Blog

  • সুন্দরগঞ্জে বিএনপি পরিবারের অফিস উদ্বোধন

    সুন্দরগঞ্জে বিএনপি পরিবারের অফিস উদ্বোধন

    গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘বিএনপি পরিবার’ নামে একটি অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।শনিবার  সন্ধ্যায় উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের বালারছিড়া বাজারে এই অফিসের উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সরকার জিন্নাহ।  সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সোলায়মান হোসেন বিএসসি।

    বিএনপি নেতা শেখ আলী আজাদের সসঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নজমুল হুদা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াৎ হোসেন সরকার মিলন, সুন্দরগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর জামিউল ইসলাম, বিএনপি নেতা সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রশিদ আমিনুল, বিএনপি নেতা মাইদুল ইসলাম বাবু প্রমূখ।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ও অতিথিবৃন্দ। পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

  • চারঘাটে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী 

    চারঘাটে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী 

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও  প্রদর্শনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২১ জুন) সকাল ১০ টায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর বাস্তবায়নে সেমিনার ও প্রদর্শনী উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার জনাব এ এইচ এম শফিউল ইসলাম মোল্লা জামাল।

    আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার সাদিকুল আজম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সরকার এনায়েত কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ আল মামুন হাসান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ লতিফ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, উপজেলা ভিডিপি অফিসার সেলিনা আক্তার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, চারঘাট থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সনি আজাদ প্রমুখ। 

    এ সময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

    বক্তব্যে, বিসিএসআইআর এর প্রতিনিধিবৃন্ধ প্রজেক্টরের মাধ্যমে পর্দায় তাদের কার্যক্রম ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপস্থাপনা করেন। এসময় এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ নানা বিষয়ে অজানা তথ্য জানানো হয়।

    সবশেষে অতিথিবৃন্দরা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর ও স্কুল-কলেজের ১০ টি স্টল প্রদর্শণী মেলায় অংশ নেয়া স্টল গুলো পরিদর্শন করে তাদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী ।।

  • আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৩ লক্ষাধিক মসজিদে প্রচারণায় ইসলামি দলগুলো

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৩ লক্ষাধিক মসজিদে প্রচারণায় ইসলামি দলগুলো

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নতুন কৌশলে দেশে প্রায় তিন লক্ষাধিক মসজিদে শুক্রবারে একযোগে প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করছেন ইসলামি দলগুলো আর বিএনপিও থেমে নেই তাদের প্রচারণায়, তবে একাধিক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির ব্যানারে এটা দলের জন্য ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকেরই অভিমত।
    জানা গেছে, এর আগে লন্ডনে জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাদের এই সংলাপ জাতীয় ঐক্যের পথে হাটছে কি বাংলাদেশ। এদিকে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ তারা নির্বাচন করতে পারবে না আর সারা দেশে জামাত ও বিএনপির নেতা কর্মীরা পোস্টার দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছন। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধিমালা খসরা চূরান্তঃ প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার: লঙ্ঘন করলে ৬ মাসের জেল। এসব নিয়ে গণমাধ্যমসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বাঁধার মুখোমুখি হতে পারেন, বাকীটা-ইতিহাস।
    বাংলাদেশের পতাকা সবুজের মধ্যে লাল সেই পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় স্বাধীনতা অর্জন আর এই নতুন বাংলাদেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা কতটুকুও তা জাতি জানতে চায়। যেখানে পুলিশকে মেরে হত্যা করলেও কিছুই হচ্ছে না, সাংবাদিকের উপর হামলা বা নির্যাতন করলেও ভুক্তভোগীরা সঠিক বিচার পাচ্ছেন না, মানুষকে যেখানে সেখানে মারছে, কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
    অনেকেই বলেন, ভোট দেয়ার স্বাধীনতা আমরা সকলেই চাই কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়া এতো সহজ নয়, আমাদের স্বাধীনতা কলংকিত নয় যদিও মা-বোন কলংকিত হয়। ১৭৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ ঐক্য থাকায় যুদ্ধে শক্র পক্ষকে হারিয়ে আজকের এই স্বাধীনতা অর্জন, এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর বাংলাদেশে ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং আরো একটি স্বাধীনতা অর্জন করেছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে, নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।
    বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতার পর এখন দেশে নির্বাচন জরুরী দরকার বলে মনে করছেন জাতি আর বাংলাদেশের জনগণের ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হলে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে? কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড-১৫২ পাতার (ক) বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। (খ) বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। (ঘ) নির্ধারিত কোন নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিক সমস্যার শেষ নাই, অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে নানারকম ভুল হওয়ায় জটিলতা রয়েছে। সেই ভুলগুলো ঠিক করতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদেরকে, অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
    ১৯৭১ সালের পর আবারও দেশে যুদ্ধ হয়েছে এই যুদ্ধে ছাত্র-জনতাসহ অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে আহত এবং নিহতদের ঘটনায় মামলা করা হলেও বেশিরভাগ মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ভুয়া বাদী কতর্ৃক সাংবাদিকসহ অনেকের নাম দিয়ে মামলা করা হয়েছে, তা একজন আহত বা নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলা করা হয়েছে, তার মধ্যে কিছু ভিকটিমের পরিবার আর প্রতারক চক্র মামলা বাণিজ্য করার জন্য ভুয়া বাদী সেজে মামলা করেছে অনেক, যেমন: সাভার আশুলিয়ায় সাহেব আলী জলিল ভুয়া বাদী সেজে একাধিক মামলা করেছে তার তথ্য প্রমান রয়েছে। স্বাধীন দেশে এ কেমন প্রতারণা তা জাতি জানতে চায়। এখন আসি বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনার বিষয় নিয়ে।
    সূত্রমতে, বাংলাদেশের প্রথম-প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, বিচারপতি এম. ইদ্রিস। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। নির্বাচন কমিশনার এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্মাবসানের পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে অন্য কোন পদে নিযুক্ত হবার যোগ্য হবেন না। অবশ্য কেবল নির্বাচন কমিশনারগণ কর্মাবসানের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনাররুপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন। “জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন” জাতীয় সংসদ কি? তা জানা দরকার। বাংলাদেশের আইনসভা হল জাতীয় সংসদ, এটি এক কক্ষবিশিষ্ট এবং প্রজাতন্ত্রের সকল প্রকার আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। জাতীয় সংসদের মেয়াদ কত বছর তা আমাদের জানা দরকার, মাত্র পাঁচ বছর। রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে না দিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলে সংসদ আপনা-আপনি ভেঙ্গে যাবে। জাতীয় সংসদের গঠন কিরুপ?: সমগ্র দেশ থেকে নির্বাচিত ৩০০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। তবে সংবিধানে মেয়াদী ৩০জন মহিলা সংসদ সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে। সংরক্ষিত আসন ব্যতীত মহিলা সদস্যগণ অন্যান্য সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সূত্রমতে, জাতীয় সংসদের মোট সদস্য ৩৩০ জন। তা সংবিধান পরিবর্তন করা হলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বা কমানো যাবে। জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার জন্য কি যোগ্যতার প্রয়োজন? প্রথমত বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হবে।
    বাংলাদেশের প্রথম গণপরিষদ গঠিত হয় তা সবার জানা দরকার, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। মোটামুটিভাবে (১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গন্য হয়)। এ আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অংশ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সব সদস্য (৪৬৯জন – ১৬৯ জন = ৩০০জন) নিয়ে এই পরিষদ গঠিত হয়। শেষ পর্যন্ত গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪০৪ জনে দাঁড়ায়। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন-১০ এপ্রিল ১৯৭২। সেসময় গণপরিষদের প্রথম স্পীকার ছিলেন শাহ আব্দুল হামিদ, দ্বিতীয় স্পীকার মোহাম্মদ উল্লাহ, গণপরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পীকার মোঃ রায়তুল্লাহ, গণপরিষদের নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে কতজন সদস্য স্বাক্ষর করেন তা জানা প্রয়োজন, ১৪ ডিসেম্বর ৩৫০জন এবং ১৫ ডিসেম্বর ৪৭জন-৩৯৭ জন। বাংলাদেশের চলমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব, বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা সাহাবুদ্দিন মহোদয়, এবার আসি বাকি ইতিহাস কি বলে?
    শক্রমুক্ত হোক দেশ, স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রিয় মানুষগুলোর রক্তে কেনা অমূল্য ফসল লাল সবুজের পতাকা। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ, এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না কারণ,এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষ জানেন, তা এখন ইতিহাস। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে মানুষ ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝড়ছে পাহাড় পরিমাণ রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে বাংলার বুকে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য হাসি মুখে জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। ভাষা শহীদসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছেন বাঙ্গালি জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার, সেই সাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচন জরুরী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে একযোগে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল। ভোটের পর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল, বাকিটা-ইতিহাস।##

