Blog

  • বীরগঞ্জে বৈদ্যুতিক শ-ক লেগে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রের মৃ-ত্যু

    বীরগঞ্জে বৈদ্যুতিক শ-ক লেগে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রের মৃ-ত্যু

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বৈদ্যুতিক শক লেগে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

    ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় সুজলপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে।

    নিহত শিশুটি মদনপুর গ্রামের মোবারক মাস্টারের নাতি ও মাহফুজুর রহমান (বাবুর) মেজো ছেলে আরাফ (১৩)। সে আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।

    নিহত আরাফ এর চাচা আইনুল হক জানায়, নিজ বাসায় শোয়ার ঘরের বেড সুইচ এর তার লেগে শখ খায়। তাকে দ্রুত বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নবী হোসেন জানায়, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

    আমতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আহসান হাবীব বলেন, আরাফ ছাত্র হিসেবে খুবই ভালো। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল গফুর বলেন, এ ব্যাপারে কোন সংবাদ আমি পাইনি।

    স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু সাঈদ রয়েল জানায়, ১৬ জুন সোমবার সকাল ১০ টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

  • কাঁকনহাট পৌরসভায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের ত-দন্ত করবেন দুদক,  প্রশাসক বললেন চিঠি পাইনি

    কাঁকনহাট পৌরসভায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের ত-দন্ত করবেন দুদক, প্রশাসক বললেন চিঠি পাইনি

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভায় চাকরির নিয়োগ নিয়ে ওঠা বিতর্কিত অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় দেড় বছর আগে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় ঘুষ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে, যা এখন বাস্তবে রুপ নিচ্ছে বলে মনে করছেন অভিযোগকারীগন।

    গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কাঁকনহাট পৌরসভা ছয়টি পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পদগুলো ছিল-স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, স্টোর কিপার, সহকারী কর আদায়কারী, সার্ভেয়ার, কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহায়ক। আবেদনের শেষ সময় ছিল একই বছর ৩ ডিসেম্বর। নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপ এবং আর্থিক লেনদেনের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

    এ সময় পৌরসভার দায়িত্বে ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও তৎকালীন মেয়র একেএম আতাউর রহমান খান। সেই সময় সহকারী কর আদায়কারী পদে চাকরির আবেদনকারী সানজিদা শেখ সরাসরি মেয়র এবং তৎকালীন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দেন।

    সানজিদা শেখ, যিনি সাবেক প্যানেল মেয়র গোলাম মর্তুজা শেখের কন্যা, গত ২৬ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে পদের প্রার্থীদের সম্ভাব্য নাম প্রকাশ করেন। তার ভাষ্যমতে, “নিয়োগের আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে কে কোন পদে চাকরি পাবেন।” সংবাদ সম্মেলনের পর তিনি মারধর ও হুমকির শিকার হন বলেও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

    নাম প্রকাশিতদের তালিকায় ছিলেন-স্টোর কিপার পদে শিহাব উল্লাহ (মেয়রের নাতি), সহকারী কর আদায়কারী পদে মহাসিনা আক্তার, সার্ভেয়ার পদে ইফতেহাদ আহম্মেদ স্বপন, কম্পিউটার অপারেটর পদে হিমেল ও অফিস সহায়ক পদে মেহেদী হাসান। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার ‘বিশেষ প্রার্থী’ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদের জন্য নির্ধারিত বলেও তিনি দাবি করেন।

    চলমান বিতর্কের মধ্যেই গত ২৯ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সানজিদার পূর্বানুমান অনেকটাই মিলে গেছে-স্টোর কিপার পদে শিহাব উল্লাহ, সহকারী কর আদায়কারী পদে মহাসিনা আক্তার এবং সার্ভেয়ার পদে ইফতেহাদ আহম্মেদ স্বপন চাকরি পান। তবে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পান শিহাব আলী ও অফিস সহায়ক হিসেবে শরিফুল ইসলাম।

    সানজিদার বাবা গোলাম মর্তুজা শেখ অভিযোগ করেন, শিহাব উল্লাহ ছাড়া বাকি সবাই মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে পাস করেছেন। তার দাবি, “প্রতি পদে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়োগের আগে থেকেই ১০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।”

    তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়োগপ্রাপ্ত আসাদুল ইসলাম ও শিহাব আলী বলেন, তারা কোনো ধরনের ঘুষ দেননি।

    এ ঘটনায় তৎকালীন পৌর মেয়র ও নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন। রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, “ঈদের ছুটির আগেই তদন্তের নির্দেশনা এসেছে, ছুটি শেষে কাজ শুরু করব।”

    কাঁকনহাট পৌরসভার বাসিন্দা মানসুরুর রহমান বলেন, ঘুষ অবশ্যই লেনদেন হয়েছে, যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

    কাঁকনহাট পৌরসভার সফল প্রশাসক ও গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামসুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোন চিঠি পাই নি। চিঠি পেলে দেখা যাবে।

    কাঁকনহাট পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবইল রিসিভ করেন নি তাই বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    কাঁকনহাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আজাহার আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে শুরু করা সাথে ব্যস্ততা দেখিয়ে মোবাইল কেটে দেন।

    উল্লেখ্য, সাবেক মেয়র আতাউর রহমান বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। অপরদিকে রেজাউল করিম হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে থাকায় তার প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক।

  • রাজশাহীর  যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ফার্মেসী। সিভিল সার্জন বললেন সবাইকে সচেতন হতে হবে

    রাজশাহীর যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ফার্মেসী। সিভিল সার্জন বললেন সবাইকে সচেতন হতে হবে

    নিজস্ব প্রতিবরদক, রাজশাহী : রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ফার্মেসি। ওই সব ফার্মেসীর অনেক মালিক নিজের নামটি লিখতে কলম ভাঙ্গে অথচ ডাক্তার সেজে ঔষুধ ও ব্যবস্থা পত্র দিয়ে থাকেন। রোগ মুক্তি নয় ওষুধ বিক্রি যেন তাদের মুখ্য উদ্দ্যেশ্য।

    অনেক সময় এমবিবিএস ডাক্তারগণ রোগীর অবস্থা ” নামীদামী কোম্পানীর ঔধুষ প্রেসক্রিপশনে লিখলেও ওই সব অর্ধশিক্ষিত, অপ্রশিক্ষিত ওষুধ বিক্রেতারা বেশী লাভের আশায় ডাক্তারের লিখা ওষুধ পরিবর্তনও করে দিচ্ছেন অহরহ। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে আশাংকাজনকভাবে।

    ওষুধ প্রশাসনের আইনে বলা হয়েছে, দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনও ওষুধ বিক্রি বা মজুদ রাখা যাবে না। ড্রাগ সার্টিফিকেট টানানো থাকবে হবে। ওষুধ বিক্রয়ের সময়ে ক্রেতাদের প্রতিটি ওষুধের নাম মূল্যসহ ক্যাশ মেমো প্রদান করতে হবে। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনও ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। দেশীয় ওষুধ ব্যতীত বিদেশি ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। এসব নিয়ম থাকলেও মানছেন না বেশির ভাগ ফার্মেসি।

    ফার্মেসীর মালিকগণ ঔষধকে মনে করেন খাদ্যদ্রব্য, আলু, পটল কিংবা বেকারী পুন্য। বিক্রি করতে পারলেই হয়। অনেক মেয়াদ উর্ত্তীন ওষুধ, স্যাম্পল রেখে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে। এমনকি কোম্পানীর নির্ধারিত মূল্যের উপর ওভার রাইটিং করে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কলম দিয়ে লিখে বিক্রি করা হচ্ছে ।

    এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনার খবর পৌছা মাত্রই গোদাগাড়ী পৌরসভার গোদাগাড়ী,, হাটপাড়া, সুলতানগজ্ঞ, মহিশালবাড়ী, সিএন্ডবি, রেলবাজার, মাওলানার গেট, উপজেলার রেলগেট, হাজীরমোড, হরিসংকরপুর, পিরিজপুর, বিদিরপুর, প্রেমতলী, কুমুরপুর, রাজাবাড়ী, কাঁঠালতোলা, কামারপাড়া, বাসুদেবপুর, বালিয়ঘাটা, কাঁকনহাট, ২৪নগর প্রভূতি এলাকার ২ শতাধিক ফর্মেসীর মলিক দোকান লাগিয়ে পালিয়ে যায় বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। যতক্ষন অভিযান চলে ততক্ষুন দোকান বন্ধ থাকে। এচিত্র অন্য উপজেলা ও পৌরসভা এলাকার।

