Blog

  • দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে সৌহার্দপুর্ন সুষ্ঠ সমাধান

    দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে সৌহার্দপুর্ন সুষ্ঠ সমাধান

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৌহার্দপুর্ন সুষ্ঠ সমাধান করেন মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু।

    দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা, দিনাজপুর চেম্বার অব কর্মাস এর পরিচালক, বীরগঞ্জ ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি, সাবেক ভিপি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু’র মধ্যস্থতায় তার নিজস্ব চেম্বারে ১৮ জুন রাত ৯ টায় সৌহার্দপুর্ন পরিবেশে সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দু-পক্ষের আন্তরিকতায় সম্মানজনক ও সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে।

    যানা গেছে, আমার দেশ পত্রিকায় ১৭ জুন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের নির্বাচনী সংবাদ “তিন ভাগে বিভক্ত বিএনপি, স্বস্থিতে জামায়াত, এনসিপির নেই কমিটি” শিরোনামে নিউজে বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু কে দ্বৈত নাগরিক বলা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ১৭ জুন রাত ৯টার দিকে মঞ্জু সমর্থিত বিএনপির একদল যুবক বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, আমার দেশ পত্রিকার বীরগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

    সম্মানজনক ও সুষ্ঠ সমাধান কালে আমার দেশ প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন ও তার পক্ষে বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম, সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম মিলন, রতন ঘোষ পিযুষ, কার্তিক ব্যনার্জি ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ, তোফাজ্জল হোসেন, রনজিৎ সরকার রাজ, বিকাশ ঘোষ এবং বিএনপি’র পক্ষে শাহজাহান সিরাজ শিপন, ফজলে আলম শাহীন, আলহাজ্ব তানভীর আহমেদ চৌধুরী, শওকত জুলিয়াস জুয়েল, আরিফ মাসুম পল্লব, আব্দুল জব্বার ও ফরহাদ হোসেন বিল্পব উপস্থিত ছিলেন।

    উভয় পক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে নিজেদের ভুল বুঝাবুঝির অবসান করে নেন, তারা অতিতের ন্যায় বীরগঞ্জে শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় রাখাতে অঙ্গিকারাবদ্ধ হয়ে সংবাদের সংশোধনী হিসেবে নির্বাচনি ঐ নিউজটিতে বিএনপি উপজেলা শাখা সভাপতি আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু কে জনগনের কথা মতে দ্বৈত নাগরিক বলা হয়েছে, ইহা সঠিক নহে তিনি একমাত্র বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক এবং দিনাজপুর-১ আসনের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের ভাবকি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বলে জানান বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

    এ সময় জেলা বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা, বিএনপির অন্যতম নেতা মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জননেতা আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু একজন সৎ ও ভাল মানুষ এবং বিএনপি’র জন্য নিবেদিত প্রান। আমাদের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। পাশাপাশি তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন,সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি’র দলীয় নেতাকর্মীদের সুস্থতা ও আগামীর সফলতা কামনা করেন।

  • সুন্দরগঞ্জে সচেতন সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা

    সুন্দরগঞ্জে সচেতন সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা

    মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা থেকেঃ

    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সচেতন সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর তথ্য অফিস, পিআউডির আয়োজনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে রংপুর আঞ্চলিক তথ্য অফিসার ফরহাদ আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারী তথ্য অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা, রুপাল মিয়া, সুন্দরগঞ্জ সম্মিলিত প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব নুরুন্নবী প্রামাণিক সাজু, মোশাররফ হোসেন বুলু মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, মিজানুর রহমান প্রমূখ। আলোচনা শেষে উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন তথ্য অফিসার ফরহাদ আহমেদ। এসময় সকল সাংবাদিক তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন।

  • এতিম ভাতিজার পুকুরে বি-ষ প্রয়োগে মাছ নি-ধনের অভি-যোগ, ক্ষ-তি প্রায় লক্ষ টাকা

    এতিম ভাতিজার পুকুরে বি-ষ প্রয়োগে মাছ নি-ধনের অভি-যোগ, ক্ষ-তি প্রায় লক্ষ টাকা

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:
    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬নং খাউলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চিপা বারইখালী গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি ও পারিবারিক চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সর্বশেষ ঘটনায় স্থানীয় এক এতিম যুবকের মালিকানাধীন পুকুরে বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে আপন চাচার বিরুদ্ধে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

    অভিযোগকারী মোসাঃ লিলি বেগম (৫৪), মৃত মাওলানা আঃ ওহাবের স্ত্রী, মোরেলগঞ্জ থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন—তার দেবর আঃ ওয়াহেদ ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জমি ও পারিবারিক রাস্তাকে কেন্দ্র করে তাদের হয়রানি করে আসছেন। গত ১৫ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার একক মালিকানাধীন পুকুরে মলমূত্র, আবর্জনা ও বিষাক্ত পদার্থ ফেলে মাছ নিধন করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এ ঘটনায় পুকুরের অধিকাংশ মাছ মারা যায় এবং কিছু মাছ চুরি হয়ে যায়।

