Blog

  • শিক্ষা বাণি-জ্যের গো-পন চুক্তি ফাঁ-স, ঝিনাইদহে নি-ষিদ্ধ গাইড বইয়ের র-মরমা ব্য-বসা

    শিক্ষা বাণি-জ্যের গো-পন চুক্তি ফাঁ-স, ঝিনাইদহে নি-ষিদ্ধ গাইড বইয়ের র-মরমা ব্য-বসা

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    শিক্ষা আর নৈতিকতা এখন যেন সুদূর অতীতের গল্প! ঝিনাইদহের স্কুল-কলেজগুলোতে চলছে শিক্ষার নামে ভয়ংকর এক বাণিজ্য। নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এক গোপন আঁতাত গড়ে তুলেছেন একদল অসাধু প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ। এর শিকার হচ্ছে নিরীহ শিক্ষার্থীরা, যাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঝিনাইদহের বাজারগুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে লেকচার, ব্যতিক্রম, পাঞ্জেরী, আর অ্যাডভান্সের মতো নামীদামি প্রকাশনীগুলোর গাইড বই। শুধু বইয়ের দোকান নয়, ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে অনলাইন মার্কেটপ্লেস—সবখানেই চলছে এই অবৈধ পণ্যের কেনাবেচা।অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঝিনাইদহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাথা গুনে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা করে চুক্তি করছেন এই গাইড মাফিয়াদের সঙ্গে। ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীদের এই গাইড বইগুলো কিনতে হচ্ছে, যা তাদের সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশকে পুরোপুরি থামিয়ে দিচ্ছে।
    টাকার খেলা ও সিন্ডিকেটের জাল
    এই অবৈধ ব্যবসার মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে কয়েকটি নাম। উদয়ন লাইব্রেরির মালিক রাকিবুল ইসলাম রণি একাই ১২টি নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
    অভিযোগ আছে, তিনি ২০২৬ সালের জন্য শতাধিক কোচিং সেন্টারের সঙ্গে ১ থেকে ২ কোটি টাকার গাইড বই বিক্রির চুক্তি করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য জেলার ৬টি উপজেলার ৪২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রকাশনা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ডোনেশন নিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চুক্তির পরিমাণ রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো:
    * ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজ: লেকচার কোম্পানির প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা।
    * হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
    * কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি একাই লেকচার কোম্পানির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন!
    অভিভাবকদের ক্ষোভ, প্রশাসনের নীরবতা ভুক্তভোগী অভিভাবকরা বলছেন, “বই না কিনলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ক্লাসেই ঢুকতে দেওয়া হয় না!” এক অভিভাবক আক্ষেপ করে জানান, তাঁর ছেলেকে দশম শ্রেণীতে নিষিদ্ধ গাইড ও টেস্ট পেপার কিনতে ৮ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে।এই অবৈধ বাণিজ্যের বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান এটিকে সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
    শিক্ষা ও আইসিটির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম. খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেছেন, তথ্য-প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং দ্রুতই এই নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এই শিক্ষাবাণিজ্যের জাল কি সত্যিই ছিন্ন করা সম্ভব? নাকি কিছু প্রধান শিক্ষক ও অসাধু প্রকাশকদের যোগসাজশে আগামী দিনেও এভাবে শিক্ষার্থীদের মেধা ও অর্থ দুটোই নষ্ট হতে থাকবে?

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্চতর সেলাই প্রশি-ক্ষণ পুরো-দমে চলছে – প্র-শিক্ষণ শেষে হবেন স্বাব-লম্বী, উদ্যোক্তা

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্চতর সেলাই প্রশি-ক্ষণ পুরো-দমে চলছে – প্র-শিক্ষণ শেষে হবেন স্বাব-লম্বী, উদ্যোক্তা

