Blog

  • চাঁদাবা-জ সন্ত্রা-সীদের গ্রে-প্তার দাবিতে ময়মনসিংহের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

    চাঁদাবা-জ সন্ত্রা-সীদের গ্রে-প্তার দাবিতে ময়মনসিংহের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসায়ীরা।

    মঙ্গলবার (১৭জুন) দুপুর ১২ ঘটিকায় নগরীর চরপাড়া মোড়ে শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে চাঁদাবাজদের হামলা, ভাংচুরসহ বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ট
    ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কর্মচারীরা চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবীতে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

    কর্মসূচিতে বক্তারা দাবি করেন, সম্প্রতি ময়মনসিংহ নগরীতে অবস্থিত বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজরা চাদা দাবী করছে।তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে হামলা, ভাংচুরসহ বিভিন্ন মারধর সহ বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন এর নেতৃত্বে মাঠে নামবে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহকে অস্থিতিশীল করতে এই চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও জুলুমবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মানববন্ধন ও সমাবেশে চাঁদাবাজি হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ আলী ছিদ্দিকি সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম চন্দন,সহ-সভাপতি শামসুদ্দোহা মাসুম,
    যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক পাপ্পুসহ এসোসিয়েশন ও স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা।

    ময়মনসিংহ নগরীতে চাঁদাবাজদের একের পর এক হামলা, ভাংচুর এবং শোষণের ফলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা অভিযোগ করেন, এই অপরাধীরা নিয়মিতভাবে তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে এবং অর্থ দাবি করছে। চাঁদাবাজদের অব্যাহত তৎপরতায় ক্লিনিক মালিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।তারা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান এবং গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

    মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, “এই শহরে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, মাস্তানী এবং মাদক ব্যবসা চলতে দেওয়া হবে না। আইন-শৃঙ্খলার বিপরীতে কাজ করা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “পুলিশ একা কিছু করতে পারে না। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ কখনোই শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে, যাতে শহরটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অপরাধমুক্ত হয়।”

    মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ক্লিনিক মালিকরা অভিযোগ করেন, একদল চাঁদাবাজ নিয়মিতভাবে ক্লিনিকগুলোতে এসে মাসোহারা দাবি করছে এবং টাকা না দিলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করছে। স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

    এদিকে, এই বিক্ষোভে উপস্থিত সাধারণ জনগণও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, চাঁদাবাজি ও অপরাধের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

  • সুনামগঞ্জ গৌরারং ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

    সুনামগঞ্জ গৌরারং ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

    কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ :
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুনামগঞ্জ জেলা গৌরারং ইউনিয়ন শাখার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৭ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বসুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়ন নেতা কর্মীদের আয়োজনে টুকের বাজার হাজী আব্দুস ছত্তার এন্ড মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতে এই কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মী সভায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমের যৌথ সঞ্চালনায় কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,,,,
    জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য কুরবান নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আকবর আলী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গৌরারং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফুল মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সোহেল আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর উদ্দিন, ইসলাম গঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ আলী প্রমুখ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু, জেলা যুবদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজন মাহমুদ, জেলা যুবদলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মিনারুল হক,সহ অর্থ বিষয়ক উজ্জ্বল মিয়া,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোনাজির হোসেন , সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মমিনুল হক কালার চান , পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আজিজুর রহমান সৌরভ,,জেলা তরুন দলের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন
    লালপুর ১নং ওয়ার্ড সভাপতি সৈয়দ নবাব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহমত আলী, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন,
    এছাড়াও গৌরারং ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আকুল আলী, মোঃ সালেহ আহমদ, মোঃ কামাল উদ্দিন তুলা মিয়া, আব্দুর রউফ,আইয়ুব আলী , শামছুল হক, জিয়া উদ্দিন, ইয়াকুব আলী, আনোয়ার হোসেন,আজাদুর ইসলাম পবনসহ গৌরারং ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আজাহার চৌধুরী শাহীন, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক,হারুন রশিদ, তোফাজ্জুল হক সুমন, সিরাজুল ইসলাম পলাশ,
    মইনুল হকসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সভায় নেতা কর্মীরা তাদের প্রিয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কাছে তাদের একটাই প্রাণের দাবি জানিয়ে বলেন , আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সফল বিল্পবী সাধারণ সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেবেন এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা এড.নুরুল ইসলাম নুরুল কে সুনামগঞ্জ ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর ৪ আসনের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরসহ সাধারণ মানুষ।##