    অভিযোগে আরও বলা হয়, পারিবারিক চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও অভিযুক্ত পক্ষের সদস্যরা বেআইনিভাবে বন্ধ করে রেখেছেন। প্রতিবাদ জানালে গালিগালাজ, হুমকি এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আঃ ওয়াহেদ, তার স্ত্রী সালেহা বেগম, ছেলে মোঃ সানি শেখ এবং মেয়ে রুমানা তাওসিয়া।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উভয় পরিবারের মধ্যে জমি ও রাস্তা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির এস.এ খতিয়ান নং ৫৯৬ ও দাগ নং ১৭১০; জমির পরিমাণ প্রায় ০.৩৭ একর।

    ভুক্তভোগী লিলি বেগম বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রাথমিক তদন্তও করা হয়েছে। থানার একটি সূত্র জানায়, উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার লক্ষ্যে থানায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সরাসরি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের পানিতে মৃত মাছ ভেসে রয়েছে এবং কিছু মাছ অস্বাভাবিক আচরণ করছে। লিলি বেগমের ছেলে সাইফুল বলেন, “আমি অনেক কষ্টে এই মাছগুলো চাষ করেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু চাচারা পুকুরে ময়লা ও বিষাক্ত দ্রব্য ফেলে সব নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

    অন্যদিকে অভিযুক্ত আঃ ওয়াহেদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার ছেলে গাছের কিছু ডাল পুকুরে ফেলেছিল, যা পচে গ্যাস তৈরি করে মাছ মরতে পারে। মাছ চুরির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” তিনি আরও দাবি করেন, ২০০৭ ও ২০২৩ সালে পারিবারিক বৈঠকে রাস্তা ও জমি সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করে সাইফুল বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন। “আমি শুধু গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষা পেতে বেড়া দিয়েছি, চলাচলে বাধা দিইনি,” বলেন তিনি।

    বর্তমানে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত একটি স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

  • নলছিটিতে সড়ক সংস্কারে অনি-য়ম, তদ-ন্তে দুদক

    নলছিটিতে সড়ক সংস্কারে অনি-য়ম, তদ-ন্তে দুদক

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটি থেকে মোল্লারহাট পর্যন্ত সড়কের রিপেয়ারিং সিলকোট কাজে অনিয়মের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে পিরোজপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।

    জানা গেছে, শিমুলতলা বড়বাড়ি থেকে মাদারঘোনা খানবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কে ১২ মিলিমিটার পুরুত্বের রিপেয়ারিং সিলকোটের কাজ করা হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। এম খান লাইসেন্সে কাজটি বাস্তবায়ন করেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মোসা.  পিনু আক্তার নদী । ২০২৪ সালের মধ্যভাগে কাজটি শেষ হলেও নির্মাণ চলাকালেই স্থানীয়ভাবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, যা পরবর্তীতে দুদকের নজরে আসে।

    অনুসন্ধান কার্যক্রম চলাকালে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঝালকাঠি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী, দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

    দুদক সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছি। সকল পক্ষের উপস্থিতিতে কাজের মান যাচাই করা হয়েছে। কিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে, যা প্রতিবেদন আকারে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে পর্যালোচনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ শেখ, কর্মকর্তা পার্থ পালসহ অন্যান্যরা।

  • ভূ-য়া মুক্তিযোদ্ধার কাগজ দিয়ে চাকরিতে এসে ভূ-য়াদের মতই আচরন করছেন কৃষি কর্মকর্তা মিশু

    ভূ-য়া মুক্তিযোদ্ধার কাগজ দিয়ে চাকরিতে এসে ভূ-য়াদের মতই আচরন করছেন কৃষি কর্মকর্তা মিশু

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু যোগদান করার পর থেকেই হেন কোন অনিয়ম দূর্ণীতি নেই যে তিনি করেননি। বৃহস্পতিবার ১৯শে জুন জাতীয় ফল মেলার উদ্ভোধন কালে শুধু মাত্র দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বাজার থেকে ক্রয় করা ফল দিয়ে এই মেলার উদ্ভোধন করায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
    অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এবং সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরতে গনমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। এসব কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই তিনি কোন কৃষক এবং গনমাধ্যম কর্মীদের না জানিয়ে মনগড়াভাবে করছেন এই মেলা।

