Blog

  • মহেশপুরে ৩ মাসেও উ-দ্ধার হয়নি ১০ শ্রেণীর ছাত্রী নিঝুম

    মহেশপুরে ৩ মাসেও উ-দ্ধার হয়নি ১০ শ্রেণীর ছাত্রী নিঝুম

    ঝিনাইদহ (মহেশপুর) সংবাদদাতাঃ-
    ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর সামছদ্দিন সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০শ্রেনীর ছাত্রী কানাইডাংগা গ্রামের মেয়ে নিঝুম খাতুন (১৫)

    নিখোঁজের ৩ মাস পার হলেও থানা পুলিশ আজও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। সে গত ১৩ই মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে নিখোঁজ হয়। এবিষয়ে মেয়ের মা মোছাঃ তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় ৫জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করে সেই থেকে মেয়ে উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন হদিস মিলাতে পারনি। এঘটনায় উপজেলার ফতেপুর ইউপির রাখালভোগা গ্রামের মোঃ কামাল ডাক্তারের ছেলে ১নং আসামী জিম আটক হলেও তার কাছ থেকে কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি পুলিশ।

    মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস আই সাহাবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে না পারার তার কোন বক্তব্য দিতে পারিনি। তবে মামলার বাদী বলেন আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসলেও তাকে জামাই আদরে আবার জেল খানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে মেয়ের মা তাসলিমা খাতুন জানায় রাখাল ভোগার একদল বকাটে সিন্ডিকেট তার মেয়ে উৎপাত করতো তারাই তার মেয়েকে নিয়ে গিযে হত্যা অথবা ভারতে পাচার করে দিয়েছে। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    মহেশপুর ঝিনাইদহ।।

  • বরিশালের উজিরপুরে  নিজ ঘর থেকে বৃদ্ধার অর্ধগ-লিত লা-শ উদ্ধার 

    বরিশালের উজিরপুরে  নিজ ঘর থেকে বৃদ্ধার অর্ধগ-লিত লা-শ উদ্ধার 

    উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে নিজ ঘর থেকে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে পৌর সভার ৩ নং ওয়াডের ভিআইপি সড়কের বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ওসি আব্দুস সালাম জানিয়েছেন। 

    বৃদ্ধা আলেয়া বেগম (৬৩) ভিআইপি রোডের মৃত নুরে আলম তালুকদারের স্ত্রী। 

    উজিরপুর মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম স্থানীয়দের বরাতে বলেন, বৃদ্ধার ছেলে ঢাকায় চাকুরি করে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাই বাসায় একা থাকতেন। বাসার পাশ দিয়ে লোকজন চলাচলের সময় দুগর্ন্ধ পায়। তখন জানালা দিয়ে উকি দিয়ে ঘরে ফ্লোরে বৃদ্ধার লাশ পড়া অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছেন। 

    ওসি বলেন, বৃদ্ধার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া ও মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা ছিলো। পড়নে কিছু ছিলো না। ধারনা করা হচ্ছে দুই থেকে তিনদিন পূর্বে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তাই লাশের পচন ধরেছে। 

    ওসি আরো বলেন, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধাকে হত্যা করেছে। কখন, কেন এবং কারা হত্যা করেছে সেই রহস্য উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারন বলা যাবে।

  • ভালো নে-ই খুকুমনি, সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে যেতে চায়

    ভালো নে-ই খুকুমনি, সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে যেতে চায়

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
    পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরগড় ময়নউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী খুকুমনি (১৩)। অসচ্ছল পরিবারে বেড়ে ওঠা এই শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের হাল ধরার। কিন্তু হঠাৎ প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এই শিক্ষার্থী। তার পিত্তথলি, খাদ্যনালী ও কলিজায় ধরা পড়েছে পাথর।

    জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পেট ব্যথায় ভুগছে খুকুমনি। অনেক ডাক্তারের কাছে গেলেও কেউ তার রোগ নির্ণয় করে পারেননি। গত দুই মাস আগে আবার পেট ব্যথা বেড়ে যায়। ওই সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. খন্দকার মনিরুল আলম রাসেলের কাছে নেওয়া হলে তিনি খুকুমনির প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগটি নির্ণয় করেন। চিকিৎসক তাকে জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করার কথা জানান। এজন্য প্রয়োজন প্রায় দুই-তিন লাখ টাকা।

    খুকুমনি উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের ডাংগাবাড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ে। বাবা দর্জির দোকানে কাজ করেন। দুই বছর ধরে তিনি নিজেও অসুস্থ। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি তিনি টিবি রোগে ভুগছেন। ভিটেমাটি ছাড়া তার আর কোনো কোনো জায়গা জমি নেই তাদের। সহায়তা ও ধারদেনা করে এতদিন মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। এখন তার পক্ষে মেয়ের চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই মানবিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তার পরিবার ও সহপাঠীরা।

    খুকুমনি জানায়, আমার অনেদিন ধরে পেট ব্যথা তারপরও নিয়মিত স্কুলে গেছিলাম। গত দুইমাস হলো পেট ব্যথা বেড়ে গেছে। এখন আর স্কুলে যেতে পারি না। ডাক্তার বলেছে আমাকে দ্রুত অপারেশন করাতে। কিন্তু এত টাকা আমরা কোথায় পাব। বাবাও তো দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। আমি আপনাদের মাধ্যমে সবার কাছে বলতেছি আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে যেতে পারি।

    খুকুমনির সহপাঠী রিয়া জানায়, খুকুমনি আমার বান্ধবী। সে আমাদের সাথে নিয়মিত স্কুলে যেত। অসুস্থ হওয়ার কারণে এখন আর যেতে পারে না। সে যেন সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে যেতে পারে এজন্য আমরা দোয়া করছি। সবাই যদি তার অপারেশনের জন্য সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো সে আমাদের সাথে আবার স্কুলে যেতে পারবে।

    খুকুমনির মা ইতি আক্তার বলেন, মেয়েটাকে অনেকদিন ধরে আমরা চিকিৎসা করাইতেছি। চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমাদের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে ওর বাবার ডায়াবেটিস আবার চার মাস আগে টিবি রোগ ধরা পড়েছে। এখন কিভাবে যে মেয়ের চিকিৎসা করাবো। আপনারা সকলে যদি একটু দয়া করে সহযোগিতা করেন। তাহলে হয়তো আমার মেয়েটা আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারবে।

    খুকুমনির বাবা খোকন মিয়া বলেন, আমি নিজেই অসুস্থ। এর মধ্যে আমার মেয়েটারও সমস্যা ধরা পড়ল। দীর্ঘ চার বছর ধরে মেয়ের চিকিৎসা করতে টাকা পয়সা যা ছিল সব কিছু শেষ। আমি আর কুলাইতে পারছি না। এখন তার অপারেশন করতে প্রায় দুই-তিন লাখ টাকার প্রয়োজন। আমি দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আপনাদের সহযোগিতায় আমার মেয়েটা যেন সুস্থ হয়ে উঠে।

    প্রতিবেশী আশিক হাসান বলেন, খুকুমনি একজন মেধাবী ছাত্রী। সে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার পরিবারের পক্ষে এই ব্যয়বহুল খরচ চালানো অসম্ভব। বাংলাদেশ সরকারসহ যারা বৃত্তবান আছে তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

    সাহায্য পাঠাতে পারেন : খোকন মিয়া, হিসাব নম্বর ২০৫০২৪৩০২০১৯৭২২১৮, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, পঞ্চগড় শাখা। এছাড়াও সহযোগিতা পাঠাতে পারেন বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে ০১৭৪৪৩৪২১৭৮

