Blog

  • আম রপ্তানিতে গতি নেই – রপ্তানিযোগ্য উৎপাদন ৪০ হাজার টন  ২৫ দিনে গেছে ৭৮০ টন

    আম রপ্তানিতে গতি নেই – রপ্তানিযোগ্য উৎপাদন ৪০ হাজার টন ২৫ দিনে গেছে ৭৮০ টন

    মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহী থেকেঃ আম উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন বাড়লেও সে তুলনায় বাড়ছে না রপ্তানি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, রংপুর, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও সাতক্ষীরাসহ আরও কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন জাতের ৪০ হাজার টন রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু নানান জটিলতায় গন্তব্য দেশগুলোতে আম রপ্তানিতে বড় সাফল্য নেই।

    চলতি মৌসুমে চীনসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশে পাঁচ হাজার টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গত বছর বিভিন্ন দেশে এক হাজার ৩২১ টন আম রপ্তানি হয়েছিল। ২০২৩ সালে রপ্তানি হয় সাড়ে তিন হাজার টন আম। এবারে আম রপ্তানির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে চার হাজার টন। কিন্তু এ বছর মৌসুম শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত ৭৮০ টন আম রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে হতাশ রাজশাহী অঞ্চলের আমপ্রধান বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিক চাষিরা, যারা বাড়তি বিনিয়োগ করে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করেছেন। আম চাষিরা বলছেন, আম রপ্তানি প্রসার, প্রণোদনা ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সরকারি একটি প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পের কোনো সুফল রাজশাহী অঞ্চলের আম চাষিরা পাচ্ছেন না।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলায় দুই লাখ ২৫ হাজার ৩৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টন আম উৎপাদনের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে দেশে আম উৎপাদনের পরিমাণ ২৮ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। দেশে মোট উৎপাদনের মধ্যে রাজশাহী অঞ্চলের চার জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলায় অর্ধেকের বেশি প্রায় ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টন আম উৎপাদন হবে।

    আম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতাসহ নানা কারণে আম রপ্তানিতে গতি নেই। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে প্যাকিং হাউজ না থাকায় প্রথমে আম নিয়ে যেতে হয় ঢাকায়। এতে অন্তত ১০ শতাংশ আম নষ্ট হয়। এছাড়া আম পরিবহণের খরচ বাড়ে। এসব বাড়তি ঝামেলার কারণে চাষি ও আম ব্যবসায়ীরা রপ্তানিতে আগ্রহ পাচ্ছেন না। রাজশাহী অথবা চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্যাকিং হাউজ তৈরির দাবি চাষিদের অনেক দিনের। চলতি বছর রাজশাহী অঞ্চলের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন হয়েছে ছয় হাজার ৭২০ টন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ২০০ টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছয় হাজার টন, নওগাঁয় ৫০৫ টন ও নাটোরে উৎপাদন হয়েছে ১৫ টন আম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলমি মৌসুমে ২১ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৭৮০ টন আম রপ্তানি হয়েছে ১৪ দেশে। এর মধ্যে ২৮ মে ৩ টন আম চীনে রপ্তানির মধ্য দিয়ে চলতি বছর আম রপ্তানি শুরু হয়।

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাঙ্গো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, গুড এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্ট (গ্যাপ) প্রেটোকলে আম উৎপাদন করতে হয় রপ্তানি জন্য। এজন্য বাড়তি খরচ হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবার রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করেছেন ১০৭ জন বাণিজ্যিক চাষি।

    রাজশাহীর বিপন এগ্রোর মালিক হাফিজুর রহমান খান বলেন, আম রফতানির জন্য নিরাপদ স্থান, প্যাকিং, গ্রেডিং, কার্গো বিমান ইত্যাদি সমস্যার কারণেই আমরা আম রপ্তানিতে পিছিয়ে আছি।

    রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এগ্রো ফুড সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল হক বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করেন শতাধিক বাণিজ্যিক চাষি। কিন্তু সরকারের জটিল রপ্তানি নীতিমালা ও অবকাঠামোর অভাবে আম রপ্তানিতে গতি আসছে না।