    স্থানীয় সংবাদ কর্মী এবং কৃষকদের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এর আগে জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দৃশ্যমান অনিয়ম দুর্নীতির কারনে সেখান থেকে বদলি করে পলাশবাড়ী উপজেলায় যোগদান করে। এখানে যোগদান করার পর থেকেই যেন আরো বেড়েছে অনিয়ম দুর্নীতি। তারই ধারাবহিকতায় কৃষি সরঞ্জামাদি বিতরনে অনিয়মের পাশাপাশি কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা নিজেই ভোগ করছেন।

    তথ্য সুত্রে আরো জানা গেছে,এই কর্মকর্তা চাকুরিতে যোগদানের সময়ই ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে যোগদান করেছেন এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে আসার তারিখ নির্ধারন করেছে। শুধু তাই নয় তথ্য অধিকার আইনে সংবাদকর্মীরা জেলা কৃষি কর্মকর্তার চিঠি সম্বলিত আবেদন করলেও তথ্য অধিকার আইন এবং জেলা কর্মকর্তাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অনিয়মের পথ।

    আরো জানা গেছে,এই দুর্ণীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তা বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষে কাজ করছেন এবং সে কারনেই কৃষি অফিসের ওয়েব সাইডে এখনো দৃশ্যমান সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির ছবি।

    গনমাধ্যম কর্মীরা এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মুখ টিপে হাসতে থাকেন। তার এই নীরবতায় প্রমাণ করে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ সত্য।
    এ ছাড়াও তার চাকুরিতে যোগদানের সময় কালিন মুক্তিযোদ্ধা কোঠার বিপরীতে জমাকৃত কাগজ অনুসন্ধানে জানা গেছে,প্রকৃত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫টি এবং মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৪টি কাগজ থাকার কথা থাকলে মুক্তিযোদ্ধা ওয়েব সাইডে শুধু মাত্র একটি কাগজ পাওয়া যায় এবং সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ তালিকায়। এ বিষয়ে আরো জানা গেছে,তার বাবার কাগজ জাল হবার কারনে একবার বাতিল হয়েছিল। এই ভাবে জাল কাগজ পত্র দিয়ে চাকুরিতে যোগদানের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার ১৯শে জুন আসার কথা থাকলেও কোন কারনে আসেনি।

    এসময় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলমের সাথে কথা বললে তিনিও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,যদিও আমি এখানে নতুন তারপরও কৃষি কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয়গুলো অবগত হয়েছি এবং আজকের যে বিষয়টি এটি সঠিক হয়নি। কেননা সংবাদ কর্মীরা সমাজের আয়না তাদের মাধ্যমে সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কাজের চিত্র সাধারন মানুষ জানবে সেখানে যাদের জন্য আয়োজন এই ফল উৎসব সেই কৃষকদের অনুপস্থিতি এটি দৃষ্টিকটু।

    অনিয়ম দুর্ণীতে জর্জড়িত এই আওয়ামী দোসর কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সহ সকল অনিয়মের অবসান করে কৃষক বান্ধব কোন কৃষি কর্মকর্তা এই উপজেলার দায়িত্বে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলাবাসী এবং সুধী সমাজের।।

  • ময়মনসিংহে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিককে ২০ হাজার টাকা জরি-মানা

    ময়মনসিংহে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিককে ২০ হাজার টাকা জরি-মানা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন একটি ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    বুধবার (১৯জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এর ৫ নং ওয়ার্ডের কলেজ রোড এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) কর্তৃপক্ষ।

    ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরী এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা এইচ কে দেবনাথ, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জাবেদ ইকবাল, মোকলেছুর রহমান সহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

    ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার লার্ভা অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

    অভিযানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এর ৫ নং ওয়ার্ডের কলেজ রোড জনৈক কফিল উদ্দিন মন্ডল সাহেবের নির্মানাধীন ভবনে পরিত্যক্ত ড্রামের জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলা দিয়ে ভবন মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

    তিনি আরও জানান, অভিযান শেষে নগরের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। সেই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত মাইকিংসহ মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান
    সিটি করপোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা
    দীপক মজুমদার।

  • সেনাবাহিনীর অভি-যান জাল ডলার সহ আ-টক ৬

    সেনাবাহিনীর অভি-যান জাল ডলার সহ আ-টক ৬

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৮০ হাজার জাল ইউএস ডলারসহ জাল ডলার কেনাবেচা চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পঞ্চগড় আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করে তাদের জাল ডলার সহ আটক করা হয়। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বৃহস্পতিবার বিকেলে জব্দকৃত জাল ডলার সহ সবাইকে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সময় মোবাইলফোন ও মাদকদ্রব্য সেবনের আলামত এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশি হেফাযতে দেয়া হয়েছে।জানা গেছে জব্দকৃত ডলারের মূল্য সর্বমোট বাংলাদেশী টাকায় ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ২৮০ টাকা।