  • স্বর্ণের দোকানগুলোতে লাইসেন্সবিহীন এসি-ড ব্যবহার ও চলছে জমজমাট সু-দের কারবার

    স্বর্ণের দোকানগুলোতে লাইসেন্সবিহীন এসি-ড ব্যবহার ও চলছে জমজমাট সু-দের কারবার

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ দেশের বেশিরভাগ স্বর্ণের দোকানে লাইসেন্সবিহীন এসিড ব্যবহার ও বন্ধকী রেখে সুদের জমজমাট কারবারে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে এইসব অবৈধ ব্যবসা।
    শনিবার (২১ জুন ২০২৫ইং) জানা গছে, রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার সাভার আশুলিয়া, ধামরাইসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বর্ণের দোকানে ও কারখানায় লাইসেন্সবিহীন এসিড ব্যবহার এবং কথিত বন্ধকীর নামে চড়া সুদের জমজমাট কারবারে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
    রাজধানীর তাতীবাজারসহ বিভিন্ন্ন মার্কেটের দোকানে স্বর্ণ পরিক্ষা করতে যে, নাইট্রিক এসিড লাগে তার কোনো লাইসেন্স নেই দোকানদারদের। নিয়ম অনুযায়ী স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় ও মেরামত করার সময় ভয়ংকর এসিড ব্যবহার করা হয়। সেই সাথে এসিড অপব্যহার করছে এসিড সন্ত্রাসীরা। মাঝে মধ্যে মানুষের শরীরে এই এসিড নিক্ষেপ করার ঘটনাও ঘটছে, বাড়ছে এসিড সন্ত্রাস। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের বিশেষ শাখা থেকে এসিডের লাইসেন্স নিতে হয় এবং সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে গোল্ড লেন্ডিং লাইসেন্স নিতে হয়। স্বর্ণ বন্ধকের বিনিময়ে সুদের ব্যবসা করতেও প্রয়োজন হয় মানি লোন্ডিং লাইসেন্স। কিন্তু এই দুইটি লাইসেন্সের কোনোটিই না নিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের প্রায় ১২হাজার ৮শত (১২,৮০০) স্বর্ণের দোকান মালিক বা তার বেশি স্বর্ণের দোকানদার। এতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
    বিশেষ করে যত্রতত্র এসিড ব্যবহার ও লাইসেন্স ছাড়া অ্যাসিড ক্রয়-বিক্রয় করা পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও দেশের জেলা ও উপজেলা এবং থানা-ইউনিয়ন পর্যায়ে বেশিরভাগ স্বর্ণের দোকানের মালিকরা লাইসেন্সবিহীন এসিড ব্যবহার করছে। এর সাথে বন্ধকী কারবার জমজমাট ভাবে চালাচ্ছে এবং ভেজাল স্বর্ণের বিভিন্ন অলংকার তৈরি করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে অনেকেই। স্বর্ণের এক দোকানে ঢুকতেই দেখা গেলো, সোনার গয়নার উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য তরল জাতীয় কিছু ব্যবহার করছেন কারিগররা। জানতে চাই কী এটা? কারিগর বলেন, এটা সালফিউরিক এসিড। এই এসিড দোকানের এক কোণে ছোট কাঁচের শিশিতে রয়েছে। লাইসেন্স আছে তো? প্রশ্ন করলে দোকানদার ঘাবড়ে গেলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকান মালিক বলেন, আমরা অল্প পরিমাণে এসিড রেখে তা ব্যবহার করি।
    জুয়েলার্স মালিক সমিতির নেতারা অনেকেই বলেন, এসিড ব্যবহার করলে লাইসেন্স প্রয়োজন-তা অনেকেই জানেন না। অনেকেই জানান, ২০-৩০টি সোনার দোকানের স্বর্ণালঙ্কার মিলে স্বর্ণ পরিস্কার করার জন্য একটি পালিশের দোকান দেয়, সেখানে স্বর্ণ পলিস হয়। স্বর্ণালঙ্কার পালিশের দোকানে অনেক বেশি এসিড ব্যবহার করা হয় বলে কারিগররা জানান। স্বর্ণ ভেজাল করার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অনেকেই বলেন, আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে সোনার ভেতরে নিয়মের চেয়ে বেশি ভেজাল দেওয়া হতো, বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বর্ণ পরিক্ষা করা হয়। বর্তমানে স্বর্ণের মধ্যে ভেজাল দেওয়ার সুযোগ নেই বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। তবে বর্তমানে স্বর্ণের দাম উঠানামা করছে এক লাখ ৭২ হাজার থেকে ১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা বিক্রি করা হচ্ছে।
    জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, স্বর্ণের ব্যবসা করতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬ প্রনীত ১৯৮১ এর বিধান অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের ব্যবসা-বাণিজ্য শাখা কাপড়, রড,সিমেন্ট, সুতা, বেবিফুট, সিগারেট বন্টনকারি, জুয়েলারি গোল্ড ডিলিং লাইসেন্স নিতে হয়। সূত্র জানায়, ৩০% ব্যবসায়ী লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছেন। ৭০% ব্যবসায়ীরা লাইসেন্সবিহীন ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি-বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং ও উদ্যোগের অভাবে ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ পাচ্ছেন। এতে দেশের প্রায় ১২ হাজার ব্যবসায়ী সরকারি ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি দিচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টর। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে কে বেশি লাভবান হবেন, ১০-১২ বছর আগে যাদের কিছুই ছিলো না, তারাও এখন কোটি কোটি টাকার মালিক, একদিকে চোরাকারবারী আর অন্যদিকে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা শত শত কোটি টাকার মালিক বুনে গেছে।
    জেলা প্রশাসনের অফিসের তথ্যমতে, স্বর্ণ ব্যবসা করতে সরকার নির্ধারিত শুধু গোল্ড ডিলিং লাইসেন্স ফি ৫হাজার টাকাসহ ১৫% ভ্যাট এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি আড়াই হাজার টাকাসহ ১৫% ভ্যাট। সারাদেশে প্রতিটি জেলায় ২০০-২৫০টি স্বর্ণের দোকান রয়েছে, তা হিসেব করে কত হাজার সোনার দোকান ও কারখানা আছে তার হিসাব নাই। কিছু এলাকায় তারচেয়ে বেশি বা কম দোকান রয়েছে, যাদের কোনো লাইসেন্স নেই। সেই হিসাবে সারা দেশে প্রায় ১২ হাজারের বেশি স্বর্ণের দোকানের লাইসেন্স নেই। এই হিসাবে কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি দিচ্ছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম জয় একজন বলেন, ৯৬ রতি সমান ১৬ আনায় এক ভরি সোনার দাম বৃদ্ধির কারণে সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক বেকার হতে চলেছে। সারা দেশে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে তাদের কাছে লাইসেন্স গ্রহণের নোটিশ প্রেরণ করা জরুরি। নোটিশ প্রাপ্তি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
    দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাথে আলোচনা করলে তারা বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও অত্যাবশ্যকীয় পন্য ব্যবসায়ীদের লিষ্ট করে তাদেরকে নির্ধারিত সময় দেওয়ার মাধ্যমে লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। লাইসেন্স না করলে সকল প্রতিষ্ঠানের যে সকল মালিক লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং এসিড ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার করছে, তাদের লাইসেন্স না থাকার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তারা জানান। এ বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।#

  • বর্ষাকালের বৃষ্টি কৃষিকাজের জন্য আশীর্বাদ

    বর্ষাকালের বৃষ্টি কৃষিকাজের জন্য আশীর্বাদ

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। আর মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। বর্ষাকালের বৃষ্টি আল্লাহর তলার পক্ষ থেকেই বর্ষিত হয়। আর এ বৃষ্টি কৃষি কাজ ও কৃষকের জন্য আশীর্বাদ। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে যখন প্রকৃতি জ্বলেপুড়ে একাকার, তখনই প্রকৃতিতে শীতল পরশ নিয়ে আসে বর্ষা। বর্ষাকালে প্রকৃতি যেন ফিরে পায় নবজীবন। বর্ষা আমাদের মনেও প্রশান্তি নিয়ে হাজির হয়। বর্ষার ছোঁয়ায় আমাদের মন উদাস হয়ে ওঠে। বর্ষাকালে গ্রামবাংলার প্রকৃতি গাঢ় সবুজ হয়ে ওঠে। চারদিকে শুধু সবুজের সমারোহ। গ্রামবাংলার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি ফুটে ওঠে বর্ষাকালে। আকাশে কালো মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি খেলা। টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম শব্দ যে কাউকে উদাস করে। আবার রাতের অন্ধকারে ঝিঁঝি পোকার ডাক। কখনো ঝুম বৃষ্টি, আবার কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এ ধরনের আবহাওয়া মানব মনে যেন তৈরি করে অপূর্ব এক রোমাঞ্চ।