  • হজ্জে নেওয়ার আশ্বাসে ৮১ লাখ টাকা নিয়ে উ-ধাও এজেন্সির পরিচালক জলিল

    হজ্জে নেওয়ার আশ্বাসে ৮১ লাখ টাকা নিয়ে উ-ধাও এজেন্সির পরিচালক জলিল

    বাবুল হোসেন।
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের ৩৯ জন হজ্জ প্রত্যাশীর ৮১ লাখ ৪১ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হজ এজেন্সি সান ফ্লাওয়ার এয়ার লিংকর্স এর পরিচালক আব্দুল জলিল। এ ঘটনায় পঞ্চগড় আমলী আদালত-১ মামলা করেছে মোয়াল্লেম ওয়াছেদ আলী শাহ।

    আসামী আব্দুল জলিল নোয়াখালী বেগমগঞ্জ লক্ষী নারায়নপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। ৮৬ ইনার সার্কুলার রোড কাজী টাওয়ার তৃতীয় তলা নয়া পল্টন ঢাকা, এজেন্সি অফিসের পরিচালক। এজেন্সি নম্বর ০২৬৩।

    আদালত সূত্রে জানা যায়,বাদী পঞ্চগড় টুনিরহাট এলাকার মৃত ফজর আলী শাহ এর ছেলে ওয়াছেদ আলী শাহ একজন মোয়াল্লেম।২০১৯ সালে হজ্জ পালনের জন্য ৩৯ জন হজ্জ প্রত্যাশীর ৮১ লাখ ৪১ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে রশিদমুলে এজেন্সিতে পাঠান। হজ্জ মৌসুমের সময় পার হলে হজ্জ যাত্রীদের হজ্জ গমনে যোগাযোগ করিলে আসামী আজকাল বলে সময় ক্ষেপন করে।অন্য হজ্জ যাত্রীরা মক্কা নগরীতে হজ্জ পালনে গেলে আসামীর ছলচাতুরি বুঝতে পেরে মুসল্লিদের প্রদানকৃত টাকা ফেরত চান মামলার বাদী। পরে আসামী নিজের অপরাধ স্বীকার করে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হিসাব নম্বরে ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা করবেন বলে, নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে জেলা প্রশাসকের কাছে অঙ্গীকারনামা দেন এজেন্সি পরিচালক।মেয়াদের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে ২০২০ সালের ৯ মার্চ সুবিচার চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এজেন্সির কারনে হজ্জ করতে না পারা আর গত পাঁচ বছরে বিচারিক কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন হজ্জ প্রত্যাশী হাজীরা।

    মামলার বাদী ওয়াছেদ আলী শাহ বলেন,হজ্জ এজেন্সি সান ফ্লাওয়ার এয়ার লিংকর্স এর পরিচালক আব্দুল জলিলকে ৩৯ জন হজ্জ প্রত্যাশীর টাকা দেয়া হয়েছে।টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করে, না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।

    বাদীর আইনজীবী মফিদুল ইসলাম বলেন,আসামী আব্দুল জলিলকে আদালতে পি/ডাব্লিউ মুলে হাজির করাতে সক্ষম না হওয়ায় আসামীর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

  • থানচিতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী

    থানচিতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী

    থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা।

    বান্দরবান জেলা থানচি উপজেলাতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজনে, উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) বাস্তবায়নে, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে, স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-ফয়সাল সভাপতিত্বে সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে, (প্রশাসন-৩ শাখা, বাজেট ও অডিট) উপসচিব দেবাশিস কুমার দাস। সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর) সায়েন্টিফিক অফিসার, মোঃ রিপাজ উদ্দিন উপস্থাপনায় স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রযুক্তিটির মাধ্যমে সংগৃহীত বৃষ্টির পানির ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়।

    এসময় বলিপাড়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, থানচি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন।

  • দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে সৌহার্দপুর্ন সুষ্ঠ সমাধান

    দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে সৌহার্দপুর্ন সুষ্ঠ সমাধান

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৌহার্দপুর্ন সুষ্ঠ সমাধান করেন মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু।

    দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা, দিনাজপুর চেম্বার অব কর্মাস এর পরিচালক, বীরগঞ্জ ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি, সাবেক ভিপি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু’র মধ্যস্থতায় তার নিজস্ব চেম্বারে ১৮ জুন রাত ৯ টায় সৌহার্দপুর্ন পরিবেশে সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দু-পক্ষের আন্তরিকতায় সম্মানজনক ও সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে।