    জাল ডলার সহ আটককৃতরা হলেন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠি হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগদহ দিলালপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন ডিপজল (৪২), একই গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলি (৩২), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেল ইসলাম (৩৪), একই গ্রামের মৃত প্রভাতের ছেলে রমেশচন্দ্র বর্মন (৩৫), বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মৃত হামিদুল হকের ছেলে ও সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হক (৫৫) এবং পঞ্চগড় পৌরসভার ইসলামবাগ গ্রামের সুলতা আলীর ছেলে হোসেন আলী বাবু (৩৬)।

    সেনাবাহিনী জানায়, গোয়েন্দা রিপোর্ট ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পঞ্চগড় শরের চৌরঙ্গী মোড়ে একটি মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে গাড়িতে থাকা আনোয়ার হোসেন ডিপজল, ইয়াসিন আলি, সোহেল ইসলামে আটক করা করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে রমেশচন্দ্র বর্মন, সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হক ও হোসেন আলী বাবুকে শহরের সিনেমাহল রোড এলাকায় আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থাকা জাল ডলার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এদিকে আরো খবরের ভিত্তিতে আটক আনোয়ার হোসেন ডিপজল ও ইয়াসিন আলীর গ্রামের বাড়ি দেবীগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য সেবনের আলামত জব্দ করা হয়।

    তবে জাল ডলার গুলো কোথা থেকে আনা হয়েছে তা জানা না গেলেও সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাল ডলার গুলো তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ভারতে পাঁচার করার কথা ছিল।

    এ বিষয়ে পঞ্চগড় আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয় বলেন, আটকৃত চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চগড়ে নকল টাকা ও ডলারের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। একই সাথে নকল ডলারগুলো বাংলাদেশের পাশাপাশি দেশের বাইরে এবং পাশ্ববর্তী দেশে অবৈধ ভাবে বিক্রি করতো। এরি প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে নকল ৮০ হাজার ইউএস ডলার সহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    একই সাথে সকল অপরাধ নির্মূলে সকলের সহায়তা চান এই কর্মকর্তা।পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, সেনাবাহিনী জাল ডলার ও জব্দকৃত মালামাল সহ ৬ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় আটকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

    ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে ইএসডিও’র আয়োজনে ও পরিচালনায় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘরাধাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের বাস্তবায়নে রিয়েক্টস-ইন প্রজেক্টের আওতায় “জিংক ধান-১০২” শীর্ষক কৃষক মাঠ দিবস কৃষক মাঠ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়।

    তবে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইসরাত জাহান লিমা।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার কৃষিবিদ মোঃ শাহিনুল কবির।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণঅধিদফতরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইএসডিওর রিয়েক্টস- ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম,পিও মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

    উক্ত কৃষক মাঠ দিবসে জিংক ধানের উপকারিতা, মানব দেহে জিংকের প্রয়োজনীয়তা,জিংক ধানের ভাত নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে জিংকের ঘাটতি মেটানো এবং জিংক ধানের বিভিন্ন জাতের বৈশিষ্ট্য সহ ব্রিধান ১০২ বিষয়ে বিশেষ আলোচনা করা। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

