Blog

  • নড়াইলে ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস: গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের

    নড়াইলে ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস: গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ: গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের।
    টিনশেড বাড়ির চারদিক নিস্তব্ধ। বেশ কয়েকবার ‘কেউ আছেন, কেউ আছেন’ বলে উচ্চস্বরে ডাকলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এগিয়ে আসেননি কেউ। কিছুক্ষণ পর একজন বর্ষীয়ান নারী এলেন। আমাদের পরিচয় জানার পর বাড়ির উঠানে বসতে দেন।
    এটিই নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বাড়ি। ৩০ বছর ধরে তিনি ওই কলেজে দর্শন বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়কুলা গ্রামে তার বাড়িতে পুলিশ পাহারা।
    ১৮ জুনের ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে ফেরেননি অধ্যক্ষ। তার স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
    অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী সোনালী দাস বলেন, আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি ওই কলেজে থাকুক তা অনেকে চান না। ঘটনার সময় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের জানিয়েছিলেন, আইসিকে (মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ) জানিয়েছিলেন এবং কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয় অনেকের সহযোগিতা চেয়েছিলেন আমার স্বামী। এরপরও সবার উপস্থিতিতে এত বড় ঘটনা ঘটল। তাকে আপমান-অপদস্থ করা হলো।
    তিনি বলেন, তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না। ঘটনার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই, করাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তার কাছে কোনো মুঠোফোন নেই। অন্যের ফোন দিয়ে কয়েকবার সামান্য কথা হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও ভয়ে আছি। আমার স্বামী এ ঘটনার সঙ্গে আদৌ জড়িত নয়। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
    মেয়ে শ্যামা রাণী বিশ্বাস বলেন, আমাদের কোনো নিরাপত্তাই নেই বললেই চলে। আমরা খুবই ভয়ে আছি। বাবা এখন কোথায় আছেন, আমরা সঠিক জানি না। আমাদের তিন বোনেরই পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মেজো বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে প্রাইভেট পড়তে যেতে পারছে না। ছোটরাও পড়াশোনার সমস্যা হচ্ছে। বাবার সঙ্গে যে অন্যয় হয়েছে, এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অন্যায় না করেও তিনি অপমান-অপদস্থ হয়েছেন। এখন নিরাপত্তার অভাবে আমরা ঘরের বাইরে যেতে পারছি না।
    এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের একটি আবেগ ঘন পোস্ট ভেসে বেড়াচ্ছে। এতে তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি এই কলেজে শিক্ষকতা করি। ছাত্ররা আমার প্রাণ, স্থানীয়রাও আমাকে ভালোবাসত। তবু আমার সঙ্গে যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে আমি কলেজে যাব। ওই পোস্টে চূড়ান্ত হেনস্তার বর্ণনা দিয়ে স্বপন কুমার বলেন, পুলিশ আমাকে কলেজ কক্ষ থেকে বের করে আনে। তখন দুই পাশে শত শত পুলিশ ছিল।
    এর মধ্যেই স্থানীয়রা আমাকে পুলিশের সামনেই জুতার মালা পরিয়ে দিল। আমাকে পুলিশ ভ্যানের কাছে নেওয়ার সময় পেছন থেকে অনেকে আঘাত করেন। আমি মাটিতে পড়ে যাওয়ায় পায়ের কিছু জায়গায় কেটে যায়। তখন অনুভব করি পেছন থেকে কেউ আমার মাথায় আঘাত করছে। সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে মাসখানেক আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা করেছিল কলেজের প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। এরপর থেকেই চক্রটির তোপের মুখে আছেন তিনি।নড়াইলে গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে কলেজে যাব-ফেসবুকে অধ্যক্ষ আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার: স্ত্রী। বাবার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি: মেয়ে। ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ।