  • ময়মনসিংহে চো-র, ছিন-তাইকারী,চাঁদাবা-জ,সন্ত্রা-স ও মা-দক ব্যবসায়ী ধরতে  ব্যাপক তৎপর পুলিশ

    ময়মনসিংহে চো-র, ছিন-তাইকারী,চাঁদাবা-জ,সন্ত্রা-স ও মা-দক ব্যবসায়ী ধরতে ব্যাপক তৎপর পুলিশ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে চোর, ছিনতাইকারী,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ধরতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। নবাগত ওসি ফিরোজ হোসেন যোগদানের পর থেকে শহরকে শান্তিপুর্ণ ও বাসযোগ্য করতে ওসির নির্দেশে অপরাধ নির্মুলে সারা শহরে অলিগলিতে অপরাধ বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ইতি মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে ১৬ জুন সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ০৩ সদস্য গ্রেফতার করে তাদের হেফাজতে থাকা মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন, ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড,নগদ ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশ সুপারের একটি প্রেস ব্রিফিং এ জানা গেছে-গত ১৬/০৬/২০২৫ তারিখ জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ এ জনৈক মোঃ মনিরুল হক কল দিয়ে জানান যে তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন।সংবাদ পেয়ে অফিসার ইনচার্জ, কোতোয়ালী মডেল থানা, ময়মনসিংহ এর নির্দেশক্রমে ৩নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আবুল হোসেন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাসকান্দা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার ৫ ঘন্টার মধ্যে ছিনতাইকারী চক্রের ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- মাসকান্দা নয়াপাড়া বলাশপুর এলাকার শরাফ উদ্দিনের পুত্র তানভির হাসান ওরফে অন্তর (২৫),আসাদ আলীর পুত্র মিলন মিয়া (২৫) ও শম্ভুগঞ্জ রঘুরামপুর এলাকার সাদিকুল ইসলাম পুত্র সাব্বির আহম্মেদ (২৩)। এসময় তাদের নিকটে থাকা ১টি মানিব্যাগ,১টি SAMSUNG GALAXY F52 মোবাইল ফোন, ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ও নগদ ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

    সংবাদ প্রদানকারী মনিরুল হক ১৬জুন সোমবার
    সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকায় ব্যাংকের কার্যক্রম শেষে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ছোট বাজার থেকে নিজ বাসার উদ্দেশ্যে অটোযোগে রওনা হলে পথিমধ্যে রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকায় মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডের অনুমান ২০০/৩০০ গজ দক্ষিণ পাশে ময়মনসিংহ টু দিঘারকান্দা বাইপাসগামী রাস্তার পূর্ব পাশে অটো থেকে নামা মাত্রই ছিনতাইকারীরা আকস্মিকভাবে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে তাদের সাথে থাকা ধারালো চাকু বের করে মনিরুল হককে হত্যার ভয় দেখিয়ে নগদ ২০,০০০/-টাকা, SAMSUNG GALAXY F52 মোবাইল, মানিব্যাগ ও মানিব্যাগে রক্ষিত ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যায়।

    এ বিষয়ে মোঃ মনিরুল হক বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করিলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৫১,তারিখ: ১৭/০৬/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা: আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন ২০১৯ এর ৪/৫ রুজু হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন।

    কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, “এই শহরে কোনো ধরনের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাস্তানী এবং মাদক ব্যবসা চলতে দেওয়া হবে না। আইন-শৃঙ্খলার বিপরীতে কাজ করলে যত ক্ষমতাশালীই হউক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “পুলিশ একা কিছু করতে পারে না। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ কখনোই শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে, যাতে শহরটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অপরাধমুক্ত হয়।”

  • চৌহালী ফাঁড়ির ইনচার্জ গাজী মিজানের বি-রুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি-ক্রিয়া

    চৌহালী ফাঁড়ির ইনচার্জ গাজী মিজানের বি-রুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি-ক্রিয়া

    এম এ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    সিরাজগঞ্জের চৌহালী পুলিশ ফাঁড়ীর ইন চার্জ গাজী মিজান এর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ওসি নিজেই।গত ১৬/০৬/২০২৫ ইং তারিখে চৌহালী নৌ-পুলিশ ইনচার্জ (ওসি) গাজী মিজান এর বিরুদ্ধে অন লাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জানান, একটি স্বার্থান্বেষী গ্রুপ সন্মান নষ্ট করার জন্য সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
    যেখানে ভুক্তভোগীর কোন প্রকার অভিযোগ নেই।বিকাশের দোকানে পারিবারিক খরচের লেনদেন প্রায়ই করে থাকি। এক শ্রেনীর কুচক্রী মহল আমার সরকারি কাজ ব্যহত করার হীন উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। কারন আমি মৎস্য ও জাল সংক্রান্ত প্রতিনিয়ত মামলা ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আমি গাজী মিজানুরের দৈনন্দিন কাজ ও স্বাভাবিক চালাফেরার ছবি ধারণ করে অসৎ উদ্দেশ্য সাধন,ভয়- ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক লাভের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে উক্ত বানোয়াট,ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছেন।ইতিপূর্বে প্রকাশিত সংবাদের আগে কোন ব্যক্তি উর্দ্বতন কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেন নাই।তাই,আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে দাবি করছি এবং মৎস্য ও অবৈধ্য জাল সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে তথ্য প্রদান করে সহযোগীতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

  • বাবুগঞ্জে ব্রীজ নয় যেন এক ম-রন ফাঁ-দ

    বাবুগঞ্জে ব্রীজ নয় যেন এক ম-রন ফাঁ-দ

    কে এম সোহেব জুয়েল ঃ বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন ও একই উপজেলার পাশ্ববর্তী কেদারপুর ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগ ব্রীজ যাহা কিচমত ঠাকুর মুল্লিক গ্রামে যাওয়ার এক মাত্র মাধ্যম এই ব্রীজ পেরিয়ে প্রতি নিয়ত কয়েক শতাধিক কচিকাঁচা স্কুল মাদ্রসা ও কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত তাদের বিদ্যা শিক্ষা নিতে বিদ্যালয় যেয়ে থাকেন। দীর্ঘ দিনের পুরাতন ব্রীজটি সংস্কারের অভাবে আজ মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

    এ থেকে কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মানুষকে পরতে হচ্ছে ব্যাপক ভোগান্তিতে। এবং ব্রিজটি দিয়ে সাধারণ মানুষ পার হতেও ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছে। যে কোন সময় পারাপারে ব্রীজটি উপচে পরে জীবন বিপন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন ওই এলাকার লোকজন ।

    ব্রীজটি যেন এক মরন ফাঁদে পরিনিত হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। এ নিয়ে শংকায় দিন কাটাচ্ছেন ওই এলাকার ব্রীজ পারাপারে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার কয়েক শতাধিক মানুষ। তাই ব্রীজটি দ্রুত নির্মান করে জন দূর্ভোগ লাঘবে কর্তৃ পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