  • একটি চক্র সৈ-রাচারমুক্ত সুবি-দাবাদ বিরো-ধী এক্সপ্রেস ফেইক আইডি কর্তক অ-পপ্রচার

    একটি চক্র সৈ-রাচারমুক্ত সুবি-দাবাদ বিরো-ধী এক্সপ্রেস ফেইক আইডি কর্তক অ-পপ্রচার

    হেলাল শেখঃ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে, ভুয়া বাদী হয়ে মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে মামলা বাণিজ্য করছে মামলাবাজরা, ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাই অনেকেই মামলা বাণিজ্য করছে, ওরা জাতীয় মামলাবাজ। অপরাধীদের নাম প্রকাশসহ থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসছে। কোনকিছুতে সুবিদা না পেয়ে “সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস” নামে ফেসবুক ফেইক আইডিসহ একাধিক আইডি থেকে সম্মানিত থানার পুলিশ অফিসার, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল জানায় এসব ফেইক আইডিসহ যেসকল আইডি থেকে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে যারা তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় এনে কঠিন সাজা দিলে আর কেউ এমন সাহস করবে না। সূত্র জানায়, সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস ফেসবুক আইডি আশুলিয়া থেকে চালানো হচ্ছে।
    জানা গেছে, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন থানা ও পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্রগুলো পুরোপুরি ভাবে উদ্ধার কেন হচ্ছে না, সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশসহ ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আড়ালে কি ঘটনা ঘটছে তা জাতি জানতে চায়। কারা করছে হত্যাকাণ্ড আর কারা হলেন এসব মামলার আসামী, কারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন আর কারা আটক হলেন? এবং এসব মামলার বিষয়ে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে কারা?। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেট এলাকার মোঃ ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার উপর হামলায় হত্যা চেষ্টা এবং হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছেন না তা জাতি জানতে চায়। আশুলিয়া থানার স্বারক নং ৫২৯০(৪)১ তারিখ: ২২/০৯/২০২৪ইং ধারাসহ অপরাধ এবং লুণ্ঠিত দ্রব্যাদি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/ ১১৪/৩৪ প্যানাল কোর্ট, ১৮৬০পরস্পর যোগসাজসে অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা করতঃ মারপিট ও গুলিবর্ষণ করিয়া হত্যা করাসহ হুকুম প্রদানের অপরাধ,আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলার ২০ নং আসামী মোঃ শরিফুল ইসলাম মোল্লা। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি, অভিযোগ ও হত্যা মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না তা জাতি জানতে চায়। অনেকেই জানায়, শরিফুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও (পিবিআই) পরিদর্শন করেছেন, মনে হয় পুলিশ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করছে না। অনেকেই বলেন, এই শরীফ মোল্লা তার মা ও বোনের জমির বিষয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে, সে এলাকার প্রভাবশালী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
    আশুলিয়া থানার (এ এসআই) নাজমুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগষ্টে হত্যা চেষ্টা ও হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে একটি মহল। কিছু দালাল ও সুবিধাবাদী লোকজন তাদের মামলা বাণিজ্য করে মোটা অংকের অর্থ কামাচ্ছে, তারা দেশ ও জাতির শক্র, এদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।
    জানা গেছে, ৫ আগষ্ট: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রথম আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা ভাংচুর শুরু করা হয়, এরপর দুইজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ প্রকাশ্যে ওভার ব্রীজের উপর ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। যা ১৯৭১ সালেও এই এলাকায় ঘটেনি তা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটিয়েছে মানুষ হত্যাকারী ওরা কারা? সূত্র জানায়, ভাড়া করা সন্ত্রাসী যারা প্রথমে প্রেসক্লাব দখল করেছে তারাই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে সেই লাশ ঝুঁলিয়ে রাখে ওভার ব্রীজের সাথে। তারাই ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পুলিশের ভ্যানে থাকা ৬ লাশ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টা করে, এমনকি থানায় ডুকে সরকারি অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গত ৯-১০ মাসেও পুরোপুরি ভাবে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকারিদের গ্রেফতার করতে পারেননি।