    যানা গেছে, আমার দেশ পত্রিকায় ১৭ জুন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের নির্বাচনী সংবাদ “তিন ভাগে বিভক্ত বিএনপি, স্বস্থিতে জামায়াত, এনসিপির নেই কমিটি” শিরোনামে নিউজে বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু কে দ্বৈত নাগরিক বলা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ১৭ জুন রাত ৯টার দিকে মঞ্জু সমর্থিত বিএনপির একদল যুবক বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, আমার দেশ পত্রিকার বীরগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক ও বিএনপি’র মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

    সম্মানজনক ও সুষ্ঠ সমাধান কালে আমার দেশ প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন ও তার পক্ষে বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম, সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম মিলন, রতন ঘোষ পিযুষ, কার্তিক ব্যনার্জি ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ, তোফাজ্জল হোসেন, রনজিৎ সরকার রাজ, বিকাশ ঘোষ এবং বিএনপি’র পক্ষে শাহজাহান সিরাজ শিপন, ফজলে আলম শাহীন, আলহাজ্ব তানভীর আহমেদ চৌধুরী, শওকত জুলিয়াস জুয়েল, আরিফ মাসুম পল্লব, আব্দুল জব্বার ও ফরহাদ হোসেন বিল্পব উপস্থিত ছিলেন।

    উভয় পক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে নিজেদের ভুল বুঝাবুঝির অবসান করে নেন, তারা অতিতের ন্যায় বীরগঞ্জে শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় রাখাতে অঙ্গিকারাবদ্ধ হয়ে সংবাদের সংশোধনী হিসেবে নির্বাচনি ঐ নিউজটিতে বিএনপি উপজেলা শাখা সভাপতি আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু কে জনগনের কথা মতে দ্বৈত নাগরিক বলা হয়েছে, ইহা সঠিক নহে তিনি একমাত্র বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক এবং দিনাজপুর-১ আসনের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের ভাবকি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বলে জানান বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

    এ সময় জেলা বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা, বিএনপির অন্যতম নেতা মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জননেতা আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু একজন সৎ ও ভাল মানুষ এবং বিএনপি’র জন্য নিবেদিত প্রান। আমাদের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। পাশাপাশি তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন,সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি’র দলীয় নেতাকর্মীদের সুস্থতা ও আগামীর সফলতা কামনা করেন।

  • সুন্দরগঞ্জে সচেতন সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা

    সুন্দরগঞ্জে সচেতন সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা

    মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা থেকেঃ

    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সচেতন সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মানে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর তথ্য অফিস, পিআউডির আয়োজনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে রংপুর আঞ্চলিক তথ্য অফিসার ফরহাদ আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারী তথ্য অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা, রুপাল মিয়া, সুন্দরগঞ্জ সম্মিলিত প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব নুরুন্নবী প্রামাণিক সাজু, মোশাররফ হোসেন বুলু মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, মিজানুর রহমান প্রমূখ। আলোচনা শেষে উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন তথ্য অফিসার ফরহাদ আহমেদ। এসময় সকল সাংবাদিক তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন।

  • এতিম ভাতিজার পুকুরে বি-ষ প্রয়োগে মাছ নি-ধনের অভি-যোগ, ক্ষ-তি প্রায় লক্ষ টাকা

    এতিম ভাতিজার পুকুরে বি-ষ প্রয়োগে মাছ নি-ধনের অভি-যোগ, ক্ষ-তি প্রায় লক্ষ টাকা

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:
    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬নং খাউলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চিপা বারইখালী গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি ও পারিবারিক চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সর্বশেষ ঘটনায় স্থানীয় এক এতিম যুবকের মালিকানাধীন পুকুরে বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে আপন চাচার বিরুদ্ধে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

    অভিযোগকারী মোসাঃ লিলি বেগম (৫৪), মৃত মাওলানা আঃ ওহাবের স্ত্রী, মোরেলগঞ্জ থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন—তার দেবর আঃ ওয়াহেদ ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জমি ও পারিবারিক রাস্তাকে কেন্দ্র করে তাদের হয়রানি করে আসছেন। গত ১৫ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার একক মালিকানাধীন পুকুরে মলমূত্র, আবর্জনা ও বিষাক্ত পদার্থ ফেলে মাছ নিধন করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এ ঘটনায় পুকুরের অধিকাংশ মাছ মারা যায় এবং কিছু মাছ চুরি হয়ে যায়।

    অভিযোগে আরও বলা হয়, পারিবারিক চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও অভিযুক্ত পক্ষের সদস্যরা বেআইনিভাবে বন্ধ করে রেখেছেন। প্রতিবাদ জানালে গালিগালাজ, হুমকি এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আঃ ওয়াহেদ, তার স্ত্রী সালেহা বেগম, ছেলে মোঃ সানি শেখ এবং মেয়ে রুমানা তাওসিয়া।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উভয় পরিবারের মধ্যে জমি ও রাস্তা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির এস.এ খতিয়ান নং ৫৯৬ ও দাগ নং ১৭১০; জমির পরিমাণ প্রায় ০.৩৭ একর।

    ভুক্তভোগী লিলি বেগম বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রাথমিক তদন্তও করা হয়েছে। থানার একটি সূত্র জানায়, উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার লক্ষ্যে থানায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সরাসরি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের পানিতে মৃত মাছ ভেসে রয়েছে এবং কিছু মাছ অস্বাভাবিক আচরণ করছে। লিলি বেগমের ছেলে সাইফুল বলেন, “আমি অনেক কষ্টে এই মাছগুলো চাষ করেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু চাচারা পুকুরে ময়লা ও বিষাক্ত দ্রব্য ফেলে সব নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

    অন্যদিকে অভিযুক্ত আঃ ওয়াহেদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার ছেলে গাছের কিছু ডাল পুকুরে ফেলেছিল, যা পচে গ্যাস তৈরি করে মাছ মরতে পারে। মাছ চুরির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” তিনি আরও দাবি করেন, ২০০৭ ও ২০২৩ সালে পারিবারিক বৈঠকে রাস্তা ও জমি সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করে সাইফুল বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন। “আমি শুধু গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষা পেতে বেড়া দিয়েছি, চলাচলে বাধা দিইনি,” বলেন তিনি।

    বর্তমানে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত একটি স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

  • নলছিটিতে সড়ক সংস্কারে অনি-য়ম, তদ-ন্তে দুদক

    নলছিটিতে সড়ক সংস্কারে অনি-য়ম, তদ-ন্তে দুদক

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটি থেকে মোল্লারহাট পর্যন্ত সড়কের রিপেয়ারিং সিলকোট কাজে অনিয়মের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে পিরোজপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।

    জানা গেছে, শিমুলতলা বড়বাড়ি থেকে মাদারঘোনা খানবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কে ১২ মিলিমিটার পুরুত্বের রিপেয়ারিং সিলকোটের কাজ করা হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। এম খান লাইসেন্সে কাজটি বাস্তবায়ন করেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মোসা.  পিনু আক্তার নদী । ২০২৪ সালের মধ্যভাগে কাজটি শেষ হলেও নির্মাণ চলাকালেই স্থানীয়ভাবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, যা পরবর্তীতে দুদকের নজরে আসে।

    অনুসন্ধান কার্যক্রম চলাকালে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঝালকাঠি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী, দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

    দুদক সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছি। সকল পক্ষের উপস্থিতিতে কাজের মান যাচাই করা হয়েছে। কিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে, যা প্রতিবেদন আকারে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে পর্যালোচনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ শেখ, কর্মকর্তা পার্থ পালসহ অন্যান্যরা।

  • ভূ-য়া মুক্তিযোদ্ধার কাগজ দিয়ে চাকরিতে এসে ভূ-য়াদের মতই আচরন করছেন কৃষি কর্মকর্তা মিশু

    ভূ-য়া মুক্তিযোদ্ধার কাগজ দিয়ে চাকরিতে এসে ভূ-য়াদের মতই আচরন করছেন কৃষি কর্মকর্তা মিশু

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু যোগদান করার পর থেকেই হেন কোন অনিয়ম দূর্ণীতি নেই যে তিনি করেননি। বৃহস্পতিবার ১৯শে জুন জাতীয় ফল মেলার উদ্ভোধন কালে শুধু মাত্র দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বাজার থেকে ক্রয় করা ফল দিয়ে এই মেলার উদ্ভোধন করায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
    অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এবং সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরতে গনমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। এসব কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই তিনি কোন কৃষক এবং গনমাধ্যম কর্মীদের না জানিয়ে মনগড়াভাবে করছেন এই মেলা।

    স্থানীয় সংবাদ কর্মী এবং কৃষকদের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এর আগে জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দৃশ্যমান অনিয়ম দুর্নীতির কারনে সেখান থেকে বদলি করে পলাশবাড়ী উপজেলায় যোগদান করে। এখানে যোগদান করার পর থেকেই যেন আরো বেড়েছে অনিয়ম দুর্নীতি। তারই ধারাবহিকতায় কৃষি সরঞ্জামাদি বিতরনে অনিয়মের পাশাপাশি কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা নিজেই ভোগ করছেন।

    তথ্য সুত্রে আরো জানা গেছে,এই কর্মকর্তা চাকুরিতে যোগদানের সময়ই ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে যোগদান করেছেন এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে আসার তারিখ নির্ধারন করেছে। শুধু তাই নয় তথ্য অধিকার আইনে সংবাদকর্মীরা জেলা কৃষি কর্মকর্তার চিঠি সম্বলিত আবেদন করলেও তথ্য অধিকার আইন এবং জেলা কর্মকর্তাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অনিয়মের পথ।

    আরো জানা গেছে,এই দুর্ণীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তা বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষে কাজ করছেন এবং সে কারনেই কৃষি অফিসের ওয়েব সাইডে এখনো দৃশ্যমান সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির ছবি।

    গনমাধ্যম কর্মীরা এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মুখ টিপে হাসতে থাকেন। তার এই নীরবতায় প্রমাণ করে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ সত্য।
    এ ছাড়াও তার চাকুরিতে যোগদানের সময় কালিন মুক্তিযোদ্ধা কোঠার বিপরীতে জমাকৃত কাগজ অনুসন্ধানে জানা গেছে,প্রকৃত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫টি এবং মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৪টি কাগজ থাকার কথা থাকলে মুক্তিযোদ্ধা ওয়েব সাইডে শুধু মাত্র একটি কাগজ পাওয়া যায় এবং সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ তালিকায়। এ বিষয়ে আরো জানা গেছে,তার বাবার কাগজ জাল হবার কারনে একবার বাতিল হয়েছিল। এই ভাবে জাল কাগজ পত্র দিয়ে চাকুরিতে যোগদানের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার ১৯শে জুন আসার কথা থাকলেও কোন কারনে আসেনি।

    এসময় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলমের সাথে কথা বললে তিনিও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,যদিও আমি এখানে নতুন তারপরও কৃষি কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয়গুলো অবগত হয়েছি এবং আজকের যে বিষয়টি এটি সঠিক হয়নি। কেননা সংবাদ কর্মীরা সমাজের আয়না তাদের মাধ্যমে সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কাজের চিত্র সাধারন মানুষ জানবে সেখানে যাদের জন্য আয়োজন এই ফল উৎসব সেই কৃষকদের অনুপস্থিতি এটি দৃষ্টিকটু।

    অনিয়ম দুর্ণীতে জর্জড়িত এই আওয়ামী দোসর কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সহ সকল অনিয়মের অবসান করে কৃষক বান্ধব কোন কৃষি কর্মকর্তা এই উপজেলার দায়িত্বে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলাবাসী এবং সুধী সমাজের।।