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুরোদমে চলছে সেলাই প্রশিক্ষনের কাজ। উপজেলা পরিষদের পুরাতন অডিটারিয়ামে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উচ্চতর এ সেলাই প্রশিক্ষকের কার্যক্রম চলে প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।
    এ প্রশিক্ষণে প্রথম ব্যাচে অংশ গ্রহন করছেন ৩৫ জন গরীব, দুস্থ্য, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, স্বচ্ছল অবস্থাশালী পরিবারের বেকার নারী, পুরুষ, যুবক, যুবতীরা।
    প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চোখে, মুখে স্বপ্ন একটি মিনি গার্মেন্টস এর মালিক হওয়া, উদ্যোক্তা হওয়া, নিজের পরিবারের কাজগুলি করা, আশেপাশের মানুষের কাজ করে কিছু ইনকাম করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা, সুখে শান্তিতে বসবাস করা।

    উচ্চতর সেলাই প্রশিক্ষন আবেদন ফি ভর্তি ফি ২০০ টাকা, কোর্স ফি মাসিক বেতন ২০০০ টাকা। বিভিন্ন এনজিও, সংস্থা, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শেষে একটি সেলাই মেশিন প্রদান করে কিংবা প্রশিক্ষণ শেষে ১০/১২ হাজার টাকা অনুদান দিয়েও লোক পায় না সেখানে এ উচ্চতর প্রশিক্ষণে তিন মাসে ৬ হাজার ২শ টাকা ব্যয় করে প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন। সত্যি এটা উচ্চতর প্রশিক্ষন তাই কয়েকজন প্রশিক্ষাথী নিজে বেকার মানুষকে টাকার বিনিময়ে কাজ শিখায়, সেলাইয়ের কাজ জানেন তারাও এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন।
    কেবল মাত্র যারা প্রকৃত অর্থে কাজ শিখতে আগ্রহী ও উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছুক তাদেরকেই আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছিল।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ জানান, উচ্চতর দক্ষতা সম্পূর্ণ সেলাই প্রশিক্ষণ চলছে। এখানে প্রথম ব্যাচে ৩৫ জন প্রশিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছেন। কিছুদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু হবে। মাষ্টার ট্রেনার শাহানারা বিশ্বাস শাহিনুর খুবই দক্ষ, খুব সহজে ভালভাবে শিখাচ্ছেন। তিনি এলাকার মেয়ে। আমি মাঝে মধ্যে সেখানে যায় তাদের কাজগুলি দেখি, খুব ভাল লাগে। প্রশিক্ষণ শেষে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের পায়জামা, কামিজ, টি শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, প্রভূতি তৈরী করতে সক্ষম হবেন। তিন মাস প্রশিক্ষণ শেষে সবাইকে একটি সনদপত্র, কিছু টিলস দেয়া হবে যেন তারা বাড়ীতে গিয়ে নিজে প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেন।

    পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। নিজে কিছু করার জন্য আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এজন্য সেলাই প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপর্ণ। সেলাই প্রশিক্ষণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার মাধ্যমে নারীরা সমাজে নিজেদের একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে। সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীরা নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং নিজেদের জন্য একটি স্থায়ী আয়ের পথ তৈরি করতে পারে। এধরনের নিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। যা দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখছে। বেকার যুবক ও নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    মাষ্টার ট্রেনার শাহানারা বিশ্বাস শাহিনুর বলেন, যারা কাজ শিখছেন তারা খুব আন্তরিক, মনোযোগসহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন। সেলাই প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে অনেকভাবে উপকারী আসতে পারে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিজস্ব দক্ষতা ব্যবহার করে একদিকে যেমন আয় করতে পারেন অন্যদিকে তেমনী দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন। কেন না অন লাইন মার্কেটিং করে বিদেশে তৈরীপুন্য রপ্তানী করতে পারবেন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে সেলাই ও ড্রেস মেকিং এর মতো ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ রয়েছে যেমন বাড়িতে দর্জির কাজ, দোকানে পোশাক তৈরি করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়। কম বিনিয়োগ সেলাই মেশিন কিনে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করা সম্ভব যা পরিবারের আয়ের উৎস হতে পারে।

    তিনি আরও বলেন সেলাই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নতুন ডিজাইন তৈরি এবং পোশাকের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা বাড়ানো যায়। আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজের এবং পরিবারের পোশাক তৈরির সাথে সাথে নিজকে উপস্থাপন করা যায়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী দক্ষতা।
    নিজের মেধা, দক্ষতা কলা-কৌশল কাজে লাগিয়ে যুগোপযোগী, সৃজনশীলতা, রুচিশীল, চাহিদা সম্পন্ন, উন্নত মানসম্পূর্ন্ন পোশাক তৈরী করা যায়।