  • নড়াইলে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের তিন কন্যা

    নড়াইলে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের তিন কন্যা

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
    নড়াইলে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের তিন কন্যা। নড়াইলে নিরাপত্তার অভাবে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষের তিন কন্যা। টিনশেড বাড়ি, চারদিক নীরব, নিস্তব্ধ। বেশ কয়েকবার ‘কেউ আছেন, কেউ আছেন’ বলে উচ্চস্বরে ডাকলেও বারবার বাড়ির ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। কেউ এগিয়ে আসেনি।
    কিছুক্ষণ পর একজন বৃদ্ধা মহিলা কাছে এসে পরিচয় জানার পর বাড়ির ওঠানে বসতে দেন। এ বাড়িটিই হচ্ছে স্বপন কুমার বিশ্বাসের। যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
    যদিও সরেজমিন সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়কুলা গ্রামে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের এ বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পুলিশ পাহারা বসেছে। তবে ১৮ জুনের ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে ফেরেননি ওই অধ্যক্ষ। তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
    নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই কলেজে দর্শন বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ১৭ জুন তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
    ওই দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ওরফে বাপ্পী রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন- ‘প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম’। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কলেজের কিছু ছাত্র তাকে সেটি মুছে (ডিলিট) ফেলতে বলেন।
    এরপর ১৮ জুন সকালে অভিযুক্ত ছাত্র কলেজে আসলে তার সহপাঠীসহ সব মুসলিম ছাত্র তার গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের দাবি তুলে অধ্যক্ষের নিকট বিচার দেয়। কিন্তু ওই সময় ‘অধ্যক্ষ একই সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় তাকে রক্ষা করার চেষ্টায় ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসেরও গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছিল।
    অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী সোনালী দাস বলেন, ‘আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার, তিনি ওই কলেজে থাকুক তা অনেকে চায় না। ঘটনার সময় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের জানিয়েছিলেন, আইসিকে (মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ) জানিয়েছিলেন এবং কলেজের অন্যান্য শিক্ষকসহ স্থানীয় অনেকের সবার সহযোগিতা চেয়েছিলেন আমার স্বামী (অধ্যক্ষ স্বপন কুমার)। এরপরও সবার উপস্থিতিতেই এত বড় ঘটনা ঘটল, তাকে অপমান অপদস্থ করা হলো।
    তিনি আরও বলেন, তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না। ঘটনার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি, তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই, করাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন নেই। অন্যের ফোন দিয়ে কয়েকবার সামান্য কথা হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও ভয়ে আছি। আমার স্বামী এ ঘটনার সঙ্গে আদৌ জড়িত নয়। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
    একই প্রসঙ্গে স্বপন কুমার বিশ্বাসের মেয়ে শ্যামা রাণী বিশ্বাস বলেন, আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। বর্তমানে আমরা খুবই ভয়ে আছি। আমার বাবা এখন কোথায় আছে আমরা সঠিক জানি না। আমাদের তিন বোনেরই পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। আমার মেজো (অধ্যক্ষের ২য় কন্যা) বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে প্রাইভেট পড়তে যেতে পারছে না। একই সঙ্গে ছোট বোনেরও পড়াশোনার সমস্যা হচ্ছে। আমার বাবার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অন্যায় না করেও তিনি অপমান অপদস্থ হয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তার অভাবে আমরা ঘরের বাইরে যেতে পারছি না।
    এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের একটি আবেগঘন পোস্ট ভেসে বেড়াচ্ছে। এতে তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন- ‘৩০ বছর ধরে আমি এই কলেজে শিক্ষকতা করি। ছাত্ররা আমার প্রাণ, স্থানীয়রাও আমাকে ভালোবাসত। তবু আমার সঙ্গে যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে আমি কলেজে যাব।
    ওই পোস্টে চূড়ান্ত হেনস্তার বর্ণনা দিয়ে স্বপন কুমার আরও বলেন- ‘পুলিশ আমাকে কলেজ কক্ষ থেকে বের করে আনে। তখন দুই পাশে শত শত পুলিশ ছিল। এর মধ্যেই স্থানীয়রা আমাকে পুলিশের সামনেই জুতার মালা পরিয়ে দিল। আমাকে পুলিশ ভ্যানের কাছে নেওয়ার সময় পেছন থেকে অনেকেই আঘাত করেছে। আমি মাটিতে পড়ে যাওয়ায় পায়ের কিছু জায়গায় কেটে যায়। তখন অনুভব করি পেছন থেকে কেউ আমার মাথায় আঘাত করছে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে মাসখানেক আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা চালায় ওই কলেজের প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। এরপর থেকেই চক্রটির তোপের মুখে আছেন তিনি।