    কোম্পানী ওষুধের দাম বৃদ্ধি না করলেও ফার্মেসীর মালিকগন ইচ্ছা মাফিক দাম হাকাচ্ছেন, প্রশ্ন করলে ওষুধ বিক্রি নেই বলে তখন ক্রেতা সাধারন উপায়হীনভাবে কোম্পানীর নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। আইন থাকলেও এর বাস্তব প্রয়োগ না থাকায় কিংবা শাস্তির বিধান কম হওয়ায় এ সব অবৈধ কারবার চলছে দেদারসে।

    রাজশাহী জেলার সিভিল সর্জন ডা. এস.আই. এম. রাজিউল করিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ফার্মেসীর মালিক ঔষধের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ঔষধ প্রদানের বিষয়টি করতে পারেন না। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তাদেরকে ফার্মেসীর লাইসেন্স প্রদান করে থাকে বিষয়টি তারাই তদারকি করেন। এ ব্যপারে আমাদের কিছু করার নেই। তবে নিন্মমানের ঔষধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, বেশী মূল্যে ঔষধ বিক্রির বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ অভিযোগ করলে তাৎক্ষিন, উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারকে সাথে আমরা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এটা আমাদের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আর এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, এটা জাতীয় ইস্যু, রোগি দেখার সময়, অফিস আওয়ারের মধ্যে বিভিন্ন কম্পানীর প্রতিনিধি /রিপ্রেজেন্টটিভ/ কর্মকর্তা কোনভাবে ভিজিট করতে পারবেন না। কোন উপঢৌকন, গিফট প্রদান, গ্রহন করতে পারবেন না। তবে সপ্তাহে ২ দিন রোগি দেখা ও অফিস আওয়ারের বাইরে কম্পানীর প্রতিনিধি/রিপ্রেজেন্টটিভ/ কর্মকর্তাগন ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করতে করে তাদের নতুন প্রডাক্টের ব্যপারে কথা বলতে পারেন। তিনি বলেন, কোন মেডিকেল এ্যাসিটেস্ট জেলা সদর, উপজেলা সদর, পৌরসভার মধ্যে কোনভাবে রোগি দেখতে পারবেন না। সাইনবোর্ডে, ব্যবস্থাপত্রে নামের আগে ডা. ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু মাত্র তারা গ্রাম্য এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন।
    মানুষকে ঔষধ সেবন, গ্রহনের ক্ষেত্র সচেতন হতে হবে। কোনা রেজিষ্টার ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র, পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন, ক্রয়বিক্রয় করতে পারবেন না।

    রাজশাহীর ঔষধ অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স ব্যতিত কেউ ফার্মেসী চালাতে পারবে। রাজশাহীতে প্রায় ৪ হাজার ৩৫ টি লাইসেন্সকৃত ফার্মেসী রয়েছে। এছাড়া গোদাগাড়ীতে ২৬৩ টি, তানোরে ১৭৮ টি লাইসেন্সকৃত ফার্মেসী রয়েছে। প্রতিবছর প্রতিবছর ৭ শ থেকে ৮শ ফার্মেসীর মালিক লাইসেন্স নাবায়ন করেন না। শ্রেণীভেদে ১৮ শ থেকে ২৫ শ টাকা নবায়ন ফি এর সাথে ১৫ ভাগ ভ্যাট যুক্ত হয়। যে সব ফার্মেসীর মালিক লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ বিক্রি, মেয়াদ উত্তীর্ণ , নিন্মমানের ঔষধ বিক্রি করেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের নিজস্ব জনবল নিয়ে ঔষধ ও কসমেটিক আইন ২০২৩ অনুযায়ী, অভিযান পরিচালনা করা হয়। যারা ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে আর নবায়ন করেন না তারা আইনের চোখে বড় অপরাধী।

    গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাসানুল জাহিদ বলেন, ফার্মেসীর মালিকগণ কোনভাবে রেজিস্টার ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া রোগিকে ঔষধ দিতে পারবেন না। নিজে কোনভাবে ব্যবস্থাপত্র, ঔষুধ দিতে পারবেন না। মেয়াদ উর্ত্তীন ওষুধ, স্যাম্পল রেখে বিক্রি করতে পারবেন না।
    কোম্পানীর নির্ধারিত মূল্যের উপর ওভার রাইটিং করে বেশী দামে বিক্রি করতে পারবেন না। এটা আইনগতভাবে অপরাধ। এদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারকে সাথে নিয়ে অভিযান চলছে।

    নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ফার্মেসীর মালিক জানান, মুদিখানা, চায়ের দোকান, পান সিগারেট এর দোকানে ঔষধ, সেলাইন বিক্রি হচ্ছে, গোদাগাড়ীতে অনেকের ড্রাগ লাইসেন্স নেই এবং লাইসেন্স থাকলেও নবায়ন নেই। ফার্মাসিস্টের প্রশিক্ষণ সনদ নেই। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করা একেবারেই উচিৎ নয়।

    একজন নিয়মিত ঔষধ ক্রেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ওষুধ বিক্রেতা ও ক্রেতাকে বুঝতে হবে ওষুধ কোন খাদ্য দ্রব্য নয় এটি মূলত এক ধরনের বিষাক্ত দ্রব্য। নিয়মমাফিক ব্যবহার না করলে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমর্কী হয়ে দাঁড়ায়। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার স্বীকার হচ্ছে অনেক রোগী। একজন মানুষ ১ পাতা ঘুমের ঔষধ নিতে আসলেও রেজিষ্টার ডাক্তারের ব্যবস্থা পত্র দিয়ে দেন এটা কিন্তু উচিত নয়। ফার্মেসী ব্যবসায়ীদের আরও সচেতন হতে হবে।

    ডাক্তারী পরামার্শ ছাড়া এক রোগের ঔষুধ খেতে গিয়ে অন্য একটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। গোদাগাড়ীর বিভিন্ন ফার্মেসী গুলিতে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঔষুধ বিক্রির কাজে জড়িতদের শতকরা ৯০ ভাগেরই ওষুধ সম্পর্কে ভাল ধারনা নেই। ফলে ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে রোগীরা ধারনা পায় না। তারা ডাক্তারী প্রেসক্রিপশন চাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভাব করে না। ক্রেতা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে নাম উল্লেখ করে ঔষধ চাইলে ফার্মেসীর মালিকগণ ওষুধ বিক্রি করে থাকেন। আবার অনেক দিনের মেয়াদোর্ত্তীর্ন পুরানো প্রেসক্রিপশন নিয়ে অনেক রোগী ফার্মেসীতে আসলে প্রেসক্রিপশনের তারিখ ওষুধ সেবন করার সময়সীমা দেখার প্রয়োজনবোধও করেন না বিক্রেতাগন।

    এদিকে বেশীর ভাগ ডাক্তারগণ কোম্পানীগুলোর বিভিন্ন রকমারী দামী উপঢোকনের (দামী উপহার সামগ্রী) কারণে রোগী দেখার চেয়ে বেশী সময় ব্যয় করে থাকেন কোম্পানী রিপ্রেজেন্টিভদের (প্রতিনিধিদের) সাথে। রোগী অসুখে কিংবা, পেট ব্যথায় ছটপট করলেও ডাক্তারদের মন এতোটুকু গলে না এখানে রোগী গৌন আর ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধি মূখ্য শুধু মাত্র দামী উপহার সামগ্রীর কারণে। গোদাগাড়ী মডেল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, সততা ইসলামী হাসপাতালে দীর্ঘ লাইনে ঔষুধ কম্পানী গুলির প্রতিনিধিদের উপহার সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যান। এছাড়া ডাক্তারের রুম থেকে রোগির স্বজনেরা বের হওয়ার মাথে সাথে প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি শুরু করে দেন, ছবি তুলেন, কোন কম্পানীর ঔষুধ নিখেছেন, তারটা আছে কিনা, এ যেন রোগির লোকজন ও ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের এক সংঘর্ষ।

    অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও বাস্তব সত্য ডাক্তারী রোগী দেখা ফি এর উপর সরকার যে ভ্যাট বসিয়েছেন সেটির টাকাও রোগীদের নিকট থেকে গ্রহন করা হচ্ছে। এ অবৈধ কারবারটি জেলা শহর, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা শহরের নামীদামী ডাক্তারগণও করছেন নিজেদের খেয়াল খুশি মতো। শুধু কি তাই ডাক্তারদের সিরিয়্যাল দেওয়ার জন্য উৎকোচ দিতে হচ্ছে ১শ ৫০শ থেকে ২ শ টাকা। ভুক্তভোগী সচেতন মহলের দাবী জরুরী ভিক্তিতে এদের বিরুদ্ধে এদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের।

    মোঃ হায়দার আলী,
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল তানভীর হোসেন

    রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল তানভীর হোসেন

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী: রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের দুটি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল তানভীর হোসেন। শনিবার দুপুরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার ও কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কার্যক্রমে অংশ নেন।

    পুকুর দুটিতে রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার কার্প এবং পাঙ্গাসসহ নানা প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক জনাব কামাল হোসেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান এবং কারা বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

    পোনা অবমুক্ত শেষে কর্নেল তানভীর হোসেন বলেন, “স্থানীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে আমরা সরকারের আয়ের নতুন পথ তৈরি করছি। এই পুকুরে উৎপাদিত মাছ বন্দীদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হবে, যা সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ে সহায়ক হবে এবং কারাগারকে খাদ্যে স্বনির্ভর করে তুলবে।”

    তিনি আরও বলেন, “কারাগার শুধু শাস্তির নয়, এটি সংশোধনের স্থান। এখানে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বন্দীরা প্রশিক্ষণ পাচ্ছে, যা তাদের সামাজিক পুনর্বাসনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”

    এ সময় রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি প্রিজন জনাব কামাল হোসেন বলেন, “কারাগার ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও আত্মনির্ভরশীল করতে আমরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। মাছচাষসহ বিভিন্ন কৃষিকাজ, বৃক্ষরোপণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এরই অংশ।”

    কারাগার পরিদর্শনকালে কর্নেল তানভীর হোসেন একটি লিচু গাছ রোপণ করেন এবং বন্দী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি কারাগারের সার্বিক পরিবেশ, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    কারা প্রশাসনের এই উদ্যোগ বন্দীদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • মহিষ পালনে নতুন দিগন্ত খুলছে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

    মহিষ পালনে নতুন দিগন্ত খুলছে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ “মহিষ বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে মহিষ পালনে খামারিরা অধিক লাভবান হতে পারেন”-রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মহিষ পালনকারী খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

    শনিবার দুপুর ১টায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় রাজাবাড়িহাটে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ২৫ জন সুফলভোগী মহিষ খামারি অংশগ্রহণ করেন।

    মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা আরও বলেন,
    মহিষ পালনকারী খামারিরা আমাদের গর্ব। তারা যদি সময়মতো ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশক প্রয়োগ করেন এবং আধুনিক পদ্ধতিতে মহিষ পালন করেন, তাহলে এই খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। সরকার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় খামারিদের পাশে আছে।”

    সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। তিনি বলেন, “সঠিক সময়ে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশক প্রয়োগ করলে মহিষের মৃত্যু হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়, যা গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে।”

    খামারিরা এই সভায় তাদের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন বাস্তব সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং তার সমাধানে সরকারিভাবে সহায়তা কামনা করেন।

    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. গৌতম কুমার দেব, খামারের উপপরিচালক ডা. ইসমাইল হোসেন, এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মানিক মিয়া, যিনি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

    এ ধরনের মতবিনিময় সভা খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তি বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,

  • ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব সভাপতি আসিফ কাজলের পিতার ১৪তম মৃ-ত্যু বার্ষিকী আজ

    ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব সভাপতি আসিফ কাজলের পিতার ১৪তম মৃ-ত্যু বার্ষিকী আজ