    দক্ষ সেলাই জানলে ভবিষ্যতে নিজস্ব বুটিকস বা ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উদ্যোগ শুরু করার পথ খুলে যেতে পারে। আধুনিক বিশ্বে ফ্যাশান ও পোশাকের চাহিদা সবসময় থাকে তাই সেলাই চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে ইনসাল্লাহ।

    তিনি আরও জানান, প্রতিবন্ধী, গরীর, দুস্থ্য, অসাহায় অনেক মেধাবী রয়েছে। ভাল কাজ জানেন যদি কোন অবস্থাশালী, প্রবাসী, কোন সংস্থা তাদের কয়েকটি সেলাই মেশিনের ব্যবস্থা করে দেন। পরিবার গুলির সদস্যগণ দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারেন।

    প্রশিক্ষনার্থী মেহেরুন্নেসা বলেন, আমি কাজ জানি, আমি ৬৫ জনকে কাজ শিখিয়েছি তার পরেও প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি। আরও বেশী শেখার জন্য। শিক্ষার শেষ নেই।

    গৃহবধূ ও প্রশিক্ষনার্থী মোসাঃ জোহরুন নেসা বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যই কাজ শিখতে এসেছি। আমাদের মাষ্টার ট্রেনার শাহানারা বিশ্বাস শাহিনুর ম্যাডাম খুব ভাল মনের মানুষ, আমি সেলাইয়ের কোন কিছু জানতাম না। এখনও একমাস হয় নি অনেক কিছু শিখেছি। ম্যাডাম আমাদেরকে একটি কাজ ৫/৭ বার পর্যন্ত হাতে কলমে, সহজ উপায়ে শিখিয়ে দেন। আমরা বুঝতে না পারলে ম্যাডামের নিকট ছুটে যায়। কেউ ডাকলে ম্যাডামও চলে এসে একধিকবার করে বুঝিয়ে দেন, কোন বিরক্ত বোধ করেন না। একই মন্তব্য করেন প্রশিক্ষার্থী, প্রতিবন্ধী নেত্রী ঝর্ণা।

    বিধবা সুরভী বলেন, দেড় বছর আগে স্বামী মারা গেছেন, দুইটি ছেলে নিয়ে কষ্ট করে সংসার চালাই। বড় ছেলে ১০ বছর ছোট ছেলেটি ১৮ মাসের। ২ ছেলেকে শাশুড়ীর নিকট রেখে এসে সেলাই প্রশিক্ষন অংশ গ্রহন করি। মন টিকে না, তাদের কথা সব সময় মনে পড়ে। সংসার চালাতে হিমসিম খাই। প্রশিক্ষন শেষে কিছু ইনকাম করতে পারবো ইসসাল্লাহ। চেষ্টা করছি, ম্যাডামকে বার বার বিরাক্ত করি। কিন্তু ম্যাডাম বিরক্তবোধ করেন না আন্তরিকতার সাথে সহজ পদ্ধতিতে শিখিয়ে দেন। সংসারে সচ্ছলতা ফিরে

  • শিবচরে গ-লাকাটা লা-শ, চু-রির পর হ-ত্যার নেপথ্যে রহস্য

    শিবচরে গ-লাকাটা লা-শ, চু-রির পর হ-ত্যার নেপথ্যে রহস্য

    আরিফুর রহমান, মাদারীপুর :

    মাদারীপুরের শিবচরে নিজ ঘর থেকে রেনু বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চর কাঁচিকাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।

    নিহত রেনু বেগম ওই গ্রামের মৃত সাদেক হাওলাদারের স্ত্রী।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও রেনু বেগমের কোনো সাড়া না পেয়ে তার মেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই তারা দেখতে পান—রেনু বেগম নিথর দেহ নিয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় থানায়।

    খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।

    স্থানীয়দের দাবি, চুরির উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করেছে। ঘরের ভেতর মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। এক মাস আগেও ওই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান।