  • পঞ্চগড়ে মহানন্দায় ধরা পড়লো ৩২ কেজির বাঘাইড়

    পঞ্চগড়ে মহানন্দায় ধরা পড়লো ৩২ কেজির বাঘাইড়

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মহানন্দা নদীতে একদল যুবকের জালে ৩২ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
    মঙ্গলবার (০৫ জুলাই ) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ সীমান্ত এলাকার এই নদী থেকে মাছটি ধরা হয়।
    জানা গেছে, দুপুরে দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের ১১ জন যুবক মহানন্দা নদীতে বড় জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার একপর্যায়ে তারা একটি বড় মাছের টের পান। মাছের অবস্থান বুঝে ওই যুবকেরা জালে ফেলেন। একসময় তাদের জাল একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ে।
    স্থানীয়দের ধারণা, সীমান্তবর্তী উপজেলার মহানন্দা নদীটি ভারত থেকে প্রবাহিত হওয়ায় বিরাট এই বাঘাইড় মাছটি ভারত থেকে আসতে পারে।
    এদিকে, মাছটি বাড়িতে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা মাছটি দেখার জন্য ভিড় জমাতে থাকে। অনেকে ওই মাছের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছেন। তবে মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজারে তোলা হবে এবং প্রতিকেজি দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হবে বলে জানান ওই যুবকরা।
    ওই দলের যুবক সোহাগ, রাসেল, আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রতিবছরই মহানন্দা নদীতে বাঘাইড় মাছ ধরা পড়লেও তাদের জালে এবারই প্রথম। বড় মাছ ধরার আনন্দটাই আলাদা।

  • নড়াইলে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা দুশ্চিন্তায়

    নড়াইলে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা দুশ্চিন্তায়

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছর বাণিজ্যিকভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদি পশু মোটাতাজা করেন জেলার খামারি ও কৃষক। এসব গবাদি পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়।
    গত বছর কুরবানির ঈদে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ১২ হাজার গরু ও ছাগল বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করেছে কৃষক। এ বছর কুরবানি ঈদে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩৮ হাজার পশুর জোগান দেবেন স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা। গত বছর ভারত থেকে নড়াইলে কুরবানির হাটে পশু কম আমদানি করায় দেশি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। খামারিরা লাভও করেছিলেন বেশি।
    এ বছরও কুরবানিকে সামনে রেখে লাভের আশায় জেলায় কুরবানির চাহিদার তুলনায় ৩৮ হাজার দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করেছেন খামারিরা। হঠাৎ দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার প্রায় ৫ হাজার খামারি ও কৃষক। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্ব থেকে নড়াইলের গরুর খামারিরা কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে।
    এ বছর জেলার ৪৭৯২ জন খামারি ৬৪৭৪৮ গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করেছেন। যার মধ্যে ১৮৪৬৭টি দেশি গরু, ৪৬০৯৬টি ছাগল এবং ১৮৫টি ভেড়া রয়েছে। গত বছরের তুলনায় ২৯৮৯০টি পশু বেশি মোটাতাজা করা হয়েছে। এ বছর তিনটি উপজেলার মধ্যে লোহাগড়া উপজেলায় বেশি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে।
    নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা যায়, এ ঈদে জেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে সব মিলিয়ে (গরু, ছাগল ও ভেড়া) ২৭২৮২টি। জেলার খামারিরা যে পরিমাণ পশু মোটাতাজা করেছেন, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩৭৪৬৬টি পশু বিভিন্ন জেলায় জোগান দিতে পারবেন।
    স্থানীয় খামারিরা জানান, গত বছর ভারতীয় গরুর উপস্থিতি স্থানীয় বাজারে কম থাকায় দেশি গরু-ছাগলের চাহিদা ছিল বেশি। খামারি ও কৃষকরা লাভও করেছিলেন বেশি। অনেক খামারি গতবারের তুলনায় এ বছর আরও বেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করেছেন। নতুন নতুন খামার গড়ে উঠছে।
    খামারি ছাড়াও জেলার সাধারণ কৃষকরা বাড়তি আয়ের জন্য বাড়িতে গরু-ছাগল মোটাতাজা করছে। শেষ সময়ে ঈদ মৌসুমে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলার খামারি ও কৃষক।
    কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের খামারি ইমরান শেখ জানান, গত বছর তার খামারে ৭টি গরু ছিল। ঈদের সময় বিক্রি করে ভালো লাভও হয়েছিল। এ বছর তিনি ১০টি গরু মোটাতাজা করেছেন। বন্যার কারণে কুরবানির চাহিদা কমে যাওয়ায় পশুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
    খামারি ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলায় মোট যে পশু মোটাতাজা করা হয়, এর ৬০ ভাগ মোটাতাজা করছেন খামারিরা। বাকি ৪০ ভাগ করছেন জেলার সাধারণ কৃষকরা। গরু ব্যবসায়ী আমিনুর বলেন, প্রতিবছর ঈদের সময় নড়াইলের বিভিন্ন হাট থেকে গরু কিনে সিলেট ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতাম। এ বছর সিলেট থেকে কোনো ব্যবসায়ীই যোগাযোগ করেনি। সিলেটের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ফোন দিলে এ বছর গরু নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
    নড়াইলের তিনটি উপজেলায় মোট ১১টি হাটে গরু বেচাকেনা হয়। ঈদকে সামনে রেখে আরও কয়েক জায়গায় অস্থায়ী গরুর হাট বসে। স্থানীয় গরুর মালিকরা এসব হাটে গরু বিক্রি করেন। ১১টি হাটের মধ্যে ৪টি বড় হাট হলো মাইজপাড়া, লোহাগড়া, শিয়েরবর ও পহরডাঙ্গা গরুর হাট। বর্তমানে এ পেশায় জড়িত রয়েছেন জেলার প্রায় ৪২ হাজার মানুষ। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মারুফ হাসান জানান, ১০-১২ বছর আগে নড়াইলের চাষিরা অল্প পরিসরে গরু মোটাতাজা করতেন।
    বর্তমানে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পশু মোটাতাজা করেন চাষিরা। চলতি ঈদ মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩৮ হাজার গরু, ছাগল জোগান দেবেন নড়াইলের স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা।