  • বাঁশগাড়া জগন্নাথ ধামের ১ দিন ব্যাপী বিশাল মেলা অনুষ্ঠিত

    বাঁশগাড়া জগন্নাথ ধামের ১ দিন ব্যাপী বিশাল মেলা অনুষ্ঠিত

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের বাঁশ গারা বুড়াধামের ১ দিন ব্যাপী জগন্নাথ ধামের পুজো উপলক্ষে বিশাল মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনতার চেয়ারম্যান পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার রায় ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি,গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অভয় চন্দ্র রায়, অন্যান্যের মধ্যে সুভাষ চন্দ্র রায়, সমাজ সেবক মিঠুন রায়,অশেষ চন্দ্র রায়,রবীন্দ্রনাথ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    উক্ত মেলা অনুষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেলায় ছিল হরেকরকম দোকানের বেচাকেনার ভিড় ছিল। মেলায় বিভিন্ন এলাকার ভক্ত ও দর্শনার্থী দেখতে পাওয়া যায়।

  • রামদেবপুরে ৩ দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হরিবাসর সংকীর্তন পুজা উৎসব অনুষ্ঠিত

    রামদেবপুরে ৩ দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হরিবাসর সংকীর্তন পুজা উৎসব অনুষ্ঠিত

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জে ২নং কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের রামদেবপুর গ্রামের হরিবাসর মন্দিরে ৩দিন ব্যাপী হিন্দুদের হরিবাসর অনুষ্ঠিত হয়

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনতার চেয়ারম্যান পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার রায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র রায়,দিনেশ চন্দ্র রায় মাষ্টার,মানিক মেম্বার,
    ,সাবেক ইউপি সদস্য মহেন্দ চন্দ্র রায়,সাবেক সদস্য অজয় চন্দ্র রায়, সাবেক সদস্য ফজলুল হক,সুকুমার চন্দ্র দে,দেবেন্দ্র নাথ রায়,রাবিন্দ্র নাথ রায় প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে হাজার ভক্ত শ্রোতা দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায়।অনুষ্ঠানে নওডাঙ্গা স্কুল মাঠে এক বিশাল মেলা বসে।উক্ত মেলায় বিভিন্ন দোকান পাট সহ মহিলাদের কসমেটিকস, শিশুদের হরেক রকম খেলনা পাওয়া যায়।

  • চাঁদাবা-জিতে অতি-ষ্ঠ ময়মনসিংহের ক্লিনিক ব্যবসায়ীরা, গ্রেফতারে ৭২ঘন্টার আ-ল্টিমেটাম

    চাঁদাবা-জিতে অতি-ষ্ঠ ময়মনসিংহের ক্লিনিক ব্যবসায়ীরা, গ্রেফতারে ৭২ঘন্টার আ-ল্টিমেটাম

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে
    বিভাগীয় নগরী ময়মনসিংহের ব্যক্তি মালিকানাধীন পরিচালিত বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকরা। চাঁদা না দিলেই ক্লিনিক মালিক ও কর্মচারীদের মারপিট করাসহ সহ ভাংচুর হত্যার হুমকি দিচ্ছে চাঁদাবাজরা। এযেন দেখার কেউ নেই। আর এতে ক্লিনিক মালিকরা এতোটাই অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন যে এসব চাঁদাবাজদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহের নেতৃবৃন্দ। ৭২ ঘণ্টা আলটিমেটামে চাঁদাবাজদেরকে গ্রেপ্তার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিার সেন্টার বন্ধ করার ঘোষণাও এসেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে।

