Blog

  • নিষে-ধাজ্ঞা শেষ হলেও ও প্রাকৃতিক দূর্যো-গে দিশে-হারা উপকূলের জেলেরা

    নিষে-ধাজ্ঞা শেষ হলেও ও প্রাকৃতিক দূর্যো-গে দিশে-হারা উপকূলের জেলেরা

    রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
    গত ১২ জুন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার অনুমতি মিললেও এখনো স্বস্তি ফেরেনি উপকূলের হাজারো জেলে পরিবারে। বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকে সমুদ্রে নামতেই পারেননি। আবার যারা গিয়েছেন, তাদের অনেকেই ফিরেছেন খালি হাতে। ফলে জেলেদের জীবনে জমেছে হতাশা, বাড়ছে ঋণের বোঝা। বৈরী আবহাওয়া আর একের পর এক সরকারি নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা উপকূলের হাজারো জেলে পরিবার।

    ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন—এবার রূপালী ইলিশে ভরবে তাদের জাল, ফিরবে সুখের দিন। কিন্তু সাগরে পা দিতেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝড়ো হাওয়া আর উঁচু ঢেউ। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, কলাপাড়ার জেলেরা জানিয়েছেন, অনেকে এখনও সাগরে নামার ঝুঁকি নিতে পারছেন না।
    রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজের জেলে রফিক হাওলাদার বলেন, পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকার বাজার করে ১৫ দিনের উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্রে পারি দিয়েছিলাম। কিন্তু সাগরে মাছ নাই। ঢেউয়ের জন্য জালই ঠিকভাবে ফেলা যায় না, মাছ থাকবেইবা কি করে? তিন-চার বার জাল ফেলছি। প্রতিবারই একই অবস্থা। তাই সমুদ্র থেকে জাল উঠিয়ে চলে আসছি।
    তবে রাঙ্গাবালী উপজেলা মেরিন ফিশারিজ অফিসার এস এম শাহাদাত হোসেন রাজু জানান, নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ থাকার সম্ভাবনা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জেলেরা ঠিকমতো জাল ফেলতে পারছেন না। ফলে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে মাছ ধরা বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।”

    নিষেধাজ্ঞা আর দুর্যোগে বছরজুড়ে বিপর্যস্ত জেলেরা:
    উপকূলীয় অঞ্চলে বছরে গড়ে ৮–৯ মাস জেলেদের মাছ ধরা কার্যত বন্ধ থাকে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, কালবৈশাখীসহ নানা দুর্যোগে প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায় সমুদ্রযাত্রা। প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সামুদ্রিক মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে — মোট ৫৮ দিন। ১৩ অক্টোবর – ৩ নভেম্বর: মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিন। মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদী সহ দেশের ৬ অভায়শ্রমে ইলিশের প্রজননকেন্দ্রগুলোতে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস জাটকা (ছোট ইলিশ) ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলে। যদিও এটি অঞ্চলভেদে কার্যকর হয়, তবুও বাস্তবে উপকূলের বড় একটা অংশেই এই সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকে।
    সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ২৫০–২৭০ দিন পর্যন্ত কোনো না কোনো কারণে মাছ ধরা বন্ধ থাকে উপকূলীয় এলাকায়। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনার নিম্নআয়ের মাছনির্ভর পরিবারগুলোর ওপর।
    উপকূলীয় অঞ্চলে এভাবেই গড়ে প্রতি বছর কয়েক লাখ পরিবার আয়হীন সময় পার করেন।