    যখন বর্ষাকালে যখন বৃষ্টি নামে তখন শুধু ছোটবেলার স্মৃতি গুলোই মনে পড়ে, আমরা ছোটবেলায় কত না বৃষ্টিতে ভিজেছি।
    বর্ষাকালে বৃষ্টির দিনে মায়ের হাতে সেই চাল ভাজা দিয়ে নারকেল খাওয়ার অনুভূতি শহরের মানুষগুলো কখনোই বুঝবে না।
    বর্ষাকালে বৃষ্টির পরে সবসময় ভালো কিছু সবার জন্য অপেক্ষা করে, তাইতো আমরা বৃষ্টিকে এত ভালবাসি।
    আমি বর্ষাকালের বৃষ্টিতে হাঁটি যাতে করে আমার অশ্রু ভেজা চোখ দুটি কেউ দেখতে না পারে।

    বাংলাদেশ হচ্ছে ছয় ঋতুর একটি দেশ এই ছয় ঋতুর মধ্যে একটি হচ্ছে বর্ষাকাল। তাই বর্ষাকালে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয় এবং নদী খাল বিল পানিতে ভরে ওঠে, বর্ষাকালে যখন নদ-নদী খাল-বিল পানিতে ভরে ওঠে তখন দেখতে কি যে সুন্দর লাগে শুধুমাত্র এই দেশের মানুষই বলতে পারবে। বাংলাদেশে বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যায় এই দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত মাছ, আর মাছটি যদি জাতীয় মাছ ইলিশ হয় তবে কোন কথায় নেই। তাই এই দেশের মানুষের বর্ষাকাল খুব ভালো লাগে।

    বর্ষাকাল আসলেই চারদিকে পানি থৈ থৈ করে বর্ষাকালে প্রকৃতি তার অপরূপ সৌন্দর্যে সেজে ওঠে। বর্ষাকালে সারাদিন বৃষ্টি নেমে থাকে বর্ষাকালে আকাশে ভেসে বেড়ায় কালো মেঘ যে মেঘগুলো দেখলে দুই নয়ন ভরে উঠে আনন্দে।
    বাংলা বছরের ছয়টি ঋতুর মধ্যে বর্ষাকাল হচ্ছে সবচাইতে সুন্দর ঋতু, এই বর্ষাকালে আকাশে ঘন কালো মেঘে ঢেকে থাকে কালো মেঘ গুলো বৃষ্টি আকারে ঝরে পড়ে যখন বৃষ্টিগুলো পড়ে তখন কি যে ভালো লাগে বুঝানো বড় দায়।

    বর্ষাকালে বৃষ্টি কৃষিকাজের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। গ্রীষ্মের শুষ্ক মাটি বৃষ্টির পানিতে নরম হয়ে ফসল উৎপাদনে উপযোগী হয়ে ওঠে। তখন কৃষকেরা জমিতে কৃষিকাজে ব্যস্ত সময় পার করেন।
    আবার কখনো দিনের কাজ শেষে তাঁরা গ্রামের বৈঠকঘরে অলস আড্ডায় মেতে ওঠে। গ্রামের মেয়েদের এ সময় কোনো কাজ থাকে না। তাই তাঁরা সবাই একসঙ্গে বসে সুই–সুতা দিয়ে নকশিকাঁথায় হরেক রকমের নকশা ফুটিয়ে তোলেন। ছোট ছেলেমেয়েরা কাগজের নৌকা বানিয়ে বর্ষার পানিতে খেলায় মেতে ওঠে।

    শহরের জীবনে বর্ষা কিছুটা ভোগান্তি তৈরি করে। শহরে খাল-বিলের সংখ্যা কম, তাই তীব্র বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তবুও গ্রীষ্মের উত্তপ্ত শহরে বৃষ্টির ফোঁটা মানুষের মনকে উৎফুল্ল করে। উত্তপ্ত শহর আস্তে আস্তে শীতল হয়ে ওঠে। শহরের যান্ত্রিকতায় গ্রামের মতো বর্ষাকাল উপভোগ করা না গেলেও বর্ষাকাল ঠিকই সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে হাজির হয়। শহরের উঁচু কংক্রিটের ফাঁকে ফাঁকে ঘন কালো মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি খেলা অসাধারণ মনে হয়। এ সময় শহরের খাল ও লেকগুলো পানিতে ভরে যায়। পার্কগুলো সবুজে ছেয়ে যায়। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্য।

    বর্ষাকালে ফুলের সৌন্দর্য আমাদের করে তোলে বিমোহিত। বর্ষার যে ফুলগুলো আমাদের আকৃষ্ট করে, তা হলো—শাপলা, কদম, কেয়া, কৃষ্ণচূড়া, কলাবতী, পদ্ম, দোলনচাঁপা, চন্দ্রপ্রভা, ঘাসফুল, পানাফুল, কলমি ফুল, কচুফুল, ঝিঙেফুল, কুমড়াফুল, হেলেঞ্চাফুল, কেশরদাম, পানিমরিচ, পাতা শেওলা, কাঁচকলা, পাটফুল, বনতুলসী, নলখাগড়া, ফণীমনসা, উলটকম্বল, কেওড়া, গোলপাতা, শিয়ালকাঁটা, কেন্দার, কামিনী, রঙ্গন, অলকানন্দ, বকুল এবং এ ছাড়া নানা রঙের অর্কিড। বর্ষা ঋতু যেন ফুলের জননী।

    আবহমানকাল ধরেই আমাদের প্রকৃতিকে বর্ষার ফুল স্বতন্ত্র সৌন্দর্য বিলিয়ে দিয়ে আসছে উদারতায়। বৃষ্টিস্নাত বর্ষার ফুলের উজ্জ্বল উপস্থিতি আমাদের মন রাঙিয়ে আসছে। কাজ শেষে সন্ধ্যায় প্রিয়জনের জন্য একগুচ্ছ কদমফুল হাতে বাসায় ফেরা। প্রিয়জনের মন রাঙাতে এর চেয়ে বেশি আর কী চাই!