    অভিযোগে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ময়মনসিংহ শহরের প্রায় তিন শতাধিক সরকারি ক্লিনিক প্রতিদিন হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছে।পাশাপাশি এসব ক্লিনিকে হাজার হাজার লোক তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। সরকারি প্রায় ১১ টি দপ্তরে নিবন্ধন ফি (রাজস্ব) জমা দিয়ে সরকারি অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। ভ্যাট- ট্যাক্স দিয়ে সরকারের রাজস্ব খাতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে প্রতিষ্ঠান গুলো। সম্প্রতি কিছু অসাধু চাঁদাবাজদের দৌরাত্মে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিকগণ দিশেহারা হয়ে উঠেছে। প্রাণের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছে না। আর যদিও কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন ও প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা তো অহরহ ঘটে থাকে। প্রশাসনকে জানালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে। যে কারণে কোন প্রতিষ্ঠান মালিক থানায় অভিযোগ করতে পারে না।
    বাংলাদেশ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন, ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম চন্দন জানান- এসোসিয়েশনে এমন অভিযোগ প্রায়ই আসে, অনেক সময় বৈঠক করেও এসব ঘটনার সমাধান করা সম্ভব হয় না, তাই নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স ময়মনসিংহ এর পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবরে চাঁদাবাজি বন্ধ ও চিহ্নিত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে মালিক কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা করা হয়েছে।

    অভিযোগ উঠেছে- চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ব্যবসায়ীদের কে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দালাল হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। এমনকি তাদের নাম জুলাই-আগস্ট আন্দোলন সংশ্লিষ্ট দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ারও হুমকি ধমকি দেওয়া হয়। শুধু মামলায় আসামি হিসাবে নাম ঢুকানোর হুমকি নয়, রীতিমতো ব্যবসায়ীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানীও করা হয়। চাঁদাবাজি নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর ক্লিনিক মালিক ও কর্মচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    কয়েক জন ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সরকার আসবে সরকার যাবে। আমরা তো ব্যবসায়ী। আমরা সরকারকে ট্রেড লাইসেন্সের বিপরীতে কর দিই। আমরা আমাদের ব্যবসা করে যেতে চাই। পুলিশকে অভিযোগ দিলেই আমাদের প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে।তারা আরো জানান- চাঁদাবাজরা বর্তমান সময়ে যেভাবে আমাদের অতিষ্ঠ করছে তা বিগত সময় কখনো এমন বেপরোয়া চাঁদাবাজি হয়নি। দলমতের উর্ধ্বে থেকে আমরা নিরাপদ আশ্রয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছি।

    তাদের অভিযোগ-দেশের সরকার থেকে শুরু করে সবকিছুর পরিবর্তন হলেও ময়মনসিংহের নগরী ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে চাঁদাবাজি এখনও বন্ধ হয়নি বরং আরও বেড়ে গেছে। গত ১৪ জুন শনিবার নগরীর একটি ক্লিনিকে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করলে ক্লিনিক মালিক চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় মালিক ও ক্লিনিকে হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ক্লিনিকের মালিক।

    সুত্র জানিয়েছে- সেই প্রাইভেট ক্লিনিক মালিকের কাছে চাঁদা দাবি, মারধর এবং সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গত রবিবার “বাংলাদেশ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, ময়মনসিংহ” এর কার্যকরী কমিটির জরুরি একটি সভা কমিটির সহ-সভাপতি শামসুদ্দোহা মাসুম এর সভাপতিত্বে স্বদেশ হাসপাতাল কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় । চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম চরম আকার ধারণ করায় সভায় কমিটির নেতৃবৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সভায় উপস্থিত কার্যকরী কমিটির সদস্যগণ মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে সোমবার ১৬ জুন সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেন এবং ১৭ জুন ( মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টায় চরপাড়া মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়ে নগরীতে মাইকিং করা হয়। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল হক পাপ্পু জানান,এসব কর্মসূচির পরও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করা না হলে ময়মনসিংহের সকল ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রেখে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করা হবে।