    শিবচর থানার ওসি মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে কী আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    এলাকাবাসীর ধারণা, এটি কেবল সাধারণ চুরি নয়—এর পেছনে অন্য কোনো রহস্যও থাকতে পারে।

    আরিফুর রহমান, মাদারীপুর।

  • বাকাসস বরিশাল জেলা কমিটি গ/ঠন সভাপতি মাহফুজুর রহমান ও সম্পাদক মতিউর রহমান

    বাকাসস বরিশাল জেলা কমিটি গ/ঠন সভাপতি মাহফুজুর রহমান ও সম্পাদক মতিউর রহমান

    সাব্বির হোসেন।।
    বাকাসস বরিশাল জেলায় ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ “কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস)” বরিশাল এর কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে মোঃ মাহফুজুর রহমান সভাপতি এবং কে. এম মতিউর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক আলম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন এবং অর্থ সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের সিকদার নির্বাচিত হয়। নবনির্বাচিত কমিটিকে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) জনাব মোঃ ওবায়দুল হুদা নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। এছাড়া বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমান এবং বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ ইকবাল হাসান এসময় উপস্থিত থেকে নর্বনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, জনাব কে, এম মতিউর রহমান গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ কেন্দ্রীয় কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব পদে নির্বাচিত হয়।
    এদিকে বানারীপাড়া উপজেলা উপজেলার সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নব গঠিত কমিটিকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

  • পুঠিয়ার বেলপুকুরে ট্রেনে কা-টা পড়ে নে-শাগ্রস্ত অ-জ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃ-ত্যু

    পুঠিয়ার বেলপুকুরে ট্রেনে কা-টা পড়ে নে-শাগ্রস্ত অ-জ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃ-ত্যু

    পুঠিয়া(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নেশাগ্রস্ত অজ্ঞাত (৩৫) এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বেলপুকুর ভড়ুয়াপাড়া রেলগেট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহটি ঈশ্বরদী জিআরপি থানার মাধ্যমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও জানান, ঘটনার পরপরই বেলপুকুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত কাজ শুরু করে। পরে ঈশ্বরদী জিআরপি থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে, তাদের কাছে বিষয়টি হস্তান্তর করা হয়।ঈশ্বরদী জিআরপি থানার এসআই আতিকুর রহমান জানান, “ট্রেনের আঘাতে লাশটি মারাত্মকভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ফাইভ আপ (ঢাকা মেল) ট্রেনের ধাক্কায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রেললাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন।”

    লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করতে পিবিআই ও সিআইডি এর টিম থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 
    পুঠিয়া, রাজশাহী।

  • কোটালীপাড়ায় নবীন ব-রন ও কৃতি শিক্ষর্থী সং-বধর্না

    কোটালীপাড়ায় নবীন ব-রন ও কৃতি শিক্ষর্থী সং-বধর্না

    কে এম সাইফুর রহমান নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ শ্রেণির (২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। 

    আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গনে উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি কমিটির আহবায়ক প্রভাষক অমিয় বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. এনায়েত বারী।

    নবীন বরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক আলিমুজ্জামান খান, প্রভাষক তুষার সেন, কৃতি শিক্ষার্থী সাব্বির হাওলাদার, অর্পিতা বসু , নবীন শিক্ষার্থী অনামিকা দাম ও সাগর ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে কলেজের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ৪৫০ জন শিক্ষার্থীকে ফুল ও শিক্ষা উপকরণ উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া বিগত ৩ বছরে কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজ থেকে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ১১ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    নবীন শিক্ষার্থী অনামিকা দাম বলেন, এই পবিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধির জন্য আমরা মেধা ও শ্রম দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজের কৃতি শিক্ষার্থী গোবিন্দ ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের আলোকবর্তিকা। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা সৎ, নৈতিক ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতে দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিতে হবে।

    কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. এনায়েত বারী বলেন, তোমরা শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো করার জন্য নয়, বরং সুশিক্ষা অর্জন করে দেশপ্রেম, মানবিকতা ও নৈতিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ আদর্শ নাগরিক হয়ে উঠবে।