    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর করে আগুন দেওয়ার পর আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বাইপাইল মার্কেটের উপর থেকে গুলিবর্ষণ করে, সেই সাথে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া’র নেতৃত্বে করিম সুপার মার্কেট থেকে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাস বাহিনী ছাত্র-জনতার উপর নৃশংস হামলা ও গুলি করে, এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ভ্যানে সেই লাশ রাখেন আর সেই লাশগুলো গুম করতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে হত্যাকারী শরিফুল ইসলাম মোল্লাসহ তার বাহিনীর লোকজন। ওইদিন আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটে যায় নতুন ইতিহাস। সেই গণহত্যার ঘটনা আড়াল করতে এসব হত্যাকারীরা নতুন কৌশলে জানা অজানা ও অচেনা লোকজন দিয়ে শুরু করে নিহত ও আহতদের নিয়ে মামলা বাণিজ্য শুরু করে এখন তদন্তে গিয়ে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। এই মামলা বাণিজ্যের সাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু নেতা সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে রয়েছে আশুলিয়া ইউনিয়নে আনারস মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাজু গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, তার বাহিনীর সদস্য সায়েব আলী জলিল। আশুলিয়ার বাইপাইলে ১০ থেকে ১২জন ব্যক্তি। এসব ব্যক্তিসহ ভয়ংকর লোকজন ৫ আগষ্টের পর আশুলিয়া প্রেসক্লাব দখল করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এরপর অনেক ঘটনা ঘটে যায়, আবার সাবেক কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন জয় আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয় যমুনা টিভির সাংবাদিক নিপুকে। এরপর একটি কারণ দেখিয়ে সভাপতির দায়িত্ব কিছু দিনের জন্য ছেড়ে দেন সময় টিভি’র সাংবাদিক জয়, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় লাইজুকে, এরপর পাল্টি খেয়ে আবার লাইজু ও মিতু সরকার নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। আশুলিয়া প্রেসক্লাবে যারা হামলা ও ভাংচুর করেছে তারাই পরে দখল করে অবৈধভাবে কমিটি করেন এবং অন্য পৃথক জায়গা দখল করে ক্লাব তৈরি করার চেষ্টা করেন। সময় ও পরিস্থিতি পরিবর্তণ, সঠিকভাবে তদন্ত করলে কেঁচো খুঁজতে সাপের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানো ঘটনাঃ দেশ টিভি ও যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন টিভিতে নিউজ প্রকাশ হয়েছে এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- বেসরকারি হিসেবে এই এলাকায় শহীদের সংখ্যা ৫৩ হলেও গ্রেজেটে সবার নাম আসেনি এবং মামলায় এসেছে ভুল ঠিকানাও। কিভাবে ঠিকানা পাল্টে গেলো, কিভাবে আপন মামা বাবা হয়ে গেলেন? আর কিভাবে জীবিত স্বামীকে মৃত বানিয়ে হত্যা মামলা করা হলো? কিভাবে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভুয়া বাদিরা একাধিক মামলায় নাম দিয়ে নির্দোষী মানুষদেরকে হয়রানি করেছে? এসব ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ এই চক্রের সবাই দেশ ও জাতির শক্র, এসব মামলায় মোটা অংকের অর্ধ যাচ্ছে ভুক্তভোগীদের পকেট থেকে। একাধিক মামলার আসামী সায়েব আলী জলিলরা ভুয়া বাদী হয়ে নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে, এবার “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল”।
    জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫৩ জনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর সেই লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, কয়েকজন সাবেক এমপি মন্ত্রী, পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ও মামলা দায়ের করাসহ আশুলিয়া থানায় অসংখ্যক মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর আশুলিয়া থানায় ৭১টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, ৪১টি হত্যা মামলা, ৮টি ডাকাতি মামলা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ব্যক্তিকে আটক করলেও অন্যদেরকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। উক্ত অপরাধের ধরণে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে ১০ নং আসামিদের নির্দেশ পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নিমুর্ল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠনের অপরাধ করে। (যাদেরকে আসামি করা হয়েছে), তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মাদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক আইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক অতিরিক্ত এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার (ওসি) এএফএম সায়েদ, (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সদস্যরাও আসামী হয়েছে এসব মামলায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৫৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অনেক হত্যা মামলা করা হয়, আশুলিয়া থানায় একটি মামলা নং ২৬। তারিখ: ২২/০৮/২০২৪ইং। ছাত্র-জনতা সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুট করা থেকে শুরু করে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর, ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে কিন্তু ভুয়া বাদীর মামলাকারীরা মামলা বাণিজ্য করেছে। এসব মামলার আসামি কিছু পুলিশ সদস্য, এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছেন।
