নোয়াখালীর সেনবাগে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মমিন উল্লাহ র উপর ছমিরমুন্সীর হাটে সন্ত্রাসী হামলা ও হেনস্তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দগন।১৭ জুন বুধবার সকালে পৌর শহরে অনুষ্ঠিত, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবদল নেতা ফখরুল ইসলাম টিপুর নেতৃত্বে প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে।এসময় পৌর কাউন্সিলর মহিন উদ্দিন, যুবদল নেতা মামুন মেম্বার, সাবেক ছাত্র নেতা মনির হোসেন জুলেট, দিদার হোসেন সোহাগসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।এসময় বক্তারা জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে,
অবিলম্বে উক্ত হামলার ঘটনা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।
Blog
-
সেনবাগে উপজেলা বিএনপি নেতা মমিন উল্লাহ চেয়ারম্যানের উপর হা-মলার প্রতি-বাদে বিক্ষো-ভ মিছিল অনুষ্ঠিত
-
নলছিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি নি-ষেধ করায় ইউএইচএপপিওকে হুম-কি
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ কোম্পানির এক প্রতিনিধি নিয়মিত রোগী দেখেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তাকে নিষেধ করায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ কর্মচারীদের নানা হুমকি প্রদান করে আসছেন ওষুধ কোম্পানির ওই প্রতিনিধি। এমনকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান নির্বাহীর হাত পা ভেঙে দেওয়াসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় শরীফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামে একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি কথিত সাংবাদিক মোহাম্মদ মহসিনের নামে নলছিটি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ মহসিন নামে ওষুধ কোম্পানির ওই প্রতিনিধি প্রতিদিন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানাভাবে বিরক্ত করে আসছেন। তিনি জরুরী বিভাগে এবং সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারদের (স্যাকমো) কক্ষে গিয়ে প্রভাব বিস্তার করে নিজেই রোগী দেখেন। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিউলী পারভীনের নজরে এলে তিনি ওষুধ কোম্পানির ওই প্রতিনিধিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে রোগী দেখতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় মোহাম্মদ মহসিন। কর্তৃপক্ষের নিষেধ আমান্য করেও তিনি নিয়মিত রোগী দেখে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত ১৭ জুন তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমানের কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময তিনি আউট সোর্সেসিংয়ে জনবল নিয়োগের কাগজপত্র দেখতে চান। কাগজপত্র সিভিল সার্জন অফিসে রয়েছে জানালে প্রধান নির্বাহীকে মহসিন হাত পা ভেঙে ফেলাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেন। এখানে চাকরি করতে হলে তাকে সবকিছু জানাতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন মহসিন। তাঁর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন কর্তৃপক্ষ। কিসের ক্ষমতাবলে তিনি এসব করে যাচ্ছেন এমন প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ মহসিন সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে নেক দিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্স সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন সময় মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। সর্বশেষ আমার কক্ষে ঢুকে হাত পা ভেঙে ফেলাসহ জীবননাশের হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিউলী পারভীন বলেন, মহসিন নামে ওষুধ কোম্পানির ওই প্রতিনিধি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে অবৈধভাবে রোগী দেখেন। এটা নিষেধ করায় তিনি ফেসবুকে উল্টাপাল্টা লিখে যাচ্ছেন। আমার অফিস স্টাফদের হুমকি দিচ্ছেন। অফিসে এসে কাগজপত্র এলোমেলো করেন। তাকে কেউ কিছু বললেও তিনি শুনছেন না। তাঁর যন্ত্রণায় আমরা সকলে অতিষ্ঠ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আমি আশা করি।
এ ব্যাপারে শরীফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামের ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আউট সোর্সসিংয়ের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্ন কাগজপত্র দেখতে চেয়েছি। আমাকে মিজান তা দেখায়নি। মিজান বলে সিভিল সার্জন অফিসে আছে, সেখান থেকে দেখে নিন। আমি তাকে কোন হুমকি দেইনি। আমি হাসপাতালে রোগীও দেখি না। এসব মিথ্যা।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -
ধূম-পান ও তামা-কজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে- ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেছেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ব্যবহারের ফলে মানব শরীরের মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে শিরা সরু হয়ে যায় এবং রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। যার ফলে হাইপার টেনশন, হার্ট-স্টোকের মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয়।বুধবার (১৮জুন) দুপুরে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০২৫ বাস্তবায়নে গঠিত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য,অংশীজন ও কর্তত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জুন ২০২৫ মাসের মতবিনিময় সভায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি সভা-সেমিনার আয়োজন এবং মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিশুদেরকে খেলাধুলা ও নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি পরিবার থেকে ছেলে-মেয়েদেরকে সচেতন করতে হবে। উপজেলা ক্রীড়া অফিসারগন বেশি বেশি করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করবেন। জনবহুল স্থানে ধূমপান বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এসময় তিনি তামাক চাষীদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে অন্য ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে আহবান জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহজাহান কবির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ফখরুল ইসলাম,সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম,কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর প্রশাসক হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর প্রশাসক মেহেদী হাসান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর প্রশাসক শরীফ আহমেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোবায়রা বেগম সাথী,অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজ,স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) নাজমুল হুদাসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং
টাস্কফোস কমিটির সদস্য,অংশীজন ও কর্তত্বপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।আলোচনায় বক্তারা জানান, নতুন আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ, এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার-প্রচারণা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানো হবে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বক্তব্যে- ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার( নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২৫ বাস্তবায়নে টাস্কফোস কমিটি সদস্য,অংশীজন ও কর্তত্বপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের কঠোরতার সহিত কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “এই আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধূমপানমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গঠনের পথ সুগম হবে। সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম এবং নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই আইন বাস্তবায়ন সম্ভব।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল-এর উপপরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলাম উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার মূল প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন।
প্রশিক্ষণে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও নির্দেশিকা বিতরণ করা হয়
উল্ল্যেখ- ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২৫ বাস্তবায়নে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ময়মনসিংহে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়।প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য গুলো হলো-১. আইনের সঠিক ব্যাখ্যা এবং প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।২. ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা। ৩. আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রস্তুত করা।৪. জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
৫. তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সাথে জড়িত বিভিন্ন অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা। -
চার দিনেও খোঁজ মে-লেনি ঢাকায় নি-খোঁজ বানারীপাড়ার আদি’র
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চার দিনেও খোঁজ মেলেনি ঢাকায় নিখোঁজ বানারীপাড়ার সন্তান মেধাবী শিক্ষার্থী আদি’র। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে আদি’র মা-বাবা পাগল প্রায়। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আদি ইবনে জামান (১৩) বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্বার গ্রামের মো. মনিরুজ্জামান ও হামিদা জামানের ছোট ছেলে। গম ১৫ জুন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতার বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সে। পরে তার পরিবার তাদের স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান পায়নি। এ বিষয়ে ওইদিন (১৫ জুন) সন্ধ্যায় কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ৮৪৯) করেন আদি ইবনে জামানের বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। জিডিতে তিনি বলেন,তার ছেলে ‘আদি ইবনে জামান (১৩) ,১৫ জুন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে কাফরুল থানাধীন সেনপাড়া পর্বতার আমার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।’ নিখোঁজ ছেলের বর্ণনায় তিনি জানান, ‘গায়ের রং ফর্সা, চুল ছোট, উচ্চতা ৪ ফুট ৫ ইঞ্চি, স্বাস্থ্য মাঝারি, পরনে ছিল নীল জিন্সের ফুল প্যান্ট ও পেস্ট কালারের টি শার্ট।’ আদি ইবনে জামান ঢাকার বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বরিশালের বানারীপাড়া পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো.হাবিবুর রহমান জুয়েলের ছোট বোনের ছোট ছেলে এবং গরদ্বার নিবাসী ডা. মো.আবুল কালাম আজাদের ভাইয়ের ছেলে।
আদির মামা মো. হাবিবুর রহমান জুয়েল জানান, ১৫ জুন সকালে নিখোঁজের পর সম্ভাব্য সব জায়গায় আদিকে খোঁজ করা হয়েছে কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় কাফরুল থানায় জিডি করা হয়। এ প্রসঙ্গে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরির্দশক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘নিখোঁজ স্কুল ছাত্রটিকে খুঁজে বের করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। বাসা ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। সব সোর্সকে কাজে লাগানো হচ্ছে। ছেলেটি তার মায়ের মোবাইল থেকে বন্ধুদের সাথে কথা বলতো। সিডিআর হাতে পেলে তদন্তের কাজ আরও তরান্বিত হবে।’ এদিকে কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি ছেলেটির সন্ধান পেলে নিচের মোবাইল নাম্বারে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল: ০১৯১১-২৪৫২২৩ ( আদির বাবা) ও ০১৯১২-৪৭৪০৩৩ ( আদির মা)। ##
-
ওষুধের দোকানে অভি-যান চালিয়ে জরি-মানা
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৪টি ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৪ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মোঃ তানভীর আহমেদ এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
১৮ জুন বুধবার দুপুরে উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাট ও বীরগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন শহীদ মিনারে সংলগ্ন এলাকায় ওই অভিযানে জরিমানা করেন।
ঔষধের দোকানে সেম্পল ওষুধ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, থানা পুলিশের সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানভীর আহমেদ এর নেতৃত্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ, সেম্পল রাখা এবং নানা অভিযোগে কবিরাজহাট এলাকার রনি মেডিকেল, মা মেডিকেল হল এবং বীরগঞ্জ পৌরশহরের সেবা ফার্মেসি ও মোস্তাকুল ফার্মেসীসহ চার ফার্মীসিকে ১৪ হাজার ৫ শত জরিমানা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ তত্বাবধায়ক মো: আমিনুল ইসলাম।
অভিযানের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর আহমেদ জানান, বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে ৪টি ফার্মেসিকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
-
সড়ক নির্মাণে অনি-য়মের অভি-যোগ, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃগাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED)-এর আওতাধীন “বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলা সমূহের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (GRRIP)” প্রকল্পের অধীনে সড়ক নির্মাণ কাজ শুরুর পরপরই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং গাইবান্ধাভিত্তিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘নর্থবেঙ্গল’।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের GRRIP প্রকল্পে পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ২২ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। এতে মোট ৬ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কথা বলা হয়েছে। সড়কগুলো হলো,
শিশুদহ-কদমতলী বাজার সড়ক (আইডি:১৩২৬৭৪০৩২) প্রাক্কলিত মূল্য: ১ কোটি ১৪ লাক ৬৫ হাজার ৪’শ ৫৪ টাকা। কদমতলী বাজার-শালমারা সড়ক (আইডি:১৩২৬৭৪০৪৬) প্রাক্কলিত মূল্য: ৯৫ লাখ ৯৮ হাজার ২’শ ১৯ টাকা। শিশুদহ-কোদালকাটি-আকবর নগর রোড (আইডি:১৩২৬৭৪০৬৭) প্রাক্কলিত মূল্য: ২ কোটি ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৬’শ ৫৬ টাকা। সাইনদহ রেজি: স্কুল-নুরুল ফকিরের বাড়ি (আইডি:১৩২৬৭৪০৯৯) প্রাক্কলিত মূল্য: ৫৬ লাখ ১৫ হাজার ৯’শ ৯৮ টাকা। কদমতলী বাজার-হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়ক (আইডি: ১৩২৬৭৫০০৬) প্রাক্কলিত মূল্য: ২ কোটি ৩৬ লাখ ৭২ হাজার ১’শ ৩৫ টাকা।সূত্রে প্রকাশ,প্রকল্প বাস্তবায়নের শর্ত অনুযায়ী উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার,সাইটে অনুমোদিত ডিজাইন ও ড্রইং সংরক্ষণ,সাইট অর্ডার বই রাখা এবং তদারকির জন্য কর্তৃপক্ষের নিয়মিত উপস্থিতির কথা বলা থাকলেও বাস্তবে এর কিছুই মানা হচ্ছে না।
স্থানীয় বিভিন্ন তথ্য সূত্রে প্রকাশ, ‘নর্থ বেঙ্গল’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আশপাশের ইটভাটা থেকে নিম্নমানের ভাঙা ইট ও আদলা সংগ্রহ করে সুমনের ইটভাটায় মাটিমিশ্রিত বালির সঙ্গে মিক্সিং করে তা রাস্তার সলিংয়ে ব্যবহার করছে। এতে সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শ্রীখন্ডি গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মওলাসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, “এই রাস্তা এক বছরও টিকবে না। প্রথম বর্ষায়ই ভেঙে পড়বে।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ,এভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলে সরকারি অর্থ অপচয় এবং জনগণের স্বপ্নভঙ্গ হবে।
সড়ক নির্মাণে অনিয়মের বিষয় জানতে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে গেলে উপ সহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলাল সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি বলেন,“আমার অফিসে সাংবাদিকের ঢোকা নিষেধ। কিছু লেখলে,লেখেন -আমার কিছুই হবে না।”
অন্যদিকে,উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চন্দ্র অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি, কাজ প্রাক্কলন অনুযায়ী হচ্ছে।”
ঠিকাদার আয়েন উদ্দিন বলেন, “রাতের বেলায় ২/১ গাড়ি নিম্নমানের সামগ্রী ফেলানো হয়ে থাকতে পারে,তবে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।”
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো.উজ্জ্বল চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কথা শেষ না করেই তিনি ফোন রেখে দেন।
সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা বলেন,এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নিলে রাষ্ট্রীয় অর্থ ও জনগণের প্রত্যাশা-উভয়ই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।।
-
উজিরপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
উজিপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্প এর আওতায় দিনব্যাপী পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ জুন সকাল সাড়ে ১০ টায় উজিরপুর মুক্তিযোদ্ধা ভবনের হলরুমে উজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কপিল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা।আরো বক্তৃতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেন মজুমদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রাহমাতুল বাড়ি, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ নূরহোসেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের উজিরপুর এরিয়া ম্যানেজার সিলভিয়া ডেইজি, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ ফাইজুল হক রাড়ী সহ অনেকে।অনুষ্ঠানে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৭০ জন কৃষক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ। অনুষ্ঠানে কৃষক প্রতিনিধিদের মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাণবন্ত করে তোলা হয়।
-
সুনামগঞ্জ গৌরারং ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুনামগঞ্জ জেলা গৌরারং ইউনিয়ন শাখার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৭ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বসুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়ন নেতা কর্মীদের আয়োজনে টুকের বাজার হাজী আব্দুস ছত্তার এন্ড মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতে এই কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মী সভায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমের যৌথ সঞ্চালনায় কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,,,,
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য কুরবান নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আকবর আলী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গৌরারং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফুল মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সোহেল আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর উদ্দিন, ইসলাম গঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ আলী প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু, জেলা যুবদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজন মাহমুদ, জেলা যুবদলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মিনারুল হক,সহ অর্থ বিষয়ক উজ্জ্বল মিয়া,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোনাজির হোসেন , সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মমিনুল হক কালার চান , পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আজিজুর রহমান সৌরভ,,জেলা তরুন দলের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন
লালপুর ১নং ওয়ার্ড সভাপতি সৈয়দ নবাব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহমত আলী, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন,
এছাড়াও গৌরারং ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আকুল আলী, মোঃ সালেহ আহমদ, মোঃ কামাল উদ্দিন তুলা মিয়া, আব্দুর রউফ,আইয়ুব আলী , শামছুল হক, জিয়া উদ্দিন, ইয়াকুব আলী, আনোয়ার হোসেন,আজাদুর ইসলাম পবনসহ গৌরারং ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আজাহার চৌধুরী শাহীন, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক,হারুন রশিদ, তোফাজ্জুল হক সুমন, সিরাজুল ইসলাম পলাশ,
মইনুল হকসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সভায় নেতা কর্মীরা তাদের প্রিয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কাছে তাদের একটাই প্রাণের দাবি জানিয়ে বলেন , আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সফল বিল্পবী সাধারণ সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেবেন এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা এড.নুরুল ইসলাম নুরুল কে সুনামগঞ্জ ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর ৪ আসনের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরসহ সাধারণ মানুষ।## -
বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা দ-খলসহ মহাসড়কে যানবাহনে ও ফুটপাতে কোটি টাকা চাঁদাবা-জি
হেলাল শেখঃ বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে মহাসড়কে যানবাহনে ও ফুটপাতে কোটি টাকা চাঁদাবাজি এবং পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলের অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার সাভার আশুলিয়া, ধামরাই, গাজীপুরের কাশিমপুর, রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন মহাসড়ক ও শাখা রাস্তার ফুটপাতে এবং ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিক্সাসহ ফিটনেসবিহীন বিভিন্ন যানবাহন থেকে নামে বে-নামে বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে একটি মহল কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ। তদন্ত করলে কেঁচো খুঁজতে সাপের সন্ধান পাওয়া জেতে পারে বলে অনেকেই জানান।
মঙ্গলবার (১৭ জুন ২০২৫ইং) জানা গেছে, আগে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতো একটি মহল আর এখন বিএপি’র নাম ভাঙিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা জেলার সাভারের আমিনবাজার-আরিচা মহাসড়ক ও বাইপাইল থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং আশলিয়ার বাইপাইল-টঙ্গী সড়কের জামগড়া, ছয়তলা, ইউসুফ মার্কেট ও নরসিংহপুর-কাশিমপুরসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে একাধিক লাইনম্যান প্রতিটি অটোরিক্মা থেকে ২০ টাকা করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে। জানা যায়, এই চাঁদাবাজির সাথে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার দালালরা কাজ করে। অনেকেই সড়কের দুইপাশে মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করছে, প্রতিদিন একটি দোকানের চকির চাঁদা ১০০ থেকে ২০০টাকা নেয়া হয়। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয় এবং ফুটপাতসহ বিভিন্ন সরকারি জমি ও রাস্তা দখল করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
মহাসড়কসহ বিভিন্ন রোডে অবাধে চলছে অবৈধ অটোরিকসা গাড়ি-সিএনজি, মাহিন্দ্রা, তিন চাকা গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করা হয়। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় যানবাহন থেকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জানা গেছে, পুরাতন আশুলিয়া থেকে জিরাবো, নরসিংহপুর, সরকার মার্কেট, জামগড়ার ছয়তলা, ইউনিক, নবীনগর থেকে জিরানী পর্যন্ত সড়কে এবং নবীনগর থেকে পাটুরিয়া, আরিচা মহাসড়কে বাসগুলো থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। (সূচনা, দেশ মাটিসহ বিভিন্ন পরিবহণ সেক্টর থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়)। অন্যদিকে দেখা যায়, কার আগে কে যাবে আর স্টাফদের সাথে মারামারি লেগেই থাকে, অসাবধানতায় গাড়ি চালায় ১৪-১৭ বছরের কিশোর। ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি।সাভার ও নবীনগরের ফুটপাত হকারদের থেকে দখলমুক্ত করা হলেও বেশিরভাগ এলাকায় এখনও ফুটপাত দখল করে জমজমাটভাবে চলছে ব্যবসা বাণিজ্য। লাইসেন্সবিহীন যানবাহন থেকে কিছু দালাল ও হাইওয়ে কিছু পুলিশ সদস্য মোটা অংকের চাঁদাবাজি করে থাকে বলে অনেকেই জানায়। মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে গাড়ি পার্কিং দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করা সরকার নিষিদ্ধ করলেও কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কেন জাতি জানতে চায়। পুলিশ ও গাড়ির মালিক সমিতি কতর্ৃক চাঁদাবাজদেরকে প্রতিটি গাড়ি হতে ১০০০-২৫০০/ টাকা চাঁদা দিতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন (টিআই) অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বিআরটিএ কতর্ৃপক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ সঠিক ভাবে