    অনেক বিখ্যাত মানুষ বর্ষা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। অনেক কবিতা, গল্প লিখেছেন।

    কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বর্ষাকাল ছিল অত্যন্ত প্রিয়। তাঁর অসংখ্য গান ও গল্পে বর্ষার প্রসঙ্গ এসেছে বহুবার। তিনি তাঁর প্রিয়তমাকে অন্য কোনো ঋতুতে নয়, বর্ষা ঋতুতেই আসতে বলেছেন—
    ‘যদি মন কাঁদে
    তুমি চলে এসো, চলে এসো
    এক বরষায়।
    শেষে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে চাই—
    ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর। সোনার তরী কবিতা দিয়ে
    গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
    কূলে একা বসে’ আছি, নাহি ভরসা।
    রাশি রাশি ভারা ভারা
    ধান কাটা হ’ল সারা,
    ভরা নদী ক্ষুরধারা
    খর-পরশা।
    কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।
    একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা,
    চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
    পরপারে দেখি আঁকা
    তরুছায়ামসীমাখা
    গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
    প্রভাত বেলা।
    এ পারেতে ছোট ক্ষেত আমি একেলা।
    গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে!
    দেখে’ যেন মনে হয় চিনি উহারে।
    ভরা-পালে চলে যায়,
    কোন দিকে নাহি চায়,
    ঢেউগুলি নিরুপায়
    ভাঙ্গে দু’ধারে,
    দেখে’ যেন মনে হয় চিনি উহারে!
    ওগো তুমি কোথা যাও কোন্ বিদেশে!
    বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে!
    যেয়ো যেথা যেতে চাও,
    যারে খুসি তারে দাও
    শুধু তুমি নিয়ে যাও
    ক্ষণিক হেসে
    আমার সোনার ধান কূলেতে এসে!

    যত চাও তত লও তরণী পরে।
    আর আছে?—আর নাই, দিয়েছি ভরে’।
    এতকাল নদীকূলে
    যাহা লয়ে ছিনু ভুলে’
    সকলি দিলাম তুলে
    থরে বিথরে
    এখন আমারে লহ করুণা করে’!
    ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই! ছােট সে তরী
    আমারি সােনার ধানে গিয়েছে ভরি’।
    শ্রাবণ গগন ঘিরে
    ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
    শূন্য নদীর তীরে
    রহিনু পড়ি,
    যাহা ছিল নিয়ে গেল সােনার তরী।
    প্রেম নেই কোথাও -মুহতাসিম তকী
    আপনার চোখে বর্ষা এলে,
    কবিতার শহরে নামে বিরহ।
    আজকাল ভালো থাকবার চেষ্টা
    বড্ড ছেলেমানুষী মনে হয়!
    প্রেমিকার শহরে বৃষ্টি নামে,
    কিশোরী লজ্জায় নতজানু শহর
    আমাকে জানায়,
    এই শহরের প্রেম কাব্যে
    আমি এখন মৃত প্রজাপতি।

    আমার প্রেমিকা চলে গেছে।
    আমার কবিতা চলে গেছে
    মন খারাপের খাতায়।
    আমি এখন আর প্রেম লিখি না।

    আপনার শুভ্রতায়
    বুক ব্যাথা হয় খুব।
    কেমন যেন আজকাল
    কেউ নেই-
    কেউ নেই লাগে।
    আমি জানি
    আমি আপনার প্রেমিক
    ছিলাম না কখনোই!
    প্রেমিকা নতুন শাড়ি পড়ে,
    প্রেমিককে দেখাবে বলে।
    প্রাক্তন হবার অজুহাতে,
    আমার আর ব্যক্তিগত
    পাঠিকা নেই কোনো।

    আপনার চোখে বর্ষা এলে,
    কবিতার শহরে নামে বিরহ।
    আপনি মুখ ফিরিয়ে নিলে
    মনে হয়,
    আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
    প্রিয়তমার সবচেয়ে প্রিয়তম কবিতা।

    “কিছু মানুষ আছে যারা বৃষ্টিকে অনুভব করে বাকিরা শুধু শরীর ভেজায়” – রজার মিলার
    “যখন মেঘের দল আর বোঝা সহ্য করতে পারে না তখনই স্বর্গের কান্নায় ভেঙে পড়ে বৃষ্টি” – আর কে
    “জীবনের কতগুলো মূল্যবান মুহূর্ত আমরা পার করি রংধনুর অপেক্ষায় স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানানোর আগে” – ডিয়েটার এফ
    “জীবন ঝড় কেটে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার মধ্য নয়, জীবনের মূল অপবাদ বৃষ্টিতে ভিজতে উপভোগ করার মাধ্যম” – ভিভিয়ান গ্রিন
    “বৃষ্টির উপর তোমরা রাগ করোনা! কেননা সে এটা জানে না উপরের দিকে কিভাবে পড়তে হয়! ”
    অন্য সাধারন একটি দিনের থেকে বর্ষাকালের একটি দিন অনেকটা আলাদা কারণ শুধুমাত্র এই বর্ষাকালে আমাদের মনের ভিতরে রোমান্টিক মুড চলে আসে এবং ভালোবাসা বেড়ে যায় প্রকৃতির প্রতি। বর্ষাকালের সময় চারদিকে প্রাকৃতিক ভাবে নদ-নদী খাল-বিল পানিতে ভরে যায় তখন আমাদের এই বর্ষাকাল ঘিরে মনের ভিতরে সুখ দুঃখ চলে আসে এবং বর্ষাকালকে আমরা আপন করে নিয়ে থাকি।