    এ ব্যাপারে অনেকেই ধারণা করছেন যে, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর দখল, আশুলিয়া থানা ভাংচুর ও সরকারি অস্ত্র লুট অগ্নিসংযোগকারীরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় অনেকেই অপপ্রচার চালায় ওমুকের গুলি লাগছে, ওমুকে আহত হয়েছেন, এসব লোকজনের গুলিবিদ্ধ কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি, তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে কোথায় কি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন শহীদ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে, তাদের কাছে পুরো আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মানুষ জিম্মি। কিছু অপরাধী আছে যারা নিজের অপরাধ আড়াল করতে অপহরণ, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে, তারা আবার থানায় গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন তথ্য রয়েছে। আশুলিয়ার বাইপাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে যারা এই গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের পরিবার সঠিক বিচার পাবেতো?। প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হলো, কিছু অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হলেও যারা নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে তাদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যেমন: তাদের মধ্যে সায়েব আলী ওরফে আব্দুল জলিল পৃথক ব্যক্তি নাকি সায়েব আলীই জলিল? আর এই ও সায়েব আলী জলিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে, এর আগে র‍্যাব-৪ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জলিলকে গ্রেফতার করেন এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়, এরপর জামিনে এসে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে গত ১৩ মার্চ২০২৫ইং আদালতে অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে হত্যা মামলার ভুয়া বাদী আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে দেশ টিভি’র ৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডের নিউজ প্রকাশ হয় এবং এরপর যমুনা টিভি’র ৩৮ মিনিট ২ সেকেন্ডের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার ভুয়া মামলার একটি সূত্রঃ সি, আর মামলা নং ১১৪৬/২০২৪ ধারাঃ ৩০২/১০৯/১১৪/১২০(খ)/৩৪ দণ্ডবিধি। আশুলিয়া থানার মামলা নং ১৫। তারিখ ০৮/০৯/২০২৪। এখানে মোঃ সাহেব আলী (৪৪) পিতা মোঃ আনজুর প্রামানিক, মাতা-মোছাঃ রাবেয়া খাতুন, সাং সাভার ফরিদপুর, পোঃ বওয়ারী পার, থানা ফরিদপুর, জেলা পাবনা। বর্তমান- খেজুরবাগান, থানা আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৩২৮১৩৮২৭৩৩। মোবাইল নং-০১৬৪১১৪৮৬০১। আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, অপরাধীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এইসব প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জামগড়া এলাকার বাসিন্দা মাহি নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমি কোনো রাজনীতি করিনা, আমার কোনো পদ পদবী নেই, একটি মামলায় ২০ নং আসামী করেছে দালাল চক্র। এই মামলার বাদীকে মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেন না, অনেকেই বলছে এটা ভুয়া বাদী তাই ফোন রিসিভ করেন না। পিবিআই ও আশুলিয়া থানা পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করেছেন, তারা মানবিক পুলিশ তাই আমাকে বলেছেন যে, আপনার কোনো চিন্তা নাই, আমরা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনবো আর যারা দোষী না তাদেরকে হয়রানি করা হবে না।
    আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট শহীদ হন আশুলিয়ার সিটি ইউনিভাসিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্র- সাজ্জাদ হোসেন সজল। সজলের মা মোছাঃ শাহিনা বেগম এর কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সজলকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। সেই সাথে আমার ছেলেসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। উক্ত ব্যাপারে (পিবিআই), ডিবি, পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুলিয়া থানায় ৫ আগষ্টের পর ৪-৫ জন ওসি রদবদল হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন ওসি ক্লোজ, একজন হত্যা মামলার আসামী হলেও চট্রগ্রামে চাকরি করছে, চলমান ওসি মনিরুল হক ডাবলু ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ থেকে পুলিশে আসছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়, এরপর তার পরিবর্তে সোহরাব আল হোসাইন ওসি আশুলিয়া থানায় আসার দেড় মাসের মাথায় চলে যেতে হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী-ভুয়া বাদীর মামলা বাতিল করাসহ অপপ্রচারকারী ও ভুয়া বাদী প্রতারক চক্রকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে যারা ছাত্র আন্দোলন করেছেন তারা এখন রাজনৈতিক নেতা হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সমন্বয়ক থেকে পদত্যাগ করেছেন, অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন, দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, ছাত্র-জনতা প্রায় ৬ শতাধিক শহীদ বা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা কি এই ক্ষতিপুরুণ পাবেন? যারা সাধারণ মানুষ মামলায় হয়রানি হয়েছেন এবং মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন, তাদের জন্য সরকার কি কোনো সহযোগিতা করবেন?। বর্তমানে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন না থাকায় (ওসি তদন্ত ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানায়।
    এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার সিনিয়র (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, ঈদুল আযহার ডিউটি ও ওসি স্যার হঠাৎ চলে যাওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে, ঈদের ছুটি শেষ এখন আশুলিয়া থানায় যেকোনো অভিযোগ ও মামলার ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের আটকের পর আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। র‍্যাব জানায়, মানুষ হত্যাকারী অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।##