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার জেলা সংবাদদাতা আসিফ কাজলের পিতা মরহুম আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের আজ রোববার (১৫ জুন) ১৪তম মৃত্যু বার্ষিকী। প্রতি বছরের ন্যায় দিবসটি পালনে পারিবারিক ভাবে বিস্তারিত কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামে মাজার জিয়ারত ও ঝিনাইদহে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১১ সালের ১৫ জুন দর্শনা সুগার মিলের সাবেক কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বিশ্বাস বার্ধক্য জনিত কারণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামে ইন্তেকাল করেন।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • নেছারাবাদের চিলতলা বাজারে আ-গুন ক্ষ-য়ক্ষতির পরিমাণ দশ লক্ষাধিক টাকা

    নেছারাবাদের চিলতলা বাজারে আ-গুন ক্ষ-য়ক্ষতির পরিমাণ দশ লক্ষাধিক টাকা

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের চিলতলা বাজারে আগুন লাগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দশ লক্ষাধিক টাকা।রোববার সকাল ১১টার দিকে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় মো. ইউনুস মেকার, মো. রিয়াদুল ইসলাম, ওহাব মিয়া, এবং আবুল কালামের দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। জানাগেছে ঐ ভিটির মালিক স্থানীয় মো. বাদশা মিয়া।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে একটি দোকান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায় এবং মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর জন্য পানি ও বালতির সাহায্যে চেষ্টা চালান। তাছাড়া স্থানীয় মালিকানাধীন ২ টি পানির পাম্প প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

    স্থানীয়রা বলেন, নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হওয়ায় দ্রুত উপস্থিত হতে পারেনি। এছাড়াও, ফায়ার সার্ভিসের পৌঁছাতে নদী পারাপার এবং চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে আগুন নেভাতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।

    দৈহারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোতে মালামালসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।

    ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানান, আগুনে দোকানে রাখা মুদিমাল, কসমেটিকস, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও কাঁচামাল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।

    নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান,আমারা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যাওয়ার পূর্বেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এলাকাবাসী মিলে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ এর শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।

  • গুরুদাসপুর গ্রামবাসীর শ্রমে  নিজস্ব অর্থায়ন রাস্তা সংস্কার

    গুরুদাসপুর গ্রামবাসীর শ্রমে নিজস্ব অর্থায়ন রাস্তা সংস্কার

    মোল্লা মোঃ এম এ রানা নাটোর জেলা প্রতিনিধি
    নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার ৬নং চাঁপিলা ইউনিয়নের তেলটুপি ব্রীজ থেকে উত্তর দিকে পুঠিমারী দক্ষিণপাড়া মসজিদ পর্যন্ত ২০০ মিটার কাঁচা রাস্তা গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়ন ও নিরলস শ্রমের বিনিময়ে ইঁট বালির দ্বারা আজ ১৫ জুন তারিখে সংস্কার করা হয়। নিঃসন্দেহে চমৎকার এই আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছে গ্রামবাসীরা। রাস্তাটির সংস্কার কাজে প্রায় এক লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়।
    গ্রামবাসীর এমন মহৎ উদ্যোগে আজ পহেলা আষাঢ় যাতায়াতের দীর্ঘদিনের অসুবিধা দূর করতে এই মহতী উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে করে আসন্ন বর্ষাকালে গ্রামবাসীদের অনেক দিনের সমস্যার সমাধান হবে বলে সকলেই আশাবাদী।
    পুঠিমারী দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা মোঃ ইউসুফ আলী গ্রামবাসীর এমন মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এ সংক্রান্তে ওই এলাকার কৃতি সন্তান মাহবুব-এ-খোদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছড়া পোষ্ট করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। গ্রামবাসীকে নিয়ে ধরণের লেখা ভাল কাজে আরো অনুপ্রাণিত করবে বলে বোদ্ধা মহলের অভিমত।

  • তারাগঞ্জে ভোক্তা অধিকার ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    তারাগঞ্জে ভোক্তা অধিকার ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ও যাত্রীর ক্রয়কৃত টিকেটে ভাড়া উল্লেখ না করার দায়ে তিনটি পরিবহন কাউন্টার এজেন্টকে এবং খাবার হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ক্ষতিকর রাসয়নিক দ্রব্য ব্যবহারের দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর।

    রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে উপজেলার নতুন চৌপথি বাস স্ট্যান্ডে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। তারাগঞ্জ সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন তাসফিন ইসলাম ফাহিম এর নেতৃত্ব জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগম এবং জেলা সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন।