    নবীনবরন ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে মনোমুগ্ধকর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে।

  • নলছিটিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্র-স্তুতি মূলক সভা অ-নুষ্ঠিত

    নলছিটিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্র-স্তুতি মূলক সভা অ-নুষ্ঠিত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ শে সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাভলী ইয়াসমিন। সভার শুরুতে সভাপতি পূজা উদযাপন উপলক্ষে সরকারি দিক-নির্দেশনা তুলে ধরেন।
    বক্তব্য রাখেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুস ছালাম, নলছিটি উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ওয়ারেন্ট অফিসার মো:নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: অনিচুর রহমান হেলাল) খান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সেলিম গাজী, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা শাহজালাল হোসেন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রোমান, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা মো: জাহিদুল ইসলাম, নলছিটি প্রেসক্লাবের সহসভাপতি দৈনিক বাংলাদেশের খবর এর নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধি মো: শাহাদাত হোসেন মনু, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পলাশ সজ্জন, অ্যাডভোকেট তপন রায় চৌধূরী, এনসিপি সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক নেতা মো: সাদাত আলম, ছাত্রদের পক্ষ থেকে সাথী আক্তার প্রমুখ।
    এ সময় সভায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, খাদ্য কর্মকর্তা, স্বস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, ওজোপাডিকোর আবাসিক প্রকৌশলীসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে উপজেলার ২০টি পূজা মন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, নলছিটি প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক কায়কোবাদ তুফান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য এ বছর নলছিটি পৌর শহরের ৩টি সহ উপজেলায় মোট ২০টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।

  • কু-রুচিপূর্ণ ভিডিও ভাই-রালের পর সেই চিকিৎসক ব-রখাস্ত

    কু-রুচিপূর্ণ ভিডিও ভাই-রালের পর সেই চিকিৎসক ব-রখাস্ত

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ভাইরালের পর সেই চিকিৎসক বরখাস্ত

    পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আবুল কাশেমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

    সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-৩ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডা. আবুল কাশেম রোগীর আত্মীয়ের সঙ্গে অপেশাদারসুলভ আচরণ, অশ্লীল কথাবার্তা ও দুর্ব্যবহার করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার এ আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য। এ কারণে তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    এতে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ১২(১) বিধি অনুযায়ী আদেশ জারির তারিখ থেকেই তার এ বরখাস্ত কার্যকর হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোষ ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।

    এর আগে, ডা. আবুল কাশেমের একটি কুরুচিপূর্ণ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়—চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার এক শিশুর বাবা-স্বজনের সঙ্গে তিনি অশালীন, অপমানজনক ও হুমকিমূলক আচরণ করেন এবং আক্রমণাত্মক ভাষায় কটূক্তি করেন। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার তীব্র ঝড় ওঠে।

    পঞ্চগড়ের চিকিৎসকের কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ভাইরাল

    সাংবাদিকদের ‘সন্ত্রাসী’ বললেন ম্যাজিস্ট্রেট

    তরুণ-প্রবীণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই চিকিৎসকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। অনেকেই মন্তব্যে লিখেছেন, এ ধরনের আচরণ চিকিৎসক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক।

    সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, একজন চিকিৎসকের মূল দায়িত্ব হলো রোগীর সেবা করা। কিন্তু তার ভাষা, জ্ঞান এবং আচরণ সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একজন ডাক্তারের জন্য ধৈর্য বড় একটি গুণ। তাই তার ব্যবহৃত ভাষা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

    পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ভিডিওটি তার নজরে আসার পরপরই ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছিল। পরে মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

  • ময়মনসিংহ সদরে উপজেলা পর্যায়ে মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বি-তরণ

    ময়মনসিংহ সদরে উপজেলা পর্যায়ে মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বি-তরণ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    শিক্ষার মানোন্নয়নে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৯ক্লাস্টারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১১ইউনিয়নে অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত সেরা মেধাবীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

    সোমবার ২২সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের ব্রহ্মপুত্র হলরুম মিলনায়তনে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের যৌথ ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত প্রতিযোগিতানুষ্ঠানে বিজয়ী সেরা মেধাবীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্থানীয় সরকার ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার, সহকারী কমিশনার ভূমি সৈয়দা তামান্না হুরায়রা।