  • জু-য়া ও মা-দক সন্ত্রা-সীদের কাছে মানুষ জি-ম্মি চু-রি ছিন-তাইসহ বাড়ছে বিভিন্ন অ-পরাধমূলক কর্মকান্ড

    জু-য়া ও মা-দক সন্ত্রা-সীদের কাছে মানুষ জি-ম্মি চু-রি ছিন-তাইসহ বাড়ছে বিভিন্ন অ-পরাধমূলক কর্মকান্ড

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় জুয়া সিন্ডিকেট ও মাদক সন্ত্রাসীদের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে, এসবের টাকা জোগাড় করতে এলাকায় বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে জুয়ারিরা ও মাদক সেবনকারীরা।
    আশুলিয়ার জামগড়া মোল্লা বাড়ি মোড়ে মোবাইলের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, কিছুদিন আগে আমার দোকানের তালা ভেঙে নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকাসহ মালামাল চুরি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জুয়া ও মাদকের টাকা জোগাড় করতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে জুয়ারিরা ও মাদক সেবনকারী মাদক সন্ত্রাসীরা। মাদক সন্ত্রাসীরা শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নানারকম মাদকদ্রব্য অবাধে বিক্রি করছে আর এদের সহায়তা করে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য। মাদক সেবন করে অনেকেরই অকালে মৃত্যু হয়েছে।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া উত্তর মীর বাড়ির বাসিন্দা তাজিবুল মীর (৩১) কে মদ সেবন করানোর কারণে মৃত্যু হয়, দোষীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত তাজিবুল মীরের বাবা ওয়াহিদ মীর। মামলা নং ৩৯। তারিখ ১৮/০১/২৩ইং। ঢাকার আশুলিয়ায় ও টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানায় একাধিক মাদক মামলার আসামী মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগম (৪০) এর দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার শক্তিশালী মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে। অন্যজন আশুলিয়ার জামগড়া উত্তর পাড়ার মোঃ ওয়াহেদ মোল্লা’র ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শরিফুল ইসলাম (ওরফে শরিফ মোল্লা) সহ এলাকার মাদক সন্ত্রাসীদের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী জানায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। শরিফুল ইসলাম শরিফ মোল্লার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, জিডি বা মামলা করা হলে তার তদবির করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ম্যানেজার পরিচয়ে মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী। এতে পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা হয়।
    আশুলিয়ার অনেকেই জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায়না। অনুসন্ধান করে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দড়িসয়া গ্রামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে হাতে নাতে গাঁজাসহ ফিরোজা বেগমকে আটকের পর দুই বছরের সাজা প্রদান করেন। গাঁজা সেবন ও নিজ হেফাজতে গাঁজা সংরক্ষণ যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের ৩৬ (১) এর ২১ ধারা লঙ্ঘন ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধারা মতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ (দই) বৎসর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এদিকে আশুলিয়ার জামগড়া উত্তরপাড়ার শরিফুল ইসলাম শরিফকে ডিবি পুলিশ কতর্ৃক আটক করে তার হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তিনি ওই মামলায় জামিনে এসে আবারও সক্রিয় মাদক ব্যবসা করছে এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। সেই সাথে জমি ক্রয়-বিক্রয় করা নিয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে। সে স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার সাথে আরও ৬-৭ জনের গ্রুপ রয়েছে, এই ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না বলে এলাকাবাসী জানায়।
    জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামের আলী আকবরের স্ত্রী মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। এবারের গল্পটাই যেন ভিন্ন: স্বামী একজন রিক্সা চালক আর স্ত্রী বাসা বাড়িতে কাজের বোয়া থেকে এখন বিশাল প্রভাবশালী মাদক সিন্ডিকেটের পরিচালনাকারী নারী ফিরোজা বেগম। তিনি এখন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামে ইটের দালানকোঠা তৈরি করে বাড়িতে চারসাইড দিয়ে লাগিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এলাকাবাসীর দাবি-সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেখে তার বাড়িতে কারা কখন আসছে, প্রতিবেশি কেউ তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করাসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। অনেকেরই প্রশ্ন: কি তার উপার্জন আর কি বা তার ব্যবসা? দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে উঠে আসে কে এই নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগম। জানা গেছে, একজন দিনমজুর আলী আকবরের অপ্রতিরোধ্য স্ত্রী ফিরোজা বেগম মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করেন, এরপর এখন ক্ষমতাধরের খাতায় নাম লিখেছে মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকান্ডকে পুঁজি করে।
    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইলের দড়িসয়া পাড়া গ্রামের একবেলা খেয়ে আর অন্যবেলা না খেয়ে অনাহরে অর্ধাহারে থাকা সেই দিনমজুর স্বামী আলী আকববসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ফিরোজা বেগম কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোশারফ ম্যানশন নামের একটি বাড়ির কক্ষ ভাড়া নিয়ে ওই বাড়ির মালিকের বিশাল ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ১০বছর ধরে বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করে আসছিলো। সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি এই মাদকের কারবার করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ফিরোজা বেগমের মাদকের বিশাল শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে, দেশের সীমান্ত দিয়ে আসা বিদেশী মদ, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক তার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় চালান পাঠানো হয়। ২০১২ সালে সিরাজগঞ্জ, ২০১৭ সালে আশুলিয়া, ২০২১ইং সালে টাঙ্গাইলে মাদকসহ হাতে নাতে আটক হয় ফিরোজা বেগম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অনেকবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে তিনি ও তার দুই ছেলে কৌশলে বেড়িয়ে এসে ক্ষমতা ও টাকার দাপটে অবাধে চালাচ্ছে তাদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড।
    এলাকাবাসী-মাদককে না বলে পৃথক ভাবে একাধিকবার মাদক বিরোধী মিছিল ও মানববন্ধনসহ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মাদক নিমর্ূলের দাবিতে সামাজিক ভাবে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা বন্ধের জন্য সামাজিক প্রতিরোধে এলাকার যুবসমাজকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে দড়িসয়া গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুস সামাদ বলেন, পূর্বের ইতিহাস তারা আগে জামগড়ায় থাইকা কাম কাজ করছে। ১৫-১৬ বছর যাবতসেখানেই থাকতো তারা। তার দুই ছেলে বিভিন্ন মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে একাধিকবার, ফিরোজা বেগমও গাঁজাসহ আটক হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দুই বছরের সাজা দেন। তিনি আরও বলেন, এই ফিরোজা বেগমের পরিবারের লোকজন সবাই এখন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।
    উক্ত বিষয়ে জানতে সরেজমিনে গিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া ও টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামে মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমের বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, অপরাধী সে যেই হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য ও কিছু কথিত সাংবাদিক মাদকের সাথে জড়িত থাকার কারণে মাদক সন্ত্রাসীরা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।##