে বিয়ে করেন। নুরুল ইসলাম ও মোতালেব জীবিত থাকাকালীন কাহালগাঁও মৌজায় স্ট্যাম্পমুলে ৯০ শতক জমি কামরুজ্জামান, আমিরুল ইসলাম ও তানজিনা আক্তার মুক্তার নামে লিখে দেন।
    অপরদিকে আব্দুল মোতালেবের আরেক মেয়ে মনি আক্তারের বিয়ে হয় ভালুকা উথুরা গ্রামের সজিবের সাথে। জমির লোভ সামলাতে না পেরে মনি ও তার স্বামী সজিবের কু পরামর্শে শাশুরী নাজমুন নাহার বড় মেয়ের জামাই কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও সামাজিকভাবে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি সালিশীর মাধ্যমে উক্ত জমি ভোগ দখলের জন্য দেওয়া হয়। তবে অন্য দাগের জমিগুলো কামরুজ্জামান গংদের লিখে দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা কথা না রেখে স্থানীয় দালালদের যোগসাজসে স্ট্যাম্পমূলে বিক্রি করার পায়তারা করে।
    আমিরুল ইসলাম গংদের দাবী, ভালুকার উথুরা গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র সজিব মিয়া বায়না মুলে আলতাব আলী ছেলে মোঃ রুহুল আমিনের কাছে বায়না করে। ঈদের দুই দিন পর সোমবার (০৯ জুন) রাতে আঁধারে লেবু বাগানের গাছ কেটে ফেলেছে রহুল আমিন গংরা। ৯০ শতাংশ জমির উপর লেবু গাছের মাঝে শতাধিক লেবু গাছ কেটে ফেলেছে।
    এলাকার জমির দালাল রহুল আমিন গংরা লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আসে ৯০ শতাংশ জমির উপর শতাধিক লেবু গাছ কেটে ফেলেছে। এ ঘটনা শুনার সাথে সাথে আমি আশেপাশে লোকজন নিয়ে বিষয়টি ইউপি সদস্যকে অবগত করি। লেবু গাছ গুলোতে পুরোদমে ফলন প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। জমির দালাল মোঃ রহুল আমির গংরা লেবু গাছ গুলো কাটা শুরু করে তারা আমার পিছনে দীর্ঘদিন ধরে লেগে তারা আমার ক্ষতি করবে।

    শ্রমিক জিন্নাহ ফকির বলেন, সকালে আমি লেবু ক্ষেতে গেলে গাছ কাটা দেখতে পাই। এরপর জমির মালিক কে সংবাদ দেই। এতে আমার প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ক্ষয় ক্ষতি হয়। এ বিষয় নিয়ে ফুলবাড়ীয়া থানার একটি অভিযোগ করি।

    ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম বলেন, আমি শুনেছি, সাবেক মেম্বার আমিরুল ইসলামের লেবু গাছ কেটে ফেলেছে। কিন্তু কাজটি ঠিক করে নাই।

    মো: রুহুল আমিন বলেন, আমি জমি বায়না করেছি। কে বা কারা লেবু গাছ কেটেছে তা আমি জানি না।

    মনি আক্তারের স্বামী সজিব বলেন, আমি ৭২ শতাংশ জমি বিক্রি করেছি। আমরা লেবু গাছ কাটি নাই।

    তানজিনা আক্তার মুক্তা বলেন, আমার বোন তো সকল জমিতে ওয়ারিশ। তার জমি বিক্রি করতে চাইলে প্রত্যেক দাগে দাগে বিক্রি করতে হবে। এক দাগে জমি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই।

  • জমি বিরো-ধে কলেজছাত্রীসহ একই পরিবারের ছয় নারীকে পি-টিয়ে আহ-ত

    জমি বিরো-ধে কলেজছাত্রীসহ একই পরিবারের ছয় নারীকে পি-টিয়ে আহ-ত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের মাদারঘোনা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কলেজছাত্রীসহ একই পরিবারের ছয়জন নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

    ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে। আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিন পর রোববার (১৫ জুন) আহতদের একজন, জোসনা বেগম, নলছিটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মাদারঘোনা গ্রামের রাজু হাওলাদার, মিনারা বেগম, মোঃ রঞ্জু, রিয়াদ খান, রিফাত খান, মন্নান খান ও মাসুদ খান ওই পরিবারের বসতঘরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বাধা দিলে তারা নারী সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে।

    আহতদের মধ্যে তিনজন কলেজছাত্রীও রয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। হামলার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

    আহত জোসনা বেগম বলেন,মাদারঘোনা মৌজার ৩৬০ নং খতিয়ানের ৪১৬, ৪১৭, ৪১৮, ৪১৯, ৪২০ ও ৪২১ দাগের মধ্যে ৮৯ শতক জমির মধ্যে আমার বাবা ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সেই জমিতে বসবাস করছি।

    তিনি আরও বলেন,ভাগবণ্টন নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ১০ জুন সকালে সালিশি বৈঠক বসলে অভিযুক্তরা সালিশদারদেরও মারধরের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা চলে গেলে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে গালিগালাজ শুরু করে এবং পরে হামলা চালায়। ঘরে কোনো পুরুষ না থাকায় তারা আমাদের ওপরই চড়াও হয়।

    অভিযুক্তদের মধ্যে মন্নান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমরা তাদের মারধর করিনি।

    নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আশরাফ আলী বলেন,ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সিটিজেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত 

    সিটিজেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত 

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    নলছিটিতে সিটিজেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফলদ, বনজ, ঔষধি গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির ২০২৫ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৪ জুন) বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় উপজেলার কুলকাঠী ইউনিয়নের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ও বিএনপি অফিসের সম্মুখে এবং বাজার এলাকায় কর্মসূচির অনুষ্ঠিত হয়েছে

    এসময় ভার্চুয়াল ভাবে যুক্ত হন সম্মানিত আহবায়ক অ্যাডভোকেট কাওসার হোসেন,সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও বৃক্ষরোপণে মানুষকে উৎসাহিত করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,কুলকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক খোকন মাঝি, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামাল হোসেন মল্লিক, সিটিজেন ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (রাসেল মৃধা), সুমন,সোহেল, মাহফুজ রবিউল, ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।