    স্থানীয় সরকার ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস এ সময় বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সার্বিক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক এগিয়েছে। সব পরিবারের ছেলেমেয়েরা এখন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষাকে একটি সৃজনশীল ধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এজন্য শিক্ষকদের পাঠদানের কৌশল, শ্রেণীকক্ষের পরিবেশ বদলাতে হবে। শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে, পড়ার আগ্রহ ও মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি করা এবং নিজের শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা । শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের শিক্ষায় নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে নিজেকে পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ নিতে হবে।

    তিনি বলেন প্রতিটা মানব-সন্তান বিস্ময়কর প্রতিভা নিয়ে জন্মায়। সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারার মধ্যেই রয়েছে জীবনে সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই আমরা নিজেকে জাগাই, বড় হই।

    শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন বলেন-এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই প্রতিযোগিতামূলক চেতনায় গড়ে উঠবে।”

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, “আজকের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা যাচাইয়ের সুযোগ পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করবে।

    সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন-মেধা প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীর জীবনে অনেক সুফল বয়ে আনে। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায়, মনোযোগ এবং প্রতিযোগিতার মানসিকতা গড়ে তোলে, যা তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে এবং তা অর্জনে অনুপ্রাণিত করে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জ্ঞান, মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারে এবং এর ফলে তারা ভালো ফলাফল অর্জন করে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হয়। তিনি বলেন- ছোটবেলায় প্রাথমিকে আমিও এ ধরনের মেধা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছিলাম। আমার নিজের অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের আগামী দিনের জন্য তৈরী করে তুলতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার নারায়ণ চন্দ্র দাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাকসুদা আক্তার,উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ,
    উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম,উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মেরিনা সুলতানা,মো: হারুন সিকদার,রুবি খান,আশীষ কুমার তরফদার,মিতালী বণিক,মো: সাদ্দাম হোসেনসহ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভা শেষে উপজেলায় সেরা মেধাবীদের খুঁজে বের করে তাদের মধ্যে সনদপত্র প্রদান করা হয়।

    উল্লেখ্য- এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার ৯টি ক্লাস্টারের ১১টি ইউনিয়ন ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ৯১০ জন শিক্ষার্থী এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মেধা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, সেখান থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ জন করে বিজয়ী হয়ে উপজেলায় অংশ নিয়েছে।

  • চট্টগ্রামের ৩৯ নং ওয়ার্ডে বিএনপির প্রা-ণবন্ত মতবিনিময় সভা—নেতাকর্মীদের ঐ-ক্যের বার্তা

    চট্টগ্রামের ৩৯ নং ওয়ার্ডে বিএনপির প্রা-ণবন্ত মতবিনিময় সভা—নেতাকর্মীদের ঐ-ক্যের বার্তা

    মো. শহিদুল ইসলাম
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের বি ইউনিট (হোন্দল পাড়া–আলী শাহ পাড়া) নির্বাচনী কেন্দ্রকে ঘিরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এক প্রাণবন্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

    গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয় একটি স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন। যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেতা মো. সুমন রহমান ও যুবদল নেতা এজেএম সোহেল।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপিজেড থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. জাবেদ আনসারী। তিনি বলেন,
    “গণমানুষের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান,সাবেক সহ-সভাপতি মো.শরীফ,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর,স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল আলম

    এছাড়া ছাত্রদল নেতা আকিব জাভেদ ও নির্বাচনী কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

    বক্তারা বলেন, “বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে থেকেছে, আগামীতেও থাকবে। গণমানুষের অধিকার আদায় ও দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে আমাদের আরও সংগঠিত হতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিটি নেতাকর্মীকে মাঠে থেকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

    তারা আসন্ন দিনগুলোতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনামূলক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান।

    সভা শেষে সাধারণ কর্মী ও নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ৩৯ নং ওয়ার্ডে বিএনপি আরও সুসংগঠিত হয়ে আগামী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনগণের আস্থা অর্জন করবে।