    বর্ষা নামলে শহর ভিজে ভিজতে পারিনা আমি, শরীর ভেজানো ভীষণ সহজ মন ভেজানো দামী।
    রিমঝিম এই বৃষ্টির দিনে তোমার আবার মনে পড়ছে, তুমি আসবে বলে চলে গেলে হৃদয় আঙিনা শূন্য করে। আমার সারাটি দিন মেঘলা আকাশ বৃষ্টি তোমাকে দিলাম শুধু শ্রাবণ সন্ধ্যাটুকু তোমার কাছে চেয়ে নিলাম।
    বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর পায়ে দিয়ে সোনার নুপুর আঁকাবাঁকা মেঠো পথে কোন রূপসী হেটে যায়?
    অঝোর ধারায় বৃষ্টি আমার ভীষণ পছন্দ চারদিকে যেন একটা সাদা কোলাহল যাতে নীরবতা আছে কিন্তু শূন্যতা নেই – মার্ক হেডন।

    বৃষ্টি মানে একলা দুপুর তোমার ভেজা চুল, বৃষ্টি মানে রোদের ছুটি ভেসে আসে তোমার সুর।
    বৃষ্টির জন্য চেয়ে আছি নীল আকাশের পানে, ওগো বৃষ্টি তুমি ঝড়ে পড় আমার এই ক্লান্ত গায়ে।
    পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা বৃষ্টিকে অনুভব করে, বাকি মানুষগুলো শুধু বৃষ্টিতে শরীর ভিজায়। অন্য সাধারন একটি দিনের থেকে বর্ষাকালের একটি দিন অনেকটা আলাদা কারণ শুধুমাত্র এই বর্ষাকালে আমাদের মনের ভিতরে রোমান্টিক মুড চলে আসে এবং ভালোবাসা বেড়ে যায় প্রকৃতির প্রতি। বৃষ্টি শেষে সূর্য আবার উঠবেই তাই ব্যর্থতার পরে সফলতা আবার আসবেই।

    লেখক: মোঃ হায়দার আলী,
    গোদাগাড়ী, রাজশাহী

  • বরিশাল -১ আসনে দূর্দিনের কান্ডারী সোবহান’কে চায় জনগন

    বরিশাল -১ আসনে দূর্দিনের কান্ডারী সোবহান’কে চায় জনগন

    কে এম সোয়েব জুয়েল,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশের উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন মানেই এক কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল – ১ আসন থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত আপোষহীন নির্ভীক নেতা যিনি ১ এগারোর মত ভয়া বহ দূর্যোগ পরিস্থিতিকে মোকাবেলার মধ্য দিয়ে আগৈল ঝাড়া গৌরনদীর মানুষকে আগলে রেখে ধানের শিশকে বুকে ধারন করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছিলেন তিনিই হলেন তাদের একমাত্র মহান নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান।

    যার বিকল্প নেই বা অন্য কাউকে ভাবার চিন্তাও করেননা তারা। তিনিই হলেন গৌরনদী, – আগৈলঝাড়ার লক্ষ হাজার জনতার দূর্দিনের কান্ডারী তাকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তারা।

    দূ-র্দিনের ধানের শিশের কান্ডারি হিসাবে নিরালোশ ভাবে মাঠে কাজ করে গেছেন তিনি তার স্বার্থের কথা না ভেবে দলকে ভাল বেশে দল ও এ দেশের মাটি মানুষের কথা ভেবে তাদের পাশে থেকে নিরালোশ কাজ করে গেছেন তাদের নেতা আবদুস সোবহান।

    কেউ আবার দেশের দূ -র্দিনের চরম অবস্থায় অর্থাৎ এক এগারোর সময় নিজকে ভাল রাখার জন্য নিজের কালো টাকাকে ধরে রাখার জন্য বা নিজের পিট বাঁচাতে দল ও দেশের মানুষের সাথে বেইমানি ও বিশ্বাস ঘাতকতা করে নিজের অবস্থানকে টিকিয়ে রাখতে নিজের দলের সাথে চরম বিশ্বাস ঘাতকতা করতে বিন্দু পরিমার কুন্ঠিত বোধ করেন নাই। তারা এখন মঞ্চে দাড়িয়ে মনোনয়ন পেতে নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য মধুর কন্ঠে কথা বলে বেড়ায়। এরাই দলের দু-র্দিনে দলের জন্য কাল সাপ হয়ে দারাবে বলে মনে করছেন তারা। তাই এই সকল মির জাফর থেকে দুরে থাকার জন্য দলের হাইকমান্ডের প্রতি ঔদ্ধত্য আহবান জানান তারা।

    তাদের নেতা আবদুস সোবহান দেশর চরম অবস্থায় সব বাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে তার গৌরনদী – আগৈলঝাড়ার লোকজনকে সাথে নিয়ে নিরালোষ ভাবে কাজ করে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। বারংবার জেল খেটেও বিচলিত হন নাই তিনি।

    ২০০৮ ইং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলাকার চিহ্নিত বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার আর্শিবাদভ্রষ্ট কতিপয় ধানের শিশ মার্কার সমর্থিত লোকজন তাকে (সোবহান) নির্বাচনে হারাতে সর্বচ্ছ মাঠে কাজ করে গেছেন । তার ভিতর থেকেও আমাদের নেতা আবদুস সোবহান গৌরনদী – আগৈলঝাড়া থেকে ৭৫ হাজারের অধিক ভোট পেয়েছেন । দলের সাথে বেইমানি ও বিশ্বাস ঘাতকতা না করা হলে তাদের ধানের শিশ মার্কার নেতা আবদুস সোবহান নির্বাচনে ব্যাপক ভোটের ব্যাবধানে বিজয় সু- নিশ্চিত হতেন বলে মনে করছেন তারা।

    এ সকল সুযোগ সন্ধানী লোকজন এখন মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।

    তারা এখন মনোনয়ন পেতে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের দারে ঘুরঘুর করছেন। ওই সকল জাতীয় বেইমান দের প্রত্যাখান করে দুর্দিনের কান্ডারী দের মনোনয়ন দিয়ে দেশ ও দলকে বাঁচতে দলের হাইকমান্ডারের প্রতি সু- দৃস্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী বিএনপি সহ সাধারণ মানুষ।