    কৃষি বিভাগ ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আম রপ্তানি উৎসাহিত করতে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন নামের সরকারি একটি প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পের অধীনে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনে সহায়তা করা হয় চাষিদের। কৃষি বিভাগ ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলের আম রপ্তানির প্রধান সমস্যা হলো ফিটোস্যানিটারি সনদ জটিলতা। কোয়ারেন্টাইন জটিলতাও আছে। আম রপ্তানির জন্য ফিটোস্যানিটারি সনদ প্রয়োজন হয় যে প্রক্রিয়া বেশ জটিল। দেশে পর্যাপ্ত হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নেই। ইউরোপসহ অনেক দেশ আমদানির আগে হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট চায়, যা বাংলাদেশে শুধুমাত্র ঢাকাতেই রয়েছে। আম রপ্তানিতে বিমান ভাড়াও বেশি। নীতি সহায়তার অভাবও আম রপ্তানির প্রধান অন্তরায়।

    রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, চলতি বছর পাঁচ হাজার টন আম রপ্তানির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে আমরা আশা করছি এবার চার হাজার টন রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এখনো আরও দুই মাস সময় আছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • আশুলিয়ায় কা-ফনের কাপড় পড়ে চাঁদাবা-জি বন্ধে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

    আশুলিয়ায় কা-ফনের কাপড় পড়ে চাঁদাবা-জি বন্ধে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ী ও পরিবহণ শ্রমিকরা। এ সময় চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য টিপু সুলতানসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা।

    সোমবার (২৩ জুন ২০২৫ইং) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে সাধারণ ব্যবসায়ী ও পরিবহণ শ্রমিকের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আশুলিয়ার বাইপাইলে সাধারণ ব্যবসায়ী ও পরিবহণ শ্রমিকরা চাঁদাবাজ টিপু সুলতানের বাহিনীর আতঙ্কে থাকে। ঈদের আগ থেকে টিপুর সন্ত্রাসী বাহিনী বাইপাইলে চাঁদাবাজি করে আসছে। চাঁদা না দিলে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এসব ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ভুক্তভোগীরা বার বার অভিযোগ করলেও কোনো মামলা বা চাঁদাবাজি বন্ধের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

    আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডের শাহাজাদপুর ট্রাভেলস ও হক এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘হাতকাটা টিপু সুলতানের লোকজন প্রতিনিয়ত আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে টাকা দাবি করে। বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে ৫২ হাজার টাকা দিয়েছি। গত ৭ জুন তারা আমাকে না পেয়ে আমার ম্যানেজারকে ভয়ভীতি দেখায়। ক্যাশ থেকে দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি।’

    নূরুল ইসলাম দেওয়ানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকদলের আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের সভাপতি আবিদুর রহমান পাষান, আমির আলী ভুইয়াসহ ওই এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও পরিবহণ শ্রমিকরাসহ এলাকাবাসী।

  • পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসে অভি-যান চালিয়েছেন দুদক

    পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসে অভি-যান চালিয়েছেন দুদক

    হেলাল শেখঃ অনলাইনে সেবা গ্রহণে বিড়ম্বনার অভিযোগে পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের একটি দল।

    সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে দুদক সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধরের নেতৃত্বে দুদকের একটি অভিযানিক দল জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযান চালায়।

    একজন সেবা গ্রহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অনলাইনে নাম বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছু হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।

    সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে অনলাইনে নাম বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

  • আশুলিয়ায় অ-বৈধ ব্যাটারি কারখানারকে দুই লাখ টাকা জরি-মানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত

    আশুলিয়ায় অ-বৈধ ব্যাটারি কারখানারকে দুই লাখ টাকা জরি-মানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি রাঙ্গামাটি এলাকায় অবৈধভাবে পরিচালিত ব্যাটারি ও টায়ার তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    সোমবার (২৩ জুন ২০২৫ইং) দুপুরে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কারখানাটিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এবং লাইসেন্সবিহীন হওয়ার অভিযোগে কারখানার মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এ সময় অবৈধভাবে সংযুক্ত পল্লী বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবহৃত হচ্ছিলো।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস গণমাধ্যমকে বলেন, “অবৈধ ও লাইসেন্স ছাড়া এসব ব্যাটারি ও কেমিক্যালজাত পণ্যের উৎপাদন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ধরনের কারখানার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ”অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এ এলাকায় এমন একাধিক অবৈধ কারখানা ছিলো, এ ধরনের অভিযান এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে বলে তারা জানান।

  • ময়মনসিংহ সদরে আ-ইন শৃ-ঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহ সদরে আ-ইন শৃ-ঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২৩জুন) সকালে সদর উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আরিফুর ইসলাম প্রিন্স।
    সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, উপজেলার প্রতিটি বাজারে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, উপজেলার বাজারগুলোর রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করণ, উপজেলা সদরে যানজট দুরিকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।
    এছাড়া, মাদক, জুয়া,বাল্যবিবাহ সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ,
    কিশোরগ্যাং ও অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়েও আলোচনা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সভায় বিভিন্ন ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রসারমূলক কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। সকল দপ্তর এবং স্থানীয় জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়, যাতে ময়মনসিংহ নগরী তথা সদর উপজেলায় অপরাধ প্রবণতা কমে যায়। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাগণ এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগর আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল
    তার বক্তব্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে ময়মনসিংহবাসীর শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহবান জানান। সেই সাথে তিনি শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মাদকের বিস্তার এখন বৃদ্ধি পেয়েছে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু বাজারে এখন বেশ যানজট লক্ষ্য করা যাচ্ছে, রাস্তাঘাট দখল এবং যত্রতত্র পার্কিং এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন তিনি, এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
    এসময় বক্তব্য রাখেন সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফিরোজ হোসেন,
    সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহজাহান কবির,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ড.ফারজানা হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভাবখালি ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক
    আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক হাবিবুল্লাহ, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজ,উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা ডাঃ ফারজানা ইয়াসমিন,জেলা বিএনপির নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ,মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুল আহসান ইমরুল, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার জুলহাস উদ্দিন, সহকারী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রিনা খাতুন প্রমুখ।

  • ময়মনসিংহ সদরে “Cyber Security Best Practices for Office” শীর্ষক কর্মশালা  অনুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহ সদরে “Cyber Security Best Practices for Office” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহ সদরে “Cyber Security Best Practices for Office” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কার্যালয়ের আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

    সোমবার (২৩জুন-২৫) ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় উপজেলা আইসিটি অফিসার মোঃ হাবিবুল্লাহ -এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উনাব মো: আরিফুল ইসলাম প্রিন্স মহোদয়।

    উক্ত সেমিনারে সরকারি দপ্তরের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং সেবা অনুশীলন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা, সন্দেহজনক লিঙ্ক এড়িয়ে চলা, এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করা। এছাড়া, কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ডেটা সুরক্ষার নিয়মাবলী তৈরি করা, এবং সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনাগুলির জন্য একটি পরিকল্পনা থাকা উচিত বলে মনে করে বক্তারা। বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে

    ১. পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা:
    শক্তিশালী, অনন্য এবং নিয়মিত পরিবর্তন করা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
    পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করা যেতে পারে।
    ডিফল্ট পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা আবশ্যক।
    পাসওয়ার্ড সুরক্ষার জন্য মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
    ২. সফটওয়্যার এবং সিস্টেম আপডেট:
    অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার, এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলির সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করা উচিত।
    স্বয়ংক্রিয় আপডেট চালু করা যেতে পারে।
    পুরানো এবং অকার্যকর সফটওয়্যার সরিয়ে ফেলা উচিত।
    ৩. ইমেইল এবং ওয়েব ব্রাউজিং নিরাপত্তা:
    অজানা বা সন্দেহজনক উৎস থেকে আসা ইমেইল এবং লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
    ফিশিং স্ক্যাম এবং ম্যালওয়্যার থেকে সতর্ক থাকা উচিত।
    ওয়েবসাইটগুলির নিরাপত্তা শংসাপত্র (SSL/TLS) পরীক্ষা করা উচিত।
    ৪. ডেটা সুরক্ষা: গুরুত্বপূর্ণ ডেটা এনক্রিপ্ট করা উচিত, সংবেদনশীল ডেটা অ্যাক্সেস সীমিত করা উচিত, অপ্রয়োজনীয় ডেটা মুছে ফেলা উচিত, ডেটা ব্যাকআপ রাখা আবশ্যক.
    ৫. নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা: ফায়ারওয়াল এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কগুলি সুরক্ষিত করা উচিত, অতিরিক্ত অ্যাক্সেস সীমিত করা উচিত.
    ৬. কর্মচারী প্রশিক্ষণ: সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত, কর্মচারীদের নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়ানো উচিত, নিয়মিত নিরাপত্তা মহড়া করা উচিত.
    ৭. সাইবার নিরাপত্তা পরিকল্পনা: একটি সাইবার নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত, ঘটনা প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা থাকা উচিত, নিয়মিত নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা উচিত.

    দিনব্যাপী কর্মশালায় উপজেলা প্রশাসনের ২০টি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

  • ময়মনসিংহ সদরে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাই উপলক্ষে  মতবিনিময় সভা

    ময়মনসিংহ সদরে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাই উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জুলাই /২০২৫ হতে ৩০ জুন/২০২৭ চক্রের (ভিডব্লিউবি) উপকারভোগী নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরণে বাছাই ও নিশ্চিত করণে মতবিনিময় ও অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়।

    উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুনের পরিচালনায় অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। সভায় উপযুক্ত ও প্রকৃত হতদরিদ্র উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে লটারি হওয়ার পরও ৩দিন সময় নির্ধারণ করা হবে এর মাঝে লটারিতে প্রাপ্ত উপকারভোগীদের মাঝে কেউ যদি এর আওতায় না পড়ে তাহলে তাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রকৃত হত হতদরিদ্র বাছাই করে প্রকৃত ও উপযুক্ত আবেদনকারীদের মাঝে স্বচ্ছতার সহিত বিডব্লিউবি উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে।

    অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফিরোজ হোসেন,সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহজাহান কবির,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ড.ফারজানা হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভাবখালি ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক হাবিবুল্লাহ, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজ,উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা ডাঃ ফারজানা ইয়াসমিন,জেলা বিএনপির নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ,মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুল আহসান ইমরুল, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার জুলহাস উদ্দিন, সহকারী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রিনা খাতুন প্রমুখ।

    ২০২৫-২০২৬ চক্রে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৪শত ৬ জন হতদরিদ্র নারীকে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। উক্ত সভায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রতিহিং-সায় গাছ কা-টতে নারাজ প্রতিবেশী,মৃ-ত্যু ঝুঁ-কিতে সাংবাদিক পরিবারের বসবাস

    প্রতিহিং-সায় গাছ কা-টতে নারাজ প্রতিবেশী,মৃ-ত্যু ঝুঁ-কিতে সাংবাদিক পরিবারের বসবাস

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অতি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বিশাল গাছের নিচে চরম আতঙ্কে বসবাস করছেন সাংবাদিক জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ ও তার পরিবার। প্রতিটি দিন যেন মৃত্যুকে বুকে নিয়েই পার করতে হচ্ছে তাদের।

    শুধু সাংবাদিক পরিবারই নয়,তাদের বাসার সামনে থাকা ভাড়াটিয়া দোকানদাররাও দিনরাত আতঙ্কে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। হঠাৎ কোনো ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলেই আতঙ্কের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কারণ,যে কোনো মুহূর্তে এসব গাছ ভেঙে পড়তে পারে,আর তাতে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা।

    গাছগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে বহুবার জানানো হয়েছে। শুধু মুখেই নয়,প্রশাসনের কাছেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বারবার। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আজও মিলছে না কোনো প্রতিকার। সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে যে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে,তা বুঝতে পারছেন সবাই কিন্তু নড়ছে না কর্তৃপক্ষ।
    জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন সাংবাদিক পলাশ ও আশপাশের ভুক্তভোগীরা।

    ভুক্তভোগী সাংবাদিক পলাশ,যমুনা টেলিভিশন ও বাংলা ট্রিবিউনের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি। তিনি জানান,বিট্রিশ আমল থেকে সাদুল্লাপুর ভূমি অফিস সড়কের চারমাথা মোড়ের পাশে তাদের বাবা-দাদার পরিবারের মালিকানাধীন ৮ শতাংশ জমিতে বাসাবাড়ি ও গুদাম-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই বাড়ির সীমানা ঘেঁষে প্রতিবেশী জাকিউল হক মানিকের জমিতে থাকা অতি পুরনো বিশালাকৃতির ৫-৬টি মেহগনির গাছ বহু বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গাছগুলোর শিকড় দূর্বল হয়ে গিয়ে অধিকাংশ ডালপালা তাদের সীমানায় হেলে পড়েছে এবং যে কোনো সময় ভেঙে প্রাণঘাতি ও সম্পদের ক্ষতি ঘটাতে পারে। বিশেষ করে সামান্য বাতাস ও বৃষ্টিতে গাছগুলো দুলতে থাকে তখন শিশুরা পর্যন্ত ঘরে থাকতে ভয় পায়।
    সাংবাদিক পলাশ অভিযোগ করেন, প্রতিবেশি গাছের মালিক মানিক পূর্ব থেকেই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছেন। সেকারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিনি গাছগুলো না কেটে আমার পরিবারের মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি করে রেখেছেন।
    পলাশ আরও জানান,ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণের জন্য স্থানীয়ভাবে বহু চেষ্টা শেষে গত ১৯শে মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করি। দীর্ঘ একমাস পর গত ১৮ জুন,ইউএনও আমার জ্ঞাতার্থে দায়সারা প্রতিবেদন দেন। যেখানে তিনি বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেউ সরেজমিনে তদন্তে যাননি। তবে উপজেলা বন বিভাগ এবং বনগ্রাম ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিন পরির্দশনে গাছের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিত করলেও প্রতিবেদনে দূর্ঘটনার আশঙ্কা কিংবা পরিবারের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কোন কিছুই উল্লেখ করেনি।
    অভিযোগকারীর দাবি,ইউএনও’র প্রতিবেদনে শুধু বলা হয়েছে,উক্ত জমিতে সরকারি কোন স্বত্ব ও স্বার্থ নেই এবং ‘আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান’ থাকায় তার কিছুই করার নেই। প্রদত্ত প্রতিবেদনে ইউএনও’র মন্তব্য প্রশাসনিক দায়িত্ব এড়িয়ে চলার শামিল এবং আইনগতভাবে অসম্পূর্ণ। উক্ত জমির বিরোধে আদালতে দুটি মামলা থাকলেও বাস্তবতা হলো গাছ কাটার বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই।

    ভুক্তভোগী সাংবাদিক পলাশ বলেন, জমির সীমানা অনুযায়ী বিবাদী গাছের মালিক বটে। বিরোধপূর্ণ কোন জমিতে গাছ কাটা বা অপসারণের বিষয় মামলার পরিধিতে পড়েনা,বিশেষ করে যখন তা প্রাণহানীর ঝুঁকি সৃষ্টি করে। সে কারণে গাছ ভেঙে দুর্ঘটনার দায় মালিকের। যেহেতু গাছগুলো বাস্তবতায় বিপদজনক,ইউএনও গাছগুলো অপসারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ব্যবস্থা নিতে পারতেন। অথচ আইনগত ক্ষমতা থেকেও চরম অবহেলা ও দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন তিনি। ফলে প্রতিকারের আশায় আইনগত দিক উল্লেখ করে গত রবিবার (২২শে জুন) আবারও ইউএনও বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি।

    তবে তদন্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম। তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ‘ভুক্তভোগীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশানার (ভূমি) প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদনে জানান যে,উক্ত জমিতে কর ব্যতীত অন্য কোন সরকারি স্বত্ব ও স্বার্থ নেই এবং বর্ণিত জমি নিয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান থাকায় উল্লেখিত আবেদনের বিষয়ে কোন করণীয় নেই।’

    এদিকে,ঝূ্ঁকিপূর্ণ গাছের বিষয়টি শুধু সাংবাদিক পলাশের ব্যক্তিগত নয়,এটি জননিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঝুঁকিপূর্ণ গাছসমূহের কারণে ভাড়াটিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারী এবং সাধারণ জনগণের জন্য প্রাণঘাতী হুমকি হয়ে রয়েছে।
    এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দোকান মালিক মিলন মন্ডল ও মিঠুন সরকার বলেন,’ঝুঁকিপূর্ণ সবচেয়ে বড় মেহগনির গাছ দীর্ঘদিন ধরে দোকান ঘরের টিনের চালার সঙ্গে হেলে রয়েছে। বৃষ্টি বা সামান্য ঝড় হলেই গাছগুলো দুলতে থাকে। আমরা সারাক্ষণ ভয়ে থাকি,কখন কী ঘটে। তারপরেও চরম ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে।’

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ঝূঁকিপূর্ণ এসব গাছের বিষয়টি জানা আছে এলাকাবাসীর। তাদের দাবি,প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং প্রভাবশালী গাছ মালিকের প্রতিহিংসার কারণে পুরো এলাকা মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে আছে।

    স্থানীয়রা দ্রুতই ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে অপসারণ এবং স্থানীয় জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তবে গাছ মালিক জাকিউল হক মানিক জমি নিয়ে মামলা থাকার অজুহাতে গাছ কাটতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন,প্রতিহিংসা নয়, জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলায় গাছ কাটা সম্ভব হচ্ছেনা।।

  • শাহ প্লাজা মার্কেটের ২য় তলায় সাংবাদিক শহিদের ওপর হাম-লাকারীসহ গ্রেফ-তার ৩

    শাহ প্লাজা মার্কেটের ২য় তলায় সাংবাদিক শহিদের ওপর হাম-লাকারীসহ গ্রেফ-তার ৩

    শহিদুল ইসলাম,

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ বন্দরটিলা শাহ প্লাজায় জাতীয় দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার সাংবাদিক শহীদুল ইসলামের সন্তানকে বেধড়ক মারধর করেছে গত ২২ জুন ২০২৬ ইং রাত ৯.৩০ টার সময় ঐ ভবনের ইনচার্জ ফোরকান, মনিরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম। কেন এবং কোন অপরাধে নিজ সন্তানকে এভাবে প্রহার করা হয়েছে তা জানতে চাইলে সাংবাদিক শহীদুল কে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এই বিষয়ে তাকে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তৎপরবর্তী জাতীয় দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শহীদুল ইসলাম নিজ পরিচয় দেন এবং এভাবে কেন কথা বলছে জিজ্ঞেস করলে শাহ প্লাজার ইনচার্জ ফোরকান, মনিরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম দাম্ভিকতা কে প্রাধান্য দিয়ে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও আক্রমণ করে বসে। পিতা পুত্রের আর্তনাদে আশেপাশের কেউ আসার আগেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটিয়ে দেয় অপরাধী ৩ কর্মচারী ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে। সাংবাদিক পুত্রকে লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয় যেখানে পরে চিকিৎসার প্রয়োজনে ৪ টি সেলাই করতে হয়। সাংবাদিক শহীদুল কে চোখে আঘাত করে উপর্যপরি এবং বলতে থাকে জন্মের মত সাংবাদিকতা ছুটিয়ে দিব। এভাবে তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে চমেক হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে গেলে অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় চিকিৎসক তাকে ভর্তি করে নেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং চট্টগ্রাম সিইপিজেড থানায় মামলা নং ১২/২০২৬ দায়ের করা হয়। আহত শহীদুল বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলা দায়ের পরবর্তী সিইপিজেড থানার ওসি মোঃ জামির হোসেন জিয়া দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার এর নির্দেশ দেন এবং অপরাধী যেই হোক না কেন অপরাধ করলে কোন ছাড় দেয়া হবে না এমনটাই মন্তব্য করেন। ওসি’র নির্দেশ পাওয়ার পর ১। মোঃ ফোরকান (৩৮), পিতা- মৃত সিদ্দিক আলম, মাতা- মোছাঃ জহুরা বেগম, সাং- জুইদল্লী, পোঃ-বুরুমছড়া,থানা-আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- শাহ প্লাজা মার্কেট, ৫ম তলা, রুম নং- ৫২৩, বন্দরটিলা থানা-ইপিজেড,
    ২। মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৮), পিতা- আব্দুস সালাম, মাতা- নুর বানু, সাং- চর ফয়েজউদ্দিন, ডাকঘর হাজিরহাট, থানা-মনপুরা, জেলা-ভোলা, বর্তমানে শাহ প্লাজা, ৫ম তলা, রুম নং- ৫৭১.
    ৩। মোঃ নুরুল ইসলাম (৫৪), পিতা- মৃত সৈয়দ আলী, মাতা- মোছাঃ জরিফা খাতুন, সাং- বড় তোফা, পোঃ-চুরিয়া৩। মোঃ নুরুল ইসলাম (৫৪), পিতা- মৃত সৈয়দ আলী, মাতা- মোছাঃ জরিফা খাতুন, সাং- বড় তোফা, পোঃ-চুরিয়া বিষ্ণুপুর, থানা-লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে শাহ প্লাজা, ৪র্থ তলা, রুম ফ্যামিলী-০৫, বন্দরটিলা, থানা-ইপিজেড, বিষ্ণুপুর, থানা-লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে শাহ প্লাজা, ৪র্থ তলা, রুম ফ্যামিলী-০৫, বন্দরটিলা, থানা-ইপিজেড দের কে এস আই মামুন সংগীয় অফিসার ফোর্স সহ বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়ার জন্য মাননীয় আদালতে প্রেরণ করা হয়।
    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিদের মামলার এজাহার বিবেচনায় ২ ও ৩ নং আসামি কে মাননীয় আদালত জামিন মঞ্জুর করেন এবং ১ নং আসামি কে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি সাংবাদিক সহ স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, ঘটনার প্রকৃত সত্য লিপিবদ্ধের ক্ষেত্রে মামলা দায়ের এর সময় যেন সাধারণ নাগরিক হয়রানির শিকার না হয়। কোন‌ অপরাধীদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধ এজাহারের দূর্বলতায় আইনের ফাঁক দিয়ে সংঘটিত অপরাধ চক্রের হোতারা যেন সহজেই বেরিয়ে যেতে না পারে। এমনটা হলে নাগরিক সমাজের নিরাপত্তা ও জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি সংস্কারের অগোচরেই থেকে যাবে।
    স্থানীয় লোকজন যথোপযুক্ত বিচার এর মাধ্যমে সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এসব অপরাধীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত এর জোড় দাবি জানান।

  • এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্ব-ল হিসেবে দেখতে চাই না – সারজিস

    এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্ব-ল হিসেবে দেখতে চাই না – সারজিস

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচনের পূর্বে মৌলিক সংস্কারে ব্যাপারে আমাদের কোন ছাড় থাকবে না। খুনিদের বিচারের বিষয়েও আমাদের কোন আপোষ থাকবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র জুলাই মাসে দেয়ার ক্ষেত্রে কোন আপোষ থাকবে না।  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা দুর্বল সরকার হিসেবে দেখতে চাই না।  তারা যদি নিজেদের দুর্বল হিসেবে প্রকাশ করে তবে তা হবে অভ্যুত্থানের রক্তের সাথে সবচেয়ে বড়  প্রতারণা। 

    সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে জাতীয় যুব শক্তি পঞ্চগড় জেলা যুবশক্তির আয়োজনে জেলা সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

    সারজিস বলেন, প্রথম সারির ৭ টি দলের মধ্যে ৬ টি দল যখন একটি সংস্কারের প্রশ্নে একমত হয় তখন  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা ঐক্যমত কমিশনের কাছে যদি একটি দল বড় হয়ে যায় তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। আমরা প্রত্যাশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দায়বদ্ধতা ভুলে যাবে না। আমরা প্রত্যাশা করি একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের পূর্বে এই বাংলাদেশে জুলাই সনদ দেখতে পাবো। জুলাই ঘোষণাপত্র পাবো। মৌলিক ও নির্বাচনকালীন সংস্কার পাবো এবং দৃশ্যমান বিচার দেখতে পাবো। 

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক এড. তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক নেছার উদ্দীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ওয়াসিস আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

    এসময় জেলা ও উপজেলার এনসিপি এবং যুবশক্তির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।