Blog

  • নড়াইল সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত

    নড়াইল সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
    নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘা। নড়াইলে এক দলিল লেখক ছুুরিকাঘাতের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) সকালে নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা, খোকন চন্দ্র রায় (৫০) নামে ঐ ব্যক্তির পিঠে ছুরি বিঁধিয়ে পালিয়ে যায়। সংকটাপন্ন খোকনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুরি বিদ্ধ অবস্থায় যশোর মেডিক্যেলে নেয়া হয়েছে।
    পুলিশ জানায়, খোকন চন্দ্র রায় নড়াইল শহরতলীর দুর্বাজুড়ি গ্রামের মৃত জ্যোর্তিময় রায়ের ছেলে। তিনি প্রতিদিনের মতো সকালে পেশাগত কাজে মটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে মুঁলিয়া রোডের দক্ষিণ নড়াইল বটতলা নামক স্থানে হেলমট পরিহিত মটরসাইকেল আরোহী দুই অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত পেছন থেকে এসে খোকনের পিঠে ছুরি বিদ্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
    এ অবস্থায় খোকন নিজেই মটর সাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌছাতে সক্ষম হলেও তার শরীরে অত্যন্ত বিপদজনকভাবে বিধে থাকা চাকু সেখানে অপসারণ করা সম্ভব না হওয়ায় ক্রমে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে চিকিৎসক তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়ার পরামর্শ দিলে স্বজনরা খোকনকে যশোর মেডিকেলে নেন।
    খোকনের শরীরে বিধে থাকা ছুরি ফুসফুস পর্যন্ত গিয়ে থাকতে পারে এমন ধারনা পোষণ করে সদর হাসপাতালের ইমাজেন্সি মেডিকেল অফিসার শরীফ মোহাম্মদ হাসান ফেরদৌস জানান অপসারনের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রপচার নড়াইলে সম্ভব না বিধায় তাকে মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধের জেরে খোকন হামলার শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনা উৎঘাটনে কাজ চলছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

  • বাঙ্গরায় যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে ঘর ছাড়া লাকী

    বাঙ্গরায় যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে ঘর ছাড়া লাকী

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    যৌতুক লোভী স্বামী যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসী এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্বামীর জন্য ৬ বছরের ছেলেকে বুকে নিয়ে বাজারে বসে কাঁদছেন ওই নারী। এমন একটি ভিডিও ঘুরছে সোস্যাল মিডিয়ায়। মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের বলিঘর গ্রামে এঘটনা ঘটে।

    অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পশ্চিম জাঙ্গাল গ্রামের ধন মিয়ার মেয়ে লাকী আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন একই থানার বলিঘর গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে কামরুল হাছান (৩০)। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান আছে। বিয়ের পর রাজমিস্ত্রি কাজ করত কামরুল হাসান । সংসারের অভাব শেষ হয়না তাই বিদেশে যেতে শ্বশুর বাড়িতে টাকা চায়। মেয়ের সুখের জন্য জামাইকে বিদেশে পাঠাতে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয় শাশুড়ি। শ্বশুড় বাড়ির যৌতুকের টাকায় ভর করে বিদেশে পাড়ি দেন কামরুল হাসান । ৫ বছর পর জুন মাসে দেশে আসেনকামরুল হাসান এবং মালেশিয়াতে ব্যবসা করার সুযোগ আছে বলে আরো ৫ লাখ টাকা আনার জন্য স্ত্রী লাকী কে চাপ প্রয়োগ করেন। শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাকে নির্মমভাবে মেরে ঘর থেকে বের করে দেন। পরে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন লাকী। এব্যাপারে
    গাজীরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বলেন, “মেয়েটি আমার গ্রামের। জামাই বিদেশে যাওয়ার সময় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা গাজীর হাট বাজারে আমার দোকানে বসে লাকীর পরিবার দিয়েছেন কামরুল হাসান কে।
    বলিঘর গ্রামের সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম বলেন, যৌতুকের টাকার অযুহাতে মেয়েটিকে নির্যাতন করে বের করে দিছে। সে এখন এলাকায় নাই। শুনতেছি বিয়ে করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