    আয়ের পথ বন্ধ, ঋণের বোঝা বাড়ছে:
    পটুয়াখালী জেলার সমুদ্রসংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলে প্রায় দেড় লাখ জেলে রয়েছেন। বারবার নিষেধাজ্ঞা আর আবহাওয়ার কারণে আয় না থাকায় অনেক পরিবারই ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল হওয়ায় জীবন চালানোই হয়ে উঠেছে কঠিন। রাঙ্গাবালী বড়বাইশদিয়ার জেলে আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, “জেলে পেশাটারে অনেকেই এখন ছাড়তে চাইতেছে। কিন্তু ছাড়বে কেমনে, অন্য কাজ তো নাই। অন্য কোন কামকাইজ পাইলে মাছ ধরা ছাইড়া দিমু।’
    রাঙ্গাবালীর কোড়ালীয়া মৎস্য ঘাটের জেলে হারুন মাঝি বলেন, ‘৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিলো, তহন ঘরে বসে আছিলাম। ঠিকমতো বাজার সদায় করতে পারি নাই। এ্যাহন আবার আবহাওয়ায় জ্বালাইতেছে। একটার পর একটা ঝামেলা লাইগাই আছে। এরম অইলে কেমনে বাঁচমু। মাছ ধরা ছাইড়াইবা কি করমু। ছোটকাল থেইকা শিখছি এইডা, অন্যকিছু পারিওনা। মাছ ধরতে না পারায় মহাজনও আমাগো টাকা দিতে পারে নাই। তাই আবার ঋণ করে নিজের সংসারের জন্য বাজার কিনছি। এইভাবে আর কত? মরি বাঁচি মাছ ধইরাই খাওয়া লাগবো। তাই চিন্তা করছি আবহাওয়া যতই খারাপ হউক, কালই সাগরে যামু।’

    মানুষ না বাঁচলে, মাছও টিকবে না:
    শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলেপেশা নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করা সহযোগী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমাদের উপকূলীয় অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরে মূলত প্রাকৃতিক সম্পদনির্ভর এবং অরক্ষিত। জেলেদের জীবন-জীবিকা এখন মূলত অনির্দেশ্য আবহাওয়ার সঙ্গে একটি অনিয়মিত ছকের মধ্যে আটকে আছে। সরকার বছরে কয়েক দফা মাছ ধরা বন্ধ রাখে — যা পরিবেশ ও প্রজননের দিক থেকে প্রয়োজনীয়। কিন্তু এই সময়টিতে জেলেদের জন্য বিকল্প জীবিকা, পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা বা সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তির কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা অনেকে মহাজনের কড়চায় জড়িয়ে পড়ে আরও নিঃস্ব হয়ে পড়েন।”
    তিনি বলেন, “দীর্ঘমেয়াদে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য টিকে থাকার পথ একটাই—প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা। আমাদের উচিত হবে জেলেদের জন্য একটি ‘লাইভলি হুড সিকিউরিটি প্যাকেজ’ নিশ্চিত করা, যাতে নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও বিকল্প আয়ের উৎস স্থায়ীভাবে গড়ে তোলা যায়। একই সঙ্গে জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ, উপকূলীয় কৃষি বা অন্যান্য পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়ে ধাপে ধাপে তাদের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগ নিতে হবে।”
    অধ্যাপক মীর আলীর মতে, শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইলিশ বা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা সম্ভব নয়, যদি মানুষ বাঁচতে না পারে। “মানুষ বাঁচলেই প্রকৃতি বাঁচবে। সাগরের মাছ রক্ষার আগে সাগরের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।”

    রফিকুল ইসলাম
    রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।।

  • দলীয় শৃঙ্খলা ভ-ঙ্গের দায়ে পটিয়ায় বিএনপির ৬ নেতাকে শো-কজ

    দলীয় শৃঙ্খলা ভ-ঙ্গের দায়ে পটিয়ায় বিএনপির ৬ নেতাকে শো-কজ

    মো.মহিউদ্দিন চৌধুরী।।পটিয়া প্রতিনিধি।।
    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ ইদ্রিস মিয়াকে সান্ডা, ব্যাঙ লিখে ফ্যাস্টুন ছাপানোসহ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার কারণে চট্টগ্রামের পটিয়া বিএনপির ৬জনকে শোকজ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ শোকজে পটিয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগর, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল আলম ছোটনের নাম রয়েছ।  এরা সবাই দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনামের অনুসারী। এই ৬জন ছাড়াও একই অভিযোগে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) চট্টগ্রাম  দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব নাছির উদ্দীনকে। গ
    জানাবে শ কিছুদিন ধরে পটিয়ায় বিএনপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া এক গ্রুপ এবং একই কমিটির সদস্য এনামুল হক এনাম অপর একটি গ্রুপ।  চলতি মাসের ১০,১১ ও ১২  জুন এনামুল হক এনামের অনুসারীরা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। এসময় ইদ্রিস মিয়াকে ব্যাঙ, সান্ডাকে আখ্যায়িত করে ফেস্টুন ছাপানো হয় এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগান দেন। যা সংগঠন বিরোধী ঔদ্ধত্য আচরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় প্রাথমিকভাবে পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলমসহ ৬জনকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।  দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, স্লোগান, ফেস্টুন ও ঔদ্ধত্য আচরণ করার কারণে ৬জনকে গত ১৮ জুন শোকজ করা হয়েছে।  ৫ দিনের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।  জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে  তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চু-রির অভি-যোগ

    সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চু-রির অভি-যোগ

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    রংপুরের তারাগঞ্জ ওয়াকফ এস্টেট সরকারি কলেজের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়াই সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল বারি মন্ডল তার আমলের (বিগত কয়েক অর্থ বছরের) আয় ব্যয়ের ভাউচারসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র দিনদুপুরে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ২০২৫ইং সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মেনহাজুলের উপস্থিতিতে ও সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা যায়।

    এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠনের অফিস সহকারি মেনহাজুল বলেন, আমি গত ১২ জুন সকাল আনুমানিক ১০ টায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এইচএসি পরীক্ষার্থীদের এ্যাডমিট কার্ড রেজিস্টিারভুক্ত করার জন্য অফিসে গিয়েছিলাম। অফিসে দাপ্তরিক কাজ করার সময় আনুমানিক ১১ টায় সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল বারি মন্ডল স্যার অফিসে আসেন। অফিস কক্ষে আগে থেকেই তার রক্ষিত সিলগালা করা একটি আলমিরা থেকে বেশকিছু দাপ্তরিক নথিপত্র নিয়ে যান।

    কিন্তু অফিস সহকারি ঘটনার দিন (১২ জুন) থেকে (১৭ জুন) পর্যন্ত বর্তমান দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস ছবুরকে এ বিষয়ে অবগত না করা এবং অধ্যক্ষ দেরীতে জেনেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন সময়ে বর্তমান অধ্যক্ষের অনুমতি না নিয়ে, গত ২০২৩ সালে অবসরে যাওয়া সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল বারি মন্ডলের এভাবে অফিস নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে যোগসাজশ বলে দাবি করছেন অনেকে। সাবেক এই অধ্যক্ষ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলেও দাবি করেন। তার দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতেই তিনি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন।

    এদিকে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে দিনে দুপুরে আলমিরা খুলে নথি চুরি হওয়ার ঘটনায় সমাজের সচেতন মহল চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। কী ভাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে নথিপত্র এভাবে চুরি যেতে পারে? তাহলে সাধারণ মানুষের “জীবন ও সম্পত্তির” নিরাপত্তা কোথায়? একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কত ধরনের প্রয়োজনীয় নথিপত্রই না থাকে! এ ঘটনায় সচেতন মহলের দাবি অতিদ্রুত কলেজের সার্বিক বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

    প্রসঙ্গত- বর্তমান অধ্যক্ষকে না জানিয়ে অফিসের নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার কথা সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল বারি মন্ডল মোবাইল ফোনে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি অডিটের কাজে প্রয়োজনীয়তার স্বার্থে তিনি তার নিজের সীল গালা করে রেখে যাওয়া আলমিরাতে কলেজে তার সময়ের পরীক্ষা খাত সহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের প্রয়োজনীয় হিসেবের বিল ভাউচারের কাগজগুলো নিয়ে যান।

    প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস ছবুর মুঠোফোনে বলেন, কলেজ ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদের ছুটিতে বন্ধ ছিল। চলতি মাসের গত ১২ জুন সাবেক অধ্যক্ষ কর্তৃক অফিসের নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমি ১৭ জুন জেনেছি। আমাকে বলা হয়নি, আমি অফিস আলোচনায় শুনেছি। পরে বিষয়টি গুরুত্ব দেই এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করি এবং অফিস সহকারীকে এ ঘটনায় কারণদর্শাই। এ সময় তিনি কৌশলগত এই চুরির ঘটনায় অফিসকারীকে সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত বলে দাবি করেন। প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি থানায় গিয়েছিলাম আমার অভিযোগ নেয়নি।

    এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, চুরির বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এ ঘটনায় উজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুবেল রানা বলেন, কলেজের ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানানোর জন্য বলেছি। এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করবো।

  • চারঘাটে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী 

    চারঘাটে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী 

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও  প্রদর্শনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২১ জুন) সকাল ১০ টায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর বাস্তবায়নে সেমিনার ও প্রদর্শনী উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার জনাব এ এইচ এম শফিউল ইসলাম মোল্লা জামাল।

    আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার সাদিকুল আজম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সরকার এনায়েত কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ আল মামুন হাসান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ লতিফ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, উপজেলা ভিডিপি অফিসার সেলিনা আক্তার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, চারঘাট থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সনি আজাদ প্রমুখ। 

    এ সময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

    বক্তব্যে, বিসিএসআইআর এর প্রতিনিধিবৃন্ধ প্রজেক্টরের মাধ্যমে পর্দায় তাদের কার্যক্রম ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপস্থাপনা করেন। এসময় এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ নানা বিষয়ে অজানা তথ্য জানানো হয়।

    সবশেষে অতিথিবৃন্দরা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর ও স্কুল-কলেজের ১০ টি স্টল প্রদর্শণী মেলায় অংশ নেয়া স্টল গুলো পরিদর্শন করে তাদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী 

  • মোংলায় ৭১ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    মোংলায় ৭১ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    মোংলা প্রতিনিধি।
    সংবাদে, সংযোগে, আস্থায়, বিশ্বাসে এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মোংলায় ৭১ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় একটি হোটেলে সুবিধাবঞ্চিত এতিম শিশুদের নিয়ে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা ও আলোচনা সভায় সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনীতিক ও সামাজিক সংগঠনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার সুমি, সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন পনি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর এমরান হোসেন, মোংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, পরিবেশবিদ ও সাংবাদিক নুর আলম শেখ। বাগেরহাট জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান শুভ, বাগেরহাট জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মোঃ জিয়াদ ইসলাম তন্ময়।

    অনুষ্ঠানে আগত এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়।

    এছাড়া ৭১ টেলিভিশনের আগামীর পথচলা যেন আরো সুন্দর হয়। সর্বদা বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশে বলিষ্ট ভূমিকা রাখে এ আশা ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানের উপস্থিত অতিথিরা।

  • সুন্দরগঞ্জে গলায় ফাঁ-স দিয়ে যুবকের আত্মহ-ত্যা

    সুন্দরগঞ্জে গলায় ফাঁ-স দিয়ে যুবকের আত্মহ-ত্যা

    মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা থেকেঃ

    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

    শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরান ব্যাপারীরটাড়ী গ্রামের মোন্তাজ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া(২২) প্রতিদিনের ন্যায় তার শয়ন ঘরে ঘুমাতে যায়। পরদিন শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন তার লাশ ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কি কারণে শামীম আত্মহত্যা করেছে তা কেউ জানেনা। তবে ঘটনার দিন শামীম তার বউকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আনতে গিয়েছিল। বউ না আসায় সে এই পথ বেছে নিয়েছেন বলে অনেকে জানান। এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এবিএম মিজানুর রহমান খোকন কে একাধিক বার ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

    এনিয়ে তদন্ত ওসি মোঃ সেলিম রেজার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বাবা, মা ও আত্নীয় স্বজনের কোন আপত্তি না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

  • ত্রিশালে ওসি মনসুরের এ্যা-কশনে শী-র্ষ মা-দক সম্রা-জ্ঞী ডিলার মিনাসহ গ্রে-প্তার-৩, জনমনে স্বস্তি

    ত্রিশালে ওসি মনসুরের এ্যা-কশনে শী-র্ষ মা-দক সম্রা-জ্ঞী ডিলার মিনাসহ গ্রে-প্তার-৩, জনমনে স্বস্তি

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    ময়মনসিংহের ত্রিশালে ওসি মনসুর আহমেদ এর নেতৃত্বে মাদক,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ,ছিনতাই, চুরি ডাকাতি, কিশোর গ্যাং সহ বিভিন্ন অপরাধ নির্মুলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনমুখী অভিযানে নেমেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে সমাজকে রক্ষা করতে ত্রিশাল থানা পুলিশের সাহসী ও দায়িত্বশীল অভিযানে শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী ডিলার মিনাকে গ্রেফতার করে উপজেলাব্যাপী আবারও প্রশংসিত হয়ে উঠেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।

    শনিবার (২১শে জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদের নির্দেশে পরিচালিত এক সাঁড়াশি অভিযানে ত্রিশালের অন্যতম দুর্ধর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী মিনা বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই সফল অভিযানে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং পুলিশের প্রতি এলাকাবাসীর আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

    ত্রিশাল পৌরসভার দরিরামপুর ৮নং ওয়ার্ডের মৃধাবাড়ী মোড় সংলগ্ন বাইল্লা বাড়ির জনৈক শাহজাহান (৪৮), পিতা: মৃত ইদ্রিস আলীর বসত-বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ত্রিশাল থানা পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালায়।

    ত্রিশাল থানা পুলিশের সুপরিকল্পিত ও সাহসী অভিযানে শাহজাহানের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ মিনাকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

    ত্রিশাল থানা পুলিশ জানায়- মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ত্রিশাল থানা পুলিশের একাধিক টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী মিনা ও মাদক ব্যবসায়ী রোকেয়া ও তার ছেলে হাসিবকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও নগদ টাকাসহ আটক করা হয়।এসময় তাদের কাছ থেকে ১২৩টি ইয়াবা, ৫০ হাজার নগদ টাকা ও পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। অপর এক অভিযানে শনিবার সকাল সারে ৯ টার দিকে গাজীপুর থেকে মাদক নিয়ে আসার সময় ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী মিনাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছে এক কেজি গাঁজা ভর্তি একটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

    মাদকের এমন বিপজ্জনক কার্যক্রম বন্ধে পুলিশের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।এর আগে স্থানীয় এলাকাবাসী মাদক ব্যবসায়ী মিনা ও তার ভাই মুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

    ওসি মনসুর আহাম্মদের নেতৃত্বে ত্রিশাল থানা পুলিশ সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মাদকের কালো ছায়া থেকে যুবসমাজকে রক্ষায় পুলিশের এই নিরলস প্রচেষ্টা সত্যিই অভাবনীয়।

    এলাকাবাসী পুলিশের এই সাহসী পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, “মাদকবিরোধী এ ধরনের অভিযান চলমান থাকলে সমাজ অনেকটাই নিরাপদ হবে।” তারা ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহাম্মদকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

    পুলিশের এমন তৎপরতায় ত্রিশালের প্রতিটি জনপদ মাদকমুক্ত হয়ে এক সুন্দর ও নিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে, এটাই সকলের প্রত্যাশা।

    শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী মিনা গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। কথিত রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে মিনা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কতিপয় নেতার ছত্রছায় মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে স্থানীয় এলাকাবাসী। তার মাদক ব্যবসায় এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হলেও তার ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে স্থানীয়রা কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। অবশেষে মিনা গ্রেফতারের সংবাদে স্থানীয়দের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে। ইতোপূর্বে পুলিশ তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করে করলেও জামিনে এসে আবারও মাদকব্যবসা শুরু করে।

    এব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ বলেন, ডিলার মিনা বর্মমান সময়ের ত্রিশালে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী । তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার কারায় ত্রিশালের মানুষ কিছুটা হলেও শান্তিতে থাকতে পারবেন। তিনি আরো জানান- অপরাধী যতবড় ক্ষমতাসীন ব্যক্তি হউক না কেন তাকে আইনে আওতায় আনতে আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো করা হবে বলে জানান মুনসুর আহমেদ।

  • তেঁতুলিয়ায় ৯ লাখ টাকার সার জ-ব্দ ৪ ব্যবসায়ীকে অর্থদ-ণ্ড 

    তেঁতুলিয়ায় ৯ লাখ টাকার সার জ-ব্দ ৪ ব্যবসায়ীকে অর্থদ-ণ্ড 

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত ও বিক্রির অপরাধে তিন খুচরা ব্যবসায়ী ও এক বিএডিসি ডিলারকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ৯৬০ বস্তা সার। যার বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

    গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শালবাহান ও তিরনইহাট ইউনিয়নে

     উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরুর নেতৃত্বে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

    শালবাহান ইউনিয়নের কালান্দিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ও সেলিম উদ্দিনের গুদামে নির্দেশনাবহির্ভূতভাবে মজুতকৃত ২২৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিরনইহাট ইউনিয়নের তিরনই বাজারে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের গুদামে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মজুত রাখা ৭৩৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়।

    তিন খুচরা ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা এবং বিএডিসি ডিলার মেসার্স সালমা এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুল বাসেতকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

  • ময়মনসিংহে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন

    ময়মনসিংহে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট ময়মনসিংহ জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নবগঠিত এই কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়ার কৃতিসন্তান এ্যাডভোকেট জাবেদ রাসিন। ৩৫ বিশিষ্ট সদস্যদের মধ্যে অন্যতম সমন্বয়ক হাফেজ মাওলানা মোকাররম আদনান।

    গত সোমবার (১৬ জুন) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের যৌথ স্বাক্ষরে প্রকাশিত এক পত্রে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, আগামী তিন মাস অথবা জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত এই সমন্বয় কমিটি কার্যকর থাকবে ।

    নবগঠিত কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক মোকাররম আদনান বলেন, ময়মনসিংহ জেলায় দলের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ,গতিশীল ও সংগঠিত করে তোলা এবং তৃণমূল পর্যায়ে সকল ধর্মের সকল মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

    দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য, জাতীয় স্বার্থ ,অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও যোগ্য নেতৃত্বের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমরা একটি শক্তিশালী, সুসংগঠিত দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই যে দল মানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা বলবে । যে দল মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিবে ।

    তিনি আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের বিভাজনমূলক মনোভাব, স্বেচ্ছাচারিতা বা ফ্যা’সি’স্ট প্রবণতার কোন স্থান নেই। এমন যে কোনো অপচেষ্টা , কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ ।

    তিনি আরো বলেন – ময়মনসিংহ জেলা একটি ঐতিহাসিক প্রাচীনতম জেলা হওয়া সত্ত্বেও গত ৫২ বছরে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলের ব্যাক্তিরা তামাশা করেছে , তাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে ফায়দা লুটে নিয়েছে, হাজারো আশার আলোকে তারা নিভিয়ে দিয়েছে , এই শহরকে ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে , আমরা অঙ্গীকার করে বলতে চাই এই অঞ্চল এবং শহরকে সব ধরনের দূ’র্নী’তি মুক্ত ,চাঁ’দা’বাজ মুক্ত, অনিয়ম ও অপশক্তিকে রুখে দিয়ে আধুনিক শহর নিরাপদ বসবাস এবং বাংলাদেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ

  • ঝালকাঠির নব নিযুক্ত এডিশনাল পিপি আক্কাস সিকদারকে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধণা

    ঝালকাঠির নব নিযুক্ত এডিশনাল পিপি আক্কাস সিকদারকে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধণা

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এডিশনাল পিপি) হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদারকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক কাজী খলিলুর রহমান।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার একজন দক্ষ ও সৎ আইনজীবী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। দীর্ঘদিন আইন পেশায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছেন তিনি। তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতা তাঁকে এ পদে উন্নীত করেছে। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, নতুন দায়িত্বে তিনি আরও ন্যায়ের পক্ষে অবিচল থেকে কাজ করে যাবেন।

    সংবর্ধিত অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার বলেন, “এ সম্মান আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। আমি সবসময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছি এবং আগামীতেও করে যাব।” তিনি সকল সহকর্মী, সাংবাদিক সমাজ ও সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    অনুষ্ঠানে ঝালকাঠির বিশিষ্ট আইনজীবী, সাংবাদিক, সুধীজন ও প্রেসক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।