    অভিযানের শুরুতে ঢাকাগামী যাত্রী পরিবহন বাসের কাউন্টার গুলোর বিরুদ্ধে আসা টিকেটের বাড়তি ভাড়া ও নামে বেনামে টিকেট বিক্রির অভিযোগ গুলো যাচাই করা হয়। সেখানে দেখা যায়, কাউন্টার গুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া ও ভিন্ন নামের গাড়ীর টিকেট বিক্রির মাধ্যমে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করা হয়। সরকারি নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে যাত্রীর কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় ও প্রতারণাকারী দোয়েল ক্লাসিক, বিপুল এন্টারপ্রাইজ ও অপু ক্লাসিক পরিবহনের ৩টি কাউন্টার এজেন্টের প্রত্যেকে ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) করে মোট ১৫০০০/-(পনেরো হাজার) টাকা জরিমানা এবং আদায় করা হয়। পাশাপাশি তাদেরকে কড়া বার্তায় সতর্কতা মুলক নির্দেশনা দেন।
    পরে নিউ মিষ্টিবন নামের একটি খাবার হোটেলে দেখা যায়, হোটেলে কোনো প্রকার লেবেল এবং মূল্য ও মেয়াদের কোন প্রকার লেবেল ছাড়াই মিষ্টজাত পণ্য দই উৎপাদন ও বিক্রি করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও হোটেলে নিম্ন মানের লবন ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করা হয়। যা ভোক্তা অধিকার টীম ও সেনা অভিযানে ধরা পরে। মানুষ্য খাদ্যে ভেজাল, খাদ্য তৈরিতে পরিছন্নতা ঘাটতি ও ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারের দায়ে হোটেল মালিককে ৩০০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা ও আদায় করে ভোক্তা অধিকার।
    অন্যদিকে, আজমেরী নামে পাশের একটি বেকারিতে নিজ নামীয় মোড়ক ব্যবহার না করে ৪টি ভিন্ন নামের মোড়কে বেকারী খাদ্য পণ্য বাজারজাতকরণ এবং অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বেকারী পণ্য উৎপাদনের দায়ে আজমেরী বেকারীকে ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা জরিমান ও আদায় করা হয়।
    জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগম বলেন, যাত্রী ভোগান্তি ও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া গ্রহণ, ভিন্ন নাম ব্যবহার করা নামে বেনামে টিকেট বিক্রেতা ৩টি অসাধু কাউন্টার এজেন্টকে জরিমানা করা হয়েছে। এক যত্রীর কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি ৬০০ টাকা ফেরৎ নিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি হোটেলে উৎপাদন ও মেয়াদ সংক্রান্ত স্টিকার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন বাজারজাতকরণের প্রমাণ পাওয়ায় হোটেল ও বেকারীকে জরিমানা ও আদায় করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজকের দেয়া সতর্কতা ও নির্দেশনা অমান্য করলে পরবর্তীতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

  • সারেংকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের সংবাদ সম্মেলন

    সারেংকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের সংবাদ সম্মেলন

    নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা॥

    সাপ্তাহিক নবজাগরণ পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নেছারাবাদ উপজেলার ১০নং সারেংকাঠী ইউনিয়ন বিএনপি। শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে উপজেলার আলকিরহাট বাজারের টোলঘরে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থান করেন, নেছারাবাদ উপজেলার ১০নং সারেংকাঠী ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১২ জুন “সাপ্তাহিক নবজাগরন” পত্রিকায় প্রকাশিত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও চরিত্র হনোনকারী সংবাদে ১০নং সারেংকাঠী ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদকে জড়িয়ে “রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা” গণহত্যার আসামিদের আশ্রয়দাতা বলে অভিযুক্ত করে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। উক্ত সংবাদে আমার কোন বক্তব্য না নিয়েই সংবাদটি প্রকাশ করে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। উক্ত সংবাদের আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
    উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার ১০নং সারেংকাঠী ইউনিয়ন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ জাহিদুল করিম, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কাঞ্চন হাওলাদার, সারেংকাঠী ইউনিয়ন মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক মোঃ জসিম হাওলাদার, সারেংকাঠী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ সোহেল সিকদার প্রমুখ।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।