    ভুক্তভোগী নারী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, স্বামীকে একবার সাড়ে ৩ লাখ এনে দিছি। আবার ৫ লাখ টাকা দিতে চাপ সৃষ্টি করছে। বিদেশ থেকে বলত “তুই ৫লাখ টাকা না দিলে দেশে এসে তোর চেয়ে সুন্দর মেয়েকে বিয়ে করে ৫ লাখ টাকা যৌতুক নিব”। তুর মতো কাইল্লা লইয়া সংসার করতাম না। জুন মাসে দেশে আসছে। আসার পর আমাকে মেরে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে আরেক বিয়ে করছে। তিনি আরো বলেন – চাচা শ্বশুরের সাথে শাশুড়ির অনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি দেখার পর থেকেই আমি শাশুড়ির গলার কাটা।
    অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে কামরুলের মুঠো ফোন ০১৩২৫-১৯২৭৩০ বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
    মুরাদনগর উপজেলার আকাবপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতাউর রহমান (রিপন) বলেন,প্রবাসী কামরুলের বউ লাকী আক্তার কান্না-কাটি করে আমাকে সব ঘটনা বলেছে। আমরা চাচ্ছিলাম সামাজিক ভাবে বসে মেয়েটিকে স্বামীর ঘরে দিতে কিন্তু ছেলেকে বাড়িতে পাচ্ছি না,

  • গৌরনদীতে দুই পরিবহনের মূখোমূখি সংঘর্ষ, আহত-৩২

    গৌরনদীতে দুই পরিবহনের মূখোমূখি সংঘর্ষ, আহত-৩২

    রিপোর্ট!! সুমন তালুকদার গৌরনদী।

    ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকায় যাত্রীবাহি দুই পরিবহনের মূখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩২ জন যাত্রী গুরুত্বর আহত হয়েছে।
    আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
    গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোঃ বিপুল হোসেন জানান, বুধবার দুপুর বারটার দিকে মহাসড়কের খাঞ্জাপুর এলাকায় আল মোবারাকা ও বরিশাল এক্সপ্রেস নামের দুই যাত্রিবাহী পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
    এতে ৩২ জনকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
    তিনি আরও জানান, দূর্ঘটনার পরপরই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
    গৌরনদী হাইওয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

  • ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ

    ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মানবতার কল্যাণে কাজ করে সুনাম অর্জন করেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অসুস্থদের মাঝে চিকিৎসা জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

    (৬ জুলাই) বেলা ১১ টায় সিরাজদিখান থানা আঙ্গিনায় নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান থানার ওসি একে, এম মিজানুল রহমান। ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সিরাজদিখান উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামিলীগ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। সংগঠনের উপদেষ্টা আনিছুর রহমান রলিন, লিটন মাহমুদ, সুব্রত দাস রনক, সদস্য মোঃ আক্তার হোসন, সুরুজ মিয়াসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিরাজদিখান থানা পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

    সিরাজদিখান থানার ওসি একে এম মিজানুল রহমান বলেন এমন একটি কাজ এ কাজ সবার দ্বারা সম্ভব না। আমাদের সমাজের অনেক ধনি ব্যক্তি আছে তারা ও এসমস্ত কাজে এগিয়ে আসে না। ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনে জড়িত রয়েছেন যারা তারা ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে প্রতিবন্ধীদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন আমি তাদের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি নিজেকে আনন্দিত ও গর্বিত মনে করছি। তিনি আরও বলেন সিরাজদিখান থানা এলাকায় ধনী ব্যক্তি যারা আছেন তারা প্রতিবন্ধী এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    সংগঠনের সভাপতি মোঃ মোস্তফা বলেন আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে আসছি। ঈদের আগে আমরা ৫০ টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করবো প্রতিটি পরিবারের মাঝে ১ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। সকলের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক আকারে কাজ করার আশা ও ব্যক্ত করেন তিনি।ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মানবতার কল্যাণে কাজ করে সুনাম অর্জন করেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অসুস্থদের মাঝে চিকিৎসা জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

    (৬ জুলাই) বেলা ১১ টায় সিরাজদিখান থানা আঙ্গিনায় নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান থানার ওসি একে, এম মিজানুল রহমান। ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সিরাজদিখান উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামিলীগ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। সংগঠনের উপদেষ্টা আনিছুর রহমান রলিন, লিটন মাহমুদ, সুব্রত দাস রনক, সদস্য মোঃ আক্তার হোসন, সুরুজ মিয়াসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিরাজদিখান থানা পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

    সিরাজদিখান থানার ওসি একে এম মিজানুল রহমান বলেন এমন একটি কাজ এ কাজ সবার দ্বারা সম্ভব না। আমাদের সমাজের অনেক ধনি ব্যক্তি আছে তারা ও এসমস্ত কাজে এগিয়ে আসে না। ধলেশ্বরী প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনে জড়িত রয়েছেন যারা তারা ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে প্রতিবন্ধীদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন আমি তাদের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি নিজেকে আনন্দিত ও গর্বিত মনে করছি। তিনি আরও বলেন সিরাজদিখান থানা এলাকায় ধনী ব্যক্তি যারা আছেন তারা প্রতিবন্ধী এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    সংগঠনের সভাপতি মোঃ মোস্তফা বলেন আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে আসছি। ঈদের আগে আমরা ৫০ টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করবো প্রতিটি পরিবারের মাঝে ১ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। সকলের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক আকারে কাজ করার আশা ও ব্যক্ত করেন তিনি।

  • যানজট নিরসন ও ফুটপাত উন্মুক্তকরণে মসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার নেতৃত্বে অভিযান।।

    যানজট নিরসন ও ফুটপাত উন্মুক্তকরণে মসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার নেতৃত্বে অভিযান।।

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ নগরীতে যানজট নিরসন ও ফুটপাত উম্মুক্তকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে মাঠে নেমেছেন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণ।
    বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও ফুটপাত উম্মুক্ত করে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা।

    ময়মনসিংহ নগরীতে যানজট নিরসনে ফুটপাতের উপর দোকান সরঞ্জাম রেখে নাগরিকের পথ চলাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ রাস্তার উপর মোটরসাইকেল রেখে যানজট সৃষ্টির অপরাধে ৫ টি মামলায় ১৬০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    এছাড়া রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রেখে নাগরিক পথ চলাকে বিঘ্ন করে বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ করায় ভিন্ন একটি মামলায় ২০০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আইন অনুযায়ী বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণা করা হয়। জরিমানা পরিশোধিত। ৬ টি মামলায় ৩৬০০০ টাকা জরিমানা করা হয় আজকের ভ্রাম্যমান আদালতে। আদালতকে সহায়তা করেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও সিটি করপোরেশনের স্যানটারি ইন্সপেক্টরসহ অন্যান্যরা।

    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, রাস্তায় অবৈধভাবে কলাসহ বিভিন্ন ফলের দোকান ও পন্য সামগ্রীর দোকান বসিয়ে ফুটপাত দখল করে দোকান স্থাপন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য বিক্রির দায়ে কয়েকজন ৬ টি মামলায় ৩৬০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

    অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন- নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতেই আমাদের উদ্যোগ। আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গাড়িচালকদের সহযোগিতা চাই। নগরকে যানজট মুক্ত রাখা আপনার আমার দায়িত্ব। রাস্তার ওপর দোকান না বসানোর এবং যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করার অনুরোধ জানান ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা।

    তিনি আরো জানান, ঈদ উল্লেখ্য ময়মনসিংহ পাটগোদাম ব্রীজ মোড়,টাউন হল মোড়,নতুন বাজার মোড়, গাঙ্গিনার পাড়,ষ্টেশন রোড এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং যানজট নিরসনের অংশ হিসেবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে । অভিযানে সহযোগিতা করেন কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

  • আজমিরীগঞ্জে লোডশেডিং এ জনজীবন অতীষ্ট বিনষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস শাক-সবজী সহ অন্যান্য দ্রব্য

    আজমিরীগঞ্জে লোডশেডিং এ জনজীবন অতীষ্ট বিনষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস শাক-সবজী সহ অন্যান্য দ্রব্য

    আজমিরীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
    আজমিরীগঞ্জে মাত্রাতিরিক্ত পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে অতীষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে বিনষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা মাছ,মাংস শাক-সবজী সহ নানা ধরণের খাদ্যদ্রব্য। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা জ্বর সর্দিকাশি সহ আক্রান্ত হচ্ছে পেটের পীড়ায়।
    জানা যায়,
    আজমিরীগঞ্জে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যপসা গরম ও পল্লীবিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারণে অতীষ্ট হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ করতে পারছে না হবিগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। এদিকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ করতে না পারলেও, সরকারি নির্দেশনায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম সমূহের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুতায়িত করছে। বর্তমানে অকাল বানের পানিতে উপজেলার অনেক গ্রামই তলিয়ে গেছে। বানভাসি লোকজন উঠে এসেছে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে। সেখানেও লোকজন গাদাগাদি করে বসবাস করছে। সাম্প্রতিক সময়ে একদিকে চলছে ব্যপসা গরম। অপরদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে করে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে ফ্রিজে রাখা মাছ, মাংস, শাক-সবজী বিনষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক বাল্ব, পাখা, এয়ারকোলার, টিভি, ফ্রিজ কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ নানা ধরণের ইলেক্ট্রনিক মালামাল নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অতীষ্ট হয়ে পড়েছে। তারা সর্দিকাশি, জ্বর সহ নানা ধরণের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এতে করে হবিগঞ্জ পল্লীবিদ্যুতের নিকট নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী।

  • সিলেট বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে আমার গৌরব ফাউন্ডেশনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

    সিলেট বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে আমার গৌরব ফাউন্ডেশনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

    কে এম শহীদুল ইসলাম:
    আকস্মিক বন্যায় কবলিত হয়েপরে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার লাখো লাখো মানুষেরা। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ সিলেটসহ সুনামগঞ্জ জেলার লাখো লাখো পরিবার। দিশেহারা হয়ে মানবেতরজীবন যাপন যেন এ জেলার মানুষের এখন নিত্য দিনের সঙ্গি হয়ে দাড়িয়েছে। বন্যার্তদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস যেন কাল মেঘের ছায়ায় অন্ধকার করে রেখেছে এ জেলার লাখো মানুষের জীবন। দিশেহারা নিষ্ঠুরতা বোবা কান্না জীবন্ত লাশ হয়ে পরিবার নিয়ে জীবন যুদ্ধে আজ প্রতিটি মানুষ বেচেঁ থাকার জন্য আকুতি করছে। হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢলে ও বিষ্টির পানির ¯্রােতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে অনেকের বাড়িঘর। করোনা যুদ্ধে সরকার এদেশের মানুষের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে করোনা মহামারি শেষ হতে না হতেই তিন তিনবার এ জেলার মানুষেরা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। সুনামগঞ্জবাসী হারিয়েছেন তাদের সোঁনালী ফসল।আর যাদের ঘরে কিছুটা ফসল উঠেছিল সে গুলোও ভাসিয়ে নিয়ে গেল কাল রাত্রির এক ভয়ানক পানির ¯্রােতে। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পানিতে তলিয়ে গেল সারা জেলার মানুষের বসতবাড়ি । রাতের অন্ধকারে বাচ্চাদের নিয়ে এদিক ঐদিক একটু আশ্রয়ের সন্ধানে দিশেহারা হয়ে জীবন যুদ্ধে প্রতিটি মানুষ যুদ্ধ করেছেন। বর্তমান সরকার বন্যা কবলিত মানুষের পাশে শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই পাশাপাশি সারা দেশের মানুষেরা সাহায্য নিয়ে ছুটে আসছেন যে যার মতো করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। তারই অংশ হিসেবে আমার গৌরব ফান্ডেশনের চেয়ারম্যান আফরোজা তালুকদারসহ ঢাকা থেকে ছুটে আসেন আমার গৌরব ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। প্রথমে ত্রাণ বিতরণ করার জন্য সিলেট বন্যা কবলিত মানুষের পাশে এসে দাড়ান তারা। ৬ই জুলাই বুধবার দিনব্যাপী তিনি সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার বন্যা কবলিত ৫শতাধিক ভানবাসি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আমার গৌরব ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মো: রাকিবুল ইসলামসহ সিলেট জেলা ও মৌলভী বাজার জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা। ত্রাণ বিতরণ কালে আফরোজা তালুকদার বলেন যতদিন এজেলার মানুষদের দূর্ভোগ শেষ না হবে সরকারের পাশিাপাশি আমার গৌরব ফাউন্ডেশন সাধ্যমত বন্যার্তদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাবে এবং আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।###

  • সুনামগঞ্জ বন্যা কবলিত মানুষের সমস্যা সমাধান করতে কাজ করবেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান

    সুনামগঞ্জ বন্যা কবলিত মানুষের সমস্যা সমাধান করতে কাজ করবেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান

    কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বন্যা কবলিত সুনাগঞ্জের সকলের দাবী দাওয়া এবং সংস্কার কাজসহ যাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে তাদের পূর্নবাসন তরিত গতিতে করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন সকলের দাবী ধাওয়া পূরনে এ জেলায় কাজ করব আমি নিজে এবং এজেলার কৃতিসন্তান আমার সহকর্মী পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন এত তরিত গতিতে বন্যায় মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে সেই সর্ম্পকে সরকারের আগে থেকেই কিছুটা ধারনা ছিল কিন্তু এত দ্রুত গতিতে বন্যা হবে সেটি ধারনা ছিল না। তিনি বলেন এটা স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা,ফলে সুনামগঞ্জ জেলার মানুষের জীবন ছাতা মনে হয় সবই তলিয়ে গেছে। সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় সুনামগঞ্জ এসে বলেছিলেন সরকার বন্যার্ত মানুষদের পাশে না থেকে শুধুমাত্র টেলিভিশনে বিবৃতি দিচ্ছেন বন্যার পরেই সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে যাওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,বিএনপি দিবাস্বপ্নঁ দেখছেন,তারা জনগন থেকে দুরে সরে গিয়েছেন,জনগন তাদেরকে ত্যাগ করেছেন। তারা অনেক কথাই বলেন কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে কোন মিল নেই। সরকার কি করছে তা জনগন দেখছেন এবং তাৎক্ষনিক সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতে ঘুমাননি তিনি সেনাবাহিনীর প্রধানকে বলে সেনাবাহিনীকে এখানে পাঠানো হয়। সরকারের সকল মন্ত্রী এমপিকে নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের যতটুকু আছে তা নিয়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাড়াঁনোর জন্য। তাৎক্ষনিক সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে বলেই আমাদের সেনাবাহিনী,পুলিশ,র‌্যাব বিজিবি সব আমাদের জনগন এবং জনপ্রতিনিধি ও দলীয় লোকজন অংশগ্রহন করেছেন বলেই বন্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরো বলেন,এই হাওরপাড়ের মানুষজন যারা বন্যায় ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র হারিয়েছেন সরকার তাদের ঘরের ব্যবস্থা করে দিবেন,খাদ্য সহায়তা অব্যাহত আছে এবং বোরো জমিন আবাদের জন্য কৃষি উপকরণ প্রদান করা হবে। সুনামগঞ্জ জেলায় একশ্রেণীর সুদখোর মহাজনরা রয়েছেন যারা মধ্যবিত্ত ও নি¤œ মধ্যবিত্তদের টার্গেট করে চড়াসুদে টাকা লগ্নী করে রক্ত চুষে তাদের রাস্তার ভিখারী বানানো হচ্ছে উপস্থিত সাধারন ,মানুষজনের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী বিষয়টি কঠোর নজরদারীর মাধ্যমে ঐ সমস্ত দাদন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং এনজিও কর্মীরা যারা কিস্তির জন্য সাধারন মানুষদের হয়রানি করবেন বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনর তরফ থেকে মনিটরিং করার উপরও জোর দেন মন্ত্রীদ্বয়।
    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃংখলা ও ত্রান কার্যক্রমসহ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ¦ এম এ মান্নান,সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইজ্ঞিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,সুনামগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য এড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ,পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাবের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক ১১-পদাতিক ব্রিগেড সিলেট অঞ্চলের সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত হোসেন,বিজিবির সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহবুব,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মো. আবু সাঈদ,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন,জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এড.খায়রুল কবির রুমেন,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এড.নান্টু রায়,এড. হায়দার চৌধুরী লিটন,সুবীর তালুকদার বাপ্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু ছৌধুনরী বাবুল,আখতারুজ্জামান সেলিম,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম,সাধারন সম্পাদক মোবারক হোসেন ও শান্তিগঞ্জ উপজেরা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী তহুর আলী প্রমুখ।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ¦ এম এ মান্নান বলেছেন, সুনামগঞ্জে এবারের বন্যায় যেমন সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে তেমনি একদিকে লাভ হয়েছে দেশ-বিদেশে সুনামগঞ্জের পরিচিতি বেড়েছে এই বন্যায় সরা দেশের মানুষ সুনাগঞ্জকে ছিনেছেন। তারই প্রমান সারা দেশের মনুষ আজ সুামগঞ্জ বাসীর পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি আরো বলেন, যে সমস্ত রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গেছে সেই সমস্ত রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে সচল করে জনগনের জন্য যানবাহন চলাচলে উন্মুক্ত করতে এলজিইডি ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন এই স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যার সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরকারী দলের পাশাপাশি ব্যাক্তি উদ্যোগে এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্ব-উদ্যোগে সুনামগঞ্জবাসীর এই করুন সময়টাতে জনগনের পাশে যারা দাড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানান এটা হচ্ছে মানবতার র্দূদিনে পাশে দাড়ানো, মানবতার একটি উত্তম কাজ। এসময় মতবিনিময়ভায় সকল উপস্থিত ব্যাক্তিদের বক্তব্য শুনে এ জেলার সার্বিক দূর্যোগ মোকাবেলা বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবান করার প্রতুশ্রুতি দেন দুই মন্ত্রী। পরের‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাবের উদ্যোগে শহরের সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ও সোনাপুরের বেদেপল্লীতে ত্রান কার্যক্রমে আলাদভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী চাল,ডাল,তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেন স্বারষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজা¦ এম এ মান্নান । পরে তিনি হাওর পাড়ের মাুষজনদের দেখতেস্পীড র্বোড নিয়ে বিভিন্ন গ্রাম ও উপজেলা পদির্শন করেন ।

  • রাঙ্গাবালীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ১২

    রাঙ্গাবালীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ১২

    এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

    পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সালিশ বৈঠকে মতবিরোধ ও পুর্ব বিরোধের জের ধরে মারপিটের ঘটনায় আওয়ামীলীগের দুপক্ষের’ অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    গত মঙ্গলবার (০৫-০৭-২০২২ ইং) তারিখ মধ্যরাতে উপজেলার চরমোন্তাজ বাজার এলাকায় আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বাজারে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এলাকার সরকারী খালের মাছ ধরা ও পূর্ব বিরোধে মারামারির ঘটনা নিয়ে ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মিটার বাজারে এক সালিশ বৈঠক বসা হয়। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত বৈঠকে রায় নিয়ে মতবিরোধে হয়। পরে জনৈক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার ইন্ধনে মারপিটের ঘটনায় সালিশ বৈঠক পন্ড হয়। এরই জেরে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা রাতে চরমোন্তাজ বাজারে এসে প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হলে সংঘর্ষের তান্ডবে বাজার রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।

  • বরগুনার আমতলীতে ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ৯টি দোকান ভস্মীভূত

    বরগুনার আমতলীতে ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ৯টি দোকান ভস্মীভূত

    মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
    বরগুনার আমতলীতে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘর সহ ৯টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

    বুধবার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবী করেছেন।

    স্থানীয়রা জানান, সকাল নয়টার দিকে আমড়াগাছিয়া বাজারে একটি তেলের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মূহুর্তেই পাশ্ববর্তী চালের গুদামে ছড়িয়ে পরে। এতে তেল ও চালের গুদামের মালামালসহ ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    খবর পেয়ে আমতলী, পটুয়াখালী ও কলাপাড়ার ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

    ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সান্টু বলেন, অগ্নিকান্ডে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমার তেলের গুদামের সব পুরে ছাই হয়ে গেছে। আমার প্রায় এক কোটি টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

    ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী রাজীব হোসেন বলেন, আমার সব পুরে নিস্ব হয়ে গেছি। আমার লক্ষ লক্ষ টাকার কিস্তি কিভাবে দিমু। আমার সংসার আমি কিভাবে চালামু।

    ক্ষতিগ্রস্থ চালের দোকানদার লিটন হোসেন বলেন, আমার সব পুঁজি দিয়ে আমি দোকান দিয়েছি। এখন কি খামু, কিভাবে চলমু?

    আমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছায়। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে কেন আগুন লেগেছে।

    আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

    উল্লেখ্য, এবছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান, ২৯ এপ্রিল দুপুরে নতুন বাজার বটতলায় ৫টি দোকান এবং ২৯ মে রাতে কুকুয়া বাজারে ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অগ্নিকাণ্ডে পুরে ছাই হয়ে যায়।

    মংচিন থান
    বরগুনা প্রতিনিধি।।