  • বোদা পৌরসভায় দরপত্র আহবানের আগেই কাজ শুরু 

    বোদা পৌরসভায় দরপত্র আহবানের আগেই কাজ শুরু 

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)ও পৌর প্রশাসক শাহরিয়ার নাজিরের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে নিজেই ঠিকাদারি কাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র আহ্বানের আগেই নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করায় তীব্র সমালোচনার মুখে বোদা পৌর প্রশাসন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৯ মে বোদা পৌরসভা ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩ টাকার দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র কেনার শেষ সময় ৩ জুন এবং জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয় ৪ জুন। অথচ এ বিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত প্রথম প্যাকেজের কাজ শুরুর ঘটনা ঘটেছে তার আগেই।জানা গেছে, প্রথম প্যাকেজে ৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৫২ টাকা বরাদ্দ। এই প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান ও নির্বাচিত ঠিকাদার ছাড়া কাজ শুরু করে দেয় পৌর প্রশাসন। পৌর প্রশাসকের কক্ষ ও কনফারেন্স রুমের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ শুরু হয় গত মাসের ২৮ তারিখে। বিষয়টি অনুসন্ধানে নামলে সাংবাদিকদের কারণে ১৪ মে থেকে ওই কাজ বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে কক্ষ দুটি তালাবদ্ধ রয়েছে, যদিও কাজের প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সরকারি প্রকল্পে দরপত্র ছাড়া কোনো কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে কাজ শুরু করলে তা স্পষ্টত: সরকারি ক্রয় নীতিমালার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে এ ধরনের কর্মকান্ড সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

    বোদা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রাফি ইমাম বলেন, ‘আমার কাজ হলো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। কাজের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলতে পারবেন।’বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বোদা পৌরসভার পৌর প্রশাসক বলেন, ‘কোন অনিয়ম হয়নি। আমরা চেষ্টা করেছিলাম ডিরেক্ট পারচেজে কাজটি করব। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হলো এটা বড় আকারে টেন্ডারের মাধ্যমে করতে হবে। আমাদের যেটুকু আর্থিক সীমা আছে, বিধিবদ্ধ বিধান আছে সব কিছু অনুসরণ করেই আমরা কাজ করছি।’

    এব্যাপারে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, ‘এটা খোঁজ নিতে হবে আগে। কথা বলতে হবে। কিভাবে করেছে না জেনে এক পক্ষের কথা শুনে তো আর কমেন্ট করা যাবে না। ব্যয় করার দুইটি নিয়ম আছে। টেন্ডারে বা পিআইসি’র মাধ্যমে করা যেতে পারে। তিনি যে কাজ করেছেন সেখানে সরকারি টাকা ব্যয় হয়েছে কিনা সেটা একটা বিষয়। যদি ব্যয় হয়ে না থাকে তাহলে সেটা কোথা থেকে হয়েছে সেটাতো বিষয় না। সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান যদি বেনিফিটেড হয় সরকারের কোন লস ছাড়া তাহলেতো কোন সমস্যা নেই। সরকারি একাউন্ট থেকে টাকা খরচ হয়েছে কিনা সেটা আগে দেখেন। যদি না হয়ে থাকে তাহলে তো কথা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিবো।

  • তাড়াশে জাতীয় ইমাম সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    তাড়াশে জাতীয় ইমাম সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি তাড়াশ উপজেলা শাখা আয়োজনে ইমাম ও খতিবদেরকে নিয়ে মতবিনিময় সভা ও অসহায় ইমাম খতিবদের আথিক সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    আজ সোমবার (১৬জুন) তাড়াশ উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে উপজেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল ওয়াহাব এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশন তাড়াশ উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মো: আনিছুর রহমান।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশন তাড়াশ উপজেলা মডেল কেয়ারটেকার এস এম আব্দুল মাজিদ।
    উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: মোঃ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামশেদ কবির, সহ সভাপতি মাও:মোখতার হুসাইন, মুফতি মাওলানা রায়হান আলী, মুফতি মাওলানা মো: জিয়াউর রহমান, মাওলানা আব্দুস সালাম ওসমানী, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ।
    পরে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি তাড়াশ উপজেলার শাখার পক্ষ থেকে অস্বচ্ছল ও অসহায় ইমাম খতিবদের আথিক সাহায্য প্রদান করা হয়।