    দুর্দিনে কান্ডারী দলের কেন্দ্রীয় ধানের শিশ প্রতিকের বরিশাল – ১ আসনের নেতা আবদুস সোবহান দেশের চরম ক্রান্তি লগ্নেও দল ও দেশের মানুষের কথা ভেবে নিজের স্বার্থকে বিসার্জন দিয়ে দেশের মানুষের কথা ভেবে নিরালোশ ভাবে কাজ করে গেছেন। তাই তাদের বিশ্বাস আগামি দিনেও এর চেয়েও বেশি দল ও এদেশের মাটি মানুষকে ভাল বেশে কাজ করে যাবেন তিনি। এমনি ধারনা করছেন গৌরনদী – আগৈলঝাড়া এলাকার লক্ষ্য হাজার মানুষ।

    তার( সোবহান) সৌহার্দ্য পু:র্ন আচরণ বাচন ভঙ্গি,দয়াশিলতা, বিচক্ষণতা, দানশীলতাকে দেখে তাকে মহা মানব বলে আক্ষায়িত করে বলেন, আগামী নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহানের বিকল্প গৌরনদী – আগৈলঝাড়ায় অন্য কিছু চিন্তা করা যাবেনা, তারা বেশি কিছু ভাবতে চাননা, তারা উন্নয়ন মানেই ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহানকে ভাবছেন।

    তাই বিএনপির হাই কমান্ড সব দিক বিবেচনা করে তাকে (সোবহানকে) বরিশাল -১ আসন থেকে মনোনয়ন দিলে সাধারণ মানুষের কষ্ট দুর্দশা লাঘব ও রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন সহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিদা সন্ত্রাস মুক্ত, মাদক মুক্ত, সহ দলের ভাবমূর্তি রক্ষা হবে বলে এমনি বিশ্বাস করেন গৌরনদী – আগৈলঝাড়ার লক্ষ্য হাজার মানুষ।

    ওই এলাকার মানুষের দলিয় হাই কমান্ডারের প্রতি একটাই দাবি তাদের আপোষ হীন দুঃর্দিনের কান্ডারী সৎ সাহসী নির্ভীক নেতা আবদুস সোবহানকে বরিশাল, -১ গৌরনদী – আগৈলঝাড়া আসনে মনোনয়ন দিয়ে গৌরনদী – আগৈলঝাড়া মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন সহ দলকে সমৃদ্ধশালী করে শহীদ জিয়ার আদর্শকে বাস্তবায়ন করবেন বলে বিশ্বাস করেন এবং
    তাদের নেতা আবদুস সোবহানের মনোনয়নের বিকল্প অন্য কিছুই চিন্তা করছেননা তারা।

  • গোদাগাড়ীতে ধান-চাল সংগ্রহে ভ-য়াবহ প্র-তারণা

    গোদাগাড়ীতে ধান-চাল সংগ্রহে ভ-য়াবহ প্র-তারণা

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ প্রতারণার সিন্ডিকেট। সাধারণ কৃষক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই চক্রের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

    মাত্র ৫০০ টাকার লোভ দেখিয়ে মিথ্যা আশ্বাসে ব্যাংক একাউন্ট খুলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের নাম। বিগত পতিত হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতারা সুকৌশলে প্রতিবছর ধান, গম সংগ্রহ মৌসুমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। যা তদন্ত করলে কেচো খুড়তে সাপ বেবিয়ে আসবে। সেই কুটকৌশলকে ছাড়িয়ে প্রতারণার কৌশল করে রিশিকুল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ধানচাল ব্যবসায়ী আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সাধারণ ও দরিদ্র কৃষকদের দিয়ে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে নিচ্ছেন।

    আদিবাসী অনুকুল সরদার জানান, আতাউর তাকে কাকুতি-মিনতি করে অ্যাকাউন্ট খোলাতে বলেন এবং ৫০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে কাকনহাট কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখায় গিয়ে তিনি একাউন্ট খোলেন। কিন্তু এরপরেই বুঝতে পারেন, এই একাউন্ট ব্যবহার করে আতাউর চাল সরবরাহের নামে বড় ধরনের আর্থিক কারসাজি চালাচ্ছেন।

    অনুকুল সরদারের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমাদের এলাকার প্রায় ৩০-৪০ জনকে একইভাবে একাউন্ট খুলিয়ে নিয়েছে আতাউর। এমনকি চেক বইয়ের পাতা পাতা আগেই স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে।’
    চাল সরবরাহের অজুহাতে বড় কারসাজি: খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আতাউর রহমান ‘সাথী চালকল’ নামক মিলের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে উপজেলা খাদ্য গুদামে ৪৬ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করেছেন। অথচ তার চালকল মিলের উৎপাদন সক্ষমতা এই পরিমাণ চাল উৎপাদনের মতো নয়। এ থেকেই স্পষ্ট, বাইরে থেকে ধান ও চাল কিনে মিথ্যা তথ্য দেখিয়ে তিনি সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করছেন।
    নিজের মুখেই স্বীকারোক্তি: এই প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে আতাউর রহমান স্বীকার করেন-তিনি আদিবাসীসহ স্থানীয় অনেককে দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছেন। তাদের নামে সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ দেখিয়ে তিনি নিজেই টাকা উত্তোলন করেন এবং বিনিময়ে ওই ব্যক্তিদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে থাকেন।
    তিনি বলেন, ‘সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনবেÍএই নিয়মকে কাজে লাগিয়ে আমি ধান সরবরাহ করি। সরকারি দামে ধান বিক্রি করে লাভ কম, তাই আমি বাইরের এলাকা থেকে কমদামে ধান কিনে গুদামে দিই। মাঝে মাঝে নিম্নমানের চালও সরবরাহ করি।’
    তিনি আরো দাবি করেন, ‘খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণক শফিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) নাজমুল আলম তারা সব জানেন এবং দেখেও কিছু বলেন না।’

    সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নীরবতা: গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (সাবেক) শফিকুল ইসলাম, গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল আলমসহ কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীও চুপ থাকেন।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘এ ধরনের প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, নতুন খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
    সরকার যখন সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে, তখনই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জনগণের বিশ্বাস ও সরকারি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এখন দেখার বিষয়, এই প্রতারণার বিরুদ্ধে কত দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নেয় স্থানীয় প্রশাসন।

    শুধু কি তাই বিগত সাড়ে ১৫ বছর পতিত হাসিনা সরকারের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতা, কর্মীরা ভুক্তভোগী কৃষকের কৃষি কার্ড হাতিয়ে নিয়ে ভারত থেকে পচা কম আমদানি করে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া থেকে কমদামী ক্রয় করে ট্রাকে লোড করে রাতারাতি খাদ্য গুদাম ভর্তি করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। বিষয় গুলি তদন্ত করে দোষী, দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার জন্য সচেতন মহল উদ্ধের্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাজশাহী।

  • নেছারাবাদে ৮৭ বছরের বৃদ্ধার কী-টনাশক পান করে আত্মহ-ত্যা

    নেছারাবাদে ৮৭ বছরের বৃদ্ধার কী-টনাশক পান করে আত্মহ-ত্যা

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    নেছারাবাদে মাখন লাল মৃধা (৮৭)বয়স্ক এক ব্যাক্তি কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি রোগ শোকে জর্জরিত ছিল তাই মানসিক টেনশন থেকে আত্মহত্যা করেছে।

    নেছারাবাদ উপজেলার জুলুহার গ্রামে ঐ ঘটনা ঘটে। তিনি জুলুহার গ্রামের মৃত ভুভনেশ্বর মৃধার ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুকতেছিলেন। রোগশোক এবং মানসিক টেনশনের কারনে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে জানা যায়।

    তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। স্ত্রী মারা যাওয়ার মানষিক ভাবে ভেঙে পড়েন এবং রোগশোকে ছিলেন জর্জরিত এবং বেশির ভাগ সময় ঝালকাঠি তার ছেলে মেয়েদের কাছেই থাকতো। বৃহস্পতিবার সকালে ঝালকাঠি থেকে সকাল ছয়টার দিকে বাড়িতে আসে এবং দুপুরে একটার দিকে খবর পান বাবা নীজ বাসায় বসে কীটনাশক পান করেছেন। ছোট ভাই ঘটনা জানতে পেরে তাকে ঝালকাঠি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঝালকাঠি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার বলেন, ডায়াবেটিসের রোগী ওয়াশ করা যাবে না তাকে মেডিসিন দিয়ে ওয়াশ করাতে হবে। তখন তাকে উম্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান।

    নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

  • নড়াইলে পৃথক অভি-যানে বিপুল পরিমাণ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেফ-তার

    নড়াইলে পৃথক অভি-যানে বিপুল পরিমাণ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেফ-তার

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেফতার। মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃ সৈকত শিকদার (২৫) নামের একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোঃ সৈকত শিকদার(২৫) নড়াগাতী থানাধীন ডর বল্লাটি গ্রামের মোঃ আনসার শিকদারের ছেলে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি জানান, নড়াইল থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) নড়াগাতী থনাধীন ১০ নং পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামস্হ মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে তাদের আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) হাসান মাহমুদ ও এএসআই (নিঃ) মোঃ ইকরাম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মোঃ সৈকত শিকদার (২৫) কে গ্রেফতার করে। এ সময় ধৃত আসামির নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য পনের পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে নড়াগাতী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরদিকে নড়াইল ডিবি কর্তৃক পঞ্চাশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার। মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃ রাজ গাজী(২৮) নামের একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোঃ রাজ গাজী(২৮) নড়াইল সদর থানাধীন মহিষখোলা গ্রামের মোঃ মহব্বত গাজীর ছেলে। নড়াইল জেলার সদর থানাধীন ৪ নং আউড়িয়া ইউনিয়নের মালিবাগ মোড়ের সুমন হাসানের ওয়ার্কসপের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর হতে তাকে আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদারা খান (পিপিএম) এর তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) জাহাঙ্গীর আলম, ও এএসআই (নিঃ) নাহিদ নিয়াজ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মোঃ রাজু গাজী(২৮) কে গ্রেফতার করে। এ সময় ধৃত আসামির নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৫০(পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর’র নির্দেশনায় মাদকমুক্ত নড়াইল গড়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • জীবননগরে পুলিশের মাদ-কবিরোধী অভি-যান: ১১০ পিস ইয়া-বাসহ গ্রেফ-তার ১

    জীবননগরে পুলিশের মাদ-কবিরোধী অভি-যান: ১১০ পিস ইয়া-বাসহ গ্রেফ-তার ১

    আল আমিন মোল্লা
    জীবননগর প্রতিনিধি

    চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার পুলিশ বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

    ১৯ জুন ২০২৫ তারিখ বিকাল ২টা ১৫ মিনিটে জীবননগর থানাধীন হাসপাতালপাড়া (মান্নান সড়ক গাংপাড়া) এলাকার একটি টিনশেড ঘরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মামুন হোসেন বিশ্বাস। অভিযান পরিচালনায় ছিলেন এসআই (নিঃ) মোঃ আসলাম আলী ও সঙ্গীয় ফোর্স।

    অভিযানে গ্রেফতার করা হয় মোঃ সাগর (২২), পিতা-মোঃ হাফিজুল, মাতা-রোমেচা খাতুন, সাং-হাসপাতালপাড়া, থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গা। তার হেফাজত থেকে মোট ১১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

    চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

    গ্রেফতারকৃত সাগরের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। থানার পুলিশ জানায়, মাদকবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে।