Blog

  • চাঁ-দাবা-জির অভি-যোগে বাস কাউন্টার ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

    চাঁ-দাবা-জির অভি-যোগে বাস কাউন্টার ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

    মাদারীপুর প্রতিনিধ :
    মাদারীপুরের শিবচরের সূর্যনগর নগর বাস স্ট্যান্ডের বাস টিকিট কাউন্টার ব্যবসায়ী মোঃ রানা শিকদার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, কিছু ফেসবুক পেজধারী ব্যক্তি ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে এবং পরে চাঁদা না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তার মানহানি ঘটায়। এমন অভিযোগে ১৮জুন ২৫ইং তারিখে সংবাদ সম্মেলন করেন সূর্যনগর, দত্তপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়।
    সংবাদ সম্মেলন তিনি জানান, গত ১৪ জুন দুপুরে একদল ব্যক্তি—জাকির হোসেন, রবিন, শাহিন মিয়া, জুয়েল, আলিম ও সজিব হোসেন—আমার কাউন্টারে এসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মিথ্যা অভিযোগ তোলে এবং ‘খরচ’ না দিলে নিউজ করবে বলে এমন হুমকি দেয়।
    বাস টিকিট কাউন্টার ব্যবসায়ী রানা শিকদার আরও বলেন, চাঁদা না পেয়ে অভিযুক্তরা ফেসবুক পেজ ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে মিথ্যা ভিডিও প্রচার করে। এতে আমার ও আমার পরিবারের চরম মানহানি ঘটে। এসব ব্যক্তি মূলত অপেশাদার, যারা সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল করে।”
    তিনি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, যেন অপসাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পাশাপাশি তিনি মূলধারার সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান, এই ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

    আরিফুর রহমান মাদারীপুর।।

  • সুজানগরে ক্ষেতে গরু যাওয়া নিয়ে দ্ব-ন্দ্বে আশিক নামে এক কিশোরকে পি-টিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ

    সুজানগরে ক্ষেতে গরু যাওয়া নিয়ে দ্ব-ন্দ্বে আশিক নামে এক কিশোরকে পি-টিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগর উপজেলা ও আমিনপুর থানার অন্র্Íগত সাগরকান্দি ইউনিয়নে স্থানীয় ক্ষেতে গরু যাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে আশিক মন্ডল নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মো. আশিক মন্ডল ওই গ্রামের সন্তেশ মন্ডলের ছেলে।
    জানা যায়, মঙ্গলবার(১৭ জুন) বিকেলে প্রতিবেশী আরোফ মৃধার ভট্টাক্ষেত গরু যায়। সেই গরু আশিকের মায়ের বলে তার মাকে মারপিট করা হয় । পরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মাকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশী আরোফ মৃধার কাছ যান এবং ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চান। কিন্তু এতেও ক্ষান্ত না হয়ে আশিককেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে‌‌ আশপাশের লোকজন আশিককে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে মারা যায় আশিক।
    এদিকে কিশোর আশিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। এই হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
    । বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, কিশোর আশিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুধবার আশিকের ভাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ভিত্তিতে আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি

  • পীরগঞ্জে  যুব ফোরামের দক্ষতা বৃদ্ধি  প্রশিক্ষন

    পীরগঞ্জে যুব ফোরামের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষন

    পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ পীরগঞ্জে সংবেদনশীল ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে যুব দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষন সম্পন্ন হয়েছে।
    গতকাল বুধবার দুপুরে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেমক্রেসিওয়াচ এর আস্থা প্রকল্পের আওয়াতায় এ প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
    এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা সমন্বয়কারী জুলী আক্তারের সঞ্চলানায় সমাপনি সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সিংহ,পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাবুল, মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা, উপজেলা যুব ফোরামের আহব্বায়ক রিপন আলী সবুজ, যুব নেত্রী আশা আক্তার, ইসতিয়াক প্রমুখ।

  • নড়াইলে বিধ-বা নারীকে ধ-র্ষণ,থানায় মামলা আ-সামি গ্রেফ-তারের চেষ্টা চলছে

    নড়াইলে বিধ-বা নারীকে ধ-র্ষণ,থানায় মামলা আ-সামি গ্রেফ-তারের চেষ্টা চলছে

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় তেলকাড়া গ্রামে মধ্যবয়সী এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণ করেছে জহির শেখ (৩৫) নামের এক যুবক।
    গত মঙ্গলবার (১৭জুন রাত আনুমানিক ২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলায় তেলকাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, বুধবার (১৮ জুন) লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃশরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    ধর্ষক জহির শেখ লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া গ্রামের টুলু শেখের ছেলে।
    পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,জহির শেখ দীর্ঘদিন ধরে ওই বিধবা মহিলা (৪৫) কে কুপ্রস্তাব এবং উত্যাক্ত করে আসছিলেন এবং ওই বিধবা একাকী নিজ ঘরে বসবাস করতেন।

    গত মঙ্গলবার রাতে ২ টার দিকে ধর্ষক জহির ওই মাহিলার ঘরের দরজার খিল ভেঙ্গে সুকৌশলে খুলে প্রবেশ করে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় সমাজপতিরা স্থানীয়ভাবে সালিশ ও মীমাংসার চেষ্টা করে এবং তাকে জিম্মি করে রাখেন থানায় আসতে দেন না পুলিশ ও সাংবাদিক ঘটনা জানতে পারলে,পরে লোহাগড়া থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করেন।

    ধর্ষিতা বিধবা লোহাগড়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর (১) ধারায় জহির শেখকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। লোহাগড়া থানা মামলা নং-১৪।

    এবিষয়ে ওই বিধবা নারী সাংবাদিকদের জানান ধর্ষণের পরে সে থানায় আসতে গেলে স্হানীয় মাতুব্বররা তাকে থানায় আসতে বাঁধা দেয় পরে লোহাগড়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

    ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার বিষয়ে জানতে মাতুব্বর লিয়াকত শেখের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি কিছু জানি না এসব বিষয়ে।

    এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ওই বিধবা মহিলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আসামি জহির শেখকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

  • মেয়েকে বাঁচা-তে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পাইকগাছার বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক গাজী

    মেয়েকে বাঁচা-তে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পাইকগাছার বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক গাজী

    পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি।।

    মানুষ মানুষের জন্য, জীবন তো জীবনেরই জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা! হ্যা সহানুভূতি পেতেই পারে। আর তাই ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত এ কালজয়ী গানটির কথা স্মরণ করিয়ে একজন সংকটাপন্ন হতদরিদ্র মানুষের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের চিকৎসায় এ মানবিক প্রতিবেদন।

    খুলনার পাইকগাছার বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক গাজী (৬৯)। উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মৃত বেলায়েত গাজীর ছেলে। যদিও এলাকায় সবাই তাকে চেনেন বকুল সিদ্দিক নামে। দারিদ্রতা নিত্য সঙ্গী হলেও ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা সহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় পায়ে হেটে ঘুরে ঘুরে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনসহ নানা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি বকুলের চারা রোপন করেছেন তিনি। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বকুল গাছ নিয়ে বিটিভি”র জনপ্রিয় “ইত্যাদি অনুষ্ঠানে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে এবং ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। সে অর্থও তিনি ব্যয় করেছিলেন মানবতার কল্যাণে বৃক্ষ রোপনে।

    সর্বশেষ দারিদ্রতাকে নিত্য সঙ্গীকরে দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন বিল থেকে বিরগুণি শাক সহ নানা রকমের শাক সংগ্রহ করে কপিলমুনি বাজার সহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে সেগুলো বিক্রির টাকায় নানা সংকটেও বেশ কাটছিল তার জীবন। তবে স্বল্প সুখই যেন সইলোনা তার।

    কয়েকদিন আগে তার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে খাঁদিজা অসুস্থ্য হলে চিকিৎসার জন্য তাকে ডাক্তারের কাছে নিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। ফলে অপারেশন সহ ওষুধের খরচ বাবদ ১৪-১৫ হাজার টাকার কথা জানায় চিকিৎসকরা। এর পর কয়েকদিন যাবত মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হতদরিদ্র একজন মানবিক মানুষ সিদ্দিক গাজী।

    বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক গাজী জানান, বিল থেকে সংগৃহীত শাক বিক্রির টাকায় নানা সংকটেও কোন রকম খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে চলছিলেন তিনি। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে তার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে খাঁদিজার অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। এর পর থেকে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে মেয়ের চিকিৎসায় সাহায্যের আবেদন জানিয়ে ৩ হাজার টাকা জোগাড় করেছেন তিনি। বাকি টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে ব্যার্থ হয়েই সকলের দারস্থ হয়েছেন। তাই সকলের সামর্থ অনুযায়ী সহায়তার আবেদন জানান তিনি। হতদরিদ্র সিদ্দিককে সহায়তায় তার ব্যবহৃত নম্বর ০১৯৫৬৬৩৯৭৬৭ (নগদ-বিকাশ পার্সোনাল)।

    প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে খুলনা,যশোর, সাতক্ষীরা সহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় অদ্যাবধি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজারেও বেশি বকুলের চারা রোপন করেছেন তিনি। প্রথমে তিনি বিভিন্ন নার্সারী থেকে চারা কিনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রোপন করতেন। এরপর ১৯৯০ সালে তিনি ১০ কাঠা জমিতে নার্সারী গড়ে তোলেন। যদিও এলাকার লোকজন নার্সারীটি নষ্ট করে দেয়। এরপর আবারও অন্যের জমি ইজারা নিয়ে নার্সারী গড়ে তোলেন। ১৯৯০ সালে তৎকালীন ইউএনও মিহির কান্তি মজুমদার তাকে কপিলমুনি কলেজে মালি পদে চাকুরি দেয়। এ চাকুরি প্রত্যাখ্যান করে বকুলের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন সিদ্দিক গাজী। ২০১৫ সালে বকুল গাছ নিয়ে বিটিভি”র জনপ্রিয় “ইত্যাদি অনুষ্ঠানে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে এবং ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।

    বর্তমানে বিভিন্ন বিল থেকে বিরগুণি শাক সহ নানা রকমের শাক সংগ্রহ করে উপজেলার বিভিন্ন বাজার সহ বিভিন্ন গ্রামে সেগুলো বিক্রি করে তিনি জীবীকা নির্বাহ করে থাকেন।

    প্রেরক,
    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা

  • আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টিতে জমে উঠেছে পাইকগাছার গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলা

    আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টিতে জমে উঠেছে পাইকগাছার গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলা

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।

    আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টিতে জমে উঠেছে পাইকগাছার গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলা। বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে। বৃষ্টির পানি জমে থাকা মাঠে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা। সে মজায় মেতেছে গ্রামের দামাল ছেলেরা। বৃষ্টি নামলেই ফুটবল প্রেমিদের মনে নামে আনন্দের বৃষ্টির খেলা। বর্ষাকাল শুরুতে আষাঢ়ের ভারী বৃষ্টি , কখন হালকা কখন ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলে গদাইপুর মাঠে খেলা হবে। যারা নিয়মিত খেলে না তারাও খেলবে। কে ভালো খেলে আর কে খারাপ খেলে তা দেখার নেই। সবাই দল বেঁধে হৈ হুল্লোড় করে বৃষ্টিতে মাঠে নামবে, গায়ে কাঁদা মাখবে, পানি ছিটাবে, গড়াগড়ি করবে। ছোটবড় সবাই মিলিয়ে যেনো বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ সবার মনে।

    বৃষ্টি হলেই ফুটবল খেলায় মেতে ওঠে ছোট-বড় সবাই। কাদা-পানিতে জমে ওঠে খেলা। সারাদিনই চলে ফুটবল খেলা। বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধে তারা খেলেছে ফুটবল। দুই দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে গোলবারে ফুটবল নিয়ে যাচ্ছে। একে অপরকে টেনে ধরছে। কেউ বা আবার মাটিতে আঁছড়ে পড়ছে। খেলায় কোন রিফারী নেই। ফুটবল ২২ জনের খেলা হলেও বৃষ্টি ভেজা মাঠে খেলছে প্রায় এক শত জন খেলোয়াড়। খেলায় মেতেছে স্থানীয় ফুটবলপ্রেমী ও সৌখিন খেলোয়াড়রা। এলাকা ছাড়াও বাহির থেকেও গাড়ীতে করে গদাইপুর মাঠে ফুটবল খেলার জন্য ভীড় জমাচ্ছে। মাঠে আসার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর মাঠটি মেইন সড়ক সংলগ্ন হওয়ায় সকলের কাছে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

    খেলোয়াড়দের পাশাপাশি এলাকার ক্রীড়ামদীরা বৃষ্টি ভেজা মাঠে কাদামাটিতে ফুটবল খেলার আনন্দ উপভোগ করছে। দেখে মনে হবে এই আনন্দের শেষ নেই। গ্রামের মাঠে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলার অপর নাম কাঁদায় কুস্তি খেলা। ফুটবল ক্রীড়ামোদীরা পানি কাদায় পড়ে খেলোয়াড়দের কাদা মাখামাখি দেখার জন্য মাঠে ভীড় জমাচ্ছে।

  • ছাতকে প্রবাসীর বাড়ি লু-ট: ক্ষ-তিগ্রস্ত পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

    ছাতকে প্রবাসীর বাড়ি লু-ট: ক্ষ-তিগ্রস্ত পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

    হারুন অর রশিদ,
    ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের আছদনগর গ্রামে প্রবাসী আমীর উদ্দিনের বসতঘর লুটের অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে ছাতক পৌরশহরের মন্ডলীভোগ এলাকায় আয়োজিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবাসীর বাড়ির কেয়ারটেকার শাহীন মিয়া ও ভুক্তভোগী পরিবারের জামাতা মোঃ আব্দুস ছোবহান বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।

    আব্দুস ছোবহান জানান, গত সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে একই গ্রামের মোঃ নাজমুল ইসলাম, মোঃ কালা শাহ, মোঃ লোকমান আহমদ ওরফে পরাগসহ ১২-১৩ জন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। পরে বসতঘরের তালা ভেঙে প্রায় দেড় শ মন বোরো ধান, দুইটি ফ্রিজ, একটি টিভি, কাঠের আটটি পালং খাট, পানির পাম্প, দশটি সিলিং ফ্যান, কাপড়সহ নানা আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

    কেয়ারটেকার শাহীন মিয়া সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীরা তাকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে। ভয়ে তিনি কোনো প্রতিরোধ করতে পারেননি।

    প্রবাসী পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই এই লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
    এ বিষয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • দিনমজুর শরিফুলের দু,ছেলের ফরমফিলাপের ব্যবস্থা করে দিলেন গোদাগাড়ীর মানবিক ইউএনও

    দিনমজুর শরিফুলের দু,ছেলের ফরমফিলাপের ব্যবস্থা করে দিলেন গোদাগাড়ীর মানবিক ইউএনও

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিনমজুর শরিফুল ইসলামের দুই মেধাবী সন্তান আবু সাঈদ ও আবুবক্কর। একজন ইলেকট্রনিক্স, আরেকজন ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত। বর্তমানে তারা তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। কিন্তু সামনে থাকা সেমিস্টার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েন তারা।

    বাবার সামান্য আয়ে চলতে হয় তাদের পুরো পরিবারের। শরিফুল ইসলাম কখনো অন্যের জমিতে কাজ করেন, কখনো রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। শহরে থেকে পড়াশোনার খরচ চালাতে আবুবক্কর একটি কোচিং সেন্টারে টিউশনি করেন, আর আবু সাঈদ প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের খরচ সামাল দেন। কিন্তু ফরম ফিলাপের জন্য প্রয়োজন হয় একসঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা। অসহায়ত্ব নিয়ে বুধবার (১৮ জুন) মা নাসিমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদের কাছে।

    ইউএনও সাহেবের কাছে গিয়ে তাদের আর্থিক দুরবস্থার কথা জানালে তিনি শুধু আশ্বাস দেননি, দিয়েছেন সাড়া। বৃহস্পতিবার (ফরম ফিলাপের শেষ দিন) নিজের বেতনের টাকা থেকে আবু সাঈদ ও আবুবক্করকে ফরম ফিলাপের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তিনি।

    ছেলেদের মা নাসিমা বেগম বলেন, “ইউএনও স্যার খুব ভালো ও মানবিক মানুষ। তিনি আমার সন্তানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আল্লাহ যেন তাকে উত্তম প্রতিদান দেন।”

    আবুবক্কর বলেন, “ফরম ফিলাপের জন্য যখন টাকার প্রয়োজন, আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ইউএনও স্যারের কাছে আগেও গিয়েছিলাম, তিনি তখন আশ্বাস দিয়েছিলেন। আজ সেই আশ্বাস বাস্তব হলো। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি আমাদের পরিবারের জন্য একজন অভিভাবকের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন।”

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমাদের সমাজে এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে, যারা শুধু টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়াতে। হয়তো এই সহযোগিতা বড় কিছু নয়, কিন্তু যদি তারা এতে উৎসাহ পায়, তাহলেই আমার প্রচেষ্টা সফল।”

    দিনমজুর বাবার দুই মেধাবী সন্তানের জন্য এই মানবিক সহযোগিতা শুধু তাৎক্ষণিক স্বস্তি নয়, বরং সমাজের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির এক অনন্য উদাহরণ। গোদাগাড়ীর ইউএনও’র এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, চাইলেই রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হয়ে একটি হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়-যেখানে ভেঙে পড়া এক ভবিষ্যতের ভিত্তি রচিত হয় সহানুভূতির উপর।
    এদিকে ফেসবুকে মূহূত্বে ভাইরাল হয়েছে বিষয়টি। শত শত লাইক, কমান্ড শিয়ার হয়েছে। প্রশাংসায় ভাসছেন ইউএনও ফয়সাল আহমেদ।
    আসমাউল হোসনাইন লিখেছেন, সত্যি স্যার আপনার কাজ গুলো অনেক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
    গোলাম মোস্তেফা লিখেছেন, মাশাল্লাহ খুব ভালো একটা উদ্যোগ এগুলো বেশি বেশি নেন যাতে মেধাবী ছাত্রগুলো অকালে ঝরানো যায়।
    রুহুল আমিন লিখেছেন, আল্লাহ আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন।

    মোঃ হায়দার আলী
    ,নিজস্ব প্রতিবেদক

  • শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফির ইন্তে-কাল

    শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফির ইন্তে-কাল

    নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহীঃ ) রাজশাহী জেলার
    গোদাগাড়ী উপজেলার সারাংপুর মহল্লার মৃত অহংকার, শত শত আলেমের উস্তাদ, আল মারকাজুল ইসলামি আস-সালাফি, নওদাপাড়া, রাজশাহীর প্রতিষ্ঠা উস্তাজ শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফি, আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার সময় ইন্তেকাল করিয়াছেন। ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)

    গোদাগাড়ীর সারাংপুর গ্রামের কৃতি সন্তান শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফি হাফিজাহুল্লাহ শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা, ইসলামিক স্কলার, অসংখ্য আলেমে দ্বীনের ওস্তাদ ছিলেন।

    তিনি প্রবীণ সংগঠক, কারা নির্যাতিত নেতৃত্ব ,আহালুল হাদিস কওমের উজ্জ্বল নক্ষত্র, সৌদি মাবউস , বাংলাদেশ আহলেহাদীস জামা’আত এর আমীর ও আল-মারকাজুল ইসলামী আস-সালাফীর
    প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল ছিলেন শায়খ আব্দুস-সামাদ সালাফী।

    বিশিষ্ট শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফি হাফিজাহুল্লাহ মৃত্যুতে দেশ, জাতি একজন আলেমেদীনকে হারালেন। তার অভাব পূরণ হবার নয়। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন!

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব সংবাদদাতা

  • আশুলিয়ায় গ্যাস বিস্ফো-রণে ভবন ধসে ৬ জন দ-গ্ধ হয়ে আহত

    আশুলিয়ায় গ্যাস বিস্ফো-রণে ভবন ধসে ৬ জন দ-গ্ধ হয়ে আহত

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একটি দ্বিতল ভবন ধসে পড়েছে।এসময় বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধ আহত ৬জনকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

    বুধবার(১৮ই জুন২০২৫ইং) সকাল সাড়ে ৭ দিকে ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের মন্ডল মার্কেট সংলগ্ন জুয়েল আহমেদের ২য় তলা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বাড়ির মালিক জুয়েল মিয়ার বাড়িটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো বলে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণে আহতরা হলেন-জাহানারা (৪০), জুয়েল (২৪), শান্ত (২১) হাওয়া আক্তার (২৩),জহুরুল ইসলাম (২৬) ও নাসির (৩৮)। নাসির প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেলেও বাকি ৫ জন দগ্ধ অবস্থায় এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয়রা জানায়,জুয়েল মিয়া নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছিলেন। সেই বাড়ির কক্ষে লিকেজ থেকে গ্যাস জমে ছিল। ফলে রান্নার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এসময় ভবনটি ধসে পরে ও অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। এই আগুনে অন্তত ৬ জন দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন।এছাড়া বাড়ির মালিক জুয়েল মিয়ার দ্বায়িত্বরত (ম্যানেজার) শামীম মিয়া বলেন, নিচতলার ভাড়াটিয়া জহুরুল ইসলামের রুমের রাইজারে লিকেজ ছিলো।দরজা জানালা বন্ধ থাকায় সারা-রাত গ্যাস বের হয়ে ঘরে জমে ছিল। সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকার দিকে রান্নার জন্য চুলোতে আগুন জ্বালাতেই বিকট শব্দে দ্বিতল বাড়ি ধসে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া বিস্ফোরণের শব্দের কারণে পাশের বাড়ির জানালার কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে গেছে। পরবর্তীতে আশেপাশে আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে জরুরী কল দিলে তারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হোন।

    ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন জানানো যাচ্ছে না, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।