করতে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিন্তু প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ না করে অবৈধভাবে বিশৃঙ্খলার মধ্যে অবৈধ যানবাহন চলছে সড়কও মহাসড়কের সর্বত্র। ফলশ্রুতিতে জনগণ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আর সরকার সারাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিষটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনায় আনতে বিশেষভাবে সবিনয় বিনীত অনুরোধ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল করতে সক্ষম হলে বাংলাদেশের জনগণ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লোকের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা আসবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ অনেক বেশি আসবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং বেকার সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবে সরকার। মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা খুঁজে পাবে এবং নিরাপদ সড়ক বিনিমার্ণে এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। সেই সাথে সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ ও বাইপাইল, ইউনিক, জামগড়ার ছয়তলা ও সরকার মার্কেটসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কথা থানা পুলিশের, শুধু নবীনগরসহ কিছু এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করলেও বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে, কোনো ভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য, হাইওয়ে পুলিশ ও আশুলিয়ার নরসিংহপুরে মোঃ সুমন ওরফে মাহিন্দ্রা সুমন, শ্রীপুরের বাবুলসহ কয়েকজন দালাল চাঁদাবাজ কতর্ৃক তিন চাকা গাড়ি- প্রতি একটি গাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে চাঁদা আদায় করছে, পুরাতন আশুলিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা উঠায়, তা মোটা অংকের বলে অনেকেই জানায়। সেই সাথে রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা বিভিন্ন ফুটপাতে চাঁদা আদায় করে। কিছু ফুটপাতের দোকানদার ব্যবসার আড়ালে চাঁদা উঠায় এমন অভিযোগও রয়েছে। সূত্র জানায়, দেশের অন্যদিকে সিলেট সদরের আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক থেকে প্রতি বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা। এদিকে ভৈররের বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতি বছর ১কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চাঁদাবাজরা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা একদিকে যানবাহন থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে, অন্যদিকে ফুটপাত থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিরপুর বিভিন্ন সড়ক ও বেঁড়িবাঁধ থেকেও ব্যাপক চাঁদাবাজি করা হয়। শুধু বেড়িবাঁধ থেকেই চাঁদা নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয়নি তারা, কার্গো জাহাজ ভেড়ানোর জন্য তৈরি করেছে ল্যান্ড ষ্টেশনও। সেখানে মালবাহী ট্রাক লোড-আনলোডের ক্ষেত্রেও ইচ্ছেমতো চাঁদা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কতর্ৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ল্যান্ড ষ্টেশন থাকলেও অদৃশ্য কারণে তৈরি ল্যান্ড ষ্টেশনই ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল থেকে জিরানী বাজার পর্যন্ত এবং ভাদাইল, ইউনিক বাজার, শিমুলতলা, ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া চৌরাস্তা-ছয়তলা, নরসিংহপুর, জিরাবো, পুরাতন আশুলিয়া পর্যন্ত সড়কের রাস্তার দুইপাশে ফুটপাত দখল করে স্থাপনা তৈরি করে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে প্রভাবশালী মহল। সেই সাথে উক্ত এলাকায় গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। জানা যায়, বিভিন্ন ক্রাইম স্পট থেকে কিছু পুলিশকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা চাঁদা উঠিয়ে দেয় এড়িয়াভিত্তিক মার্কেটের মালিক পক্ষের লোকজন। সচেতন মহল ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সাভার, আশুলিয়ার সড়ক ও মহাসড়কে এবং তুরাগপাড়ের বেড়িবাঁধের রাস্তার উপরের দুপাশে বিভিন্ন দোকান, লেগুনা ষ্ট্যান্ড বসিয়েও চাঁদাবাজি করে আসছে প্রভাবশালী মহল। জানা যায়, বছরের পর বছর উল্লেখ্য এলাকার মানুষজনকেএকপ্রকার জিম্মি করেই অবৈধ কর্মকান্ড করে আসছে প্রভাবশালীরা। চাঁদাবাজ চক্রের সাথে কিছু রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছে বলেও অনেকেই জানান। রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড হয়ে দারুসসালাম থানা রোড ও থানার সামনে দিয়ে ছোট সরু রাস্তা থেকে কিছু দূর গেলেই তুরাগ নদীর পাড় এলাকাটির নাম ছোটদিয়াবাড়ী । তুরাগ নদীর এ পাড়ের অংশ ছোট দিয়াবাড়ী, উপরের অংশ কাউন্দিয়া। এই পারের অংশের বাম দিকে গাবতলী আর ডান দিকে বেড়িবাঁধ রাস্তা। যা আশুলিয়া ও উত্তরার দিকে চলে গেছে। তুরাগের বাঁধঘেষা ছোট দিয়াবাড়ী মোড়টিকে পুঁজি করেই চক্রটি মূলত বিশাল