  • দিনাজপুর সদর উপজেলায় গোশাইপুর গ্রামে  ব্র্যাক সেলপ কর্মসুচির পল্লীসমাজ পুর্নগঠন।

    দিনাজপুর সদর উপজেলায় গোশাইপুর গ্রামে ব্র্যাক সেলপ কর্মসুচির পল্লীসমাজ পুর্নগঠন।

    অদ্য রোজ মঙ্গলবার বিকাল ২.০০ ঘটিকার সময় দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর গোশাইপুর গ্রামে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসুচির আয়োজনে নারী, পুরুষ, কিশোর- কিশোরীদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সহিংসতামুক্ত পরিবার গঠন এবং সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা হ্রাস করনের লক্ষ্যে নারী, পুরুষ, কিশোর- কিশোরী দল নিয়ে সর্বমোট ৬০ জন সদস্য নিয়ে উত্তর গোশাইপুর ০৪ নং পল্লীসমাজ পুর্নগঠন করা হয়। পল্লীসমাজ পুর্নগঠন এর উদ্দেশ্য হলো নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নারী- পুরুষ এবং কিশোর-কিশোরীদের সংগঠিত করা। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। সকলের মতামতের ভিত্তিতে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। সকল সদস্য স্বতঃর্স্ফুত ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এবং তারা তাদের নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আগামীতে পালন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। পল্লীসমাজ পুর্নগঠনে সেলপ অফিসার মোঃ মোতাসিম বিল্লাহ এর সহযোগিতায় ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসুচির ডেপুটি ম্যানেজার (লিগ্যাল এইড এন্ড ভাউসি) মোঃ সেলিম রেজা সহ নানা পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।

  • ব্যক্তি বনাম নেত্রী” শব্দের বিতর্ক নিয়ে মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বুলুর সংবাদ সম্মেলন

    ব্যক্তি বনাম নেত্রী” শব্দের বিতর্ক নিয়ে মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বুলুর সংবাদ সম্মেলন

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বুলু “ব্যক্তি বনাম নেত্রী” শব্দ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
    জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বুলু লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৯ জুন তারিখে আমি আমার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছি যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি অথচ ব্যক্তি শব্দটিকে একটি কুচক্রীমহল নেত্রী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মিথ্যা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই ওই দিনের বক্তব্যে আমি কখনো নেত্রী শব্দটি উচ্চারণ করিনি। আমার বক্তব্যের ভিডিওটিকে একটি দুষ্টচক্র সুপার এডিটিং করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিয়ে আমার মান সম্মান ও রাজনৈতিক অবস্থান ক্ষুন্ন করার পায়তারা করছে। আমি এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজবের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। এই ধরনের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। পৌরবাসী আমার সাথেই আছে তারা আবারো আমাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবেন ইনশাল্লাহ।

  • সুবর্ণচরে বৃদ্ধকে পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন;আসামিদের গ্রেফতার ও  ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

    সুবর্ণচরে বৃদ্ধকে পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন;আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

    নোয়াখালী প্রতিনিধি।।
    নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীর পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন কারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের থানার হাট বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানবন্ধন থেকে এলাকাবাসী এমন পাশবিক নির্যাতনকারী স্থানীয় চরওয়াপদা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ভূইঁয়া, ইউপি সদস্য তানভীর হোসেন, তার ভাই দিদার, মুল হোতা শাহনেওয়াজ (গ্যাস লাইট শাহানাজ) , আব্দুল গণি, আব্দুল , খোকন , স্থানীয় যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতি দুলাল উদ্দিন কিরনসহ জড়িতদের আইনের আওতায় এনে পাঁশি দাবি করেন।

    এসময় ভুক্তভোগী নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীর ছেলে ইউপি সদস্য শেখ রিপন চৌধুরী জানান, তারা বাবা একটি মাদ্রাসা ও মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সন্ত্রাসীরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিয়ে নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারী থানায় মামলা করায় আসামিরা গত শুক্রবার রাতে বাড়ী ফেরার পথে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে চোখ বেঁধে পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হসপিটালে নিয়ে গেলে শনিবার অস্রপাচার করে টর্চ লাইটটি বের করে।

    চরজব্বর থানা পুলিশ জানিয়েছে এঘটনায় মুল আসামি শাহনেওয়াজকে ঘটনার পরদিন (শনিবার) আটক করেছে। এছাড়াও গতকাল আব্দুল গণি নামের আরেক আসামিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।

  • ৯ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার এক

    ৯ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার এক

    মো.হাসমত উল্ল্যাহ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।

    লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন রামদেব এলাকা হইতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও প্রাইভেটকার সহ এক জনকে গ্রেফতার করেন।

    লালমনিরহাট ডিবি অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ আমিরুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ মুসা মিয়া, এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ ইব্রাহীম খলিল, এএসআই /মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, এএসআই/মোঃ আমিনুল ইসলাম, ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ লালমনিরহাটের আদিতমারী থানাধীন রামদেব মৌজাস্থ আদর্শ হাজী জামে মসজিদ এর ১০ গজ দক্ষিণে লালমনিরহাট হইতে পাটগ্রাম গামী পাকা রাস্তার উপর হইতে শ্রী অশ্বনী চন্দ্র (২৭),এর চালিত সাদা রংয়ের TOYOTA প্রাইভেট কার এর ভিতর হইতে ০২ পোটলা মাদকদ্রব্য গাঁজা যাহার প্রতিটি পোটলা ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম করিয়া দুই পোটলায় মোট ৯( নয়) কেজি ২০০ ( দুইশত) গ্রাম মাদকদ্রব্য গাঁজা ও মাদকদ্রব্য গাঁজা বহনকারী প্রাইভেট কারসহ আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা হয়।

    লালমনিরহাট ডিবি অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ আমিরুল ইসলাম, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদিতমারী থানাধীন রামদেব মৌজাস্থ আদর্শ হাজী জামে মসজিদের ১০গজ দক্ষিণ পাশে হইতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯কেজি গাঁজা ও মাদকদ্রব্য গাঁজা বহনকারী প্রাইভেট কারসহ এক জনকে গ্রেফতার করেন ডিবি পুলিশ।

    হাসমত উল্ল্যাহ।।

  • পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ

    পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ

    পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
    পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুত থাকছেনা। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলায় তীব্র লোডসেডিং চলছে। বিদ্যুতের অভাবে জনজীবনে চলছে অচল অবস্থা। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ পুঠিয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলায় বর্তমানে দৈনিক ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলে সেখানে তারা ৮ মেডাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। কোন কোন সময় এর চেয়ে কম বিদ্যুৎ তারা পাচ্ছেন। বর্তমানের উপজেলায় বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসছে তার ঠিক নেই। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে পুঠিয়ায় বিদ্যুৎ যায় না আসে। এছাড়াও প্রচন্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডসেডিং করতে হয় বলে অফিস সূত্রে জানাগেছে। লোডসেডিংয়ের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ থাকায় উপজেলাবাসী গরমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। বর্তমানের যে লোডসেডিং চলছে উপজেলাবাসী তাকে ভায়াবহ লোডসেডিং বলে জানিয়েছেন। এলাকায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দিন-রাতে অতিরিক্ত গরম আর বিদ্যুতের লোডসেডিং এর কারণে অধিকাংশ পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও বিদ্যুতের লোডসেডিং এর ফলে উপজেলার ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কলকারখানার উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে করে তারা লোকসানে মুখে পড়বে বলে মালিকগণ অভিযোগ করেন। সরজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এখন লোডসেডিং এর মাত্র আরোও ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। লোডসেডিং এর কারণে উপজেলাবাসী কোন মতে দিন পর করলেই রাত হলেই তাদের মঝে নেমে আসে চরম দুভোর্গ। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে তাদের।

    এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পুঠিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াকুব আলী শেখ জানান, হঠাৎ করে কিছু দিন থেকে নাটোরের হরিশপুর ও রাজশাহীর কাটাখালি থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাই যে পরিমান তাতে আমাদের চাহিদা পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও তিনি বলেন, আমারা সর্বচ্চো ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি যেখানে আমাদের চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

    মাজেদুর রহমান( মাজদার)
    পুঠিয়া রাজশাহী

  • বললেই দাঁত দেখায় ২৭ মণের ষাঁড়

    বললেই দাঁত দেখায় ২৭ মণের ষাঁড়

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড় সদর উপজেলায় কুরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে একটি ২৭ মন ওজনের ষাঁড় গরু। খামারি ভালোবেসে গরুটির নাম রেখেছেন ‘কালু’। নাম ধরে ডাকলে সাড়াও দেন গরুটি। কালুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- কেউ তার দাঁত দেখতে চাইলে মাথা উচিয়ে দাঁত দেখায় সে।
    সম্প্রতি সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া গ্রামের মোকাম্মেল প্রধানের খামারে গিয়ে দেখা মিলে এই ষাঁড় গরুটির। খামারে বিক্রি উপযোগী আরও ৪০টি গরু থাকলেও কালুই সেরা।
    খামারে গিয়ে দেখা যায়, কালুর পরিচর্যায় ব্যস্ত মোকাম্মেল প্রধান এবং তার ছোট ভাই মনির প্রধান। তাদের সঙ্গে বেশ সখ্যতা কালুর। তাদের কথা মত নড়াচড়া করে কালু, দেখতে চাইলে সে দাঁত বের করে দেখায়।
    খামারি জানান, মাত্র ৮ মাস আগে আড়াই লাখ টাকায় কিনেন কালুকে। উদ্দেশ্য মোটাতাজা করে কুরবানীর ঈদে বিক্রি করবেন। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে এলেও কেউ এখনো কাঙ্খিত দাম বলেননি। ৬ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
    গরুর দেখভাল করেন মনির প্রধান। তিনি বলেন, কালু এখন আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে গেছে। তার বিশেষ বৈশিষ্ট্যে কারণে প্রতিদিন লোকজন দেখতে আসে। তাকে বিক্রি করলে একটু খারাপও লাগবে আমাদের। তারপরও চাচ্ছি ভালো দামে বিক্রি করতে। কারণ, তার পিছনে দৈনিক ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
    খামারি মোকাম্মেল প্রধান বলেন, শখের খামার এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। খামারের সবচেয়ে বড় গরু কালু। কুরবানী ঈদে বিক্রির জন্যই তাকে মোটাতাজা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যে দাম বলছে, সে দামে বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে।
    তিনি বলেন, প্রতিবছর খামার থেকেই বাইরের ব্যবসায়ীরা এসে গরু কিনেন, এজন্য কালুকে হাটে তুলিনি। এবার খামারে বাইরের ব্যবসায়ীরা আসতেছেনা। আর স্থানীয়রা আসলেও সঠিক দাম বলছেনা।
    প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলায় এ বছর কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৯ হাজার ৮৭৯টি পশু। এর বিপরীতে কোরবানির যোগ্য পশু প্রস্তত রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৭২টি। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪১ হাজার ২৮০টি, এবং ছাগল-ভেড়া ৯৩ হাজার ৯৯২ টি।