চাঁদাবাজির ক্ষেত্র গড়ে তুলেছে। দেখা যায়, বাঁধ সংলগ্ন রাস্তাটি বেশ চওড়াই কিন্তু দুপাশে দখলের কারণে এটি ছোট হয়ে এসেছে। দুপাশের অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট বড় শত শত দোকান। দারুসসালাম রোড থেকে বাঁধে উঠার সংযোগ সড়কের দুপাশের রাস্তা দখল করে বাঁশের আড়ৎ দেওয়া হয়েছে। এককালীন লাখ টাকা, পরে ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানিরা বলেন, তারা জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন হাজি জহিরের কাছ থেকে। তারা বলেন, এককালীন হিসেবে প্রায় লাখ খানেকের মতো টাকা দিয়েছেন আর প্রতি মাসে ১০হাজারের মতো টাকা ভাড়া দেন। হাজী জহির এর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলেন, একদল গেছে, আর একদল আসছে চাঁদাবাজিও বাড়ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা ডিবি ও ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের একাধিক সাব-ইন্সপেক্টর বলেন, এর আগে সড়কে গাড়িতে চাঁদাবাজির সময় কয়েকজনকে আটক করা হলেও আদালত থেকে তারা জামিনে এসে আবারও চাঁদাবাজি করছে। ঢাকা জেলার সাভার ট্রাফিক জোনের একজন অফিসার বলেন, আগের চেয়ে পরিবেশ অনেকটা ভালো, সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাভারে ফুটপাত দখলমুক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, অবৈধ গাড়ি রোডে বেশি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হয়, তবে মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অটো রিক্সা, মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ তিন চাকা গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এখন থানা পুলিশ এ বিষয়ে দেখবেন। আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায় অভিযান চলমান রয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা রোড ও ঢাকা টাঙ্গাইল রোডে ছিনতাই এবং বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল। সামনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা উক্ত বিষয়টি আমলে না নিলে দলের বদনামসহ চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সচেতন মহলের দাবী।## -
সুজানগরে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা
এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার হাটখালীতে সোমবার এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এবং পাবনা-২ সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল হালিম সাজ্জাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা-২ সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল হালিম সাজ্জাদ বলেন, আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ১৭টি বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার বিতাড়িত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমাদের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। অসংখ্য নেতাকর্মী মাসের পর মাস বছরের পর বছর জেলখানায় কাটিয়েছেন । সারা বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকতে পারে, বাংলাদেশ যেন ভালো থাকতে পারে সেই লক্ষ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন উল্লেখ করে উপস্থিত জনসাধারণকে উদ্দেশ্যে করে আব্দুল হালিম সাজ্জাদ বলেন ৩১ দফা ১ থেকে ৩১ পর্যন্ত আপনারা যদি ভালোমতো পড়েন এবং উপলব্ধি করেন দেখবেন একটা দেশ পরিচালনার জন্য একটা জাতিকে পরিচালনার জন্য যে সমস্ত জিনিস দরকার প্রতিটি জিনিসই ৩১ দফার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লন্ডন থেকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত চিন্তা ভাবনা করার জন্য মতবিনিময়সভা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানানো হয় তার তীক্ষèবুদ্ধি এবং চিন্তা ভাবনা দিয়ে আজকের বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় বিএনপি নেতা বাতেন শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুজিবর রহমান খান, সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল বাতেন, সুজানগর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবু মোল্লা, বিএনপি নেতা পান্না চৌধুরী , উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মধু বিশ্বাস, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নবী মোল্লা , উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম,যুবদল নেতা ইউসুব আলী টোকন, পৌর যুবদলের সদস্য মানিক খান, যুবদল নেতা আরিফ বিশ্বাস, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক আলম মন্ডল, যুবদল নেতা শামীম, সুজানগর এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য বাবু, নুরুজ্জামান সিকদার লালু, কামরুল ইসলাম বাবুল হোসেন, সাইদ হোসেন,হেলাল হোসেন, শাহিন বিশ্বাস,লিটন, ডাঃ আব্দুল কাদের, ডাক্তার হাবিবুর রহমান, ও নায়েব আলীসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে স্থানীয় বিএনপির অফিস ঘর উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিিিনিধ।।